রোগ পাপের ক্ষতিপূরণ হতে পারে কি না। এ বিষয়ে আরো কোনো হাদীস আছে কী,

: রোগ্য-ব্যাধি নিঃসন্দেহে কষ্টদায়ক। তাই এটি গুনাহের কাফ্ফারাস্বরূপ হয়ে থাকে। এ সম্পর্কে নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আরো কতিপয় বাণী এখানে আলোচনা করছি : হযরত আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, “কোনো মুমিন ব্যক্তির প্রতি কোনরূপ ব্যথা-বেদনা, রোগ-ব্যধি বা দুঃখ-কষ্ট আসেনা, এমনকি চিন্তা- ভাবনা, পেরেশানী পর্যন্ত, যার বিনিময়ে তার কোনো পাপ মার্জনা হয়না।” (সহীহ আল বুখারী ও মুসলিম) ২৩ আবূ সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেছেন, “মুমিন পুরুষ অথবা মহিলা যে কেউ রোগাক্রান্ত হলে আল্লাহ্ উক্ত রোগীকে তার পূর্বের গুনাহ মাফের একটা অসীলা করে দেন।” (আত তিরমিযী ও মুসনাদে বাযযার)
হযরত আবূ নুয়াইম রহমাতুল্লাহি আলাইহি এ সম্পর্কে একটি হাদীস বর্ণনা করেন । তিনি বলেন যে, নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যা কিছু ভুল-ভ্রান্তি হয়ে যায়, রোগ তার কাফ্ফারা স্বরূপ।" (শু'আবুল ঈমান)
বস্তুত, কারো যদি এ চিন্তা ও সন্দেহ হয় যে রোগ কী করে গুনাহের কাফফারা হয় তখন তার স্মরণ রাখা উচিত যে আগুনের ভাট্টি যেমন লোহার মরিচা দূর করে, স্বর্ণকারের ভাট্টি যেমন স্বর্ণের ময়লা পরিষ্কার করে ফেলে, তেমনি রোগ-শয্যায় মানুষ মনের অজান্তেই আল্লাহকে স্মরণ করতে থাকে । তার মুখে অকৃত্রিমভাবে আল্লাহ্ আল্লাহ্ শব্দটি এসে পড়ে। সে তার স্বীয় অপরাধের জন্য লজ্জিত ও অনুতপ্ত হয় এবং ভবিষ্যতের জন্য গুনাহ্ না করার দৃঢ় সংকল্প নিয়ে রোগ-শয্যা ত্যাগ করে। আর রোগীর এ অসহায় ভঙ্গি ও আকুতি করুণাময় আল্লাহ্র নিকট খুবই পছন্দনীয়।
যে কখনো অসুস্থ হয়না তার ব্যাপারে নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে কোনো সহীহ রিওয়ায়াত পাওয়া যায়না। তবে সুনানে আবূ দাউদে একটি যয়ীফ বা দুর্বল সূত্রে রিওয়ায়াত পাওয়া যায়। কিন্তু তার দ্বারা প্রমাণ পেশ করা যায়না। রিওয়ায়াতটি হলো, হযরত আমর ইবনে 'আস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা সাহাবায়ে কিরামকে বললেন, “নিশ্চয়ই কোনো মুমিনের যদি রোগ হয়, অতঃপর আল্লাহ্ তাকে আরোগ্য দান করেন, তবে এটা তার পেছনের গুনাহের কাফ্ফারা হয়ে যায়। একথা শুনে নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আশেপাশে যেসকল সাহাবী বসা ছিলেন তাদের একজন বলে উঠলেন, “হে আল্লাহ্র রসূল! অসুস্থতার অর্থ কী? আল্লাহ্ ফযলে আমার তো কখনো অসুখ-বিসুখ হয়নি।” নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন লোকটিকে বললেন : “তুমি এখান থেকে উঠে যাও, তুমি আমার দলভুক্ত নও। অর্থাৎ আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নও।" (আবূ দাউদ)
এ হাদীসটি দুর্বল হলেও তা থেকে আমরা জানতে পারি যে নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রোগকে কামেল মুমিনের একটি শান হিসেবে উল্লেখ করেছেন। বস্তুত কোনো ব্যক্তি যখন রোগে পতিত হয় আল্লাহ তা'য়ালা এর মাধ্যমে দুনিয়াতেই তাকে পাপ পঙ্কিলতা থেকে পবিত্র করে নেন। বিভিন্ন হাদীসে সুস্থতাকে নিয়ামত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এমনকি রোগ থেকে বেঁচে থাকার জন্য বিভিন্ন সময়ে তিনি উৎসাহিত করেছেন। যেমন সহীহ মুসলিমে হযরত জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত হয়েছে যে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমরা পাত্রকে ঢেকে রাখো, পানপাত্রের মুখ বন্ধ করে রাখো, কেননা বছরে এমন একটি রাত থাকে যখন মহারোগ আপতিত হয়, তখন কোনো খোলা পাত্রকে আক্রান্ত করতে ছাড়ে না।” (সহীহ মুসলিম)

FOR MORE CLICK HERE
NTRCA COLLEGE LEVEL HISTORY/ইতিহাস গাইড/ বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ইতিহাস
১০ তম বিসিএস -৪৪তম বিসিএস এর প্রশ্ন ও সমাধান 10th BCS to 44th Bcs MCQ Question Solution
বিসিএস ব্যাংক প্রাইমারি পরীক্ষার-এর প্রশ্ন ও সমাধান
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন SEO বই লেখক : মোঃ মিজানুর রহমান
মাতৃস্বাস্থ্য/Motherhood
ওষুধ নির্দেশিকা
সহীহ বুখারী শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৭৫৬৩ টি হাদিস)
সহীহ মুসলিম শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৭৪৫৩ টি হাদিস)
সুনানে তিরমিজি শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৩৯৫৬ টি হাদিস)
সুনানে নাসায়ী শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৫৭৫৮ টি হাদিস)
সুনানে ইবনে মাজাহ শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৪৩৪১ টি হাদিস)
সুনানে আবু দাউদ শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৫২৭৪ টি হাদিস)

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]