মুহতারাম, পানি বা পানীয়দ্রব্য পান করার বিষয়ে নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনুমোদিত সাধারণ বিধি-নিষেধ সম্পর্কে কিছু বলুন।

আপনাকে ধন্যবাদ। গত কয়েকটি পর্বে খাদ্যদ্রব্য গ্রহণ ও বর্জনের উপর আলোচনার এক পর্যায়ে আমি পানীয়দ্রব্য গ্রহণের ব্যাপারে ইসলামের বিধি-বিধানসমূহ নিয়ে সামান্য আলোকপাত করেছিলাম। আজ খাদ্যদ্রব্য গ্রহণের ব্যাপারে নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শিক্ষা ও উপদেশ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো ইনশা'আল্লাহ।
নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বসে বসে পানি পান করতেন, ডানহাতে পানির গ্লাস বা কাপ ধরে তিনি অল্প অল্প করে তিন চুমুকে পানি পান করতেন এবং পান করার পূর্বে 'বিস্মিল্লাহির রহমানির রহীম' এবং পানি পান করার পর 'আলহামদু লিল্লাহ্' বলতেন। নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো সোনা-রূপার পানির পাত্র ব্যবহার করতেননা। তিনি পানির পাত্র খোলা রাখতে এবং ফুঁক দিয়ে পানীয় পান করতে নিষেধ করেছেন। আর এগুলোই হচ্ছে, Good Drinking Practices of the Prophet Muhammad (SAWS). বস্তুত পানি পান করার এসব নিয়ম-কানুন, পদ্ধতি ও সুন্দর অভ্যাসগুলো সবই আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে। নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পানীয় জিনিসের মধ্যে ঠাণ্ডা ও মিষ্টি পানীয় পছন্দ করতেন। হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, "নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সর্বাপেক্ষা পছন্দনীয় পানীয় ছিলো ঠাণ্ডা, মিষ্টি পানীয়।" (মুসতাদরাকে হাকিম) ৩০১
হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা আরো বলেন, “রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্য ঠাণ্ডা ও মিঠা পানি ছাকায়ার কূপ থেকে আনা হতো।" ছাকায়া একটি বস্তির নাম, যা মদীনা মুনাওয়ারা থেকে প্রায় দুই দিনের পথ। অপরদিকে হযরত সুহাইব রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন যে নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, “স্মরণ রেখো, দুনিয়া ও আখিরাতের মধ্যে পানি হলো পানীয় জিনিসের সর্দার।” ৩০২ এ হাদীসটিও মুসতাদরাকে হাকিম-এ উদ্ধৃত আছে। অর্থাৎ যতো প্রকার পানীয় দ্রব্য আছে তার মধ্যে সর্বোত্তম হচ্ছে পানি ।
পানি পান ও পানির গুরুত্ব সম্পর্কে নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন, “কিয়ামতের দিবসে বান্দার নিকট থেকে সর্বপ্রথম যে হিসাব নেয়া হবে, তা হলো আল্লাহ তা'য়ালা তার সুস্থতা ও ঠাণ্ডা পানি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবেন । " ৩০৩
এ হাদীসটিও মুসতাদরাকে হাকিম হাদীস গ্রন্থে উদ্ধৃত হয়েছে। এসব হাদীস থেকে আমরা জানতে পারি যে নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঠাণ্ডা পানিকে আল্লাহর একটি বড় নিয়ামত মনে করতেন।

আচ্ছা মুহতারাম, কিভাবে পানি পান করা মোটেই উচিত নয়? এ ব্যাপারে রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিষেধাজ্ঞা সম্বলিত বাণী কি?


উত্তর : ইবনে আবূ হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, “তোমাদের মধ্যে কেউ যদি পানি পান করে সে যেনো আস্তে আস্তে ঢোক গিলে পান করে এবং এক নিঃশ্বাসে যেনো পানি পান না করে।" (শু'আবুল ঈমান) ৩০৪
ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন যে আল্লাহর রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “উটের মতো এক দমে গটগট করে পানি পান করোনা; বরং দুই বা তিন দমে (নিঃশ্বাসে) পান করো। পান করার সময় আল্লাহর নাম লও (অর্থাৎ বিমিল্লাহির রহমানির রহিম বলো), আর পান করার পর আল্লাহর প্রশংসা করো।" (আত-তিরমিযী) ৩০৫
অর্থাৎ 'আলহামদু লিল্লাহ' বলো। আর প্রশংসার সর্বাপেক্ষা উত্তম বাক্য হলো, 'আলহামদু লিল্লাহ'। হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “আল্লাহর রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনটি পৃথক নিঃশ্বাসে পানি পান করতেন এবং বলতেন, এ নিয়মে পানি পান করলে তৃষ্ণা ভালোভাবে নিবারণ হয়, খাদ্য ভালোভাবে হজম হয় এবং এটি অধিক আরামদায়ক ও স্বাস্থ্যকর। হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু আরো বলেন, পান করার সময় আমিও তিনবার শ্বাস নিয়ে থাকি ।” (সহীহ মুসলিম, আবূ দাউদ ও আত-তিরমিযী) ৩০৬
ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন যে রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমরা যখন পানি পান করবে তখন এক নিঃশ্বাসে পান করোনা।" (আত-তিরমিযী) ৩০৭
কারণ এভাবে পানি পান করলে বুকে বেদনা হয়। চলুন, এ হাদীস দুটো বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে আমরা আলোচনা করি ।
প্রথমত, পানিতে মুখ ডুবিয়ে পানি পান করা পশুর স্বভাব। এতে নাক ও মুখের দূষিত পদার্থ ও নিঃশ্বাস পানিকে দূষিত ও নষ্ট করে ফেলে। দাড়ি-গোঁফের চুল ও ময়লা পরিষ্কার পানিকে নোংরা ও দূষিত করে থাকে। এটা আধুনিক স্বাস্থ্য বিজ্ঞানে প্রমাণিত। যাদের গোঁফ বড়, পানি পান করার সময় তাদের গোঁফের সংস্পর্শে পানি দূষিত হয়। চুলে যেমন ধুলাবালি লেগে থাকে, তেমনি গোঁফেও ধুলা ও ময়লা লেগে থাকতে পারে ।
দ্বিতীয়ত, অধৈর্য হয়ে, ব্যস্ততার সঙ্গে, দৌড়ে এসে বিশ্রাম না নিয়ে দাঁড়িয়ে পানি পান করা সঠিক নয় । এটা উটের স্বভাব। এতে বেশ কয়েক প্রকার অসুবিধাও আছে, যা বিজ্ঞানে প্রমাণিত। দাঁড়িয়ে তাড়াতাড়ি ব্যস্ততার সাথে পানি পান করলে পানি হুলকুমে আটকে যেতে পারে এবং হৃদযন্ত্রের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। অপরদিকে এভাবে পানি পান করলে পিপাসাও ঠিকমতো মেটেনা এবং পরিতৃপ্তিও আসেনা ।
Drinking water while standing and in a hurry have the following disadvantages. 1. Difficulty in irritation of peristalsis or difficulty in downward movement of food or drinks 2. Chest pain
3. Choking (sense of suppocation )
4. Food/drinks in laryngs (বিষম লাগা )

FOR MORE CLICK HERE
NTRCA COLLEGE LEVEL HISTORY/ইতিহাস গাইড/ বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ইতিহাস
১০ তম বিসিএস -৪৪তম বিসিএস এর প্রশ্ন ও সমাধান 10th BCS to 44th Bcs MCQ Question Solution
বিসিএস ব্যাংক প্রাইমারি পরীক্ষার-এর প্রশ্ন ও সমাধান
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন SEO বই লেখক : মোঃ মিজানুর রহমান
মাতৃস্বাস্থ্য/Motherhood
ওষুধ নির্দেশিকা
সহীহ বুখারী শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৭৫৬৩ টি হাদিস)
সহীহ মুসলিম শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৭৪৫৩ টি হাদিস)
সুনানে তিরমিজি শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৩৯৫৬ টি হাদিস)
সুনানে নাসায়ী শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৫৭৫৮ টি হাদিস)
সুনানে ইবনে মাজাহ শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৪৩৪১ টি হাদিস)
সুনানে আবু দাউদ শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৫২৭৪ টি হাদিস)

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]