দাঁড়িয়ে পানি পান না করার ব্যাপারে হাদীসের বক্তব্য কি? অনুগ্রহপূর্বক বর্ণনা করুন। এ প্রসঙ্গে বিজ্ঞানের দিকটাও আলোচনায় আনুন ।

এ প্রসঙ্গে প্রথম হাদীসটি বর্ণনা করেন হযরত আবূ সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু। তিনি বলেন, “নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে পানি পান করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন।” (সহীহ মুসলিম ও আবূ দাউদ) ৩১২ দাঁড়িয়ে পানাহার করা নিষেধ। ইহা একটি অবৈজ্ঞানিক অভ্যাস।
দ্বিতীয় হাদীসটি বর্ণনা করেন হযরত আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু। তিনি বর্ণনা করেন, নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমাদের মধ্যে কেউ দাঁড়িয়ে পানি পান করবেনা। ভুলক্রমে পান করলে তা বমি করে ফেলে দেবে।” (সহীহ মুসলিম) ৩১৩
হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন যে নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোনো ব্যক্তিকে দাঁড়ানো অবস্থায় পানি পান করতে নিষেধ করেছেন। দাঁড়িয়ে আহার করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, “এতো আরো খারাপ।” (সহীহ মুসলিম ও আত-তিরমিযী) ৩১৪
আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন যে “নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে পানি পান করার কারণে ধমক দিয়েছিলেন।” (সহীহ মুসলিম) ৩১৫
এ হাদীস তিনটির ভাষ্য অত্যন্ত সহজ এবং বোধগম্য। এতে কোনো অস্পষ্টতা বা ambiguity নেই । দুটো হাদীসের শিক্ষাই বিজ্ঞানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। আমরা অনেকে না জেনে বা ফ্যাশন মনে করে দাঁড়িয়ে পানি পান করি। হাঁটতে হাঁটতে পানি পান করি। বস্তুত দাঁড়িয়ে পানি পান করলে পানি দ্রুততার সাথে সরাসরি
পাকস্থলীতে চলে যায় এবং তা সঠিকভাবে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় সমানভাবে পৌঁছতে পারেনা এবং আস্তে আস্তে তা পাকস্থলীতে এসে স্বাভাবিকভাবে জমা হতে বাধাগ্রস্ত হয়। অধিকন্তু এ অভ্যাসের দরুন তৃষ্ণা সঠিকভাবে নিবারণ হয়না। অনেক চিকিৎসক বলেন, দাঁড়িয়ে পানি পান করলে পেটে বেদনা হয়। পানি পান করার উৎকৃষ্ট সময় তখন, যখন খাদ্যদ্রব্য হজম হবার সময় হয়। আহার হজম হওয়ার পর পানি পান করা উত্তম। অনেক চিকিৎসক বলেন, আহারের সময় বা আহারের অব্যবহিত পরেই পান করা ভালো নয়। Because it dilutes the digestive enzyme. If the stomach is full, it makes the peristalsis difficult. এতে হজমক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়না। খালিপেটে পানি পান করলে হজমশক্তি দুর্বল হয়ে যায়। ইমাম গাযালী রহমাতুল্লাহ আলাইহি তার 'এহ্ইয়াউল উলূম' কিতাবে লিখেছেন, শয়নের পরে পানি পান করোনা, কারণ তাতে প্রাকৃতিক তাপ কমে যায় ।
দ্বিতীয় হাদীসটি প্রথম ও তৃতীয় হাদীস দুটোর চেয়ে অধিক শক্তিশালী নিষেধাজ্ঞা সম্বলিত। তাই তা মেনে চলা আমাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্যই প্রয়োজন। তবে আল্লাহর রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কেনো এতো আত্মবিশ্বাসে ভরা মন্তব্য করলেন তা আগামী দিনে বিজ্ঞানই আমাদের বলে দেবে। সাধারণত আমাদের পাকস্থলীর তাপমাত্রা ৩৭° সেঃ এর মতো থাকে। অপরদিকে পানির তাপমাত্রা সচরাচর room temperature-এ অর্থাৎ ২৫° সেঃ থেকে ২৮° সে: পর্যন্ত থাকে। দাঁড়িয়ে পানি পান করলে সে পানি অত্যন্ত দ্রুত পাকস্থলীতে পৌঁছে। ফলে এই তাপমাত্রার পানীয় সহসা পাকস্থলীতে পৌঁছে পেটের স্বাভাবিক কার্যক্রমকে প্রভাবিত করতে পারে। আর বসে আস্তে আস্তে পানি পান করলে পানীয় দ্রব্যের তাপমাত্রা অতি সহজেই পাকস্থলীর তাপমাত্রার সাথে একীভূত হতে পারে । যাহোক, এই হাদীসের ব্যতিক্রম একটি হাদীস রয়েছে তা হচ্ছে, “নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা যমযমের পানি দাঁড়িয়ে পান করেছিলেন।” (আত-তিরমিযী) ৩১৬
এ বিষয়ে হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, “যেহেতু যমযমের কুয়ার নিকট প্রচুর জনসমাগম হয়, খুব ভিড় থাকায় বসার সুযোগ থাকেনা, তাই মানুষের কষ্ট কিছুটা লাঘবের নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এভাবে যমযমের পানি পান করেছিলেন।” তাই যমযমের পানি কিবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে পান করা সুন্নাত ।

FOR MORE CLICK HERE
NTRCA COLLEGE LEVEL HISTORY/ইতিহাস গাইড/ বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ইতিহাস
১০ তম বিসিএস -৪৪তম বিসিএস এর প্রশ্ন ও সমাধান 10th BCS to 44th Bcs MCQ Question Solution
বিসিএস ব্যাংক প্রাইমারি পরীক্ষার-এর প্রশ্ন ও সমাধান
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন SEO বই লেখক : মোঃ মিজানুর রহমান
মাতৃস্বাস্থ্য/Motherhood
ওষুধ নির্দেশিকা
সহীহ বুখারী শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৭৫৬৩ টি হাদিস)
সহীহ মুসলিম শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৭৪৫৩ টি হাদিস)
সুনানে তিরমিজি শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৩৯৫৬ টি হাদিস)
সুনানে নাসায়ী শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৫৭৫৮ টি হাদিস)
সুনানে ইবনে মাজাহ শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৪৩৪১ টি হাদিস)
সুনানে আবু দাউদ শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৫২৭৪ টি হাদিস)

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]