কোন্ কোন্ সময় ঘুমানো নিষেধ? সকালবেলা ঘুমানো সম্পর্কে নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বক্তব্য কী?

আল্লাহর রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সকালে নামাযের পর সূর্য ওঠার আগ পর্যন্ত এবং ইশার নামাযের পূর্বে ঘুমানো অপছন্দ করতেন। তবে সবচেয়ে খারাপ ঘুম হচ্ছে দিনের বেলা সূর্য ওঠার পর এবং বিকেল বেলার ঘুম। আমির ইবনে উসমান রাদিয়াল্লাহ আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি তাঁর পিতা উসমান ইবনে আফফান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন যে নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “সকালে ঘুমানো মানুষের জীবিকা অন্বেষণকে বাধাগ্রস্ত করে।” (মুসনাদে আহমাদ) ৩৩৪
অর্থাৎ রিযিকের প্রতিবন্ধকতার কারণ হয়। কারণ সাধারণত দিন হলো কাজের জন্য আর রাত হলো ঘুম ও আরামের জন্য । মানুষ যদিও সাধারণত রাতের বেলা ঘুমায় এবং দিনের বেলায় জীবিকার জন্য চেষ্টা- মেহনত করে, তবুও শতকরা একশো ভাগ লোক এমনটি করেনা। বরং বহু লোক দিনের বেলায় ঘুমায় ও রাতে জীবিকা অর্জনের জন্য মেহনত করে। যাহোক, সে আলোচনায় আমরা এখন যাবোনা। তবে
সারারাত ঘুমানোর পরও যদি কেউ নতুন উদ্যমে তার দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে তৎপর হয়ে ওঠার পরিবর্তে ঘুমিয়ে থাকে, তাহলে তার রিযিকের দরজা সে নিজেই বন্ধ করে দেয় । "উঠে পড়ো,
হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু একদা তার পুত্রকে সকালে ঘুমাতে দেখে বলেন, তুমি কি এই সময়ে ঘুমাচ্ছ, যখন মানুষের জীবিকা বণ্টন হয়ে থাকে?" (ইবনুল কাইয়িম) ৩৩৫ এ রিওয়ায়াতটি পেশ করেছেন আল্লামা হাফিয ইবনুল কাইয়িম রহমাতুল্লাহি আলাইহি। অপরদিকে হযরত আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন যে একদা এক ব্যক্তি সম্পর্কে নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলা হলো যে সে ফজরের নামাযের জন্য ঘুম থেকে উঠেনি। তখন নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “শয়তান তার কানে প্রস্রাব করে দিয়েছে।" (সহীহ আল বুখারী) ৩৩৬ সম্মানিত দর্শক-শ্রোতা-পাঠক! সকালবেলা ঘুমানো একটা বদাভ্যাস। It is a bad habit. অনেক আধুনিক শিক্ষিত লোক এমনটি করতে অভ্যস্ত। এটি মানুষের জীবিকা অন্বেষণকে বাধাগ্রস্ত করে। এই সময় সৃষ্টি-জগত, পশু-পাখি, জীব-জন্তু তাদের খাবার অন্বেষণে বের হয়ে থাকে। যারা সকালবেলা দীর্ঘক্ষণ ঘুমায় বা ঘুমাতে অভ্যস্ত, তারা কর্মক্ষেত্রে পৌঁছতেও সর্বদা দেরি করে ফেলে। অর্থাৎ তারা habitual late-comers. পৃথিবীর প্রায় সকল দেশেই স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত, কলকারখানা সমূহে সকালবেলা কাজ শুরু হয়। কর্মস্থলে পৌঁছতেও অনেক সময় লাগে। তাই যারা ঘুম থেকে দেরিতে উঠে, তারা তাদের কর্মস্থলে পৌঁছতে সর্বদা late-comer দের খাতায় নাম লিখায়। বস্তুত সেনাবাহিনী বা আইন-শৃংখলা বহিনীতে যারা কাজ করেন, তাদের নীতি বাক্য হচ্ছে, “আল ‘আমালু খয়রুম মিনান নাউম।” অর্থাৎ ঘুম থেকে কাজ বা কর্তব্য উত্তম। এটি তারা দিনের পর দিন সঠিকভাবে পালন করে ও মেনে চলে। কারণ অত্যন্ত শৃঙ্খলাপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে সকালে duty-তে দেরি করে উপস্থিত হওয়া এক প্রকার অপরাধ। আমি যখন বাংলাদেশ বিমান বাহিনী শাহীন কলেজ কুর্মিটোলার Principal এবং বাংলাদেশ সমরাস্ত্র কারখানায় ISO 9000 Consultant ছিলাম তখন এটি আমি ভালভাবে স্বচোখে দেখেছি। তবে নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কথা আরো উত্তম। তিনি মুসলমান উম্মাহর জন্য প্রতিদিন ফজরের আযানে ঘোষণা করতে বলেছেন, “আস্‌সলাতু খয়রুম মিনান নাউম।” “ঘুম থেকে নামায উত্তম।"
অর্থাৎ ঘুম থেকে উঠে অবশ্য পালনীয় কর্তব্য সলাত আদায় করে মানুষ কর্মস্থলে অগ্রসর হবে আল্লাহর নি'য়ামত লাভের আশায়। এটিই নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শিক্ষা। যারা ফজরের নামায জামায়াতে নিয়মিত পড়েন, কখনো তাদের কর্মস্থলে পৌঁছতে দেরি হয়না ।

FOR MORE CLICK HERE
NTRCA COLLEGE LEVEL HISTORY/ইতিহাস গাইড/ বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ইতিহাস
১০ তম বিসিএস -৪৪তম বিসিএস এর প্রশ্ন ও সমাধান 10th BCS to 44th Bcs MCQ Question Solution
বিসিএস ব্যাংক প্রাইমারি পরীক্ষার-এর প্রশ্ন ও সমাধান
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন SEO বই লেখক : মোঃ মিজানুর রহমান
মাতৃস্বাস্থ্য/Motherhood
ওষুধ নির্দেশিকা
সহীহ বুখারী শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৭৫৬৩ টি হাদিস)
সহীহ মুসলিম শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৭৪৫৩ টি হাদিস)
সুনানে তিরমিজি শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৩৯৫৬ টি হাদিস)
সুনানে নাসায়ী শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৫৭৫৮ টি হাদিস)
সুনানে ইবনে মাজাহ শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৪৩৪১ টি হাদিস)
সুনানে আবু দাউদ শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৫২৭৪ টি হাদিস)

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]