. ইমাম শাফিঈ (র)-এর জীবনী ইমাম শাফিঈ (র)-এর মাযহাব সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করুন।

ইমাম শাফিঈ (র)-এর মাযহাবের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে লিখতে পারবেন।
ইমাম আহমদ (র) বলেছেন, “ইমাম মুহাম্মদ ইবনে ইদ্রিস আশশাফিঈ (র) ২য় হিজরী শতকের
মুজাদ্দিদ বা সংস্কারক।” সমাজে জেঁকে বসা অপসংস্কৃতি আর কুসংস্কারের বিরুদ্ধে তিনি প্রচÐ বিদ্রোহ
ঘোষণা করেন। তিনি ছিলেন মুসলিম মিল্লাতের জন্য মহান বিধাতার রহমতো স্বরূপ। সাহিত্যো,
কবিতা, ফিকহশাস্ত্রসহ বিভিন্ন অঙ্গনে তাঁর ছিল উন্মুক্ত পদচারণা। অসংখ্য ছাত্রের আশ্রয়স্থল ছিলেন
তিনি। ইমাম শাফিঈ (র) আজীবন ইসলামের সংস্কারের জন্য নিরবচ্ছিন্ন পরিশ্রম এবং কঠোর সাধনা
করে গেছেন। নিম্নে তাঁর সংক্ষিপ্ত জীবনী ও মাযহাব সম্পর্কে আলোচনা করা হলইমাম শাফিঈ (র)-এর পরিচয়
ইমাম শাফিঈ (র)-এর নাম মুহাম্মদ, উপনাম আবু আবদুল্লাহ, পদবী আশ-শাফিঈ, পিতার নামইদ্রিস, দাদার নাম আল-আব্বাস।
আর এই পদবীতেই তিনি বহুল পরিচিতি ছিলেন। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (স)-এর বংশ পরম্পরার
সাথে তথা আবদে মানাফ এর সাথে তার বংশ পরম্পরা মিলিত হয়েছে। তাই ইমাম শাফিঈর নামের
শেষে ‘আল-কুরাইশী আল-হাশেমী আল-মুত্তালেবী যোগ করা হয়।
ইমাম শাফিঈ (র)-এর জন্ম ও বাল্যকাল
ইমাম শাফিঈ (র) ১৫০ হিজরী সনে জন্মগ্রহণ করেন। একই বছরে ইমাম আবু হানীফা (র) ইন্তিকাল
করেন। ইমাম শাফিঈর জন্মস্থানের ব্যাপারে তিনটি বক্তব্য পাওয়া যায়। যথাফিলিস্তিনের ‘গাযা’ ‘আসকালান’ ও ‘ইয়েমেন’।
মাত্র দু’বছর বয়সে তাঁর পিতা ইন্তিকাল করেন এবং তাঁর মা তাকে নিয়ে মক্কা শরীফে চলে যান। মক্কায়
ইয়াতীম অবস্থায় তিনি লালিত-পালিত হতে থাকেন। মাত্র সাত বছর বয়সে তিনি পূর্ণ কুরআন মুখস্থ
করেন। তিনি কিশোর অবস্থাতেই ‘হুযাইল’ গোত্রের অধিকাংশ কবিতা মুখস্থকরেন এবং আরবীতে যথেষ্ট
ব্যুৎপত্তি অর্জন করেন। তাই তাঁর সম্পর্কে আসমায়ী বলেছেন, “আমি কুরাইশ বংশের একজন যুবকের
নিকট গিয়ে হুযাইল গোত্রের কবিতাসমূহ শুদ্ধ করে নিয়েছিলাম, যার নাম হলো মুহাম্মদ ইবন ইদরীস।”
ইমাম শাফিঈ (র)-এর শিক্ষাজীবন
ইমাম শাফিঈ মক্কা শরীফের বিখ্যাত মুফতী মুসলিম ইবনে খালিদ এর নিকট ফিকহশাস্ত্র চর্চা করেন। এ
সময়ে মক্কানগরী জ্ঞান চর্চার কেন্দ্রবিন্দু ছিল। মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি বিভিন্নবিষয়ে ফাতওয়া প্রদান
শুরু করেন। এতেঠ স্বল্প সময়েই তাঁর মেধা এবং যোগ্যতার স্ফূরণ ঘটতে থাকে। এরপর তিনি মদীনা
শরীফ গমন করেন। ইমাম মালিকের নিকট অবস্থান করে মাত্র ৯ দিনে সম্পূর্ণ ‘মুয়াত্তা’ মুখস্থকরেন।
তাঁর মেধাশক্তির প্রখরতা দেখে ইমাম মালিক অবাক হয়ে যান। এতেঠ সল্প সময়ে আল-মুয়াত্তার মতো
ইমাম শাফিঈ (র) ১৫০ হিজরী সনে জন্মগ্রহণ করেন। একই বছরে ইমাম আবু হানীফা (র) ইন্তিকাল করেন।
বিশাল হাদীসগ্রন্থমুখস্থকরার ইতিহাস এটাই প্রথম। তিনি অন্যান্য যেসব আলিমের নিকট হাদীস শ্রবণ
করেছেন তাঁরা হলেন-সুফিয়ান ইবনে উয়াইনা, ফুযাইল ইবন আয়ায ও মুহাম্মদ ইবন শাফে।
ইমাম শাফিঈ (র)-এর কর্মজীবন
ইমাম শাফিঈ কর্মজীবনের শুরুতে ইয়েমেনে সরকারী দায়িত্ব পালন করেন। এরপর বাদশাহ হারুন আর
রশীদের সময়ে তাঁকে নাযরানের গভর্নর নিযুক্ত করা হয়। কিন্তু সরকারী বাধ্যবাধকতা তিনি পছন্দ
করলেন না। তাই দায়িত্ব হতে অব্যাহতি নিয়ে তিনি অধ্যাপনা শুরু করলেন। দীর্ঘদিন ফিকহশাস্ত্র
অধ্যাপনায় নিয়োজিত থেকে জ্ঞান বিতরণ করেন। ১৮৩ হিজরী সনে প্রথমবার এবং ১৯৫ হিজরী সনে
দ্বিতীয়বার তিনি বাগদাদে গমন করেন। সেখানে ইমাম আবু হানীফা (র)-এর সুযোগ্য ছাত্র মুহাম্মদ
ইবনুল হাসানের সাথে তাঁর সাক্ষাত হয়। তাঁর নিকট হতে ইমাম শাফিঈ ইরাকী আলিমদের লেখা সকল
কিতাবের জ্ঞান অর্জন করেন।
বাগদাদে অবস্থানকালে ইমাম শাফিঈ (র) তাঁর বিখ্যাত কিতাব ‘আলহুজ্জাত’ রচনা করেন। এখানে
ইমাম আহমাদের সাথে তাঁর সাক্ষাত হয়। তখন উভয় ইমাম পরস্পর মতোবিনিময় করেন এবং বিভিন্ন
জটিল ও কঠিন বিষয়ের সমাধানে উপনীত হন। এরপর তিনি ২০০ হিজরী সনে মিশর গমন করেন।
মিশরেও তিনি অত্যন্তকর্মব্যস্ততা এবং সার্বক্ষণিক জ্ঞান চর্চার মধ্য দিয়ে জীবনযাপন করেন। অসংখ্য
ছাত্রকে শিক্ষাদান করেন। সেখানে অবস্থানকালে তিনি তাঁর বিখ্যাত কিতাব ‘আল-উম্ম’ রচনা করেন।
ইমাম শাফিঈ (র)-এর ছাত্রবৃন্দ
মক্কা, মদীনা, ইরাক, মিশর ও অন্যান্য মুসলিম দেশে ইমাম শাফিঈর অসংখ্য ছাত্র ছিল। এদের মধ্যে
অনেকেই প্রসিদ্ধ আলিম ছিলেন। এখানে আমরা শুধু বিখ্যাত পাঁচজন ছাত্রের নাম উল্লেখ করছি।
১. ইউসুফ ইবনে ইয়াহইয়া আলবুয়াইতী, ২. ইসমাইল ইবনে ইয়াহইয়া আলমুযানী, ৩. রবী ইবনে
সুলাইমান, ৪. হারমালা ইবনে ইয়াহইয়া ও ৫. মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে আবদুল হাকাম।
ইমাম শাফিঈ (র)-এর চরিত্র
তিনি অত্যন্তউন্নত চরিত্রের অধিকারী ছিলেন। বড় বিদ্বান হওয়ার পরও তিনি গর্ব-অহংকার করতেন
না। তিনি সহজ সরল জীবন যাপন করতেন। অপব্যয় মোটেও পছন্দ করতেন না। তাঁর গুণে মুগ্ধ হয়ে
ইমাম আহমাদ প্রায় চল্লিশ বছর ধরে নামাযের মধ্যে তাঁর জন্য দোয়া করেছেন। ইমাম আহমাদ প্রায়ই
বলতেন “উমর ইবনে আবদুল আযীয ১ম হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ আর ইমাম শাফিঈ ২য় হিজরী
শতকের মুজাদ্দিদ ছিলেন।” ইমাম আহমাদ (র)-এর এই উক্তিই প্রমাণ করে যে, ইমাম শাফিঈ (র)
ছিলেন অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী। জ্ঞানের জগতে তিনি ছিলেন নন্দিত মহাপুরুষ। সার্বক্ষণিক জ্ঞান
সাধনা ছিল তাঁর চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। অক্লান্তপরিশ্রম এবং শিক্ষাদানে প্রচÐ আগ্রহের দরুণ
তদানীন্তন সময়ে তিনি ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ আলিম। তাঁর সংস্পর্শে এসে সবাই অত্যন্তবিমোহিতো হতেন।
ইমাম শাফিঈ (র)-এর ইন্তিকাল
২০৪ হিজরী সনের রজব মাসের শেষদিন। এদিন ছিলো জুমাবার। সেদিন ৫৪ বছর বয়সে তিনি মিশরে
ইন্তিকাল করেন।
অসাধারণ প্রতিভা এবং যথার্থ প্রজ্ঞার সমাবেশ ঘটেছে ইমাম শাফিঈ (র)-এর জীবনে। কুরআনহাদীসকে ইমাম শাফিঈ (র) সূক্ষèভাবে গবেষণা এবং অধ্যয়ন করে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে ফিকহ
চর্চা করেছেন। আর এই গবেষণা তাঁর জন্য অসম্ভব ছিলো না, কেননা তিনি অত্যন্তমেধাবী এবং জ্ঞানী
ছিলেন। তিনি ইমাম আবু হানীফা (র) এবং ইমাম মালিক (র)-এর মাযহাবকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ
করেছেন। এরপর তিনি নিজের মাযহাব প্রতিষ্ঠা করেন। এই মাযহাবে সবকিছুর উপরে স্থান দেওয়া
হয়েছে আল-কুরআনকে। ইমাম শাফিঈর মাযহাব অত্যন্তসাবলিল, সে কারণে সারা দুনিয়ায় এ
মাযহাবের অসংখ্য অনুসারী রয়েছে।
ইমাম শাফিঈ (র)-এর মাযহাবের মূলনীতি
হানাফী মাযহাবের মতো শাফিঈ মাযহাবের মূলনীতিও চারটি। যথা১. (الكریم القران (কুরআন কারীম ইমাম মালিকের নিকট
অবস্থান করে মাত্র ৯
দিনে সম্পূর্ণ ‘মুয়াত্তা’ মুখস্থ করেন। এত স্বল্প সময়ে
আল-মুয়াত্তার মত বিশাল হাদীসগ্রন্থ মুখস্থ করার ইতিহাস এটাই প্রথম।
এই মাযহাবে সবকিউপরে স্থান দেওয়া আল-কুরআনকে। ইশাফিঈর মাযহাব অসাবলীল, সে কারদেুনিয়ায় এ মাযহাবেী
২. (السنة (আস-সুন্নাহ
৩. (الاجماع (আল-ইজমা
৪. (القیاس (আল-কিয়াস
নিম্নের বিষয়গুলোকে তিনি দলীল হিসেবে গ্রহণ করেননি১. بة الصحا قول বা সাহাবাদের বাণী। কেননা সাহাবাদের বাণী ইজতিহাদের পর্যায়ে পড়ে। তাই
এর মধ্যে ভুলের সম্ভাবনা থাকতে পারে।
২. ستحسان الا বা উত্তম চিন্তা ও মতামত। কেননা যিনি চিন্তা করে শরীআত বানাতে চান তিনি
শরীআত প্রণেতা হওয়ার দাবিও করতে পারেন।
৩. سلة المر المصالح বা ব্যাপক কল্যাণমূলক চিন্তা। কেননা মানবীয় চিন্তা শরীআতের মূলনীতি
হতে পারে না।
৪. ینة المد اھل عمل বা মদীনাবাসীদের কার্যাবলি। কেননা মদীনার বিভিন্ন ধরনের লোক থাকতে
পারে।
ইমাম শাফিঈ (র)-এর চিন্তাধারা
ইমাম শাফিঈ (র)-এর মাযহাবগত চিন্তাধারা দু’ভাবে বিভক্ত। যথা১. یم القد ھب المذ বা পুরাতন মাযহাব
২. الجدید ھب المذ বা নতুন মাযহাব।
পুরাতন মাযহাব
ইমাম শাফিঈ (র) বাগদাদে অবস্থানকালে যে ফিকহ চর্চা করেছেন, তা পুরাতন মাযহাবের অন্তর্ভুক্ত।
এখানে অবস্থানকালে ইমাম শাফিঈ তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ ‘আল-হুজ্জাত’ রচনা করেন। এই ‘আল-হুজ্জাত’
এর মধ্যে তার পুরাতন মাযহাব এর স্পষ্ট দলীল প্রমাণ পাওয়া যায়। এই প্রাচীন চিন্তাধারার মধ্যে হানাফী
মাযহাবের কিছুটা প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায়।
ইমাম শাফিঈ (র)-এর চারজন বিশ্বস্তবন্ধু পুরাতন মাযহাব প্রচার ও প্রসারে ভুমিকা রেখেছেন এবং
বিখ্যাত ‘আল-হুজ্জাত’ কিতাব বর্ণনা করেছেন। তাঁরা হচ্ছেন আহমাদ ইবনে হাম্বল, আবু সাওর, আলযাআফরানী ও আলকারাবিসী।
এই বিখ্যাত চার আলিমের অক্লান্তপরিশ্রমের ফলশ্রæতিতে পুরাতন মাযহাব বাগদাদের আশপাশে
ব্যাপকভাবে প্রচারিত হতে থাকে। অসংখ্য মানুষ এই মূল্যবান গবেষণা দ্বারা উপকৃত হয় এবং শাফিঈ
মাযহাবের অনুসারী হিসেবে বিবেচিত হয়। তবে পরবর্তীতে ইমাম শাফিঈ (র) নিজেই পুরাতন
মাযহাবের পরিবর্তন-পরিবর্ধন করে নতুন মাযহাব প্রতিষ্ঠা করেন।
নতুন মাযহাব
ইমাম শাফিঈ বাগদাদ ছেড়ে মিশরে চলে আসেন। এখানে নতুন চিন্তাধারার প্রচার আরম্ভ করেন। এই
চিন্তাধারাই ‘মাযহাবে জাদীদ’ বা নতুন মাযহাব নামে পরিচিত। পুরাতন মাযহাব এবং নতুন মাযহাবের
চিন্তার মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। তাঁর বিখ্যাত কিতাব ‘আল-উম্ম’ এর মধ্যে নতুন চিন্তাধারার
সমাবেশ ঘটেছে। এই চিন্তায় মালিকী মাযহাবের কিছুটা প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায়। মিশরে ইমাম শাফিঈর
অনেক ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। এদের মধ্য হতে চারজন বিশিষ্ট আলিম ‘আল-উম্ম’ কিতাবকে বর্ণনা
করেছেন। আর এর দ্বারা নতুন মাযহাব দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ চারজন হলেন১. আল-মুযানি, ২. আল-বুয়াইতি, ৩. রবী আল-জিযী ও ৪. রবী ইবনে সুলাইমান।
ইমাম শাফিঈ (র) তাঁর যে কোন চিন্তার ক্ষেত্রে কুরআনের পরেই সহীহ হাদীসকে গুরুত্ব দিতেন এবং
أذا صح الحد یث فھو مذ ھبى واضربوا بقولى عرض الحائطতনবেল
ইমাম শাফিঈ (র) বাগদাদে অবস্থানকালে যে
ফিকহ চর্চা করেছেন, তা পুরাতন মাযহাবের
অন্তর্ভুক্ত। ইমাম শাফিঈ বাগদাদ ছেড়ে মিশরে
চলে আসেন। এখানে নতুন চিন্তাধারার প্রচার আরম্ভ করেন। এই চিন্তাধারাই ‘মাযহাবে জাদীদ’ বা নতুন মাযহাব নামে পরিচিত
“হাদীস সহীহ হিসেবে প্রমাণিত হলে সেটাই আমার মাযহাব, হাদীসের বিপরীতে আমার কথাকে
তোমরা দেয়ালের গায়ে নিক্ষেপ করো।”
ইমাম শাফিঈ (র)-এর মাযহাবের বৈশিষ্ট্য
ইমাম শাফিঈ (র)-এর মাযহাবের বৈশিষ্ট্যসমূহ নিম্নরূপ১. কুরআন-হাদীস, ইজমা এবং কিয়াসকে ইমাম শাফিঈ দলীল হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
২. আঞ্চলিকতার প্রতি দৃষ্টি না দিয়ে ‘রাবী’ বিশ্বস্তহলেই তিনি তার হাদীস গ্রহণ করেছেন।
৩. কিয়াসকে তিনি শুধুপ্রয়োজনের ক্ষেত্রে দলীল মনে করতেন।
৪. তাবিঈদের পরের যুগের কোন ‘ইজমা’ তিনি দলীল হিসেবে গ্রহণ করেননি।
৫. النص ظاھر বা স্পষ্ট বক্তব্যকে তিনি দলীল মনে করেন।
৬. الاستحسان বা উত্তম মতামতকে তিনি কখনো দলীল হিসেবে গ্রহণ করেননি।
৭. حدیث ضعیفদ) ুর্বল হাদীস) ব্যতীত অন্য যে কোন হাদীস দ্বারা তিনি দলীল পেশ করতেন।
 সঠিক উত্তরের পাশে টিক ( চিহ্ন দিন১. ইমাম শাফিঈ (র)-এর আসল নাম
ক. আহমাদ; খ. মুহাম্মাদ;
গ. ইমরান; ঘ. আসাদ।
২. ইমাম শাফিঈর পিতার নাম কী?
ক. ইদ্রিস; খ. সুলাইমান;
গ. ইব্রাহিম; ঘ. ইসমাঈল।
৩. ইমাম শাফিঈ জন্মগ্রহণ করেন কত সালে?
ক. ১৪৫ হিজরী সনে; খ. ১৪৮ হিজরী সনে;
গ. ১৫০ হিজরী সনে; ঘ. ১৫২ হিজরী সনে।
৪. ইমাম শাফিঈ জন্মগ্রহণ করেন?
ক. গাযায়; খ. স্পেনে;
গ. মক্কায়; ঘ. মদীনায়।
৫. পিতা মারা যাওয়ার সময় ইমাম শাফিঈর বয়স ছিলোক. ১ বছর; খ. ২ বছর;
গ. ৩ বছর; ঘ. ৪ বছর।
৬. শাফিঈ মাযহাবের মূলনীতিক. ২টি; খ. ৩টি;
গ. ৪টি; ঘ. ৫টি।
৭. আল-ইস্তিহসান (ستحسان الا-ে(ক ইমাম শাফিঈ দলীল হিসেবেক. গ্রহণ করেননি; খ. করেছেন;
গ. কখনো কখনো করেছেন; ঘ. গুরুত্বসহকারে করেছেন।
৮. ইমাম শাফিঈর পুরাতন মাযহাব প্রচারিত হয়ক. ইরানে; খ. বাগদাদে;
গ. কুয়েতে; ঘ. কাতারে।
৯. ইমাম শাফিঈর নতুন মাযহাব প্রচারিত হয়ক. মিশরে; খ. আলজিরিয়ায়;
গ. বাগদাদে; ঘ. ইয়েমেনে।
১০. ‘আল-উম্ম’ কিতাবের লেখক হলেনক. ইমাম আহমাদ; খ. ইমাম আবু সাওর;
গ. ইমাম শাফিঈ; ঘ. ইমাম মালিক।
১১. ‘আল-উম্ম’ কিতাবে ইমাম শাফিঈ বর্ণনা করেছেনক. তাঁর মাযহাবের মূলনীতি; খ. তাঁর নতুন মাযহাব;
গ. তাঁর পুরাতন মাযহাব; ঘ. হানাফী মাযহাবের মূলনীতি।
১২. আল-হুজ্জাত গ্রন্থে ইমাম শাফিঈ বর্ণনা করেছেনক. তাঁর মাযহাব; খ. তাঁর পুরাতন মাযহাব;
গ. তাঁর মাযহাবের বৈশিষ্ট্য; ঘ. যে সকল বিষয়কে তিনি দলীল হিসেবে
গ্রহণ করেননি তা।
সংক্ষিপ্ত রচনামূলক উত্তর-প্রশ্ন
১. ইমাম শাফিঈ (র)-এর পরিচয় দিন।
২. ইমাম শাফিঈর শিক্ষা জীবন লিখুন।
৩. ইমাম শাফিঈর চরিত্র সম্পর্কে লিখুন।
৪. ইমাম শাফিঈ কখন কোথায় ইন্তিকাল করেন? লিখুন।
৫. ইমাম শাফিঈর মাযহাবের মূলনীতি বর্ণনা করুন।
৬. যে সব বিষয়কে ইমাম শাফিঈ (র) তাঁর মাযহাবের মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করেননি তা উল্লেখ
করুন।
৭. ইমাম শাফিঈর নতুন মাযহাব সম্পর্কে লিখুন।
৮. ইমাম শাফিঈর পুরাতন মাযহাব সম্পর্কে লিখুন।
৯. ইমাম শাফিঈর মাযহাবের পাঁচটি বৈশিষ্ট্য লিখুন।
বিশদ উত্তর-প্রশ্ন
১. ইমাম শাফিঈ (র)-এর জীবনী বিস্তারিতভাবে লিখুন।
২. ইমাম শাফিঈ (র)-এর মাযহাব সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করুন।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]