নামাযের ফরযগুলো বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করুন। নামাযের ওয়াজিবগুলো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করুন।

সালাতের ফরযসমূহ
নামায আদায় করার জন্য কতিপয় কাজ অবশ্য করণীয় ও পালনীয়। এদের কতিপয় কাজ নামায আরম্ভ
করার পূর্বে এবং কতিপয় কাজ নামাযের মধ্যে পালন করতে হয়। এগুলো হল নামাযের ফরয।
নামাযের বাইরে এবং ভেতরে মোট ফরয ১৪টি। এগুলোর যে কোন একটি ছুটে গেলে নামায হবে না।
এর মধ্যে ৭টি নামায শুরুর আগে সম্পন্ন করা ফরয। এগুলোকে নামাযের শর্ত বলে। আর ৭টি নামাযের
ভেতরে পালন করা ফরয। এগুলোকে নামাযের আরকান বলে।
নামাযের শর্তসমূহ
নামাযের বাইরে যেসব কাজ অবশ্য করণীয় সেগুলোকে শর্ত বলে। এ শর্তগুলো নিম্নরূপÑ
১. যাবতীয় অপবিত্রতা থেকে শরীর পবিত্র করা। কুরআন মজীদে এসেছেÑ
وَ إ ِن كُنتُمْ جُنُبا ً فَٱطَّھَّرُ وا ْ
“তোমরা যদি অপবিত্র হও, তাহলে পাক-পবিত্র হয়ে যাও।” (সূরা আল-মায়িদা : ৬)
অযুর দরকার হলে অযুবা তায়াম্মুম করতে হবে, আর গোসলের প্রয়োজন হলে গোসল বা তায়াম্মুম
করে নিতে হবে।
২. পরিধেয় পোশাক পবিত্র করা। আল্লাহ্তা’য়ালা ইরশাদ করেন :
وَ ثِیَابَكَ فَطَھِّرْ
“তুমি পোশাক পবিত্র কর।” (সূরা আল-মুদ্দাসসির : ৪)
নামাযের সময় পরনে যা কিছু থাকবে তা পবিত্র হওয়া আবশ্যক। নচেৎ নামায শুদ্ধ হবে না। যেমন:
জামা, পায়জামা, টুপি, পাগড়ি, কোট, সিরওয়ানী, মোজা, লুঙ্গি, শাড়ি, সেলোয়ার, কামিজ ইত্যাদি।
৩. নামাযের জায়গা পাক পবিত্র হওয়া। অর্থাৎ নামাযীর দু’পায়ের, দু’হাঁটুর, দু’হাতের ও সিজদার স্থান
পবিত্র হওয়া আবশ্যক।
৪. নির্দিষ্ট অঙ্গকে সতর বলা হয়, যা ঢেকে রাখতে হয়। আল্লাহ্তা’য়ালা ইরশাদ করেন :
یَابَنِيۤ آدَمَ خُذ ُوا ْ زِ ینَتَكُمْ عِندَكُلِّ مَسْجِ دٍ
“হে বনী আদম! প্রত্যেক নামাযের সময় তোমরা সুন্দর পোশাক-পরিচ্ছদ পরিধান করবে।” (সূরা আলআরাফ : ৩১)
পুরুষের জন্য নাভী থেকে হাঁটু পর্যন্তএবং মহিলাদের জন্য দু’হাতের কব্জি, দুই পা এবং মুখমÐল
ব্যতীত সমস্তদেহ, সতর, এ অঙ্গসমূহ ঢেকে রাখা আবশ্যক।
৫. নামাযের সময় হওয়া অর্থাৎ নির্ধারিত সময় নামায পড়া। কুরআনে এসেছেÑ
إ ِنَّ ٱلصَّلاَةَ كَانَتْ عَل َى ٱلْمُؤْ مِنِینَ كِتَابا ً مَّوْ ق ُوتا ً
“নিশ্চয় নির্ধারিত সময়ে নামায কায়েম করা মুমিনের উপর অবশ্য কর্তব্য।” (সূরা আন-নিসা : ১০৩)
৬. কিবলা তথা কাবা শরীফের দিকে মুখ করে নামায আদায় করা। এ সম্পর্কে কুরআনে এসেছেÑ
নামাযের বাইরে এবং ভেতরে মোট ফরয
১৪টি। এর মধ্যে ৭টি নামায শুরুর আগে সম্পন্ন
করা ফরয। এগুলোকে নামাযের শর্ত বলে। আর
৭টি নামাযের ভেতরে পালন করা ফরয।
এগুলোকে নামাযের আরকান বলে।
পুরুষের জন্য নাভী থেকে হাঁটু পর্যন্তএবং মহিলাদের জন্য দু’হাতের
কব্জি, দুই পা এবং মুখমÐল ব্যতীত সমস্ত শরীর সতর।
فَوَ ل ُّوا ْ وُ جُوھَكُمْ شَطْرَ هُ
“তোমরা (নামাযের সময়) কাবার দিকে মুখ করবে।” (সূরা আল-বাকারা : ১৫০)
কোন কারণ ব্যতীত কা’বা ছাড়া অন্য কোন দিকে মুখ করে নামায আদায় করলে নামায শুদ্ধ হবে না।
৭. নিয়্যাত করা। হাদীসে বর্ণিত হয়েছে :
انما الا عمال بالنیات
“আমলের গ্রহণযোগ্যতা নিয়্যাতের উপর নির্ভরশীল।” (বুখারী)
তাই যে নামায আদায় করা হয়, তার জন্য মনে মনে নিয়্যাত করা আবশ্যক। ইমামের পেছনে নামায
আদায় করলেও অবশ্যই নিয়্যাত করতে হবে। (হিদায়া-পৃ. ৯২-৯৮)
নামাযের আরকান
নামাযের ভেতরে যে সব কাজ অবশ্য করণীয় সেগুলোকে আরকান বলে।
নামাযের ভেতরে ৭টি কাজ ফরয
১. তাকবীরে তাহরীমা বলা। অর্থাৎ আল্লাহ্ তা’আলার মহত্ব প্রকাশ পায় এমন কোন শব্দ দ্বারা নামায
আরম্ভ করা। তবে ‘আল্লাহু আকবার’ বলে নামায আরম্ভ করা ওয়াজিব। এ তাকবীরের মাধ্যমে নামাযের
বাইরের সব ধরনের কাজ-কর্ম নিষিদ্ধ হয়ে যায় বলে একে ‘তাকবীরে তাহরীমা’ বলা হয়। কুরআন
وَ رَ بَّكَ فَكَبّ ِرْ ছÑসেএেদে মজী
“তোমার প্রতিপালকের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর।” (সূরা আল-ম্দ্দুাস্সির : ৩)
২. কিয়াম করা : অর্থাৎ দাঁড়িয়ে নামায আদায় করা। কুরআনে এসেছেÑ
وَ ق ُومُوا ْ لل َّھِ قَانِتِینَ
“তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে বিনীতভাবে দাঁড়াবে।” (সূরা আল-বাকারা : ২৩৮)।
ফরয ও ওয়াজিব নামায দাঁড়িয়ে আদায় করা ফরয। কোন সমস্যা থাকলে যেভাবে নামায আদায় করা
সম্ভব, সেভাবে নামায আদায় করার অনুমতি রয়েছে।
فَٱقْرَ ءُوا ْ مَا تَیَسَّرَ مِنَ ٱلْقُرْ آنِ লনÑব্ েআল্লাহ। ফরয পড়া কিরাআত. ৩
“তোমরা কুরআন থেকে যতটুকু সম্ভব হয়, ততটুকু পড়।” (সূরা আল-মুযাযাম্মিল : ২০)
চার রাকাআত বিশিষ্ট ফরয নামাযের দু’রাকাআত এবং ওয়াজিব, সুন্নাত ও নফল নামাযের সব
রাকাআতে কিরাআত পড়া ফরয।
وَ ٱرْ كَعُوا ْ مَعَ ٱلرَّ اكِعِینَ লনÑবে তা’য়াল্আাল্লাহ। করা রুকু. ৪
“তোমরা রুকুকারীদের সাথে রুকু কর।” (সূরা আল-বাকারা : ৪৩)
প্রত্যেক রাকাআতে একবার করে রুকু করা ফরয। রুকু করার নিয়ম হচ্ছে, দাঁড়ানো থেকে এতটুকু
ঝুঁকতে হবে, যেন দু’হাত হাঁটু পর্যন্তপৌঁছে যায়। রুকুর সময় পিঠ সমান্তরাল রাখতে হয়। নবী করীম
(স) এভাবেই রুকু করতেন। কোন সমস্যায় বসে নামায আদায়ের সময় এতটুকু ঝুঁকতে হবে, যেন
কপাল হাঁটু বরাবর গিয়ে পৌঁছে।
৫. সিজদা করা। প্রতি রাকাআতে দু’টি করে সিজদা করা ফরয। কুরআন মজীদে এসেছেÑ
یٰأ َیُّھَا ٱل َّذِینَ آمَنُوا ْ ٱرْ كَعُوا ْ وَ ٱسْجُدُوا ْ
“হে ঈমানদারগণ! তোমরা রুকু এবং সিজদা কর।” (সূরা আল-হাজ্জ : ৭৭)
৬. শেষ বৈঠকে বসা। নামাযের শেষ রাকাআতের সিজদার পর ‘তাশাহহুদ’ পড়তে যতটুকু সময় লাগে,
ততটুকু সময় বসা ফরয।
৭. সালামের মাধ্যমে নামায শেষ করা। শেষ বৈঠকে তাশাহহুদ, দরুদ, দুআ মাসুরা পড়ার পর সালামের মাধ্যমে নামায শেষ করা ফরয। চার রাকাআত বিশিষ্ট ফরয নামাযের দু’রাকাআত এবং ওয়াজিব, সুন্নাত ও নফল নামাযের সব রাকাআতে কিরাআত পড়া ফরয। নামাযের ওয়াজিবসমূহ
নামাযের মধ্যে আরও কতিপয় কাজ অবশ্য করণীয়, যেগুলো ফরযের সমপর্যায়ের। এগুলো ভুলে ছুটে
গেলে সাহু সিজদা করলে পরে নামায সেরে যায়।
নামাযের ওয়াজিব মোট ১৪টি। নামাযের ওয়াজিব বলতে ঐসব অবশ্য করণীয় কাজকে বোঝায়,
যেগুলোর কোনো একটি ছুটে গেলে ‘সিজদায়ে সাহু’ দিলে নামায আদায় হয়ে যায়। ভুলবশত বা স্বেচ্ছায়
সিজদায়ে সাহু না করা হলে পুনরায় নামায আদায় করতে হবে। সিজদায়ে সাহুর নিয়ম হচ্ছে, শেষ
বৈঠকে তাশাহহুদ পড়ার পর ডান দিকে সালাম ফিরিয়ে আরো দু’টি সিজদা করা।
নামাযের ওয়াজিবসমূহ
১. সকল নামাযের প্রথম দু’রাকআতে সূরা ফাতিহা পড়া। অর্থাৎ ফরয নামাযের প্রথম দু’রাকাআতে এবং
বিতর, সুন্নাত ও নফল নামাযের প্রত্যেক রাকাআতে সূরা ফাতিহা পাঠ করা।
২. ফরয নামাযের প্রথম দু’রাকাআতে এবং ওয়াজিব, সুন্নাত ও নফল নামাযের সব রাকআতে সূরা
ফাতিহার পর অন্য যে কোন সূরা বা বড় এক আয়াত অথবা ছোট তিন আয়াত পড়া।
৩. প্রথমে সূরা ফাতিহা। তারপর অন্য সূরা পড়া। অন্য কোন সূরা পড়ার পর সূরা ফাতিহা পড়লে ওয়াজিব
আদায় হবে না। এজন্য সিজদায়ে সাহু দিতে হবে।
৪. ফরয নামাযের প্রথম দু’রাকাআতে এবং অন্যান্য নামাযের সব রাকাআতে (কিরআত) কুরআন পড়া
ওয়াজিব। যদি কেউ ভুলবশত চার রাকআত বিশিষ্ট ফরয নামাযের প্রথম দু’রাকাআতে কুরআন না
পড়ে শেষ দু’রাকাআতে পড়ে বা প্রথম দু’রাকাআতের এক রাকআতে এবং শেষ দু’রাকআতের এক
রাকআতে পড়ে তবে সাহু সিজদা আদায় করা ওয়াজিব।
৫. কিরাআত, রুকু ও সিজদার মধ্যে ক্রমধারা ঠিক রাখা। যেমনÑ প্রথমে কিরাআত পড়া, তারপর রুকু
করা এবং এরপর সিজদা করা কিন্তু রুকুর পূর্বে সিজদা করা যাবে না।
৬. রুকু থেকে সোজা হয়ে দাঁড়ানো।
৭. দু’সিজদার মাঝখানে সোজা হয়ে বসা।
৮. নামাযের ফরয তথা রুকু, সিজাদ, কাওমা ও জলসায় কমপক্ষে এক তাসবীহ পরিমাণ স্থির থাকা যাতে
শরীরের প্রতিটি অঙ্গ যথাস্থানে পৌঁছে যায়।
৯. তিন বা চার রাকাআত বিশিষ্ট নামাযে দু’রাকাআতের পর তাশাহহুদ (আত্তাহিয়্যাতু) পড়া বা পড়ার
পরিমাণ সময় বসা।
১০. প্রথম ও শেষ বৈঠকে তাশাহহুদ (আত্তাহিয়্যাতু) পড়া।
১১. যেসব নামাযে উচ্চঃস্বরে কুরআন পড়া হয় সে সব নামাযের প্রথম দু’রাকাআতে ইমামকে উচ্চঃস্বরে
কুরআন পড়া এবং যে সব নামাযে চুপেচুপে কুরআন পড়া হয়, সেসব নামাযের মধ্যে ইমাম ও একাকী
নামাযি চুপেচুপে কুরআন পড়া। অর্থাৎ ফজরের উভয় রাকআতে, মাগরিব ও ইশার প্রথম দু’রাকাআতে,
জুমুআ ও ঈদের নামাযে, তারাবীহ এবং মাগরিব ও ইশার শেষ রাকাআতগুলোতে চুপে চুপে কুরআন
পড়া।
১২. সালাম ফেরানো অর্থাৎ ‘আস্সালামু আলাইকুম’ বলে নামায শেষ করা।
১৩. বিতর নামাযে দু’আয়ে কুনুত পড়া এবং দু’আয়ে কুনুত পড়ার পূর্বে অতিরিক্ত তাকবীর বলা।
১৪. দু’ঈদের নামাযে অতিরিক্ত ছয়টি করে তাকবীর বলা। নামাযের ওয়াজিব বলতে ঐসব অবশ্য করণীয় কাজকে বোঝায়, যেগুলোর কোন একটি ছুটে গেলে ‘সিজদায়ে সাহু’ দিলে নামায আদায় হয়ে যায়।
 সঠিক উত্তরের পাশে টিক ( চিহ্ন দিন১. নামাযের আরকান মানেÑ
ক. নামাযের বাইরের অবশ্য করণীয় কাজসমূহ;
খ. নামাযের ভেতরের অবশ্য করণীয় কাজসমূহ;
গ. নামাযের স্তম্ভসমূহ;
ঘ. নামাযের ভেতরে ও বাইরের ফরযসমূহ।
২. দাঁড়িয়ে নামায পড়াক. ওয়াজিব; খ. মুস্তাহাব;
গ. নামাযের শর্ত; ঘ. নামাযের ভেতরের একটি ফরয।
৩. চার রাকাত বিশিষ্ট সুন্নাত ও নফল নামাযের কত রাকআতে সূরা ফাতেহা পড়া ওয়াজিব?
ক. প্রথম দুই রাকআতে; খ. সকল রাকআতে;
গ. শেষ দুই রাকআতে; ঘ. প্রথম এক রাকআতে।
৪. ফরয ও ওয়াজিব নামায দাঁড়িয়ে পড়াক. সর্বাবস্থায় ফরয; খ. কোন সমস্যা না থাকলে ফরয;
গ. শুধু ফরয নামায দাঁড়িয়ে পড়া ফরয; ঘ. শুধু ওয়াজিব নামায দাঁড়িয়ে পড়া ফরয।
৫. নামাযের ওয়াজিব ছেড়ে দিলে নামায কী নষ্ট হয়ে যায়?
ক. ইচ্ছাকৃতভাবে ছেড়ে দিলে নামায নষ্ট হয়ে যায়;
খ. ভুলবশত ছেড়ে দিলে নামায নষ্ট হয়ে যায়;
গ. ভুলবশত ছেড়ে দিলে সিজদা সাহু না করলে নামায নষ্ট হয়ে যায়;
ঘ. ক ও খ উভয় সঠিক উত্তর।
সংক্ষিপ্ত উত্তর-প্রশ্ন
১. নামাযের ফরয ক’টি এবং তা ক’ভাগে বিভক্ত? লিখুন।
২. নামাযের শর্তগুলো কী কী? লিখুন।
৩. নামাযের আরকান ক’টি? বর্ণনা করুন।
৪. শর্ত ও আরকানের মধ্যে পার্থক্য কী? লিখুন।
৫. নামাযের ওয়াজিব মানে কী? লিখুন।
৬. ভুলবশত নামাযের ওয়াজিব ছেড়ে দিলে কী করতে হয়? লিখুন।
বিশদ উত্তর-প্রশ্ন
১. নামাযের ফরযগুলো বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করুন।
২. নামাযের ওয়াজিবগুলো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করুন।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]