নামায ভঙ্গের কারণগুলো বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করুন। নামাযের মাকরূহগুলো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করুন।

> যেসব কারণে নামায নষ্ট হয়
এমন কতগুলো কাজ ও বিষয় রয়েছে যেগুলোর কারণে নামায নষ্ট হয়ে যায়। এগুলো মোট ১৪টি।
তাহলÑ
১. নামাযে কথা বলা। কথা কম হোক বা বেশি হোক, নামায নষ্ট হয়ে যায়। কথা বলার পাঁচটি অবস্থা হতে
পারে :
ক. প্রথম অবস্থা : কোনো লোকের সাথে কথা বলা অথবা কারো কথার জবাব দেয়া। নিজের
ভাষায় হোক, অন্য কোন ভাষায় অথবা স্বয়ং কুরআনের ভাষা থেকে চয়ন করা হোক-সকল
অবস্থায় নামায নষ্ট হয়ে যাবে। যেমন- ধরুন, ইয়াহইয়া নামক কোন ব্যক্তিকে কেউ
কুরআনের ভাষায় বললো الكتاب خذ یایحى অথবা মরিয়ম নামের কোন মেয়েকে বললোÑ
লাকের জিজ্ঞাসা ককেথপি বাথঅ یمریم اقنتى لربك واسجدى واركعى مع الرا كعین
تذھیون فأین বা কাউকে হুকুম করলো كتابك اقرأ অথবা কোন দুঃসংবাদ শুনে বললো
راجعون الیھ وانا اناللھ বা কারো হাঁচি শুনে বললো اللھ یرحمك অথবা কোন আজব
সংবাদ শুনে বললোÑ اللھ سبحن কিংবা কোন খুশীর খবর শুনে বললো للھ الحمد অথবা
কারো উপর নজর পড়লো এবং তাকে দেখলো, সে আজে-বাজে ও নিরর্থক কথা বলছে।
তখন বললো- یھدیك اللھ বা কাউকে সালাম করলো কিংবা সালামের জবাব দিল বা
নামাযের বাইরে কেউ দোয়া করলো এবং নামাযী আমীন বললো বা ‘ইয়া আল্লাহ’ শুনে جل
جلالھ বললো। নবী (স) এর নাম শুনে দরুদ পড়লো বা কোন মহিলার বাচ্চাকে পড়ে
যেতে দেখে কিছু বললোÑ মোটকথা যে কোনোভাবে কোনো লোকের সাথে কেউ কথা বললে
কিংবা জবাবে কিছু বললে নামায নষ্ট হয়ে যাবে।
খ. দ্বিতীয় অবস্থা : কোন পশুর দিকে দৃষ্টি দিয়ে কিছু বলা। যেমনÑ নামায পড়ার সময় নজর
পড়লো যে, মুরগী অথবা বিড়াল খাবার জিনিসের উপর মুখ দিচ্ছে, এখন তাকে তাড়াবার
জন্য কিছু বললে নামায নষ্ট হয়ে যাবে।
গ. তৃতীয় অবস্থা : নিজের থেকে মাতৃভাষায় অথবা আরবী ভাষায় কথা বললে নামায নষ্ট হয়ে যাবে।
ঘ. চতুর্থ অবস্থা : মাতৃভাষায় অথবা আরবী ভাষায় দোয়া ও যিকির করা। আর যদি কুরআন ও
হাদীসের দোয়া এবং যিকিরের মধ্যে থেকে কোন একটি হঠাৎ করে মুখ থেকে বেরিয়ে পড়ল,
তাহলে নামায নষ্ট হবে না।
ঙ. পঞ্চম অবস্থা : কেউ নামায পড়া অবস্থায় দেখলো যে, অন্য একজন কুরআন ভুল পড়ছে,
তখন লোকমা দিল (তা সে নামাযে ভুল পড়–ক অথবা নামাযের বাইরে পড়ুক) নামায নষ্ট হয়ে যাবে। তবে ভুল পাঠকারী যদি তার ইমাম হয়, তাহলে নামায নষ্ট হবে না। আর যদি মুক্তাদী
কুরআন দেখে লোকমা দেয় বা অন্য কারো নিকটে বিশুদ্ধ কুরআন শুনে আপন ইমামকে
লোকমা দেয় তাহলে তার নামায নষ্ট হয়ে যাবে। আর ইমাম যদি তার লোকমা গ্রহণ করে, তাহলে ইমামেরও নামায নষ্ট হয়ে যাবে।
কোন লোকের সাথে কথা বলা অথবা কারো কথার জবাব দেয়া নিজের ভাষায় হোক, অন্য কোন ভাষায় অথবা স্বয়ং কুরআনের ভাষা থেকে চয়ন করা হোক-সকল অবস্থায় নামায নষ্ট হয়ে যাবে।
২. কুরআন দেখে দেখে নামায পড়লে নামায নষ্ট হয়ে যাবে।
৩. নামাযের শর্তগুলোর মধ্যে কোন একটি যদি বাদ পড়ে বা নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে নামায ভঙ্গ হয়ে যাবে।
যেমনÑ অযুর প্রয়োজন ছিল কিন্তুঅযু করল না অথবা অযু নষ্ট হয়ে গেল।
৪. নামাযের ফরযসমূহের মধ্যে কোন একটি যদি ছুটে যায়। ভুলবশত ছুটে যাক অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে
ছেড়ে দেয়া হোক, নামায নষ্ট হয়ে যাবে। যেমনÑ কেউ নামাযে দাঁড়াল না অথবা রুকু সিজদা করল না
বা কিরাআত মোটেই পড়লো না, ভুলবশত এমন হোক বা ইচ্ছাকৃতভাবে হোক, নামায নষ্ট হয়ে যাবে।
৫. নামাযের কোন ওয়াজিব ইচ্ছাকৃতভাবে ছেড়ে দেওয়া হলে।
৬. নামাযের কোন ওয়াজিব ভুলক্রমে ছুটে গেলে এবং তার পরিবর্তে সিজদা সাহু না দিলে নামায নষ্ট হয়ে
যাবে।
৭. কোন সমস্যা ছাড়া এবং ন্যায়সঙ্গত প্রয়োজন ব্যতীত কাশি দেয়া। তবে যদি রোগের কারণে আপনা
আপনি কাশি এসে যায় অথবা গলা পরিষ্কার করার জন্য কাশি দেওয়া হয় বা ইমামকে তার ভুলের প্রতি
দৃষ্টি আকর্ষণ করার উদ্দেশে কাশি দেওয়া হয় যাতে ইমাম বুঝতে পারেÑ সে নামাযে ভুল করছে,
তাহলে এসব অবস্থায় নামায নষ্ট হবে না। এসব কারণ ছাড়া বিনা কারণে কাশি দিলে নামায নষ্ট হয়ে
যাবে।
৮. কোন দুঃখ, কষ্ট, শোক বা কঠিন বিপদে পড়ে আঃ উঃ শব্দ করলে অথবা আর্তনাদ করলে নামায নষ্ট
হয়ে যাবে। তবে ইচ্ছাকৃতভাবে যদি কখনো কোনো শব্দ মুখ থেকে বেরিয়ে আসে বা আল্লাহ্র ভয়ে
কেউ কেঁদে ফেলে বা কুরআন পাঠে অভিভ‚ত হয়ে কেঁদে ফেলে বা আঃ আঃ শব্দ বের করে তাহলে,
এসব অবস্থায় নামায নষ্ট হবে না।
৯. নামায অবস্থায় ইচ্ছাকৃত বা ভুলে যদি কেউ কিছু খেয়ে ফেলে অথবা পান করে, তাহলে নামায নষ্ট হয়ে
যাবে। হ্যাঁ যদি দাঁত থেকে ছোলার চেয়ে ছোট পরিমাণ কোন কিছু বের হওয়ার পর নামাযী তা খেয়ে
ফেলে তাহলে নামায নষ্ট হবে না। তবে ইচ্ছা করে এমন করা ঠিক নয়।
১০. কোন সমস্যা বা প্রয়োজন ছাড়া নামাযে কয়েক পা চলাফেরা করা। এতেও নামায নষ্ট হয়ে যাবে।
১১. নামাযের মধ্যে আমলে কাসীর করা। অর্থাৎ নামাযের মধ্যে এমন কাজ করা যা দেখলে লোক মনে
করবে যে সে ব্যক্তি নামায পড়ছে না। যেমন- কেউ দু’হাতে কাপড় ঠিক করছে অথবা কোন মেয়েলোক
নামাযের মধ্যে চুলের ঝুঁটি বাঁধছে অথবা নামায অবস্থায় বাচ্চাকে দুধ পান করাচ্ছে, তাহলে এসব
অবস্থায় নামায নষ্ট হয়ে যাবে।
১২. কুরআন তিলাওয়াতে এমন ভুল করা, যার দ্বারা অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়, তাহলে নামায নষ্ট হয়ে যাবে।
যেমনÑ اللھ نصر- এর পরিবর্তে نسراللھ পড়া (نصر অর্থ সাহায্য আর نسر অর্থ শকুন)।
১৩. প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি যদি নামাযের মধ্যে অট্টহাসি দেয়, তাহলে নামায নষ্ট হয়ে যাবে।
১৪. দেয়ালের কোন লেখা অথবা পোস্টার অথবা চিঠির উপর চোখ পড়ার পর তা পড়ে ফেললে নামায নষ্ট
হয়ে যাবে। কিন্তু না পড়ে শুধু মনে মনে অর্থ অনুধাবন করলে নামায নষ্ট হবে না।
১৫. নামাযের মধ্যে পুরুষের কাছে কোন মেয়েলোক (যার সঙ্গে বিয়ে হতে পারে) এক সিজদা অথবা এক
রুকু পরিমাণ সময় পর্যন্তদাঁড়িয়ে থাকলে নামায নষ্ট হয়ে যাবে। তবে যদি কোন অল্প বয়স্ক বালিকা
দাঁড়ায় এবং তার প্রতি কোন যৌন আকর্ষণ সৃষ্টি না হয় বা প্রাপ্তবয়স্কা মেয়েলোকই দাঁড়ালো কিন্তু
উভয়ের মাঝখানে পর্দা থাকলে তাহলে নামায নষ্ট হবে না।
যে সব কারণে নামায মকরূহ হয়
এমন কতগুলো কাজ আছে যে গুলোর দ্বারা নামায নষ্ট হয় না তবে মাকরূহ তথা ত্রæটিপূর্ণ হয়ে পড়ে, এসব কাজ থেকে বিরত থাকা উচিত।
নামাযের মাকরূহ কাজ ২৭টি
১. প্রচলিত নিয়মের পরিপন্থী কাপড় পরিধান করা। যেমন: কেউ মাথার উপর চাদর দিয়ে দু’দিকে ঝুলিয়ে
রাখল অথবা জামার হাতায় হাত না ঢুকিয়ে কাঁধের উপর রেখে দিল বা মাফলার প্রভৃতি গলায় দিয়ে
দু’দিকে ঝুলিয়ে রাখলো।
২. ধুলাবালি থেকে ম্ক্তু রাখার জন্যে কাপড় গুটিয়ে নেয়া বা হাত দ্বারা ধুলা ঝেড়ে ফেলা, অথবা সিজদার জায়গা থেকে ধুলাবালি সরিয়ে দেয়ার জন্য বার বার ফুঁ দেয়া অথবা হাত ব্যবহার করা।
নামাযের ফরযসমূহের মধ্যে কোন একটি যদি ছুটে যায়, ভুল বশত ছুটে যাক অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে ছেড়ে দেয়া হোক, নামায নষ্ট হয়ে যাবে।
৩. পরনের কাপড়, বোতাম, দাড়ি, মাথার চুল অথবা অন্য কিছু বার বার ঠিক করা বা মুখে আঙ্গুল দেওয়া
অথবা হাতের আঙ্গুল মটকানো অথবা বিনা কারণে গা চুলকানো।
৪. এমন মামুলি পোশাক পরিধান করে নামায পড়া যা পরিধান করে সাধারণত লোক হাট-বাজার বা কোন
অনুষ্ঠানে যাওয়া পছন্দ করে না। যেমন- বাচ্চাদের টুপি মাথায় দিয়ে নামায আদায় করা। মসজিদে
তালের আঁশ বা অন্য কোন কিছু দ্বারা তৈরি টুপি পরে নামায আদায় করা অথচ এসব মাথায় দিয়ে কেউ
কোন মাহফিলে যোগদান করা পছন্দ করে না। এক কথায় এসব বিষয় অবহেলা প্রদর্শন করার শামিল।
৫. অলসতা করে অথবা প্রয়োজন নেই মনে করে খালি মাথায় নামায পড়া মাকরূহ। তবে নিজ বাড়িতে
বিনা টুপিতে নামায পড়লে মাকরূহ হবে না। কিন্তু মসজিদে ভালো পোশাকে নামায আদায় করা উত্তম।
৬. পেশাব-পায়খানা অথবা বায়ু-নিঃসরণের প্রয়োজন দেখা দিলে তা পূরণ না করে নামায আদায় করা।
৭. পুরুষদের জন্য মাথার চুল বেঁধে নামায আদায় করা।
৮. নামাযের মধ্যে হাতের আঙ্গুল ফুটানো অথবা এক হাতের আঙ্গুলগুলো অন্য হাতের আঙ্গুলের মধ্যে ঢুকানো।
৯. নামাযের মধ্যে কোমরে হাত রেখে দাঁড়ানো।
১০. কেবলার দিকে মুখ করে বাঁকা চোখে বিনা কারণে এদিক ওদিক তাকানো।
১১. সিজদা করার সময় দু’হাত কনুই পর্যন্তমাটিতে বিছিয়ে দেয়া।
১২. এমন লোকের দিকে মুখ করে নামায পড়া যে নামাযীর দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে বা বসে আছে।
১৩. ইমাম মিহরাবের সম্পূর্ণ ভেতরে দাঁড়ানো। তবে যদি পা মিহরাবের বাইরে থাকে এবং সিজদা প্রভৃতি
ভেতরে হয় তাহলে সমস্যা নেই।
১৪. নামাযের মধ্যে হাই তোলা ঠেকাতে সক্ষম হলে তা না ঠেকানো অথবা ইচ্ছা করে হাই তোলা।
১৫. এমন কাপড় পরে নামায আদায় করা যার মধ্যে কোন প্রাণীর ছবি রয়েছে বা এমন জায়নামাযে নামায
পড়া যার মধ্যে সিজদার জায়গায় কোন প্রাণীর ছবি রয়েছে বা এমন স্থানে নামায পড়া যেখানে মাথার উপর অথবা ডানে-বামে ছবি রয়েছে।
১৬. সামনের কাতারে জায়গা থাকা সত্তে¡ও পেছনে একাকী দাঁড়িয়ে নামায আদায় করা।
১৭. নামাযের মধ্যে হাত অথবা মাথার ইঙ্গিতে কাউকে সালাম করা।
১৮. চোখ বন্ধ করে নামায আদায় করা। তবে নামাযে একাগ্রতা এবং বিনয়-নম্রতার মনোভাব সৃষ্টি করার
জন্য চোখ বন্ধ করে নামায পড়া মাকরূহ হবে না, বরঞ্চ তা করা উত্তম।
১৯. শুধু কপালে অথবা শুধু নাক মাটিতে রেখে সিজদা করা অথবা পাগড়ির উপর সিজদা করা।
২০. বিনা কারণে নামাযের মধ্যে চার জানু হয়ে বসা এবং হাঁটুর সাথে পেট ও বুক লাগিয়ে বসা।
২১. কোন কারণ ছাড়া শুধু ইমামের জন্য উঁচু জায়গায় দাঁড়ানো। তবে কিছু মুক্তাদি যদি তার সাথে থাকে
তাহলে দোষ নেই। এমনিভাবে বিনা কারণে মুক্তাদিদেরও উঁচু স্থানে দাঁড়ানো মাকরূহ।
২২. কিয়াম অবস্থায় কিরাআত পুরা না করে রুকুতে চলে যাওয়া এবং রুকু অবস্থায় কিরাআত শেষ করা।
২৩. ফরয নামাযে কুরআনের সূরা বা আয়াতের ধারা বজায় না রেখে কিরাআত পড়া। যেমন- প্রথম
রাকাআতে সূরা ইখলাস পড়া এবং দ্বিতীয় রাকাআতে সূরা লাহাব পড়া অথবা মাঝখানে কোনো তিন
আয়াত বিশিষ্ট সূরা বাদ দিয়ে তার পরের সূরা পড়া। যেমনÑ প্রথম রাকাআতে সূরা মাউন পড়ে দ্বিতীয়
রাকাআতে সূরা কাফিরুন পড়া এবং মাঝখানের সূরা কাওসার ছেড়ে দেয়া, যা তিন আয়াতের সূরা।
এমনিভাবে এক সূরার কিছু আয়াত প্রথম রাকাআতে পড়া এবং তারপর দু’আয়াত বাদ দিয়ে সামনে
থেকে কিছু আয়াত দ্বিতীয় রাকআতে পড়াও মাকরূহ। এভাবে এক রাকআতে এমনভাবে দুটি সূরা পড়া
মাকরূহ যে তার মাঝখানে এক সূরা বা একাধিক ছোট কিংবা বড় সূরা বাদ থাকে। অথবা প্রথম
রাকাআত থেকে দ্বিতীয় রাকআতে লম্বা কিরাআত করা অথবা নামাযে পড়ার জন্য কোন সূরা নির্দিষ্ট
করে নেয়া এবং তা সব সময় পড়া। ভুলবশত ক্রমের খেলাপ হলে দোষ নেই।
২৪. সিজদার সময় দু’পা মাটি থেকে উপরে উঠানো।
২৫. নামাযের মধ্যে আয়াত, সূরা অথবা তাসবীহ আঙ্গুল দিয়ে গণনা করা।
২৬. নামাযের মধ্যে গা মোড়ানো বা অলসতা প্রদর্শন করা।
২৭. মুখে কিছু রেখে নামায আদায় করা, যাতে কিরাআত পড়তে অসুবিধা হয়। অসুবিধা না হলে মাকরূহ প্রচলিত নিয়মের পরিপন্থী কাপড় পরিধান করা। পুরুষদের জন্য মাথার
চুল বেঁধে নামায আদায় করা। অলসতা করে অথবা প্রয়োজন নেই মনে করে
খালি মাথায় নামায পড়া মাকরূহ। কিয়াম অবস্থায় কিরাআত পুরা না করে রুকুতে চলে যাওয়া এবং রুকু অবস্থায় কিরাআত শেষ করা মাকরূহ।
 সঠিক উত্তরের পাশে টিক ( চিহ্ন দিন১. নামাযের মধ্যে কথা বললে সে কথাক. আরবিতে হলে নামায নষ্ট হবে না;
খ. কম হলে নামায নষ্ট হবে না;
গ. শুধু বেশি কথা হলে নামায নষ্ট হবে;
ঘ. সর্বাবস্থায় নামায ভঙ্গ হয়ে যাবে।
২. নামাযের কোন ওয়াজিব কাজ ছেড়ে দিলে নামায কখন নষ্ট হয়ে যাবে?
ক. ইচ্ছাকৃতভাবে ছেড়ে দিলে;
খ. অনিচ্ছাকৃতভাবে ছেড়ে দিলে এবং সাহু-সিজদা করলে;
গ. ভুলক্রমে ছেড়ে দিলে এবং পরবর্তীতে সাহু সিজদা না করলে;
ঘ. ক ও খ উভয়টি ঠিক।
৩. প্রাণীর ছবি বিশিষ্ট কাপড় পরে নামায পড়লেÑ
ক. নামায ভঙ্গ হয়ে যাবে;
খ. নামায মাকরূহ হবে;
গ. কিছুই হবে না;
ঘ. শিরক হবে।
৪. সিজদার সময় দু’পা মাটি থেকে উপরে উঠানোÑ
ক. হারাম;
খ. মাকরূহ;
গ. নামায ভঙ্গের কারণ;
ঘ. কোনো দোষ নেই।
৫. মুখে কিছু রেখে নামায পড়াÑ
ক. সর্বাবস্থায় মাকরূহ;
খ. কিরাআত পড়তে অসুবিধা হলে মাকরূহ;
গ. কিরাআত পড়তে অসুবিধা না হলে মুস্তাহাব;
ঘ. নামায ভঙ্গের কারণ।
সংক্ষিপ্ত উত্তরÑপ্রশ্ন
১. নামাযে কথা বলার পাঁচটি অবস্থা রয়েছে। এতে কি নামায নষ্ট হয়ে যাবে? লিখুন।
২. নামায ভঙ্গের দশটি কারণ লিখুন।
৩. নামাযের মাকরূহসমূহ থেকে ১৫টি কারণ উল্লেখ করুন।
৪. ওয়াজিব ছেড়ে দিলে নামায কী নষ্ট হয়ে যায়? বর্ণনা দিন।
বিশদ উত্তরÑপ্রশ্ন
১. নামায ভঙ্গের কারণগুলো বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করুন।
২. নামাযের মাকরূহগুলো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করুন।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]