ঈদুল ফিতর ,ঈদুল আযহা সম্পর্কে বিশদ আলোচনা জানাযার নামায-এর বিধান, জানাযা কাঁধে বহন এবং দাফন সম্পর্কে সবিস্তারে লিপিবদ্ধ করুন।

জুমুআর নামাযের বিবরণ
জুমুআ একটি আরবি শব্দ। এর অর্থ একত্রিত হওয়া, জমায়েত হওয়া। সপ্তাহের নির্ধারিত দিন শুক্রবারে
প্রাপ্তবয়স্ক সকল-মুসলমান নির্দিষ্ট সময়ে মসজিদে জমায়েত হয়ে জামাআতের সঙ্গে যুহরের নামাযের
পরিবর্তে জুমুআর নামায ফরয হিসেবে আদায় করে, তাই এ নামাযকে ‘জুমুআর নামায’ বলা হয়। পাঁচ
ওয়াক্ত নামাযের মত জুমুআর নামাযের ব্যাপারেও কুরআনে নির্দেশ এসেছেÑ
یٰأ َیُّھَا ٱل َّذِینَ آمَ نُوۤ ا ْ إ ِذَانُودِىَ لِلصَّلاَةِ مِن یَوْ مِ ٱلْجُمُع َةِ فَٱسْع َوْ ا ْ إ ِل َىٰ ذِكْرِ ٱلل َّھِ
وَ ذَرُ وا ْ ٱلْبَیْعَ
“হে মুমিনগণ! জুমুআর দিন যখন আযান দেওয়া হয় তখন তোমরা আল্লাহ্র স্মরণে এগিয়ে আস এবং
ব্যবসায়-বাণিজ্য ত্যাগ কর।” (সূরা আল-জুমুআ : ৯)
পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের মত জুমুআর নামায আদায় করাও সমষ্টিগত ফরয আইন ও অপরিহার্য কর্তব্য। এর
অপরিহার্যতা অস্বীকারকারী কাফির হিসেবে পরিগণিত হবে।
জুমুআর নামাযের দিন প্রথমে কাবলাল জুমুআ (الجمعة قبل (চার রাকআত তারপর জুমুআর দুই
রাকাত। অতপর বাদাল মুজুআ চার রাকাআতসহ সর্বমোট দশ রাকাআত নামায পড়তে হয়। প্রথম চার
রাকাআত সুন্নাত, শেষ চার রাকাআতও সুন্নাত এবং মাঝের দু’রাকাআত ফরয।
জুমুআর নামায ফরয হওয়ার শর্তসমূহ
১. মুসলমান, প্রাপ্তবয়স্ক ও বোধসম্পন্ন হতে হবে। অমুসলিম, অপ্রাপ্তবয়স্ক ও পাগলের উপর জুমুআর নামায ফরয নয়।
২. সুস্থ হতে হবে। কারণ অসুস্থ, অন্ধ, শারীরিকভাবে অক্ষম এবং অচল বয়োবৃদ্ধ লোকদের উপর জুমুআর
নামায ফরয নয়। তারা যুহরের নামায পড়লেই চলবে।
৩. মুকীম (নিজ বাড়িতে অবস্থানকারী) হতে হবে। মুসাফিরের জন্য জুমুআর নামায ফরয নয়।
৪. পুরুষ হতে হবে। কারণ, মহিলাদের উপর জুমুআ ফরয নয়। তবে তারা ইচ্ছা করলে পড়তে পারেন
আর তখন যুহর-এর নামায পড়তে হবে না।
৫. মুক্ত ও স্বাধীন হতে হবে। ক্রীতদাসের উপর জুমুআর নামায ফরয নয়।
৬. সম্পূর্ণ বাধামুক্ত হতে হবে। অর্থাৎ এমন কোন বাধা-বিপত্তি না থাকা, যার কারণে জামাআত ছাড়াও
নামায আদায় করা বৈধ। যেমন: শত্রæ কর্তৃক আক্রান্তহবার আশঙ্কা, মুমূর্ষু রোগীর সেবায় নিয়োজিত
থাকা এবং মুষলধারে বৃষ্টি হওয়া ইত্যাদি।
জুমুআর নামায বিশুদ্ধ হওয়ার শর্তসমূহ
জুমুআর নামায বিশুদ্ধ হওয়ার শর্তাবলি নিম্নরূপ :
১. স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র হওয়া
২. শহর বা এমন গ্রাম হওয়া যেখানে শহরের সকল সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়।
৩. মুসলিম শাসক বা তার প্রতিনিধি জুমুআর নামাযে উপস্থিত থাকা। বর্তমানে ইমাম সাহেবকে প্রতিনিধি
ধরে নেওয়া হয়।
৪. যুহরের নামাযের সময় হওয়া। যুহরের ওয়াক্তের আগে বা পরে জুমুআর নামায পড়া বৈধ হবে না।
উল্লেখ্য যে, জুমুআর নামাযের কোন কাযা নেই। কোন কারণবশত কেউ জুমুআর নামায পড়তে না
পারলে সে যুহরের নামায পড়বে।
৫. খুতবা প্রদান করা। নামাযের পূর্বে মুসুল্লীদের সামনে দাঁড়িয়ে ইমাম সাহেব খুতবা প্রদান করবেন। যদি
খুতবা ছাড়া নামায আদায় করা হয় অথবা নামাযের পর খুতবা দেওয়া হয় তবে জুমুআর নামায আদায়
হবে না। জুমুআর ফরয আরম্ভ করার পূর্বে মুয়াযযিনের আযানের পর ইমাম দু’টি খুতবা দিবেন।
৬. জামাআতের সঙ্গে জুমুআ আদায় করা। অর্থাৎ ইমাম ছাড়া অন্তত তিনজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ খুতবার শুরু
থেকে উপস্থিত থাকবে এবং জামাআতের সঙ্গে নামায পড়বে।
ঈদের নামায
ঈদ (عید (শব্দটি ‘আওদ’ (عودথেে (ক উদ্ভূত। عود অর্থ ফিরে আসা, বার বার আসা। ঈদ-এর অর্থ
আনন্দ, খুশি, আমোদ, আহলাদ, উৎসব ইত্যাদি। মুসলমানদের জাতীয় জীবনে ঈদ বারবার ফিরে
আসে। তাই ঈদকে ঈদ বরা হয়। বছরের দু’টি বিশেষ উৎসবকে ইসলামী শরীআতের পরিভাষায় ঈদ
বলা হয়। এর একটি ঈদুল ফিতর এবং অন্যটি ঈদুল আযহা।
ঈদুল ফিতর
ঈদুল ফিতর আরবী শব্দ। অর্থ হলো উপবাস ভঙ্গকরণজনিত খুশি ও আনন্দ। রমযানের সুদীর্ঘ একটি
মাস আল্লাহ্র নির্দেশ পালনার্থে রোযা পালন করার পর বিশ্ব-মুসলিম এই দিনটিকে রোযা ভঙ্গ করে
স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসে আনন্দোৎসব করে বলে এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘ঈদুল ফিতর’।
রমযান মাসের শেষে শাওয়ালের প্রথম দিন মুসলিম উম্মাহ ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঈদগাহে অথবা
মসজিদে সমবেত হয়ে জামাআতের সঙ্গে যে দু’রাকাআত নামায আদায় করে তাই ঈদুল ফিতরের
নামায। এই দু’রাকাআত নামায আদায় করা ওয়াজিব।
ঈদুল ফিতরের সুন্নাত কাজসমূহ
১. খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠা।
২. মিসওয়াক করে দাঁত-মুখ পরিষ্কার করা।
৩. নামাযের পূর্বে গোসল করে পবিত্র ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হওয়া।
৪. শরীরে ও কাপড়ে সুগন্ধি ব্যবহার করা।
৫. চোখে সুরমা লাগানো।
৬. পবিত্র ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন উত্তম পোশাক পরা।
৭. ফজর নামাযের পরে যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি ঈদগাহে যাওয়া।
৮. সামর্থ্য অনুযায়ী ভালো খাবারের ব্যবস্থা করা ও প্রতিবেশী ইয়াতীম-মিসকীন, গরীব-দুঃখীকে পানাহার করানো।
৯. ঈদগাহে যাওয়ার আগে মিষ্টি জাতীয় কোন খাবার খাওয়া।
১০. ঈদের মাঠে যাবার পূর্বে সদকায়ে ফিতর আদায় করা।
১১. যে পথে ঈদগাহে যাওয়া হয়, নামায শেষে সে পথে না ফিরে অন্য পথে ফেরা।
১২. যথাসম্ভব পায়ে হেঁটে ঈদগাহে গমন করা।
১৩. ঈদের নামায মসজিদে আদায় না করে যথাসম্ভব খোলা ঈদগাহে বা মাঠে আদায় করা।
১৪. ঈদগাহে যাবার পথে নিম্নের তাকবীর নিম্নস্বরে পড়তে পড়তে যাওয়া।
اللھ اكبر اللھ اكبر لا الھ الا اللھ اكبر اللھ اكبر وللھ الحمد
ঈদুল ফিতরের নামায আদায়ের বিবরণ
পবিত্র রমযানের সুদীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনা শেষে শাওয়াল মাসের প্রথম তারিখ ঈদুল ফিতরের দুই
রাকআত নামায আদায় করতে হয়। দুই রাকাআত নামায জামাআতের সাথে আদায় করা ওয়াজিব।
নির্দিষ্ট ময়দানে বা কোন সমস্যার কারণে মসজিদে মুসলমানদের সমবেতভাবে এ নামায পড়তে হয়।
ঈদের নামাযের জন্য আযান ও ইকামতের কোন বিধান নেই। যিকর, তাকবীর, দোয়া-দরূদ পড়ার পর
নির্ধারিত সময়ে সবাই কাতারবদ্ধ হয়ে ইমামের পেছনে দাঁড়িয়ে নিয়্যাত করবে। নিয়্যাত করার পর
তাকবীরে তাহরীমা (اكبر اللھ (বলার সঙ্গে সঙ্গে হাত বেঁধে সানা (সোবহানাকা.....) পড়বে।
ইসলামিক স্টাডিজ-২ ঃ আল-কালাম ও আল-ফিক্হ বিএ/বিএসএস প্রোগ্রাম
ইউনিট-৯ : সালাত পৃষ্ঠা # ২৪৫
এরপর ইমাম সাহেব উচ্চঃস্বরে পরপর তিনবার তাকবীর বলবে, প্রত্যেকবার আঙ্গুলী কান পর্যন্তউঠাবে।
মুক্তাদীগণও ইমামের অনুসরণ করবে। প্রথম দু’তাকবীরে হাত ছেড়ে দেবে, কিন্তু তৃতীয় তাকবীরের পর
হাত নাভীর নিচে বাঁধবে। এরপর উচ্চঃস্বরে ইমাম সূরা ফাতিহা ও একটি সূরা বা সূরার অংশ পড়বে।
তারপর অন্যান্য নামাযের ন্যায় রুকু-সিজদা সমাপনান্তেদ্বিতীয় রাকআতের জন্য দাঁড়াবে। দ্বিতীয়
রাকআতে উঠেই সূরা ফাতিহা এবং অন্য একটি সূরা বা আয়াত মিলাবে। এরপর রুকুতে যাওয়ার আগে
অতিরিক্ত তিন তাকবীর পূর্বের রাকআতের মতই আদায় করে চতুর্থ তাকবীর দিয়ে রুকুতে যাবে।
অতঃপর সিজদা করার পর অন্যান্য নামাযের মতই নামায সমাপন করবে। মুক্তাদীগণ কিরাআত না
পড়ে শুধু শুনবে এবং অন্যান্য কাজেও ইমাম সাহেবকে অনুসরণ করবে।
ঈদুল আযহা
ঈদুল আযহা অর্থাৎ কুরবানীর ঈদ বা উৎসব। বিশ্ব-মুসলিম পরম ত্যাগের নিদর্শনস্বরূপ যিলহজ্জ মাসের
দশ তারিখ, পশু যবেহের মাধ্যমে কুরবানীর যে আনন্দ-উৎসব পালন করে থাকে তা-ই ঈদুল আযহা।
বস্তুত, হযরত ইবরাহীম (আ.) মহান আল্লাহ্র নির্দেশ পালন করতে গিয়ে তাঁর একমাত্র প্রিয় পুত্র হযরত
ইসমাঈল (আ.)-কে কুরবানী করার মতো যে ঐতিহাসিক দৃষ্টান্তস্থাপন করে গেছেন, সে সুন্নাত
পালনার্থে মুসলিম জাতি আজও কুরবানী করে থাকে। যিলহজ্জ মাসের দশ তারিখে বিশ্ব-মুসলিম
ঈদগাহে জমায়েত হয়ে দুই রাকাআত ঈদুল আযহার ওয়াজিব নামায আদায় করে। ঈদুল ফিতরের
নামাযের নিয়মে ঈদুল আযহার নামায আদায় করতে হয়। কেবলমাত্র নিয়্যাত করার সময় ঈদুল ফিতর
(الفطر عید-(এর স্থলে ঈদুল আযহা (الاضحى عید-(এর উল্লেখ করতে হয়।
ঈদুল ফিতরের ক্ষেত্রে যেসব সুন্নাতের বিবরণ উপরে দেয়া হয়েছে, ঈদুল আযহার দিনও সেগুলো পালন
করা কর্তব্য। তবে, আরও কয়েকটি বিষয় পালন করতে হয়Ñ
১. উচ্চঃস্বরে তাকবীরে তাশরীক পাঠ করা।
২ দুপুর পর্যন্তঅন্য কোন খাবার গ্রহণ না করে শুধু কুরবানীর গোশত দিয়ে আহার করা।
৩. তাড়াতাড়ি ঈদের নামায আদায় করে কুরবানীর কাজ সমাধা করা।
৪. সামর্থ্যবান ব্যক্তিরাই কুরবানী করবে।
৫. ঈদুল আযহার পূর্বে ৯ যিলহজ্জ-এর ফজর হতে ১৩ যিলহজ্জ-এর আসর পর্যন্তপ্রত্যেক ফরয নামায
পড়ার পর উচ্চঃস্বরে তাকবীরে তাশরীক পড়া।
৬. ঈদুল আযহার নামায কোন সমস্যার কারণে ১০ তারিখে পড়তে না পারলে ১১ কিংবা ১২ তারিখেও
পড়া যায়।
৭. ঈদুল ফিতরের খুতবায় সাদকায়ে ফিতর সম্পর্কে এবং ঈদুল আযহার খুতবায় কুরবানীর বিভিন্ন মাসআলা সম্পর্কে বর্ণনা থাকবে।
জানাযার নামায
মূলত জানাযার নামায হচ্ছে আল্লাহ্ তা’আলার দরবারে মৃত ব্যক্তির জন্য দুআ করা। আত্মীয়পরিজনসহ এলাকাবাসী সমবেত হয়ে তাঁর জন্য দুআ করলে আল্লাহ্র দরবারে কবুল হওয়ার সম্ভাবনা
রয়েছে। জানাযার নামাযে বেশি লোক একত্রিত হওয়া ভালো। তবে বেশি লোক সমাগমের জন্য
জানাযার নামায পড়তে দেরি করা অনুচিত। এ নামায ফরযে কিফায়া। মুসলমানদের পক্ষ থেকে যে
কেউ পড়লেই-এর ফরয আদায় করা যাবে।
জানাযার নামাযের বিধান
জানাযা নামাযের ফরয দুটিÑ (১) চারবার আল্লাহু আকবার বলা। জানাযার নামাযে রুকু ও সিজদা
করতে হয় না। (২) জানাযার নামায দাঁড়িয়ে আদায় করতে হয়। ওজর ব্যতীত বসে বসে জানাযার নামায পড়া বৈধ নয়।
জানাযা নামাযের সুন্নাত
জানাযা নামাযের সুন্নাত তিনটি। যথাÑ (১) আল্লাহ্র হামদ ও সানা পড়া (প্রশংসা করা) (২) নবী
করীম (স.) এর উপর দরূদ পড়া (৩) মৃত ব্যক্তির জন্য দুআ করা।
জানাযা নামায পড়ার পদ্ধতি
জানাযা নামায পড়ার জন্য কমপক্ষে তিন কাতার করা সুন্নাত। এর চেয়ে বেশি কাতার করাও বৈধ।
তবে কাতার বিজোড় হওয়া উচিত। মৃতকে কিবলার দিকে রেখে তার বুক বরাবর ইমাম দাঁড়াবেন।
অতঃপর ইমাম ও মুক্তাদী এ বলে নিয়্যাত করবে, ‘আমি ফরযে কিফায়া হিসেবে চার তাকবীরের সঙ্গে
কিবলামুখী হয়ে জানাযার নামায আদায় করছি।
এসএসএইচএল বাংলাদেশ উš§ুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
ইউনিট-৯ : সালাত পৃষ্ঠা # ২৪৬
মৃত ব্যক্তি মহিলা হলে তা উল্লেখ করতে হবে। এরপর উচ্চঃস্বরে (اكبر اللھ (বলে দু’হাত কান পর্যন্ত
উঠিয়ে অন্যান্য নামাযের ন্যায় হাত বেঁধে নিম্নের দুআ পড়তে হবে :
سبحنك اللھم وبحمدك وتبارك اسمك وتعالى جدك وجل ثنائك ولا الھ
غیرك
সানা পড়ার পর পুনরায় হাত না উঠিয়ে তাকবীর বলে দরূদ পড়তে হবে।
এরপর তাকবীর বলে মৃতের জন্য দুআ করতে হবে। মৃত প্রাপ্তবয়স্ক হলে এ দুআ পড়তে হবেÑ
اللھم اغفر لحینا ومیتنا وشاھدنا وغائبنا وصغیرنا وكبیرنا وذكرنا وأنثانا اللھم من
احییتھ منا فأحیھ على الاسلام ومن توفیتھ منا فتوفاه على الایمان برحمتك یا أرحم
الرحمین.
মৃত অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলে হলে নিম্নের দুআ পড়তে হবেÑ
اللھم اجعلھ لنا فرطا واجعلھ لنا أجرا وذخرا واجعلھ لنا شافعا ومشفعا.
মৃত অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে হলে পড়তে হবেÑ
اللھم اجعلھا لنا فرطا واجعلھا لنا أجرا وذخرا واجعلھا لنا شافعة ومشفعة.
উপরের দুআ কারো জানা না থাকলে তারা বলবে :
اللھم اغفر للمؤ منین و المؤمنات
এও বলতে না পারলে, কেবল চার তাকবীর বললেও নামায হয়ে যাবে। তারপর চতুর্থ তাকবীর বলে
ইমাম ডানে ও বামে সালাম ফেরাবে, সাথে সাথে মুক্তাদীগণও সালাম ফেরাবে। উল্লেখ্য যে, সকল
তাকবীরের সময় হাত বাঁধা থাকবে, শুধু মুখে তাকবীর বলবে।
জানাযা কাঁধে নেয়ার পদ্ধতি
জানাযা কাঁধে উঠিয়ে চলার সময় মুস্তাহাব পদ্ধতি হলো সামনের পায়া ডান কাঁধে নিয়ে দশ কদম চলতে
হয়। প্রত্যেককে দশ কদম পরপর পায়া বদল করতে হয়। এমনিভাবে যেতে হয় চল্লিশ কদম। হাদীসে
বর্ণিত হয়েছে, যে ব্যক্তি জানাযা কাঁধে করে চল্লিশ কদম যাবে, তার চল্লিশটি গুনাহ্ মাফ করে দেয়া হবে।
মৃতকে দাফন
১. মৃতকে দাফন করাও ফরযে কিফায়া।
২. কবরের দৈর্ঘ্য হবে মৃতের উচ্চতার সমান, গভীরতা তার অর্ধেক, প্রস্থ হবে দুই হাত, যাতে মৃতকে রাখা যায়।
৩. মৃতকে কবরে নামানোর পূর্বে তাকে কবরের কিবলার দিকে রাখতে হয়। যারা নামবে, তাদের
কিবলামুখী হতে হবে। মৃতের মাথা উত্তর দিকে এবং পা দক্ষিণ দিকে থাকবে।
৪. কবরে নামার সময় اللھ رسول ملة وعلى اللھ بسم বলা মুস্তাহাব।
৫. মৃতকে কবরে রেখে ডান কাত করে কিবলামুখী করে দেয়া সুন্নাত।
৬. মহিলা হলে পর্দার সাথে নামানো মুস্তাহাব। শরীর খুলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলে পর্দা করা ওয়াজিব।
৭. কবরে মাথার দিক থেকে মাটি দেয়া মুস্তাহাব। কবরে দুই হাতে মাটি রাখতে হয়। প্রথমবার বলতে হয়
خلقنكم منھا দ্বিতীয়বার বলতে হয় نعیدكم وفیھا এবং তৃতীয়বার বলতে হয় نخرجكم ومنھا
تارة أخرى
৮. দাফনের পর কিছুক্ষণ কবরের পাশে থেকে মৃতের জন্য দুআ করা মুস্তাহাব।
৯. মাটি দেয়ার পর কবরে পানি ছিটানো মুস্তাহাব, যাতে মাটি বসে যায়।
১০. একটি কবরে একজন মৃতকেই দাফন করা উচিত। তবে প্রয়োজনে একাধিকও দাফন করা যেতে পারে।
১১. সৌন্দর্যের জন্য কবরের উপরে দালান-কোঠা, গম্বুজ, মিনার ইত্যাদি তৈরি করা নিষিদ্ধ।
১২. সমুদ্র ভ্রমণে কারো মৃত্যু হলো সেখান থেকে স্থলভ‚মি এত দূরে যে, পৌঁছতে পৌঁছতে লাশ বিকৃত
হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমতাবস্থায় গোসল ও জানাযার পর লাশ সমুদ্রে ছেড়ে দিতে হবে। স্থলভ‚মি
কবরের দৈর্ঘ্য হবে মৃতের উচ্চতার সমান, গভীরতা তার অর্ধেক, প্রস্থ হবে দুই হাত, যাতে মৃতকে রাখা যায়। মৃতকে কবরে রেখে ডান কাত করে কিবলামুখী করে দেয়া সুন্নাত। সৌন্দর্যের জন্য কবরের উপরে দালান- কোঠা, গম্বুজ, মিনারা ইত্যাদি তৈরি করা নিষিদ্ধ।
কাছে হলে কবর দেয়াই উচিত।
 সঠিক উত্তরের পাশে টিক ( চিহ্ন দিন১. জুমুআর নামায পড়াÑ
ক. ফরয; খ. ওয়াজিব;
গ. সুন্নাত; ঘ. জুমুআ না পড়ে যুহর পড়াটাই উত্তম।
২. জুমুআর নামায জামআতে পড়াÑ
ক. আবশ্যক; খ. সুন্নাত;
গ. ওয়াজিব; ঘ. একাকীও পড়া যায়।
৩. ঈদের নামায কোথায় পড়তে হয়?
ক. শুধু খোলা ময়দানে; খ. কখনও কখনও থাকার ঘরে;
গ. মসজিদের বারান্দায়; ঘ. খোলা ময়দানে, প্রয়োজনে মসজিদে।
৪. কোন ঈদের নামায কোন মাসের কত তারিখে পড়া হয়?
ক. ঈদুল ফিতর যিলহাজ্জ মাসে, ঈদুল আযহা শাওয়াল মাসে;
খ. ঈদুল আযহা যিলহাজ্জের ৯ তারিখে, ঈদুল ফিতর শাওয়ালের ১ তারিখে;
গ. ঈদুল ফিতর শাওয়ালের ১ তারিখে, ঈদুল আযহা যিলহজ্জের ১০ তারিখে, প্রয়োজনে ১২ তারিখ পর্যন্ত;
ঘ. ঈদুল আযহা মুহাররাম মাসে এবং ঈদুল ফিতর সফর মাসে।
৫. জানাযার নামাযÑ
ক. ফরযে আইন; খ. ফরযে কিফায়াহ;
গ. ওয়াজিব; ঘ. সুন্নাত।
সংক্ষিপ্ত উত্তরÑপ্রশ্ন
১. জুমুআর নামায ফরয হওয়ার পূর্বশর্তগুলো লিখুন।
২. জুমুআর নামায বিশুদ্ধ হওয়ার শর্তসমূহ বর্ণনা করুন।
৩. ঈদ অর্থ কী? ঈদ কয়টি ও কী কী? বর্ণনা করুন।
৪. ঈদুল ফিতরের সুন্নাত কাজসমূহ লিখুন।
৫. ঈদের নামাযের পদ্ধতি আলোচনা করুন।
৬. ঈদুল আযহার সুন্নাত কাজসমূহ বর্ণনা করুন।
৭. জানাযার নামায কী ও এর বিধান কী? আলোচনা করুন।
৮. জানাযার নামায পড়ার পদ্ধতি লিখুন।
৯. জানাযাকে কাঁধে নেওয়ার পদ্ধতি ও মৃতকে দাফন করার নিয়ম বর্ণনা করুন।
বিশদ উত্তরÑপ্রশ্ন
১. জুমুআর নামায সম্পর্কে বিস্তারিত লিখুন।
২. ঈদুল ফিতর সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করুন।
৩. ঈদুল আযহা সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করুন।
৪. জানাযার নামায-এর বিধান, জানাযা কাঁধে বহন এবং দাফন সম্পর্কে সবিস্তারে লিপিবদ্ধ করুন।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]