ইসলামী পরিবার বলতে কী বুঝায়? পরিবারের শ্রেণি বিভাগ আলোচনা করুন। বাংলাদেশের পরিবার ব্যবস্থার ওপর আলোচনা করুন।

পরিবারের গঠন
পরিবার হল সমাজের মৌলিক ও ক্ষুদ্রতম সামাজিক প্রতিষ্ঠান। তাই পরিবারকে সমাজের ভিত্তি হিসেবে আখ্যায়িত
করা হয়। পরিবারের মাধ্যমে মানুষের সামাজিক জীবনের সূচনা হয়। পরিবারকে বাদ দিয়ে সমাজের কল্পনা করা
যায় না। পরিবার হচ্ছে স্বামী-স্ত্রীর এমন একটি বৈধ সংগঠন যেখানে তারা সন্তান-সন্ততি মা-বাবা বা নিকট রক্ত
সম্পর্কিত আত্মীয়-স্বজন ও দাস-দাসী বা চাকর-চাকরাণী নিয়ে একত্রে বসবাস করে। ইসলামের দৃষ্টিতে
পরিবারের সকল সদস্যকে মুসলমান হতে হবে। অমুসলিম ইসলামী পরিবারের সদস্য হতে পারবে না। অথবা
তাদের কেউ যদি ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে তবে সে আর ইসলামী পরিবারের সদস্য থাকবে না। ঐ পরিবার ভেঙ্গে
দিতে হবে। এমনিভাবে কোন ছেলে-মেয়ে যদি ইসলাম ত্যাগ করে অন্য আদর্শ গ্রহণ করে তবে সেও ঐ মুসলিম
পরিবারের সদস্য হিসেবে গণ্য হবে না। হযরত নূহ (আ)-এর পুত্র কেনান বিধর্মী হওয়ায় সে হযরত নূহ (আ)
এর পরিবারভুক্ত ছিল না। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেনÑ
يٰ نُ ᖔحُ إِ نَّ هُ ل᠐ ْᛳ سَ مِ نْ أ᠐ هْ لِ كَ إِ نَّ هُ عَ مَ لٌ غَ يْ رُ صَ الِ ح᠏ .
‘হে নূহ ! নিশ্চয় সে আপনার পরিবারভুক্ত নয়। নিশ্চয় সে অসৎপরায়ণ’। (সুরা হুদ : ৪৬)
পরিবার গঠিত হয় স্বামী ও স্ত্রী থেকে। মহান আল্লাহ সৃষ্টির সব কিছুই জোড়ায়-জোড়ায় সৃষ্টি করেছেনÑযাতে করে
বংশ বৃদ্ধি হতে পারে পরিবার থেকে। মানব পরিবার গঠন পদ্ধতি সম্পর্কে আল-কুরআনে বলা হয়েছেÑ
فَ ٱنكِ حُ وا᠔ مَ ا طَ ابَ ل᠐ ᠑ᝣ مْ مِّ نَ ٱل ِّ سَ ቯءِ
‘বিবাহ কর নারীদের মধ্য হতে যাদেরকে তোমরা পছন্দ কর।’ (সুরা আন-নিসা : ৩)
আল-কুরআনে আরো বর্ণিত হয়েছে-
وَ ل᠐ قَ دْ أ᠐ رْ سَ ل᠔ نَ ا رُ سُ ᢿ ًمِّ ن قَ ᘘ ْلِ كَ وَ جَ عَ ل᠔ نَ ا ل᠐ هُ مْ أ᠐ زْ وَ اجا᠍ وَ ذُ رِّ ᗫَّ ةً
‘আপনার পূর্বে অনেক রাসূল প্রেরণ করেছি এবং তাদেরকে স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি দিয়েছিলাম।’ (সুরা আর-রা’দ :
৩৮)
বিবাহের মাধ্যমেই নর-নারীর মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে পরিবার গঠন করা হয়। আল্লাহ তা‘আলা পরিবার
ব্যবস্থাকে সুদৃঢ়, সুন্দর ও সুশৃংখল করার জন্যে অনেক নিয়ম-নীতি বেঁধে দিয়েছেন। সে অনুসারে জীবন-যাপন
করা পরিবারের প্রতিটি সদস্যের কর্তব্য।
পরিবারের ভিত্তি
পরিবার প্রধানত দু’টো ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত হয়। একটি হচ্ছেÑ মানুষের স্বভাবজাত প্রকৃতি-নিহিত প্রবণতা। এ
প্রবণতার কারণেই মানুষ প্রাচীনকাল থেকে পরিবার গঠন করে আসছে এবং পারিবারিক জীবন-যাপন করছে।
পরিবারহীন মানুষ বৃন্তচ্যুত পত্রের মতোই স্থিতিহীন।
পরিবার গঠনের দ্বিতীয় ভিত্তি হচ্ছেÑ সমসাময়িক কালের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। এ ব্যবস্থায় পরিবার হল বিশাল
ক্ষেত্র। সমাজ ও জাতি গঠনের জন্য তা-ই ছিল একমাত্র উপায়। এ কারণে প্রাচীন কালের গোত্র ছিল অধিকতর
বিস্তৃত। নাম মাত্র সম্পর্কেও বহু ব্যক্তি এক একটি গোত্রের অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকতে পারত। পরিবারের নিজস্ব একান্ত
আপন লোকদের জান-মাল ও ইজ্জতের রক্ষণাবেক্ষণ সেখানে করা হতো।
পরিবারের শ্রেণি বিভাগ
সমাজবিজ্ঞানীগণ তিনিটি মৌলিক বিষয়ের উপর ভিত্তি করে পরিবারের শ্রেণি বিভাগ করেছেন, যথাÑ
১. বংশগত পরিচয় ও নিয়ন্ত্রণের ধারা
২. বৈবাহিক প্রথা
৩. পারিবারিক কাঠামোর পরিধি
নি¤েœতা আলোচনা করা হল
১. বংশ পরিচয় ও নিয়ন্ত্রণের ধারা অনুযায়ী পরিবারকে দু’ভাগে বিভক্ত করা হয়, যথা ঃ (ক) পিতৃতান্ত্রিক ও (খ)
মাতৃতান্ত্রিক পরিবার।
ক. পিতৃতান্ত্রিক পরিবার ঃ এ ধরনের পরিবারে পুরুষের মাধ্যমে বংশ পরিচয় নির্ধারিত হয়ে থাকে। পরিবারের
কর্তা হল পুরুষ। পরিবারের ভরণ-পোষণ ও নিরাপত্তাসহ যাবতীয় দায়-দায়িত্ব পুরুষের হাতে অর্পিত থাকে।
সমাজবিজ্ঞানী হেনরী মেইন পিতৃতান্ত্রিক পরিবারকে আদি ও অকৃত্রিম পরিবার ব্যবস্থা বলে অভিমত ব্যক্ত
করেন।
খ. মাতৃতান্ত্রিক পরিবার ঃ এ ধরনের পরিবারে নারীর অধিকার বেশী আবার বংশ পরিচয়ও নারীর মাধ্যমে
নির্ধারিত হয়ে থাকে। নারীরা পরিবারের প্রধান আর পুরুষেরা অধীনস্থ হয়।
২. বৈবাহিক প্রথা অনুযায়ী পরিবারকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়, যথা ঃ (ক) এক পতœীবিশিষ্ট পরিবার, (খ)
বহুপতœী বিশিষ্ট পরিবার এবং (গ) বহুপতি পরিবার।
ক. একপতœীবিশিষ্ট পরিবার ঃ এ ধরনের পরিবার বলতে সেই পরিবার ব্যবস্থাকে বুঝায় যেখানে একজন পুরুষ
এবং একজন নারী বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে পরিবার গঠন করে। এ ধরনের পরিবারই বর্তমান সমাজে
সবচেয়ে বেশী প্রচলিত।
খ. বহুপতœীবিশিষ্ট পরিবার ঃ এ ধরনের পরিবারে একজন পুরুষ একাধিক স্ত্রীলোককে বিবাহ করে পরিবার গঠন
করে। যেমনÑ ভুটানের রাজ পরিবারে এ প্রথা প্রচলিত আছে। ইসলামে একাধিক স্ত্রী গ্রহণ করে পরিবার
গঠনের অনুমতি আছে। তবে একসাথে একাধিক স্ত্রী বা সর্বোচ্চ ৪জন স্ত্রী গ্রহণ করা সকল পুরুষের জন্য বৈধ
নয়। ক্ষেত্র বিশেষে ইসলাম একাধিক বিয়ের অর্থাৎ ৪জন পর্যন্তবিয়ের অনুমতি দিয়েছে মাত্র।
গ. বহুপতি পরিবার ঃ এ ধরনের পরিবার ব্যবস্থায় একজন নারী একাধিক পুরুষের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ
হয়ে একসঙ্গে বসবাস করে। ইসলাম বহুপতি পরিবারকে বৈধ বলে স্বীকৃতি প্রদান করে না। মানব
প্রজন্মধারার পবিত্রতা রক্ষার জন্য ইসলাম একক পতি পরিবার গঠনের নির্দেশ দিয়েছে। একজন স্ত্রীলোক
যদি একাধিক পুরুষ বা স্বামী গ্রহণ করে তবে ইসলাম তা ব্যভিচারের অন্তর্ভুক্ত বলে সাব্যস্ত করে।
৩. পরিবারের সংগঠন, কাঠামো ও আকৃতির উপর ভিত্তি করে পরিবারকে দু’ভাগে ভাগ করা যায়, যথা ঃ
(ক) একক পরিবার ও (খ) যৌথ পরিবার।
ক. একক পরিবার ঃ এ ধরনের পরিবারে স্বামী ও স্ত্রী এবং তাদের সন্তান-সন্তুতিরা সদস্যভুক্ত হয়। একক
পরিবার অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র। এরূপ পরিবারে বয়োজ্যেষ্ঠ পুরুষ বা পিতার প্রাধান্য স্বীকার করা হয়।
খ. যৌথ পরিবার ঃ এ ধরনের পরিবারে স্বামী-স্ত্রী, সন্তান-সন্ততি, ভাই-বোন, মাতা-পিতা, দাদা-দাদী, ভাইয়ের
সন্তান-সন্ততি এমনকি অনেক ক্ষেত্রে স্ত্রীর ভাই-বোন ও পিতা-মাতাসহ একত্রে বসবাস করে। এরূপ পরিবারে
আয়-ব্যয়, উৎপাদন ইত্যাদি পরিবারের কর্তা কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয়।
অতি প্রাচীন কাল হতেই মুসলিম সমাজে একক পরিবার ও যৌথ পরিবার এই দুই জাতীয় পরিবারের অস্তিত্ব
বিদ্যমান। তাছাড়া ইসলামী ধারণা মতে এ দু’টো পরিবার পিতৃতান্ত্রিক পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। ইসলামে মাতৃতান্ত্রিক
পরিবারের কোন বিধান নেই। কারণ, আল্লাহ তা‘আলা কোন-কোন ক্ষেত্রে পুরুষকে নারীদের উপরে প্রাধান্য
দিয়েছেন। পুরুষ সাধারণত পরিবারের প্রধান হবে এটি তার মধ্যে একটি। ইসলামী বিধান মতে একজন পুরুষ
তার স্ত্রী, পুত্র-কন্যা ও অন্যান্য নিকটাত্মীয় তথা পরিবারের সকলের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব পালন করবে। এটি
আল্লাহ তা‘আলার দেয়া বিধান। পরিবার পরিজনদের ভরণ পোষণের জন্যে রুজি রোযগার করাকে ইসলাম
ইবাদাত হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। সুতরাং মুসলমান হিসেবে কারো পক্ষে পরিবার স¤পর্কে অন্য কোন ধারণা পোষণ করা বৈধ নয়।
বাংলাদেশের পরিবার ব্যবস্থা
বাংলাদেশের পরিবার কাঠামোয় নিম্নলিখিত ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয় ঃ
১. ধর্মগত ভিন্নতা ;
২. এলাকার (শহর / গ্রাম) ভিন্নতা ;
৩. ভূমিগত (সমতল / উঁচু) ভিন্নতা ;
৪. অর্থনৈতিক শ্রেণি মর্যাদার ভিন্নতা ইত্যাদি।
বাংলাদেশের পরিবার কাঠামো আলোচনা করলে দেখা যায় যে, উপরোক্ত ভিন্নতাগুলোই প্রধান। তাই এর
আলোকেই পরিবার ব্যবস্থা বিশ্লেষণ করতে হয়। নি¤েœবাংলাদেশের পরিবার ব্যবস্থার চিত্র তুলে ধরা হলএকক পরিবার ও যৌথ পরিবার
ঐতিহ্যগতভাবে বাংলাদেশের গ্রামীণ পরিবারগুলো যৌথ পরিবারের আওতাভুক্ত। তবে শহরাঞ্চলের
পরিবারগুলোকে একক বা অণু পরিবার বলা যেতে পারে। গ্রামাঞ্চলে ঐতিহ্যগত পরিবারগুলো এখন ভেঙ্গে যাচ্ছে।
ভেঙ্গে যাওয়ার পেছনে অবশ্য অনেক কারণ রয়েছে, যেমন ঃ অর্থনৈতিক দুরাবস্থা, সম্পত্তি বন্টন, পেশাগত
বিভিন্নতা, ব্যক্তিত্বের সংঘাত, সহসা আগত আধুনিকতার ছোঁয়া ইত্যাদি। তবে গ্রামাঞ্চলের মুসলিম
পরিবারগুলোর তুলনায় হিন্দুপরিবারগুলো এখনও যৌথ কাঠামোর আওতাভুক্ত। শহরাঞ্চলেও আজকাল যৌথ
পরিবারের অস্তিত্ব পরিলক্ষিত হয়। অনেক সময় শহরাঞ্চলের অনুপরিবারগুলো যৌথ পরিবারে রূপান্তরিত হয়ে যায়
যখন গ্রামাঞ্চল থেকে জ্ঞাতিসম্পর্কীয় আত্মীয়স্বজন একক পরিবারের সঙ্গে বসবাস আরম্ভ করে।
পিতৃপ্রধান পরিবার
বাংলাদেশের পরিবার কাঠামো সাধারণত পিতৃপ্রধান। গ্রামাঞ্চলের পরিবারগুলো বেশীর ভাগই পিতৃপ্রধান।
শহরাঞ্চলের পরিবারগুলো পিতৃপ্রধান হলেও উচ্চ শিক্ষার প্রভাব এবং উদার মনোভঙ্গীর কারণে পরিবারগুলোতে
একধরনের সমতাবোধ তৈরী হয়েছে। স্বামী-স্ত্রী উভয়েই এখানে পরিবারের দায়িত্ব পালন করে। স্বামীর পাশাপাশি
স্ত্রীর উপার্জন এখানে পরিবারকে আরো সুসংহত ও অর্থবহ করে তোলে।
পরিবার কাঠামোয় প্রাধান্যতার বিষয়কে আলোচনায় আনলে দুটি প্রত্যয়কে সু² বিবেচনায় আনতে হয়। যথা-
ক্ষমতা ও মর্যাদা। বাংলাদেশের পরিবার কাঠামোয় পরিবারের নেতৃত্বে পুরুষ থাকার ফলে আমরা মনে করি যে,
উক্ত পরিবারে পুরুষই ক্ষমতাবান এবং নারীর মর্যাদা সেখানে কম। এমন ধারণা পোষণ করা সঠিক নয়। কেননা,
ক্ষমতাবানরা যে সবসময় মর্যাদার অধীকারী হবেন-এ ধারণা ঠিক নয়। ক্ষমতা সর্বদাই মর্যাদা তৈরী করে না।
পিতৃপ্রধান পরিবারগুলোতে স্বামী-স্ত্রী মিলে-মিশে যৌথভাবে পরিবার পরিচালনার দায়িত্বভার বহন করে। এখানে
ক্ষমতা বা কর্তৃত্বের বিষয়টি প্রাধান্য পায় না।
এক বিবাহভিত্তিক পরিবার
বর্তমান বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ পরিবারই এক বিবাহভিত্তিক পরিবার। তবে গ্রামীণ ধনাঢ্য মুসলিম
পরিবারগুলোর কাঠামোতে একাধিক বা বহু বিবাহ ভিত্তিক পরিবার দেখা যায়। স¤প্রতি এর পরিমাণ বেশ কমে
এসেছে। শহরাঞ্চলে বহুবিবাহ-ভিত্তিক পরিবার নেই বললেই চলে। যা আছে তা সংখ্যায় অতি নগণ্য। মুসলিম সমাজে বিধবা বিবাহের প্রচলন রয়েছে।
পিতৃবাস ও নয়াবাস নীতিভিত্তিক পরিবার
বাংলাদেশের পরিবারের কাঠামো মূলত পিতৃবাস নীতি অনুসরণ করে। বিবাহোত্তর বসবাসের স্থান অনুসারে
পিতৃবাসভিত্তিক পরিবার হলো এরূপ যেখানে বিবাহের পর নবদম্পতি প্রথানুসারে পিতৃগৃহে বসবাস করে।
বাংলাদেশের পিতৃবাসভিত্তিক পরিবার কাঠামো এখনো সচল। পিতৃবাসের উল্টোনীতি অনুযায়ী মাতৃবাসভিত্তিক
পরিবারের সংখ্যা বাংলাদেশে অতি নগণ্য। এরূপ পরিবার কেবল উপজাতিদের দু’একটি শাখায় দেখা যায়।
বর্তমানে ব্যাপক নগরায়ন এবং শিত্মায়নের ফলে অনেকেই শহরাঞ্চলে কিংব শিল্প এলাকায় নয়াবাস ভিত্তিক
পরিবার গঠন করে। নয়াবাসভিত্তিক পরিবারে নবদম্পতি স্বামীর গৃহ কিংবা স্ত্রীর বাবার গৃহ-কোনটিতেই বসবাস
করে না। বাংলাদেশের পরিবারের কাঠামোতে নয়াবাসভিত্তিক পরিবার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গ্রামাঞ্চলেও
আজকাল এই কাঠামোর পরিবারের সংখ্যা বাড়ছে। কেননা জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে গ্রামাঞ্চলে মানুষের
ভিটেবাড়ীতেও অনেক সময় জায়গার সংকুলান হচ্ছে না। ফরে নয়াবাসভিত্তিক পরিবার শুধুই শহরাঞ্চল ও শিত্মাঞ্চলে নয়, গ্রামাঞ্চলেও প্রতিদিন বাড়ছে।
দ্বি-সূত্রীয় নীতি ভিত্তিক পরিবার
বাংলাদেশের পরিবারের কাঠামোতে পাশ্চাত্যের মতই দ্বি-সূত্রীয় নীতি অনুসরণ করা হয়। দ্বি-সূত্রীয় নীতি হলোপরিবার কাঠামোতে পিতৃ এবং মাতৃ উভয় পক্ষের আত্মীয়স্বজনদের মর্যাদা ও গুরুত্ব প্রদান করা। তবে আমাদের
পরিবার কাঠামো বহুলাংশে পিতৃপ্রধান হওয়ার কারণে বিশেষতঃ গ্রামাঞ্চলের পরিবারগুলোতে নানা-নানীর চেয়ে
দাদা-দাদী এবং মামা-খালার চেয়ে চাচা-ফুফুর গুরুত্ব বেশী পরিলক্ষিত হয়। শহরাঞ্চলে দ্বি-সূত্রীয় নীতিভিত্তিক
পরিবার মোটামুটি দেখা যায়। কেননা, শহরাঞ্চলে নয়াবাসভিত্তিক পরিবারের সংখ্যা ইদানীং অনেক বৃদ্ধি
পেয়েছে। তবে গ্রামাঞ্চলে দ্বি-সূত্রীয় নীতিভিত্তিক পরিবারের সংখ্যা অপ্রতুল হওয়ার পিছনে অর্থনৈতিক শ্রেণি
মর্যাদাকে অনেক সময় প্রধান কারণ হিসেবে দেখা হয়। তারপরেও বলা যায় যে, বাংলাদেশের পরিবারের
কাঠামোতে দ্বি-সূত্রীয় নীতি বেশ অনুসরণ করা হচ্ছে।
১. ইসলামী পরিবার বলতে বোঝায়ক. একক পতœী পরিবারকে খ. বহু পতœী পরিবারকে
গ. নয়াবাস ভিত্তিক পরিবারকে ঘ. মুসলিম সদস্য ভিত্তিক পরিবারকে।
২. পরিবার সাধারণত কয়টি ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত?
ক. ৪টি খ. ৩টি
গ. ২টি ৪. ৫টি।
৩. সমাজবিজ্ঞানীগণ কয়টি মৌলিক বিষয়ের উপর ভিত্তি করে পরিবারের শ্রেণিবিভাগ করেছেনক. ৩টি খ. ৪টি
গ. ৬টি ঘ. ২টি।
৪. বাংলাদেশের পরিবার কাঠামোতে কয়টি ভিন্নতা দেখা যায়ক. ৭টি খ. ৫টি
গ. ৪টি ঘ. ৩টি।
সংক্ষিপ্ত উত্তর-প্রশ্ন
১. ইসলামী পরিবারের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দিন।
২. পরিবারকে কয়টি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে লিখুন।
৩. একক পরিবার ও যৌথ পরিবারের ধারণা দিন।
রচনামূলক উত্তর-প্রশ্ন
১. ইসলামী পরিবার বলতে কী বুঝায়? পরিবারের শ্রেণি বিভাগ আলোচনা করুন।
২. বাংলাদেশের পরিবার ব্যবস্থার ওপর আলোচনা করুন।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]