একটি আদর্শ পরিবারের কার্যাবলি আলোচনা করুন।

পরিবারের কার্যাবলি
আমরা জানি, নারী-পুরুষের বৈবাহিক সম্পর্কের মাধ্যমে একত্রে বসবাস করার মধ্য দিয়েই পরিবারের আত্মপ্রকাশ
ঘটে। বাহ্যিক দৃষ্টিতে হয়ত অনেকে মনে করতে পারে যে, বৈবাহিক সম্পর্কের মাধ্যমে যৌন তৃপ্তি লাভ করাই
পরিবার গঠনের উদ্দেশ্য। আর এ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে জীবন ধারণের জন্যে তাকে কিছু কাজ করতে হয়।
পরিবারের জন্যে সুনির্দিষ্ট কোন কার্যাবলি নেই- এমন ধারণা করাও সঠিক নয়। ইসলামের দৃষ্টিতে পরিবার খুবই
গুরুত্ব বহন করে। পরিবারের মাধ্যমেই মানুষ বৈধভাবে জীবন যাপন করার সুযোগ পায়। পবিত্র ও উন্নত মানব
প্রজন্মধারা অব্যাহত রাখতে পরিবারের কোন বিকল্প নেই। পরিবার নর-নারীকে এ জগৎ সংসারে নিরবচ্ছিন্ন সুখ ও
অনাবিল আনন্দ দানে সহায়তা করে। সন্তান-সন্ততি লালন-পালন, সুশিক্ষা পরিবারের মাধ্যমেই হয়ে থাকে। তাই
পরিবার হচ্ছে মানব সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা। যার মাধ্যমে একজন নারী-পুরুষ বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ
হয়ে নিজের যৌনাঙ্গের হেফাজত করে, নারী-পুরুষের যৌন উছৃংখলতা দূর করে, সমাজ গঠনে সহায়তা দান করে
সভ্যতার বিকাশ ঘটায়। নি¤েœপরিবারের কার্যাবলি সংক্ষেপে আলোচনা করা হলÑ
বৈধ দাম্পত্য জীবন যাপন
মানব বংশধারা অব্যাহত রাখা এবং সুখ-শান্তিময় জীবন যাপনের জন্য বৈধ ও অনুমোদিত দাম্পত্য জীবন যাপন
করা অপরিহার্য, আর পরিবার প্রধানত এ কাজটি প্রথম করে থাকে। নর-নারীর অবৈধ সম্পর্কের কারণে যে
সন্তান জন্মগ্রহণ করে তা সামাজিকভাবে স্বীকৃত নয় এবং জারজ সন্তান হিসেবে সমাজে ঘৃণিত হয়। আর তা মানব
সমাজ ও সভ্যতার জন্য মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনে। এজন্য ইসলাম পবিত্র বৈবাহিক বন্ধনের মাধ্যমে
পারিবারিক জীবন শুরু করতে বলেছে। মানব সন্তান হচ্ছে আল্লাহ তা‘আলার বিশেষ নিয়ামত এবং মানব বংশ
ধারা রক্ষা করার প্রধান উপায়। বস্তুতঃ বৈধ বিবাহের মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে আবেগ-উচ্ছাসপূর্ণ পবিত্র প্রেমের
সূচনা হয়। আর তার পরিণতিতে জন্ম লাভ করে পবিত্র মানব সন্তান। দাম্পত্য জীবন ব্যতীত যৌন সম্ভোগ
মানুষকে পশুর স্তরে নামিয়ে দেয়। তাতে যে সন্তান জন্ম নেয়, তাকে আমৃত্যু কলঙ্ক ও অভিশাপের গ- ানি বহন
করতে হয়। বৈধ দাম্পত্য জীবনের মাধ্যমে সন্তান জন্মদান সম্পর্কে আলকুরআনে বলা হয়েছেÑ
ٱل᠔ مَ الُ وَ ٱل᠔ بَ نُ ونَ ز᠒ ᗫنَ ةُ ٱل᠔ حَ ᘭ َاةِ ٱلدُّ نْ ᘭ َا وَ ٱل᠔ ᘘ َاقِ ᘭ َاتُ ٱلصَّ الِ حَ اتُ خَ يْ رٌ عِ ندَ رَ ᗖِّ كَ ثَ وَ اᗷا᠍
وَ خَ يْ رٌ أ᠐ مَ ᢿ ً
“ধন-স¤পদ ও সন্তান-সন্ততি ইহকালীন জীবনের শোভা এবং স্থায়ী সৎকাজ তোমার প্রতিপালকের নিকট পুরস্কার
প্রাপ্তির জন্য শ্রেষ্ঠ এবং কাঙ্খিত হিসেবে উৎকৃষ্ট।” (আল-কাহাফ : ৪৬)
আধুনিক কিছু সংখ্যক পরিবার সন্তান জন্মদানের কাজে নির্দিষ্ট কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে কম সন্তান
জন্মলাভের আশায়। সচেতন ও শিক্ষিত পরিবার জনসংখ্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে সচেষ্ট হচ্ছে। তবুও
আধুনিক সমাজে সন্তান জন্মদানের জৈবিক কাজটিকে একেবারে বাদ দেয়া সম্ভব নয়। সমাজের পরিবর্তনে যতই
বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক না কেন স্বামী-স্ত্রীর জৈবিক সম্পর্ক বজায় রাখা পরিবারের অন্যতম মৌলিক ভিত্তি।
সমাজের উৎপাদন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার জন্য এবং রাষ্ট্রের নাগরিক-সমাজ গড়ে তুলতেও প্রয়োজনীয় সন্তান
জন্মদান ও লালন-পালনকরা পরিবারের কর্তব্য। মানুষ শুধু রক্ত-মাংসে গড়া প্রাণি নয়, তার মধ্যে জৈবিক ও
মনস্তাত্তি¡ক আবেগ-অনুভূতি, সন্তানের প্রতি ভালবাসা প্রভৃতি রয়েছে। এগুলো তার সহজাত প্রবৃত্তি। বিবাহের
মাধ্যমে গঠিত পরিবারে স্বামী-স্ত্রীর জৈবিক সম্পর্ক বৈধতা পায়। আর সন্তান লাভ করে সামাজিক বৈধতা।
ওয়েষ্টারমার্ক বলেছিলেন যে, যৌন ঈর্ষাপরায়ণতা অনুপরিবারের উৎপত্তি এবং স্থায়িত্বের মূল। তাই, পরিবারের
গন্ডিতেই মানুষ তার জৈবিক চাহিদা পূরণ করবে। আবেগ এবং কল্পনা দ্বারা তাড়িত হয়ে পরিবারের অবলুপ্তি
কামনা করলেই পরিবার লোপ পাবে একথা ধারণা করা মোটেই ঠিক নয়।
সন্তান লালন-পালন ও পরিচর্যা
শিশুর প্রতি পিতা-মাতা ও পরিবারের সদস্যদের আদর, ¯েœহ, ভালবাসা ইত্যাদি যতটা জৈবিক কাজ, তার চেয়ে
বেশী মনস্তাত্তি¡ক। শিশুর লালন-পালনের দায়-দায়িত্বের ভিত্তি হলো শিশুর প্রতি মমত্ববোধ। শিশুর পরিচর্যা,
চিত্তবিনোদন, ব্যায়াম, আদর এবং সর্বোপরি তাকে ¯েœহের পরশে লালন-পালনের কাজটি পরিবার করে থাকে।
আধুনিক কালের অধিকাংশ সমাজ মনোবিজ্ঞানীই এ কথা স্বীকার করেন যে, ব্যক্তিত্ব গঠনে শিশুর পারিবারিক
অভিজ্ঞতা এক সুদূর প্রসারী ভূমিকা রাখে। শিশু-কিশোরেরা অতিশয় আবেগ প্রবণ হয়। জগতের নানা রহস্য
সম্পর্কে তাদের অনেক প্রশ্ন। তারা ক্ষেত্র বিশেষে স্পর্শকাতর হয়। তাই, শিশুকে আদর-¯েœহ-ভালবাসা দিয়ে
সুষ্ঠুভাবে লালন-পালন ও পরিচর্যা করা পরিবারের কাজ।
শিশুর শিক্ষা-দীক্ষার ব্যবস্থা করা
আল্লাহর বিধান পালন ঃ আল্লাহ মানব জাতিকে তাঁর ইবাদাত ও প্রতিনিধিত্ব করার জন্যই পৃথিবীতে প্রেরণ
করেছেন। আর আল্লাহর বিধান পালন শুরু হয় পারিবারিক জীবন থেকে। যেমনÑ মহান আল্লাহ ঘোষণা করেন-
ᘌ ٰأ᠐ يُّ هَ ا ٱلᡐ ذِ ينَ آمَ نُ وا᠔ قُ وۤ ا᠔ أ᠐ نفُ سَ ᜓ᠑ مْ وَ أ᠐ هْ لِ ᘭᜓ᠑ مْ نَ ارا᠍ .
‘হে মুমিনগণ! তোমরা নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে আগুন থেকে বাঁচাও।’ (সুরা আততাহরীম : ৬)
তাই আল্লাহর বিধি-বিধান মেনে চলাও পারিবারিক কার্যাবলির অন্তর্ভুক্ত।
পরিবারকে সদস্যদের প্রশিক্ষণালয় হিসেবে গড়ে তোলা ঃ ইসলামী পারিবারিক ব্যবস্থায় এর সদস্যদের বিশেষ
করে সন্তান-সন্ততিদেরকে শৈশব হতে ইসলামের শিক্ষায় প্রশিক্ষণ ও তা জীবনে বাস্তবায়নের ব্যবস্থা করাও
পারিবারিক কার্যাবলির অন্যতম কাজ। আল্লাহ তা‘আলা এ প্রসঙ্গে বলেন-
وَ أ᠔ مُ رْ أ᠐ هْ ل᠐ كَ ᗷ ِٱلصَّ ᢿ َةِ وَ ٱصْ طَ بِ رْ عَ ل᠐ يْ هَ ا.
‘এবং তোমার পরিবারবর্গকে সালাতের আদেশ দাও এবং তাতে অবিচলিত থাক।’ (সুরা তা-হা : ১৩২)
মহানবী (সা.)-এর বাণী থেকেও আমরা উপরোক্ত বিষয়টি জানতে পারি।
ما نحل والد ولدا افضل من ادب حسن.
‘কোন পিতা-মাতা সন্তানকে উত্তম আদব-কায়দা ও স্বভাবচরিত্র শিক্ষাদান অপেক্ষা ভাল কোন দান দিতে পারে
না।’ (তিরমিযী)
পারিবারিক জীবনকে মানব-সভ্যতার প্রাথমিক শিক্ষাকেন্দ্র বলা হয়। কেননা একটি শিশু আশৈশব মানবীয়
গুণাবলি, সৌজন্যবোধ, আচার-আচরণ, বিনয়, পরোপকার, ত্যাগ, নিষ্ঠা, নিয়ম-শৃঙ্খলা ইত্যাাদি বিষয়গুলো
পারিবারিক পরিবেশেই শিক্ষা লাভ করে থাকে যা পরবর্তীতে জীবন চলার দিশারী হয়।
মানবিক গুণাবলির লালন কেন্দ্র ঃ ইসলামী পরিবার ব্যবস্থা মানবিক গুণাবলির লালন ভূমি। পরিবারের
সদস্যদের মধ্যে প্রেম-প্রীতি, মায়া-মমতা, আদর-¯েœহ, সমঝোতা, উদারতা, সহায়তা, সহানুভূতি, শ্রদ্ধাভালবাসা, আদব-কায়দা, সাহায্য-সহযোগিতা, কর্তব্য, দায়িত্ববোধ, তাহযীব-তামাদ্দুন ইত্যাদি মানবিক
গুণাবলির উন্মেষ ঘটানো অপরিহার্য। এগুলো বৃহত্তর সমাজ-সভ্যতাকে টিকিয়ে রাখে এবং সুষ্ঠু সমাজ গঠনে
গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
ইসলামী পরিবারের সদস্যরা সব সময় সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন জীবনেরই কথা বলে থাকে। যেমন আল-কুরআনের বর্ণিত হয়েছে-
وَ هُ دُ وۤ ا᠔ إِ ل᠐ ى ٱلطَّ ᘭِّ بِ مِ نَ ٱل᠔ قَ وْ لِ وَ هُ دُ وۤ ا᠔ إِ ل᠐ ىٰ صِ رَ اطِ ٱل᠔ حَ مِ ᘭدِ .
‘তাদেরকে পবিত্র বাক্যের অনুগামী করা হয়েছিল এবং তারা পরিচালিত হয়েছিল পরম প্রশংসাভাজন আল্লাহর
পথে।’ (সুরা আল-হাজ্জ : ২৪)
মানব সভ্যতার লালন ক্ষেত্র ঃ ইসলামী পরিবাাকে মানব সভ্যতার লালন ভূমি হিসেবে গড়ে তোলা প্রতিটি
পরিবার প্রধানের দায়িত্ব ও কর্তব্য। স্বামী-স্ত্রীর প্রীতিময় পূত-পবিত্র পারিবারিক পরিমন্ডলে শিশুর জন্ম হয়।
অত:পর পিতা-মাতা, আতœীয়-স্বজনের হৃদয় নিংড়ানো আদর ¯েœহ ও মায়া মমতায় লালিত-পালিত হয়ে বড় হয়,
আদব-কায়দা শেখে, উন্নত শিক্ষা-দীক্ষায় গড়ে ওঠে। পরিবারেই তার শিক্ষার ভিত্তি গড়ে ওঠে। ভিত্তি ভাল হলে,
তার জীবনও সুন্দর হয়। মাতা-পিতা তথা পরিবারের সহায়তা না পেলে সে শিশু সুষ্ঠুভাবে গড়ে ওঠে না। উন্নত
দেশগুলোতে পারিবারিক বন্ধন নেই বলে সেখানকার অবস্থা আজ বড়ই হতাশাব্যঞ্জক।
আর্থ-সামাজিক নিরাপত্তা বিধান ঃ পরিবারের সদস্যদের আর্থ-সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা পরিবার
প্রধানদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ। বিপদে-আপদে, অক্ষমতায় কোন সদস্য যাতে অসহায় বোধ না করে
সেদিকে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখা পরিবারের কাজ। সকল অবস্থায় পরিবারের সদস্যগণ একে অপরের সুখ-দু:খে
এগিয়ে আসে। তার ভরণ-পোষণ ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। পরিবারে বৃদ্ধরা শুুধু সহানুভূতিই পায় না, ইসলামী
পরিবারে তারা সম্মানের পাত্র।
মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা সন্তানদের প্রতি সর্বদা দৃষ্টি রাখ।’
তিনি আরও বলেন, ‘তোমরা তোমাদের সন্তানদের ¯েœহ কর এবং তাদের ভাল ব্যবহার শেখাও।’
সুতরাং দেখা যাচ্ছে, ইসলামী পারিবারিক জীবনের কার্যাবলির মধ্যে অন্যতম দিক হচেছ- পারস্পরিক
সহযোগিতার মাধ্যমে পবিত্র ও শান্তিময় জীবন যাপন করা এবং সন্তান-সন্ততিকে ইসলামী আদর্শে গড়ে তোলা,
যাতে সকলের জন্য ইহ-পরকালীন সুখ-শান্তি, নিরাপত্তা ও প্রেমময় পরিবেশ সৃষ্টি করা সম্ভব হয়।
প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ধর্মশিক্ষাদান ঃ পরিবারের অন্যতম কাজ হচ্ছে সন্তান-সন্ততিদের মধ্যে ধর্মীয় এবং সামাজিক
মূল্যবোধ ভিত্তিক শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করা। বস্তুতঃ ধর্ম মানুষকে নীতিবান, সৎ ও সত্যানুসন্ধানী করে তোলে। ধর্ম
ব্যক্তিগত লোভ-লালসাকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং চরিত্র গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। মূলত ধর্মের সামাজিক
গুরুত্ব অনেক। সন্তান-সন্ততির ধর্মীয় শিক্ষার উপযুক্ত মাধ্যম পরিবার। পরিবারই বাড়িতে বা মক্তবে ধর্মীয় শিক্ষা
গ্রহণের ব্যবস্থা করে থাকে।
সামাজিক কাজ ঃ পরিবারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো সন্তান-সন্ততিদের উপযুক্ত সামাজিক জীব হিসেবে
গড়ে তোলা। প্রাথমিকভাবে একাজটি পরিবারের ওপরই বর্তায়। পরিবারই তার শিশু-কিশোরদের সামাজিক
মূল্যবোধ, আচার-প্রথা, রীতি-নীতি তথা সংস্কৃতির ধ্যান-ধারণা সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞান সরবরাহ করে। সামাজিক
জীব হিসেবে সমাজে বসবাস করতে গেলে মানুষকে প্রতিনিয়তই তার চারপাশের মানুষের সংস্পর্শে আসতে হয়।
পারস্পরিক ভাবের আদান-প্রদান এবং বিভিন্ন কাজ-কর্মে তাদের মত বিনিময় করতে একাধারে সহযোগিতা এবং
প্রতিযোগিতার আশ্্রয় নিতে হয়। এভাবেই সে সামাজিক গুণাবলি অর্জন করে এবং সমাজে বসবাস করার কৌশল
আয়ত্ত করে। সমাজবিরোধী এমন অনেক কাজ আছে যা হয়তো আইনবিরোধী নয়। সমাজ কর্তৃক নিন্দিত বা
সমাজবিরোধী আচরণ নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্বও প্রাথমিকভাবে পরিবারই গ্রহণ করে।
চিত্তবিনোদন বা শরীর চর্চার ব্যবস্থা করা ঃ চিত্তবিনোদনের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র হলো পরিবার। পরিবারের
সদস্যরা নানাবিধ শরীর চর্চামূলক খেলা-ধূলা ও অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে আমোদ-প্রমোদ করে তাদের
একঘেঁয়েমি দূর করার চেষ্টা করে।
বাংলাদেশের মুসলমানগণ নানা আচার-অনুষ্ঠান, তসবিহ পাঠ, সালাত আদায়, তারাবিহর সালাতে যোগ দেওয়া,
জুমার সালাত আদায়, বিবাহ অনুষ্ঠান, বাড়িতে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান, কুরআন পাঠ ইত্যাদি অনুষ্ঠান উদযাপন
করে থাকে। মুসলিম জনগোষ্ঠীর চিত্তের প্রশান্তিআনয়নে এ সকল অনুষ্ঠান সাহায্য করে থাকে।
উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে একথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, পরিবারের এসব কার্যাবলি সুশৃঙ্খল পরিবার
গঠনের অন্যতম বাহন। পরিবারের গুরুত্ব বর্তমান সমাজে বিন্দুমাত্র কমেনি বরং বৃদ্ধি পেয়েছে।
বহু নৈর্বাচনিক প্রশ্ন
১. ইসলাম পরিবার প্রথাকে -
ক. নিলর্জ্জ প্রথা মনে করে খ. নিরুৎসাহিত করে
গ. পরিবার প্রথা ভেঙ্গে দিতে চায় ঘ. মজবুত পারিবারিক জীবন গড়তে চায়।
২. পারিবারিক জীবন যাপনের মাধ্যমে একজন নর-নারীক. লজ্জাস্থানের সংরক্ষণ করে খ. নারী-পুরুষের যৌন উচছৃংখলতা দূর করে
গ. সভ্যতার বিকাশ ঘটায় ঘ. সব কয়টি উত্তরই সঠিক।
৩. ‘‘তোমাদের সন্তানদের ভাল স্বভাব-চরিত্র শিক্ষা দাও’’ -এটি কার নির্দেশ?
ক. মহান আল্লাহর খ. মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর
গ. হযরত দাউদ (আ.)-এর ঘ. হযরত লোকমান (আ.)-এর।
৪. কোনটি ঠিক? লিখুন।
ক. ধর্ম মানুষকে বিনয়ী করে খ. ধর্ম চরিত্র গঠনে সহায়তা দান করে
গ. ধর্ম মানুষের লোভ লালসা নিয়ন্ত্রণ করে ঘ. সব কয়টি উত্তরই সঠিক।
সংক্ষিপ্ত উত্তর-প্রশ্ন
১. ‘‘পরিবারের প্রধান কাজ বৈধ দা¤পত্য জীবন-যাপন করা’’ ব্যাখ্যা করুন।
২. ‘‘পরিবার মানবিক গুণাবলির বিকাশ কেন্দ্র’’-বর্ণনা করুন।
৩. পরিবারের ধর্মীয় ও সামাজিক কার্যাবলি সংক্ষেপে তুলে ধরুন।
রচনামূলক উত্তর-প্রশ্ন
১. একটি আদর্শ পরিবারের কার্যাবলি আলোচনা করুন।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]