ইসলামী পরিবার বলতে কী বুঝেন? একটি ইসলামী পরিবারের স্বরূপ আলোচনা করুন।

পরিবার
আমরা জানি, পরিবার হচ্ছে সমাজের মূল ভিত্তি এবং সমাজ সংগঠনের একটি ক্ষুদ্র অংশ, যেখানে স্বামী-স্ত্রী তাদের
সন্তান-সন্তানাদি নিয়ে বসবাস করে। পরিবার ছোট বড় দুই ধরণেরই হতে পারে। পরিবারের দু’টি প্রধান রূপ
রয়েছে যথাÑযৌথ পরিবার ও একক পরিবার। প্রাচীন কাল থেকে চলে আসা যৌথ পরিবারগুলো আজ নানা কারণে
ভেঙ্গে যাচ্ছে। নগরায়ণ ও শিত্মায়নের প্রভাব, আর্থিক সমস্যা, ব্যক্তিত্বের সংঘাত প্রভৃতি কারণে যৌথ
পরিবারগুলো ভেঙ্গে একক পরিবারে পরিণত হচ্ছে। একক পরিবারে একটি দম্পতির সন্তান-সন্ততি ছাড়া সাধারণত
আর কেউ সেখানে বসবাস করে না। যৌথ পরিবারে অবশ্য দু’তিন পুরুষের রক্ত সম্পর্কিত আত্মীয়-স্বজন বর্তমান
থাকে। ইসলামের দৃষ্টিতে একক পরিবার ও যৌথ পরিবার উভয়টিই স্বীকৃত। তবে যৌথ পরিবার প্রতিপালনে
ইসলাম কিছু শর্তারোপ করেছে। আমরা জানি, যৌথ পরিবার রক্ত সম্পর্কীয় নিকট আত্মীয়-স্বজন তথা মা, বাবা,
ভাই-বোন নিয়ে গঠিত হয়। তবে এ সকল পরিবারে যদি এমন কোন ব্যক্তি বসবাস করেন যাদের সাথে বিবাহ
বৈধ, তাহলে সেখানে সাবধানতা তথা ইসলামী হিজাব এবং বিধি বিধান অবলম্বন করে চলতে হয়। যেমন- স্ত্রীর
সাথে তার বোন একই পরিবারে বসবাস করা অথবা স্বামীর ভাই তথা দেবর বসবাস করা। তবে মা, বাবাকে নিয়ে
অবশ্যই যৌথ পরিবার পরিচালনা করা সন্তানের জন্য অপরিহার্য।
আদর্শ বা ইসলামী পরিবারের স্বরূপ
যে পরিবার ইসলামী আদর্শ ও মূল্যবোধের ভিত্তিতে গড়ে ওঠে এবং ইসলামী বিধি-বিধানের বাস্তব প্রতিফলন ঘটায়
এবং যে পরিবারের সকল সদস্যই মুসলমান হয় তখন তাকে ইসলামী পরিবার হিসেবে গণ্য করা হয়। ইসলামী
পরিবারের অপর নাম আদর্শ পরিবার। নিম্নেআদর্শ পরিবারের স্বরূপ বর্ণনা করা হলÑ
১. আদর্শ পরিবার আল্লাহ তা’আলার বিধি-নির্দেশেরই বহিঃপ্রকাশ
আল্লাহ তা’আলা এ বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের প্রতিটি প্রাণি ও বস্তুই জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন। তিনি পৃথিবীর প্রথম
মানব হযরত আদম ও হাওয়াকে সৃষ্টি করে প্রথমে জান্নাতে এবং পরে পৃথিবীতে পরিবারভুক্ত জীবন যাপন করার
নির্দেশ দিয়েছিলেন, সে থেকে মানুষ পরিবারভুক্ত জীবন যাপন করে আসছে। পৃথিবীতে মানবধারা রক্ষা ও
বিস্তারের দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই পরিবারের উৎপত্তি। আর এ পরিবার গড়ে ওঠে বিয়ে ও দাম্পত্য জীবনের মাধ্যমে। যা
প্রকৃতির এক চিরস্থায়ী বিধান। আর এটা এক শাশ্বত ও চিরন্তন ব্যবস্থা যা কার্যকর রয়েছে বিশ্ব প্রকৃতির পরতে
পরতে প্রতিটি জীব ও জন্তুর মধ্যে। আল্লাহ তা’আলা বলেনÑ
جَ عَ لَ ل᠐ ᠑ᝣ م مِّ نْ أ᠐ نفُ سِ ᜓ᠑ مْ أ᠐ زْ وَ اجا᠍ وَ مِ نَ ٱلأَ نْ عَ امِ أ᠐ زْ واجا᠍ ᘌ َذْ رَ ؤُ ᠑ᝏ مْ فِ ᘭهِ .
‘তিনি তোমাদের মধ্য হতে তোমাদের জোড়া সৃষ্টি করেছেন এবং অনুরূপভাবে জন্তু-জানোয়ারের মধ্য হতে সৃষ্টি
করেছেন তাদের জোড়া। এভাবে তিনি তোমাদের বংশ বিস্তার করেন।’ (সুরা আশ-শুরা: ১১)
ইসলামী পরিবার এই ভিত্তির উপরই প্রতিষ্টিত।
২. তাওহীদ বা একত্ববাদের লালন কেন্দ্র ঃ ইসলামী পরিবার তাওহীদের লালন কেন্দ্ররূপে গড়ে ওঠতে হবে।
একজন শিশু যখন কথা বলার চেষ্টা করে তখন তাকে সর্বপ্রথম আল্লাহ তা’আলার একত্ববাদের বাণী শিখিয়ে দিতে
হয়। যাতে তার প্রথম কথায় আল্লাহর একত্ববাদ, তাঁর স্বত্ত¡া ও গুণাবলির প্রকাশ ঘটে। শিশুর কথার ভিত্তি যদি
আল্লাহর অস্তিত্ব ও একত্ববাদের ধারণার মধ্য দিয়ে প্রকাশ পায় তা হলে তার মধ্যে ইসলামী আদর্শ প্রতিষ্ঠিত
হওয়ার আশা করা যায়।
৩. বিশ্ব প্রকৃতির শাশ্বত রূপ ঃ বিয়ে ও দাম্পত্য জীবন বিশ্ব প্রকৃতির এক স্বভাবসম্মত বিধান। এটা এক
চিরন্তন ও শাশ্বত ব্যবস্থাÑ যা কার্যকর রয়েছে বিশ্ব প্রকৃতির পরতে পরতে প্রতিটি জীব ও জন্তুর মধ্যেও। কুরআনের
ঘোষণা ঃ
وَ مِ ن ᛿᠑ لِّ شَ يْ ءٍ خَ ل᠐ قْ نَ ا زَ وْ جَ يْ ن᠒ ل᠐ عَ لᡐ ᠑ᝣ مْ تَ ذَ كᡐ رُ ونَ .
‘আর প্রত্যেক বস্তু আমি জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছি যাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ কর।’ (সুরা আয-যারিয়াত :
৪৯)
আল্লাহ তা’আলা আরও বলেনÑ
جَ عَ لَ ل᠐ ᠑ᝣ م مِّ نْ أ᠐ نفُ سِ ᜓ᠑ مْ أ᠐ زْ وَ اجا᠍ وَ مِ نَ ٱلأَ نْ عَ امِ أ᠐ زْ واجا᠍ ᘌ َذْ رَ ؤُ ᠑ᝏ مْ فِ ᘭهِ .
‘তিনি তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের জোড়া সৃষ্টি করেছেন এবং জন্তু-জানোয়ারের মধ্য হতে সৃষ্টি করেছেন
তাদের জোড়া। এভাবে তিনি তোমাদের বংশ বিস্তার করেন।’ (সুরা আশ-শূ’রা : ১১)
৪. আদর্শ পরিবার সুখ-শান্তিও তৃপ্তির কেন্দ্রস্থল ঃ আপন ও প্রিয়জন নিয়ে মিলেমিশে বসবাস করার মধ্যেই
রয়েছে সুখ-শান্তি। আনন্দ-তৃপ্তি ও দুঃচিন্তাহীন জীবন যাপনের মধ্যদিয়ে আদর্শ পরিবারের বিকাশ ঘটে। এ
কারণেই মানুষ আদিকাল হতেই সমাজভুক্ত পারিবারিক জীবনে অভ্যস্ত।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন-
خَ ل᠐ ق َ ل᠐ ᠑ᝣ م مِّ نْ أ᠐ نفُ سِ ᜓ᠑ مْ أ᠐ زْ وَ اجا᠍ لᡒ ᙬ َسْ ك᠑ نُ وۤ ا᠔ إِ ل᠐ يْ هَ ا وَ جَ عَ لَ بَ ᚏ ْنَ ᠑ᝣ م مَّ وَ دَّ ةً وَ رَ حْ مَ ةً .
‘তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকে সৃষ্টি করেছেন তোমাদের জীবন সংগিনী যাতে তোমরা তাদের কাছে
শান্তিপাও এবং তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন।’ (সুরা আর রূম : ২১)
৫. পরিবার একটি শিক্ষায়তন ঃ পারিবারিক জীবনে ছোট-বড় সকল সদস্যের নৈতিক চরিত্র গঠন ও উৎকর্ষ
সাধনের এক বিশেষ সুযোগ রয়েছে। সন্তানকে আদর্শ মানুষরূপে গড়ে তোলার এটাই হলো শ্রেষ্ঠ শিক্ষায়তন। তাই
ইসলাম পারিবারিক জীবনের প্রতি উৎসাহিত করে থাকে এবং সদস্যদের নৈতিক চরিত্র গঠনের উপর গুরুত্বারোপ
করে।
আল-কুরআনে ঘোষিত হয়েছেÑ
ᘌ ٰأ᠐ يُّ هَ ا ٱلᡐ ذِ ينَ آمَ نُ وا᠔ قُ وۤ ا᠔ أ᠐ نفُ سَ ᜓ᠑ مْ وَ أ᠐ هْ لِ ᘭᜓ᠑ مْ نَ ارا᠍ .
‘হে মুমিনগণ ! তোমরা নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে আগুন থেকে বাঁচাও।’ (সুরা আততাহরীম : ৬)
ইসলামী পরিবারে কি শিক্ষা দেয়া হবে সন্তানের উদ্দেশ্যে হযরত লুকমানের নসীহতের মধ্যে তার একটি চমৎকার
রূপরেখা ফুটে উঠেছে, যা আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কুরআনে উল্লেখ করেছেনÑ
يٰ بُ نَ ىَّ ᢻ َᘻ ُشْ ر᠒ كْ ᗷ ِٱللᡐ هِ إِ نَّ ٱلشِّ رْ كَ ل᠐ ظ᠑ ل᠔ مٌ عَ ظِ ᘭمٌ
‘হে বৎস! আল্লাহর সাথে শিরক করো না। নিশ্চয় শিরক বড় জুলুম।’ (সুরা লুকমান : ১৩)
َةَ ᢿ ٱلصَِّ مِ ق ᠐أ ىََّ نُ بٰ ي ‘হে বৎস! সালাত কায়েম করবে।’ (সুরা লুকমান : ১৭)
وَ أ᠔ مُ رْ ᗷ ِٱل᠔ مَ عْ رُ وفِ وَ ٱنْ هَ عَ ن᠒ ٱل᠔ مُ نْ ᜻᠐ ر᠒ .
‘এবং ভাল কাজের আদেশ দিবে এবং অন্যায় কাজে নিষেধ করবে।’ (সুরা লুকমান : ১৭)
وَ ٱصْ بِ رْ عَ ل᠐ ىٰ مَ ቯ أ᠐ صَ اᗷ َكَ إِ نَّ ذ ٰ لِ كَ مِ نْ عَ زْ مِ ٱلأُ مُ ور᠒ .
‘বিপদ-আপদে ধৈর্য ধারণ করবে। এটাই তো দৃঢ়সংকল্পের কাজ।’ (সুরা লুকমান : ১৭)
وَ ᢻ َتُ صَ عِّ رْ خَ دَّ كَ لِ لنَّ اس᠒ .
‘আর অহংকার বশে তুমি মানুষকে অবজ্ঞা করবে না।’ (সুরা লুকমান : ১৮)
وَ ᢻ َتَ مْ ش᠒ فِ ى ٱلأَ رْ ض᠒ مَ رَ حا᠍ إِ نَّ ٱللᡐ هَ ᢻ َᘌ ُحِ بُّ ᛿᠑ لَّ مُ خْ تَ الٍ فَ خُ ور᠏ .
‘এবং পৃথিবীতে উদ্ধতভাবে বিচরণ করবে না। নিশ্চয় আল্লাহ কোন উদ্ধত অহংকারীকে পছন্দ করেন না।’ (সুরা
লুকমান : ১৮)
وَ ٱقْ صِ دْ فِ ى مَ شْ ᘭ ِكَ .
‘তুমি পদক্ষেপ করবে সংযতভাবে’ (সুরা লুকমান : ১৯)
وَ ٱغْ ضُ ضْ مِ ن صَ وْ تِ كَ إِ نَّ أ᠐ نك᠐ رَ ٱلأَ صْ وَ اتِ ل᠐ صَ وْ تُ ٱل᠔ حَ مِ ير᠒ .
‘এবং তোমার কণ্ঠধ্বনি নিচু করবে। নিশ্চয় সুরের মধ্যে গাধার সুরই সর্বাপেক্ষা অপ্রীতিকর।’ (লুকমান : ১৯)
মহানবী (সা.) পরিবারকে একটি উত্তম শিক্ষাগার হিসেবে উল্লেখ করে বলেন-
مـروا اولاد᛿ــم ᗷالصــلوة و هــم ابنـاء ســبع سـنين واضــرᗖوهم عليهـا وهــم ابنــاء
عشر سنين و فرقوا بᚏنهم فى المضاجع .
‘তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে সালাত আদায়ের আদেশ দেবে যখন তাদের বয়স সাত বছরে পৌঁছে এবং এ
জন্য মারধর করবে যখন তাদের বয়স দশ বছরে পৌঁছে। আর তখন তাদের জন্য আলাদা শয্যার ব্যবস্থা করবে।’
(আবু দাউদ)
এভাবে শিক্ষাদানের মাধ্যমে সন্তানদেরকে গড়ে তোলা ইসলামী পরিবারের অন্যতম কর্তব্য।
৬. পারস্পরিক দায়িত্ববোধ ঃ মুসলিম পরিবারের প্রত্যেক সদস্যেরই যথারীতি দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। আর
প্রতিটি সদস্যই দায়িত্ববোধে সচেতন থাকবেন। একে অপরকে সৎ কাজে উপদেশ ও উৎসাহ দেবেন এবং অসৎ
কাজ থেকে বিরত রাখবেন। অভিভাবক ইসলামী ভাবধারায় পরিবার পরিচালনা করবেন। বড়রা ছোটদের উত্তম
বিষয়গুলো শিক্ষা দেবেন। জীবন চলার প্রতিটি ক্ষেত্রে পর¯পরে পূর্ণ সহযোগিতা করবেন। এমনকি, মহান প্রভুর
সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ইসলামসম্মত সকল দায়িত্ব ও কর্তব্য সুষ্ঠুভাবে পালন করবেন।
৭. মুসলিম পরিবারের প্রধান ঃ ইসলামী পারিবারিক জীবনে পুরুষকে পরিবারের কর্তা বা অভিভাবক নিযুক্ত করে
তার উপর ভরণ-পোষণ, শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়-দায়িত্ব অর্পণ করেছে। মহান আল্লাহতা‘আলা বলেন-
(৩৪ : নিসা-আন সুরা (’র্।াকত রদেী স্ত্র‘পুরুষগণ ٱلرِّ جَ الُ قَ وَّ امُ ونَ عَ ل᠐ ى ٱل ِّ سَ ቯءِ
মহানবী (সা.) বলেনÑ
الرجل راع على اهل بᚏته و هو مسؤل عن رعيته.
‘প্রত্যেক পুরুষ নিজ পরিবারের লোকদের তত্ত¡াবধায়ক এবং সে নিজের অধীনস্থদের সম্বন্ধে জিজ্ঞাসিত হবে।’
(বুখারী ও মুসলিম)
তাই স্ত্রী, সন্তান, দাসদাসী ও অন্যান্য অধীনস্থলোকজন তাকে মেনে চলবে এবং তার আনুগত্য করবে যতক্ষণ
পর্যন্তইসলামের বিধান অনুযায়ী চলতে আদেশ করেন বস্তুত পরিবার প্রধানের এবং তার আনুগত্য করা ইসলামের
নির্দেশ।
৮. স্ত্রীর কর্তব্য ঃ মুসলিম পারিবারে স্বামী যেমন রাজা, স্ত্রী তেমনি অনুগত রাণী। স্ত্রী স্বামীর স¤পদ, সন্তান-সন্ততি
ও সংসার সম্পর্কে সচেতন থাকবেন। সর্বদা স্বামীর সাথে পরামর্শ করে কাজ করবেন। প্রতিটি কাজে স্বামীর
আনুগত্য প্রকাশ করা প্রয়োজন। এ প্রসঙ্গে মহানবী (সা.) বলেন-
المرأة راعᘭة على اهل بᛳت ز وجها و ولدها وهى مسئو لة عنها.
‘স্ত্রী তার স্বামীর সংসার ও তার সন্তানাদির অভিভাবক। তার এ দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে।’ (বুখারী ও মুসলিম)
৯. ভক্তি-সম্মান ও ¯েœহ-মমতার উৎস স্থল ঃ মুসলিম পরিবার দাবি করে ছোট-বড় নির্বিশেষে সকল সদস্যের
প্রতি শ্রেণিমত ভক্তি-সম্মান এবং আদর-¯েœহে, মমতামাখা আচরণ। বড়রা ছোটদের ¯েœহের পরশ দিয়ে মানুষরূপে
গড়ে তলবে। আর ছোটরা বড়দের সাথে সম্মান দিয়ে তাদের মেনে চলবে। মহানবী (স) এ প্রসঙ্গে বলেনÑ
من لم يرحم صغيرنا و لم يؤقر كبيرنا فلᛳس منا.
‘যে ব্যক্তি ছোটদের ¯েœহ করে না ও বড়দের সম্মান করে না সে আমাদের দলভুক্ত নয়।’ (আবু দাউদ)
১০. পারস্পরিক প্রীতি ও ভালবাসামাখা পরিবেশ ঃ পারস্পরিক প্রীতি-ভালবাসা, সহানুভূতি ও প্রেমই মুসলিম
পরিবারের এনে দেয় স্বর্গসুখ। প্রিয়নবী (স) বলেনÑ
ترى المؤمنين فى تراحمهم و توادهم و تعاطفهم.
‘তুমি মুমিনগণকে তাদের পরস্পরের প্রতি দয়া প্রদর্শন, ভালবাসা প্রদর্শন এবং পার¯পরিক সহানুভূতি প্রদর্শনের
মধ্যে দেখতে পাবে।’ (বুখারী ও মুসলিম)
কবির ভাষায়Ñ
“প্রীতি প্রেমের পুণ্য বাঁধনে
যবে মিলি পরস্পরে,
স্বর্গ আসিয়া দাঁড়ায় তখন
আমাদেরই কুঁড়ে ঘরে।”
১১. আর্থ-সামাজিক নিরাপত্তা ঃ আদর্শ পরিবার তার সদস্যদের আর্থ-সামাজিক ও দাম্পত্য জীবনের নিরাপত্তা
এনে দেয়। পরিবারবিহীন মহাশূন্যতা ও নিরাপত্তাহীনতা মানুষকে নোঙরবিহীন নৌকার মতো স্থিতিহীন করে
দেয়। আল-কুরআনে এদিকে ইঙ্গিত করে ঘোষিত হয়েছেÑ
وَ أ ◌ُ حِ لَّ ل᠐ ᠑ᝣ مْ مَّ ا وَ رَ اءَ ذ ٰ لِ ᠑ᝣ مْ أ᠐ ن تَ ᙫ ْتَ غُ وا᠔ ᗷ ِأ᠐ مْ وَ الِ ᠑ᝣ مْ مُّ حْ صِ نِ ينَ غَ يْ رَ مُ سَ افِ حِ ينَ .
‘মুহাররাম মেয়েলোক ছাড়া অন্য সব মেয়েলোক বিয়ে করা তোমাদের জন্য বৈধ করা হয়েছে এ উদ্দেশ্যে যে,
তোমরা তোমাদের ধন-সম্পদের বিনিময়ে তাদের লাভ করতে চাইবে নিজেদের চরিত্র দুর্জয় দুর্গের মত সুরক্ষিত
রেখে এবং বন্ধনহীন অবাধ যৌনাচার করা থেকে বিরত থেকে।’ (সুরা আন-নিসা : ২৪)
ইমাম রাগিব বলেন, ‘বিয়েকে দুর্গ বলা হয়েছে একারণে যে, তা স্বামী-স্ত্রীকে সকল প্রকার লজ্জাকর কুশ্রী কাজ
থেকে দুর্গবাসীদের মতই বাঁচিয়ে রাখে।’ (আল-মুফরাদাত)
আল-কুর’আনে বলা হয়েছে ঃ
فَ مَ ـــا ٱسْ ـــتَ مْ تَ عْ تُ مْ ᗷ ِـــهِ مِ ــن ْ هُ نَّ فَ ـــቯتُ وهُ نَّ أ᠑ جُ ــورَ هُ نَّ فَ ᠒ᖁ ᗫضَ ـــةً وَ ᢻ َجُ نَ ـــاحَ عَ ل᠐ ـــᘭ ْ᠑ᝣ مْ فِ ᘭمَ ـــا
تَ رَ اضَ ᚏ ْتُ مْ ᗷ ِهِ مِ ن ᗷ َعْ دِ ٱل᠔ فَ ᠒ᖁ ᗫضَ ةِ
‘তাদের মধ্যে যাদের তোমরা সম্ভোগ করেছ তাদের নির্ধারিত মাহর আদায় করবে। মাহর নির্ধারণের কোনো
বিষয়ে পরষ্পর রাযী হলে তাতে তোমাদের কোন দোষ নেই।’ (সুরা আন-নিসা : ২৪)
স্বামী পরিবারের প্রধান হিসেবে স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততির আর্থিক দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ফলে আর্থ-সামাজিক নিরাপত্তা
বিধানে পরিবারের গুরুত্ব সীমাহীন।
ودينار انفقته على اهلك اعظمها أجرا الذى انفقته على اهلك.
‘প্রতিদানের দিক থেকে ঐ দীনারটিই তোমার জন্য সর্বোত্তম যে দীনার তোমার নিজ পরিবারের জন্য খরচ
করেছ।’ (মুসলিম)
১২. সমাজ-সভ্যতার ভিত্তি স্তর ঃ পারিবারিক জীবনের মধ্যেই মুসলমানদের সামাজিক জীবনের সূচনা হয়।
সমাজ-সভ্যতা ও মানবতার অগ্রগতি পারিবারিক জীবনকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে। সুতরাং সমাজ-সভ্যতার ও
মানবতার ভিত্তিস্তর হচ্ছে পরিবার। মানব সভ্যতার সূচনালগ্নই পরিবার থেকে। আর পরিবারই মানব সভ্যতার
পবিত্রতম ভিত্তি। এ জন্যই পরিবার গঠনের প্রতি ইসলামের বিশেষ তাগিদ রয়েছে । মহানবী (সা.) ঘোষণা
করেছেন الاسـلام فـى صـرورة لا ‘কুমারিত্ব বা অবিবাহিত নিঃসঙ্গ জীবনযাপনের কোন নিয়ম ইসলামে
নেই।’ (মুসনাদ আহমদ) এ জন্যই ইসলামে বিবাহের গুরুত্ব সীমাহীন।
১১. কুরআন ও সুন্নাহর নীতির ভিত্তিতে গড়া ঃ ইসলামী পরিবার কুরআন-সুন্নাহর নীতির ভিত্তিতে তথা
ইসলামী জীবন বিধান অনুযায়ী গড়ে উঠবে। আল্লাহর বিধানের আওতায়ই স্বামী-স্ত্রী দাম্পত্য বন্ধনে আবদ্ধ হয়
এবং সন্তান জন্মদান করে। আর এই বিধান মতই একে অন্যের প্রতি দায়িত্ব কর্তব্য পালন করে থাকে।
১২. পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থা ঃ ইসলামী পরিবারের অন্যতমরূপ হল যে, ইসলামী পরিবার পিতৃতান্ত্রিকভাবে গড়ে
উঠে। এই পরিবারের কর্তা থাকেন পিতা। পিতার অনুপস্থিতিতে মাতা বা বড় ভাই পরিবারের দায়িত্ব পালন
করেন। পিতা যেমন শ্রদ্ধেয়, তেমনি দায়িত্বশীলও থাকেন। আল্লাহ তা’আলা বলেনÑ
ٱلرِّ جَ ـالُ قَ وَّ امُ ـونَ عَ ل᠐ ــى ٱل  ِّ سَ ـቯءِ ᗷ ِمَ ـا فَ ضَّ ــلَ ٱللᡐ ـهُ ᗷ َعْ ضَ ـهُ مْ عَ ل᠐ ــىٰ ᗷ َعْ ـض᠏ وَ ᗖ ِمَ ـቯ أ᠐ نْ فَ قُ ــوا᠔
مِ نْ أ᠐ مْ وَ الِ هِ مْ فَ ٱلصَّ الِ حَ اتُ قَ انِ تَ اتٌ حَ افِ ظ᠐ اتٌ لᡒ ل᠔ غَ ᘭ ْبِ ᗷ ِمَ ا حَ فِ ظ᠐ ٱللᡐ هُ .
‘পুরুষরা নারীর কর্তা, কারণ আল্লাহ তাদের এক দলকে অপর দলের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। এজন্য যে,
পুরুষরা তাদের ধন-সম্পদ ব্যয় করে। সতী নারীরা আনুগত্যপরায়ণ হয়ে থাকে এবং পুরুষদের অনুপস্থিতিতে
আল্লাহর তত্ত¡াবধানে ও পর্যবেক্ষণের অধীনে তাদের অধিকার রক্ষা করে।’ (সুরা আন- নিসা : ৩৪)
১৫. পরস্পরের পরিপূরক ঃ ইসলামী পরিবারে স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের সহায়ক ও সম্পূরক হয়ে থাকে। এরা একে
অপরের প্রতিদ্ব›দ্বী নয়। পর¯পরে সম্মিলিতভাবে সংসারের উন্নতি করে থাকে। একে অন্যের সম্মান ও সৌন্দর্য
বৃদ্ধি করে। আল্লাহ তা’আলা বলেনÑ
هُ نَّ لِ ᘘ َاسٌ لᡐ ᠑ᝣ مْ وَ أ᠐ نْ تُ مْ لِ ᘘ َاسٌ لᡐ هُ نَّ .
‘তারা তোমাদের ভূষণ আর তোমরা তাদের ভূষণ।’ (সুরা আল-বাকারা : ১৮৭)
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন ঃ الѧالرج قائقѧش اءѧالنس اѧانم ‘নিশ্চয় নারীরা পুরুষদের অংশ’। (আহমদ,
তিরমিযী, আবু দাউদ) এ্যরিস্টটলের মতে পরিবার একটি অতি স্বাভাবিক মানবীয় সংস্থা। মানুষের মৌলিক
প্রয়োজনাবলি পূরণের জন্য তার প্রয়োজন একজন সহকারীর-সাহায্যকারীর-সহকর্মীর। আর স্ত্রী-ই যে তার
সর্বপ্রথম সর্বপ্রধান সহকারী, সাহায্যকারী হতে পারে তা স্বীকার না করে উপায় নেই। পরিবার হচ্ছেÑ প্রথম
স্বাভাবিক সমাজ-জনসম্মিলন। কেননা, এ সম্মিলন স্ত্রী-পুরুষের অন্তঃস্থিত স্বাভাবিক তৃপ্তির অনুভূতির ফলশ্রæতি।
বস্তুত পারিবারিক জীবনে নারী-পুরুষ যেন একটি বৃক্ষমূল থেকে উদ্ধৃত দু’টো শাখা। আল্লাহ তা’আলা বলেনÑ
وَ ٱل᠔ مُ ؤْ مِ نُ ـونَ وَ ٱل᠔ مُ ؤ ْ مِ نَ ـاتِ ᗷ َعْ ضُ ـهُ مْ أ᠐ وْ لِ ᘭ َـቯءُ ᗷ َعْ ـض᠏ ᘌ َـأ᠔ مُ رُ ونَ ᗷ ِـٱل᠔ مَ عْ رُ وفِ وَ ᗫ َنْ هَ ـوْ نَ عَ ـن᠒
ٱل᠔ مُ نْ ᜻᠐ ر᠒ .
‘মুমিন পুরুষ ও নারী পরস্পরের বন্ধু, তারা সৎ কাজের আদেশ করে এবং অন্যায় কাজ থেকে নিষেধ করে।’
(সুরা আত-তাওবা : ৭১)
১৬. দায়িত্বের ক্ষেত্রে ভিন্নতা ঃ ইসলামী পরিবারে স্বামী-স্ত্রীর দায়িত্বের ক্ষেত্র ভিন্ন। পুরুষের কর্মক্ষেত্র সাধারণত
বাইরের অঙ্গন। বাইরের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকে পুরুষ। আর সাধারণতঃ পরিবারের অভ্যন্তরের দায়িত্বে থাকে
নারী।
মহানবী (সা.) বলেনÑ
المرأة راعᘭة على اهل بᛳت زوجها وولدها و هى مسئولة عنها.
‘স্ত্রী তার স্বামীর সংসার ও সন্তানদের তত্ত¡াবধানকারিণী। তাকে এ দায়িত্ব সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করা হবে।’ (বুখারী ও মুসলিম)
মহিলারাও বাইরের ক্ষেত্রে শালীনতা ও ভদ্রতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে পারেন। ইসলাম তাদেরকে সে
অনুমতি প্রদান করেছে। তবে ভারী ও কঠোর পরিশ্রমের কাজের অনুমতি দেয় না, এবং তাদের জন্য পৃথক
কর্মক্ষেত্র হওয়া যুক্তিযুক্ত ও বাঞ্চনীয় মনে করে।
১৭. বৈধ উপার্জন ঃ ইসলামী পরিবারে সবাই বৈধ উপার্জন করে কিনা পরিবারের কর্তা সেদিকে খেয়াল রাখেন।
সদস্যদের হালাল উপায়ে উপার্জনের ব্যবস্থা করেন। হারামভাবে উপার্জিত অর্থ দ্বারা যাতে ভরণ-পোষণের ব্যবস্থা
না হয় সে দিকে সতর্ক থাকেন। ফলে পরিবার থেকেই উপার্জনের চেতনা জাগ্রত হয়। মহানবী (সা) বলেনÑ
كسب الحلال فᗫᖁضة ᗷعد الفᗫᖁضة.
‘হালাল উপার্জন ফরযের পরে একটি ফরয।’ (বায়হাকী)
১৮. জবাবদিহিতামূলক ব্যবস্থা বর্তমান ঃ ইসলামী পরিবার একটি জবাবদিহিমূলক দায়িত্বশীল সংস্থা।
পরিবারের সকলের কাজকর্মের এবং অধিকার ও কর্তব্যের জন্য যেমন পরিবারে জবাবদিহি করতে হয়, তেমনি
আল্লাহর দরবারেও জবাবদিহি করতে হবে।
১৯. প্রশিক্ষণালয় ঃ ইসলামী পরিবারে শিশুদের ¯েœহ, মমতা, ভক্তি, শ্রদ্ধা, সহানুভূতি, সমবেদনা, উদারতা,
ত্যাগ ইত্যাদি সামাজিক মানবীয় গুণাবলির প্রশিক্ষণ হয়ে থাকে।
২০. শান্তির নীড় ঃ আদর্শ পরিবার একটি শান্তির নীড়। পরিবার একটি অনন্তশান্তিনিকেতন, তৃপ্তি আর প্রশান্তির
আবাসভূমি।
وَ مِ نْ آᘌ َاتِ هِ أ᠐ نْ خَ ل᠐ قَ ل᠐ ᠑ᝣ م مِّ نْ أ᠐ نفُ سِ ᜓ᠑ مْ أ᠐ زْ وَ اجا᠍ لᡒ ᙬ َسْ ك᠑ نُ وۤ ا᠔ إِ ل᠐ يْ هَ ا وَ جَ عَ لَ بَ ᚏ ْنَ ᠑ᝣ م مَّ وَ دَّ ةً
وَ رَ حْ مَ ةً .
‘আর তাঁর নিদর্শনের মধ্যে একটি নিদর্শন এই যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য হতে তোমাদের
সঙ্গিনীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তিতে থাকতে পাও এবং তিনি তোমাদের মধ্যে
পার¯পরিক স¤প্রীতি ও দয়া সৃষ্টি করেছেন’। (সুরা আর-রূম : ২১)
وَ ٱللᡐ هُ جَ عَ لَ ل᠐ ᠑ᝣ مْ مِّ ن بُ يُ وتِ ᜓ᠑ مْ سَ ك᠐ نا᠍ লনÑবে আরও তা‘আলা আল্লহ
‘আর আল্লাহ তোমাদের জন্য তোমাদের ঘরকে করেছেন আবাসস্থল’। (সুরা আন-নাহল : ৮০)
সারকথা
পরিবার হচ্ছে সমাজ জীবনের প্রথম ভিত্তি ও মৌলিক প্রতিষ্ঠান। একটি আদর্শ সমাজ-সভ্যতা গড়ে তোলার জন্য
সুষ্ঠু, পূত-পবিত্র পরিবারিক জীবন অত্যন্তজরুরি। একটি আদর্শ পরিবার গঠনে যেসব উপায় উপকরণ দরকার
তার সব কিছূই ইসলামে বিদ্যমান। তাই ইসলামী পরিবার প্রথা এক গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা।
পারিবারিক জীবনের উদ্দেশ্য হচ্ছে সুখ-শান্তি, তৃপ্তি ও আনন্দঘন পরিবেশে জীবন যাপন করা। আর কেবল
ইসলামী পারিবারিক জীবনবোধ-এর মাধ্যমেই এ উদ্দেশ্য সফল হতে পারে। সুতরাং মানব জীবন যাত্রাকে মহান
আল্লাহর মর্জি অনুসারে পরিচালনা করে ইহ-পরকালীন সাফল্য লাভ করাই ইসলামী পারিবারিক জীবনের মূল
উদ্দেশ্য।
সুষ্ঠু, সুন্দর, সুখী, সমৃদ্ধ আদর্শ জাতি ও সমাজ বিনির্মাণ মুসলিম পারিবারিক জীবনের অন্যতম উদ্দেশ্য। সুষ্ঠু
জাতি গঠনের জন্য সুষ্ঠু পারিবারিক জীবন অপরিহার্য। উত্তরকালে মুসলিম জাতির যে অভ্যুদয় ঘটে তার মূলে ছিল
পারিবারিক দৃঢ়ভিত্তি এবং পারিবারিক জীবনের সুস্থতা ও পবিত্রতা। সুতরাং পারিবারিক জীবনই হল ইসলামী
সমাজের রক্ষাদুর্গ। বস্তুত ইসলামী সমাজবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে পরিবার ও পারিবারিক জীবন হচ্ছে-সমাজ জীবনের
ভিত্তিপ্রস্তর। এখান থেকেই মানুষের শুরু হয় সামাজিক জীবন-যাপনের হাতেখড়ি।
বহু নৈর্বাচনিক প্রশ্ন
১. যৌথ পরিবার কাদের নিয়ে গঠিত হবে?
ক. স্বামী-স্ত্রী, চাকর-চাকরানী নিয়ে খ. স্বামী-স্ত্রী, ভাই-বোন নিয়ে
গ. স্বামী-স্ত্রী, মা-বাবা, সন্তান-ন্ততি নিয়ে ঘ. স্বামী-স্ত্রী, শ্বশুর-শাশুড়ী, মা-বাবা নিয়ে।
২. ইসলামী পরিবার বলতে বুঝায়ক. যে পরিবার ইসলামী আদর্শ ও মূল্যবোধের ভিত্তিতে গড়ে ওঠে
খ. যে পরিবার ইসলামী বিধি-বিধানের বাস্তব অনুসরণ করে
গ. যে পরিবারের সকল সদস্য মুসলমান এবং ইসলামের অনুসারী
ঘ. উপরের সব কয়টি উত্তরই সঠিক।
৩. ‘‘হে পুত্র! সালাত কায়েম করবে’’- এটি কার আদেশ?
ক. হযরত দাউদ (আ.)-এর খ. হযরত আদম (আ.) -এর
গ. হযরত লুকমান (আ.)-এর ঘ. হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর
৪. বিবাহকে দুর্গের সাথে তুলনা করা হয়েছে কেন?
ক. বিবাহের পর স্বামী-স্ত্রী পৃথক ঘরে বসবাস করায়
খ. বিয়ের পর স্ত্রী নিরাপত্তাহীনতা হতে মুক্ত হওয়ায়
গ. স্বামী-স্ত্রী সকল প্রকার অপরাধ হতে দুর্গবাসীদের মতো নিরাপদ হওয়ায়
ঘ. উপরের সকল উত্তরই ভুল।
সংক্ষিপ্ত উত্তর-প্রশ্ন
১. সংক্ষেপে পরিবারের ধারণা দিন।
২. ব্যাখ্যা করুন “পরিবার আল্লাহ তা‘আলার বিধি-নিষেধের বহিঃপ্রকাশ’’।
৩. হযরত লুকমান (আ.)-এর উপদেশাবলি আলোচনা করুন।
৪. ‘পরিবার আর্থ-সামাজিক নিরাপত্তার রক্ষাকবচ’- আলোচনা করুন।
রচনামূলক উত্তর-প্রশ্ন
১. আদর্শ পরিবার বলতে কী বুঝেন? একটি আদর্শ পরিবারের চিত্র তুলে ধরুন।
২. ইসলামী পরিবার বলতে কী বুঝেন? একটি ইসলামী পরিবারের স্বরূপ আলোচনা করুন।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]