তালাকের পরিচয় দিন ও এর উদ্দেশ্যসমূহ বিস্তারিতভাবে আলোচনা করুন।

তালাক কি ?
মানুষের দা¤পত্য জীবনে সুখ-শান্তিপ্রতিষ্ঠিত হওয়া ইসলামের একান্তকাম্য। তদুপরি দাম্পত্য জীবন যখন দুর্বিষহ
হয়ে পড়ে, তখন ইসলাম বিবাহ-বিচ্ছেদ এর অনুমতি প্রদান করেছে, যাকে শরী‘আতের পরিভাষায় তালাক বলা
হয়। মানুষের একান্তপ্রয়োজনে ইসলাম যেমন তালাকের বিধান প্রবর্তন করেছে, তদ্রƒপ বিনা প্রয়োজনে তালাকের
মাধ্যমে নারী জাতির দুর্ভোগ সৃষ্টি করাকেও অন্যায় বলে চিহ্নিত করেছে। এজন্যই রাসূল (স.) বলেছেন, আল্লাহর
নিকট ঘৃণ্যতম বৈধ বিষয় হল তালাক। নি¤েœতালাক এর সংজ্ঞা ও প্রকারভেদ আলোচনা করা হলÑ
তালাকের আভিধানিক অর্থ
طـلاق) তালাক) শব্দের আভিধানিক অর্থ বিভিন্ন মণীষী বিভিন্ন ভাবে বর্ণনা করেছেন। তবে সব কয়টির মূল
অর্থ এক। নি¤েœতালাক এর আভিধানিক অর্থ প্রদান করা হলÑ
১. دᘭالق ازالة) বাঁধন দূর করা)
২. ةᘭالتحل)ে ছড়ে দেওয়া / মুক্ত করে দেওয়া)
৩. قᗫᖁالتف) পৃথক করে দেওয়া / বিচ্ছেদ ঘটানো)
৪ دᘭالق رفع) বন্ধন তুলে দেওয়া)
৫. دᘭالق حل ঃ الاطلاق) বন্ধন খুলে দেওয়া / ছেড়ে দেওয়া)
৬. الترك ঃ الارسال)ে ছড়ে দেওয়া)
উপরের আভিধানিক অর্থসমূহের প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করলে আমরা দেখতে পাই প্রতিটি অর্থই সমার্থবোধক।
সবগুলোর অর্থ দাঁড়ায় বন্ধন খুলে দেওয়া, মুক্ত করে দেওয়া, ছেড়ে দেওয়া ইত্যাদি।
পারিভাষিক অর্থ
তালাক শরী‘আতের এমন একটি বিধান যা নির্দিষ্ট শব্দাবলীর সাহায্যে বিবাহ বন্ধনকে ছিন্ন করে। সহজে এভাবেও
বলা যায়, নির্দিষ্ট কতিপয় শব্দ ব্যবহার করে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রতিষ্ঠিত বৈবাহিক বন্ধনকে ছিন্ন করার নাম
তালাক।
তবে তালাক প্রদানকারীর মধ্যে কতিপয় শর্ত পাওয়া যেতে হবে, যা নি¤œরূপ-
 প্রাপ্ত বয়স্ক হতে হবে, অপ্রাপ্ত বয়স্ক বালকের তালাক গ্রহণযোগ্য নয়।
 জ্ঞান সম্পন্ন হতে হবে, পাগল ব্যক্তির তালাক গণ্য হবে না।
 তালাক প্রদানকারী চেতনা সম্পন্ন হতে হবে। ঘুমে অচেতন ব্যক্তির তালাক গণ্য হবে না।
 অন্য কারো চাপের মুখে তালাক প্রদান করলে তালাক গণ্য হবে না।
কেউ যদি রাগান্বিত অবস্থায় বা হাসি-তামাশাছলে তালাক প্রদান করে তার তালাক কার্যকর হবে। হাদীসে
এসেছে- তালাকের ক্ষেত্রে হাসি-তামাশা ও রাগান্বিত হওয়া স্বাভাবিক অবস্থার অনুরূপ।
তালাকের উদ্দেশ্য
কুরআন মাজীদ একদিকে যেমন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বণিবনা না হলে মিলমিশ রক্ষা করে শান্তিপূর্ণ জীবন যাপনের সুষ্ঠু
ব্যবস্থা বর্ণনা করেছে, অনুরূপভাবে উভয়ের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটানোর কার্যকর নিয়ম-কানুন পেশ করেছে।
ইসলামের এ ব্যবস্থা মোটেও নিরর্থক নয়। এ ব্যাপারে কোন প্রকার জুলম, অবিচার, নির্যাতন ও সীমালংঘনের
অনুমতি দেয়া হয়নি। কোন বাস্তব কারণ ও কল্যাণ ছাড়া স্ত্রীকে তালাক দেওয়া কিংবা স্বামীর কাছ থেকে তালাক
গ্রহণের কাজকে আদৌ পছন্দ করা হয়নি। কি স্ত্রী আর কি স্বামী কাউকে বিনা অপরাধে কোন প্রকার কষ্ট দেওয়া
ইসলামের দৃষ্টিতে সুস্পষ্ট হারাম। নিম্নেতালাকের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বর্ণনা করা হল।
পারিবারিক জীবনকে চূড়ান্তবিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করা
ইসলামে তালাকের সুযোগ বিধিবদ্ধ করা হয়েছে পারিবারিক জীবনে চূড়ান্তবিপর্যয় থেকে স্বামী ও স্ত্রী উভয়কে
বাঁচাবার জন্যে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যখন চরমভাবে ভাঙ্গন দেখা দেয়, পরস্পর মিলে মিশে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে
শান্তিপূর্ণ ও মাধুর্যপূর্ণ জীবন যাপন যখন একেবারেই অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়, পারস্পরিক সম্পর্ক যখন হয়ে পড়ে
তিক্ত, বিষাক্ত এক জনের মন যখন অপর জন থেকে এমনভাবে বিমুখ হয়ে যায় যে, তাদের শুভ মিলনের আর
কোন আশাই থাকে না, ঠিক তখনই এ চূড়ান্তপন্থা অবলম্বনের নির্দেশ রয়েছে।
সীমালংঘন থেকে ব্যক্তি ও সমাজকে রক্ষা করা
সীমালংঘন থেকে ব্যক্তি ও সমাজকে রক্ষা করা এবং সকল অবস্থায় ভারসাম্যপূর্ণ ও মধ্যম পন্থা অবলম্বন করার
সুযোগ দানের উদ্দেশ্যে তালাকের নিয়ম প্রবতির্ত হয়েছে। কেননা তালাক বা বিচ্ছেদের ব্যবস্থা না থাকলে যে
কোন অবস্থায়ই হোক না কেন, বিবাহ সম্পকর্কে বাঁচিয়ে রাখতে মানুষ বাধ্য হত। অথচ এমন অবস্থা দেখা দেওয়া
অসম্ভব নয় যে, স্বামী-স্ত্রীর একজন চরিত্রহীন হবে কিংবা উভয়ের মানব প্রকৃতি এমন অনমনীয় হয়ে পড়বে যে,
কারো পক্ষেই অপরকে বরদাশ্ত করা আদৌ সম্ভব হচ্ছে না; পরস্পরের মনোভাব, দৃষ্টিভঙ্গি, চাল-চলন,
উদ্দেশ্য-লক্ষ্য পরস্পর বিরোধী, শুধু বিরোধীই নয়, সাংঘর্ষিকও বটে, যার ফলে উভয়ের সাথে প্রতি মুহূর্ত কেবল
ঝগড়া-বিবাদ, তর্ক-বিতর্ক আর গালাগাল দেওয়ার অবস্থারও উদ্ভব হয়ে পড়ে। আর দুজনের কেউই না পারে
শরী‘আতের সীমা রক্ষা করে চলতে এবং না পারে পরস্পরের অধিকার যথাযথভাবে আদায় করতে। এরূপ অবস্থায়
চূড়ান্তবিচ্ছেদই উভয়ের নিকট কাম্য হয়ে পড়ে। আইনসম্মতভাবে এ বিচ্ছেদের ব্যবস্থা না থাকলে উভয়েরই
জীবন ধ্বংস হয়ে যেতে বাধ্য এবং উভয়ই সীমালঙ্ঘন করতে উদ্ধত হয়ে পড়ত।
ফিকহবিদদের মতেও তালাক মূলত নিষিদ্ধ। তবে তালাক না দিয়ে যদি কোন উপায়ই না থাকে, তাহলে তা
অবশ্যই জায়েয হবে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শত্রæতা ও হিংসা-বিদ্বেষের ভাব যদি এমন হয়ে দাঁড়ায় যে, একত্র জীবন
সম্পূর্ণ অসম্ভব হয়ে পড়ে, একত্র জীবনে আল্লাহর নিয়ম-বিধান রক্ষা করা সম্ভবপর না হয়, তখনই এ তালাকের
আশ্রয় নিতে হয়।
অন্যায় ও জুলম থেকে মুক্তিলাভ
ফিকাহবিদগণ বলেন- তালাক-ব্যবস্থা হচ্ছে, অন্যায়, জুলম ও নিদারুণ কষ্ট, জ্বালাতন ও উৎপীড়ন থেকে
নি®কৃতি লাভের পন্থা। ফিকহ শাস্ত্রের ভাষায় বলা হয়েছেÑ
ومن محاسنه التخلص من المᜓارە .
‘তালাকের সৌন্দর্য হল কষ্টকর অশান্তিথেকে অব্যাহতি লাভ।’
পারিবারিক শাস্তির প্রয়োজন
বস্তুত আল্লাহ্ তা’আলা তালাককে শরী‘আত সম্মত করেছেন। কেননা পারিবারিক জীবনে এর প্রয়োজন দেখা দিতে
পারে। তবে বিনা প্রয়োজনেÑ স্ত্রীর কোন গুরুতর দোষ-ত্রæটি ছাড়া তালাক দেওয়া একান্তঅন্যায় এবং মারাত্মক
অপরাধ। এ সম্পর্কে ইসলামের মণীষীগণ সম্পূর্ণ একমত। ইমাম আবূ হানীফা এগুরুত্ব সহকারে উল্লেখ করেছেন।
ইসলামের সুস্পষ্ট ভাষায় ঘোষিত সাধারণ নীতি হলঃ ولاضـرار لاضـرر ‘না নিজে ক্ষতি স্বীকার করবে, না
অন্যকে ক্ষতিগ্রস্তকরবে।’ অথচ অকারণে তালাকের দরুন স্ত্রীকে অপূরণীয় ক্ষতি ও অপমান-লাঞ্ছনার সম্মুখীন
হতে হয়। প্রখ্যাত ফিকহবিদ ইবন আবেদীন বলেছেনÑ তালাক মূলত নিষিদ্ধ, কিন্তু দাম্পত্য জীবনে সম্পর্ক যখন
এত বিষাক্ত হয়ে পড়ে যে, তা থেকে নি®কৃতি লাভ অপরিহার্য হয়ে পড়ে, তখন তা অবশ্যই জায়েয হবে।
পক্ষান্তরে বিনা কারণে যদি স্ত্রীকে তালাক দেয়া হয়, তার পরিবার-পরিজনকে, সন্তান-সন্ততি, পিতামাতা এবং
ভাই-বোনদেরকে কঠিন কষ্টদান করার জন্য, তাহলে এ তালাক একেবারেই জায়েয নয়। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ছিন্ন
করে ফেলা কেবলমাত্র তখনই সঙ্গত হতে পারে, যখন তাদের উভয়ের স্বভাব-প্রকৃতিতে এতদূর পার্থক্য সৃষ্টি হয়;
আর পরস্পরের মধ্যে এতদূর শত্রæতা বেড়ে যায় যে, তারা মিলিত থেকে আল্লাহর বিধানকে পালন ও রক্ষা করতে
সক্ষম নয়। এরূপ অবস্থার সৃষ্টি না হলে তালাক সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ও হারামই বিবেচিত হবে। এ জন্য আল্লাহ তা’আলা
ইরশাদ করেছেনÑ
فَ إِ نْ أ᠐ طَ عْ نَ ᠑ᝣ مْ فَ ᢿ َتَ ᘘ ْغُ وا᠔ عَ ل᠐ يْ هِ نَّ سَ ᙫ ِᢿᘭ . ً
‘তারা যদি তোমাদের অনুগত হয় তবে তাদের বিরুদ্ধে কোন পথ অন্বেষণ করো না’ (সূরা আন-নিসা : ৩৪)
বাস্তবিকই কোন প্রকৃত কারণ না থাকা সত্তে¡ও যারা স্ত্রীকে তালাক দেয় তারা মহাঅপরাধী, সন্দেহ নেই। এদের
সম্পর্কেই রাসূলে করীম (স) বলেছেনÑ
ما ᗷال احد᛿م ᘌلعب ᗷحدود الله؟ ᘌقول قد طلقت قد راجعت .
‘তোমাদের কোন ব্যক্তির অবস্থা কি হয়েছে ? তারা কি আল্লাহর বিধান নিয়ে তামাশা খেলছে ? একবার বলে,
তালাক দিয়েছি আবার বলে, পুনরায় গ্রহণ করেছি।’ (ইবনে মাজা)।
রাসূল (স.) আরও বলেছেনÑ
أᘌلعب ᗷكتاب الله و أنا بين أظهر᛿م .
‘তারা কি আল্লাহর কিতাব নিয়ে তামাশা করছে অথচ আমি তাদের মাঝেই রয়েছি’? (সুনানে নাসাঈ)
মুক্তির সর্বশেষ উপায়
রাসূলে করীমের উল্লিখিত বাণীসমূহ থেকে একথা স্পষ্ট বোঝা যায় যে, ‘তালাক’ কোন সাধারণ বিষয় নয়, মুখে
এল আর তালাকের শব্দ উচ্চারণ করে ফেললাম, তা মোটেও এরূপ সহজ ও হালকা বিষয় নয়। বরং এ হচ্ছে
অতি সাংঘাতিক কাজ। মানুষের জীবন, মান-সম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলার কাজ হচ্ছে এটা, নি®কৃতির সর্বশেষ
উপায় হিসেবে ইসলামে তার অবকাশ রাখা হয়েছে। হযরত মা‘আয থেকে বর্ণিত হাদীসের ভাষা থেকেও এ
কথারই সমর্থন পাওয়া যায়। রাসূলে করীম (স.) বলেছেনÑ
و ما خلق الله شᚏئا أᗷغض الᘭه من الطلاق .
‘আল্লাহ তা‘আলা তালাক অপেক্ষা অধিকতর ঘৃণিত জিনিস আর কিছুই সৃষ্টি করেননি।’ (দারাকুতনী)
হযরত আলী (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলের নি¤েœাক্ত বাণী থেকেও তালাকের ভয়াবহতা ও ভয়ংকরতা স্পষ্ট বুঝতে
পারা যায়। বাণীটি নি¤œরূপÑ
تزوجوا ولا تطلقو ا فان الطلاق يهتز منه العرش .
‘তোমরা বিয়ে করো কিন্তু তালাক দিও না। কেননা তালাক দিলে আল্লাহর আরশ কেঁপে উঠে।’ (তাফসীর
কুরতুবী)
সমাজে এমন লোকের অভাব নেই, যারা মৌমাছির মত ফুলে ফুলে মধু খেয়ে বেড়ানোর অভ্যাসের দাস। এদের
কাছে না বিয়ের কোন মূল্য আছে, না আছে নারী জীবনের মান-সম্ভ্রমের এক কড়া-ক্রান্তিদাম। এরা বিয়েকে দু’টি
দেহের একই শয্যায় একত্রিত হওয়ার মাধ্যম মনে করে এবং একটি দেহের স্বাদ আকণ্ঠ পান করার পর নতুন এক
দেহের সন্ধানে বেরিয়ে পড়াই তাদের সাধারণ অভ্যাস।
এদের সম্পর্কেই রাসূলে করীম (স.) ইরশাদ করেছেনÑ
تزوجوا ولا تطلقوا. فان الله لا ᘌحب الذواقين والذواقات .
‘তোমরা বিয়ে করো কিন্তু তালাক দিও না। কেননা আল্লাহ তা’আলা সেসব স্ত্রী-পুরুষকে পছন্দ করেন না, যারা
নিত্য নতুন বিয়ে করে স্বাদ গ্রহণ করতে অভ্যস্ত।’ (আহকামুল কুরআন-জাস্সাস)
পারিবারিক স্থিতি সংরক্ষণ
ইসলামে তালাকের ব্যবস্থা আছে বলে পাশ্চাত্য সমাজ ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে। তারা বলেছে,
তালাক ব্যবস্থা থাকায় মনে হচ্ছে ইসলামে নারীর কোন সম্মান নেই, আর বিয়েরও নেই কোন গুরুত্ব ও স্থায়িত্ব।
কিন্তু তালাকের ব্যবস্থাপনায় ইসলাম একক নয়। ইয়াহুদী ধর্মে তালাকের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রাচীন সমাজসমূহেও এর
প্রচলন ছিল। স্বয়ং খ্রিস্টানদের মধ্যেও তালাকের ব্যবস্থা রয়েছে এবং তা অত্যন্তলজ্জাকরভাবে অনুষ্ঠিত হয়ে
থাকে। অথচ ইসলাম এমন এক পারিবারিক ব্যবস্থা উপস্থাপিত করেছে, যা স্বামী ও স্ত্রীÑ উভয়েরই ন্যায়সঙ্গত
অধিকার ও মর্যাদার পূর্ণ নিয়ামক এবং তা পরিবারকে এমনি সুষ্ঠুভাবে গড়ে তোলে, যার ফলে মানব সমাজ হয়
অত্যন্তশান্তিপূর্ণ। নিতান্তপ্রয়োজনের কারণেই তালাকের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কিন্তু তবুও এ ব্যবস্থাকে কেউ
খেলনার ছলে গ্রহণ করে নারীকে অযথা কষ্ট দেবে আর পরিবারের পবিত্রতা বিনষ্ট করবে, তার কোন সুযোগই
রাখা হয়নি।
ইসলাম বিয়ে ও দাম্পত্য জীবনকে চিরদিনের তরে স্থায়ী করে তুলতে চায় এবং মৃত্যু পর্যন্তস্বামী-স্ত্রী হিসেবেই
বসবাস করবেÑএটা তার নির্দেশ। এ কারণেই ইসলামে নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্যে বিয়েকে জায়েয বলে গ্রহণ করা
হয়নি। এরূপ শর্তে কোন বিয়ে যদি সম্পন্ন হয়ও তবে সে বিয়ে চির দিনের জন্যে হয়ে যাবে, আর শর্ত বাতিল বলে গণ্য হবে।
১. এককথায় উত্তর দিন
ক. দা¤পত্য জীবন যখন দুর্বিসহ হয়ে পড়ে ইসলাম তখন কিসের অনুমতি দিয়েছে?
খ. আল্লাহর নিকট সবচেয়ে ঘৃণিত বৈধ কাজ কোনটি?
গ. নির্দিষ্ট কতিপয় শব্দ ব্যবহার করে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রতিষ্ঠিত বৈবাহিক বন্ধনকে ছিন্ন করার নাম কি?
ঘ. পারিবারিক জীবনকে চ‚ড়ান্তবিপর্যয় থেকে রক্ষা করতে কিসের বিধান রয়েছে?
ঙ. ব্যক্তি সমাজ ও পরিবারিক জীবনকে সীমা লঙ্ঘন থেকে রক্ষা করা কিসের উদ্দেশ্য?
সংক্ষিপ্ত উত্তর-প্রশ্ন
১. তালাকের আভিধানিক অর্থসমূহ লিখুন।
২. তালাকের পারিভাষিক অর্থ বর্ণনা করুন।
৩. তালাক প্রদানকারীর মধ্যে কি কি শর্ত পাওয়া যেতে হবে? উল্লেখ করুন।
৪. তালাকের ২টি উদ্দেশ্য লিখুন।
৫. তালাক কখন বৈধ হয় আলোচনা করুন।
বিশদ উত্তর-প্রশ্ন
১. তালাকের পরিচয় দিন ও এর উদ্দেশ্যসমূহ বিস্তারিতভাবে আলোচনা করুন।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]