মূলধন কী ? মূলধনের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ্যসহ মূলধন বিনিয়োগ পন্থাগুলো আলোচনা করুন।

মূলধনের সংজ্ঞা
অর্থনীতিবিদগণের দৃষ্টিতে মূলধন বলা হয় ঐ উৎপাদিত পণ্যকে যা অধিক উৎপাদনের জন্য পুনরায় ব্যবহার করা
সম্ভব। অতএব পণ্যদ্রব্য, যন্ত্রপাতি, শিল্পসামগ্রী, সব কিছুই এর অন্তর্ভুক্ত।
মূলধনের সংজ্ঞায় অর্থনীতিবিদগণ মতভেদ প্রকাশ করেছেন।
বার্মাক বলেন-
এ্যাডাম স্মিথের ভাষয় মূলধন এমন সম্পত্তি যা দ্বারা আয় সম্ভব।
মার্শাল বলেন- আয়ের প্রবাহমান ধারাই মূলধন।
ইধহযড়সব ইধশব এর মতে- মূলধন একটি উৎসাহিত উপকরণ।
লিপসের ভাষায়- মূলধন রয়েছে, “সমস্তমানবসৃষ্ট জিনিস যা নিজের জন্য ভোগ করা হয় না বরং অন্যান্য দ্রব্য
উৎপাদনের সহায়তাকারী সব মানুষের তৈরি উপকরণ যথা হাতিয়ার, কল-কব্জা ও সাজ-সরঞ্জামাদি।”
উপরোক্ত সংজ্ঞা বিশ্লেষণে মূলধনের দু’টি অর্থ প্রতীয়মান হয়১. মূলধন উৎপাদনের উপকরণ
২. মূলধন উৎপাদনের উৎপাদিত উপকরণ
যেহেতু সাধারণ অর্থনীতিতে মূলধনের ক্রিয়ামূলক পারিতোষিক সুদ, সেহেতু ইসলামি অর্থনীতিতে এর ব্যবহার
অত্যন্তসঙ্কটপূর্ণ। অন্যদিকে উৎপাদনের উপকরণ হিসেবে মূলধনের গুরুত্বকে অবহেলার কোন সুযোগ নেই। এ
কারণে মূলধনকে উপকরণ হিসেবে রেখে ইসলামি অর্থনীতিতে একে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করা
হয়েছে। এ. এইচ. এম. সাদেক ইসলামি অর্থনীতির দৃষ্টিতে মূলধনের সংজ্ঞা নিরুপন করেছেন এভাবে ঃ
সব ধরনের বাস্তব ভিত্তিক অভিষ্ট সাধনার্থে ভৌত সামগ্রী নয়, বরং অর্থ সংক্রান্তসম্পদের মূলধন হিসেবে ধরা হয়।
এটা সবারই জানা যে, সাধারণ অর্থনীতিতে সুদ হল মূলধনের অতিরিক্ত অংশ। কোন উদ্যোক্তা বা অর্থনীতিবিদ
দালান-কোঠার সুদ হিসেব করে না। একটা দালান বা মেশিনের সুদ কত ? এটা কি প্রতি বর্গফুটে হিসাব করা হয়
? প্রকৃত রীতি আলাদা, একজন উদ্যোক্তা ব্যাংক থেকে অর্থ নেয় এবং তা দালান-কোঠা ভাড়া, নির্মাণ, মেশিন
ক্রয়, শ্রমিকের মজুরি ইত্যাদিতে ব্যায় করে। অর্থ দিয়ে যে সম্পদ ক্রয় করা হয়েছে তার উপরে নয় বরং যে অর্থ
ধার দেয়া হয়েছে তার উপরই ব্যাংক সুদ ধার্য করে। সে অর্থ দিয়ে শ্রমিক, তত্ত¡াবধায়ক ও ব্যবস্থাপকদের বেতন
দেয়া হয়, তার উপরও সুদকষা হয় কিন্তু এগুলো মূলধন হিসেবে গণ্য করা হয় না। অতএব বাস্তব ক্ষেত্রে অর্থ বা
অর্থ সংক্রান্তসম্পদই মূলধন হিসেবে গণ্য হয়। (এম. এ. হামিদ ঃ ইসলামি অর্থনীতি ঃ ৮০)
উপরোক্ত আলোচনার পরিপেক্ষিতে বলা যেতে পারে- ইসলামি অর্থনীতির দৃষ্টিতে মূলধন বলা হয়ে ঐ সম্পদকে
যা পরিবর্তন বা ব্যয় ছাড়া ব্যবহারযোগ্য নয়। যেমন- নগদ টাকা পয়সা ও পণ্য সামগ্রী।
সাধারণ অর্থনীতিতে মূলধনের ক্রিয়ামূলক পারিতোষিক সুদ। উৎপাদনে লাভ-ক্ষতি যাই হোক না কেন
মূলধনদাতা নির্দিষ্ট হারে সুদ পাবে। কিন্তু ইসলামি অর্থনীতিতে উৎপাদন মূলধন যোগানদাতা মুনাফা পাবে এবং
তাকে উৎপাদনের লাভ-ক্ষতির ঝুঁকি বহন করতে হবে।
মূলধনের অর্থনৈতিক বৈশিষ্ট্য
উৎপাদনের উপকরণ হিসেবে মূলধনের নি¤েœাক্ত বৈশিষ্ট্য উল্লেখ্যযোগ্যঃ
১. সনাতন অর্থনীতিতে মূলধন উৎপাদিত উপকরণ কিন্তু ইসলামি অর্থনীতিতে মূলধন এমন সম্পদ যা পরিবর্তন বা
ব্যয় সাপেক্ষে ব্যবহার্য।
২. ইহা যোগানের ফলাফল।
৩. মূলধন উৎপাদনশীল। মূলধনের বৃদ্ধি উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়ক।
৪. মূলধন ক্ষয়শীল। তার কোন স্থায়িত্ব নেই। কেননা উৎপাদন সামগ্রীসমূহ ব্যবহার শেষে ধ্বংশ প্রাপ্ত হয়।
৫. এটা এক শ্রেণীভুক্ত নয় বরং এর বিভিন্ন আকৃতি-প্রকৃতি ও রূপান্তর বর্তমান।
মূলধনের প্রকারভেদ
উৎপাদনের উপকরণ হিসেবে মূলধন বিভিন্ন প্রকার হয়ে থাকে। যেমন১. গঠনগত দিক থেকে;
ক. আর্থিক মূলধন ঃ তরল অর্থ, প্রায় মুদ্রা, নগদ ক্যাশ।
খ. দৃশ্যমান মূলধন ঃ যন্ত্রপাতি।
২. অভিপ্রায়গতক. উৎপাদনশীল মূলধন ঃ পণ্য সামগ্রী।
খ. আমদানীমূলক মূলধন ঃ শেয়ার।
৩. ব্যাবহার প্রকৃতির দিক থেকে ঃ
ক. স্থায়ী মূলধন ঃ বাড়ী, ঘর।
খ. বিনিময়গত ম‚লধন ঃ কাঁচা মাল।
৪. মালিকানাগত দিক থেকে ঃ
ক. বিশেষ ম‚লধন ঃ ব্যক্তি বা সংস্থার ম‚লধন।
খ. বিদেশের নাগরিকের ম‚লধন।
৫. উৎসগত দিক থেকে ঃ
ক. দেশীয় নাগরিকের মালামাল।
খ. বিদেশী নাগরিকের ম‚লধন।
ম‚লধনের এ প্রকারভেদসম‚হের মধ্যে ইসলামি অর্থনীতির দৃষ্টিতে ঐগুলোই ম‚লধন যা কেবল ইসলামি অর্থনীতি
প্রদত্ব ম‚লধনের সংগার আওতাভুক্ত।
মহান আল্লাহ ম‚লধনকে উৎপাদনের উপকরণ হিসেবে বিভিন্ন স্থানে উল্লেখ করেছেন-
وَ ល ِنْ تُ ᙫ ْتُ مْ فَ ل᠐ ᠑ᝣ مْ رُ ؤُ وسُ أ᠐ مْ وَ الِ ᠑ᝣ مْ ᢻ َتَ ظ᠔ لِ مُ ونَ وَ ᢻ َتُ ظ᠔ ل᠐ مُ ونَ .
“কিন্তু যদি তোমরা তাওবা কর, তবে তোমাদের মূলধন তোমাদেরই। এতে তোমরা অত্যাচার করবেনা এবং
অত্যাচারিত ও হবে না।” (সূরা আল-বাকারা : ২৭৯)
এখানে ম‚লধন বলতে ঐ ধনাগারকে বলা হয়েছে যা জাহেলী যুগে প্রদান করা হত সুদের ভিত্তিতে। এ জন্য এটা
হারাম কিন্তু অর্থনৈতিক তৎপরতায় ম‚লধন ব্যবহার ও উৎপাদনে অংশীদারিত্ব বৈধ।
ম‚লধনকে উৎপাদনে ব্যবহারের নির্দেশ
ধন-সম্পদ সঞ্চিত করে রাখা এবং তা জনকল্যাণম‚লক কাজে নিয়োগ না করা ইসলামি অর্থনীতির দৃষ্টিতে
মারাত্মক অপরাধ। ব্যক্তি বা সামষ্টির নিকট কোন ম‚লধন সঞ্চিত হলেই তা আরো অধিকতর উৎপাদনের জন্য
নিয়োগ করার ¯পষ্ট নির্দেশ এসেছে-
وَ ٱلᡐ ذِ ينَ ᘌ᜻ َ᠔ نِ زُ ونَ ٱلذَّ هَ بَ وَ ٱل᠔ فِ ضَّ ةَ وَ ᢻ َيُ نفِ قُ ونَ هَ ا فِ ى سَ ᙫ ِᘭلِ ٱللᡐ هِ فَ ᛞ َشِّ رْ هُ مْ
ᗷ ِع ذَ ابٍ أ᠐ لِ ᘭمٍ .
“আর যারা স্বর্ণ ও রৌপ্য সঞ্চিত করে এবং আল্লাহর পথে ব্যয় করে না, তাদেরকে কঠিন শান্তির সংবাদ দাও।”
(সূরা আত্-তওবা : ৩৪)
এখানে ফি সাবিলিল্লাহ বলতে ঐ সকল ক্ষেত্রকে বুঝায় যেসব ক্ষেত্রে সম্পদ ব্যয় করলে মানবতার কল্যাণ সাধিত
হয় এবং মানুষ আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন হয়। এছাড়া সমাজে অর্থলোভীকে তীব্রভাষায় তিরস্কার করা হয়েছে-
وَ ᗫ ْلٌ لᡒ ᠑ᝣ لِّ هُ مَ زَ ةٍ لᡑ مَ زَ ةٍ . ٱلᡐ ذِ ى جَ مَ عَ مَ اᢻ ًوَ عَ دَّ دَ ەُ . ᘌ َحْ سَ بُ أ᠐ نَّ مَ ال᠐ هُ أ᠐ خْ ل᠐ دَ ەُ
“দুর্ভোগ প্রত্যেকের, যে পেছনে ও সামনে লোকের নিন্দা করে, যে অর্থ জমায় ও তা বার বার গণনা করে; সে
ধারণা করে যে, তার অর্থ তাকে অমর করে রাখবে।” (সূরা আল-হুমাযাহ ঃ ১-২)
ম‚লধনকে উৎপাদনে ব্যবহারের স্পষ্ট নির্দেশ রাসূল (সা)-এর মুখেও এসেছে ঃ
الا من ولى يᘭᙬما له مال فليتجر فᘭه ولا يتركه حتى تأᝏله الصدقة.
“সাবধান ! তোমাদের কেউ ইয়াতিমের তত্ত¡াবধায়ক নিযুক্ত হলে আর তার (ইযাতিমের) নগদ টাকা-পয়সা
থাকলে তা অবশ্যই ব্যবসায় নিযুক্ত করবে। তা অকাজে ফেলে রাখবে না। অন্যথায় বাৎসরিক যাকাত ও সাদকাহ
তার ম‚লধন নিঃশেষ করে দেবে।” (তিরমিজী, মুয়াত্তা মালিক)
ম‚লধন বিনিযোগ পন্থা
ম‚লধন বিনিযোগের বিভিন্ন পন্থা রযেছে। যেমন১. ব্যক্তিগত কারবার
২. অংশিদারিত্ব কারবার
৩. ব্যক্তিগত কারবার ঃ
মানুষ নিজের পুঁজি দ্বারা নিজে কারবার করবে। অর্থাৎ পুঁজিপতি নিজ উদ্যোগে উৎপাদন পরিচালনা করবে, নিজে
শ্রমিক খাটাবে ও তাদের মজুরী প্রদান করবে।
অংশিদারিত্ব কারবার
ইসলামি অর্থনীতি ও ইসলামি ফিকহের পরিভাষায় এই কারবারকে মুদারাবাহ ও ম শারাকাহ কারবার বলে।
মুদারাবাহ কারবারে পুঁজিপতি পুঁজির যোগান দেয় এবং উদ্যোক্তা (ব্যক্তি/সংস্থা/ব্যাংক) শ্রমের যোগান দেয়।
আবার মুশারাকাহ পদ্ধতিতে পুঁজিপতি ও উদ্যোক্তা উভয়ে মূলধন যোগান দেয় আর উদ্যোক্তা এককভাবে শ্রম
যোগান দেয়।
মূলধন সংগ্রহের ক্ষেত্রে ইসলামি অর্থনীতির সীমারেখা
ইসলামের রয়েছে একক ও অতুলনীয় অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। এতে ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রের মূলধন সংগ্রহের সুযোগ
রয়েছে। কিন্তু মূলধন সংগ্রহ ও রুজি রোজগার হালাল ও শরীয়ত নির্ধারিত উপায়ে হতে হবে। আল্লাহ বলেন-
ᘌ ٰأ᠐ ي ُّ هَ ا ٱلنَّ اسُ ᛿᠑ ل᠑ وا᠔ مِ مَّ ا فِ ى ٱلأَ رْ ض᠒ حَ ᢿ َᢻ ًطَ يِّ ᘘا᠍ وَ ᢻ َتَ ᙬَّ ᘘ ِعُ وا᠔ خُ طُ وَ اتِ ٱلشَّ ᘭ ْطَ انِ إِ نَّ هُ
ل᠐ ᠑ᝣ مْ عَ دُ وٌّ مُّ بِ ينٌ .
“হে মানব জাতি! পৃথিবীতে যা কিছু বৈধ ও পবিত্র খাদ্য বস্তু রয়েছে তা থেকে তোমরা আহার কর এবং শয়তানের
পদাংক অনুসরণ করোনা, নিশ্চয় শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য শত্রæ।” (সূরা আল-বাকারাহ : ১৬৮)
অত্র আয়াতে মানব জাতিকে রুজী-রোজগারের বেলায় হালাল ও শরীয়ত সমর্থিত পথ অবলম্বনের নির্দেশ রয়েছে
এবং হারাম তথা শয়তানের নীতি পরিত্যাগ করতে বলা হয়েছে।
রাসূল (সাঃ) বলেন-
اى عᘘد نᛞت لحمه من سحت فالنار اولى ᗷه.
“যে বান্দার দেহের রক্ত-মাংস হারাম থেকে গঠিত তার জন্য জাহান্নামের আগুনই যথেষ্ট।” (মুসনাদে আহমদ ঃ
৩/৩২১)
এ হাদীস আমাদেরকে এ বিষয়ে ভীতি প্রদর্শন করেছে যে, মুয়ামালাত ও কামাই-রোজগারের ক্ষেত্রে হারাম পন্থা
অবলম্বন করা যাবে না। কেননা হাদীসে বলা হয়েছে, যে শরীর উপার্জনের ব্যাপারে কতগুলো সীমারেখা দিয়েছে
যা অতিক্রম করা যাবে না। আরো কতগুলো হারাম পন্থা বাতলিয়ে দিয়েছে যার মাধ্যমে আয় উপার্জন হারাম। ঐ
হারাম পন্থাগুলো নি¤œরূপ১. সুদ ঃ
ইসলামি শরীয়ত সুদকে হারাম করেছে। যার দলীল নি¤েœপ্রদত্ত হল ঃ
প্রথমত ঃ কুরআন
وَ أ᠐ حَ لَّ ٱللᡐ هُ ٱل᠔ بَ يْ عَ وَ حَ رَّ مَ ٱلᖁِّ ᗖ َا -লনবে আল্লাহ মহান. ১
“আল্লাহ ক্রয়-বিক্রয় কে হালাল ঘোষণা করেছেন এবং সুদকে হারাম করেছেন।” (সূরা আল-বাকারাহ : ২৭৫)
২. আল্লাহ বলেন-
ᘌ ٰأ᠐ يُّ هَ ا ٱلᡐ ذِ ينَ آمَ نُ وا᠔ ٱتَّ قُ وا᠔ ٱللᡐ هَ و ذَ رُ وا᠔ مَ ا ᗷ َقِ ىَ مِ نَ ٱلᖁِّ ᗖ َا.
“হে মুমিনগণ ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদ যা বকেয়া আছে তা ত্যাগ কর, যদি তোমরা মুমিন হয়ে
থাক।” (সূরা আল-বাকারা : ২৭৮)
উল্লিখিত আয়াতসমুহে রিবা হারাম করা হয়েছে এবং রিবা সম্পর্কিত সকল প্রকার লেন-দেন ত্যাগ করতে বলা
হয়েছে।
দ্বিতীয়ত ঃ সুন্নাহ
মহানবী (সাঃ) বলেন-
لعن الله اᝏل الᗖᖁا و مو ᛿له و شاهدە و ᛿اتᘘه.
“মহান আল্লাহ সুদখোর, সুদদাতা, সুদ বিষয়ক লেখক ও উহার সাক্ষ্যদাতাকে লা’নত করেছেন।” (সহীহ বুখারী:
হাদীস নং-২০৮৬)
অত্র হাদীস রিবা হারাম হওয়ার প্রকাশ্য দলীল। এ ছাড়াও রিবা সম্পর্কে বহু হাদীস রয়েছে, যাতে রিবা বা সুদ
বিষয়ক লেনদেন স¤পূর্ণ হারাম করা হয়েছে। আর তাতে রিবা থেকে ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে।
তৃতীয়ত ঃ ইজমা
মুসলিম উম্মাহ এ কথার উপর একমত যে, রিবা হারাম।
চতুর্থত ঃ কিয়াস
কিয়াস বা সাধারণ জ্ঞানেও রিবা হারাম। কেননা রিবা বা সুদের লেনদেন দ্বারা ব্যক্তি ও সমাজ সমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ
হয়।
রিবা একটি সামাজিক ব্যধিতুল্য। যা মানুষের মধ্যকার পরস্পর সাহায্য ও ভ্রাতৃত্ববোধ বিনষ্ট করে দেয়। আর এ
পাস্পরিক সাহায্য ও ভাতৃত্ববোধই হল মুসলিম সমাজের বিশেষ বৈশিষ্ট্য। (আহমদ মহিউদ্দিন আল আজুয ঃ
মানাহেজুশ শরীয়াতুল ইসলামিয়া ঃ ২/৭০)
আল্লামা মওদুদী (রঃ) সুদ ও সুদী কারবার প্রসঙ্গে বলেন ঃ আমরা যখন সুদের অপকারিতা ও কুফলের ব্যাপারে
অন্তরের গভীর দৃষ্টি নিক্ষেপ করি, তখন আমাদের নিকট এটা স্পষ্ট হয় যে, সুদের মাধ্যমে পুজি বা সম্পদ
একত্রিত করণের প্রচেষ্টাকে বিবেকও সমর্থন করে না। কেননা রিবা বা সুদ কৃপণতা শিখায়, মন-মানসিকতাকে
সংকুচিত করে, হৃদয়কে শক্ত করে, সম্পদের পূজারী বানায়, বস্তুবাদী চেতনায় উজ্জীবিত করাসহ অন্যান্য কুফল
বয়ে আনে। (শায়খ মওদুদী ঃ কিতাবুর রেবা ঃ ৪০-৪১)
সুদী কারবার নৈতিক দিক থেকেও ক্ষতিকর। স্বাভাবিক বুদ্ধি-বিবেকও সুদকে প্রত্যাখ্যান করে। পূর্ববর্তী সকল
ঐশী জীবনব্যবস্থায়ও সুদ হারাম ছিল। প্রাচীন গ্রীক ও রোমান সভ্যতায় সুদকে ঘৃণার চোখে দেখা হত। তারা
সুদের মাধ্যমে জীবন ধারণের সামগ্রী তথা সম্পদ অর্জনকে নিষিদ্ধ মনে করত। : ৭/৪৭৪)
ইয়াহূদী ও খৃষ্টান ধর্মও সুদী কারবার নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। আমেরিকান বিশ্বকোষে বলা হয়েছে ঃ খৃষ্টান, ইয়াহূদী
ও ইসলাম ধর্মের শিক্ষা বিভিন্ন পর্যায়ে ও বিভিন্ন হারে সুদ হারাম করে। ১৫/২৫০)
ড. ফজলে ইলাহি বলেন ঃ সুদ মানবতার জন্য ক্ষতিকারক। কারণ সুদের কারণে সমাজ এমন বিরূপ প্রতিক্রিয়া
ছড়িয়ে পড়ে যাতে ঐ সমাজের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যায় এবং ঐ সমাজের একতায় ফাটল ধরে। রিবার আরো
ভয়াবহ ও ক্ষতিকারক দিক হল এই যে, যে সমাজে সুদের প্রচলন রয়েছে সে সমাজের লোকেরা সমাজের
উপকারে বিভিন্ন কল-কারখানায় পুঁজি বিনিয়োগ করে না। কেননা কল-কারখানায় পুঁজি বিনিয়োগ না করে সুদে
মাল খাটালে তাতে বিনা কষ্টে সে সুদের একটি মোটা অংশ লাভ করে।
ইমাম রাযী বলেন ঃ কোন কোন মনীষী সুদ হারামের কারণ বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, মহান আল্লাহ সুদ হারাম
করেছেন। কেননা সুদ মানুষকে কামাই-রোজগার ও আয় উপার্জনের কর্ম থেকে বিরত রাখে। কারণ দিরহামের
মালিক (সম্পদের মালিক) যখন সুদের কারবারের মাধ্যমে বিনা পরিশ্রমে মূলধনের চেয়ে অতিরিক্ত দিরহাম লাভ
করতে সক্ষম হয়, তখন সে আয় উপার্জন ব্যবসা বাণিজ্য ও শিল্প-প্রতিষ্ঠান স্থাপন ইত্যাদি ছেড়ে দেয়। কেননা
এসব কাজে তাকে কঠোর পরিশ্রমের সম্মুখীন হতে হয়। (তাফসীরুল কবীর ঃ ৭/৮৭)
শাহ ওয়ালী উল্লাহ দেহলভী বলেন ঃ যখন মালের দ্বারা সুদের বিনিয়োগ শুরু হয়ে যায়, তখন কৃষিকাজ,
কলকারখানা স্থাপন ইত্যাদি বন্ধ হয়ে যায়। অথচ কৃষি, কল-কারখানা স্থাপন আয় উপার্জনের মূল উৎস।
(হুজ্জাতুল্লাহ আল-বালিগাহ ঃ ১০৬)
কিছু পাশ্চত্য অর্থনীতিবিদ -তন্মধ্যে স্যার টমাস ক্লিপার গুরুত্ব সহকারে একথা
বলেছেন যে, সুদী লেনদেন ও সুদের উচ্চহার মানুষকে পরিশ্রমের স্থানে অলস বানায়। এবং মানুষকে উপার্জকের
বদলে সুদখোর বানায়।
জার্মান অর্থনীতিবিদ সালভিউজেনস মূলধনের ক্ষেত্রে সুদের প্রভাব বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন ঃ সুদের হার বৃদ্ধির
কারণে মূলধনের হার কমে যায়। সুদের হার যত বৃদ্ধি পাবে মূলধনের হার তত কমবে, আবার সুদের হার যত
কমবে মূলধন তত বৃদ্ধি পাবে।
সুদের ক্ষতিকারক অন্যতম দিক হচ্ছে, এটা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণ। বর্তমান বিশ্ব ক্রমবর্ধমান দ্রব্যম ল্যের
অভিযোগ করে আসছে। এর মূল কারণ হল সুদ ভিত্তিক লেনদেন। কেননা সম্পদের মালিক বা পুঁজিপতি তার
অর্থ সম্পদ শিল্প, কল-কারখানা, কৃষিকাজ, দ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় ইত্যাদিতে বিনিয়োগ করতে রাজী হয় না। কারণ
এখানে অর্থ বিনিয়োগ করলে লাভ-লোকসান উভয়েরই সম্ভবনা থাকে। অনেক সময় দেখা যায় লাভের অংশ
চলমান সুদের হারের চেয়ে অনেক কম হয়। এক কথায় উৎপাদন ক্ষেত্রে অর্থ বিনিয়োগ করলে লাভ-লোকসান
নির্ধারিত থাকে না। কিন্তু সুদের বিনিময়ে অর্থ বিনিয়োগ করলে এসব ঝুঁকি বহন করতে হয় না। নির্ধারিত হারে
বিনিময় পাওয়া যায়। ফলে পুঁজিপতিরা সম্পদ সুদের বিনিময়ে বিনিয়োগ করে। এজন্য কল-কারখানায় উৎপাদন
কমে যায় এবং স্বল্প উৎপাদনের কারণে দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি থাকে। (ড. ফজলে ইলাহী জহির ঃ সুদ দূরীকরণের
উপায় ঃ ৮৫)
সুদের আরেকটি ভয়াবহ পরিণতি হচ্ছে, ইহা বেকারত্বের কারণ। কেননা পুঁজিপতিরা তাদের সম্পদ সুদের
ভিত্তিতে বিনিয়োগ করে ফলে কল-কারখানা প্রতিষ্ঠা হ্রাস পায় এবং কর্মের পরিধি কমে যায়। আর কর্মের পরিধি
কমে যাওয়ায় সমাজে বেকারত্ব বেড়ে যায়।
২. প্রতারণা ঃ
প্রতারণার কারণে মানুষ ইসলামি আখলাক ও সচ্চরিত্র হারিয়ে ফেলে। ইসলামের দৃষ্টিতে প্রতারণা সম্পূর্ণ হারাম।
একদা মহানবী (সা) একটি খাদ্যের স্তুপের মধ্যে হাত ঢুকিয়ে দিলেন, যাতে তিনি ভেজা অনুভব করলেন। তিনি
খাদ্যের মালিককে জিজ্ঞেস করলেন ঃ কী ব্যাপার হে খাদ্যের মালিক ? উত্তরে ঐ ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রাসূল!
খাদ্যে বৃষ্টির পানি পড়েছে। তখন রাসূল (সা) বললেন, তুমি ভেজা অংশ উপরিভাগে রাখলে না কেন, যাতে
মানুষ দেখতে পেত ? অতঃপর তিনি বললেন-منا سᛳفل غشنا من.
“যে আমদেরকে ধোকা দিবে এবং আমাদের সাথে প্রতারণা করবে সে আমার উম্মতের মধ্যে গণ্য নয়।” (সহীহ
মুসলিম, শরহে নবভী ঃ ১২/২০৮)
মজুতকরণ
ইসলাম মানুষকে ব্যবসায়ের অনুমতি দিয়েছে। ব্যবসা দ্বারা উদ্দেশ্য হবে মানুষের মঙ্গল সাধন। কিন্তু ব্যবসায়ের
পণ্য বাজারজাত না করে তা কুক্ষিগত করে মজুত করলে বা গুদামজাত করলে মানুষ ক্ষতির সম্মুখীন হয়। বিশেষ
করে দরিদ্র শ্রেণীর লোক বেশী ক্ষতিগ্রস্তহয়। আর এর ফলে বাজারে পণ্য হ্রাস পায়। যার ফলে দ্রব্যমূল্য বেড়ে
যায়। এজন্য ইসলামে মজুতকরণ হারাম করা হয়েছে। (আহমদ, মহীউদ্দীন আল-আজুয : ইসলামি খিলাফত ঃ
১০৬)
মজুতকরণের মানে হল, অধিক মূল্য লাভের আশায় ব্যবসায়ী পণ্য গুদামজাত করে বাজারে পণ্যের কৃত্রিম সংকট
সৃষ্টি করা। অতঃপর মূল্যের উর্ধগতি দেখে তা বাজারে ছাড়া। অর্থাৎ ব্যবসায়ী ও মজুতদাররা অধিক মুনাফা
লাভের আশায় মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বাজারজাত না করে তা কুক্ষিগত করে রাখে, আবার যখন ঐ
পণ্যের দাম বেড়ে যায় তখন উহা বাজারে ছাড়ে। এহেন গর্হিত কর্ম ইসলামি শরীয়তে সম্পূর্ণ হারাম। কারণ এতে
সমাজের সর্বস্তরের মানুষ ক্ষতিগ্রস্তহয়, বিশেষ করে দরিদ্ররা। রাসূল (সা) বলেন-
الجالب مرزوق والمحتكر ملعون.
“বাজারে খাদ্য আমদানীকারীরা আল্লাহর পক্ষ থেকে রিযকপ্রাপ্ত আর মজুতকারীরা আল্লাহর অভিশাপপ্রাপ্ত।”
(সুনান ইবনু মাজাহ : ২/৭২৮)
অন্য হাদীসে রাসূল (সা) বলেন- خاطئى الا حتكرᘌ لا.
“পাপী লোক ছাড়া কেউ মজুত করে না।” (আশ্শাওকানী ঃ নায়লুল আওতার : ৫/২৪৯)
ঘুষ
কোন কাজ সম্পাদনের বিনিময়ে অন্যায়ভাবে নির্দিষ্ট অর্থ গ্রহণ করাই ঘুষ। ঘুষের আশ্রয় গ্রহণ করা বা এর
কারবার করা হারাম। কেননা ঘুষের মাধ্যমে ব্যক্তি ও সমাজ সমভাবে ক্ষতিগ্রস্তহয়। এর মধ্যে মানুষের কোন
কল্যাণই নেই, বরং রয়েছে জুলুম বা অন্যায়। ইসলামি জীবনব্যবস্থা থেকে শিক্ষা নিয়ে সমস্তরাষ্ট্র ও আইন
ব্যবস্থায় ঘুষকে হারাম করা হয়েছে। ইসলামি জীবনব্যবস্থায় ঘুষের কারবার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সূতরাং মূলধন
উপার্জনের ক্ষেত্রে কোন মুসলমানের জন্য ঘুষের আশ্রয় নেয়ার কোন স্বাধীনতা নেই।
ঘুষ হারাম হওয়ার দলীল হচ্ছে, রাসূল (সা)-এর বাণী
لعن الله الراشى والمرᘻشى والراᙙش.
“মহান আল্লাহ ঘুষদাতা, ঘুষগ্রহীতা ও এ দু’জনের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী (দালাল)-কে লা’নত করেন।” (সুনান
আত-তিরমিজী ঃ ২/৩৯৭)
লা’নতের অর্থ হল, আল্লাহর রহমত থেকে দূরে চলে যাওয়া। ঘুষখোরের উপর আল্লাহর লা’নত কলতে বুঝায় ঘুষ
গ্রহণ ও দান থেকে অধিক ভীতি প্রদর্শন। সূতরাং ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রকে ঘুষ সম্পর্কীত লেন-দেন থেকে বিরত
থাকতে হবে।
অপহরণ বা ছিনতাই
অপহরণের আরবী হল الغصب যার মানে হল, অন্যায়ভাবে এবং প্রকাশ্যে কারো মালের উপর চড়াও হওয়া।
(ইবনু কুদাম ঃ আল মুগনি ঃ ৫/২৩৮)
ইসলামি শরীয়াতের দৃষ্টিতে আয়-উপার্জন ও সম্পদ সঞ্চয়ের বেলায় এহেন গর্হিত কাজ হারাম ঘোষণা করেছে।
আল্লাহ বলেন-
ᘌ َا أ᠐ يُّ هَ ا ٱلᡐ ذِ ينَ آمَ نُ وا᠔ ᢻ َتَ أ᠔ ᝏ ل᠑ وۤ ا᠔ أ᠐ مْ وَ ال᠐ ᠑ᝣ مْ بَ ᚏ ْنَ ᠑ᝣ مْ ᗷ ِٱل᠔ ᘘ َاطِ لِ إِ ᢻَّ أ᠐ ن تَ ᜻᠑ ونَ تِجَ ارَ ةً عَ ن
تَ رَ اض᠏ مِّ نْ ᠑ᝣ مْ .
“হে মুমিনগণ ! তোমরা একে অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করো না। কিন্তু তোমাদের পরস্পরের সন্তুষ্ট চিত্তে
ব্যবসায়ের ভিত্তিতে হলে কোন দোষ নেই।” (সূরা আন-নিসা : ২৯)
মহান আল্লাহ অপহরণ ও ছিনতাইয়ের নিষেধাজ্ঞা ও তার শান্তিসম্পর্কে বলেন-
إِ نَّ مَ ا جَ زَ ᕧءُ ٱلᡐ ذِ ينَ ᘌ ُحَ ار᠒ ᗖ ُونَ ٱللᡐ هَ وَ رَ سُ ول᠐ هُ وَ ᚱ َسْ عَ وْ نَ فِ ى ٱلأَ رْ ض᠒ فَ سَ ادا᠍ أ᠐ ن
ᘌ ُقَ تَّ ل᠑ وۤ ا᠔ ..
“যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয় এবং পৃথিবীতে সন্ত্রাস সৃষ্টি করে তাদের শান্তিহল তাদেরকে
হত্যা করা হবে।.....।” (সূরা আল-মায়েদা : ৩৩)
রাসূল (সা) বলেন-
من اخذ شبرا من الارض ظلما طوقه الله من سبع ارضين.
“যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে এক বিঘত পরিমাণ জমিন গ্রহণ করবে কিয়ামতের দিন আল্লাহ সাত তবক জমিন তার
কাঁধে ঝুলিয়ে দেবেন।” (সহীহ বুখারী ঃ ২৪৫২)
সূতরাং কোন ব্যক্তির সম্পদ তথা মূলধন উপার্জনের ক্ষেত্রে অপহরণ বা ছিনতাইয়ের আশ্রয় নেয়ার কোন অধিকার
নেই। কেননা এর মাধ্যমে অন্যের প্রতি যুলম করা হয় এবং অন্যের স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেয়া হয়।
পাঠোত্তর মূল্যায়ণ
নৈর্ব্যক্তিক উত্তর প্রশ্ন
১.লিপসের সংজ্ঞা বিশ্লেষণে মূলধনের কয়টি অর্থ প্রতীয়মান করা যায় ?
ক. ২টি খ. ৪টি গ. ৩টি ঘ. ৫টি।
২. মূলধনের অর্থনৈতিক বৈশিষ্ট্য ক’টি ?
ক. ৭টি খ. ৫টি গ. ৩টি ঘ. ৪টি।
৩. উৎপাদনের উপকরণ হিসেবে মূলধন কত প্রকার ?
ক. চার প্রকার খ. পাঁচ প্রকার গ. দুই প্রকার ঘ. তিন প্রকার।
৪. মূলধন বিনিয়োগের ক’টি পন্থা রয়েছে ?
ক. ৩টি খ. ৪টি গ. ২টি ঘ. ৫টি।
৫. অংশীদারিত্ব কারবারকে ফিকহী পরিভাষায় বলা হয়ক. মুদারাবাহ খ. মুদারাবাহ ও মুশারাকাহ গ. মুশারাকাহ ঘ. বাইয়ে সালাম।
৬. সুদ মানবতার জন্য ক্ষতিকারক এ কথাটি বলেনক. ড. ফযলে ইলাহী খ. অর্থনীতিবিদ মার্শাল গ. অর্থনীতিবিদ ফ্রেসারঘ. ড. আঃ মান্নান।
৭. অপহরণের আরবী নাম হচ্ছেক. গসব খ. রিবা গ. সারাকা ঘ. খিয়ানাহ।
সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন
১. মূলধনের সংজ্ঞা দিন।
২. মূলধনের অর্থনৈতিক বৈশিষ্ট্য আলোচনা করুন।
৩. মূলধন বিনিয়োগের বিভিন্ন পন্থা আলোচনা করুন।
৪. অংশীদারিত্ব কারবার পদ্ধতির বিবরণ দিন।
৫. সুদের ক্ষতিকারক দিকগুলো আলোকপাত করুন।
রচনামূলক উত্তর প্রশ্ন
১. মূলধন কী ? মূলধনের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ্যসহ মূলধন বিনিয়োগ পন্থাগুলো আলোচনা করুন।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]