লেনদেনের ক্ষেত্রে ক্রেতা-বিক্রেতাব ৫টি অধিকার সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করুন ।

ক্রেতা কর্তৃক পণ্য ক্রয়ের উদ্দেশ্য হচ্ছে তার মাধ্যমে স্বীয় চাহিদা পূরণ করা বা উপকার লাভ করা। তাই কোন
জিনিস ক্রয় করার বেলায় চিন্তা-ভাবনা করা, ভালভাবে দেখে নেয়া, ত্রæটিমুক্ত কিনা তা যাচাই করা, প্রয়োজনে
পণ্যটি ফেরৎ দেওয়া ইত্যাদির অধিকার থাকা উচিৎ।
অপরপক্ষে বিক্রেতা অনেক সময় ভুলক্রমে বিক্রি করতে পারে, যা সে শুধরে নেয়ার অধিকার কামনা করে। এমনি
বাস্তব কিছু সুবিধা-অসুবিধাকে সামনে রেখে ইসলামের বাণিজ্যনীতি ক্রেতা-বিক্রেতাকে এমন কিছু অধিকার প্রদান
করেছে যাতে উভয়ে সম্ভব্য ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে পারে। নি¤েœসে সব অধিকারের কয়েকটি দিক তুলে ধরা
হল।
ক্রয়-বিক্রয় করা থেকে সরে দাঁড়ানোর অধিকার
ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে সাধারণত ক্রেতা ও বিক্রেতার মাঝে পণ্যের মান ও মূল্য সম্পর্কে আলোচনার পর উভয়ে
সম্মতি প্রদান করলেই কেবল ক্রয়-বিক্রয়ের কাজ সম্পন্ন হয়।
কখনও এমন হতে পারে যে, ক্রেতা পণ্যকে ভালভাবে যাচাই না করেই ক্রয়ের ব্যাপারে সম্মতি জ্ঞাপন করল আবার
এমনও হতে পারে যে, বিক্রেতা পণ্যের সঠিক ক্রয়মূল্যের প্রতি খেয়াল না করেই ক্রয়মূল্যের চেয়েও কম দামে পণ্য
ক্রয়ের ব্যাপারে একমত হল।
উভয়ে একমত হওয়ার পরও পর¯পর বিচ্ছিন্ন হওয়ার পূর্বে তাদের উভয়ের কিংবা যে কোন একজনের ক্রয়-বিক্রয়
সংক্রান্তসম্মতি প্রত্যাহার করার অধিকার।
কারণ, অনেক সময় মানুষ তাড়াহুড়া করে কোন বিষয়ে সম্মতি দিয়ে ভুল করে ক্ষতির সম্মুখীন হয়। সে ভুল শুধরে
নেওয়ার সুযোগ না থাকলে তার জন্য বিপদ হতে পারে। ইসলামি বাজারনীতি এ বাস্তব দিকটি উপলব্ধি করে সম্মতি
প্রত্যাহারের অধিকার প্রদান করেছে।
البᘭعان ᗷالخᘭار مالم يتفرقا فان صــــدقا بᚏنابورك فى بيهما و ان كتما و كذᗷا محقت بركةছনলেবে) সা (লূরাসঙ্গে প্রস এ
بᘭعهما . (ᗷخارى و مسلم).
“ক্রেতা-বিক্রেতার মাঝে (সম্মতির পর) পরপস্পর বিচ্ছিন্ন না হওয়া পর্যন্তসম্মতি প্রত্যাহার করার অধিকার রয়েছে।
যদি তারা সত্য বলে এবং পণ্যের দোষত্রæটি প্রকাশ করে তবে তাতে বরকত প্রদান করা হবে আর যদি তারা
দোষত্রæটি গোপন করে এবং মিথ্যা বলে তবে তাঁদের ক্রয়-বিক্রয়ের বরকত বিনষ্ট হবে।” (বুখারী ও মুসলিম)
অবশ্য সম্মতি দানের পর উভয়ে যদি আলোচনা বা চুক্তি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তবে সম্মতি প্রত্যাহার করার সুযোগ
সাধারণত থাকবে না।
ক্রয়-বিক্রয়ের আলোচনাস্থল এর ধরন ও সময় সমাজে প্রচলিত নিয়মের আলোকে নির্ধারণ করা হবে। এক্ষেত্রে
ইসলামি শরীয়তের কোন বাধ্য-বাধকতা নেই।
বর্তমানে অনেক ক্রয়-বিক্রয় ইন্টারনেট, ই-মেইলের মাধ্যমে সম্পন্নহয়। এক্ষেত্রে প্রচলিত পদ্ধতিকে আমলে
আনতে হবে।
এধরনের অধিকারকে ইসলামি অর্থনীতির পরিভাষায় المجلس ارᘭج বলে।
পাঠ ঃ পণ্য ভালভাবে দেখে নেয়ার অধিকার
ক্রয়-বিক্রয়ে যেসব পণ্যের আদান-প্রদান হয়, ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ে সেসব পণ্য ভালভাবে দেখে নেয়ার অধিকার রাখে।
বর্তমানে যেহেতু মুদ্রার বিনিময়ে লেন-দেন হয়ে থাকে সেহেতু ক্রেতা ভালভাবে পণ্য দেখে নেবেন। কোন দোষত্রæটি
থাকলে ক্রয় করবেন না। আবার বিক্রেতা মুদ্রা গ্রহণ করার সময় তা ত্রæটিমুক্ত কিনা, জাল নোট কিনা ইত্যাদি বিষয়
দেখে নেবেন। ইসলাম মানুষকে ঠকতে ও নিষেধ করেছে আবার কাউকে ঠকাতেও নিষেধ করেছে। রাসূল (সা)
বলেনضـــرار ولا ضـــرر لاক্ষ তিগ্রস্তহওয়াও যাবে না। আবার অন্যের ক্ষতি করাও যাবে না। এ ধরনের অধিকারকে
ইসলামি অর্থনীতিতে ةᗫالرؤ ارᘭخ বলে।
পণ্যের দোষত্রæটি জানার অধিকার (بᘭالع ارᘭخ(
প্রত্যেকে ক্রেতা সাধারণত পণ্যের বাহ্যিক দোষত্রæটি দেখে ক্রয় করেন। এমন অনেক পণ্য আছে যার বাহ্যিক
দিকের চেয়ে তার গুণাগুণই ক্রেতার নিকট মুখ্য। যেমন হালের বলদ দেখতে মোটাতাজা হলেও বলা যাবে না যে
সেটা হালেও খুব ভাল। হতে পারে বলদটি দ্বারা হাল চাষ করা সম্ভব নয়। অথচ একজন চাষী ক্রেতার জন্য বলদটির
চাষে ভালভাবে হাটার গুণ থাকাই মুখ্য।
এ ধরনের অবস্থায় বিক্রেতার চেয়ে ক্রেতার পণ্যের দোষত্রæটি জানার অধিকার রয়েছে। বিক্রেতার কর্তব্য হচ্ছে
পণ্যের সঠিক তথ্য ও দোষত্রæটি থাকলে তা ক্রেতার নিকট পেশ করা।
হযরত ওকরা বিন আমের (রা) বলেন, আমি রাসূল (সা)-কে বলতে শুনেছিابن و احمد (نهᚏالاب بᘭع هᘭف و عاᘭب هᘭاخ من اعᗷ لمســــلم حلᘌ لا المســــلم اخو المســــلم
ماجه).
একজন মুসলিম অন্য মুসলিমের ভাই। কোন মুসলিম থেকে কোন দ্রব্য ক্রয় করলে তিনি তার দোষত্রæটি থাকলে তা
বর্ণনা করে না দেয়াটা হালাল হতে পারে না।
ত্রæটিযুক্ত পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের বিধান
পণ্য ক্রয়ের সময় ক্রেতা পণ্যের দোষত্রæটি জেনে যদি ক্রয় করে তবে উক্ত পণ্য তার গ্রহণ করা বাঞ্ছনীয়।
আর যদি বিক্রেতা ক্রেতার নিকট পণ্যের অন্তর্নিহিত দোষত্রæটি গোপন রাখে এবং পণ্য ক্রয়ের পর ক্রেতার নিকট
তা ধরা পরে এমতাবস্থা ক্রয়-বিক্রয় শুদ্ধ হবে। এক্ষেত্রে ক্রেতা ইচ্ছে করলে উক্ত পণ্য বিক্রেতার নিকট ফেরৎ
দানের অধিকার রাখবেন কিংবা পণ্যটি গ্রহণ করে বিক্রেতার নিকট থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করতে পারবেন।
বাজারে প্রচলিত ব্যবস্থার আলোকে এক্ষতি পূরণ নির্ধারিত হবে।
মতবিরোধ দেখা দিলে
ত্রæটিযুক্ত পণ্যের কেনা-বেচা সম্পন্নহয়ে যাবার পর যদি পণ্যের ত্রæটি ক্রেতার নিকট ধরা পরার পর তার ত্রæটিযুক্ত
হবার সময় নিয়ে তাদের মধ্যে মতভেদ দেখা দেয় যেমন- ক্রেতা বলল, তোমার নিকট থেকে পণ্য গ্রহণের পরই এ
ত্রæটি পাওয়া গিয়েছে, বিক্রেতা বলল- না, আমার কাছে থাকা অবস্থায় ভাল ছিল। আপনার হাতে পৌঁছার পরই এ
ত্রæটির সুত্রপাত হয়েছে। অথচ তাদের কারো নিকট কোন প্রমাণ নেই। এমতাবস্থায় ইসলামি আইনে বিশেষজ্ঞদের
মতে ক্রেতার বক্তব্য গ্রহণযোগ্য। অবশ্য কেউ কেউ শপথসহ বিক্রেতার বক্তব্যকে গ্রহণযোগ্য বলেছেন।
আমরা মনে করি, ক্রেতার মত শপথসহ গ্রহণযোগ্য হওয়া উচিৎ। কারণ, এক্ষেত্রে ক্রেতা ১০০ ভাগ ক্ষতিগ্রস্ত।
বিক্রেতা ক্ষতিগ্রস্তহলেও অন্যান্য পণ্য বিক্রয় করে তা পুষিয়ে নিতে সক্ষম হবে কিন্তু ক্রেতা সম্পূর্ণ বঞ্চিত হবেন।
তাই প্রথম মতটি অগ্রাধিকার পাওয়ার যোগ্য।
ত্রæটিযুক্ত পণ্য ফেরৎযোগ্য না হলে
এমন অনেক পণ্য আছে যা বিক্রয়ের পর ত্রæটি ধরা পড়লে তা ফেরৎ দেয়া সম্ভব হয় না। যেমন- ডিম একজন ক্রেতা
একটি ডিম কিনল। বাড়ী নিয়ে ডিমটি রান্না করার জন্য ভেংগেই দেখল ডিমটি পঁচা। অথচ এটি বিক্রেতার নিকট
হুবহু ফেরৎ দেয়া অসম্ভব। এমতাবস্থায়, সত্যতা সাপেক্ষে বিক্রেতা পণ্যের সম্পূর্ণ দাম ফেরৎ দেবেন। এজন্যে
ক্রেতাকে ডিম ফেরৎ দিতে হবে না। কারণ পঁচা ডিম কোন পণ্য হওয়ার যোগ্যতা রাখে না।
ফেরৎদানের পূর্বের উপকারিতা লাভ করা ক্রেতার জন্য বৈধ
ক্রেতা কর্তৃক পণ্য ক্রয়ের পর যদি দোষত্রæটি ধরা পরে তবে তা ফেরৎদানের অধিকার ক্রেতার থাকবে। যা আমরা
আলোচনা করেছি। কিন্তু ক্রয়ের সময় থেকে ফেরৎ দেয়া পর্যন্তসময়ে ক্রেতা যদি পণ্য দ্বারা কোন উপকার লাভ
করে, যেমন- হালের বলদ কেনার পর তা দ্বারা সে তিন দিন হাল-চাষ করে দেখল যে, বলদটি হালের জন্য ভাল
নয়। তিনদিন পর সে বলদ ফেরৎ দিল। এদিনগুলো ক্রেতা পণ্যটি দ্বারা যে উপকার লাভ করেছেন এজন্যে তাকে
কোন বিনিময় দেয়ার প্রয়োজন হবে না। তার জন্য এতটুকু উপকার গ্রহণ করার অধিকার থাকবে।
নির্দিষ্ট পরিমাণ সময় পর্যবেক্ষণ করার অধিকার (الشرط ارᘭخ(
কোন ব্যক্তি যদি একটি দ্রব্য ক্রয় করার পর শর্ত করে যে, আমি তিন দিন/পাঁচ দিন অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময় পর্যন্তপণ্যটি
পর্যবেক্ষণ করে দেখব। যদি পছন্দ হয়, ক্রয় করার বিষয়টি চূড়ান্তহবে নাহলে ফেরৎ দেব।
এমনিভাবে বিক্রেতাও পণ্যটি বিক্রয় করা বা না করার সিদ্ধান্তচূড়ান্তকরতে সময় নেয়ার অধিকার লাভ করতে
পারে। আমরা জানি, সাধারণত ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্তবৈঠক শেষ হয়ে গেলে ক্রয় বা বিক্রয় বাঞ্ছনীয় হয়ে যায়। কোন
কারণ ছাড়া ফেরৎ দেয়ার অধিকার থাকবে না। কিন্তু এ ধরনের অবস্থায় পর্যবেক্ষণ করার অধিকার থাকে।
রাসূল (সা) বলেন-
᛿ل بᘭعين لا بيع بᚏنهما حتى يتفرقا الا بيع الخᘭار
ক্রয়-বিক্রয় সম্পর্কিত আলোচনা বৈঠক থেকে ক্রেতা-বিক্রেতা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে ক্রয়-বিক্রয়ের কাজ বাকী থাকে
না তবে (পর্যবেক্ষণের) শর্তসাপেক্ষে সে অধিকার থাকবে।
এক্ষেত্রে পর্যবেক্ষণের জন্য যে সময় চেয়ে নেয়া হয়েছে তার মেয়াদ শেষ হলে ক্রয়-বিক্রয় বাধ্যতামূলক হবে।
ধোকাপূর্ণ পণ্য ফেরৎদানের অধিকার (الشرط ارᘭخ(
বিক্রেতা যদি পণ্যের দাম বৃদ্ধির জন্য ধোঁকাবাজির আশ্রয় গ্রহণ করে, যেমন- দুই তিন দিন দুগ্ধ দোহন না করে
গাভীর স্তন বড় দেখানো, বস্তার উপরে ভাল চাউল রেখে এবং ভেতরে মন্দ চাল রেখে তা বেশী দামে বিক্রি করা
ইত্যাদি তার জন্য হারাম।
ক্রেতার নিকট এ ধরনের ধোঁকাপূর্ণ বিক্রয় ধরা পড়লে তিনি পণ্য ফেরৎদানের অধিকারী হবেন। রাসূল (সা) ক্রেতার
لا تصـــروا الاᗷل والغنم , فمن اتᘘاعها فهو ᗷخير النظᗫᖁن ᗷعد ان ᘌحلبها. ان شـــا ء امســـك وলনবে য়িেগ তÍেকর‌্য¯সাব অধিকার নরধের এ্য জন
ان شاء ردها و صاعا من تمر. (ᗷخارى و مسلم).
“তোমরা উট ও ছাগলের তাসরিয়া কর না। (ক্রেতাকে আকৃষ্ট করতে কয়েকদিন যাবৎ দুগ্ধ দোহন না করার নাম
তাছরিয়া) যদি কেউ এমন পশু ক্রয় করে বাড়ী নিয়ে যাওয়ার পর বিষয়টি ধরা পড়ে তবে তার এ অধিকার থাকবে
যে সে হয়তো পশুটি গ্রহণ করবে কিংবা সাড়ে তিন সের খেজুরসহ পশুটি ফেরৎ দেবে।” (বুখারী ও মুসলিম)
অবশ্য এ ধোঁকাবাজির কাজই যদি বিক্রেতা ইচ্ছে করে না করেন তবে তা হারাম হবে না। কিন্তু ক্রেতা ফেরৎ দিতে
চাইলে তিনি পণ্য ফেরৎ নিতে বাধ্য থাকবেন।
অনিচ্ছাকৃতভাবে ক্ষতিগ্রস্তহলে তা থেকে পরিত্রাণের অধিকার
ক্রেতা ও বিক্রেতার কোন পক্ষ যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে ক্ষতিগ্রস্তহন, যেমন- বাজারে যে পণ্যটি সাধারণত ১০ টাকায়
বিক্রি হয় সেটিকে তিনি ১৫ টাকায় ক্রয় করেন। আবার এমন হতে পারে যে, সাধারণত যে পণ্যটি বাজারে ১০
টাকায় বিক্রি হয় বিক্রেতা ভুলক্রমে সেটিকে ৫ টাকায় বিক্রি করেছে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্তক্রেতা
চাইলে পণ্য ফেরৎদানের অধিকারী হবেন। কিংবা বাজার মূল্য পরিশোধ করবেন এবং প্রদত্ত অতিরিক্ত টাকা ফেরৎ
নেবেন।
আবার বিক্রেতা বিক্রয় কার্য সম্পন্ন হয়ে যাওয়া সত্তে¡ও পণ্যটি ফেরৎ নিতে পারবেন কিংবা বাজারদর অনুযায়ী
পাওনাতিরিক্ত মূল্য গ্রহণ করে পণ্যটি বিক্রয় করবেন।
কিন্তু কোন কোন ইসলামি অর্থনীতিবিদ মনে করেন, কেবল খুব বেশী ক্ষতিগ্রস্তহলেই এ নিয়ম কার্যকর হবে। সামান্য
ক্ষতিগ্রস্থের বেলায় কার্যকর হবে না। কারণ এতে বাজারে একটি হট্টগোল পরিস্থিতির উদ্ভব হবে। দামের ক্ষেত্রে
কতটা ব্যবধান হলে ক্ষতিগ্রস্তহয়েছে বলে মনে করা হবে তা প্রচলিত নিয়ম দ্বারা ঠিক করতে হবে।
ইকালার অধিকার (اقالةঅনেক সময় এমন হতে পারে যে, কোন ক্রেতা একটা পণ্য ক্রয় করল তারপর হঠাৎ মনে হল যে, এ পণ্যটি তার
মূলত প্রয়োজন নেই।
আবার এমনও হতে পারে যে, বিক্রেতা একটি পণ্য বিক্রয় করার পর তিনি মনে করে দেখলেন বিক্রিত পণ্যটি তার
খুবই প্রয়োজন। এধরনের অবস্থায় ইসলামি অর্থব্যবস্থা ক্রেতা বা বিক্রেতাকে ক্রয়-বিক্রয় কার্যক্রম ভংগ করার
অধিকার দিয়েছে। বিক্রেতার প্রয়োজনে পণ্যটি না বিক্রি করে পারবেন আর ক্রেতাও না কিনে পারবেন। ক্রেতা
মূল্য গ্রহণ করে আর বিক্রেতা পণ্য গ্রহণ করে পরস্পরে আলাদা হয়ে যাবেন।
সারকথা
ইসলাম মানুষকে ঠকাতে নিষেধ করেছে। নিষেধ করেছে নিজকে ঠকতে। তাই রাসূল (সা) বলেছেনضرار لا و ضـرر لاক্ষ তিগ্রস্তহওয়া যাবে না ও ক্ষতি করা যাবে না। এজন্যে ইসলামি অর্থনীতিতে ক্রেতাবিক্রেতাকে এমন কতগুলো অধিকার দেয়া হয়েছে যার ফলে কেউই ক্ষতিগ্রস্তহয় না। আমাদের সমাজে ধোঁকাপূর্ণ
ও ঠকবাজির ব্যবসায় ব্যাপক প্রচলন দেখা যায়। ইসলামি রাজনীতি বাস্তবায়নের ফলে গোটা জাতি হয়তোবা এ অবস্থা থেকে মুক্তির সুযোগ পেত।
পাঠোত্তর মূল্যায়ণ
নৈর্ব্যক্তিক উত্তর-প্রশ্ন
১. পণ্য ক্রয়ের উদ্দেশ্য হচ্ছেক. স্বীয় চাহিদা পূরণ করা খ. উপকার লাভ করা
গ. বাজারে পণ্যের অভাব সৃষ্টি করা ঘ. ক ও খ নং উত্তর সঠিক।
২. তাড়াহুড়া করে ক্রয়-বিক্রয় করার বিধান কী?
ক. সম্মতি প্রত্যাহার করা যাবে খ. সম্মতি প্রত্যাহার করা যাবে না
গ. ক্রয়-বিক্রয় অবৈধ বিবেচিত হবে ঘ. শুধু ক্রেতার সম্মতি প্রত্যাহার করা যাবে।
৩. পণ্য ভালভাবে দেখে নেওয়ার অধিকারকে বলা হয়ক. খিয়ারুল মাজলিস খ. খিয়ারুল আইব
গ. খিয়ারুর রূইয়া ঘ. বাইয়ে গারার
৪. খিয়ারুশ শর্ত বলতে বুঝায়ক. নির্দিষ্ট সময় পর্যন্তক্রয় করা জিনিসটি পর্যবেক্ষণ করা খ. দুই-তিন দিন পর জিনিসটি ফেরৎ দেওয়া
গ. কোন জিনিস পছন্দ করা ঘ. সব ক’টি উত্তরই সঠিক।
সংক্ষিপ্ত উত্তর-প্রশ্ন
১. খিয়ারুল মাজলিস المجلس ارᘭخ ((বলতে কী বুঝায় ? কখন খিয়ারুল মাজলিস বৈধ? আলোচনা
করুন।
২. ক্রেতার জন্য পণ্যের দোষত্রæটি জানার অধিকার রয়েছে- আলোচনা করুন।
৩. পণ্যের দোষ কার নিকট থাকা অবস্থায় হয়েছে- সে ব্যাপারে মতবিরোধ দেখা দিলে সমাধান কী? বর্ণনা করুন।
৪. খিয়ারুল র্শাত الشرط ارᘭخ ((বলতে কী বুঝেন ? বর্ণনা করুন।
৫. ইকালার অধিকার সম্পর্কে আলোচনা করুন।
বিশদ উত্তর-প্রশ্ন
১. লেনদেনের ক্ষেত্রে ক্রেতা-বিক্রেতাব ৫টি অধিকার সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করুন ।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]