ইসলামের দৃষ্টিতে পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের নীতিমালা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করুন।

বর্তমান জীবনে মানুষের পারস্পরিক বিভিন্ন পণ্যের আদান-প্রদান অত্যন্তজরুরী। ক্রয়-বিক্রয়ের মাধ্যমে সহজেই
মানুষ তার প্রয়োজনীয় পণ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। পণ্য বিক্রয়ের মাধ্যমে বিক্রেতা অর্থ উপার্জন করে নিজের
বিভিন্ন চাহিদা পূরণ করে আর ক্রেতা নিজের প্রয়োজনের তাকিদে পণ্য ক্রয় করে। এক্ষেত্রে ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ই
উপকার লাভ করে পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের মাধ্যম। ইসলামি অর্থনীতি পণ্য লেন-দেনের ক্ষেত্রে কিছু নীতি নির্ধারণ করে
দিয়েছে। যাতে কোন ক্রেতা পণ্য ক্রয় করে ঠকবাজের শিকার না হন। আবার বিক্রেতাও যাতে যথেচ্ছ আচরণ
করে আল্লাহর সীমারেখার বাইরে চলে না যান।
ইসলাম প্রদর্শিত পণ্য ক্রয়-বিক্রয়নীতি দেশে বাস্তবায়ন করতে পারলে শান্তিময় সমাজ প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। পণ্য
ক্রয়-বিক্রয়নীতির কয়েকটি দিক আমরা এখানে আলোচনা করছি।
১. হারাম জিনিস ক্রয়-বিক্রয় করা হারামঃ যে পণ্যই ক্রয় করা হবে কিংবা বিক্রয় করা হবে তা অবশ্যই পবিত্র হতে
হবে। আল্লাহ তাআলা কর্তৃক পবিত্র ঘোষিত হবে হবে। সাধারণত আল্লাহ তাআলা যেসব পণ্যকে বৈধ বা হালাল
করেছেন সেগুলোই পবিত্র অন্য সবকিছু অপবিত্র। হারাম ঘোষিত হবার পর পণ্য ক্রয় করা যেমন হারাম তেমনি
বিক্রয় করাও হারাম। এসব পণ্যের মধ্যে শুকর, মদ্য, রক্ত, পুজ, মূর্তি, ক্রুস, প্রতিকৃতি, হারাম খাদ্য পানীয়
ইত্যাদি।
এসব পণ্য ক্রয়-বিক্রয় হারাম হবার ব্যাপরে রাসূল (সা) বলেন-
ان الله حرم بيع الحرم الميتة والخنزᗫر والاصنام (ᗷخار ە ومسلم)
‘‘আল্লাহ মদ্য, মৃত জীব, শুকর ও মূর্তি বিক্রয় করা হারাম করে দিয়েছেন।’’ (বুখারী ও মুসলিম)
অন্যত্র তিনি বলেন-
ان الله حرم شᚏئا حرم تمنه (ابوداود و احمد)
“আল্লাহ যখন কোন জিনিস হারাম করেন তখন সে জিনিসের বিক্রয় মূল্যও হারাম করে দেন”। (আবু দাউদ ও
আহমাদ) তা ছাড়া এসব জিনিসের ক্রয়-বিক্রয় ও ব্যবসায় যদি জায়িয করে দেওয়া হত, তাহলে গুনাহের এসব
কাজ ব্যাপক প্রসারতা লাভ করত। জনগণকে সেই কাজে উদ্বুদ্ধ করা হত, তা করার জন্যে সহজতার সৃষ্টি করা
হত, লোকদের তার কাছে নিয়ে যাওয়া হত। সেজন্যে লোকদের উৎসাহিত করা হত। কিন্তু যেহেতু এসব জিনিসের
ক্রয়-বিক্রয় ও তা অর্জন হারাম করে দেওয়া হয়েছে। ফলে মানুষ এসব থেকে বেঁচে থাকতে পারে। এক্ষণে এসব
জিনিসের দিকে লোকদের না দৃষ্টি পড়তে পারে, না তা স্মরণ করার কোন কারণ ঘটতে পারে। এসব জিনিসের
সংস্পর্শ থেকেই মানুষকে দূরে সরিয়ে রাখতে চাওয়া হয়েছে।
২. বিক্রয়কৃত পণ্যটি উপকারযোগ্য হতে হবেঃ পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যাপারে দ্বিতীয় যে বিষয়টি দেখতে হবে তা
হলো পণ্যটি উপকারযোগ্য কি-না। কেবল উপকারযোগ্য দ্রব্য ক্রয়-কিংবা বিক্রয় করা যাবে। যেসব পণ্য উপকারে
আসে না তা ক্রয় কিংবা বিক্রয় করা যাবে না।
এ নীতির ভিত্তিতে পোকা-মাকড়, সাপ, ইঁদুর ইত্যাদি সাধারণত বিক্রয় করা যাবে না। তবে কোন উপকার গ্রহণের
জন্য যেমন ঔষধ তৈরী করা হলে ক্রয় বা বিক্রয় করলে বৈধ। এমনিভাবে বিড়াল, মৌমাছি, বাঘ, সিংহ, হাতি
ক্রয়-বিক্রয় করা বৈধ, কারণ এর দ্বারা বিভিন্ন কাজ করানো কিংবা চামড়া ব্যবহারের মাধ্যমে উপকৃত হওয়া যায়।
এছাড়া ময়ূর জাতীয় দৃষ্টিনন্দন পাখিও ক্রয়-বিক্রয় বৈধ হবে। কেননা, এগুলো খাদ্য হিসেবে কিংবা ব্যবহারের
ক্ষেত্রে উপকারে না এলেও তার কণ্ঠ বা দৃশ্য আনন্দ প্রদানে মানসিক উপকারিতা নিয়ে আসে।
কুকুর যদি শিকারী হয় তবে তাতে ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে। শিকারীর কাজে বা গোয়েন্দা বিভাগের কাজে বা বাড়ি,
ক্ষেত ইত্যাদির পাহাড়ার কাজে ব্যবহারের মত কোন কর্মে যে কুকুর প্রয়োজন পড়ে না; তা ক্রয় বা বিক্রয় করা
যাবে না। কেননা রাসূল (সা) কুকুর ক্রয়-বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন।
৩. বিক্রয়যোগ্য পণ্যের মালিক কিংবা তার প্রতিনিধিই পণ্য বিক্রয়ের অধিকার রাখেঃ পণ্যের মালিকের অনুমতি
ব্যতীত বিক্রয় করা কিংবা কারো জন্য ক্রয় করা সাধারণত শুদ্ধ নয়। যেমন- স্ত্রীর মালিকানাধীন কোন পণ্যকে স্বামী
তার অনুমতি ব্যতীত বিক্রি করল, অথবা স্ত্রীর অনুমতি ব্যতীতই স্বামী তার স্ত্রীর পণ্য দ্রব্য ক্রয় করল। এ ধরনের
পণ্য ক্রয়-বিক্রয়কে ইসলামি অর্থনীতির ভাষায় একে القولى بيع বলে।
এ ধরনের পণ্য ক্রয়-বিক্রয় সাধারণত শুদ্ধ নয়। তবে পণ্যের মালিক জানার পর যদি সম্মতি দেয় কিংবা যার জন্য
ক্রয় করা হয়েছে তিনি সম্মতি দেন তবে তা বিশুদ্ধ হয়ে যাবে।
عن عروة الᘘارقى انه قال ᗷعثنى رســـول الله صـــلى الله علᘭه و ســـلم ᗷدينار لا شـــترى له ᗷهহল লীল দরােপ্যাব হবারদ্ধ বিশু
شــاة , فاشــترᗫت له ᗷه شــاتين – ᗷعغت احداهما ᗷدينار و شـاة فقال لى ᗷارك الله فى صــفقة
ᘌمينك –( ᗷخارى)
‘‘হযরত উরওয়া আলবারেকী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূল (সা) আমাকে একটি স্বর্ণমুদ্রা দ্বারা
একটি ছাগল ক্রয় করতে পাঠালেন। আমি তার জন্য ২টি ছাগল ক্রয় করলাম। দুটি ছাগলের একটি আবার একটি
স্বর্ণমুদ্রার বিনিময়ে বিক্রয় করলাম। অতঃপর তার নিকট আমি একটি ছাগল ও একটি স্বর্ণমুদ্রাসহ চলে এলাম। তিনি
(সবকিছু জেনে) বললেন- আল্লাহ তোমার দক্ষিণ হস্তের পণ্যে বরকত দান করুন। অর্থাৎ তোমার ক্রয়কৃত পণ্যে।’’
(বুখারী)
হাদিসটি মূলক্রেতার অনুমতি ব্যতীত ১টির পরিবর্তে দুটি ছাগল ক্রয় করা এবং পুনরায় একটি বিক্রিয় করার বৈধতা
প্রমাণ করে। অবশ্য এক্ষেত্রে পরবর্তীতে তার অনুমতি পাওয়া গিয়েছে।
৪. ক্রয় বা বিক্রয়কৃত দ্রব্য হস্তান্তরযোগ্য ও ধোঁকামুক্ত হতে হবে। যে ধরনের ক্রয় বিক্রয়ে পণ্য অজ্ঞাত বা ধোঁকা
দেওয়ার ও খাওয়ার কিংবা এক পক্ষ কর্তৃক অপর পক্ষকে ক্ষতি সাধনের সম্ভাবনা থাকার কারণে পারস্পরিক ঝগড়া
হওয়ার আশংকা থাকে, তা নীতি অনুযায়ী নিষিদ্ধ। যেমন পুরুষ উষ্ট্রের পৃষ্ঠের যে জিনিস বা উষ্ট্রীর গর্ভে যে বাচ্চা
রয়েছে, তা বিক্রয় করা কিংবা উড়ন্তপাখী বা পানির মধ্যে অবস্থিত মাছ অথবা এ ধরনের অজানা পণ্য ক্রয় ও
বিক্রয় করা।
নবী করীম (সা)-এর সময়ে ক্ষেতের ফসল বা বাগানের ফল পাকার পূর্বেই বিক্রয় করে দেওয়া হত। বিক্রয় সাব্যস্ত
হওয়ার পর অনেক সময় নৈসর্গিক কারণে ফল ধ্বংস হয়ে যতে, ফসল বিনষ্ট হত। ফলে ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে
ঝগড়ার সৃষ্টি হত। বিক্রেতা বলত, আমি তো বিক্রয় করে দিয়েছি। ক্রেতা বলত, যে ফল বিক্রয় করেছ, সেই ফলই নেই। এ কারণে নবী করীম (সা) ফল-ফসল পাঁকার পূর্বে বিক্রয় করতে স্পষ্ট ভাষায় নিষেধ করেছেন। তবে
সঙ্গে সঙ্গে ফল কাটা সাব্যস্তহলে তা জায়েয হতে পারে। শস্যের মঞ্জরী বা শিষ সাদা হওয়া ও বিপদমুক্ত হওয়ার
পূর্বে বিক্রয় করতেও নিষেধ করা হয়েছে। তিনি বলেছেন ঃ
“তোমরা কি চিন্তা করেছ, আল্লাহই যদি ফল বন্ধ করে দেন, তখন তোমরা তোমাদের ভাইয়ের মাল (টাকা) কিসের
বিনিময়ে গ্রহণ করবে ?” (বুখারী)
অজ্ঞাত পণ্য মাত্রই যে ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ এমন কথা নয়। কোন কোন পণ্য অনেকাংশে অজানা থেকে যায়। যেমন
কেউ যদি কোন পাকা বাড়ী ক্রয় করে, তাহলে তার ভিত্তি ও প্রাচীরসমূহের ভিতরকার অবস্থা ক্রেতার অগোচরেই
থেকে যায়। সে বিষয়ে কিছু জানা তার পক্ষে সম্ভবপর হয় না। কিন্তু তার অন্যান্য সবদিকই ক্রেতা ভাল করে দেখতে
পারে। তাই যে জিনিস সম্পূর্ণভাবে অজানা, যার কারণে পরস্পর ঝগড়া-বিবাদ হতে পারে কিংবা যার মধ্যে বাতিল
পন্থায় লোকদের মাল ভক্ষণ করার অবকাশ থাকে তা নিষিদ্ধ।
অবশ্য যদি কোন জিনিস সামান্যভাবে অজানা হয়, আর এ আংশিক অজানা জিনিসের ক্রয়-বিক্রয়ের রেওয়াজ থাকে
তবে তার ক্রয়-বিক্রয় বৈধ। যেমন মূলা, গাজর, পিয়াজ, কাঁকই, ফুট ও তরমুজের ক্ষেত বিক্রয় করা।
৫. পণ্য বিক্রয়ে মাপে কম দেওয়া যাবে নাঃ পণ্য ক্রিয়ে পাত্র দ্বারা মাপায় বা পাল্লা দ্বারা ওজন করে কম দেওয়াও
এক প্রকারের ধোঁকাবাজি। কুরআন মজীদে এ ব্যাপারটির উপর খুব বেশী গুরুত্ব দেয়া হয়েছে এবং সূরা আলআনয়াম-এর শেষে দশটি উপদেশের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আল্লাহ বলেন“পরিমাণ ও ওজন ন্যায্যভাবে পুরোপুরি দেবে।”। (সূরা আল-আ’নাম : ১৫২)
তিনি আরো বলেন-
وَ ᗫ ْلٌ لᡒ ل᠔ مُ طَ ف ِّ فِ ينَ . ٱلᡐ ذِ ينَ إِ ذَ ا ٱ᠔ᜧ تَ ال᠑ وا᠔ عَ ل᠐ ى ٱلنَّ اس᠒ ᛒ َسْ تَ وْ فُ ونَ . وَ ល ِذَ ا ᛿᠐ ال᠑ وهُ مْ أ᠐ وْ وَّ زَ نُ وهُ مْ
ᘌ ُخْ سِ رُ ونَ
“যারা মাপে ওজনে কম দেয় তাদের জন্য দুর্ভোগ। যারা লোকদের কাছ থেকে কিছু মেপে নেয়র সময় পূর্ণমাত্রায়
গ্রহণ করে এবং আর যখন তাদের জন্য মেপে বা ওজন করে দেয়, তখন কম দেয়”। (সূরা আল-মুতাফ্ফিফিন :
১-৩)
মুসলিম মাত্রেরই কর্তব্য এ ক্ষেত্রে সাধ্যমত পূর্ণ সুবিচার নীতি ও ন্যায়পরায়ণতা অবলম্বন করা। কেননা পুরামাত্রার
ও প্রকৃত সুবিচার ন্যায়পরায়ণতা হয়ত কল্পনা করা কঠিন। এ কারণেই পূর্ণমাত্রায় পরিমাপ করার নির্দেশ দেওয়ার
সাথে সাথে কুরআন বলেছে ঃ “আমরা মানুষের সাধ্যের অতিরিক্ত কোন কাজের দায়িত্ব কারো উপর অপর্ণ করি
না”।
যে সব জাতি তাদের পারস্পরিক কার্যাদি ও লেন-দেনে জুলুম করেছে, বিশেষভাবে পরিমাপে ও ওজনে সুবিচারনীতি
লংঘন করেছে এবং লোকদের পণ্য বিক্রয়ে তাদের ঠকিয়েছে, তাদের করুন ইতিহাস কুরআন মাজীদে উল্লেখ করা
হয়েছে। আল্লাহ তাআলা এসব জাতির কাছে নবী রাসূল পাঠিয়েছেন, তারা তাদেরকে সংশোধন করতে ও সুবিচার
নীতির দিকে নিয়ে যেতে চেষ্টা করেছেন। যেমনটি তাদেরকে তাওহীদের বিশ্বাসী বানাতে চেষ্টা করেছেন।
মুসলিম সমাজের জন্যে এ নির্দেশ অবশ্য পালনীয়। তাদের জীবনে লোকদের সাথে সম্পর্কে ও সমস্তপারস্পরিক
কাজকর্মে এ নীতিই তাদের পালন করতে হবে। অতএব দুই রকমের পরিমাপ ও দুই ধরনের পাল্লায় ওজন করে
বেচা-কেনা করা তাদের জন্যে বৈধ নয়। একটা নিজের জন্যে মানদন্ড আর একটা অন্যান্য লোকদের জন্যে সাধারণ
মানদন্ড, তার নিজের জন্যে ও তার প্রিয়জনদের জন্যে এক রকমের আচরণ এবং অন্যান্য সাধারণ মানুষের জন্যে
ভিন্ন রকমের মানদন্ড ইসলামে সম্পূর্ণ অচল। কেননা এরূপ হলে সে নিজের ও নিজের অনুসারীদের প্রাপ্য পুরামাত্রায়
আদায় করবে, বেশীও নিয়ে বসবে। আর অপর লোকদের জন্যে কম দেবে এবং তাদের ক্ষতিগ্রস্তকরবে। কিন্তু এর
মত অবিচার আর কিছু হতে পারে না।
৬. চোরাইমাল ক্রয় করা হারাম। ইসলাম অপরাধ ও অপরাধ প্রবণতার বিরুদ্ধে লড়াই ঘোষণা করেছে। অপরাধীদের
সংকীর্ণ পরিধির মধ্যে পরিবেষ্টিত করে দিয়েছে। তাই যে মাল অপহৃত বা চুরি করে আনা হয়েছে কিংবা মালিকের
কাছ থেকে অন্যায়ভাবে নিয়ে নেওয়া হয়েছে তা জেনে শুনে ক্রয় করা মুসলমানের জন্যে জায়েয নয়, কেননা তা
করা হলে অপরহরণকারী, চোর ও ছিনতাইকারীকে তার কাজে সাহায্য করা হবে। নবী করীম (সা) বলেছেন-
من اشترى سرقة و هو ᘌعلم انها سرقة فقد اشترك فى اشها و عارها. بيهقى
“যে ব্যক্তি জেনে-শুনে চুরির মাল ক্রয় করল, সে তার গুনাহ ও অন্যায় কাজে শরীক হয়ে গেল”।
চুরি করার পর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও তার গুনাহ দূর হয়ে যায় না। ইসলামে সময়ের দীর্ঘতা হারামকে হালাল
করে না প্রকৃত মালিকের হক নাকচ করে না।
৭. পণ্য বিক্রয়ে বারবার কসম করা যাবে না। ধোঁকাবাজির সাথে মিথ্যামিথ্যি শপথ-কসম করা হলে এ কাজ অধিক
মাত্রায় হারাম হয়ে দাঁড়ায়। নবী করীম (সা) ব্যবসায়ীদের শপথ-কসম করতে সাধারণভাবে এবং বিশেষভাবে মিথ্যা
শপথ-কসম করতে স্পষ্ট ভাষায় নিষেধ করেছেন। বলেছেন-
الحلف منفقة للسلعة ممحقة للبركة – (ᗷخارى.)
“শপথ দ্বারা পণ্য বিক্রয় করা যায় ; কিন্তু বরকত পাওয়া যায় না”। (বুখারী)
বিক্রয়ে বেশী বেশী শপথ-কসম করা নবী করীমের আদৌ পছন্দনীয় নয়। কেননা তাতে প্রথমত চুক্তির পক্ষদ্বয়ের
ধোঁকাবাজির মধ্যে পড়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। আর দ্বিতীয়ত তাতে আল্লাহর পবিত্র নামের ইয্যত নষ্ট হওয়ারও ভয় আছে।
১. ইসলামি অর্থনীতিতে হারাম পণ্য ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ কেন ? বর্ণনা করুন।
২. বিক্রয়যোগ্য পণ্য উপকারযোগ্য হতে হবে- কথাটির ব্যাখ্যা করুন।
৩. ধোঁকাপূর্ণ পণ্য বিক্রির বিধান কী ? লিখুন।
৪. মাপে কম দেওয়ার পরিণাম কী ? আলোচনা করুন।
৫. চোরাই মাল ক্রয় করা হারাম কেন ? লিখুন।
রচনামূলক উত্তর প্রশ্ন
১. ইসলামের দৃষ্টিতে পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের নীতিমালা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করুন।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]