বাগানের ফল ক্রয়-বিক্রয় নীতি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করুন।

বাগান বলতে সাধারণত আমরা এমন জায়গাকে বুঝি যেখানে গাছ গাছালি রয়েছে। আমাদের আলোচনা মূলত
ফলের বাগানের মধ্যে সীমাবদ্ধ। বাগান ও ফল ক্রয় বিক্রয় বলতে বাগানে থাকা অবস্থায় ফল বিক্রি সংক্রান্তনীতিমালা
বুঝায়। নি¤েœতা উল্লেখ করা হলপ্রথমতঃ পাকা ফল বিক্রি করা
পরিপক্ক ফল বা পাকা ফল যদি বাগান থেকে তুলে এনে বাজারে বিক্রি করা হয় তা সকল আলেমের মতে বৈধ।
অবশ্য সেক্ষেত্রে ইসলামি অর্থনীতির স্বাভাবিক বাজারনীতি অনুসরণ করতে হবে। যেমন ফল নষ্ট হলে বিক্রি করা
যাবে না। মাপে কম দেওয়া যাবে না ইত্যাদি। শষ্য বিক্রির ক্ষেত্রেও একই বিধান।
দ্বিতীয়তঃ গাছে ফল ধরার পূর্বে অগ্রিম বিক্রি করা
আমাদের দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা যায় বিভিন্ন রকমের বাগান যেমন আম বাগান, লিচু বাগান কাঁঠাল বাগান
ইত্যাদি গাছে ফল ধরার পূর্বেই মালিক অগ্রিম এক বছরের জন্য বাগানের ফল বিক্রি করে দেয়।
ইসলামি বাজারনীতিতে এ ধরনের বাগান বিক্রি বা বাগানের ফল বিক্রি করা বৈধ নয়। সকল ইসলামি অর্থনীতিবিদ
এব্যাপারে ঐকমত্য পোষণ করেন।
কারণ, এ ধারনের ফল বিক্রি একটি চুক্তির মাধ্যমে বেশ কয়েক বছরের জন্য গাছের ফল বিক্রি নিয়েমের আওতায়
পড়ে। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এ ধরনের ক্রয় বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন।
عن جابر بن عᘘد الله قال نهى رســـول الله صـــلى الله علᘭه و ســـلم عن بيع
السنين والمعاومة. ᗷخارى و مسلم.
‘‘হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) গাছের ফলকে একাধিক
বছরের জন্য বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন।’’ (বুখারী ও মুসলিম)
তাছাড়া এ ধরনের বিক্রয়ের মধ্যে প্রতারণার সম্ভাবনা রয়েছে। যে বাগানে ফল এখনও ধরেনি সে বাগানে পরবর্তী
মৌসুমে ফল হতেও পরে আবার নাও হতে পারে। যদি ফল ধরে তবে কি পরিমাণ ধরবে তাও জানা নেই। অর্থাৎ
সম্পূর্ণ অজ্ঞাতভাবে এ ধরনের বেচাকেনা স¤পন্ন হয়ে থাকে। আর এ ধরনের ব্যবসায় ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে বেশী।
ইসলাম এধরনের ক্ষতিকে সমর্থন করে না। তাই গাছে ফল ধরার পূর্বেই অগ্রিম বিক্রি করা বৈধ নয়। একই নিয়মের
অধীনে শষ্যক্ষেতে শষ্য হওয়ার পূর্বে তা বিক্রি করা বৈধ হবে না।
তৃতীয়ত ঃ গাছে ফল ধরার পর তা বিক্রি করার নীতি
বাগানে ফল ধরার পর তা বিক্রয় করার ক্ষেত্রে নি¤œবর্ণিত নীতি অবলম্বিত হবে১. গাছে ফল ধরেছে তবে এখনও পরিপক্ক হয়নি। এ ধরনের বাগানের ফল ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে তিন ধরনের
পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়ে থাকে।
ক. বাগানের মালিক অপরিপক্ক ফল বিক্রয় করার সময় এমর্মে শর্ত আরোপ করল যে, ক্রেতাকে বিক্রয়ের পর পরই
ফল কেটে নিতে হবে। পরিপক্ক হওয়া পর্যন্তগাছে রাখা যাবে না। তবে এ ধরনের বাগান বেচা-কেনা বৈধ।
খ. বাগানের ফল অপরিপক্ক। বিক্রয় সংক্রান্তচুক্তির সময় ফল তাৎক্ষণিকভাবে ক্রেতা কেটে নিবেন নাকি পরিপক্ক
হওয়া পর্যন্তবাগানে রেখে দিবেন এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোন আলোচনা হয়নি। এমন অবস্থায় হানাফী মাযহাবের
আলোমগণ বিক্রয় শুদ্ধ মনে করেন। তবে শর্ত না থাকলেও ফল তাৎক্ষণিক কেটে নিতে হবে। অবশ্য বিক্রেতার
সম্মতি থাকলে তাৎক্ষণিক কেটে নেওয়া জরুরী নয়।
এ অবস্থায় বিক্রয় শুদ্ধ হওয়ার কারণ হল ফল পরিপক্ক না হলেও উপকারী। মানুষের খাবার যোগ্য না হলেও পশু
পাখির খাদ্য হিসেবে সেগুলো ব্যবহার করার সুযোগ থাকে।
গ. বাগানের অপরিপক্ক ফল যদি এ শর্তে বিক্রি করা হয় যে ফলগুলো পাকা পর্যন্তবিক্রেতার গাছে থাকবে। এ
ধরনের কেনা বেচা বৈধ নয়। কারণ, এতে ক্রেতার ক্ষতিগ্রস্তহবার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি জানেন না, ফল পাকার
সময় পর্যন্তসবগুলো ফল গাছে থাকবে কি না।
বাগানের পরিপক্ক ফল বিক্রি করা
বাগানের পরিপক্ক ফল বিক্রয়ের সময় কেটে নেওয়ার শর্ত করা হোক কিংবা না করা হোক, কেনা-বেচা বৈধ। কারণ,
এ অবস্থায় ক্রেতা স্বাভাবিক কারণে সঠিক সময়ের মধ্যেই লাভবান হতে তার ক্রয়কৃত ফল কেটে নেবেন। এ ক্ষেত্রে
বিক্রেতারও তেমন কোন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। সমাজে ব্যাপকভাবে এ ধরনের বেচা-কেনা প্রচলিত।
শস্যের ক্ষেত্রেও একই বিধান প্রজোয্য।
উল্লেখ করা যেতে পারে যে, এমন অনেক ফল আছে যা পরিপক্ক হবার পর সম্পূর্ণরূপে পাকতে বেশ কদিন সময়
লাগে। এ জাতীয় ফলের ক্ষেত্রে যদি ক্রেতা ফল পাকা পর্যন্তরেখে দেওয়ার শর্ত না থাকা সত্তে¡ও বাগানে রেখে দেন
তবে মালিককে অতিরিক্ত অর্থ দিতে হবে কি না ?
ইসলামি ব্যবসায়নীতি এ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত অর্থ প্রদানে বাধ্য করে না। কারণ, এমতাবস্থায় ফলের কোন বৃদ্ধি ঘটেনি।
বিক্রয় এবং ফল কাটার মাঝখানে নতুন ফলের জন্ম হলে তার বিধান
যদি কোন বাগানের মালিক ফল পরিপক্ক হবার পর তা বিক্রি করে দেয় অতঃপর তিনি ফল পাকা পর্যন্তকেটে না
নেন আর এ সময়ের মধ্যে যদি নতুন ফলের আবির্ভাব ঘটে তবে তার দুটো অবস্থা হতে পারে।
ক. নতুন ফলকে পূর্বের ফল থেকে পার্থক্য করা সম্ভব হওয়া। এমতাবস্থায় বিক্রেতা উক্ত ফলের মালিক হবে কারণ
গাছের মালিক হল বিক্রেতা। তিনি পূর্বের ফল বিক্রি করেছেন নতুন গজে ওঠা ফল নয়।
খ. নতুন আবির্ভূত ফল এমনভাবে হয়েছে যে, বিক্রিত ফল থেকে তা আলাদা করা কঠিন। এমতাবস্থায় যদি বিক্রেতা
কর্তৃক ক্রেতাকে ফল বুঝিয়ে দেবার পূর্বে ফল বৃদ্ধি পায় তবে কেনা-বেচার চুক্তি ভেঙ্গে যাবে। কারণ মিশ্রণের ফলে
বিক্রিত ফল ক্রেতাকে বুঝিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়।
আর যদি ফল বুঝিয়ে দেওয়ার পর এমনটি ঘটে তবে বিক্রেতা ও ক্রেতা উভয়ে অতিরিক্ত ফলের অংশীদার হবে
কারণ, মিশ্রণের ফলে দুজনের মালিকানা একত্রিত হয়ে গেছে।
কি পরিমাণ ফলকে অতিরিক্ত ধরা হবে তা নির্ভর করবে ক্রেতার বক্তব্যের উপর। ক্রেতা যে পরিমাণ ফলকে নতুন
হিসেবে দাবি করবে সেগুলোকে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের মাঝে সমান ভাবে ভাগ করে নিবে।
বাগান বিক্রির ক্ষেত্রে যে পরিমাণ ফল পরিপক্ক হওয়া প্রয়োজন
আমরা জানি যে, কোন বাগানের সকল ফল একই সাথে পরিপক্ক হয় না। একাংশ আগে পরিপক্ক হয় অপর অংশ
পরে পরিপক্ক হয়। বাগান বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ফলের একটি অংশ পরিপক্ক হলেই সম্পূর্ণ বাগানকে পরিপক্ক মনে করে
বাগানের সকল ফল বিক্রি করা বৈধ।
এমনকি বাগানের মধ্যে যদি একটি অংশে পরিপক্কতা আসে আর অন্য দু/একটি অংশে পরিকক্কতা না আসে।
মালিকের ইচ্ছে থাকে পরবর্তীতে সে অংশও বিক্রি করবে তবে মালিকের জন্য একক পরিপক্ক অংশের উপর ভিত্তি
করে সম্পূর্ণ বাগান বিক্রি করা বৈধ।
ফল ও শষ্যের পরিপক্কতা বুঝার উপায়
ফল বিভিন্ন প্রকারের হয়। কোন কোন ফলের পরিপক্কতা তার রং পরিবর্তনের মাধ্যমে বুঝা যায়। কোনটি সবুজ বা
হলুদ বর্ণ কিংবা লাল বর্ণ ধারণ করে। যেমন আম, পেপে, লিচু, কলা ইত্যাদি।
কোনটি আবার স্বাদ পরিবর্তনের মাধ্যমে আবার কোনটি নরম হওয়ার মাধ্যমে পরিপক্ক বুঝায়।
আর শস্য সাধারণত শক্ত হতে শুরু করলে পরিপক্কতা আসছে বলে ধরে নেওয়া হয়।
গাছের উপর থাকা ফল অনুমাণ করে বিক্রয় করা
গাছের ফল তোলার পর পরিমাণ করে কিংবা পরিমাপ করে বা হালি/ডজন/শ/ হাজার হিসেবে বিক্রি করা বৈধ।
কোন আলেমই এ ব্যাপারে মতবিরোধে লিপ্ত হন নি।
কিন্তু ফল গাছ থেকে আহরণ করার পূর্বে অনুমাণ করে বিক্রি করা বৈধ কি না সে ব্যাপারে নানা জন নানা মত পেশ
করেছেন ।
সকল বক্তব্যের মূল কথা হচ্ছে, যদি পরিপক্কতা লাভ করার পর দক্ষ ও অভিক্ষ ব্যক্তির দ্বারা অনুমাণ করিয়ে
প্রয়োজনের তাগিদে সমজাতীয় ফল ছাড়া অন্য কোন ফলের বিনিময়ে কিংবা মুদ্রার বিনিময়ে বিক্রি করা হয় তবে
তা বৈধ।
সমজাতীয় ফল দ্বারা ক্রয়-বিক্রয় বৈধ নয়। কারণ তাতে সুদ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অবশ্য রাসূল (সা) খেজুরের
বেলায় ৫ ওয়াস্ক এর কম হলে সমজাতীয় হলেও অনুমতি দিয়েছেন। তাই ফলের ক্ষেত্রেও পরিমাণে স্বল্প হলে
গাছের ফলের বিনিময়ে ঘরে থাকা ফল বিক্রি বৈধ হবে ইনশাআল্লাহ। পরিমাণে বেশী হলে বৈধ নয়।
বিক্রিত বাগানের ফল কোন কারণে বিনষ্ট হলে তার বিধান
পরিপক্কতা লাভের পর বাগানের মালিক যদি শুধু ফল (গাছ ছাড়া) কোন ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে এবং ফল কেটে
নেওয়ার পূর্বেই যদি কোন কারণে বাগানে তা নষ্ট হয়, তবে এর দুটো অবস্থা হতে পারে১. প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন- খড়া, শীত, ঝড় ইত্যাতির কারণে সাধারণত ফল তোলার সময় হওয়ার পূর্বেই তা
বিনষ্ট হওয়া। এমতাবস্থায় দায়-দায়িত্ব বিক্রেতার উপর বর্তাবে। ক্রেতার পক্ষ থেকে বিনষ্ট ফলের দাম শোধ
ان ᗷعث من اخᘭك ثمرا فاصابته جائحة فلا ᘌحل لك ان تأخذ من نمنه شᚏئا ᗷماছনলেবে) সা (লূরাস। না বহে তকের
تاخذ من مال اخᘭك ᗷغير حق.
‘‘যদি তুমি তোমার কোন ভাইয়ের নিকট ফল বিক্রি কর আর তা প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগে নষ্ট হয়ে যায় তবে
তার থেকে মূল্য গ্রহণ করা তোমার জন্য হালাল নয়। আর বিনা অধিকারে কি করে তুমি তোমার ভাইয়ের
সম্পদ গ্রহণ করবে ?’’
২. ক্রেতা ফল কাটতে প্রচলিত সময়ের চেয়ে বেশী দেরী করেছে। আর এই দেরী করা সময়ে দুর্যোগের কারণে
ফসল নষ্ট হয়েছে। এমতাবস্থায় ক্রেতা এর দায়িত্ব বহন করবেন। তিনি ফল নষ্ট হওয়া সত্তে¡ও বিক্রেতাকে মূল্য
পরিশোধ করবেন।
৩. প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয় ; বরং কোন মানুষের কারণে যদি ফসল বিনষ্ট হয়ে থাকে তবে সেক্ষেত্রে ক্রেতা ইচ্ছে
করলে ক্ষতিপূরণ গ্রহণ করে ক্রয়-বিক্রয় চুক্তি বলবৎ রাখতে পারবেন কিংবা তিনি চুক্তি বাতিল করে দিতে পারবেনসঠিক উত্তরে টিক দিন
১. পরিপক্ক ফল/পাকা ফল বাগান থেকে তুলে এনে বাজারে বিক্রি করা
ক. বৈধ খ. হারাম
গ. মাকরূহ ঘ. উচিৎ নয়।
২. বাগানের পাকা ফল বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ক’টি পদ্ধতি আছে ?
ক. দ’টি খ. তিনটি
গ. চারটি ঘ. পাঁচটি।
৩. গাছের উপর থাকা ফল কী শর্তে অনুমান করে বিক্রি করা বৈধ?
ক. পরিমাণে কম হওয়া খ. অভিজ্ঞ ব্যক্তি দ্বারা অনুমান করানো
গ. সমজাতীয় ফল না হওয়া ঘ. সবগুলো উত্তর সঠিক।
সংক্ষিপ্ত উত্তর-প্রশ্ন
১. গাছে ফল ধরার পূর্বে তা বিক্রি করার বিধান কী ? আলোচনা করুন।
২. অপরিপক্ক ফল বিক্রির ক্ষেত্রে ক’টি ধরন হতে পারে? বর্ণনা করুন।
৩. বাগানের পরিপক্ক ফল বিক্রি করার বিধান কী লিখুন।
৪. বাগানের ফল বিক্রয়ের জন্য কী পরিমাণ ফল পরিপক্ষ হওয়া দরকার? আলোচনা করুন।
৫. বিক্রিত বাগানের ফল কোন কারণে বিনষ্ট হলে তার বিধান বর্ণনা করুন।
রচনামূলক উত্তর-প্রশ্ন
১. বাগানের ফল ক্রয়-বিক্রয় নীতি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করুন।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]