ইসলামি অর্থনীতির ন্যায় ইসলামি বীমা ব্যবস্থাও সমাজে দীর্ঘকাল যাবত কার্যকারিতা-বিহীন অবস্থায় ছিল।
ইসলামি ব্যাংক ব্যবস্থার প্রচলন ইসলামি বীমার বিলুপ্ত কাঠামোকে পুনর্জীবিত করে দেয়। এটা গতানুগতিক বীমা
ব্যবস্থার ইসলামিকরণ নয়, বরং ইসলামি বীমার স্বকীয়তার আধুনিক রূপায়ণ বলা যেতে পারে। গতানুগতিক
অর্থনীতিতে বীমা ব্যবস্থার প্রচলন ব্যাপক হলেও ইসলামি বীমা সেই গতানুগতিক বীমার ইসলামিকিকরণ মনে করা
ঠিক নয়। বস্তুত ইসলামের পূর্ণাঙ্গ রূপায়ণের পূর্ব থেকেই ইসলামি বীমা পলিসি ও ব্যবস্থার সংযুক্তি ঘটেছে আরব
গোত্রগুলোর মধ্যে বিদ্যমান ‘আল আকিলা’ নামক প্রাচীন ঐতিহ্যের অনুশীলন থেকে। অধিকন্তু রাসূলুল্লাহ (সাঃ)
তা অনুমোদন করেছিলেন হুধাইল গোত্রের দুই মহিলার মধ্যকার বিরোধ নিষ্পত্তির রায় দানের মাধ্যমে।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর উল্লিখিত রায়ের বিষয়টি নি¤েœাক্ত হাদীস থেকে পাওয়া যায় ঃ
হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেন, হুধাইল গোত্রের দুই মহিলা ঝগড়া করার সময় একজন অপরজনকে
লক্ষ্য করে একটি পাথর নিক্ষেপ করে। এতে আক্রান্তমহিলা এবং তার গর্ভস্থ সন্তান নিহত হয়। এবিষয়ে
রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর কাছে বিচার প্রার্থনা করা হলে তিনি তাঁর রায়ে বলেন, গর্ভস্থ শিশুর দিয়ত (রক্তমূল্য) হবে
শক্তি-সামর্থ্যবান একজন ক্রীতদাস বা দাসী। তাঁর রায়ে তিনি আরও বলেন, ঘাতকের পক্ষ থেকে তার পৈত্রিক
আত্মীয়-স্বজনরা এ দিয়ত পরিশোধ করবে এবং নিহতের পুত্র ও অন্যান্য ওয়ারিশরা এটা পাবে।
‘আল-আকিলা’ বিষয়ক এ মতবাদ দ্বিতীয় খলীফা হযরত উমর (রাঃ)-ও অনুমোদন করেন এবং অনেকক্ষেত্রে
তিনি তা বাধ্যতামূলক করেছিলেন। এ ঐতিহ্যের আলোকে গৃহীত বীমা ব্যবস্থার যৌক্তিক ও আইনগত ভিত্তি
অবশ্যই রয়েছে।
ইসলামি বীমা (তাকাফুল) পলিসি কোন প্রস্তাব প্রদান ও তা গ্রহণ করার মাধ্যমে পক্ষগুলোকে একটি সমঝোতায়
নিয়ে আসে। উভয়পক্ষ কৃত চুক্তিমালার নীতির উপর আস্থা স্থাপন করে থাকে। কোন বীমা পলিসির মৌলিক
বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে চুক্তির পক্ষসমূহ, পক্ষসমূহের আইনগত সামর্থ্য, প্রস্তাব প্রদান ও গ্রহণ, বিষয়বস্তুর
বিবেচনা, বীমাগত স্বার্থ- যা যেকোন চুক্তির বিষয়াবলীর অন্তর্ভুক্ত। আর চুক্তি হলো প্রস্তাব প্রদান ও তা গ্রহণের
একটি প্রতিশ্রæতি এবং যা বাস্তবায়ন করতে হবে। আল-কুরআন ঘোষণা করছে, “হে যারা ঈমান এনেছ,
তোমাদের চুক্তিসমূহ পূরণ কর।” (৫ঃ১)
আইনগত সামর্থ্যরে মধ্যে বীমা চুক্তির পক্ষগুলোর বয়স অন্তর্ভুক্ত। সে বয়স ১৮ বছর বা তার চেয়ে অধিক। ‘দ্যা
তাকাফুল এক্ট (মালয়েশিয়া) ১৯৮৪ অনুযায়ী আঠারো বছর বয়সের নীচে কোন ব্যক্তি তাকাফুল (ইসলামি বীমা)
চুক্তিতে আবদ্ধ হওয়ার যোগ্য হবে না। বীমা পলিসিতে প্রয়োজনীয় বয়স এবং যেকোন সাধারণ চুক্তির বয়স একই
সমান। তা ছাড়া সাধারণ চুক্তির প্রাসংগিক নীতিমালাসমূহ বীমা চুক্তি সম্পাদনেও মৌলিকভাবে প্রয়োজ্য।
বীমা পলিসি মৃত্যু, দুর্ঘটনা, বিপর্যয় এবং মানুষের জীবন, ব্যবসা বা সম্পত্তির অন্যান্য ক্ষতিপূরণ দিয়ে থাকে।
বীমাকারক (বীমা কোম্পানী) বীমা পলিসির মাধ্যমে সম্মত (চুক্তিবদ্ধ) বিষয়ে ক্ষতির বিপরীতে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার
প্রতিশ্রæতি দিয়ে থাকে।
বীমা পলিসির অধিকার এবং বাধ্যবাধকতা প্রধানত চুক্তির ও শাস্তির আইন থেকে উদ্ভূত। যেমন কোন মটর বাইক
দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে বীমাকারক (বীমা কোম্পানী) দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তির পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তকে ক্ষতিপূরণ দিতে
বাধ্য ও দায়বদ্ধ থাকে। এক্ষেত্রে বীমাকারক উক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে বীমাকারক ও বীমা গ্রাহকের মধ্যে সম্পাদিত
চুক্তির শর্তাবলীর আওতায় বাধ্য থাকে।
বীমা পলিসি কার্যকর করার জন্য বীমাচুক্তির সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাস থাকতে হবে।
তাই, প্রাসংগিক তথ্য অব্যক্ত করা, প্রতারণামূলক তৎপরতায় জড়িত থাকা, অসত্য বিবরণ বা ভুল তথ্য প্রদান
ইত্যাদির কারণে কোন বীমা পলিসি বাতিল হয়ে যেতে পারে। আল্লাহ তাআলা বলেন, “হে যারা ঈমান এনেছ
তোমরা তোমাদের পরস্পরের ধন-সম্পদ সন্তুষ্ট চিত্তে ব্যবসায়িক লেনদেন ছাড়া অন্যায়ভাবে খেয়োনা।” (৪ঃ২৯)
জীবন বীমা পলিসির ক্ষেত্রে বীমা গ্রাহকের নিয়োগকৃত নমিনি পুরোপুরি সুবিধা ভোগ করতে পারে না। ১৯৭৪
সালের মালয়েশিয়ার বীমা ্আইনে ঞযব ঘধঃরড়হধষ ঈড়ঁহপরষ ভড়ৎ গঁংষরস জবষরমরড়ঁং অভভধরৎং-এর উত্তরাধিকার ও
উইল বিষয়ক ফতোয়া এবং ১৯৭০ সালের করাচি হাইকোর্টের রায়ের ভিত্তিতে উক্ত সিদ্ধান্তগৃহীত হয়েছে। উভয়
সিদ্ধান্তেই বলা হয়েছে, জীবন বীমা পলিসির ক্ষেত্রে নমিনি কেবল একজন ট্রাস্টি যিনি পলিসির বেনিফিটসমূহ গ্রহণ
করে তা উত্তরাধীকার আইন ও ওয়াসিয়্যাতের নীতিমালার আলোকে মৃতের উত্তরাধিকারীদের মধ্যে বণ্টন করে
দেবেন।
বীমা পলিসির মোকাবিলায় বস্তুগত নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়ে থাকে। শরীয়তের বিধিবিধানের আলোকে বীমা
পলিসি পলিচালনা আসলে আল-মুদারাবা পদ্ধতির নীতিমালার ভিত্তিতে হয়ে থাকে, যা মূলত সুদ ভিত্তিক ব্যবস্থার
বিকল্প। এমতাবস্থায়, একটি যৌথ উদ্যোগে একদিকে এক ব্যক্তি মূলধনের যোগান দেয়, অন্যদিকে আরেক ব্যক্তি
নিজের ব্যবসায়িক দক্ষতার প্রয়োগ করে এবং পারস্পরিক সমাঝোতার ভিত্তিতে উভয় পক্ষ লাভের অংশ পায়।
তেমনি, বীমা পলিসি লেনদেনের ক্ষেত্রে উভয় পক্ষই একমত হয় যে বীমা গ্রহীতা নিয়মিত প্রিমিয়াম দিয়ে যাবে
আর বীমাকারক সংগৃহীত প্রিমিয়ামসমূহ বৈধ ব্যবসায় বিনিয়োগ করবে, যাতে করে বীমাকারক ও বীমা গ্রহীতা
উভয়ই চুক্তি মোতাবেক লভ্যাংশ বণ্টন করে নেবে। একই সাথে বীমাকারক এ প্রতিশ্রæতিও দেবে যে বীমা গ্রাহক
ভবিষ্যতে কোন অপ্রত্যাশিত ক্ষতির সম্মুখীন হলে বীমাকারক তাকে চুক্তি অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেবে। এভাবে বীমা
পলিসির ক্ষেত্রে আল-মুদারাবা অর্থনৈতিক পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়ে থাকে।
তাছাড়া ইসলামি বীমা পলিসি আল-মুশারাফা নীতিমালার ভিত্তিতেও কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। এ ক্ষেত্রে
বীমাকারক ও বীমা গ্রাহক উভয়ই কোম্পানী পরিচালিত পলিসির অংশীদার হিসেবে কাজ করে থাকে।
আধুনিক বিশ্বে সাধারণ বীমা ব্যবস্থার পাশাপাশি শরীয়াহ ভিত্তিক বীমা কোম্পানী অনেক দেশেই প্রতিষ্ঠিত
হয়েছে। যেমন মালয়েশিয়া, ব্র“নেই, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, ইরান, সুদান, সৌদী আরব, কাতার, বাহরাইন
বাংলাদেশসহ আরও অনেক দেশে। বীমা পলিসির অনুশীলনের মাধ্যমে চুক্তির পক্ষগুলোর মধ্যকার পারস্পরিক
সহযোগিতা, সংহতি এবং ভ্রাতৃত্ববোধের বিকাশ ঘটতে পারে। অপ্রত্যাশিত কোন ক্ষতি, লোকসান বা দুর্বিপাকে
পতিত ব্যক্তিদের কল্যাণের দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। উপরোল্লিখিত উদ্দেশ্য এবং যৌক্তিকতা ছাড়াও বীমা
পলিসি সমাজের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচনের কাজ করে থাকে। এতে করে যেকোন
কঠিন অবস্থার শিকার না হয়েই সমাজ সদস্যদের স্বাভাবিক জীবন যাপনের ব্যবস্থা হয়ে থাকে।
বীমা পলিসির অধিকার ও প্রয়োজনীয়তা, সর্বোপরি এর বাধ্যবাধকতার নীতিমালাসমূহ উদ্ভূত হয়ে থাকে মানবতা
ও মানুষের স্বভাব-প্রকৃতি থেকে। সমাজের সকল মানুষই তার নিজের, তার সম্পদ ও পরিবারবর্গের অপ্রত্যাশিত
দুর্ঘটনা, বিপদ ও বিপর্যয়ের সময় বস্তুগত নিরাপত্তা ও আত্মরক্ষার অধিকার পাওয়ার আশা করে থাকে। ইয়াতীম,
অসহায়, দরিদ্র, বিধবা ও শিশুদের বিপর্যয়ের হাত থেকে নিরাপত্তার বিষয়টি মানব স্বভাব ও মানবাধিকারের
আওতাভুক্ত। রাসূলুল্লাহ (স)-এর নি¤œবর্ণিত হাদীসের আলোকে এ ধরনের বাধ্যবাধকতা ও অধিকারের বৈশিষ্ট্য
ফুটে উঠে।
হযরত সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রা) বর্ণনা করেন, নবী করীম (স) বলেছেন, “তোমার সন্তানদের অন্যদের
মুখাপেক্ষী করে রেখে যাওয়ার চেয়ে তাদেরকে সম্পদশালী হিসেবে রেখে যাওয়া অনেক ভাল।”
রাসূলুল্লাহ (স) নি¤œলিখিত হাদীসের মাধ্যমে বিধবা এবং দরিদ্র পীড়িতদের বস্তুগত নিরাপত্তা দেওয়ার প্রতি
অত্যাধিক গুরুত্ব দিয়েছেন ঃ
আবূ সাফওয়ান ইবন সালিম (রাঃ) বর্ণিত হাদীস- রসূলুল্লাহ (স) বলেছেন, “যে ব্যক্তি বিধবা ও দরিদ্রদের
দেখাশুনা করে, তাদের কাজ করে দেয়, সে আল্লাহর পথে জিহাদকারীর বা যে দিনে রোযা রাখে রাতে ইবাদত
করে তার মত।”
মানবিক আইনের একটি উদ্দেশ্য হচ্ছে অপ্রত্যাশিত ক্ষতি, লোকসান বা অন্য কোন ধরনের ঝুঁকি বা কঠিন
পরিস্থিতি থেকে রক্ষার জন্য সমাজে পারস্পরিক স¤প্রীতি সৃষ্টি করা। একটি বীমা পলিসি ঠিক অনুরূপ কোন
অপ্রত্যাশিত বস্তুগত ঝুঁকি থেকে উদ্ভূত সমস্যা দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। মহানবী (স)-এর নি¤œবর্ণিত
হাদীসের মাধ্যমে এর যৌক্তিকতা পাওয়া যায়। হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন,
“যে ব্যক্তি কোন মুমিনের জাগতিক কষ্ট দূর করে দেয়, আল্লাহ তাআলা হাশরের দিন তার একটি কষ্ট দূর করে
দেবেন। যে ব্যক্তি কোন অভাবগ্রস্তের অভাব মোচন করে দেয়, আল্লাহ তাআলা দুনিয়া ও আখিরাতে তার অভাব
মোচন করে দেবেন।”
বিশ্বে বীমা ব্যবস্থার ব্যাপক বিকাশ সত্তে¡ও ইসলামি চিন্তাবিদগণ এ বিষয়ে যথেষ্ট এগিয়ে আসতে পারেন নি। এ
প্রসংগে একথাটি পরিষ্কারভাবে বলা যায় যে, ইসলামি বীমা পলিসির মডেলটি প্রচলিত বীমা ব্যবস্থা থেকে ভিন্নরূপ।
এ মডেলটি শরীয়াহ ভিত্তিক মীরাস ও ওয়াসিয়্যাত নীতিমালার আলোকে প্রণীত। কোন বীমা ব্যবস্থায় যদি রিবা বা
সুদের কোন উপাদান থাকে তবে তা বৈধ বা জায়েয হবে না। তাই বীমা ব্যবস্থাকে বৈধ এবং বাস্তবায়নযোগ্য করে
তোলার জন্য বীমা পলিসি অবশ্যই আল-মুদারাবাহ’ অর্থনৈতিক পদ্ধতির ভিত্তিতে পরিচালিত হতে হবে।
ভবিষ্যতের অপ্রত্যাশিত কোন ক্ষতি বা লোকসান থেকে বীমাগ্রাহককে নিরাপত্তা দেয়ার লক্ষ্যে ইসলামি বীমা
ব্যবস্থা সংহতি, ভ্রাতৃত্ব এবং পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে বীমা ব্যবস্থা পরিচালিত করে থাকে। বীমা সংশ্লিষ্ট
পক্ষগুলোকে বস্তুগত লাভের সুযোগ দেয় না বরং কোন বিষয়ে বীমাগ্রাহকের অপ্রত্যাশিত ক্ষতি বা লোকসান থেকে
নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যবস্থা করে থাকে মাত্র- যা ইসলামি সমাজ ব্যবস্থার মূনীতির সাথে সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যশীল।
মুসলিম রাষ্ট্রসমূহে ইসলামি বীমার অগ্রগতি
১৯৯৮ খৃষ্টাব্দের ৩০শে মার্চ ও ১লা এপ্রিল কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়ায় তাকাফুল (ইসলামি বীমা) বিষয়ে নয়টি
রাষ্ট্রের একটি আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রগুলো হলো বাংলাদেশ, মিশর, জর্দান, মালয়েশিয়া, তুরস্ক,
ইন্দোনেশিয়া, সুদান, পাকিস্তান ও কুয়েত।
সেমিনারে মুসলিম দেশসমূহে তাকাফুল বানিজ্যের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক গুরুত্ব সম্পর্কে এবং ধারণাগত
ও বাস্তবায়ন সংক্রান্তআলোচনা গুরুত্ব সহকারে বিবেচিত হয়। সেমিনারে নি¤েœাক্ত বিষয়গুলো বিশদভাবে পঠিত ও
আলোচিত হয় ঃ
মুসলিম রাষ্ট্রসমূহে উক্ত সেমিনারের উল্লেখযোগ্য প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। অতিস¤প্রতি বাংলাদেশেও বেশ কিছু
ইসলামি বীমা কোম্পানী গড়ে উঠে।
১১. বাংলাদেশে ইসলামের আলোকে অনেকগুলো বীমা প্রতিষ্ঠান কাজ করছে।
১. ইসলামি বীমা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়ক. ইসলামি নীতিমালার ভিত্তিতে খ. ব্যাংকিং নীতিমালার ভিত্তিতে
গ. সাধারণ বীমা ব্যবস্থার ভিত্তিতে ঘ. সুদ ভিত্তিক নীতিমালার ভিত্তিতে।
২. কত বছরের বয়সে তাকাফুল চুক্তিতে আবদ্ধ হওয়া যাবে?
ক. ২০ বছরের নিচে নয় খ. ১৮ বছর বয়সে
গ. ১৮ বছরের কম হলেও চলবে ঘ. ২৫ বছরের ঊর্ধ্বে
৩. নমিনি বীমা পলিসির সকল সুবিধা ভোগ করতে পারবে কী?
ক. পারবে খ. আংশিক পারবে
গ. মিরাসী ও ওয়াসিয়াতের নীতিমালা অনুযায়ী বণ্টন করবে মাত্র ঘ. সকল উত্তরই ভুল।
৪. ইসলামি বীমা পরিচালিত হয়ে থাকেক. মুশারাকা পদ্ধতিতে খ. মুদারাবা পদ্ধতিতে
গ. বাইয়ে সালাম পদ্ধতিতে ঘ. ১নং এবং ২ নং উত্তর সঠিক।
৫. ইসলামি বীমার আন্তর্জাতিক সেমিনার কোথায় অনুষ্ঠিত হয়?
ক. সৌদী আরবে খ. সিঙ্গাপুরে
গ. কুয়ালালামপুরে ঘ. বাংলাদেশে।
সংক্ষিপ্ত উত্তর-প্রশ্ন
১. ইসলামি বীমাব্যবস্থা ইসলামি নীতিমালার উপর প্রতিষ্ঠিত- প্রমাণ দিন।
২. ইসলামি বীমাব্যবস্থা আল-মুশারাকা ও আল-মুদারাবা পদ্ধতি অনুসরণ করে- ব্যাখ্যা করুন।
৩. মুসলিম রাষ্ট্রে ইসলামি বীমা ব্যবস্থার প্রচলন স¤পর্কে সংক্ষেপে লিখুন।
রচনামূলক উত্তর-প্রশ্ন
১. ইসলামি বীমা কি শরীয়ত সম্মতভাবে পলিসি গ্রহণ করে? আপনার মতামত যুক্তি প্রমাণসহকারে উপস্থাপন
করুন।
FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত