সুদের সংজ্ঞা লিখুন এবং সুদের শ্রেণীবিভাগ বিস্তারিতভাবে আলোচনা করুন।

ইসলামি জীবন ব্যবস্থায় সুদকে স¤পূর্ণভাবে নিষিদ্দ ঘোষণা করা হয়েছে। কুরআন-হাদীসে এ ব্যাপারে সু¯পষ্ট
দলীল বিদ্যমান। কেননা সুদ হচেছ শোষণের হাতিয়ার। সুদ মানুষের মধ্যে অর্থনৈতিক বৈষম্য সৃষ্টি করে। সুদী
লেনদেনের মাধ্যমে ধনী আরো ধনী হয় এবং গরীব অর্থনৈতিকভাবে নিঃশেষ হয়ে যায়। সুদের মধ্যে মানুষের
নৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কুফল বিদ্যমান রয়েছে। একজন মুসলমান কখনো সুদের আদানপ্রদান করতে পারে না। এমনকি সুদী লেনদেনের লিখকও সাক্ষী হতে পারে না। সুদখোরদের ব্যপারে আলকুরআন কঠোরভাবে সতর্ক করে দিয়ে তাদের খারাপ পারিণতি এবং কিয়ামাতে তাদের বেদনাদায়ক শাস্তির বিষয়
উল্লেখ করেছে। এমনকি সুদখোরদের বিরূদ্ধে আল্লাহ তাআলা যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। সুদ স¤পর্কে অন্যান্য ধর্মেও
নিষেধ বাণী রয়েছে। এমনকি গ্রীক দার্শনিক এরিস্টটল পর্যন্তসুদকে কৃত্রিম জালিয়াতি ব্যবসা হিসেবে আখ্যায়িত
করেছেন। ইসলামের দৃষ্টিতে সুদ সাধারণতঃ দুই প্রকার যথা- মেয়াদী সুদ বা রিবা আন-নাসিয়া এবং পণ্যের সুদ
বা রিবা আল-ফাদল। ইসলাম দুই ধরনের সুদকেই নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে এবং ইসলামি খিলাফত যুগে
অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে তার বাস্তবায়ন ঘটিয়েছে। রিবা এবং ব্যবসা এক জিনিষ নয়। ব্যবসায়ের মুনাফা ববং সুদের
মধ্যে বিস্তর পার্থক্য বিদ্যমান। আলোচ্য ইউনিটে সুদ বা রিবা সংক্রান্তবিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। সুদের সংজ্ঞা
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরিশোধের শর্ত সাপেক্ষে কোন নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থের বিপরীতে পূর্বনির্ধারিত হারে যে
অধিক পরিমাণ অর্থ আদায় করা হয় এবং একই শ্রেণীভ‚ক্ত মালের পার¯পরিক লেনদেন কালে চুক্তি মোতাবেক
অতিরিক্ত যে পরিমাণ মাল গ্রহণ করা হয় তাকে ‘সুদ’ বলে।
পবিত্র কুরআনে সুদের প্রতিশব্দ হিসেবে ‘রিবা’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। আরবি ‘রিবা’ শব্দের অর্থ হচেছ বেশী
হওয়া, বৃদ্ধি পাওয়া, মূল থেকে বেড়ে যাওয়া, বিকাশ ঘটা ইত্যাদি। ইসলামে ‘রিবা’ অর্থাৎ বৃদ্ধি পাওয়াকে হারাম
ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু সকল প্রকার বৃদ্ধিকে ইসলামে ‘রিবা’ বলে আখ্যায়িত করা হয়নি। কারণ ব্যবসা
বাণিজ্যেও মূলধন বৃদ্ধি পেয়ে থাকে, যা ‘মুনাফা’ নামে আখ্যায়িত। মূলধনের এ বৃদ্ধি অর্থাৎ ‘মুনাফা’ সুদের
অন্তভর্‚ক্ত নয় এবং তা হারামও নয় বরং স¤পূর্ণ হালাল। ইসলামে একটি বিশেষ ধরনের বৃদ্ধিকে ‘রিবা’ বলে
আখ্যায়িত করা হয়েছে, যা প্রদত্ত মূলধনের উপর চুক্তি মোতাবেক আদায় করা হয়।
পবিত্র কোরআনের মোট সাতটি আয়াত এবং চল্লিশটিরও অধিক হাদীসের মাধ্যমে রিবার অবৈধতা, ক‚ফল এবং
দাতা, সাক্ষী ও লেখকের খারাপ পরিণতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
হাদীসের আলোকে সুদের সংজ্ঞা
পবিত্র কুরআনে সুদের সংজ্ঞা দেয়া না হলেও হাদীসে এর সংজ্ঞা এবং বিবরণ দেয়া হয়েছে এবং এরই ভিত্তিতে
ফিকহবিদগণ রিবাকে বিভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। নি¤েœরিবা বা সুদের কয়েকটি সংজ্ঞা উল্লেখ করা হল।
᛿ل قرض جر نفعا فهورᗖاছনলেবে.) সা (রাসুলুল্লাহ
‘‘যে ঋণ কোন মুনাফা টানে তাই রিবা (সুদ)।’’
২. কিতাবুল ফিকহ আলাল মাযাহিবিল আরবাআ গ্রন্থে বলা হয়েছে-
فهوزᗫادة احدالᘘدلين المتجالسين من غير ان ᘌقاᗷل هذةالᗫᖂاة عوض.
একই জাতীয় কোন পণ্য সামগ্রীর পার¯পরিক লেনদেনের সময় কোন বিনিময় ব্যতীত এক পক্ষ কর্তৃক যে
অতিরিক্ত স¤পদগ্রহণ করা হয়, সে অতিরিক্ত অংশকে বলা হয় ‘সুদ’। যেমন কেউ এক কেজি চাল দিয়ে দেড়
কেজি চাল নিল। এখানে অতিরিক্ত আধা কেজি চালের কোন বিনিময় দেয়া হয়নি। ইসলামি শরীয়াতে এ অতিরিক্ত
আধাকেজি চাল গ্রহণ করাকে সুদ হিসেবে গণ্য করা হয়।
৩. সুদের সংজ্ঞা প্রসঙ্গে মুজামু লুগাতিল কুফাহা গ্রন্থে আছে-
᛿ل زᗫادة مشروطة في العقد خالᘭة عن عوض مشروع.
“শরীয়াত সম্মত বিনিময় ব্যতীত চুক্তির শর্তানুযায়ী যে অতিরিক্ত গ্রহণ করা হয় তাকে ‘সুদ’ বলে।
৪. মুফতি আমীমুল ইহসান (র.) তাঁর কাওয়াইদুল ফিকহ গ্রন্থে লিখেছেন-“চুক্তিবদ্ধ দুই পক্ষের যে কোন এক পক্ষ
পার¯পরিক লেনদেনে শরীয়াত সম্মত বিনিময় ব্যতীত শর্ত মোতাবেক যে অতিরিক্ত মাল গ্রহণ করে তাকে ‘সুদ’
বলা হয়।
৫. আহকামুল কুরআন গ্রন্থে আল্লামা ইবনুল আরাবী (র) লিখেছেনপাঠ ঃ
الᗖᖁا في اللغة الᗫᖂادة والمراد في الاᘌة ᛿ل زᗫادة لاᘌقاᗷلهاعوض.
রিবার আভিধানিক অর্থ হচেছ বৃদ্ধি। পবিত্র কুরআনে ঐ বৃদ্ধিকে বুঝানো হয়েছে যার বিপরীতে কোন বিনিময়
নেই।’’
৬. ফতোয়ায়ে আলমগীরীতে সুদের সংজ্ঞা প্রসঙ্গে বর্ণিত হয়েছে-“ইসলামি শরীয়াতে ‘সুদ’ ঐ মালকে বলা হয়েছে
যে মালের পরিবর্তে লেনদেনকালে অতিরিক্ত অংশ হিসেবে প্রদান করা হয়, যার কোন বিনিময় নেই।”
৭. প্রসিদ্ধ ভাষাবিদ আবু ইসহাক আল যাজ্জাজ-এর মতে-
᛿ل قرض يوخذ اᜧثرمنه فهورᗖا.
“যে ঋণের দরূন আসলের অতিরিক্ত নেয়া হয় তা সুদ”।
৮. ইমাম আবু বকর আল জাসসাস এর মতে,-“একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য প্রদেয় ঋণে মেয়াদোত্তীর্ণের পর পূর্ব
শর্ত অনুযায়ী আসলের অতিরিক্ত যে অর্থ আদায় করা হয় তা হচেছ সুদ।’’ (তাজুল আরূসঃ রিবা দ্রঃ)
এমনিভাবে বিভিন্ন মুসলিম মনীষীগণ বিশ্বনবী (স.)-এর হাদীসের ভিত্তিতে সুদকে বিভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করে
পৃথিবীর মানুষের সামনে পেশ করে গিয়েছেন। মোটকথা সর্বপ্রকার সুদ ইসলামে অবৈধ। সেটা জাহেলী যুগে
প্রচলন থাকুক বা না থাকুক।
সুদের শ্রেণী বিভাগ
সুদ সাধারণত দুই প্রকার, যথা-রিবা আল-নাসিয়া এবং রিবা আল-ফাদল। রিবা আল-নাসিয়া রিবা আরবী শব্দ
যার অর্থ বৃদ্ধি। কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কোন অর্থ বা পণ্য ঋণ হিসাবে প্রদানের বিনিময়ে
ঋণগহীতার নিকট থেকে সময়ের ভিত্তিতে পূর্ব নির্ধারিত হারে ঋণ বাবদ বা পণ্যের অতিরিক্ত যে অর্থ বা পণ্য
আদায় করা হয় তাকে বলা হয় রিবা আল-নাসিয়া’। যেমন, রহিম করিমকে ১০% হার সুদে এক বছরের জন্য
১,০০,০০০ টাকা ধার দিল। এক বছর পর করিমের কাছে রহিমের পাওনা হবে সুদাসল ১,১০,০০০ টাকা।
একইভাবে যদি ’ক‘ ’খ‘কে ধার হিসাবে দশ মণ ধান দেয় এই শর্তে যে, ৬ মাস পর “ক” ১০ মণ আসলের সাথে
১মণ অতিরিক্তসহ মোট ১১ মণ ধান পরিশোধ করবে তবে এই লেনদেনটি ও রিবা আল-নাসিয়া হিসেবে পরিগণিত
হবে। অন্যদিকে রিবা আল ফাদল হচেছ, সমজাতীয় পণ্যের তারতম্যপূর্ণ তাৎক্ষণিক (ড়হ ঃযব ংঢ়ড়ঃ) লেনদেন।
যেমন, ’ক‘ যদি তার ২ কেজি সরূ চালের বিণিময়ে ’খ‘ এর নিকট থেকে চার কেজি মোটা চাল গ্রহণ করে তবে
তা রিবা আল-ফাদল হিসাবে গণ্য হবে। তবে কেউ যদি ভিন্ন জাতীয় দুটি দ্রব্যের লেনদেনের পরিমানের তারতম্য
করে তবে তা রিবা আল-ফাদল হবে না। যেমন ’ক‘ এক কেজি চালের বিনিময়ে ’খ‘-এর নিকট থেকে দুই কেজি
আলু গ্রহণ করলো। এরূপ লেনদেন বৈধ।
রিবা আল-নাসিয়া কুরআনের আয়াত দ্বারা সু¯পষ্টভাবে নিষিদ্ধ। পবিত্র কুরআনের সূরাহ আল-বাকারার ২৭৫ নং
আয়াতে সুদকে শয়তানী উন্মাদনা বলে উল্যেখ করে বলা হয়েছে- “ঐ ব্যক্তিরা যারা সুদ গ্রহণ করে, দাঁড়াতে
পারবেনা, ঐরূপ ব্যতীত যেমন দাঁড়ায় একজন, যাকে শয়তান তার ¯পর্শ দিয়ে উন্মাদনার দিকে নিয়ে যায় কারণ
তারা বলে; বাণিজ্য সুদের মত। কিন্তু আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করেছেন এবং সুদকে হারাম করেছেন। অতঃপর
যার কাছে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, পূর্বে যা হয়ে গেছে তা তার।
তার ব্যাপার আল্লাহর উপর নির্ভরশীল। আর যারা পুণরায় সুদ খায় তারাই দোজখে যাবে; তারা সেখানেই চিরকাল
অবস্থান করবে।’’ পক্ষান্তরে, রিবা আল-ফাদল তথা সমজাতীয় পণ্যের তারতম্যপূর্ণ লেনদেনের ফলে সৃষ্ট সুদ
আল্লাহর রাসূল (স) কর্তৃক নিষিদ্ধ।
সরল সুদ বনাম চক্রবৃদ্ধি সুদঃ রহিম ১২% সুদে ১ লক্ষ টাকা মূল্যের প্রতিরক্ষা সঞ্চয়পত্র কিনলো। ৫ বছর পর সে
১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা পাবে। এটি হচেছ সরল সুদের উদাহরণ। অন্যদিকে রহিম কোন সুদী বানিজ্যিক ব্যাংক
থেকে ১ লক্ষ টাকা ১০% সুদে ৫ বছরের জন্য ধার নিল। প্রথম বছর শেষে ১ লক্ষ টাকা আসলের সাথে ১০
হাজার টাকা সুদ যুক্ত হয়ে মোট ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা দ্বিতীয় বছরের আসল হিসাবে বিবেচিত হবে। অর্থাৎ
দ্বিতীয় বছরে ১,১০,০০০ টাকার সাথে ১০% হারে ১১,০০০ টাকা সুদ যুক্ত হয়ে সুদাসলে ১,২১,০০০ টাকা
তৃতীয় বছরের জন্য আসল হিসাবে বিবেচিত হবে। এভাবে প্রতিটি হিসেব শেষে সুদ পূণঃবিনিয়োগের ধারণার
ভিত্তিতে ক্রমাগত আসলের পরিমাণ বৃদ্ধি এবং তার উপর পরবর্তী সুদ নির্ণয় প্রক্রিয়ার নাম চক্রবৃদ্ধি সুদ।
পবিত্র কুরআনে সাধারণভাবে সুদ হারাম করার পাশাপাশি বিশেষভাবে চক্রবৃদিধ সুদ হারাম করা হয়েছে। সুরাহআল-ইমরানের ১৩০ নং আয়াতে বলা হয়েছে, হে বিশ্বাসীগণ, তোমরা দ্বিগুন চতুর্গুন হারে সুদ খেওনা।
আল্লাহকে ভয় করো। আশা করা যায় তোমরা কল্যাণ লাভ করতে পারবে, পবিত্র কুরআনে বিশেষভাবে চক্রবৃদ্ধি
সুদ নিষিদ্ধ করার ফলে কিছু কিছু লোকের মাঝে এই ভুল ধারণার সৃষ্টি হয়েছে যে, সরল সুদ হয়তো অতটা
খারাপ নয় এবং সরল সুদের লেনদেন করা যেতে পারে। এ ধারণা একবারেই ভুল। কারণ, বিশেষ পরিস্থিতিতে
প্রথম দিকে আল্লাহ পাক চক্রবৃদ্ধি সুদের নিষেধাজ্ঞার কথা উল্ল্যেখ করলেও কুরআনের অন্য সাধারণভাবে সুদ
নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিশেষ করে কুরআনের যে আয়াতে সুদের বিরূদ্ধে আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (স) এর পক্ষ থেকে
যুদ্ধের ঘোষণা দেয়া হয়েছে সেখানে সাধারণভাবে সুদের উল্যেখ করা হয়েছে।
ভোগ্য ঋণের সুদ বনাম বিনিয়োগ ঋণের সুদ
কেউ যখন তার জীবন ধারনের প্রয়োজনে ঋণ গহণ করে তখন তাকে বলা হয় ভোগ্য ঋণ যেমন ফ্রিজ বা গৃহস্থালীর আসবাবপ এ ক্রয়ের জন্য ঋণ। পক্ষান্তরে, কেউ যখন উৎপাদন কিংবা
ব্যবসায়িক কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য ঋণ গ্রহণ করে তখন তাকে বলা হয় বিনিয়োগ ঋণ তথাকথিত উদারপন্থী কিছু মুসলিমের ধারণা, ভোগ্য ঋণের বেলায় সুদ পুরোপুরি নিষিদ্ধ হলেও
বিনিয়োগ ঋণের বেলায় সুদ সম্ভবতঃ অতটা নিষিদ্ধ নয়। তাদের এ ধারণার পিছনে যুক্তি হলো, প্রথমতঃ
বাণিজ্যিক ঋণগ্রহীতা গৃহীত ঋণের টাকা দিয়ে যেহেতু ব্যবসা করছেন লাভের উদ্দ্যেশ্যে, সুতরাং তার উপার্জিত
লাভ থেকে একটি নির্দিষ্ট হারে সুদ দেয়াতে আপত্তির কি থাকতে পারে? তাদের দ্বিতীয় যুক্তি হচেছ এই যে, রাসুল
(স) এর যুগে মূলতঃ ভোগের উদ্দ্যেশ্যেই ঋণ দেয়া নেয়া হতো। এমতাবস্থায়, আধুনিক যুগে ব্যবসা বাণিজ্যের
জন্য গৃহীত ঋণের জন্য সুদ গ্রহণ ও প্রদান অবৈধ না হওয়াই যুক্তিযুক্ত। ব্যবসায়িক সুদের বৈধতার প্রবক্তাদের
প্রথম যুক্তি ধোপে টেকে না এজন্য যে, ব্যবসায়ে লাভের সম্ভাবনার পাশাপাশি লোকসানের ও ঝুঁকি থাকে। সুতরাং
লোকসানের ঝুঁকি পুরোটাই উদ্যোক্তার মাথায় চাপিয়ে মূলধনের যোগানদাতা নিশ্চিত লাভের নৌকায় পা রাখবেন
এটা মোটেই মেনে নেয়া যায় না। তাদের দ্বিতীয় যুক্তিও অকার্যকর কারণ- রাসূল (স) এর যুগে যে বাণিজ্যিক
প্রয়োজনেও সুদে ঋণ আদান-প্রদান হতো তা ইতিহাস থেকে প্রমাণিত
কোমল সুদ বনাম কঠোর সুদঃ কেউ কেউ আবার সুদকে কোমল ও কঠিন এ দু’ভাগে বিভক্ত করার ব্যর্থচেষ্টা
করেন। সুদের হার অপেক্ষাকৃত স্বল্প ও শর্তাবলী নরম বা সহজ হলে তাকে কোমল সুদ এবং এর উল্টো হলে
তাকে কঠোর সুদ বলে আখ্যায়িত করা হয়। সে সাথে যুক্তি দেখানো হয় যে, কঠোর সুদ হারাম হলেও কোমল
সুদ হারাম না হওয়াই উচিৎ। এ ধারণা ভ্রান্ত, কারণ ইসলামি উসুলের একটি বড় বিধান হলো এই যে, যে
জিনিসের বেশী হারাম তার অল্প ও হারাম । যেমন, মদ খাওয়া, মিথ্যা বলা ইত্যাদি। অল্প মদ বা আংশিক মিথ্যা
যেমন বৈধতা পেতে পারে না, তেমনি অল্প বা হালকা সুদও বৈধতা পাওয়ার কোন যুক্তি নেই।
১. রিবা শব্দের অর্থ হচেছক. বেশী হওয়া খ. বৃদ্ধি পাওয়া
গ. মূল থেকে বৃদ্ধি পাওয়া ঘ. সকল উত্তরই সঠিক।
২. পবিত্র কুরআনে ক’টি আয়াতে সুদের কথা উল্লেখ আছে?
ক. সাতটি খ. বারটি
গ. আটটি ঘ. পাঁচটি।
৩. মুফতী আমিমুল ইহসানের গ্রন্থের নামক. মুজামু লুগাতিল ফুকাহা খ. কাওয়াইদুল ফিকহ
গ. কিতাবুল ফিকহ ঘ. আহকামুল কুরআন।
৪. রিবা আল-নাসিয়া হারাম হওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়ক. আল-কুরআন থেকে খ. আল-হাদীস থেকে
গ. ইজমায়ে-উম্মত থেকে ঘ. সব ক’টি উত্তরই সঠিক।
সংক্ষিপ্ত উত্তর-প্রশ্ন
১. সুদ কী? বুঝিয়ে লিখুন।
২. ফিকহবিদগণের দৃষ্টিতে সুদের তিনটি সংজ্ঞা লিখুন।
৩. রিবা আল-নাসিয়া ও রিবা আল ফাদল কী?
৩. সরল সুদ ও চক্রবৃদ্ধি সুদ স¤পর্কে আলোকপাত করুন।
৫. ভোগ্য ঋণের সুদ বনাম বিনিয়োগ ঋণের সুদ স¤পর্কে ইসলামি দৃষ্টিকোণ ব্যাখ্যা করুন।
৬. কোমল সুদ এবং কঠোর সুদ বলতে কী বুঝায়? লিখুন।
রচনামূলক উত্তর-প্রশ্ন
১.সুদের সংজ্ঞা লিখুন এবং সুদের শ্রেণীবিভাগ বিস্তারিতভাবে আলোচনা করুন।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]