সুদযোগ্য পণ্য কী কী? হাদীসের আলোকে বিস্তারিতভাবে লিখুন।সুদ ও মুনাফার পার্থক্য

একই জাতীয় পণ্য ও খাদ্যশস্যের পারস্পরিক ক্রয় বিক্রয়কালে একপক্ষ অপর পক্ষকে বর্ধিত অংশ প্রদান করে।
এ বর্ধিত অংশ প্রদান সুদ হিসেবে গণ্য হয়। হাদীস শরীফে একই জাতীয় কোন জিনিসের মধ্যে অসম বিনিময়
নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যে সকল দ্রব্যসামগ্রীর নগদ আদান প্রদানে অসম বিনিময় নিষিদ্ধ করা হয়েছে নি¤েœর
হাদীসটির মাধ্যমে আমরা তা দেখতে পাই।
বিশ্ব নবী (স) বলেছেন-
الذهب ᗷالذهب والفضة ᗷالفضة والبر ᗷالبرو الشعير ᗷالشعير والتمر
ᗷالتمر والملح ᗷالملح مثلا ᗷمثل سواء ᚽسواء ᘌدا بᘭد فمن زاد أواستزاد فقد
أربى الاخذ والمعطى فᘭه سواء-
“স্বর্ণের বিনিময়ে স্বর্ণ, রৌপ্যের বিনিময়ে রৌপ্য, গমের বিনিময়ে গম, যবের বিনিময়ে যব, খেজুরের বিনিময়ে
খেজুর এবং লবণের বিনিময়ে লবণ লেনদেন করা হলে সে ক্ষেত্রে পরিমাণ সমান সমান ও নগদ হতে হবে। যে
ব্যক্তি বেশী দিবে বা বেশী গ্রহণ করবে সে সুদ অনুষ্ঠানকারী সাব্যস্তহবে। সুদ গ্রহীতা ও দাতা উভয়ে সমান
অপরাধী। (বুখারী ও মুসলিম)
উক্ত হাদীসে ছয় প্রকার দ্রব্যের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এই ছয় প্রকার দ্রব্য থেকে প্রত্যেক প্রজাতির দ্রব্যের
পরস্পর লেনদেনের সময় কম বেশী করা হলে কিংবা নগদ না হলে কিংবা কম বেশী করে বাকীতে ক্রয় বিক্রয়
করা হলে তা সুদের অন্তর্ভুক্ত হবে এবং ক্রয় বিক্রয় বাতিল বলে গণ্য হবে। কিন্তু এক প্রজাতির দ্রব্যের সাথে অন্য
প্রজাতির দ্রব্যের কম বেশী করে লেনদেন করা হলে তা সুদ হবে না। যেমন- এক মণ খেজুরের সাথে দুই মণ গম
কিংবা এক মণ চালের সাথে দুই মণ গমের বিনিময় করা হলে সুদ হবে না। উল্লেখ্য যে, সুদ (রিবা) হারাম হবার
বিধান উপরোক্ত ছয় প্রকার দ্রব্যের সাথেই নির্দিষ্ট নয়। ইমাম আবু হানিফা (রা) এর মতে ওজন বা পরিমাপের
দ্বারা পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়, এরূপ একই শ্রেণীভুক্ত দ্রব্যের নি¤œলিখিত দু’টি বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান থাকবে সে সকল
দ্রব্যের পারস্পরিক লেনদেনে কম বেশী করা হলে তা সুদের অন্তর্ভুক্ত হবে।
১. দ্রব্য দু’টি একই প্রজাতির হলে।
২. ওজন বা পরিমাপের (যেমন দাড়িপাল্লা, বাটখারা, পাত্র ইত্যাদি) দ্বারা এগুলোর পরিমাণ নির্ধারণ করা সম্ভব
হলে।
হাদীস শরীফে রয়েছে, হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) হতে বর্ণিত, একদা হযরত বিলাল ৯রা) রাসূলুল্লাহ (স)-
এর নিকট বর্ণ প্রজাতির কিছু (উন্নতমানের) খেজুর নিয়ে এলেন। রাসূলুল্লাহ (স) তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, এ
খেজুর তুমি কোথা থেকে আনলে? বিলাল (রা) উত্তরে বললেন, আমাদের খেজুর খারাপ ছিল, তাই আমি
আমাদের দু‘ সা’ পরিমাণ খারাপ খেজুরের পরিবর্তে এ সা’পরিমাণ ভাল খেজুর ক্রয় করে এনেছি। রাসূলুল্লাহ (স)
বললেন, আহ! এটাতো সুদের মতই হলো, এতো সুদের মতোই। কখনো এরূপ করো না। তোমরা যদি ভাল
খেজুর পেতে চাও, তাহলে প্রথমে তোমার খেজুর বাজারে বিক্রয় করবে। তারপর প্রাপ্ত মূল্য দিয়ে ভাল খেজুর ক্রয়
করে নেবে। (বুখারী ও মুসলিম)
উপরোক্ত হাদীস থেকে একথা প্রতীয়মান হয় যে, একই জাতীয় জিনিসের বিনিময় সমান সমান এবং নগদ হতে
হবে। নিকৃষ্ট জিনিসের বদলে মেয়াদান্তেসমপরিমাণ উৎকৃষ্ট জিনিস গ্রহণ করলে তা মেয়াদী ঋণের সুদ হিসেবে
গণ্য হবে। রাসূলুল্লাহ (স) কাঁচা ফলের বিনিময়ে শুষ্কফল সমপরিমাণে বিক্রয় নিষিদ্ধ করেছেন। নির্দিষ্ট পরিমাণ
খেজুরের বিনিময়ে অনুমান করে অনির্দিষ্ট পরিমাণ স্তুপীকৃত খেজুর বিক্রয় নিষেধ করেছেন। কারণ এতে রিবার
আশংকা রয়েছে। এমনিভাবে ব্যবহারোপযোগী হবার পূর্বে বৃক্ষে ফল রেখে ফলের ক্রয় বিক্রয়ও নিষেধ করেছে।
কারণ উপযোগী হবার সময় পর্যন্তযে পুষ্টি সাধিত হবে তা ক্রয় বিক্রয় চুক্তির অন্তর্ভুক্ত নয়।
আলোচ্য হাদীসমূহের আলোকে একই জাতীয় জিনিসের বিনিময়ে কিভাবে সুদ হয় আর কিভাবে সুদ হয় না তা
উল্লেখ করা হল।
১. টাকার সাথে সোনা, সোনার সাথে রূপার, ভাতের সাথে রুটির ইত্যাদি ভিন্ন শ্রেণীর দ্রব্যের পারস্পরিক
বিনিময়ে কমবেশী করা হলে এবং তা একই মজলিসে হলে সুদ হবে না।
২. যে সব এলাকায় ওজন করে মাছ ক্রয় বিক্রয় করা হয় সে সব এলাকায় একই শ্রেণীভুক্ত মাছের পারস্পরিক
লেনদেনে কম বেশী করা হলে তা সুদ হবে। আর যদি ওজন করে ক্রয় বিক্রয় করার প্রচলন না থাকে বরং
গণনা করে ক্রয় বিক্রয় করা হয় সে ক্ষেত্রে লেনদেনে কম বেশী করা হলে সুদ হবে না।
৩. যে সব দ্রব্য গণনা করে পরিমাণ বা সংখ্যা নির্ধারণ করা হয় কিংবা গজ, ফুট বা ফিতা দিয়ে পরিমাপ করা
হয় যে সব একই জাতীয় দ্রব্য বা জিনিসের পারস্পরিক লেনদেনে কম বেশী করা হলে তা সুদ হবে না বরং
বৈধ বলে গণ্য হব্
ে৪. ইমাম আবু হানীফা (র) ও ইমাম আবু ইউসুফ (র)-এর মতে একই শ্রেণীভুক্ত জীবন্তপশুর বিনিময়ে গোশত
ক্রয় বিক্রয় বৈধ হবে। ইমাম মুহাম্মদ (র)-এর মতে বৈধ হবে না। তবে পশুর শরীরে যে পরিমাণ গোশত
আছে এর চেয়ে অধিক পরিমাণ গোশতের বিনিময়ে লেনদেন করা হলে বৈধ হবে যাতে অতিরিক্ত গোশত
পশুর চামড়ার পরিবর্তে ধরা যেতে পারে। ভিন্ন শ্রেণীর গোশত পারস্পরিক লেনদেনে কমবেশী করা হলে তা
বৈধ হবে না।
৫. যে সব দ্রব্যের ওজন বা পরিমাপ করে পরিমাণ নির্ণয় করা হয়, এরূপ একই শ্রেণীভুক্ত দ্রব্যের পারস্পরিক
বিনিময়কালে পরিমাণে সমান সমান এবং নগদ আদান প্রদান করা হলে তা বৈধ বলে গণ্য হবে। আর যদি
পরিমাণে কমবেশী করা হয় কিংবা নগদ আদান প্রদান না হয় তাহলে সুদ হবে এবং লেনদেন বাতিল বলে
গণ্য হবে। দ্রব্যের গুণ ও মানগত পার্থক্য থাকলেও পরিমাণে কমবেশী করা যাবে না।
এখানে উল্লেখ্য যে সকল দ্রব্যের ওজন বা পরিমাপ করে পরিমাণ নির্ণয় করা হয় এরূপ একই জাতীয় বা শ্রেণীভুক্ত
দ্রব্যের পারস্পরিক বিনিময় বা ক্রয় বিক্রয়ে সুদের ভয়াবহ গোনাহ থেকে রক্ষা পেতে হলে দু’টি শর্ত মেনে চলতে
হবে। শর্ত দু’টি হচ্ছে- (১) উভয় দিকে পরিমাণে সমান সমান হতে হবে। কোন কমবেশী করা যাবে না। (২)
বিনিময় লেনদেন, আদান প্রদান বা ক্রয় বিক্রয় একই মজলিসে হতে হবে। যেমন চাউলের সাথে চাউলের আদান
প্রদান করা হলে পরিমাণে সমান সমান হতে হবে। এবং তা একই মজলিসে হতে হবে। এক্ষেত্রে বাকী ক্রয়
বিক্রয় চলবে না। যদি বাকীতে ক্রয় বিক্রয় করতে হয় তাহলে টাকা হিসেবে মূল্য নির্ধারণ করে ক্রয় বিক্রয়
করতে হবে। নতুবা সুদ হবে।
যে সকল পণ্য দ্রব্য ওজন বা পরিমাপ করে পরিমাণ নির্ণয় করা হয় এরূপ ভিন্ন জাতীয় দ্রব্যের পারস্পরিক বিনিময়
করা হলে ১ম শর্ত পালন করতে হবে না। কিন্তু ২য় শর্ত অবশ্যই পালন করতে হবে। অর্থাৎ পরিমাণে কম বেশী
করা যাবে। এতে সুদ হবে না। কিন্তু একই মজলিসে তা সম্পন্ন হতে হবে। অন্যথায় সুদ হবে। যেমন চাউলের
সাথে চিনির বিনিময় করা।
যে সকল দ্রব্য ওজন বা পরিমাপ করে পরিমাণ নির্ণয় করা হয় না বরং গণনা বা সংখ্যা দ্বারা কিংবা গজ ফুট বা
ফিতার দ্বারা পরিমাণ নির্ণয় করা হয় এরূপ একই জাতীয় দ্রব্যের পারস্পরিক বিনিময় বা ক্রয় বিক্রয়ে ১ম শর্ত
পালন করতে হবে না কিন্তু ২য় শর্ত পালন করতে হবে। যেমন ৫টি কমলার সাথে ৭টি কমলার বিনিময় করা হলে
সুদ হবে না। তবে একই মজলিসে সম্পন্ন হতে হবে। নতুবা সুদী কারবার বলে গণ্য হবে।
গণনা, সংখ্যা বা গাজ, ফুট কিংবা ফিতা দ্বারা পরিমাণ নির্ণয় করা হয় এরূপ ভিন্ন জাতীয় দ্রব্যের পারস্পরিক
আদান প্রদানে উপরোক্ত দু’টি শর্তের কোনটিই পালন করতে হবে না। যেমন ৮টি নারিকেলের সাথে দুই গজ
কাপড়ের বিনিময় করা হলে তা বৈধ হবে এবং একই মজলিসে লেনদেন সম্পন্ন করা ওয়াজিব নয়। এটা
বাকীতেও করা যাবে। এতে সুদ হবে না।
কোন দ্রব্য নগদ মূল্যে ক্রয় বিক্রয় করলে কম মূল্যে এবং বাকীতে ক্রয় বিক্রয় করলে বেশী মূল্যে এরূপ উল্লেখ
করা সুস্পষ্টরূপে সুদী কারবার হবে। যেমন কোন একটি জিনিস নগদ ক্রয় করলে মূল্য ১০০ টাকা আর বাকীতে
ক্রয়মূল্য পরিশোধ করা হলে মূল্য ১৩০ টাকা দিতে হবে। এরূপ বলা হলে তা সুদী কারবার বলে গণ্য হবে।
কারো নিকট যদি সুদের টাকা জমা থাকে কিংবা অনিচ্ছাকৃত ভাবে সুদের টাকা অর্জিত হয় তাহলে এ পাপ থেকে
মুক্তি পেতে হলে সুদের সমুদয় অর্থ নিঃস্ব, অভাবগ্রস্তদের মধ্যে বিতরণ করে দিতে হয়। অথবা একটি তহবিল
গঠন করে এ তহবিল হতে সুদের অর্থ অসহায়, নিঃস্ব এবং অভাব গ্রস্তদের মাঝে বিতরণ করতে হবে। অথবা
এমন কোন প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে যা থেকে কেবল অভাবগ্রস্তরা উপকৃত হবে।
সুদের ব্যাপারে অত্যন্তসতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যে সকল লেনদেন সন্দেহজনক এবং যেগুলোতে সুদের
অনুপ্রবেশ ঘটার সম্ভাবনা থাকবে সে সকল লেনদেন অবশ্যই পরিহার করহে হবে। আল্লাহ রাসূল (স) বহু সংখ্যক
হাদীসে সুদের সন্দেহ হয় এমন সব লেনদেন ও ক্রয় বিক্রয়কে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন।
সারকথা
অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে সুদ একটি জঘন্য ও অমানবিক প্রথা। তাই, ইসলাম সকল প্রকার সুদী লেনদেন
নিষিদ্ধ করেছে। তাছাড়া সন্দেহজনক বিষয়গুলোতে ও সতর্কতার সাথে দ্রব্য লেনদেন ও আদান
প্রদানের নির্দেশ রয়েছে। তাই একই জাতীয় পণ্য ও দ্রব্যের পারস্পরিক আদান প্রদানকালে কোন পক্ষ
বাড়তি কোন কিছু গ্রহণ করতে পারবে না। যেমন হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, স্বর্ণের বিনিময়ে স্বর্ণ,
রৌপ্যের বিনিময়ে রৌপ্য, গমের বিনিময়ে গম, যবের বিনিময়ে যব, খেজুরের বিনিময়ে খেজুর এবং
লবণের বিনিময়ে লবণ লেনদেন পরিমাণ সমানও নগত হতে হবে। নতুবা তা সুদী হিসেবে গণ্য হবে।
সঠিক উত্তরটি খাতায় লিখুন
১. কোন জিনিসের সাথে অসম বিনিময় বৈধ নয়?
ক. লবনের বিনিময়ে লবন খ. লবনের বিনিময়ে ডাল
গ. চালের বিনিময়ে যব গ. সকল উত্তর সঠিক
২. পণ্যের পারস্পরিক অসম লেনদেনে সুদ হিসেবে গণ্য হবেক. পণ্যের মধ্যে দু’টি বৈশিষ্ট্য থাকলে খ. চারটি বৈশিষ্ট্য থাকলে
গ. তিনটি বৈশিষ্ট্য থাকলে ঘ. পণ্যটি একক বৈশিষ্ট্য মন্ডিত হলে
৩. ২ কেজি খারাপ খেজুর দিয়ে ১ কেজি ভাল খেজুর লেনদেন করাক. সুদ হিসেবে গণ্য হবে খ. মাকরূহ হবে
গ. মুবাহ হবে ঘ. জায়েয হবে
৪. একই শ্রেণীভুক্ত জীবন্তপশুর বিনিময়ে গোশত ক্রয় বৈধ-এ মতবাদটি কার?
ক. ইমাম আবু হানীফা (র)-এর খ. ইমাম আবু ইউসুফ (র)-এর
গ. ইমাম আবু হানীফা ও ইমাম আবু ইউসুফ-এর ঘ. ইমাম মুহাম্মদ (র)-এর
সংক্ষিপ্ত উত্তর-প্রশ্ন
১. হাদীসের আলোকে সুদযোগ্য পণ্য কী কী? লিখুন।
২. দুই কেজি খারাপ খেজুর দিয়ে ১ কেজি ভাল খেজুর ক্রয় করার বিদান আলোচনা করুন।
৩. একই জাতীয় জিনিসের অসম বিনিময়ে কখন সুদ হয় আর কখন সুদ হয় না লিখুন।
রচনামূলক উত্তর-প্রশ্ন
১. সুদযোগ্য পণ্য কী কী? হাদীসের আলোকে বিস্তারিতভাবে লিখুন।সুদ ও মুনাফার পার্থক্য

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]