ইসলাম ভ্রাতৃত্ব সাম্য ও সহমর্মিতার ধর্ম। একের বিপদ-আপদ ও সমস্যায় অন্যেরা সহানুভূতিশীল হয়। এখানে
ধনী-দরিদ্র্য, উচ্চ-নীচ, শিক্ষিত-অশিক্ষিত সকলে মিলে সহযোগিতার মাধ্যমে সমাজে বাস করে। ইসলামের
বিধান অনুসারে এ সমাজে শোষণ, নির্যাতন, নিপীড়ন ও বঞ্চনার কোন সুযোগ নেই। ইসলাম তাই, গরীব ও
অভাবীর প্রতি যাহেলী যুগের অর্থনৈতিক শোষণ তথা সুদের পরিবর্তে কর্জেহাসানার প্রতি মানুষকে উৎসাহিত
করে। আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী যখন অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে বা সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়ে দেয়।
তখন তারা স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি হাতছাড়া করার পরিবর্তে ধনীদের নিকট ঋণ গ্রহণ করার সুযোগ পায় কেননা
ইসলামে ব্যক্তিগত প্রয়োজনের ক্ষেত্রে পরস্পরকে ঋণ দেয়া সমাজের বিত্তশালী লোকদের জন্য কর্তব্য হিসেবে
উল্লেখ করা হয়েছে। পবিত্র কুরআনে উদ্ধৃত হয়েছে-
مَّ ن ذَ ا ٱلᡐ ذِ ى ᘌ ُقْ ر᠒ ضُ ٱللᡐ هَ قَ رْ ضا᠍ حَ سَ نا᠍ فَ ᘭ ُضَ اعِ فَ هُ ل᠐ هُ وَ ل᠐ هُ أ᠐ جْ رٌ ك᠐ ᠒ᖁ ᗫمٌ
‘‘এমন কে আছে, যে আল্লাহকে উত্তম ঋণ দিবে? তাহলে তিনি বহুগুণে বৃদ্ধি করে দেবেন তার জন্যে রয়েছে এবং
তার জন্য রয়েছে সম্মানিত পুরষ্কার।” (আল-হাদীদ, আয়াত ১১)
আল্লাহকে ঋণ দেয়ার অর্থ হচ্ছে, তাঁর বান্দাদের ঋণ দিয়ে তাদের অভাব মোচন করা। কেউ যদি আল্লাহর বান্দার
প্রতি করুণা করে তাহলে আল্লাহও তার উপর করুণা করেন। অভাবী লোকদের কর্জে হাসানা অর্থাৎ উত্তম ঋণ
(সুদ মুক্ত ঋণ) দেয়ার জন্যে আল্লাহ পাক আল-কোরআনে একাধিক জায়গায় উপদেশ দিয়েছেন। আল্লাহ
তাআলা বলেন-
إِ ن تُ قْ ر᠒ ضُ وا᠔ ٱللᡐ هَ قَ رْ ضا᠍ حَ سَ نا᠍ ᘌ ُضَ اعِ فْ هُ ل᠐ ᠑ᝣ مْ وَ ᗫ َغْ فِ رْ ل᠐ ᠑ᝣ مْ وَ ٱللᡐ هُ شَ ك᠑ ورٌ حَ لِ ᘭمٌ
“যদি তোমরা আল্লাহকে উত্তম ঋণ দান কর, তিনি তোমাদের জন্যে তা বহুগুণ বৃদ্ধি করে দিবেন এবং তিনি
তোমাদেরকে ক্ষমা করে দেবেন। আল্লাহ গুণগ্রাহী, সহনশীল।” (সূরা আত-তাগাবুন :১৭)
রাসূল (সঃ) বলেছেন, কোন মুসলমান অন্য মুসলমানকে ঋণ (কর্জে হাসানা) দিলে তা আল্লাহর পথে সে পরিমাণ
সম্পদ দু’বার সাদাকা করার সমতুল্য।
ঋণগ্রহীতা যদি অভাবের কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করতে না পারে তাহলে ঋণদাতার উচিত
ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বাড়িয়ে দেয়া। আর যদি সম্ভব হয় তাহলে ঋণ গ্রহীতাকে ক্ষমা করে দেয়া। পবিত্র
কোরআনে আল্লাহপাক বলেন-
وَ ល ِن ᠐ انَ ذُ و عُ سْ رَ ةٍ فَ نَ ظِ رَ ةٌ إِ ل᠐ ىٰ مَ ᛳْ سَ رَ ةٍ وَ أ᠐ ن تَ صَ دَّ قُ وا᠔ خَ يْ رٌ لᡐ ᠑ᝣ مْ إِ ن ك᠑ نْ تُ مْ تَ عْ ل᠐ مُ ونَ
‘‘আর যদি খাতক অভাবগ্রস্তহয়, তবে সচ্ছলতা আসা পর্যন্ততাকে সময় দেয়া উচিত। আর যদি ছেড়ে দাও, তবে
তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা উপলব্ধি কর। (আল-বাকারা, আয়াত ২৮০)
হযরত কাতাদাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন : ‘‘কোন ব্যক্তি যদি এ কামনা করে যে,
কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে বিপদ থেকে মুক্ত রাখুক তাহলে সে যেন ঋণগ্রহীতাকে সুযোগ দান করে অথবা
তার উপর থেকে ঋণের বোঝা নামিয়ে দেয়।”
উপরে যে ঋণদানের কথা বলা হয়েছে তার প্রকৃত হকদার কেবল ঐ সকল ব্যক্তি যারা দরিদ্র, অসহায়, সম্বলহীন,
অভাবী ও স্বল্প আয়ের লোক। এছাড়া সমাজে এমন অনেক লোক রয়েছে যাদের পরিবারের লোক সংখ্যা অনেক
কিন্তু আয়ের পরিমাণ খুবই কম। অর্থের অভাবে তারা ছেলেমেয়েদের শিক্ষাদান করতে পারে না, দু’বেলা খাবার
যোগাড় করতে পারে না, অর্থের কারণে মেয়েকে বিয়ে দিতে পারে না, অথচ তারা যদি কিছু কর্জে হাসানা
(সুদমুক্ত ঋণ) পেত তাহলে তা দিয়ে ছোটখাটো ব্যবসা করে পরিবারের ব্যয়ভার বহন করতে পারত। এ সকল
লোকই কর্জে হাসানা অর্থাৎ লাভমুক্ত ঋণ পাওয়ার প্রকৃত হকদার। ধনীদেরকে ঋণ দিয়ে আরও ধনী হওয়ার এবং
সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলার সুযোগ দেওয়ার কথা ইসলামে বলা হয়নি। তবে ধনীদেরকে ব্যবসায় বিনিয়োগের
জন্যে অর্থ দেয়া যাবে। পূর্বেই বলা হয়েছে যে, ঋণের ক্ষেত্রে দেয় ঋণের অতিরিক্ত কিছু আদায় করা যাবে না।
বরং যে পরিমাণ ঋণ দেয়া হয় কেবল তাই আদায় করতে হবে। অপরদিকে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কিছু অতিরিক্ত
আদায় করা যায়। অর্থাৎ লাভ-লোকসানের অংশীদারীত্বে ব্যবসায়ে অর্থ বিনিয়োগ করা হয়। সুতরাং সমাজের
বিত্তশালী ব্যক্তিবর্গ যদি দারিদ্র্য বিমোচনের জন্যে গরীবদেরকে ঋণ বা কর্জে হাসানা প্রদান করে তাহলে একদিকে
যেমন ঋণদাতা তার মূলধন ফেরত পাবে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারবে অন্যদিকে গরীব জনগণও
উপকৃত হবে।
যদি কোন কারণে নির্ধারিত সময়ে ঋণ পরিশোধ করা সম্ভব না হয় তাহলে ঋণগ্রহীতার উচিত ঋণদাতার নিকট
থেকে ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বাড়িয়ে নেয়া এবং তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। ঋণদাতার দেওয়া ঋণের
মাধ্যমে গ্রহীতা যেহেতু উপকৃত হয়েছে সেহেতু অকৃতজ্ঞ হওয়া উচিত নয়। রাসূল (সা) বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি
মানুষের কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে না, সে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে না।” মানুষের প্রতিটি কৃতকর্মে আল্লাহকে
ভয় করে চলা উচিত। মহান আল্লাহ তাকে এ বিষয় স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন,
وَ ٱتَّ قُ وا᠔ يَ وْ ما᠍ تُ رْ جَ عُ ونَ فِ ᘭهِ إِ ل᠐ ى ٱللᡐ هِ ثُ مَّ تُ وَ فَّ ىٰ ᠑ لُّ نَ فْ س᠏ مَّ ا ك᠐ سَ ᛞ َتْ وَ هُ مْ ᢻ َ
ᘌ ُظ᠔ ل᠐ مُ ونَ
“তোমরা ঐ দিনকে ভয় কর, যেদিন তোমরা আল্লাহর কাছে প্রত্যাবর্তিত হবে। অতঃপর প্রত্যেকেই তার
কৃতকর্মের ফল দেয়া হবে এবং তাদের প্রতি কোনরূপ অবিচার করা হবে না।” (সূরা আল-বাকারা : ২৮১)
সুতরাং বিনা প্রয়োজনে ঋণ গ্রহণ করা এবং পাওনা পরিশোধে টালবাহনা করা মারাত্মক অপরাধ।
ঋণ বা কর্জে হাসানা সম্পর্কে ইসলামের বিধান
১. ঋণদাতা ও ঋণগ্রহীতার পরস্পরের ইজাব ও কবুল অর্থাৎ একজনে ঋণ চাইবে এবং অপরজন তা দেওয়ার
জন্য রাযী হবে এবং তদনুযায়ী দেওয়া নেওয়ার মাধ্যমে ঋণ শুদ্ধ হবে।
২. ঋণদাতা দেয় ঋণের অতিরিক্ত কোন অর্থ আদায় করতে পারবে না কিংবা আদায় করার শর্তও করতে
পারবে না। বরং যে পরিমাণ ঋণ দেয়া হবে কেবল তাই আদায় করতে পারবে। এ ধরনের ঋণকেই পবিত্র
কোরআনে কর্জে হাসানা অর্থাৎ উত্তম ঋণ বলে অভিহিত করা হয়েছে।
৩. শর্তের মাধ্যমে দেয় ঋণের অতিরিক্ত কিছু আদায় করা হলে ইসলামি শরীয়াতে তা সুদ হিসেবে গণ্য হবে।
৪. ঋণগ্রহীতা ঋণের অর্থ স্বীয় ইচ্ছামত খরচ করতে কিংবা ব্যবসায়ে বিনিয়োগ করে মুনাফা অর্জন করতে
পারবে। মুনাফার কোন অংশ ঋণদাতাকে দিতে হবে না এবং ঋণদাতাও দাবি করতে পারবে না। যদি
দাবি করে তবে তা আইনতঃ অগ্রাহ্য হবে।
৫. শর্তহীনভাবে ঋণগ্রহীতা স্বীয় ইচ্ছায় ঋণদাতাকে গৃহীত ঋণের উপর কিছু অতিরিক্ত দিলে তা বৈধ হবে।
৬. ঋণ পরিশোধের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঋণগ্রহীতা ঋণ পরিশোধ করতে বাধ্য থাকবে। নির্ধারিত সময়ের
মধ্যে ঋণ গ্রহীতা ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে এবং ঋণদাতা ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বাড়িয়ে দিলে তা
বৈধ হবে এবং উত্তম বলে বিবেচিত হবে।
৭. ঋণ পরিশোধের সময়সীমা অনির্ধারিত হলে ঋণদাতা যে কোন সময় ঋণ পরিশোধের তাগাদা দিতে
পারবে, এতে ঋণ গ্রহীতা কোন আপত্তি করতে পারবে না।
৮. ঋণগ্রহীতার নিকট গৃহীত ঋণের টাকা চুরি হয়ে গেলে কিংবা গ্রহীতা ক্ষতিগ্রস্থ হলেও ঋণের দায়দায়িত্ব
থেকে মুক্ত হবে না। গ্রহীতা ঋণ পরিশোধে বাধ্য থাকবে। তবে ঋণদাতা যদি মাফ করে দেয় তাহলে
গ্রহীতা ঋণের দায়দায়িত্ব থেকে মুক্ত হবে।
৯. ঋণগ্রহীতার ঋণ পরিশোধের সামর্থ্য থাকা সত্তে¡ও নির্ধারিত সময়ে ঋণ পরিশোধে তালবাহানা করলে তা
অপরাধ বলে গণ্য হবে এবং ঋণদাতা ঋণ গ্রহীতার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের এবং ক্ষতিপূরণ দাবি
করতে পারবে।
১০. ঋণগ্রহীতা অভাবী হলে এবং ঋণ পরিশোধের সামর্থ্য না থাকলে বায়তুলমাল (ইসলামি রাষ্ট্রের সরকারী
কোষাগার) থেকে সাহায্য পাবার অধিকারী হবে এবং ঋণ পরিশোধ করবে।
১১. ইয়াতীম এবং নাবালকের মালিকানাধীন কোন সম্পদ তার অভিভাবকগণ কাউকে ঋণ দিতে বা নিজে
নিতে পারবে না।
১২. ঋণগ্রহীতা ঋণ পরিশোধের পূর্বে মৃত্যুবরণ করলে তার পরিত্যক্ত সম্পত্তি হতে ঋণ পরিশোধ করা হবে।
যদি পরিত্যক্ত কোন সম্পত্তি না থাকে তাহলে ইসলামি সরকার তার ঋণ পরিশোধের দায়দায়িত্ব বহন
করবে। ঋণ পরিশোধের পূর্বে ঋণদাতার মৃত্যু হলে মৃতের উত্তরাধিকারীগণ সে অর্থের হকদার হবে।
ঋণ বা কর্জে হাসানা গ্রহণকারীদের সম্পর্কে ইসলামের বিধান
ইসলাম বিনা প্রয়োজনে ঋণ গ্রহণ করতে নিরুৎসাহিত করেছে। তাছাড়া অপব্যয়, অযথা খরচ ও অবৈধ পন্থায়
খরচ করার জন্য ঋণ করাও নিষিদ্ধ করেছে। ঋণ মানুষকে পরনির্ভরশীল করে দেয়, মানুষকে মানসিক দিক থেকে
ছোট করে রাখে এবং ব্যক্তির আত্মমর্যাদাবোধ কমে যায়। তাই মহানবী (স) অধিক ঋণ করা থেকে বিরত থাকার
পরামর্শ দিয়েছেন।
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) এক ব্যক্তিকে এভাবে উপদেশ দিচ্ছিলেন,
‘‘গুনাহ কম কর, তোমার মৃত্যু সহজ হবে; ঋণ কম কর, তাহলে স্বাধীনভাবে জীবন যাপন করতে পারবে।”
রাসূলুল্লাহ (স) প্রায়ই এভাবে দোয়া করতেন,
اللهم انى اعوذᗷك من الفرو الدين
“হে আল্লাহ! আমি কুফর ও কর্জ (ঋণ করা) হতে তোমার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি”।
অন্যদিকে ঋণ পরিশোধের পূর্বে ঋণগ্রহীতার মৃত্যু হলে এবং ঋণদাতা ঋণগ্রহীতাকে ক্ষমা না করলে তা জান্নাত
লাভে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়াবে। বুখারী শরীফের এক রেওয়ায়েতে আছে, বিশ্বনবী (সা) বলেছেন : “যে ব্যক্তি
কাছে কারো কোন পাওনা থাকে, তার উচিত দুনিয়াতেই তা পরিশোধ করা অথবা মাফ করিয়ে নেওয়া। কেননা
কিয়ামতের দিন দিরহাম ও দিনার থাকবে না। কারো কোন দাবী থাকলে তা নিজের সৎকর্ম দিয়ে পরিশোধ করা
হবে। সৎকর্ম শেষ হয়ে গেলে পাওনাদারের গুনাহ প্রাপ্য অর্থ পরিমাণে তার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে।”
(মাযহারী)
কোন ব্যক্তি যদি অভাব বা অন্য কোন কারণে ঋণ গ্রহণ করে থাকে তাহলে তার উচিত যথাসময়ে পাওনাদারের
ঋণ পরিশোধ করে দেওয়া। পাওনা আদায়ে গড়িমসি করা অপরাধ। রাসূল (সা) বলেছেন,
“সচ্ছল ব্যক্তির ঋণ আদায়ে গড়িমসি তার মানহানী ও শাস্তিকে বৈধ করে দেয়।” (আবু দাউদ)
বর্তমান সভ্যসমাজে ঋণ বা কর্জে হাসানা দেওয়া মানুষ একেবারে ভুলে গিয়েছে। এখন এমন পরিস্থিতি দেখা
দিয়েছে, কোন ব্যক্তি কারো কাছে কর্জে হাসানা চাইতে গেলে তাদের কাছে তা থাকা সত্তে¡ও দিচ্ছে না বা মিথ্যা
কথা বলে তাকে বিদায় করে দিচ্ছে। মানুষ বস্তুবাদের দিকে ঝুঁকে পড়ায় এবং ইসলামের শিক্ষা থেকে সরে পড়ায়
এমনটি হচ্ছে। দরিদ্র জনগোষ্ঠী প্রয়োজনের সময় কর্জে হাসানা বা সুদমুক্ত ঋণ না পাওয়ায় তারা সুদে ঋণ নিতে
বাধ্য হচ্ছে এবং যথাসময়ে তা আদায় করতে না পারায় তথা সর্বস্ব হারাচ্ছে। তাই সুদী ঋণ বন্ধ করে সমাজে সুদ
মুক্ত বা কর্জে হাসানা চালু করা মানবিক কারণেই অপরিহার্য।
সঠিক উত্তরটি খাতায় লিখুন
১. ঋণ বা কর্জেহাসানা দেয়Ñ
ক) বিত্তশালীদের দেওয়া কর্তব্য খ) সাধারণভাবে সকলের জন্য কর্তব্য
গ) শুধু মুসলমানদের দেওয়া কর্তব্য ঘ) সকল উত্তরটি সঠিক
২. ইসলামের দৃষ্টিতে ঋণদাতা ঋণের বিনিময়ে পাবেনক) সুদ খ) আল্লাহর পক্ষ থেকে সম্পদ বৃদ্ধি
গ) আল্লাহর কাছ থেকে সম্মানিত পুরষ্কার ঘ) ২নং এবং ৩নং উত্তর দু’টি সঠিক
৩. ঋণগ্রহীতা সময়মত ঋণ পরিশোধ না করতে পারলেক) সুদ দেবে খ) সময়সীমা বাড়িয়ে দেবে
গ) চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ দেবে ঘ) ঋণ গ্রহীতাকে ভর্ৎসনা করবে।
৪. ঋণ কেমন ব্যক্তি গ্রহণ করবে?
ক) ইয়াতীম ও দুঃস্থ ব্যক্তি খ) সহায় সম্বলহীন ব্যক্তি
গ) শুধু মুসলমানগণ ঘ) প্রয়োজনে সকল ব্যক্তি
৫. ঋণগ্রহীতা ঋণ আদায়ে অপরাগ হলে তার বিধান হচ্ছেক) তাকে ক্ষমা করে দিতে হবে খ) সচ্ছলতা না আসা পর্যন্তসময় দিতে হবে
গ) তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবে ঘ) ১নং এবং ২নং উত্তর সঠিক
৬. কর্জে হাসানা শব্দের অর্থ হচ্ছেক) সুদ মুক্তঋণ দেওয়া খ) হালাল ট্কা ঋণ দেওয়া
গ) চাহিবা মাত্র ঋণ দেওয়া ঘ) ব্যবসায়ে সহায়তা করা
সংক্ষিপ্ত উত্তর-প্রশ্ন
১. ঋণ দানের ব্যাপারে ইসলামের বিধান কী? লিখুন।
২. কর্জে হাসানা দেওয়ার ইসলামি বিধান লিখুন।
৩. ঋণগ্রহীতার ব্যাপারে ইসলামের নির্দেশনা কী? লিখুন।
রচনামূলক উত্তর-প্রশ্ন
১. ইসলামি ঋণদাতার ও গ্রহীতার এবং ঋণ আদায়ের বিধান সম্পর্কে আলোচনা করুন।
FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত