বনী ইসরাঈলে হযরত মূসার আগমন

হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালামের পর মিসরে রাখাল খান্দানের (HYKSOS) যখন পতন হলো, সেই সময় থেকেই বনী ইসরাঈল গোত্রে বিবর্তন ও অধঃপতনের যাত্রা শুরু হলো । এ সময়ের পর থেকে মিসরে যখনই কোনো জাতীয় সরকার বা প্রশাসন কায়েম হয়েছে, তখনই বনী ইসরাঈল গোষ্ঠীর লোকদেরকে বড় বড় পদ ও মর্যাদা থেকে বাদ দিয়ে দেয়া হয়েছে। সমাজের ও রাষ্ট্রের যে কোনো ধরনের দায়িত্ব ও ক্ষমতা থেকে বনী ইসরাঈল বংশের লোকদেরকে বেছে বেছে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। শাসক গোষ্ঠী নানাভাবে তাদেরকে হয়রানী-পেরেশানীর সম্মুখীন করেছে। পদে পদে তাদেরকে নানা ধরনের মামলা মকদ্দমা ও বিপদাপদে জড়িয়ে দিয়েছে। যারা এতদিন শাসন ক্ষমতায় ও দেশ পরিচালনায় নেতৃত্বে ছিলো তারা হয়ে গেল অবহেলিত ও পদদলিত ।
এ প্রসঙ্গে বাইবেলের যাত্রাপুস্তকে বর্ণিত হয়েছে :
“পরে মিসরের উপরে এক নূতন রাজা উঠিলেন, তিনি যোষেফকে জানিতেন না । তিনি আপন প্রজাদিগকে কহিলেন, দেখ, আমাদের অপেক্ষা ইস্রায়েল-সন্তানদের জাতি বহুসংখ্যক ও বলবান ; আইস, আমরা তাহাদের সাহিত বিবেচনাপূর্ব্বক ব্যবহার করি, পাছে তাহারা বাড়িয়া উঠে, এবং যুদ্ধ উপস্থিত হইলে তাহারাও শত্রু পক্ষে যোগ দিয়া আমাদের সহিত যুদ্ধ করে, এবং এ দেশ হইতে প্রস্থান করে। অতএব তাহারা ভার বহন দ্বারা উহাদিগকে দুঃখ দিবার জন্য উহাদের উপরে কার্য্যশাসকদিগকে নিযুক্ত করিল। আর উহারা ফরৌণের নিমিত্ত ভাণ্ডারের নগর পিথোম ও রামিষেষ গাঁথিল। কিন্তু উহারা তাহাদের দ্বারা যত দুঃখ পাইল, ততই বৃদ্ধি পাইতে ও ব্যাপ্ত হইতে লাগিল ; তাই ইস্রায়েল-সন্তানদের বিষয়ে তারাহা অতিশয় উদ্বিগ্ন হইল। আর মিস্ত্রয়েরা নিদয়তাপূর্ব্বক ইস্রায়েল সন্তানদিগকে দাস্যকর্ম্ম করাইল ; তাহারা কর্দ্দম, ইষ্টক ও ক্ষেত্রের সমস্ত কাৰ্য্যে কঠিন দাস্যকর্ম্ম দ্বারা উহাদের প্রাণ তিক্ত করিতে লাগিল । তাহারা উতাদের দ্বারা যে যে দাস্যকর্ম্ম করাইত, সে সমস্ত নিৰ্দ্দয়তাপূর্ব্বক করাইত।”-যাত্রাপুস্তক ১ : ৮-১৪
শুধু তাই নয় বরং তারা বনি ইসরাঈল বংশে যাতে কোনো পুরুষ সংখ্যা বাড়তে না পারে তার জন্য কোনো ছেলে জন্মালে তাকে সাথে সাথে হত্যা করে ফেলার ও কোনো কন্যা সন্তান জন্মালে তাকে জীবিত রাখার নির্দেশ জারী করলো । এ ব্যাপারে বাইবেলের বর্ণনা ঃ পরে মিসরের রাজা শিফ্রা নামে ও পূয়া নামে দুই ইব্রীয়া ধাত্রীকে এই কথা কহিলেন, যে সময়ে তোমরা ইব্রীয় স্ত্রী-লোকদের ধাত্রীকার্য্য করিবে, 13 তাহাদিগকে প্রসব আধারে দেখিবে, যদি পুত্র সন্তান হয়, তাহাকে বধ করিবে ; আর যদি কন্যা হয়, তাহাকে জীবিত রাখিবে।”-যাত্রাপুস্তক ১ : ১৫-১৬ তালমুদ এ ঘটনার আরো বিস্তৃত ব্যাখ্যা দিয়ে লিখছে :
“হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালামের মৃত্যুর একশত বছরেরও কিছু বেশী সময় অতিবাহিত হবার পর মিসরে এ সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদী বিপ্লবের ঘটনা সূচিত হয়েছিলো। গজিয়ে উঠা জাতীয়তাবাদের পূজারী এ নতুন শক্তি ইসরাঈলী বিরোধী সরকার প্রথম প্রথম বনী ইসরাঈলকে তাদের মালিকানার অধিক ফসল উৎপাদনকারী জায়গা জমি, নিজস্ব ঘর-বাড়ী ও অন্যান্য ধন-সম্পদ হতে বেদখল দিতে লাগলো। এরপর বনী ইসরাঈলী ইহুদীদেরকে রাষ্ট্রের ও সরকারের সকল ছোট বড় পদ থেকে পদচ্যুত ও সরিয়ে দিতে লাগলো। এভাবে লাঞ্ছিত ও বঞ্চিত করার পরও কিন্তী জাতি ও তাদের পরিচালক সরকার নিশ্চিত ও স্বস্থির নিশ্বাস ফেলতে পারলো না। তারা ভাবলো এখনো বনী ইসরাঈল ও তাদের স্বগোত্রীয় মিসরীয়গণ যথেষ্ট শক্তিশালী। তাই তারা আরো কঠোরভাবে ইসরাঈলীদেরকে নানাভাবে হয়রান পেরেশান করার পথ বেছে নিলো ৷ যত্রতত্র পদদলিত লাঞ্ছিত করতে শুরু করলো। কম মূল্যে কিংবা বিনামূল্যে তাদের দ্বারা কঠিন কঠিন পরিশ্রমের কাজ করাতে শুরু করলো।”-তালমুদ সিলেকসন্স : পাতা-১২৩-১২৪

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]