নবী-রাসূলদের সাথেও তারা কত গর্হিত আচরণ করেছে তা কুরআনের ভাষায় শুনুন ঃ
وَلَمَّا جَاءَ هُمْ رَسُولُ مَنْ عِنْدِ اللهِ مُصَدِّقُ لَمَا مَعَهُمْ نَبَذَ فَرِيقٌ مِّنَ الَّذِينَ
أوتُوا الكتب كتب الله وَرَاءَ ظُهُورِهِم كَأَنَّهُمْ لا يَعْلَمُونَ )
“যখনই তাদের নিকট আল্লাহর তরফ থেকে কোনো রাসূল আগমন করেন, তাদের নিকট থেকেই বিদ্যমান (আল্লাহর) কিতাবের সত্যতা স্বীকার ও সমর্থন করে তখনই এ ইহুদীদের (আহলি কিতাব) একটি দল আল্লাহর কিতাবকে এমনভাবে পেছনে ফেলে রেখেছে যেনো তারা এ সম্পর্কে কিছুই জানে না।”-সূরা আল বাকারা : ১০১
তাদের এ হঠকারিতার ব্যাপারে কুরআন আরো বলছে :
أَمْ تَقُولُونَ إِنَّ إِبْرهِمَ وَإِسْمَعِيلَ وَإِسْحَقَ وَيَعْقُوبَ وَالْأَسْبَاطَ كَانُوا هُودًا أَوْ نَصْرى ، قُلْ أَنْتُمْ أَعْلَمُ أَمَ اللَّهُ ، وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنْ كَتَمَ شَهَادَةً عِنْدَهُ مِنَ
الله « وَمَا اللّهُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُونَ ٥ - البقرة : ١٤٠
“অথবা তোমরা আরো কি বলতে চাও যে, ইবরাহীম, ইসহাক, ইসমাঈল, ইয়াকুব ও ইয়াকুবের বংশধর সকলেই ইহুদী ছিলেন। কিংবা খৃস্টান। হে রাসূল আপনি বলে দিন, এ ব্যাপারে তোমরা বেশী জানো, না আল্লাহ বেশী জানেন ? যার নিকট আল্লাহর তরফ হতে কোনো সাক্ষ্য বর্তমান রয়েছে সে যদি তা গোপন করে তবে তার চেয়ে বড় যালেম আর কে হতে পারে ? জেনে রাখো তোমাদের কাজ-কর্ম সম্পর্কে আল্লাহ মোটেই গাফিল নন।”-সূরা আল বাকারা : ১৪০
নবীদের ব্যাপারে এ ঝগড়া সম্পর্কে কুরআনে বলা হয়েছে :
ياهل الكتب لِمَ تُحَاجُونَ فِي إِبْرهِيمَ وَمَا أُنزِلَتِ التَّوْرَةُ وَالْإِنْجِيلُ إِلا مِنْ
“হে আহলে কিতাব ! তোমরা ইবরাহীম সম্পর্কে আমার সাথে কেনো ঝগড়া করো ? তাওরাত ইঞ্জিল তো ইবরাহীমের পরে নাযিল হয়েছে। তোমরা কি এতটুকু কথাও বুঝ না ?”-সূরা আলে ইমরান : ৬৫
কুরআনে এ সম্পর্কে আরো বলা হয়েছে :
كُلَّمَا جَاءَهُمْ رَسُولُ بِمَا لا تَهْوَى أَنْفُسَهُمْ لا فَرِيقًا كَذَّبُوا وَفَرِيقًا يَقْتُلُونَ
“যখনই তাদের নিকট কোনো রাসূল তাদের নফসের খাহেশের বিপরীত কোনো জিনিস নিয়ে এসেছে তখন তাদের কাউকে তারা মিথ্যাবাদী বলছে, আবার কাউকে হত্যা করছে।”-সূরা আল মায়েদা : ৭০
তাদের ওলামা ও নেতৃবৃন্দ
ইহুদী আলেম সমাজ ও নেতৃবৃন্দের চরিত্র এত হীন ও জঘন্য পর্যায় নেয়ে গিয়েছিলো যে, কুরআন সে সবের বর্ণনা দিয়ে বলছে :
يأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِنَّ كَثِيرًا مِّنَ الْاَحْبَارِ وَالرُّهْبَانِ لَيَاكُلُونَ أَمْوَالَ النَّاسِ
بِالْبَاطِلِ وَيَصُدُّونَ عَنْ سَبِيلِ اللَّهِ ـ - التبوية : ٣٤
“হে ঈমানদারগণ, এ ইহুদীদের (আহলি কিতাব) অধিকাংশ আলেম আর দরবেশদের অবস্থা হলো তারা মানুষের ধন-সম্পদ অন্যায়ভাবে খায় এবং তাদেরকে আল্লাহর পথ থেকে ফিরিয়ে রাখে।”-সূরা আত তাওবা : ৩৪
এ ইহুদী আলেমদের মুনাফেকী আচরণের কারণে হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম তাদেরকে এ ভাষায় র্ভৎসনা করেছিলেন :
“তিনি কহিলেন, হা ব্যবস্থাবেত্তারা, ধিক্ তোমাদিগকেও, কেননা তোমরা মনুষ্যদের উপরে দুর্ব্বহ বোঝা চাপাইয়া দিয়া থাক; কিন্তু আপনারা একটী অঙ্গুলি দিয়া সেই সকল বোঝা স্পর্শ কর না।”-১১ ঃ ৪৬
এদের এ ধরনের মুনাফেকী আচরণের কথা উল্লেখ করে কুরআনও এদের বলছে :
أَتَامُرُونَ النَّاسَ بِالْبِرِ وَتَنْسَوْنَ اَنْفُسَكُمْ وَأَنتُمْ تَتْلُونَ الْكِتُبَ ، أَفَلَا تَعْقِلُونَ
“তোমরা তো অন্যদেরকে ভালো কাজ করার জন্য হুকুম দিচ্ছো । কিন্তু নিজেদের বেলায় তা করা ভুলে যাচ্ছো। অথচ তোমরা আল্লাহর কিতাব পড়েছো। তোমরা কি একটুও বুদ্ধি-সুদ্ধি খরচ করে কাজ করছো না।”-সূরা আল বাকারা : ৪৪
। তারা কিতাবকে বিকৃত ভঙ্গিতে পড়তো যাতে মানুষ বুঝে তারা কিতাব পড়ছে। অথচ তারা কিতাব পড়ছে না। তাদের এ আচরণ সম্পর্কে কুরআন স্বয়ং বলছে :
وَإِنَّ مِنْهُمْ لَفَرِيقًا يَلُونَ الْسِنَتَهُم بِالْكِتبِ لِتَحْسَبُوهُ مِنَ الْكِتُبِ وَمَا هُوَ مِنَ
الْكِتُبِ وَيَقُولُونَ هُوَ مِنْ عِنْدِ اللَّهِ وَمَا هُوَ مِنْ عِنْدِ اللَّهِ وَيَقُولُونَ عَلَى الله الكَذِبَ وَهُمْ يَعْلَمُونَ ٥ - ال عمران : ۷۸
“তাদের মধ্যে কিছু লোক এমন আছে যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করার সময় জিহবাকে এমনভাবে উলট-পালট করে যাতে, তোমরা যেনো মনে করো তারা কিতাবের মূল ভাষণ পাঠ করছে। অথচ প্রকৃতপক্ষে তা কিতাবের ভাষা নয়। তারা বলে, আমরা এতে যা কিছু পড়ি তা সবই আল্লাহর নিকট হতে প্রাপ্ত । অথচ প্রকৃতপক্ষে তা আল্লাহর তরফ হতে প্রাপ্ত নয় । তারা জেনে শুনে আল্লাহর প্রতি মিথ্যা কথা আরোপ করছে।
-সূরা আলে ইমরান : ৭৮
আল্লাহ তাদের এ ধোঁকাবাজীর মুখোশ উন্মোচন করে বলছেন :
فَوَيْلٌ لِلَّذِينَ يَكْتُبُونَ الكتب بِأَيْدِيهِمْ ، ثُمَّ يَقُولُونَ هَذَا مِنْ عِنْدِ اللهِ
لِيَشْتَرُوا بِهِ ثَمَنًا قَلِيلاً ـ - البقرة : ٧٩
“অতএব ধ্বংস সেইসব লোকের জন্য অনিবার্য যারা নিজ হাতে শরীয়াতের বিধান রচনা করে তারপর লোকদেরকে বলে, এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ। যাতে এর বিনিময়ে তারা সামান্য অর্থ গ্রহণ করতে পারে।”-সূরা আল বাকারা : ৭৯
এ প্রসঙ্গে আল্লাহ আরো বলছেন ঃ
قُلْ مَنْ أَنْزَلَ الْكِتَبَ الَّذي جَاءَ بِهِ مُوسَى نُورًا وَهُدًى لِلنَّاسِ تَجْعَلُوْنَهُ
قَرَاطِيْسَ تُبْدُونَهَا وَتُخْفُونَ كَثِيرًا ج - الانعام : ۹۲
“তাদেরকে জিজ্ঞেস করুন, ঐ গ্রন্থ কে নাযিল করেছে যা মূসা নিয়ে এসেছিলো ? যা নূর বিশেষ এবং মানবজাতির জন্য হেদায়াত। তোমরা এ কিতাবকে বিচ্ছিন্ন বিক্ষিপ্ত পাতায় রেখে লোকদের জন্য প্রকাশ করছো । এবং বেশীর ভাগই গোপন করছো।।”-সূরা আল আনআম : ৯১
أَفَتَطْمَعُوْنَ أَنْ يُؤْمِنُوا لَكُمْ وَقَدْ كَانَ فَرِيقٌ مِّنْهُم يَسْمَعُونَ كَلَامَ اللهِ ثُمَّ
يحرفونه مِن بَعْدِ مَا عَقَلُوه وهم يَعْلَمُونَ ٥ - البقرة : ٧٥
“হে মুসলমানেরা তোমরা কি আশা পোষণ করছো যে, লোকেরা তোমাদের দাওয়াতে ঈমান গ্রহণ করবে ? অথচ তাদের এক গোষ্ঠী আলেম, আল্লাহর কালাম শুনছে। আর খুব বুঝে শুনে জ্ঞাতসারে এর মধ্যে পরিবর্তন আনছে।”-সূরা আল বাকারা : ৭৫
فَبِمَا نَقْضِهِمْ مِيثَاقَهُمْ لَعَنْهُمْ وَجَعَلْنَا قُلُوبَهُمْ قَسِيَةٌ ، يُحَرِّفُوْنَ الْكَلِمَ عَنْ
مواضعه لا وَنَسُوا حَظًّا مِّمَّا ذَكَرُوا به ج - المائدة : ۱۳
“এখন তাদের অবস্থা হলো এমন যে, তারা শব্দ উলট-পালট করে বক্তব্যকে কোথা হতে কোথায় নিয়ে মূল কথার নাড়া-চাড়া করে ফেলে । যে শিক্ষা তাদেরকে দেয়া হয়েছিলো তার অধিকাংশই তারা ভুলে গিয়েছে।”-সূরা আল মায়েদা : ১৩
وَمِنَ الَّذِينَ هَادُوا سَمَّعُونَ لِلْكَذِبِ سَمْعُونَ لِقَوْمٍ أُخَرِينَ لا لَمْ يَأْتُوكَ ،
،
يُحَرِّفُونَ الْكَلِمَ مِنْ بَعْدِ مَوَاضِعِهِ ، يَقُولُونَ إِنْ أُوتِيْتُمْ هذَا فَخُذُوهُ وَإِن لَّمْ
تُؤْتَوْهُ فَاحْذَرُوا ط - المائدة : ٤١
“যারা ইহুদী হয়ে গেছে আর যাদের অবস্থা এই যে, তারা মিথ্যার জন্য উৎকর্ণ হয় এবং অন্য এমন লোকের জন্য যারা তোমার নিকট কখনো আসেনি। কথা খুঁজে বেড়ায়। আল্লাহর কিতাবের শব্দাবলীকে এসবের নির্দিষ্ট স্থান থাকা সত্ত্বেও এদেরকে আসল অর্থ হতে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এবং মানুষদেরকে বলছে যে, যদি তোমাদেরকে এ হুকুম দেয়া হয় তাহলে মানবে। আর তা না হলে মানবে না।”-সূরা আল মায়েদা : ৪১
أَلَمْ تَرَاَ إلَى الَّذِينَ أوتُوا نَصِيبًا مِّنَ الْكِ يُدْعَوْنَ إِلى كِتَبِ اللهِ لِيَحْكُم
بَيْنَهُمْ ثُمَّ يَتَوَلَّى فَرِيقٌ مِّنْهُمْ وَهُمْ مُعْرِضُونَ ٥ - ال عمران : ۲۳
“তুমি কি দেখনি যাদেরকে কিতাবের কিছু জ্ঞান দেয়া হয়েছে তাদের অবস্থা কি ? তাদেরকে আল্লাহর কিতাবের দিকে আহবান জানানো হয় তাদের মধ্যে ফায়সালা করার জন্য, তখন তাদের একটি অংশ ইতস্ততঃ করে আর ফায়সালার দিকে আসা হতে মুখ ফিরিয়ে নেয়।”
وَمَا اخْتَلَفَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَبَ إِلَّا مِنْ بَعْدِ مَا جَاءَ هُمُ الْعِلْمُ بَغْيًا بَيْنَهُمْ ،
“যাদের কিতাব দেয়া হয়েছিল তারা বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেছিল, কারণ প্রকৃত জ্ঞান পাওয়ার পর তারা পরস্পরের উপর প্রাধান্য বিস্তারের জন্যই এরূপ করেছে।”-সূরা আলে ইমরান : ১৯
وَدَّت طَائِفَةٌ مِّنْ أَهْلِ الْكِيبِ لَوْ يُوضَلُّونَكُمْ
يأهْلَ الْكِتب لِم
تَلْبِسُونَ الْحَقَّ بِالْبَاطِلِ وَتَكْتُمُونَ الْحَقَّ وَانْتُمْ تَعْلَمُونَ o وَقَالَتْ طَائِفَةٌ مِّنْ
اَهْلِ الْكِتُبِ اَمِنُوا بِالَّذِي أَنْزِلَ عَلَى الَّذِينَ آمَنُوا وَجْهَ النَّهَارِ وَاكْفُرُوا أُخِرَةَ
لَعَلَّهُم يَرْجِعُونَ وَلَا تُؤْمِنُوا إِلَّا لِمَنْ تَبِعَ دِينَكُمْ ط - ال عمران : ٦٩، ٧١-٧٣
“হে ঈমানদারেরা ! আহলে কিতাবদের এক অংশ চায় যে কোনোভাবে তোমাদেরকে সত্য পথ থেকে হটিয়ে দিতে।----হে আহলে কিতাব ! কেনো তোমরা সত্যবাদীদের উপর মিথ্যাবাদীর রং ছড়িয়ে তাদেরকে বিতর্কিত করে তুলছো ? জেনে বুঝে কেনো সত্যকে গোপন করছো ? আহলে কিতাবদের মধ্য হতে একটি দল বলছে এ নবীকে মান্যকারীদের উপর যে হুকুম নাযিল হয়েছে তার উপর সকালে ঈমান আনো সন্ধ্যায় একে অস্বীকার করো। সম্ভবত এ পদ্ধতিতে এই লোকেরা তাদের ঈমান থেকে সরে পড়বে। লোকেরা পরস্পর আরো বলে নিজের ধর্মীয় লোকদের ছাড়া আর কারো কথা মানবো না।”-সূরা আলে ইমরান : ৬৯,৭১-৭৩
FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত