ইসরাঈলের মহাপরিকল্পনা : মিসর থেকে ইরাক পর্যন্ত

নাফরমানী ও শরীয়াতের সীমা অতিক্রম করে যাবার ফল।"
-সূরা আল বাকারা : ৬১
প্রখ্যাত মুফাসসির ইমাম যাহ্হাকের ভাষায় ইহুদীরা এ লাঞ্ছনা-গঞ্জনা, অবহেলার শৃংখলে আবদ্ধ থাকবে। সূরা আলে ইমরানের ১১২ আয়াতেও একথা বলা হয়েছে। তারা যেখানেই যাবে সেখানেই তাদের জন্য লাঞ্ছনা অবমাননা পুঞ্জিভূত হয়ে থাকবে। দুনিয়ার কোথাও যদি যৎসামান্য শান্তি ও নিরাপত্তা তাদের ভাগ্যে ঘটেও থাকে তবে তা নিজের কোমরের বলে নয়, অন্যদের সাপোর্ট ও সহযোগিতার বলেই হয়েছে। কোথাও কোনো মুসলিম রাষ্ট্র আল্লাহর নামে তাদেরকে নিরাপত্তা দিয়েছে। কোথাও কোনো অমুসলিম রাষ্ট্র নিজেদের স্বার্থে ও মুসলিম দুশমনির কারণে ইহুদীদেরকে আশ্রয় দিয়েছে। সাহায্য করেছে। এভাবে জগতে তারা কখনো শক্তিশালী হবার সুযোগও পেয়ে গেছে। কিন্তু সবই নিজের বলে নয়। অন্যের খুঁটির জোরে।
ফিলিস্তিনে ইসরাঈল রাষ্ট্র কায়েমের ফলে মুসলমানদের মনে যে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে তার নিরসনও এর দ্বারা হয়ে যায়। আগেও একবার এ সম্পর্কে উল্লেখ হয়েছে। কুরআন থেকে বুঝা যায়, ইহুদীদের নিজস্ব কোনো রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে না। অথচ বাস্তবে ইহুদীদের রাষ্ট্র ফিলিস্তিনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ইসরাঈল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রকৃত রহস্য যারা জানেন তারা একথাও অবশ্যই জানেন যে, এ রাষ্ট্র প্রকৃতপক্ষে ইহুদীদের রাষ্ট্র নয় বরং এ ‘ইসরাঈল' রাষ্ট্র আমেরিকা ও বৃটেনের একটি ঘাঁটি মাত্র। ইহুদীদের রাষ্ট্র ইসরাঈল নিজস্ব শক্তি ও সম্পদের উপর ভর করে এক মাসও টিকে থাকতে পারবে না। খৃস্টান শক্তি ইসলামী বিশ্বকে দুর্বল করে রাখার জন্য তাদেরই মাঝখানে ইসরাঈল নাম দিয়ে একটি সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ করেছে। এ রাষ্ট্র মুসলমানদের বিরুদ্ধে আমেরিকা ও উইরোপীয় খৃস্টানদের ব্যবহার করার অনুগত ও আজ্ঞাবহ একটি ষড়যন্ত্রের কেন্দ্র ছাড়া আর কিছু নয়। পাশ্চাত্য শক্তিগুলোর বিশেষ করে আমেরিকার সাথে নানা রকমের প্রকাশ্য ও গোপন চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে তাদের পক্ষপুটে আশ্রিত হয়ে তাদের দয়ার উপর নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে এই অভিশপ্ত ইহুদী জাতি । তাও অত্যন্ত লাঞ্ছনা ও অবমাননার ভিতর দিয়ে। সুতরাং বর্তমান ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাঈল প্রতিষ্ঠার কারণে কুরআনের মর্ম সম্পর্কে সামান্যতম সন্দেহেরও অবকাশ থাকতে পারে না ।
ঠিক এ একই মর্ম প্রকাশিত হয়েছে কুরআনের নিম্নলিখিত বর্ণনায় । কুরআন আবারও বলছে : ضُرِبَتْ عَلَيْهِمُ الذِلَّةُ أيْنَ مَا تُقِفُوا إِلا بِحَبْلٍ مِّنَ اللهِ وَحَبْلٍ مِّنَ النَّاسِ وَبَاءُ وَ بِغَضَبٍ مِّنَ اللهِ وَضُرِبَتْ عَلَيْهِمُ الْمَسْكَنَةُ ، ذَلِكَ بِأَنَّهُمْ كَانُوا يَكْفُرُونَ بِأَيْتِ اللهِ وَيَقْتُلُونَ الأَنْبِيَاء بِغَيْرِ حَق ، ذلِكَ بِمَا عَصَوْا وَكَانُوا يَعْتَدُونَ ٥
“আল্লাহর প্রতিশ্রুতি কিংবা মানুষের প্রতিশ্রুতি ছাড়া এরা যেখানেই অবস্থান করেছে সেখানেই তাদের উপর লাঞ্ছনা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। আর ওরা উপার্জন করেছে আল্লাহর গযব। ওদের উপর চাপানো হয়েছে গলগ্রহতা । আর তা এজন্য যে, ওরা আল্লাহর আয়াতসমূহকে অনবরত অস্বীকার করেছে। নবীগণকে অন্যায়ভাবে হত্যা করেছে। তার কারণ ওরা নাফরমানী করেছে এবং সীমালংঘন করেছে।”-সূরা আলে ইমরান : ১১২
কুরআনে অন্যত্র বলা হয়েছে : وَإِذْ تَأَذَّنَ رَبُّكَ لَيَبْعَثَنَّ عَلَيْهِمْ إِلَى يَوْمِ الْقِيمَةِ مَنْ يَسُومُهُم سوء الْعَذَابِ ط إِنَّ رَبَّكَ لَسَرِيعُ الْعِقَابِ ، وَإِنَّهُ لَغَفُورٌ رَّحِيمٌ o وَقَطَّعْنَهُمْ فِي الْأَرْضِ أَمَما 0
“আর সে সময়ের কথা স্মরণ করো । যখন তোমাদের পালনকর্তা সংবাদ দিয়েছেন যে, অবশ্যই কিয়ামাতের দিন পর্যন্ত ইহুদীদের উপর এমন লোক পাঠাতে থাকবেন যারা তাদেরকে নিকৃষ্ট শাস্তি দান করতে থাকবে । নিসন্দেহে তোমার পালনকর্তা শীঘ্রই শাস্তিদানকারী এবং তিনি ক্ষমাশীল ও দয়ালু। আমি তাদেরকে জমিনে বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত করে বহু জাতিতে পরিণত করে রেখেছি।”-সূরা আল আরাফ : ১৬৭-১৬৮

হিটলারের হাতে ইহুদী নিধন
জার্মানী ঐতিহাসিকদের তথ্য অনুযায়ী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইউরোপের ইহুদীদের নির্মূল করার নির্দেশ দিয়েছিলেন স্বয়ং এড্লফ হিটলার। এটাওতো আল্লাহর তরফ থেকে ইহুদী জাতির উপর একটি গযব ।
ক্রিষ্টিয়ান গারলাত তার এ গবেষণালব্ধ তথ্যটি জনসমক্ষে প্রকাশ করেন ৷ ১৯৪২ সালের ২০শে জানুয়ারী সোমবারে। এ দিনেই নাৎসীরা ওয়ানসি সম্মেলনে তাদের চূড়ান্ত সমাধান স্থির করেছিলো। গবেষকের এ তথ্যের প্রতি ইতিমধ্যেই সতীর্থ ঐতিহাসিকরা ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন।
ঐতিহাসিকরা জানান, এ চূড়ান্ত সমাধানের সিদ্ধান্তটি ১৯৪৩ সালের ওই সম্মেলনে কয়েক মিনিটের মধ্যে স্থির হয়ে যায়। যার ফলশ্রুতিতে নির্মূল হয়ে যায় ৬০ লাখ ইয়াহুদী ।
এ পরিকল্পনায় ছিলো পোল্যাণ্ডে একটি ধ্বংস ক্যাম্প স্থাপন, যাতে ইহুদী জিপসি ও অন্যান্য গ্রুপ, যাদের নির্মূলে হিটলার বদ্ধপরিকর ছিলেন তাদের হত্যা করা ।
হিটলার অবশ্য ঐ সম্মেলনে অংশ নেননি। আর এর ফলেই গবেষকরা বিভ্রান্ত হন যে, হিটলারই কি চূড়ান্ত সমাধানের নির্দেশ দিয়েছিলেন । নাকি তার নাজী লেফটেন্যান্টরা নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে এ সিদ্ধান্ত নেন ? রুশ কাগজপত্র থেকে পাওয়া এ নতুন তথ্য প্রকাশ করে ঐতিহাসিক গারলাচ বলেন, ওই সম্মেলনের এক মাস আগে ১৯৪১ সালের ১২ই ডিসেম্বর বার্লিনে নাজী কর্মকর্তা ও গুলেটার্সদের (জেলা প্রধান) সঙ্গে এক গোপন বৈঠকে হিটলার ওই বিতর্কিত নির্দেশটি প্রদান করেন ।
এদিকে এ জঘন্য সম্মেলনটি যেখানে হয়েছিলো সেই ওয়ানসি ভিলার গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান নরবাট ক্যাম্পি বলেছেন, গারলাচের গবেষণা সত্যই খুবই ভালো । খুবই বুদ্ধিদীপ্ত এটি। একেবারে নতুন করে প্রাপ্ত তথ্য। তবে এর কোনো কোনো অংশের সাথে পুরো প্রভাবিত হয়নি। ক্যাম্প সি. এন. এন.কে জানান গারলাচ তার তথ্যের ব্যাপারে সমর্থন পেয়েছেন নাজী প্রপাগাণ্ডা মন্ত্রী জোসেফ গোয়েবেলসের ডায়েরী ও এস. এস. প্রধান হেনরিচ হিটলারের এপয়েন্টমেন্ট ডায়েরী থেকে । আর ওইসব ডায়েরীতেই গোপন বৈঠকের ইঙ্গিত পেয়েছেন বলে দাবী করেছেন গারলাচ । ওয়ানসি ভিলা মেমোরিয়াল এণ্ড ষ্টাডি সেন্টারে স্বতন্ত্রভাবে করা গবেষণায় প্রাপ্ত গারলিচের (৩৪) এ তথ্যগুলো প্রকাশিত হয়েছে জার্মান ঐতিহাসিক সাময়িকীতে সে সঙ্গে ওয়ানসি ভিলা সেন্টারে ২শ' শ্রোতার সামনে এ নতুন তথ্যগুলো পরিবেশিত হয়েছে। এ শ্রোতাদের মধ্যে ছিলেন, ঐতিহাসিক, ছাত্র ও অন্যরা ।
অনেক ঐতিহাসিক মনে করেন যে, হিটলারই অবশ্য এ নির্দেশ দিয়েছিলেন। হিটলারের মেইন ক্যাম্প গ্রন্থ বর্ণিত বর্ণের শ্রেষ্ঠত্ব তত্ত্বের উদাহরণও তারা দেন । তবে অনেক ঐতিহাসিক এ বিষয় পর্যাপ্ত প্রমাণ ও তথ্য না থাকায় এ হত্যাকাণ্ডের নির্দেশের জন্য হিটলারকে দায়ী করতে একমত নন ।
উল্লেখ্য, নাৎসীদের ধ্বংস ক্যাম্প ছিলো গ্যাস চেম্বার। নির্যাতন ক্যাম্পগুলোর অতিরিক্ত হিসাবে এ ক্যাম্প কাজ করেছে। সেখানে কিছু কিছু বন্দীকে কারখানায় দাস শ্রমিক হিসেবে কাজ করানো হয়েছে ।
আর অন্যদের গ্যাস চেম্বারে হত্যার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে । বি এন এস/এন এন আই ।—তথ্য সূত্র দৈনিক সংগ্রাম ২৯ জানুয়ারী ১৯৯৮
ইন্টারনেটে ইহুদী চক্রান্ত
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্মের পূর্ব থেকে আজ পর্যন্ত ইহুদীরা ইসলামের বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। ত্রয়োদশ শতাব্দীতে জন্ম দিয়েছিলো Orientalist বা প্রাচ্যবিদদের। যাদের লক্ষ্যই ছিলো ইসলামের তাত্ত্বিক বিষয়াদী বিকৃতি। বিংশ শতাব্দীর গোড়াতে তারা ব্যবহার করেছে ইন্টারনেটকে হীন চক্রান্তকে বাস্তবে রূপ দিয়েছে EXCT নামক ইন্টারনেট তথ্যব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে। এ তথ্য ব্যাংকের ৯০ শতাংশ তথ্যই বিকৃত। ৯২১১৯টি বিশাল বিশাল ফাইল দ্বারা সমৃদ্ধ করছে তাদের তথ্য ব্যাংককে। ৩০ হাজার ফাইল দ্বারা সমৃদ্ধ Ultra Fistac নামক ইন্টারনেট তথ্যব্যাংক তাদের অন্যতম আরেকটি প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়াও আরও অসংখ্য ছোট ছোট তথ্য ব্যাংক রয়েছে। সবচেয়ে ছোট তথ্য ব্যাংকের রয়েছে ২৫৫ টি ফাইল । এ সকল সংস্থা থেকে প্রকাশ করা হয় বড় বড় ভলিউম বই । যেমন Encyclopaedia of Religion, Encyclopaedia of Islam ইত্যাদী। এ সকল বইসমূহকে আমরা আমাদের অজান্তেই রেফারেন্স বুক হিসাবে ব্যবহার করছি। বর্তমান বিশ্ব ইসলাম সম্পর্কিত সবচেয়ে বেশী তথ্য সংগ্রহ করে যে সংস্থা থেকে সেটি হলো ‘ইয়াহু’। এ সংস্থার মূল হলো ইয়াহুদীবাদ । ইসকান্দারিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. ইউসুফ যায়দান বলেন, “ইসলামকে
ইচ্ছানুযায়ী রং দেয়ার ক্ষেত্রে ইহুদীরা স্বেচ্ছাচার।” এ সংস্থার ইন্টারনেটের প্রথম ফাইলটির শিরোনাম হলো ‘আহমদীয়া না ইসলাম ?' এ ফাইলে আহমদীয়া সম্প্রদায়ের প্রবক্তা আহমদ খানকে ইসলাম ধর্মের একজন সংস্কারক বা মুজাদ্দিদ হিসাবে প্রমাণ করার আপ্রাণ চেষ্টা করেছে। এ সংস্থার আরেকটি অন্যতম কাজ হলো MTA টিভি চ্যানেল চালু ।
ইয়াহু সংস্থার মৌলিক ৪টি কাজ হলো—এক. ইসলামকে একটি সন্ত্রাসবাদী ধর্ম হিসাবে উপস্থাপন করা। দুই. যুক্তরাষ্ট্রে আহমদী জামাতের কার্যক্রম পরিচালনা। তিন. প্রাচ্যে আহমদী জামাতকে ইসলামী জামাত হিসাবে প্রতিষ্ঠা করা। চার. এমটিএ টিভি চ্যানেল চালু ও পরিচালনা । এ টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের ব্যক্তিত্বদেরকে মুসলিম বুদ্ধিজীবি হিসাবে উপস্থাপন করা হয়। এ ছাড়াও CNN, BBC, -সহ ইহুদী প্রভাবিত টিভি চ্যানেলগুলোতে ইসলাম সম্পর্কিত যে কোনো সাক্ষাতকার নিতে গেলে তারা হাজির করে সালমান রুশদীসহ কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের ব্যক্তিদেরকে ।
আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এ সকল সংস্থার তথ্যের ব্যাপারে ব্যাপক বিতর্ক রয়েছে। কারণ অনুসন্ধিৎসু ছাত্র মাত্রই এ সকল তথ্যের বাস্তবতা ও সত্যতায় সন্ধিহান। ছোট পরিসরে হলেও এ সকল ষড়যন্ত্রের মুকাবিলায় আমেরিকার মুসলমানরা এবং সৌদি আরবের 'আল আসাঙ্কু' ও “ইকরা” সংস্থা ভূমিকা রাখছে। মিশরের সবোর্চ্চ ইসলামী পরিষদ ইন্টারনেট তথ্যব্যাংক প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
সন্দেহের দোলায় আচ্ছাদিত ইসলামের তাত্ত্বিক বিষয়াদিকে সঠিকভাবে উপস্থাপন কল্পে বিভিন্ন ভাষায় কুরআনের তাফসীর প্রকাশ করা দরকার । ইহুদীবাদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত সংস্থাসমূহের বিকৃত তথ্যসমূহের চুলচেরা বিশ্লেষণ করে তাদের স্বরূপ বর্তমান বিশ্বের সামনে উপস্থাপন করা । OIC-সহ ইসলামী আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের মাধ্যমে ইসলামী টিভি চ্যানেল চালু সঠিক তথ্য সমৃদ্ধ ইন্টারনেট তথ্যব্যাংক প্রতিষ্ঠাসহ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা দরকার।-তথ্য সূত্র সাপ্তাহিক সোনার বাংলা জুন ১৯৯৮
অপ্রতিরোধ্য ইহুদীবাদ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অঘোষিত ইহুদী রাষ্ট্র !
ইহুদীবাদী চক্রান্তের শিকার বিশ্বের একক পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ক্লিনটনকে যৌন সন্ত্রাসী হিসাবে চিহ্নিত হতে হয়েছে। মার্কিন রাজনীতি ও প্রশাসনে ইহুদী লবীর প্রভাব সুবিদিত এবং সেটা অনেকটা


অপ্রতিহত। বলা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ও রাষ্ট্রের সকল সংস্থা ব্যাবস্থাপনায় সিক্রেট কিংবা ওপেন সকল ক্ষেত্রেই ইহুদীবাদ সুপার গভর্নমেন্টের নিপুণ নিয়ন্ত্রণ অপ্রতিরোধ্য। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহ্যবাহী দু'টি রাজনৈতিক দল রিপাবলিক্যান ও ডেমোক্রাট উভয়ের নেপথ্যে চালিকাশক্তিই ইহুদীবাদের হাতে। তবে তুলনামূলকভাবে ডেমোক্রাট পার্টির পলিসি নির্ধারণ, ফাণ্ড রেইজিং এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাঠামোতে সরাসরি ইহুদীদের নিয়ন্ত্রণ বেশী । ফলে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর বর্ণবাদী আগ্রাসনের কাছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ কার্যত জিম্মি । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সাংবিধানিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাসী। কিন্তু মার্কিন বুদ্ধিবৃত্তিক ও রাজনৈতিক গোষ্ঠী খৃষ্টীয় ধর্ম বিশ্বাসে আস্থাশীল হয়েও ইহুদীবাদী রাজনৈতিক কালচারের কাছে আত্ম- সমর্পিত। হিটলারের নাৎসীবাদ ইউরো-আমেরিকায় নিন্দিত ও ঘৃণিত। হিটলারের হাতে ইহুদীদের হত্যাকাণ্ড লুন্ঠনের ঘটনার জন্য এখনও নাৎসী ও তাদের সহযোগীদের বিচার হচ্ছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার ইহুদীদের লুণ্ঠিত সম্পদ, যা কিনা সুইচ ব্যাংকে গচ্ছিত ছিল। সম্প্রতি সুইচ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তার ১০০ কোটি ডলার ইহুদীদের কাছে ফেরত দিতে বাধ্য হয়েছে। জাতি সংঘ বিশ্ব আদালত, বিশ্ব ব্যাংক, আই এম এফ সহ সকল আন্তর্জাতিক সংস্থায় ইহুদীবাদী লবীর প্রভাব সুস্পষ্ট। হিটলারের ফ্যাসিবাদ ও বর্ণবাদকে ইউরো-মার্কিন বলয় যেভাবে ঘৃণা ও নিন্দার সাথে মূল্যায়ন করে, বসনিয়া, হার্জেগোভিনা, ফিলিস্তিন, কাশ্মীরে গণহত্যা, নির্যাতনকে সেভাবে নিন্দিত করায় তাদের কুণ্ঠা রয়েছে। ইউরো-মার্কিন বলয়ের মানবাধিকারও গণতান্ত্রিক সামাজিক সাম্যের তথাকথিত সার্বজনীন ধারণায় মুসলমানদের কোনো জায়গা নেই। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ইসলামী রাষ্ট্র ও সমাজব্যবস্থা নির্মাণের অধিকার পশ্চিমের গণতন্ত্র সহ্য করতে নারাজ। আলজেরিয়া, তুরস্ক, সুদান, তিউনিসিয়া, ইরান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ কিংবা পাকিস্তানের মতো মুসলিম প্রধান দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা নির্মাণের অধিকারকে পাশ্চাত্য ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টি তাদের ধর্মীয় জাতিগত বা সাম্প্রদায়িক পরিচয় বহন না করলেও 'মুসলিম' বা ইসলামী পরিচয়বাহী সংগঠনগুলোকে পশ্চিমা সংবাদ ও ইলেকট্রনিক মাধ্যম মৌলবাদী বা ইসলামী সন্ত্রাস হিসাবে চিহ্নিত করে আসছে। খৃস্টীয় চার্চের মহিলা কর্মীরা শালীন পোশাক পরিধান করে সকল সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানাদিতে অংশ নিতে পারলেও ইউরোপের কোথাও মুসলিম নারী শিক্ষার্থীরা স্কার্ফ দিয়ে মাথা ঢেকে বা হেজাব পরিধান করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারবে না। ইউরোপীয়ান রাষ্ট্র প্রশাসন, বিচার ব্যবস্থা ও বুদ্ধিবৃত্তিক গোষ্ঠী ও সংকীর্ণ সাম্প্রদায়িক ও বর্ণবাদী আচরণ করে মুসলমানদের
বিরুদ্ধে ক্রুসেডীয় হিংস্রতা বহাল রাখছে। ইউরোপ আমেরিকায় মুসলমানরা যেখানে সংখ্যালঘু, সেখানেও তারা যেভাবে জাতীয় স্বাতন্ত্র ধর্মীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষার ক্ষেত্রে প্রত্যয়ী, সংবেদনশীল, সংখ্যারিষ্ঠ আরব-এশীয়-আফ্রিকান মুসলিম দেশে তা দেখা যায় না। এ কারণেই মাঝে মাঝে মনে হয় যে, একুশ শতকে বিশ্বের ইসলামী বিপ্লবের নেতৃত্বে অমুসলিম বিশ্বের কনভার্টেট মুসলমানরাই সামনে চলে আসবেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৬৫ লাখ ইহুদী। আর মুসলমানের সংখ্যা ৬০ লাখ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান লোক সংখ্যা ২৭ কোটি ৫ লাখ। নির্যাতিত কৃষ্ণ মানুষের একটি নৈতিক সমর্থন রয়েছে মুসলমানদের প্রতি। এই সাথে মার্কিন সমাজের সত্যিকার ঈসায়ী জনগোষ্ঠী ও মুসলমানদের প্রতি এতোটা হিংস্র নয়। সব মিলিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুসলমানরা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হলে হক্কুল ইবাদের সার্বজনীন কর্মধারায় নিজেদের সম্পৃক্ত করতে পারলে মার্কিন সমাজ ব্যবস্থায় মুসলমানদের একটা ইতিবাচক প্রতিপত্তি অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠবে। যদিও মার্কিন সমাজ ধর্ম, বর্ণ ও সাংস্কৃতিক বিভাজনের সংকীর্ণতাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রশ্রয় দেয় না। কিন্তু ইহুদীবাদী বিভাজন এবং মিডিয়ার ওপর তাদের সীমাহীন নিয়ন্ত্রণ মুসলমান ও কৃষ্ণকায় জনগোষ্ঠীকে বিদ্বিষ্ট প্রচারণার শিকার করেছে। কৃষ্ণকায় জনগোষ্ঠীকে অপরাধী, খুনি এবং মুসলমানদের 'মৌলবাদী' 'সন্ত্রাসী' প্রমাণ করার ক্ষেত্রে ইহুদীবাদী মিডিয়া আশাতীত সফল। মার্কিন জনগণের ওপর প্রচার মাধ্যমের ব্যাপক প্রভাব সর্বজনবিদিত। এ সেনসিটিভ মাধ্যমের উপর মুসলমানদের কার্যকর নিয়ন্ত্রণ নেই । আরব মুসলমানদের পেট্রোডলারের উপার্জন এ পর্যন্ত বিবিসি. সি. এন. এন. রয়টার এ. এফ. পি.-র মতো কোনো সংবাদ সংস্থা বা মিডিয়া সেন্টার প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। এ ব্যর্থতার খেসারত মুসলমানদের অব্যাহতভাবে দিতে হচ্ছে পশ্চিমের মিডিয়ার ভিকটিম হয়ে। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, মুসলমানরা উম্মাহর এ অভাবটি পূরণ করার জন্য এখনও কোনো পরিকল্পনাও নেয়নি। বুদ্ধিবৃত্তিক ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতির প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে না পারলে বিশ্বে কর্তৃত্ব করা দূরুহ। ইহুদীরা এ সত্য যতোটা উপলব্ধি করছে মুসলমানরা ততোটা করেনি । আর করেনি বলেই পশ্চিমা মিডিয়ায় মুসলমানরা 'শক্তি বিনাশী'-'মৌলবাদী সন্ত্রাসী' । এ অপবাদের জবাবটা পর্যন্ত দেবার সাধ্য মুসলমানদের নেই ।
মার্কিন কৃষ্ণাঙ্গ মুসলিম নেতা লুই ফোরকানের [ফারাহ খান] নেতৃত্বে যে 'মিলিয়াজ ম্যান মার্চ' হয়েছিলো, তাতে অংশগ্রহণকারী সবাই মুসলমান ছিলেন না। নির্যাতিত কালো মানুষের কাফেলাও তাতে শামিল হয়েছিলো । কালোরা ইসলামের সহজাত সহায়ক ও ভ্রাতৃ শক্তি। বেলালী কাফেলার উত্তরসূরীদের


কাছে মুসলমানদের সঠিকভাবে দাওয়াত পৌঁছে দিতে পারছে না বলেই কালো পাহাড়ের ঘুম ভাঙ্গেনি। আহমদ দীদাত কিংবা লুইফোরকানরা ইসলামের দাওয়াতী কাজের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন। বিশ্ব প্রাকৃতিকভাবেই ইসলাম অভিমুখী । ইসলামের প্রকৃত প্রতিনিধিত্ব করার ব্যাপারে মুসলমানদের ব্যর্থতাই অন্যান্য জনগোষ্ঠীকে ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে। বৈষয়িক শ্রেষ্ঠত্বকে মুসলমানরা তাদের আধ্যাত্মিক সারল্য মানবাতাবাদী উদার সংবেদনশীল আচরণের শেষ্ঠত্বে, মহত্বে অতিক্রম করতেও পারেনি। বিচ্ছিন্নভাবে এ ক্ষেত্রে কারও সাফল্য থাকলেও সামগ্রিকভাবে উম্মাহর সাফল্য নগণ্য ; মানবিক উৎকর্ষতায় মুসলমানদের পরাভবতাই ইসলামের সৌকর্যকে আড়াল করে রেখেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্নায়ুযুদ্ধ উত্তরাঞ্চলে একক বিশ্ব শক্তি হিসাবে আভির্ভূত হয়েছে। ফলে বিশ্ব শক্তিমঞ্চে ভারসাম্য ক্ষুন্ন হয়েছে অতি স্বাভাবিকভাবেই। রাশিয়ার জার নিকোলাসের বিরুদ্ধে বলশেভিক বিপ্লবে মুসলিম নেতা আনোয়ার পাশা সহায়ক ভূমিকা পালন করেছিলেন। জার দ্বিতীয় নিকোলাসের অত্যাচারী ইসলাম বৈরী ভূমিকার অবসান কামনা করেছিলেন মধ্য এশিয়ার মুসলমানরা। আর এ কারণেই বলশেভিকদের সাথে মুসলমানদের সহায়তা ছিল কৌশলগত। তবে বলশেভিক বিপ্লবের পর লেনিন আনোয়ার পাশার সথে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেই শুধু ক্ষান্ত হননি মুসলিম স্বাধীন সত্তা নির্মূলে বলশেভিকরা তাদের ক্ষমতার ৭০ বছর নিষ্ঠুর প্রতিহিংসায় ব্যবহার করেছেন । ৭০ বছর পর সোভিয়েত কম্যুনিষ্ট শাসকরা যখন আফগানিস্তান দখলে রেড আর্মি দিয়ে অগ্রসর হয়, তখন আফগান মুসলমাদের সাথে গোটা মুসলিম বিশ্বের প্রতিরোধ আন্দোলনের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পাশ্চাত্য। তাদের সামনে ছিলো শত্রুর শত্রু আমার মিত্র'-এ দর্শন। ‘ওয়ারশ’ সামরিক জোটের অধীন পূর্ব ইউরোপের ক্ষেপনাস্ত্র স্থাপনগুলো পাশ্চাত্যের মুক্ত জীবনে সার্বক্ষণিক বিভীষিকার সৃষ্টি করেছিলো। আফগানিস্তানের স্বাধীনতা রক্ষার চেয়েও মার্কিন সমর কুশলীদের কাছে সোভিয়েত রেড আর্মির উষ্ণ পানি অতিক্রম করার দুঃস্বপ্ন প্রতিরোধ করার টার্গেট নির্ধারিত ছিলো। আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েত ইউনিয়নের পরাভূত হয়ে বিদায় গ্রহণের মধ্য দিয়ে কম্যুনিষ্ট পরাশক্তি, তথা সমাজতন্ত্রের বিলোপ রঙ্গমঞ্চে এক পরাশক্তি হিসাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আবির্ভাব ঘটে। বলশেভিকরা মুসলমানদের যেভাবে প্রতারিত করেছিলো, একইভাবে মার্কিন পরাশক্তি মুসলমানদের প্রতারিত করে। কম্যুনিষ্ট দানবের পতনের মূল কারিগর জানবাজ মুসলমানরা হলেও তার বেনিফিসিয়ারী হচ্ছে গোটা পাশ্চাত্য। একক পরাশক্তির রাজত্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে বিশ্ব ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছে, তাতে কম্যুনিষ্ট পরাশক্তির বিরুদ্ধে
মুসলমানদের বীরোচিত সংগ্রামের কোনো স্বীকৃতি নেই। বরং আফগান মুজাহিদ ও তাদের সহায়তাকারীদের মার্কিন এষ্টাবলিশমেন্ট ‘মৌলবাদী সন্ত্রাসী' হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ইহুদীদের প্ররোচনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র 'ইসলামী মৌলবাদকে' এক নম্বর শত্রু বানিয়েছে। আফগানিস্তানে 'সন্ত্রাসী' নিধনের নামে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার আরব সাগরে অবস্থিত রণতরী থেকে ক্রুজ মিসাইল হামলা চালিয়ে আফগান মুজাহিদদের রক্ত ঝরিয়েছে। মাত্র এক যুগ আগের কম্যুনিষ্ট দানবের সাথে মার্কিনী দানবের পার্থক্যটা কোথায়। পাক আফগান সীমান্তে বেলুচিস্তানের কাছে পাকিস্তান যেখানে পারমাণবিক বোমার বিষ্ফোরণ ঘটিয়েছে, তার কাছেই মার্কিন ক্রুজ মিসাইল নিক্ষিপ্ত হয়েছে। পাকিস্তানী বিজ্ঞানীরা বলেছেন, ঐ ক্রুজ মিসাইল বিষ্ফোরিত হলে পারমাণবিক বিষ্ফোরণ টানেলের বর্জ্য মাটির সাথে মিশে ভয়াবহ বিপর্যয় সৃষ্টি করতো। অবশ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ক্রুজ মিসাইল হামলা চালিয়ে, পাকিস্তানের পারমাণবিক স্থাপনার ওপর তাদের হামলার সম্ভাবনাকে প্রকাশ করেছে। পাকিস্তানের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র থাকার অর্থহচ্ছে ইসরাঈলের নিরাপত্তা বিপন্ন। ইসরাঈলের এ সমীকরণকে মার্কিন প্রতিরক্ষা পররাষ্ট্র বিভাগ গুরুত্ব দিচ্ছে। পাকিস্তানের ভূট্টো পরিবারের শেষ উত্তরাধিকারী বেনজীর ভূট্টো বলেছেন, নওয়াজ শরীফ ক্ষমতায় থাকলে পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহারের আশংকা রয়েছে। সুতরাং এ বিপদ এড়াতে পাকিস্তানে একটি জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে। দ্বিতীয়ত : বেনজির ভুট্টো বলেছেন, পাক সেনাবাহিনীর কট্টর ইসলামী অংশ সেখানে একটি সামরিক অভ্যূত্থান ঘটিয়ে বসতে পারে। বেনজীর ভূট্টো তালেবানদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। নওয়াজ শরীফের ইসলামী আইন প্রবর্তনকে তিনি পাকিস্তানকে তালেবান রাষ্ট্র বানানোর সাথে তুলনা করেছেন। পাকিস্তানের পারমাণবিক স্থাপনার ওপর হামলাসহ পাকিস্তানের ক্ষমতার দৃশ্যপটে বাইরের ইন্দনে পরিবর্তন আনয়নের লক্ষে বেনজীর ‘ওয়াচডগ' হিসেবে কাজ করছেন। এ মহিলা যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধির সাথে ইসলামাবাদে কোনো সাহায্যকারী ছাড়াই একান্ত আলাপচারিতার সময় ভারতীয় পাঞ্জাবের স্বাধীনতাকামী শীর্ষ ব্যক্তির তালিকা হস্তান্তর করেছিলেন বলে জানা গেছে। আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ইরান, মধ্য এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য একই অপশক্তির টোপের মুখে। ইহুদীবাদী অপশক্তির ঘনিষ্ঠতা পরিস্থিতিকে আরও নাজুক করবে। পাকিস্তানের ওপর হামলা চালানো এবং পাকিস্তানের আভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ করার অজুহাত বের করাই এখন ইহুদীবাদ নিয়ন্ত্রিত মার্কিন ভূমণ্ডলীয় রাজনীতির লক্ষ্য। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের পারিবারিক জীবনে ইহুদীবাদী কালো থাবা বিস্তৃত। মিঃ ক্লিনটনের ১৯জন


রক্ষিতার মধ্যে ১৪ জনই ইহুদী । মনিকার মা-ও অভিজাত ইহুদী দেহপসারিনী । মেয়েকে শিকার ধরার কাজে তিনি ব্যবহার করেছেন। আর এ পুরো ব্যাপারটিই ইহুদীবাদী বাঁদরামী ও নীতিভ্রষ্ট দুরাচারের সাথে সম্পৃক্ত। মনিকার ব্যবহৃত বস্ত্রের সংরক্ষণ ও তার রাসায়নিক পরীক্ষা কিংবা পেন্টাগনের জনৈকা মহিলা কর্মকর্তার মনিকার কথোপকথনের টেপ নিরপেক্ষ কৌসুলীর কাছে হস্তান্তর-বিশ্লেষণ করলে পুরো বিষয়টিকেই মনে হবে পরিকল্পিত। ইহুদীবাদী চক্র মিঃ ক্লিনটনের যৌন শিকারগ্রস্তকে কাজে লাগিয়েছে। সমকামীদের পক্ষে কিংবা গর্ভপাতের পক্ষে অবস্থান গ্রহণকারী একজন নীতিভ্রষ্ট প্রেসিডেন্টের পক্ষে ভাল কোনো নৈতিকতা উপহার দেয়া সম্ভব নয়। মার্কিন প্রেসিডেন্টকে সেকস্ স্ক্যাণ্ডালে কাবু করে আগ্রাসী প্রতিরক্ষানীতি গ্রহণে মিঃ ক্লিনটনকে বাধ্য করা তাকে হাতের মুঠোয় রাখার এ কৌশলে ইহুদীবাদী চক্র জয়ী হয়েছে। মিঃ ক্লিনটনকে ছুটিতে থাকাকালেই হোয়াইট হাউসে ফিরে এসে সুদান- আফগানিস্তানের হামলার নির্দেশ দিতে হয়েছিলো। এ কারণে তিনি পার পেয়ে যাবেন।
হোয়াইট হাউস প্রশাসন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্টসী কত ভয়াবহভাবে ইহুদীদের দ্বারা বন্দী, তার একটা খতিয়ান দেয়া যেতে পারে। মার্কিন সরকার ব্যবস্থায় ইহুদীদের প্রভাব কেন এত অপ্রতিহত, এ পরিসংখ্যান দেখে তা কিছুটা আঁচ করা যাবে ; ইহুদীরা তাদের ধন-দৌলত মেধা-মনন, প্রযুক্তি, শঠতা সবকিছু নিয়েই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অঘোষিত ইহুদী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।


ক্লিনটন ক্যাবিনেট ও হোয়াইট হাউসে ইয়াহুদী ষ্টাফ : খতিয়ান
পদবী :
নাম
মেডেলিন অলব্রাইট
রবার্ট রুবিন
উইলিয়াম কোহেন
ডান গ্লিকম্যান
জর্জ টেনেট
স্যামুয়েল বার্জার
ইভেলিন লিভার ষ্ট্যাট ট্যুয়ার্ট আইজেন ষ্ট্যাট চারলেন বারসেফঙ্কী সুসান থমাসেন
জোয়েল ক্লেইন
গেনে স্পারলিং
ইরা ম্যানজাইনার
পিটার টারনফ
এলাইস রিভলিন
জেনেট ইয়েলেন
নরহাম ইমানুয়েল
ডুয়াগ সুসনিক
জিম ষ্টেইনবার্গ
জে ফুটলিক
রবার্ট ন্যাশ
জেন শেরব্রুন
মার্ক পেজ
সেক্রেটারী অব ষ্টেট
সেক্রেটারী অব ট্রেজারী
সেক্রেটারী অব ডিফেন্স
সেক্রেটারী অব এগ্রিকালচার সি. আই. এ. প্রধান
ন্যাশনাল সিকিউরিটি প্রধান ডেপুটি চীফ অব ষ্টাফ আণ্ডার সেক্রেটারী ষ্টেট ইউ. এস. বাণিজ্য প্রতিনিধি ফার্স্ট লেডির সহকারী
সহঃ এটর্নী জেনারেল
ন্যাশনাল ইকোনমিক কাউন্সিল
ন্যাশনাল হেল্থ কেয়ার
ডেপুটি সেক্রেটারী ষ্টেট
ইকোনমিক এডভাইজার
চেয়ারম্যান, ন্যাশনাল ইকোনমিক কাউন্সিল
পলিসি এডভাইজার কাউন্সিল টু প্রেসিডেন্ট
ডেপুটি টু, ন্যাশনাল' সিকিউরিটি চীপ
স্পেশাল লিয়াজো, ইয়াহুদী
সম্প্রদায়
পারসোন্যাল চীপ
প্রেসিডেন্টের আইনজীবি
এশিয়া এক্সপার্ট এন.ই.সি.

স্যানডি ক্লিস্টফ
রবার্ট বুরষ্টিন
জেফ এলার
টম এপস্টিইন
সুডিথ ফেদ্রার
রিচার্ড ফিয়েন বার্গ
হারশেল সোবার
স্টীভ কেসলার রোন কেলিন
মেডেলিন কুনিন
ডেভিট কুসনেট মারগারেট হ্যামবার্গ
ম্যানি গ্রুনওয়াও
কারেন এডলার স্যায়য়েল লিউইস
স্টানলী রোজ
ড্যান স্ক্যাফার
হেলথ কেয়ার চীফ
কম্যুনিকেশন এইড
স্পেশাল এসিষ্টাণ্ড টু ক্লিনটন
হেল্থ কেয়ার এডভাইজার ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল এসিষ্ট্যান্ট সেক্রেটারী ভেটারানস
ফুড এণ্ড ড্রাগ এডমিনিষ্ট্রেশন হোয়াইট হাউস কাউন্সিল
এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী শিক্ষা কম্যুনিকেশন এইড
ডেপুটিঃ এইড্স প্রোগ্রাম ডি. আই. আর. : প্রেস কনফারেন্স
লিয়ঁজো টু জুইশ লিভারস ডিআইআর : স্টেটডিপ পলিসি
ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল
ডাইরেক্টর পীস কোর
এলি সেগাল
ডেপুটি চীফ অব স্টাফ
বিশেষ দ্রষ্টব্য ঃ অন্য কোনো ধর্মীয় গোষ্ঠীর জন্য এ পদ নেই।
তথ্যসূত্র ঃ সোনার বাংলা সেপ্টেম্বর ১৯৯৯

ইসরাঈলের মহাপরিকল্পনা : মিসর থেকে ইরাক পর্যন্ত

প্রায় চৌত্রিশ বছর আগে আমেরিকার একজন প্রথম শ্রেণীর লেখক আমেরিকার মার্কারী ম্যাগাজিনের মাধ্যমে ওয়াশিংটন এবং মধ্যপ্রাচ্যের উপর আধিপত্যবাদী ইহুদীবাদের প্রভাবের হুমকি সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছিলেন। ১৯৬৭-এর আরব-ইসরাঈলী যুদ্ধে অধিকৃত এলাকার উপর ইসরাঈলের দাবি আরোপের কিছুদিন পর জন হেনশু এ নিবন্ধটি লেখেন। ১৯৬৮’র বসন্তে নিবন্ধটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছে।
ক্ষুদ্রাকৃতি প্রাণী থেকে বিশাল দানবে রূপান্তরকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ক্ষুদ্র ইসরাঈলের । জুদাইক-ইহুবীবাদী সম্প্রসারণপন্থীদের তাত্ত্বিক মহাপরিকল্পনা এই যে, ইউফ্রেতিসের তট থেকে নীল নদের তীর পর্যন্ত তেল সমৃদ্ধ সমস্ত এলাকা দখল করে নিতে হবে। ইহুদীবাদের লক্ষ্যসমূহ পরিষ্কার করার উদ্দেশ্যে হিব্রু বিশেষজ্ঞ লেভনক ওসমান কিছুদিন আগে বলেছেন, “মানব জাতির শ্রেষ্ঠ নৈতিক শিক্ষায় সমৃদ্ধ আমাদের শাশ্বত গ্রন্থে (তোরাহ) অসমান, বক্র সীমান্ত দ্বারা আবদ্ধ একটি দীর্ঘ, সংকীর্ণ স্থানরূপে ইসরাঈলকে চিহ্নিত করা হয়নি। ইসরাঈলকে দেখানো হয়েছে প্রশস্ত প্রাকৃতিক সীমানার রাষ্ট্র হিসেবে।”
ঈশ্বর ধর্মপিতা আব্রাহামকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এভাবে-'মিসরের নদী থেকে মহানদী ইউফ্রেতিস পর্যন্ত আমি তাদের জায়গা দিয়েছি, যেখানে তারা তাদের বীজ বপন করেছে (জেনেসিস ১৫ : ১৮) তাই এ ভবিষ্যৎ বাণী বাস্তবায়নের জন্য ইসরাঈলী রাষ্ট্রকে টিকে থাকতে হবে শুধুমাত্র বর্তমানের সীমানায় নয় ঐতিহাসিক আরো বিস্তৃত সীমানায়।
বর্তমান ইসরাঈল প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মঁশে দায়ান ১৯৫২ সালের দিকে ঘোষণা দিয়েছিলেন-
‘আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য ইসরাঈলী সাম্রাজ্য সৃষ্টি। এ লক্ষ্যে আমাদের কাজ হলো অগ্রসরমান নতুন যুদ্ধের জন্য ইসরাঈলী সামরিক বাহিনীকে প্রস্তুত করা।'
ব্রিটিশ ঐতিহাসিক আর্নল্ড জে, টয়েনবি ভার্সেলেই কনফারেন্সে ব্রিটিশ ডেলিগেশনের নিকটতম প্রাচ্য বিষয়ক পরামর্শদাতার ভূমিকা পালন করেছেন । গত বছর জুনে দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত নিবন্ধে ইহুদীবাদের লক্ষ্য সম্পর্কে এ
ভাষায় বলেছেন-
আমরা জুদার জীবন্ত প্রতিনিধি ইহুদী। সেই ১২টি গোত্রের একটি আমরা, যারা খ্রীস্টপূর্ব তেরো শতকে ফিলিস্তিনের অধিকাংশ জায়গা দখল করে নিয়েছিল । খ্রীস্টপূর্ব ৫৮৭-তে নেবুচানযর কর্তৃক নির্বাসনে যাওয়ার আগ পর্যন্ত সাত শতক ধরে জুদিয়াতে আমাদের বিজিত এলাকায় বসবাস করেছি। ৫০ বছরের কম সময়ের মধ্যে আমরা আবার ফিরে এসেছি এবং পুনরায় জুদিয়া দখল করেছি। ১৩৫ খ্রীস্টাব্দে রোমানদের হাতে বিতাড়িত হবার আগ পর্যন্ত পরবর্তী ৭৭৩ বছর জুদিয়ার কর্তৃত্ব আমাদের হাতে ছিল। ইসরাঈলের উপর আমাদের দাবি আমরা কখনই পরিহার করিনি । আমাদের সবসময় আশা ছিল, বিশ্বাস ছিল এবং আমরা ঘোষণা করেছি যে, এ ভূমি আমরা আবার পাবোই । এটা আমাদের জমি আমরা জোরের সাথেই দাবি জানাই । আবার ১৮৮৩ বছর পর ১৯১৮-তে আমরা ওখানে স্থাপনে সমর্থ হই। তারপর বিগত ৫০ বছর কঠোর পরিশ্রম, যোগ্যতা এবং সামরিক শৌর্যের মাধ্যমে আমরা আমাদের জাতীয় রাষ্ট্র ইসরাঈল গড়ে তুলেছি। আরব যারা আমাদের জায়গা থেকে আমাদের তাড়িয়ে দিতে চায় তিনবার তাদের আমরা প্রচণ্ড মারের সাথে পরাজিত করেছি।
অন্যান্য জনগণ এবং আমাদের পূর্বসূরিদের মতো আমরা আমাদের নিজস্ব রাষ্ট্র চাই আবার। রোমান সাম্রাজ্য কর্তৃক চার খ্রীস্টাব্দে খ্রীস্টান ধর্ম গ্রহণ করার পর থেকে আমরা আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ পাশ্চাত্য খ্রীস্টান প্রতিবেশীদের হাতে দণ্ডিত, নির্যাতিত হয়ে আসছি। সেই জন্য আমাদের নিজস্ব রাষ্ট্র প্রয়োজন ।
এ নির্যাতন রূপান্তরিত হয়েছে অভূতপূর্ব গণহত্যার অপরাধে। এ অপরাধ আমাদের জীবদ্দশায় সম্পাদিত হয় পাশ্চাত্যের জার্মান নামক এক ইউরোপীয় জনগোষ্ঠী দ্বারা । আমরা আরবদেরকে আমাদের বিরুদ্ধে ঐ গণহত্যার পুনরাবৃত্তি ঘটাতে দেবো না আমাদের নিজ ভূমিতে।
ছয় দিনের যুদ্ধে গণহত্যা
ক্ষমাপ্রার্থী টয়েনবি এ প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেলেন যে, ইহুদীরা এখন নিজেরাই গণহত্যায় লিপ্ত। গত গ্রীষ্মের ছয়দিনের যুদ্ধে ইসরাঈল প্রতিরক্ষামন্ত্রী মশে দায়ান ইসরাঈলের সিনাই অভিযানের কমাণ্ডার ইয়াসাহু গাভিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এ নির্দেশ ছিল দুর্ভাগা মিসরীয় সৈন্যদের সিনাই মরুভূমিতে নিয়ে যাবার, যেখানে তৃষ্ণা, ক্ষুধা এবং তাপে তারা মৃত্যুমুখে পতিত হবে। দিনের বেলা শুষ্ক সিনাই-এর তাপমাত্রা (১০০) একশত ডিগ্রীর উপরে উঠে। প্রায় দু সপ্তাহ ধরে হাজার হাজার দল বিচ্ছিন্ন মিসরীয় সৈন্য মরুপথের ঘূর্ণাবর্তে ঘুরে-ফিরে অবশেষে তাদের চলার পথে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে।

এ সময় সিনাই মরুভূমির ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়া গোয়েন্দা বিমানগুলোর নেয়া ছবি থেকে জানা যায় প্রায় ৫০ হাজার দল ভ্রষ্ট মিসরীয় সৈন্য মৃত অথবা মৃত্যুপথ যাত্রী হয়ে পড়ে আছে সিনাই মরুতে । দল বিচ্ছিন্নদের দেখামাত্র পানি ছিটানোর লক্ষ্যে পাটাতনের সাহায্যে পাঁচ গ্যালনের জেরী ক্যান দিয়ে ৬০ হাজার গ্যালন পানি উঠানো হয়েছে মার্কিন বিমান বহরে। কিন্তু জাতিসংঘের দূত আর্থার গোল্ডবার্গ এবং হোয়াইট হাউসের বিদেশ নীতি পরামর্শদাতা ওয়াল্ট রস্টের থেকে ফোন পেয়ে রবার্ট ম্যাকনামারা অনুকম্পার বারি বর্ষণ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
যুদ্ধবন্দীদের সাথে আচরণ প্রসঙ্গে জেনেভা কনভেনশনের প্রকাশ্য লংঘন গণহত্যার শামিল । একটি গোটা জাতিকে ধ্বংসের অভিপ্রায় সংঘটিত হয়েছিলো এ গণহত্যা ।
সিরিয়া এবং জর্ডানের যুদ্ধ এলাকা থেকে ফিরে আসা সংবাদপত্র রিপোর্টাররা রিপোর্ট করেছেন যে, ইসরাঈলী সৈন্যদের প্রতি একজন অচেনা বন্দুকধারী গুলী ছুড়ে নারী ও শিশুসহ পুরো গ্রামকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। নাপাম বোমা ফেলা হয়েছে ঘন ঘন ৷
এ পরিকল্পিত নির্মূলকরণ প্রক্রিয়া ইহুদীবাদের একটি আদর্শিক নীতি। গণহত্যার প্রথম সারির প্রবক্তা হলো উগ্র জাতীয়তাবাদী মঁশে দায়ান। যে মঁশে দায়ানকে ইহুদীরা শাস্ত্রে উল্লিখিত শুভ্র অশ্বারোহিত মেশিয়া হিসেবে প্রচার করেছে। ইউফ্রেতিস থেকে নীল নদ পর্যন্ত সম্প্রসারণবাদী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি জেনারেল ইজাক রবিন। অহঙ্কারী, গর্বিত, ইসরাঈলী জেনারেল স্ট্যাফের প্রধান জেনারেল ইজাক রবিন গত জুনে ছয় দিনের আকস্মিক আক্রমণের পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়ন করেছিলেন। ভূখণ্ড দখলের এবং শোষণের উচ্চাকাঙ্ক্ষী পরিকল্পনার ব্যাপ্তি কয়েক বছর ধরে কমপক্ষে কয়েকজন মার্কিন কৌশলবিদের নজরে আসে। এ লেখক স্মরণ করছে যে, কয়েক যুগ আগে সামরিক বাহিনীর একজন লেফটেন্যান্ট কর্নেল যিনি ওয়ার কলেজের ছাত্র ছিলেন ; গোপনে বলেছিলেন, তার কোনো কোনো শিক্ষক মনে করেন ইহুদীদের সম্প্রসারণবাদী নীতি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধকে উস্কে দেবে (ঘটনাক্রমে সেই সময়ের লেফটেন্যান্ট কর্নেল এখন ভিয়েতনামে কমাণ্ডিং জেনারেলদের অন্যতম)।
প্রতারণা, বিশ্বাসঘাতকতা এবং রক্তপাতের মাধ্যমে ইহুদীরা ষড়যন্ত্র করেছে জর্ডান এবং সিরিয়ার সম্পূর্ণ অংশ, ইরাকের অর্ধেক, সৌদি আরবের উল্লেখযোগ্য অংশ এবং নীল উপত্যকার তুলাসমৃদ্ধ অঞ্চল দখল করে নেবে। এরপর তেল স্থাপনাসহ এটা খুব সহজ হবে ইয়েমেন, এডেন, মাস্কাট, কাতার এবং ওমানকে দখল করে নেয়া । ইতিমধ্যে ইসরাঈল তার আণবিক শক্তি নির্মাণে অনেকটুকু এগিয়ে গেছে। ইহুদীদের পরিকল্পনার ধারাবাহিকতায় এক যুগের মধ্যে ইসরাঈলী সাম্রাজ্য মধ্যপ্রাচ্যের প্রভুতে পরিণত হবে। এছাড়া আণবিক শক্তি হিসেবে ইসরাঈলের অবস্থান থাকবে আমেরিকা এবং রাশিয়ার পাশাপাশি । আরব শেখদের পরিবর্তে ইসরাঈলী সামরিক দখলদারদের ডেভিড রকফেলারের স্টাণ্ডার্ড অয়েল কোম্পানী তার রয়ালটি প্রদান করবে।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]