ইহুদী বসতি রক্ষার অজুহাতে এখনও ফিলিস্তিনী এলাকায় ইসরাঈলী ট্যাংক

গাজা থেকে ইসরাঈলী বাহিনী প্রত্যাহারের পর ৩ বছরের মধ্যে এ প্রথম ফিলিস্তিনীরা সেখানকার প্রধান সড়কে মুক্তভাবে চলাফেরা করছেন। গাজা ভূখণ্ড এখন ফিলিস্তিনীদের নিয়ন্ত্রণে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। এ উপলক্ষে গাজার কোনো কোনো জায়গায় ফিলিস্তিনী ও ইসরাঈলী অধিনায়করা করমর্দন করেন । ইসরাঈলী সৈন্যরা তাদের চেকপয়েন্টগুলো ভেঙ্গে ফেলতে শুরু করেছে। গতকাল পশ্চিমতীরের উত্তরাঞ্চলে একটি চেকপয়েন্টে ইসরাঈলী সৈন্যদের গুলীতে একজন ফিলিস্তিনী যুবক নিহত হয়। এর আগে পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে ইহুদী বসতি স্থাপনকারীদের একটি ট্রাকে ফিলিস্তিনী সশস্ত্র গ্রুপ আল আকসা শহীদান ব্রিগেডের গুলীতে চালক নিহত হয় ।
গাজার অনেক স্থানে ইসরাঈলের ট্যাংক ও সাঁজোয়া যানগুলোকে মোতায়েন রাখা হয়েছে। ইহুদী বসতি স্থাপনকারীদের নিরাপত্তার অজুহাতে ইসরাঈলী বাহিনী এখনও গাজা ভূখণ্ডে অবস্থান করছে। যে কোনো ছলছুতায় আবারও আগ্রাসন চালানোর লক্ষ্যে এ ধরনের কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা অভিমত প্রকাশ করেছেন । ইসরাঈলী বাহিনী গতকাল একজন ফিলিস্তিনী যুবককে গুলী করে হত্যা করেছে। পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলে যুবকটি একটি ইসরাঈলী চেকপয়েন্ট লক্ষ্য করে পিস্তলের গুলী ছুঁড়লে ইসরাঈলী সৈন্যরা তাকে গুলী করে হত্যা করে ।
আজ (বুধবার) পশ্চিম তীরের বেথেলহেম থেকে ইসরাঈলী বাহিনী প্রত্যাহার করা হবে। গত সোমবার ইসরাঈলী ও ফিলিস্তিনী নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ইসরাঈলের বুলডোজারগুলো সে দেশের উত্তরাঞ্চলের মুসলিম প্রধান এলাকায় একটি মসজিদের ভিত্তি ভূমি ধ্বংস করা শুরু করেছে। নাজারেথে খৃস্টানদের একটি পবিত্র স্থানের কাছে মসজিদটি অবস্থিত। ইসরাঈলের একটি আদালত ওই স্থানে মসজিদ নির্মাণের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
গত মঙ্গলবার ভোরে এলাকার অধিকাংশ মুসলিম যখন নিদ্রামগ্ন ছিলেন সে সময় ইসরাঈলের শত শত পুলিশ এলাকাটি ঘিরে ফেলে এবং মসজিদ ভাঙ্গার কাজ শুরু করে। এ সময় মুসলমানরা প্রতিবাদ জানালে তাদের ৭জনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ শত শত বিক্ষুব্ধ মুসলিমকে ওই স্থান থেকে বিতাড়িত করে ।
নাজারেথ শহরের সংখ্যাগরিষ্ঠ অধিবাসী মুসলিম। তারা মসজিদ ভাঙ্গার সরকারী তৎপরতার তীব্র নিন্দা করেছে ।
সম্প্রতি ইসরাঈলী ও বিদেশী পর্যটকদের জন্য পুনরায় টেম্পল মাউন্ট এলাকা থেকে হারাম আল-শরীফ পরিদর্শন সম্মতি দেয়া হয়েছে। ২০০০ সালের সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনীদের ইন্তিফাদা ছড়িয়ে পড়ার পর প্রথমবারের মতো এ পদক্ষেপ নেয়া হয়। গত সোমবার সামরিক বাহিনী পরিচালিত রেডিও একথা জানায় ।
রেডিওর খবরে বলা হয়, গত কয়েক সপ্তাহে প্রায় ২০টি গ্রুপকে টেম্পল মাউন্ট অথবা হারাম-আল-শরীফ পরিদর্শনের অনুমতি দেয়া হয়। ফিলিস্তিনী সশস্ত্র গ্রুপগুলোর অস্ত্র বিরতি এবং আংশিক ইসরাঈলী প্রত্যাহারের প্রতি বিভিন্ন দেশের সরকারী নেতৃবৃন্দ অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, এটা আশাব্যঞ্জক যে, ওই অঞ্চলের মারাত্মক সংঘাতের অবসান ঘটতে পারে ।
হোয়াইট হাউস বলেছে, মধ্যপ্রাচ্যের পারস্পরিক আস্থা সৃষ্টির পদক্ষেপের প্রেক্ষিতে শান্তির নবযুগের সূচনা সম্পর্কে তারা আশাবাদী। তবে হোয়াইট হাউস আবারও ফিলিস্তিনী সশস্ত্র গ্রুপগুলোকে বিলুপ্ত করার জোর দাবী করেছে। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র আরি ফ্রেইশ্চার বলেন, আমরা এখন এক নতুন যুগে প্রবেশ করেছি, এটা আশাব্যঞ্জক। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইগোর ইভানোভ এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কলিন পাওয়েল বলেন, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্য ‘রোডম্যাপ' শান্তি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রাখবে ।
জাতিসংঘ মহাসচিব কফি আনান বলেন, মধ্যপ্রাচ্য সহিংসতার মারাত্মক চক্র ছিন্ন করার ক্ষেত্রে এসব পদক্ষেপ যাতে কার্যকর হয় তা নিশ্চিত করতে সকল পক্ষকে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাতে হবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন সৈন্য প্রত্যাহারের ইসরাঈলী সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। । কায়রোতে আরব লীগের একজন মুখপাত্র বলেন, ফিলিস্তিনীরা 'রোডম্যাপ' শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে সত্যিকার অর্থেই আগ্রহী এটা অস্ত্র বিরতি চুক্তি থেকে প্রমাণিত হয়। আরব লীগ ফিলিস্তিনী ও আরব উদ্যোগের প্রতি ইতিবাচক সাড়া দেবার জন্য ইসরাঈলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। ইরান বলেছে, তারা অস্ত্র বিরতি ঘোষণার ফিলিস্তিনী সিদ্ধান্তকে সম্মান করে। তবে যতদিন ইসরাঈলী প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল শ্যারন ক্ষমতায় থাকবেন ততদিন দীর্ঘ মেয়াদী শান্তি প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে তাদের সন্দেহ রয়েছে। ইরানী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হামিদ রেজা আসেফি বলেন, এ ব্যাপারে ফিলিস্তিনীরাই
ভালো বলতে পারেন। তবে শ্যারন ক্ষমতায় থাকাকালে মধ্যপ্রাচ্যে ফিলিস্তিনীদের সাথে ইসরাঈলের সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন আশ করা যায় না ।

মার্কিন শান্তিকর্মীকে জীবন্ত মাটি চাপা দিয়েছে ইহুদী বুলডোজার

বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে মধ্যযুগীয় বর্বরতার পৃষ্ঠপোষক আমেরিকার আজ্ঞাবহ ও বন্ধু দেশ ইসরাঈল নিরস্ত্র ফিলিস্তিনীদের ওপর যে নগ্ন নৃশংসতা অব্যাহত রেখেছে তার অগণিত প্রমাণ সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিশ্বের মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে। গত মার্চে আমেরিকার একজন মহিলা শান্তিকর্মী গাজা উপত্যকায় অন্যায়ভাবে বুলডোজার দিয়ে ফিলিস্তিনীদের ঘরবাড়ী গুঁড়িয়ে দেয়ার সময় বাধা দিতে গেলে ইসরাঈলী সেনা বুলডোজার তাকে জীবন্ত মাটি চাপা দেয় । ওয়াশিংটনের অধিবাসী ২৩ বছর বয়সী রাসেল কোরি রাফা উদ্বাস্তু শিবিরে একজন ডাক্তারের বাড়ী ভাঙায় বাধা দিতে গিয়েছিলেন । জীবন দিয়েও কোরি সেই ডাক্তারের বাড়ী রক্ষা করতে পারেননি । ইন্টারন্যাশনাল সলিডারিটি মুভমেন্ট বলেছেন, ইসরাঈলী সেনাবাহিনীর এ জঘন্য কর্মে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই, কারণ তাদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে তাদের নিজেদের লোকজনকে রক্ষা করা। সেখানে ন্যায়-অন্যায় সত্য-মিথ্যা বলে কিছু নেই ।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]