হাদীসের আভিধানিক ও পরিভাষাগত অর্থ লিখুন। হাদীস ও সুন্নাহ কি অভিন্ন শব্দ ? মাওকুফ ও মাক্তু হাদীস হাদীসে মাশহুর ও হাদীসে গারীব

আল-হাদীস : পরিচিতি ও বিষয়বস্তু
ইসলামী জীবন দর্শনের মৌল ভিত্তি হচ্ছে আল-কুআ’আন ও আল-হাদীস। কুরআন জীবন বিধানের মৌলিক নীতিমালা
উপস্থাপন করেছে; আর হাদীস সেই মৌলনীতির আলোকে তার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ, প্রয়োগ ও রূপায়ন করেছে। তাই
হাদীস হচ্ছে কুরআনের নির্ভুল ব্যাখ্যার সহায়ক, কুরআনের বাহক বিশ্বনবীর (স) পবিত্র জীবনচরিত, কর্মনীতি ও
আদর্শ তথা তাঁর কাজ, হিদায়াত ও উপদেশাবলীর বিস্তৃত উপস্থাপনা। আল-কুরআনের ভাষায়-
وَ مَا یَنطِقُ عَنِ ٱلْھَوَ ىٰ إ ِنْ ھُوَ إ ِلا َّ وَ حْيٌ یُوحَىٰ
“এবং সে মনগড়া কথা বলে না, এতো ওহী, যা তার প্রতি প্রত্যাদেশ হয়” (সূরা আন-নাজম : ৩-৪)
সুতরাং কুরআন ইসলামের প্রদ্বীপ স্তম্ভ, হাদীস তার বিচ্ছুরিত আলোকচ্ছটা। ইসলামী জ্ঞান-বিজ্ঞানে কুরআন যেন
হৃৎপিন্ড আর হাদীস সে হৃৎপিন্ডের সংযুক্ত ধমনী। অতএব ইসলামী জীবন-দর্শনে কুরআনের সাথ সাথে এর অপরিসীম
গুরুত্ব অনস্বীকার্য। একটিকে বাদ দিলে অপরটির কোন অস্তিত্বই থাকে না। এ অপসিমীম গুরুত্বের প্রতি দৃষ্টিপাত করে
প্রথম থেকেই মহানবীর (স) প্রতিটি বাণী, কথা, কাজ, আচরণ ও জীবনের যাবতীয় তৎপরতা অতি সুনিপুণভাবে সংরক্ষিত আকারে বর্তমান পর্যন্তএসেছে। হাদীসের আভিধানিক পরিচয়
আভিধানিক দৃষ্টিকোণ থেকে শব্দটির বিশ্লেষণ নি¤œরূপ: حدیث শব্দটি فعیل-এর ওযনে حدیث এটি বাবে
تفعیلথেে ক গঠিত। মূলধাতু ث-د- ح- এর আভিধানিক অর্থঃ নতুন, কথা, বাণী, সংবাদ, খবর, অস্তিত্বহীন
জিনিসের অস্তিত্ব লাভ, স্বপ্নকালীন কথা, ব্যাপার, বিষয় ইত্যাদি। এটি قدیم- এর বিপরীতার্থক শব্দ।
পারিভাষিক পরিচয়
পারিভাষিক দৃষ্টিকোণ থেকে সাধারণভাবে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স)-এর বাণী ও কাজ কিংবা কথা ও কাজের সমর্থন
ও অনুমোদন ইসলামী শরী’আতে হাদীস নামে অভিহিত।
ইমাম সাখাভীর মতে হাদীস হচ্ছে-
قول رسول اللھ (صلعم) وفعلھ وتقریره وصفتھ حتى الحركات وألسكنات فى
الیقظة والنوم
“হাদীস বলতে বুঝায় রাসূলের (স) বাণী, কাজ, সমর্থন, অনুমোদন এবং তার গুণ; এমনকি জাগরণ ও নিদ্রাবস্থায় তাঁর
গতিবিধিও এর অন্তর্ভুক্ত।” পরবর্তীকালে সাহাবী ও তাবিঈদের কথা, কাজ ও সমর্থনকে ও হাদীস বলা হতো।
মহানবী (স), সাহাবা, তাবি’ঈ এবং তাবি তাবি’ঈন (র)-এর কথা কাজ ও সমর্থনের বিবরণকে যদিও হাদীস বলা হয়,
তবে শরী’আতের দৃষ্টিকোণ থেকে এদের মর্যাদার পার্থক্য রয়েছে। আর তাই এর প্রত্যেকটির জন্য আলাদা পরিভাষা
রয়েছে। যথা নবীর (স) বাণী, কাজ ও সমর্থনকে বলা হয় হাদীস। সাহাবার কথা, কাজ ও সমর্থনকে বলা হয় আছার’
এবং তাবি’ঈ ও তাবি তাবি’ঈন -এর কথা, কাজ ও সমর্থনের বিবরণকে বলা হয় ‘ফাতওয়া’। এ তিন শ্রেণীর হাদীসের
জন্য স্বতন্ত্র পারিভাষিক নাম ও রয়েছে। যথাক্রমে মারফূ’, মাওকুফ এবং মাকতূ’। সুতরাং হাদীস মহানবী (স)-এর
ক্ষেত্রেই বিশেষভাবে প্রযোজ্য ও তাঁরই সাথে সম্পর্কিত।
হাদীস ও সুন্নাত কি সমার্থক
হাদীসের অপর এক নাম হচ্ছে সুন্নাত। সুন্নাত শব্দের অর্থ হলো ঃ চলার পথ, কর্মের নীতি ও পদ্ধতি।
ইমাম রাগিব বলেন, یتحراھا التى طریقتھ) ص (النبى وسنة“সুন্নাতুন্নবী বলতে সে রীতি ও
পদ্ধতিকে বুঝায় যা নবী কারীম (স) বাছাই করে নিতেন ও অবলম্বন করে চলতেন।” ইহা কখনো কখনো হাদীস
শব্দের সমার্থকরূপে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আল-কুরআনে যাকে حسنة اسوة মহোত্তম আদর্শ বলা হয়েছে, তাকেই
সুন্নাত বলা হয়। এ কারণে মুহাদ্দিসগণ বিশেষ করে মুতাআখ্খিরীন মুহাদ্দিসগণ হাদীস ও সুন্নাতকে একই অর্থে ব্যবহার
করে থাকেন। সুন্নাত শব্দটি সম্পূর্ণরূপে ও সর্বতোভাবে হাদীস শব্দের সমার্থক না হলেও বর্তমানে উভয়কে প্রায় একই
অর্থে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
হাদীসের প্রকারভেদ
প্রকৃতপক্ষে হাদীস দু’ প্রকার। ১. সহীহ (বিশুদ্ধ), ২. যঈফ (দুর্বল)। মওজু (জাল) হাদীসকে হাদীস বলা উচিৎ নয়।
তবে মুহাদ্দিসগণ বর্ণনাকারী, বর্ণনাকারীর অবস্থা, সংখ্যা ও ধারাবাহিকতার আলোকে হাদীসকে বিভিন্ন প্রকারে ভাগ
করেছেন। এবার আমরা সে সম্পর্কে আলোচনা করব।
 সহীহ (বিশুদ্ধ)
যে হাদীসের বর্ণনাকারীদের ধারাবাহিকতায় প্রতিটি স্তরে সকল রাবী عادل) আদেল) ও পরিপূর্ণ ضابط) যাবেত)
হবেন। আদেল শব্দের অর্থ-পরিপূর্ণ ন্যায়নিষ্ঠ ও উত্তম গুণাবলী সম্পন্ন এবং যাবেত শব্দের অর্থ-পূর্ণ স্মরণশক্তি সম্পন্ন।
বর্ণনা পরম্পরায় (السند اتصال- (এর অব্যাহত ধারাবাহিকতা থাকবে এবং হাদীসটি شاذ) শায) ও معلل
(মুআল্লাল) হবে না, তাকে সহীহ (صحیح (হাদীস বলে।
 হাসান (উত্তম)
যে হাদীসের বর্ণনাকারীদের ধারাবাহিকতায় সকল রাবী عادل) আদেল) হবেন। বর্ণনা পরস্পরায় অব্যাহত
ধারাবাহিকতা থাকবে এবং হাদীসটি شاذ) শায) ও معلل) মুআল্লাল) হবে না। তবে কোন রাবী যদি ضابط
(যাবেত) হওয়ার ক্ষেত্রে অপরিপূর্ণ হন তা হলে তাকে হাসান (حسن (হাদীস বলে।
 যঈফ (দুর্বল)
যে হাদীসে সহীহ ও হাসান হাদীসের সংজ্ঞায় বর্ণিত বৈশিষ্ট্য পাওয়া না যায়, তাকে যঈফ (ضعیف (হাদীস বলে।
 মাওজু (জাল)
মিথ্যাবাদীগণ রচিত জাল হাদীস, যা রাসূলুল্লাহ (স) হাদীস বলে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাকে মাওজু (موضوع(
হাদীস বলে।
সারকথা
মনে রাখবেন সহীহ, হাসান ও যঈফ হাদীসের প্রকরণে নিæবর্ণিত চারটি বৈশিষ্ট্য লক্ষণীয় ঃ
১. রাবীগণ আদেল তথা পরিপূর্ণ ন্যায়-নিষ্ঠ ও উত্তম গুণাবলী সম্পন্ন হবেন।
২. রাবীগণ যাবেত তথা পূর্ণ স্মরণশক্তি সম্পন্ন হবেন।
৩. বর্ণনা পরম্পরা অব্যাহত থাকবে।
৪. হাদীস দুর্বল হওয়ার কোন কারণ পাওয়া যাবে না।
এ চারটি বৈশিষ্ট্যের কোন একটির অনুপস্থিতি হাদীসকে যঈফে পরিণত করে।
 শায (ব্যতিক্রম)
যে হাদীস কোন ثقة) নির্ভরযোগ্য) রাবী হতে বর্ণিত হয়েছে বটে, তবে তা অন্যান্য নির্ভরযোগ্য রাবীগণ বর্ণিত
হাদীসের পরিপন্থী, তাকে শায (شاذ (হাদীস বলে।
 মুআল্লাল (ত্রæটিযুক্ত)
যে হাদীসে এমন কোন গোপন কারণের উপস্থিতি ঘটে যা হাদীসকে ত্রæটিযুক্ত করে দেয়, তাকে মুআল্লাল (معلل(
হাদীস বলে।
বর্ণনাকারীর ভিত্তিতে হাদীসের প্রকরণ
 কুদসী
যে হাদীসের ভাষা ও ভাব মহান আল্লাহর, তবে তা নবী (সা) নিজ ভাষায় তা বর্ণনা করেছেন এরূপ হাদীসকে হাদীসে
কুদসী বলে।
 মাওকূফ
যে হাদীসের বর্ণনাকারীদের ধারাবাহিকতা কোন তাবেঈ পর্যন্তগিয়ে পৌছেছে এবং যিনি সাহাবী থেকে হাদীসটি বর্ণনা
করেছেন বলে প্রমাণিত হয়েছে তাকে মাওকূফ (مرفوع (হাদীস বলে।
 মাকতূ
যে হাদীসের বর্ণনাকারীদের ধারাবাহিকতা কোন তাবয়ে তাবেঈ পর্যন্তগিয়ে পৌঁছেছে এবং যিনি তাবেঈ থেকে হাদীসটি
বর্ণনা করেছেন বলে প্রমাণিত হয়েছে, তাকে মাক্তূ (مقطوع (হাদীস বলে।
মনে রাখবেন, এখানে সনদ তথা বর্ণনা পরম্পরা বা ধারাবাহিকতা ঠিক রেখে সর্বশেষে বর্ণনাকারী কে সেটাই বিবেচ্য।
বর্ণনাকরীর সংখ্যার ভিত্তিতে হাদীসের প্রকরণ
 মুতাওয়াতির
প্রথম রাবী থেকে সর্বশেষ রাবী তথা সাহাবী পর্যন্তপ্রতিটি স্তরে রাবীর সংখ্যা নয়ের অধিক হলে তাকে মুতাওয়াতির
(متواتر (হাদীস বলে। মতান্তরে প্রথম রাবী থেকে সর্বশেষ রাবী পর্যন্তপ্রতিটি স্তরে রাবীর সংখ্যা এত অধিক হবে
যে, যাদের অসত্য বক্তব্যে ঐকমত্য হওয়াটা অসম্ভব।
 মাশহূর
প্রথম রাবী (গ্রন্থ প্রণেতা) থেকে সর্বশেষ রাবী তথা সাহাবী পর্যন্তপ্রতিটি স্তরে রাবীর সংখ্যা কমপক্ষে তিন, উর্ধ্বে নয়
জন হলে তাকে মাশহূর (مشھور (হাদীস বলে। কারো কারো মতে মাশহূর হাদীসকে মুস্তাফীয হাদীসও
(مستفیض (বলা হয়।
 আযীয
প্রথম রাবী তথা গ্রন্থ প্রণেতা থেকে সর্বশেষ রাবী তথা সাহাবী পর্যন্তপ্রতিটি স্তরে রাবীর সংখ্যা কমপক্ষে দুই হলে তাকে
আযীয (عزیز (হাদীস বলে।
 গারীব
প্রথম রাবী তথা গ্রন্থ প্রণেতা থেকে সর্বশেষ রাবী তথা সাহাবী পর্যন্তযে কোন স্তরে রাবীর সংখ্যা এক হলে তাকে গারীব
(غریب (হাদীস বলে। উল্লেখ্য, মুতাওয়াতির ব্যতীত বাকী সকল হাদীকে احاد خبر) খবরে আহাদ) এবং
এককভাবে একটি হাদীসকে واحد خبر) খবরে ওয়াহিদ) বলে।
মনে রাখবেন, এখানে সনদ ঠিক রেখে রাবী তথা বর্ণনাকারীগণের প্রতিটি স্তরে বর্ণনাকারীর সংখ্যা কত, সেটাই
বিবেচ্য।
বর্ণনাকারীর ধারাবাহিকতার ভিত্তিতে হাদীসের প্রকরণ
 মুরসাল
যে হাদীসের সনদে সর্বশেষ রাবী তথা সাহাবীর নাম বাদ পড়েছে এবং তাবেঈ স্বয়ং মহানবী (স) থেকে রেওয়ায়াত
করেছেন তাকে মুরসাল (مرسل (হাদীস বলে।
 মু‘দাল
যে হাদীসের বর্ণনাকারীদের ধারাবাহিকতায় পরপর দু’জন রাবী তথা তাবেঈ ও তাবে তাবেঈর নাম বাদ পড়েছে এবং
দ্বিতীয় রাবী স্বয়ং সাহাবার মাধ্যমে মহানবী (স) থেকে রেওয়ায়াত করেছেন, তাকে হাদীসে মু‘দাল (معضل(
বলে।
 মুনকাতে
যে হাদীসের বর্ণনাকারীদের ধারাবাহিকতায় কোন রাবী তথা তাবেঈর নাম বাদ পড়েছে এবং তাবে তাবেঈ স্বয়ং
সাহাবার মাধ্যমে মহানবী (স) থেকে রেওয়ায়াত করেছেন, তাকে হাদীসে মুনকাতে (منقطع (বলে।
 মুআল্লাক
যে হাদীসের বর্ণনাকারীরে ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয় রাবীর নাম বাদ পড়েছে এবং প্রথম তথা গ্রন্থ প্রণেতা স্বয়ং তাবে
তাবেঈ, তাবেঈ এবং সাহাবার মাধ্যমে মহানবী (স) থেকে রেওয়ায়াত করেছেন, তাকে মুআল্লাক (معلق (হাদীস বলে।
মনে রাখবেন, এখানে রাবী তথা বর্ণনবাকারীগণের ধারাবাহিকতা কোথায় ভঙ্গ হল, সেটাই বিবেচ্য।
সারকথা
হাদীসের অর্থ কথা-বাণী ও নতুন বিষয়। পরিভাষায় হযরত মুহাম্মদ (স)-এর কথা, কাজ ও
সমর্থনকে হাদীস বলা হয়। অনুরূপভাবে সাহাবীদের কথা, কাজ ও সমর্থনকে ‘আছার’ বলে। আর
তাবেঈগণের কথা, কাজ ও সমর্থনকে ‘ফাতাওয়া’ বলে।
হাদীস ও সুন্নাত প্রায় সমার্থবোধক। বর্ণনাকারীর ধারাবাহিকতা ও সংখ্যা এবং বিশ্বস্ততার দিক
থেকে হাদীসকে বিভিন্নভাবে নামকরণ করা হয়ে থাকে। এগুলোর মধ্যে সহীহ, মুতাওয়াতির ও
খবরে ওয়াহেদ হাদীসের গ্রহণযোগ্যতা ও মর্যাদা বেশি।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন
নৈর্ব্যক্তিক উত্তর-প্রশ্ন
সঠিক উত্তরে টিক চিহ্ন দিন
১. সাহাবীদের কথাকে কী বলা হয় ?
ক. হাদীস খ. আছার
গ. ফাতাওয়া ঘ. রিওয়ায়াত
২. মুহাদ্দিসগণ মৌলিকভাবে হাদীসকে কয়টি স্তরে বিভক্ত করেছেন ?
ক. ৪ টি খ. ৬ টি
গ. ৩ টি ঘ. ৫ টি
৩. সহীহ, হাসান ও যঈফ হাদীসের প্রকরণে কয়টি বৈশিষ্ট্য আছেক. ৫ টি খ. ৪ টি
গ. ৩ টি ঘ. ৬ টি
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের উত্তর ঃ ১. খ, ২. ক, ৩. খ
সংক্ষিপ্ত উত্তর-প্রশ্ন
১. হাদীসের আভিধানিক ও পরিভাষাগত অর্থ লিখুন।
২. হাদীস ও সুন্নাহ কি অভিন্ন শব্দ ?
৩. মাওকুফ ও মাক্তু হাদীসের পরিচয় দিন।
৪. হাদীসে মাশহুর ও হাদীসে গারীব বলতে কী বুঝায়?
বিশদ উত্তর-প্রশ্ন
১. হাদীসের শ্রেণি বিভাগ আলোচনা করুন।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]