আল-কুরআনের নামকরণের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করুন।

আল-কুরআনের নামসমূহ
আল-কুরআনের প্রসিদ্ধ দু’টো নাম হচ্ছে আল-কুরআন ও আল-ফুরকান। এ ছাড়াও কুরআনের গুণবাচক অনেক নামের
উল্লেখ দেখা যায়। কুরআনেও বিভিন্ন স্থানে একে বিভিন্ন নামে অভিহিত করা হয়েছে। আল্লামা আবুল মা’আলী “আল
বুরহান” গ্রন্থে আল-কুরআনের ৫৫টি নাম উল্লেখ করেন। ‘ফাত্হুর রাহমান’ নামক কিতাবে কুরআনের ৯০টি নামের
উল্লেখ দেখা যায়। ইবনে জারীর আত-তাবারী পবিত্র কুরআনের প্রসিদ্ধ নাম চারটি বলে তাঁর তাফসীর গ্রন্থে উল্লেখ
করেন। আর তা হলক. আল-কুরআন,
খ. আল-ফুরকান,
গ. আল-কিতাব,
ঘ. আয-যিকর।
কুরআন মাজীদে ‘আল-কুরআন’ নামটি ৬১টি বার উল্লেখ আছে।
কুরআনের নামকরণের তাৎপর্য ও বিশ্লেষণ
হাফিয ইবনে হাজার আল-আসকালানী (র) বলেন, “আরববাসীগণ সাধারণত নিজেদের সাহিত্য কর্মের যেভাবে
নামকরণ করেন আল্লাহ তা‘আলা তাঁর কিতাবের নাম সে রূপ করেননি। আরবগণ তাদের সাহিত্য কর্মের সংকলন বা
সমষ্টিকে বলে থাকেন দীওয়ান। আরবগণ তাদের ‘দীওয়ানের’ অংশ বিশেষকে বলেন, কাসীদা (قصیدة ।(কিন্তু আলকুরআনের অংশ বিশেষের নামকরণ করা হয় -‘সূরা (سورة (হিসেবে। আরবরা ছোট বাক্যকে ‘বায়াত’ (بیت (বলে
কিন্তু কুরআনের বাক্যকে বলা হয় আয়াত (ایة ।(কি তাৎপর্য ও সাদৃশ্যের কারণে আল্লাহর এ কিতাবকে আল-কুরআন
নামকরণ করা হয়েছে এ বিষয়ে পন্ডিতগণের পক্ষ থেকে ব্যাখ্যা রয়েছে। প্রসিদ্ধ কয়েকটি ব্যাখ্যা হল১. আল্লামা তাকী উসমানী লিখেন, কুরআন নাযিলের সময় আরবের অবিশ্বাসীরা কুরআনের পবিত্র বাণী শুনতে চাইত
না। কুরআন তিলাওয়াতের সময় তারা নানারূপ হট্টগোল ও শোরগোল করত- যাতে কুরআনের মোহনীয় বাণী
তাদের কানে না পৌঁছে এবং বুঝতে না পারে। কাফিরদের এ হীন আচরণ ও আপত্তিকর ব্যবহারের জবাবে ‘আলকুরআন’ (পঠিত গ্রন্থ) নাম রেখে বুঝানো হচ্ছে- তোমরা যতই কুৎসিত আচরণ দ্বারা কুরআনের সুমহান বাণীকে
ঠেকাতে চাও না কেন, কিন্তু কিছুতেই তা পারবে না। পবিত্র এ কিতাব ‘পঠিত’ হওয়ার জন্যই নাযিল করা হয়েছে।
কিয়ামত পর্যন্ততা পঠিত হতেই থাকবে। সুতরাং দেখা যায়, আজ পর্যন্তসর্বজনবিদিত ও স্বীকৃত সত্য কথা হচ্ছে,
পৃথিবীতে একমাত্র কুরআনই সর্বাধিক পঠিত ও পঠিতব্য গ্রন্থ। (উলূমুল কুরআন ঃ তাকী উসমানী, পৃ. ২৪)
২. মাজদুদ্দীন ফিরূযাবাদী পবিত্র কুরআনের নামকরণের চারটি কারণ উল্লেখ করেছেন
(ক) এ গ্রন্থ বহু আয়াত ও সূরার সমষ্টি।
(খ) পূর্ববর্তী নবীগণের উপর নাযিলকৃত কিতাব ও সহীফাসমূহে যে সকল শিক্ষণীয় বিষয় বর্ণিত হয়েছিল, এ গ্রন্থে
তার সারসংক্ষেপ সন্নিবেশিত হয়েছে,
(গ) এ গ্রন্থে পূর্ববর্তী উম্মতগণের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অবস্থা ও ঘটনা আদেশ-নিষেধ, অঙ্গীকার এবং সতর্কীকরণ
ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় যথোচিতভাবে সন্নিবেশিত হয়েছে।
(ঘ) এ গ্রন্থ ভাষা বিশ্লষণের একটি শ্রেষ্ঠ সংকলন, তাই একে কুরআন নামকরণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য,
ফিরূযাবাদীর মতে কুরআন শব্দটি قرن) সংযুক্ত ও সন্নিবেশিত) থেকে গৃহীত।
৩. আবুল হাসান আশআরী (র) সহ বেশ কয়েকজন মনীষী বলেন, “আল-কুরআনের মধ্যে বিভিন্ন হরফ, আয়াত ও
সূরাকে মিলিয়ে পাঠ করা হয়, তাই একে কুরআন নামে অভিহিত করা হয়। এদের মতে কুরআন শব্দ قرن
(মিলিয়ে দেয়া) ধাতু হতে এসেছে।”
৪. বিখ্যাত ব্যাকরণবিদ ফারবার মতে, “যেহেতু কুরআনের আয়াতসমূহ একটি অপরটির সত্যতা প্রমাণকারী ও
সাদৃশ্যপূর্ণ, তাই একে কুরআন নামে আখ্যায়িত করা হয়। তাঁর মতে কুরআন- قرائن) পরস্পর সাদৃশ্যপূর্ণ জিনিস)
শব্দ থেকে এসেছে।”
৫. আল্লামা ইবনে কাসীর, ইমাম শাফিঈ (র) ও অন্যান্যদের মতে, ‘আল-কুরআন’ এ নামটি হযরত মুহাম্মদ (স)-এর
উপর নাযিল হওয়া সর্বশেষ আসমানী কিতাবের জন্যই একমাত্র নির্ধারিত ও সুনির্দিষ্ট নাম, যা অন্য কোন গ্রন্থের
ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা যাবে না।
৬. ইমাম রাগিব ইস্ফাহানী ‘কুরআন’ শব্দের এ নামকরণের তাৎপর্য বিশ্লেষণ প্রসঙ্গে বলেন, “আসমানী গ্রন্থের মধ্যে
বিশেষ করে এ কিতাবকেই কুরআন বলা হয়েছে এ জন্য যে, আসলে এ কিতাবেই অন্যান্য সকল আসমানী কিতাবে
বর্ণিত তথ্য ও বিষয়সমূহ একত্রে সন্নিবেশিত হয়েছে। সে সব গ্রন্থের শিক্ষা ও সার-নির্যাস এ পবিত্র গ্রন্থে রয়েছে।
মূলত বিশ্বের যাবতীয় জ্ঞান-বিজ্ঞান ও ইলম-বিদ্যারও সমাবেশ ঘটেছে এ কিতাবে।” (আল-মুফরাদাত, পৃ. ৪০২)
পবিত্র কুরআনে একথার সাক্ষ্য পাওয়া যায়-
وَ ل َـٰكِن تَصْدِیقَ ٱل َّذِى بَیْنَ یَدَیْھِ وَ تَفْصِ یلَ كُلِّ شَيْ ءٍ
“এ কুরআন পূর্ববর্তী সমস্তগ্রন্থে যা কিছু আছে তার সত্যায়ন করে এবং সকল বিষয়ের বিশদ বিবরণ দেয়।” (সূরা
ইউসুফ : ১১১)
وَ نَزَّ لْنَا عَل َیْكَ ٱلْكِتَابَ تِبْیَانا ً ل ِّ كُلِّ شَيْءٍ -ছয়েহে বলা রাআে নকেুরআ-আল
“আমি এ কিতাবকে তোমার প্রতি প্রত্যেক বিষয়ের স্পষ্ট ব্যাখ্যারূপে নাযিল করেছি।” (সূরা আন-নাহল : ৮৯)
তাফসীরকারগণ আরও উল্লেখ করেন যে, একে আল-কুরআন নামে এজন্য অভিহিত করা হয়েছে যে, তা পাঠ করা
হয় এবং বহু আয়াত ও সূরার সংকলন। তা ছাড়া এতে নানা জ্ঞান-বিজ্ঞান, বিভিন্ন ইতিবৃত্ত ও ঘটনা অনবদ্য
রীতিতে বর্ণনা করা হয়েছে।
আল-কুরআনের অন্যান্য নাম
আল-কুরআনের অন্যান্য প্রসিদ্ধ কয়েকটি নামের অর্থ ও তাৎপর্যসহ একটি একটি তালিকা নিæে দেয়া হলআল-ফুরকান- الفرقان) পার্থক্যকারী)
আল্লামা যারকানী (র) বলেন, ফুরকান শব্দের অর্থ হচ্ছে- ‘পার্থক্য ও প্রভেদকারী’। হক ও বাতিলের মধ্যে কুফর-শিরক
এবং তাওহীদের মধ্যে তথা সত্য ও মিথ্যার মধ্যে সুস্পষ্ট পার্থক্য বর্ণনাকারী হচ্ছে এ কুরআন। তাছাড়া সত্য-মিথ্যার
সীমারেখা ও মানদন্ড হচ্ছে এ কুরআন। এ কারণে কুরআনকে ফুরকান বলা হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন,
تَبَارَ كَ ٱل َّذِى نَزَّ لَ ٱل ْفُرْ قَانَ عَ ل َىٰ عَبْدِهِ لِیَكُونَ لِلْع َال َمِینَ نَذِیرا ً
“কতই না মহান তিনি, যিনি তাঁর বান্দার প্রতি ফুরকান নাযিল করেছেন, যাতে সে বিশ্ব জগতের জন্য সতর্ককারী হতে
পারে।” (সূরা আল-ফুরকান : ১)
আল-কিতাব- الكتاب) মহাগ্রন্থ)
কিতাব অর্থ সন্নিবেশিত। কুরআনে সকল বিষয় সন্নিবেশিত হয়েছে এবং এটা একটি সুলিখিত গ্রন্থ। তাই একে আলকিতাব বা মহাগ্রন্থ বলা হয়।
ذلِكَ ٱلْكِتَابُ لاَ رَ یْبَ فِیھِ ,লনবে আল্লাহ মহান
“এটা ঐ কিতাব যাতে কোন সন্দেহ নেই।” (সূরা আল-বাকারা : ২)
আয-যিকর- كر الذ§̄) ারক ও উপদেশ)
যিকর অর্থ স্মারক। এ গ্রন্থে বিভিন্ন আদেশ-উপদেশ এবং পূর্ববর্তী জাতিসমূহের অবস্থা উল্লেখ আছে, তাছাড়া মানুষকে
বিভিন্ন দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কাজেই কুরআন হলো বান্দার প্রতি আল্লাহর নির্দেশনামা।
وَ إ ِنَّھُ ل َذِكْرٌ ل َّكَ وَ لِقَوْ مِكَ ,লনবে আল্লাহ মহান
“নিশ্চয় কুরআন তোমার ও তোমার জাতির জন্য সদুপদেশ।” (সূরা আয-যুখরূফ : ৪৪)
وَ ھَـذَا ذِكْرٌ مُّبَارَ كٌ أ َنزَ لْنَاهُ ,লনবে আরও তাআলা আল্লাহ মহান
“এটা কল্যাণময় উপদেশ ও স্মারক, আমি যা নাযিল করেছি।” (সূরা আল-আম্বিয়া : ৫০)
আত্-তানযীল- یل التنز) অবতরণকৃত)
এ গ্রন্থ মহান আল্লাহর তরফ থেকে পথভোলা মানবজাতির জন্য সত্য পাথের দিশারীরূপে নাযিল হয়েছে। তাই একে
‘তানযীল’ বলা হয়। মহান আল্লাহ বলেন,
وَ إ ِنَّھُ ل َتَنزِ یلُ رَ بّ ِ ٱلْع َال َمِینَ -
“নিশ্চয় আল-কুরআন জগতসমূহের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে নাযিল হওয়া।” (সূরা আশ-শু‘আরা : ১৯২)
আল-কালাম الكلام) বাণী)
কালাম শব্দের অর্থ প্রভাবিত করা ও আকৃষ্ট করা তথা বাণী। কুরআন-শ্রবণকারীর হৃদয়-মনকে প্রভাবিত ও আকৃষ্ট করে
বলে একে ‘আল-কালাম’ বলা হয়।
মহান আল্লাহ বলেন, ِھЧٱلل ЙمЙلاЙك ЙعЙمОسЙی ىЧتЙح
“যাতে সে আল্লাহর বাণী শুনতে পায়।” (সূরা আত-তাওবা : ৬)
আল-হুদা- الھدى) দিশা)
এ নামকরণের কারণ হচ্ছে এটা সত্য পথের দিশারী ও প্রমাণ। যেমন আল্লাহর বাণী-
ھТدКى لПِلنЧاسِ وЙبЙیПِنЙاتٍ مПِنЙ ٱلО ھТدЙىС وЙٱلО فТرОقЙانِ
“এটা বিশ্ব মানবতার জন্য দিশারী। সৎপথের সুস্পষ্ট নির্দশন এবং সত্য-মিথ্যার মানদন্ড।” (সূরা আল-বাকারা : ১৮৫)
আন-নূর- النور)ে জ্যাতি-আলোকবর্তিকা)
এ জন্য বলা হয় যে, কুরআনের মাধ্যমে হালাল-হারামের রহস্য উদ্ভাসিত হয়, তাই একে ‘নূর’ বলা হয়। মহান আল্লাহ
বলেন,
وЙأЙنОزЙلО نЙآ إِلЙ یОكТمО نТوراК مЫبِیناК
“আমি তোমাদের প্রতি স্পষ্ট জ্যোতি নাযিল করেছি।” (সূরা আন-নিসা : ১৭৪)
আশ্-শিফা- الشفاء) প্রতিষেধক)
এ জন্য এ নাম রাখা হয়েছে যে, মানবাত্মার বিভিন্ন রোগ যেমন- কুফর-শিরক, নিফাক, মূর্খতা এমনকি দৈহিক
অলসতার রোগও এর দ্বারা সারানো যায়। তাই কুরআনকে ‘শিফা’ বলা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন,
وَ نُنَزِّ لُ مِنَ ٱل ْق ُرْ آنِ مَا ھُوَ شِفَآءٌ وَ رَ حْمَة ٌ ل ِّلْمُؤْمِنِینَ
“আমি নাযিল করি কুরআন, যা মু’মিনদের জন্য আরোগ্য ও রহমত স্বরূপ।” (সূরা বনী ইসরাইল : ৮২)
আল-মাসানী- المثانى) পুনরাবৃত্তি)
এ নামকরণের এক কারণ হচ্ছে- প্রাচীন মানবজাতির কাহিনী পুনরায় এতে বর্ণিত হয়েছে। অপর এক কারণ হচ্ছে- এ
গ্রন্থে ঘটনা এবং উপদেশকে বারবার স্মরণ করিয়ে দেয়ার জন্য পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে। কেউ কেউ ব্যাখ্যা দিয়েছেন যে,
এ নামের কারণ হচ্ছে কুরআন দু’বার নাযিল হয়েছে। একবার অর্থসহ, দ্বিতীয়বার অর্থ ও শব্দসহ। যেমন- আল্লাহর
বাণী-
Сى ЙولТٱلأِ فТحЫٱلص ىِف Йل اЙذСـЙھ Чنِإ“এ তো আছে পূর্ববর্তী গ্রন্থে।” (সূরা আল-আ‘লা :
১৮)
وَ ل َقَدْ آتَیْنَاكَ سَبْعا ً مِّنَ ٱلْمَث َانِى وَ ٱل ْق ُ رْ آنَ ٱلْع َظِ یمَ
“আমি তো তোমাকে দিয়েছি সাত আয়াত, যা পুনঃ পুনঃ আবৃত্ত হয় এবং দিয়েছি মহান কুরআন।” (সূরা আল-হিজর :
৮৭)
আস-সিরাতুল মুস্তাকীম المستقیم الصراط) সরল পথ)
কুরআনের অনুসরণ করলে সহজ ও সরলপথ পাওয়া যায় এবং জান্নাত লাভ করা যায়। এ কারণে একে জান্নাতের সরল
পথ বলা হয়েছে। কুরআনে এসেছে-
ٱھْدِنَا ٱلصِّ رَ اطَ ٱلْمُسْتَقِیمَ
“আমাদেরকে সরল পথ প্রদর্শন কর।” (সূরা আল-ফাতিহা : ৫)
আল-হিকমা- الحكمة) বিজ্ঞানময়তা)
আল-কুরআনে জ্ঞান-বিজ্ঞানের সকল নির্ভরযোগ্য তথ্য ও তত্ত¡ বর্ণিত হয়েছে। অথবা তা পুরোটাই হিকমতে পূর্ণ। তাই
একে ‘হিকমাহ’ বলা হয়।
আল-হাকীম الحكیم) বিজ্ঞানময় গ্রন্থ)
এ নাম এ জন্যে যে, এর আয়াতসমূহ অত্যধিক সৌন্দর্যমন্ডিত, বিন্যস্তএবং রহস্যপূর্ণ মর্ম উদ্ঘাটনকারী। এটা সর্বপ্রকার
পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংযোজন-বিয়োজন হতে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত বিজ্ঞানময় গ্রন্থ। মহান আল্লাহ বলেন,
یسۤ . وЙٱلО قТرОآنِ ٱلО حЙكِیمِ -
“ইয়া-সীন, শপথ জ্ঞানগর্ভ বিজ্ঞানময় গ্রন্থ আল-কুরআনের।” (সূরা ইয়াসীন : ১-২)
আল-হাবলু- الحبل) রশি-রজ্জু)
যে ব্যক্তি কুরআনকে শক্ত-মজবুত করে আঁকড়ে ধরবে সে অবশ্যই জান্নাত লাভ করবে এবং সত্য পথের সন্ধান পাবে।
وَ ٱعْتَصِ مُوا ْ ب ِحَبْلِ ٱلل َّھِ جَمِیعا ً وَ لاَتَفَرَّ ق ُوا ْ ,লনবে আল্লাহ মহান
“তোমরা সবাই আল্লাহর রাজ্জু দৃঢ়ভাবে ধরো এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না।” (সূরা আলে ইমরান : ১০৩)
অন্যত্র একে المتین اللھ حبل “আল্লাহর মজবুত রশি বলা হয়েছে।”
আর-রাহমা- (الرحمة(
পবিত্র কুরআন বিশ্ববাসীর জন্য আল্লাহর রহমত ও করুণা। তাই একে রহমাত বলা হয়। মহান আল্লাহ বলেন,
وَ إ ِنَّھُ ل َھُدًى وَ رَ حْمَة ٌ ل ِّلْمُؤمِنِینَ
“নিশ্চয় এটা মু’মিনদের জন্য হিদায়াত ও রহমত।” (সূরা আন-নামল : ৭৭)
সারকথা
পবিত্র কুরআনের আলোচ্য বিষয় ও বিষয়বস্তুর ব্যাপকতার কারণে এবং বিভিন্ন গুণ বৈশিষ্ট্যের দিক দিয়ে এর বিভিন্ন
নামকরণ করা হয়। এ গ্রন্থে আল্লাহ তা‘আলা পবিত্র কুরআনের বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেছেন। লোকেরা সে সব গুণ বৈশিষ্ট্যকে
এর এক এক নাম হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। আসলে কুরআনের মূল নাম আল-কুরআন এবং অপর নাম আল-ফুরকান।
এ দুটো নামই অধিক প্রসিদ্ধ। অন্যান্য নাম হচ্ছে গুণবাচক।
সঠিক উত্তরে টিক চিহ্ন দিন
১. আল্লামা আবুল মা’আলী কুরআনের কয়টি নামের উল্লেখ করেনক. ৫টি খ. ৫০টি
গ. ৭০ টি ঘ. ৫৫ টি
২. কুরআনের ৯০টি নামের উল্লেখ রয়েছে কোন কিতাবে?
ক. আল-বুরহান খ. ফাতহুর রহমান
গ. শরহে নাসাফী ঘ. বুখারী শরীফ
৩. কুরআন মাজীদে পবিত্র ‘কুরআন’ নামটি কতবার এসেছে?
ক. ৭০ বার খ. ৬৬ বার
গ. ৬১ বার ঘ. ৪ বার
৪. পৃথিবীতে সর্বাধিক পঠিত গ্রন্থ কোনটি?
ক. আল-কুরআন খ. ইনজীল
গ. তাওরাত ঘ. যাবুর
৫. ইবনে জারীর আত-তাবারী উল্লেখিত কুরআনের প্রসিদ্ধ নাম হচ্ছেক. কুরআন, কিতাব, যিকর ও রূহ খ. কুরআন, কিতাব, ফুরকান ও যিকর
গ. কুরআন, ফুরকান, বয়ান ও হিকমাহ ঘ. কুরআন, ফুরকান, হুদা ও বয়ান
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের উত্তর ঃ ১. ঘ, ২. খ, ৩. গ, ৪. ক, ৫. খ
সংক্ষিপ্ত উত্তর-প্রশ্ন
১. কুরআনের নামকরণের ব্যাপারে ইবনে হাজার আল-আসকালানীর অভিমত লিখুন।
২. আল-কুরআনের নামকরণের তাৎপর্য বর্ণনায় আল্লামা তাকী উসমানীর ব্যাখ্যা লিখুন।
৩. মাজদুদ্দীন ফিরূযাবাদী কুরআনের নামকরণের কোন্ ৪টি কারণ উল্লেখ করেছেন ? তা লিখুন।
৪. কুরআনের নি¤েœাক্ত নামকরণের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করুনক. আল-যিকর খ. আল-হুদা
গ. আল-মাসানী ঘ. আল-হাকীম
৬. কুরআনের অন্যসব নামকরণের তাৎপর্য কী ? লিখুন।
বিশদ উত্তর-প্রশ্ন
১. আল-কুরআনের নামকরণের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করুন।
২. আল-কুরআনের কয়েকটি প্রসিদ্ধ গুণবাচক নামের তালিকা তাৎপর্যসহ লিখুন।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]