ইল্ম বলতে কী বুঝেন? ইল্মের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য এবং আলিমের মর্যাদা সম্পর্কে হাদীসের আলোকে

ইলম -এর পরিচয়
আরবীতে ইলম শব্দের অর্থ জ্ঞান, বিশ্বাস, কোন জিনিসকে তথ্যসহকারে জানা ইত্যাদি। কিন্তু কুরআন হাদীসে ইলম
অর্থ প্রধানত সেই জ্ঞানকেই বোঝানো হয়েছে- যা মহানবী (স) -এর মাধ্যমে পাওয়া গিয়েছে এবং যা মানুষের বুদ্ধি
আবিস্কার করতে পারেনি। (ইমাম গায্যালী রঃ) অর্থাৎ যে ইলম মানুষের মধ্যে তাওহীদের প্রেরণা জাগায় এবং
আল্লাহভীতির সঞ্চার করে। আল্লাহ বলেন-
شَھِدَ ٱلل َّھُ أ َنَّھُ لاَ إ ِل َـٰھَ إ ِلا َّ ھُوَ وَ ٱلْمَلاَئِكَة ُ وَ أ ُوْ ل ُوا ْ ٱلْعِلْمِ
“আল্লাহ সাক্ষ্য দিয়েছেন যে, নিশ্চয় তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই এবং ফিরিশ্তাগণ এবং জ্ঞানিগণও সাক্ষ্য
দিয়েছেন।” (সূরা আলে-ইমরান : ১৮)। অন্য আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেছেন-
إ ِنَّمَا یَخْ شَى ٱلل َّھَ مِنْ عِبَادِهِ ٱلْعُل َمَاءُ .
“আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে যারা জ্ঞানী তারাই তাঁকে ভয় করে।” (সূরা আল-ফাতির : ২৮)
উপরোক্ত আয়াত দু’টি থেকে বোঝা যায় যে, তাওহীদে বিশ্বাস করা এবং আল্লাহকে ভয় করা ইলমের বিশেষ গুণ।
সুতরাং যে ইলমের এই গুণ নেই সে ইলম নিয়ে প্রত্যক্ষভাবে আলোচনা করা বা তজ্জন্য লোকদের উৎসাহিত করা
নবী-রাসূলগণের কাজ ছিল না। নবী-রাসূলগণের আসল কাজ ছিল আল্লাহর সাথে তাঁর বান্দারা কিভাবে সম্পর্ক স্থাপন
করবে, তার পন্থা সম্পর্কে জ্ঞান দান করা যার সম্পর্কে মানুষ সাধারণত সজাগ নয়। দুনিয়ায় বেঁচে থাকার জন্যে যে
সমস্তইলমের বা জ্ঞানের প্রয়োজন সে সব সম্পর্কে মানুষ নিজেরাই সজাগ। আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন নবী-রাসূলের
কর্মের মাধ্যমে এবং ইলমে লাদুন্নীর মাধ্যমে তা মানুষকে দান করেছেন।
ইলম দুই প্রকারে লাভ থেকে পারে- (১) চর্চা বা শিক্ষার দ্বারা। একে ইলমে হুসুল বা অর্জনকৃত (কছবী) ইলম বলে
এবং (২) জ্ঞানের উৎস আল্লাহর পক্ষ থেকে সরাসরি দানের দ্বারা -একে ইলমে ওহী বলে। এ ইলমে ওহী আবার
দু‘প্রকারের থেকে পারেঃ (১) ফেরেশ্তা মারফত ওহী দ্বারা। এর নাম ইলমে নববী বা ইলমে নুবুওয়াত এবং (২)
ইলহাম দ্বারা। ইলহাম অর্থ কোন জিনিসের জ্ঞান অন্তরে ঢেলে দেয়া -এর নাম ইলমে লাদুন্নী। এটা নবী এবং ওলী
উভয়েরই লাভ থেকে পারে; কিন্তুু ওহীর ইলম নিঃসন্দেহে পরিস্ফুট, পক্ষান্তরে ইলহাম, এরূপ নয়। সুতরাং ওহী যে
ইলহাম থেকে উত্তম তা বলাই নি®প্রয়োজন। নবী রাসূলের ইলহাম ব্যতীত কারও ইলহাম কারো পক্ষে শরীআতের
দলীল থেকে পারে না। কতক ইলম শিক্ষা করা ফরয। ফরয আবার দুই প্রকার। (১) ফরযে আইন, যে সকল ইলম
অর্জন (জ্ঞান) প্রত্যেক নর-নারীর পক্ষে আবশ্যক, যথা- ঈমান, সালাত ও সাওম প্রভৃতির ইলম। বালেগ হওয়ার পরই
প্রত্যেকের পক্ষে প্রথমে কালিমা ও ঈমান সম্পর্কীয় জরুরী বিষয়গুলির ইলম অর্জন করা ফরয। অতঃপর যখনই দ্বীনের
যে বিষয়ের আবশ্যক হবে তখনই সে বিষয়ের ইলম লাভ করা ফরয। এর প্রতি ইঙ্গিত করে মহানবী (স) বলেছেনمسلم كل على فریضة العلم طلب
“ইলম অর্জন করা প্রত্যেক মুসলিমের উপর ফরয।” এবং (২) ফরযে কেফায়া। যার ইলম সকলের মধ্যে কতক
লোকের শিক্ষা করলেই চলে; যথা- কুরআন হাদীস থেকে আহ্কাম বের করার (এস্তেমবাৎ) উদ্দেশ্যে কুরআন হাদীসের
গভীর ইলম লাভ করা। এছাড়া মানুষের বেঁচে থাকার জন্যে যে সকল বিদ্যার প্রয়োজন তা অর্জন করাও ফরযে
কিফায়া। যথা- চিকিৎসা বিদ্যা ও আবশ্যক শিল্প বিদ্যা। দ্বীনের কতক ইলম আবার মোস্তাহাব। যথা- সময় ও সুযোগ
থাকলে আবশ্যকতা দেখা দেয়ার পূর্বেই দ্বীনের যাবতীয় ইলম অর্জন করে রাখা। পক্ষান্তরে কতক বিদ্যা এমন আছে যা
শিক্ষা করা হারাম। যথা- যাদু বিদ্যা, ভোজবাজি এবং যে সমস্তবিদ্যা বা যেসমস্তবিষয়ের জ্ঞান মানুষকে আল্লাহ থেকে
দূরে সরিয়ে রাখে এবং মানুষকে হারামের প্রতি প্রলুব্ধ করে। আর যে বিদ্যার এরূপ খারাব ভালো কোন গুণ নেই তা
অবশ্যই মোবাহ।
ইলমের মর্যাদা ও উপকারিতা সম্পর্কে কুরআনের বহু আয়াতে বহু ইংগিত রয়েছে। এ পাঠে ইলম সংক্রান্তকয়েকটি
হাদীস আলোচনা করা হয়েছে।
ইলমের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও গুরুত্ব
عن عبد اللھ بن عمرو قال قال رسول اللѧھ صѧلى اللѧھ علیѧھ وسѧلم : بلغѧوا عنѧى ولѧو
ایة’ وحدثوا عن بنى اسرائیل ولا حѧرج’ ومѧن كѧذب علѧى متعمѧدا فلیتبѧوأ مقعѧده مѧن
النار- رواه البخا رى
(১) হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন: আমার পক্ষ থেকে মানুষকে পৌঁছাতে থাক
যদিও একটি মাত্র ‘আয়াত’ হয়। বনি ইসরাইলের নিকট থেকে শোনা কথা বলতে পার, এতে কোন আপত্তি নেই। কিন্তু
যে ব্যক্তি ইচ্ছা করে আমার প্রতি মিথ্যা আরোপ করবে সে যেন তার বাসস্থান দোযখে প্রস্তুত করে নেয়। (বুখারী)
ব্যাখ্যা
কুরআনের প্রচার অত্যাবশ্যক হওয়া সত্তে¡ও এবং আল্লাহ স্বয়ং কুরআনের হিফাযতের বার গ্রহণ করা সত্তে¡ও যখন
কুরআনের প্রচারের কথা বলা হয়েছে তখন হাদীসের প্রচারের কথা সহজেই বোঝা যায়। আর কারো কারো মতে
“আয়াত” অর্থ এখানে কথা এবং বাক্য- আর তা কুরআনের হোক বা হাদীসের।
বনী-ইসরাইলের কথা অর্থে এখানে তাদের উপদেশমূলক ঘটনাসমূহকে বোঝানো হয়েছে। এক হাদীসে- তাদের কথা
শুনতে নিষেধ করা হয়েছে। তার মর্ম হচ্ছে, তাদের শরীআতের যে সকল আহ্কাম আমাদের শরীআতের বিপরীত।
কারণ তাদের শরীআত আমাদের শরীআত দ্বারা রহিত হয়ে গিয়েছে।
এ হাদীস থেকে বোঝা গেল যে, রাসূলুল্লাহর নামে মিথ্যা হাদীস তৈরি করে বলা জঘন্যতম অপরাধ। আর কারো মতে
এটা পরিষ্কার কুফ্রী, কারণ শরীআতের অবিকৃতি ও বিশ্বস্ততা নির্ভর করে হাদীস বর্ণনায় বিশ্বস্ততার উপর। এক্ষেত্রে
সামান্যতম শিথিলতা প্রদর্শিত হলেও অবিকৃত অবস্থায় শরীআত পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। এ কারণেই রাসূলুল্লাহ্
(সা) -এর নামে মিথ্যা বর্ণনাকারীদের জন্য কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে; এবং এ কারণেই রাসূলুল্লাহ (সা) তাঁর
সাহাবীদের সমাবেশে বার বার এ ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন।
হযরত সামুরা ইবনে জুন্দুব ও মুগীরা ইবনে শো’বা (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
যে ব্যক্তি আমার পক্ষ থেকে এমন কথা বলে, যা সম্পর্কে সে মনে করে যে, এটা মিথ্যা, সে মিথ্যুকদের একজন।
হযরত মু’আবিয়া (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: আল্লাহ্ তা‘আলা যার কল্যাণ চান তাকে দ্বীনের সুষ্ঠু জ্ঞান দান
করেন। আমি নিছক বন্টনকারী, আর দান করেন আল্লাহই।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা) আরো বলেন, আল্লাহর পক্ষ থেকে আমি দ্বীনের যে সকল কথা লাভ করেছি তা
তোমাদেরকে শুনিয়ে দিচ্ছি মাত্র। কিন্তু এটা বোঝার ক্ষমতা আল্লাহই দান করেন- কাউকে অল্প, কাউকে
বিস্তর। ‘সুষ্ঠু জ্ঞান’- মূলে ‘ফিকহ’ শব্দ রয়েছে-যার অর্থ সুষ্ঠু জ্ঞান, মেধা, জানা বিষয়ের সাহায্যে অজানা বিষয় সম্পর্কে
জানা। পরবর্তী কালে ইসলামী আইন শাস্ত্রই ফিকহ নামে প্রসিদ্ধি লাভ করেছে এবং ইসলামী শরীআতের সকল বিষয়ের
আহকাম নির্দেশ রয়েছে। মহানবী (স) মানুষকে সোনার খনির সাথে তুলনা করে বলেছেন-
عن ابى ھریѧرة (رض) قѧال قѧال رسѧول اللѧھ صѧلى اللѧھ علیѧھ وسѧلم : النѧاس معѧادن
كمعادن الذھب والفضة’ خیѧارھم فѧى الجاھلیѧة خیѧا رھѧم فѧى الاسѧلام اذا فقھѧوا رواه
مسلم-
হযরত আবু হুরায়রা (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: মানবজাতি সোনা রূপার খনিরাজির ন্যায়। যারা (যে
গোত্র) জাহিলিয়া যুগে উত্তম ছিলেন তারা ইসলামী যুগে উত্তম যখন দীনের জ্ঞান লাভ করেন। -(মুসলিম)
ব্যাখ্যা
ধাতুর খনি যেমন বিভিন্ন হয়ে খাকে; কোনটি সোনার, কোনটি রূপার অর্থাৎ কোনটি উৎকৃষ্ট আর কোনটি কম উৎকৃষ্ট
আবার কোনটি নিকৃষ্ট ধাতুর, মানুষের গোত্র মর্যাদারও তেমনি বিভিন্ন হয়ে থাকে। ইসলাম মানুষের এ গোত্র মর্যাদাকে
তখনই স্বীকৃতি দেয় যখন সে দ্বীনের জ্ঞান লাভ করে। ইসলামে মর্যাদা বা শ্রেষ্ঠত্বের আসল মাপকাঠি হল দ্বীনের জ্ঞান
ও আল্লাহভীতি। এ ব্যাপারে আল্লাহ বলেন-
إ ِنَّ أ َكْرَ مَكُمْ عِندَ ٱلل َّھِ أ َت ْقَاكُمْ -
“তোমাদের মধ্যে আল্লাহর নিকট সে ব্যক্তিই অধিক মর্যাদাসম্পন্ন যে তোমাদের মধ্যে অধিক ম্ত্তুাকী।” (সূরা আলহুজুরাত:১৩)
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: দু’ব্যক্তি ব্যতীত কেউ হাসাদের (ঈর্ষার) পাত্র
নয়ঃ প্রথম ব্যক্তি- যাকে আল্লাহ তা‘আলা ধন সম্পদ দান করেছেন এবং সংগে সংগে তাকে তা সত্যের খাতিরে বা সৎ
কার্যে ব্যয় করার জন্য প্রচুর মনোবলও দান করেছেন। দ্বিতীয় ব্যক্তি হচ্ছে- যাকে আল্লাহ তা‘আলা ‘জ্ঞান দান
করেছেন’ আর সে তাকে কাজে লাগায় এবং লোকদের তা শিক্ষা দেয়।
হাসাদ
‘হাসাদ’- এর অর্থ অন্যের সম্পদ নষ্ট হয়ে নিজের নিকট আসার আকাঙ্খা করা, এক কথায় পরশ্রীকাতরতা। এটা
জায়িয নয়। অন্যের সম্পদ নষ্ট না হয়ে তদনুরূপ সম্পদ নিজে পাওয়ার আকাক্সক্ষা বলে ‘গিব্তা’। গিব্তা জায়িয।
সুতরাং যদি ‘হাসাদ’ জায়িয হত তা হলে এ দু ব্যক্তির প্রতি ‘হাসাদ’ করা উচিত হত। আর কেউ কেউ বলেন- ‘হাসাদ’
এখানে ‘গিব্তা’ অর্থেই ব্যবহৃত হয়েছে। ‘হিকমত’ - অর্থ বিচার, ইলম, দানশীলতা, বাস্তবের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কথা,
সত্য বিচার ও বিজ্ঞান। কুরআনের সূরা ইস্রায় আল্লাহ্ তা‘আলা আহ্কাম বর্ণনা করেছেন। যেমন আল্লাহ বলেনআল্লাহর সাথে শরীক করবে না, মা বাপের খিদমত করবে, তাদের কষ্ট দিবে না, আত্মীয়-স্বজন, গরীব-মিসকীন এবং
পথিকদের হক আদায় করবে, অপব্যয় করবে না, ব্যয়ে মধ্যপন্থা অবলম্বন করবে, অভাবের ভয়ে সন্তান হত্যা করবে
না, ব্যভিচার করবে না, অন্যায়ভাবে কাউকেও বধ করবে না, ইয়াতীমের মাল খাবেনা। ওয়াদা অঙ্গীকার পূর্ণ করবে,
বেচা বিক্রিতে ঠিকভাবে মাপ দেবে, ভাল করে না জেনে কোন কথা বলবে না এবং চলাফেরায় দাম্ভিকতা প্রকাশ করবে
না। (সূরা ইসরা ২২-৩৯) অতপর আল্লাহ বলেছেন-
ذلك مما اوحى الیك ربك من الحكمة-
“এ সমস্তকথা হচ্ছে হিকমতের কথা যা তোমার প্রতি তোমার রব ওহী করেছেন।” হাদীসেও এটা ইলমে দীনের
অর্থেই ব্যবহৃত হয়েছে। তাই হাদীসটি এ অধ্যায়ে আনা হয়েছে।
عن ابى ھریرة قال قال رسول اللھ صلى اللھ علیھ وسلم: اذا مات الانسان انقطع
عنھ عملھ الا من ثلاثة : الا من صدقة جاریة او علم ینتفع بھ او ولد صالح یدعولھ-
رواه مسلم
হযরত আবু হুরায়রা (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: যখন মানুষ মরে যায় তখন তার আমল ও তার সওয়াব
বন্ধ হয়ে যায় কিন্তুু তিনটি আমলের মাধ্যমে তাদের সওয়াব বন্ধ হয় না ঃ (১) সাদকায়ে জারিয়া, (২) এমন ইলম -
যার দ্বারা (লোকের) উপকার সাধিত হয় এবং (৩) সুসন্তান যে- তার জন্য দু‘আ করে। -(মুসলিম)
ব্যাখ্যা
‘সাদকায়ে জারিয়া অর্থাৎ সৎকাজে দান যার ফল জারী বা প্রবহমান থাকে। যথা- রাস্তা, ঘাট, পুল, মসজিদ মাদরাসা,
ইয়াতীমখানা, মুসাফিরখানা নির্মাণ কূপ খনন ইত্যাদি।
হযরত আবূ হুরায়রা (রা) আরো বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: যে ব্যক্তি কোন মু’মিনের
দুনিয়ার একটি ক্ষুদ্র কষ্ট দূর করে দেবে আল্লাহ তা‘আলা কেয়ামতের দিনের তার একটি বিরাট কষ্ট দূর করে দেবেন।
যে ব্যক্তি কোন অভাবগ্রস্তলোকের একটি অভাব (সাহায্যের দ্বারা) সহজ করে দেবে আল্লাহ্ তা‘আলা দুনিয়া ও
আখিরাতে তার অভাব সহজ করে দেবেন এবং যে ব্যক্তি কোন মুসলমানকে (তার দোষ ও দেহকে) ঢেকে রাখবে
আল্লাহ তা‘আলা দুনিয়া ও আখেরাতে তাকে (তার দোষ বা দেহকে) ঢেকে রাখবেন। আল্লাহ তা‘আলা তাঁর বান্দার
সাহায্যেরত থাকেন যতক্ষণ সে তার (মুসলিম) ভাইয়ের সাহায্যে থাকে। যে ব্যক্তি ইলম তলব করার উদ্দেশ্যে কোন
পথ অবলম্বন করে আল্লাহ তা‘আলা ইলমের দ্বারা তার বেহেশতের একটি পথ সহজ করে দেবেন এবং যখনই কোন
একটি দল আল্লাহর কিতাব পাঠ করতে থাকে এবং পরষ্পর তার আলোচনা করতে থাকে তখনই আল্লাহর পক্ষ থেকে
তাদের উপর স্বস্তিও শান্তিঅবতীর্ণ থেকে আরম্ভ করে। আল্লাহর রহমত তাদের ঢেকে ফেলে, ফেরেশতাগণ তাদের
ঘিরে নেয় এবং আল্লাহ তা‘আলা উল্লেখ করেন তাঁর নিকট যারা আছেন (ফেরেশতাগণ) তাঁদের সম্পর্কে তাদের
নিকট। যার আমল তাকে পিছিয়ে দেয় তার বংশ তাকে এগিয়ে দিতে পারে না।
عن ابن عباس رضى اللھ عنھ قال قال رسول اللھ صلى اللھ علیھ وسلم : فقیھ واحد
اشد على الشیطان من الف عابد- رواه الترمذى وابن ماجة
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: একজন ফকীহ (আলিম) শয়তানের পক্ষে
হাজার আবেদ অপেক্ষাও মারাত্মক। -(তিরমিযী ও ইবনে মাজা)
কোন কোন সময় শয়তান হিতাকাক্সক্ষী সেজে আসে, সে নামাযীকে বলে- চেষ্টা করে হুজুরে কলব হাসিল করতে
পারলে না; হুজুরে কলব ব্যতীত তোমার এ নামাযে লাভ কি? এটা তো প্রাণহীন লাশতুল্য। খোদার এতে কি কোনো
কাজ আছে? সুতরাং এটা ছেড়ে দেওয়াই উচিত। আলিম ব্যতীত কোন লোক সহজে এটা ধরতে পারে না। কিন্তুু
আলিম ব্যক্তি বলে- যাক্, কিছুই না হওয়া অপেক্ষা কিছু হওয়াই ভালো। আর আমার যা ক্ষমতা তা আমি করেছি;
বাকি আল্লাহর কাজ। এ কারণেই শয়তান আলিমকে এত ভয় করে এবং মানুষকে নানা রকমের ধোকা ও প্রলোভন
দিয়ে ইলম থেকে ফিরিয়ে রাখতে চেষ্টা করে।
রিয়াকারীর পরিণতি
হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে আরো বর্ণিত আছে- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- কিয়ামতের
দিন রিয়াকারদের মধ্যে প্রথমে যে ব্যক্তির বিচার হবে সে হবে একজন শহীদ। তাঁকে আল্লাহর দরবারে হাযির করা
হবে এবং আল্লাহ তাকে প্রথমে দুনিয়াতে প্রদত্ত আপন নি‘আমতসমূহের কথা স্মরণ করিয়ে দিবেন আর সেও তা স্মরণ
করবে। অতঃপর তাকে জিজ্ঞেস করবেন- তুমি এ নি‘আমতসমূহের বিনিময়ে দুনিয়ায় কি কাজ করেছ? সে উত্তর
করবে, আল্লাহ তোমার সন্তুষ্টির জন্য আমি কাফিরদের সাথে লড়াই করেছি, এমন কি শেষ পর্যন্তআমি শহীদ হয়েছি।
তখন আল্লাহ তা‘আলা বলবেনঃ তুমি মিথ্যা বলেছ- তুমি আমার সন্তুষ্টির জন্য লড়াই করনি; বরং তুমি এজন্য লাড়াই
করেছিলে যাতে তোমাকে ‘বীর পুরুষ’ বলা হয়, আর তা তোমাকে বলা হয়েছে। অতঃপর তার সম্পর্কে ফেরেশতাদের
আদেশ দেয়া হবে। তখন তাকে উপুড় করে টানতে টানতে দোযখে নিক্ষেপ করা হবে।
দ্বিতীয় ব্যক্তি হচ্ছে এমন এক ব্যক্তি যে ইলম শিক্ষা করেছে, অপরকে তা শিক্ষা দিয়েছে এবং নিজে কুরআন পড়েছে
এবং অপরকে তা শিক্ষা দিয়েছে, তাকে আল্লাহর দরবারে হাযির করা হবে। আল্লাহ প্রথমে তাকে আপন
নি‘আমতসমূহের কথা স্মরণ করিয়ে দিবেন এবং সেও তা স্মরণ করবে। অতপর আল্লাহ তাকে জিজ্ঞেস করবেন- তুমি
এ সকল নি‘আমতের শোকরিয়ায় কি করেছ? সে জওয়াব দেবে, আমি ইলম শিক্ষা করেছি ও অপরকে তা শিক্ষা
দিয়েছি এবং তোমাকে খুশী করার জন্য কুরআন পড়েছি। তখন আল্লাহ বলবেন, তুমি মিথ্যা বলেছ, তুমি এজন্য ইলম
শিক্ষা করেছিলে যাতে তোমাকে ‘আলিম’ বলা হয় এবং এজন্য কুরআন পড়েছিলে যাতে তোমাকে কারী
(পড়নেওয়ালা) বলা হয় আর তা তোমাকে বলাও হয়েছে। অতঃপর ফেরেশতাদের তার সম্পর্কে আদেশ করা হবে।
সুতরাং তাকে উপুড় করে টানতে টানতে দোযখে নিক্ষেপ করা হবে।
তৃতীয় ব্যক্তি হচ্ছে ঐ ব্যক্তি- যার রিযক আল্লাহ প্রশস্তকরে দিয়েছিলেন এবং দান করেছিলেন তাকে সমস্তরকমের
ধন। তাকে আল্লাহর দরবারে হাযির করা হবে। আল্লাহ তা‘আলা প্রথমে তাকে আপন নি‘আমতসমূহের কথা স্মরণ
করিয়ে দিবেন। সেও তা স্মরণ করবে। অতপর তাকে জিজ্ঞেস করবেন- তুমি এসবের কৃতজ্ঞতায় কি করেছ? জওয়াবে
সে বলবে- এমন কোন রাস্তা বাকি ছিল না যাতে দান করলে তুমি খুশী হবে, আর আমি তাতে তোমার খুশীর জন্য দান
করেছি। তখন আল্লাহ বলবেন- তুমি মিথ্যা বলেছ, তুমি এ উদ্দেশ্যে তা করেছিলে যাতে বলা হয়, তুমি একজন
দানবীর। আর তা বলা হয়েছে। অতপর ফেরেশতাদের তার সম্পর্কে হুকুম করা হবে; সুতরাং তাকে উপুড় করে
টানতে টানতে দোযখে নিক্ষেপ করা হবে।- মুসলিম।
এ হাদীস থেকে বোঝা গেল যে, ইলম বা জ্ঞান সম্পর্কে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র। ইসলাম মানুষকে জ্ঞানার্জন
করতে উদ্বুদ্ধ করে। তবে এরূপ কোন জ্ঞানের মর্যাদা ইসলাম দেয় না যা একমাত্র আল্লাহর উদ্দেশ্যে অর্জিত না হয়।
প্রকৃত পক্ষে জাগতিক কোন উদ্দেশ্যে জ্ঞানার্জন করা আল্লাহর পছন্দ করেন না। আলোচ্য হাদীসের মাধ্যমে আমরা
তাই জানতে পারি।
عن عبد اللھ بن عمرو قال قال رسول اللھ صلى اللھ علیھ وسلم : ان اللھ لایقبض
العلم انتزاعا ینتزعھ من العباد ولكن یقبض العلم بقبض العلماء حتى اذا لم یبق عالما
اتخذا الناس رؤسا جھالا فسئلوا فافتوا بغیر علم فضلوا واضلوا- متفق علیھ-
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন : (শেষ যামানায়) আল্লাহ তা‘আলা ইলম উঠিয়ে
নেবেন তার বান্দাদের (অন্তর) থেকে টেনে বের করে; অর্থাৎ আলিমদের উঠিয়ে নেয়ার দ্বারাই ইলম উঠিয়ে নেবেন;
অবশেষে যখন তিনি (দুনিয়ার) কোন ‘আলিমকেই বাকি রাখবেন না তখন লোক অজ্ঞ-জাহেলদের নেতারূপে গ্রহণ
করবে। অতঃপর তাদের নিকট মাসআলা মাসায়িল জিজ্ঞেস করা হবে। আর তারা মূর্খ অবস্থায়ই ফাতওয়া দেবে, ফলে
নিজেরাও গোমরাহ হবে এবং অপরকেও গোমরাহ করবে। -(বুখারী ও মুসলিম)
ব্যাখ্যা
এ হাদীসে মহানবী (স) ইলম উঠিয়ে নেয়ার ব্যাপারে ইঙ্গিত করেছেন। একদা নবী করীম (স) আকাশের দিকে দৃষ্টি
করে বললেন। মানুষের নিকট থেকে ইলম উঠিয়ে নেয়া হবে। এমনকি মানুষ ইলম সম্পর্কে কিছু জানবে না তখন
সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন হে আল্লাহর রাসূল! ইলম কিভাবে উঠিয়ে নেয়া হবে? অথচ আমরা কুরআন পড়ি এবং
আমাদের সন্তানদের পড়াই, এভাবে এর ধারা অব্যাহত রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে যে এভাবে তা কিয়ামত পর্যন্ত
চলবে। তখন মহানবী (স) সাহাবীকে উদ্দেশ্য করে বললেন, হে যিয়াদ! আমি তোমাকে মদীনাবাসীদের মধ্যে
অন্যতম জ্ঞানী মনে করতাম। তুমি কি দেখ না, ইয়াহূদীরা তাওরাত কিতাব পাঠ করে এবং খ্রিষ্টানরা ইঞ্জিল কিতাব
পাঠ করে, অথচ তারা এর মধ্যে কি আছে তা জানে না। অর্থাৎ তারা তাওরাত এবং ইঞ্জিল না বুঝে পাঠ করে। এতে
কোনই উপকার হয় না। বরং এটা তোতা পাখীর মতো বুলি আওড়ানো ছাড়া আর কিছুই নয়। ইলম উঠিয়ে নেয়ার
অর্থ হল আলিমদের উঠিয়ে নেয়া। তাই ইলম হাসিল করা প্রত্যেকের কর্তব্য। কারণ, কেউ জানে না যে, কখন সে
তার মুখাপেক্ষী হবে অথবা তার নিকটবর্তী বস্তুর মুখাপেক্ষী হবে। পৃথিবীতে এমন স¤প্রদায়ের আগমন ঘটবে যারা
ইলমকে পেছনে ঠেলে দেবে। ইলম শিক্ষার প্রতি কোন গুরুত্বই প্রদান করবে না। তারা মানুষকে ইসলামের দিকে
আহবান করবে অথচ কুরআন-হাদীসের সাথে তাদের কোন সম্পর্ক থাকবে না। তখন মানুষ বিদআতের দিকে আকৃষ্ট
হয়ে ইসলামের মূল শিক্ষা থেকে ইয়াহূদী ও খ্রিষ্টানদের মতো দূরে সরে পড়বে। আর মুসলমানদের মধ্য থেকে আলিম
উলামা লোপ পাবে। এমনকি কোন আলিম উলামা জীবিত থাকবে না। এমতাবস্থায় মানুষ ইসলামকে জানতে চেষ্টা
করবে। মাসআলা-মাসায়িল জানার প্রয়োজন পড়বে। আলিম উলামা অবশিষ্ট না থাকায় মুর্খ ও জাহিল ব্যক্তিরা সে স্থান
দখল করে নেবে এবং তারা ফাতওয়া প্রদান করবে। এতে নিজেরা গোমরাহ হবে এবং অপরকেও গোমরাহ করবে।
তাই সকল যুগে ইলমকে চালু রাখার জন্য প্রত্যেক স¤প্রদায়ের লোকদের মধ্য থেকে একদলকে ইলম শিক্ষার প্রতি
উদ্বুদ্ধ করা প্রয়োজন এবং তারা ইলম অর্জন করে স্বীয় স¤প্রদায়ের কাছে ফিরে এসে মানুষকে আল্লাহর প্রতি আহবান
করবে। নতুবা ইয়াহূদী-নাসারাদের মতোই আমাদের ইলমের অবস্থা হবে।
হযরত আবু উমামা বাহিলী (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াাসল্লাম -এর নিকট দুজন লোক সম্পর্কে
আলোচনা করা হল। তাদের একজন ছিলেন আবিদ (সাধক) আর অপরজন ছিলেন আলিম। এ দু‘জনের মধ্যে কার
মর্যাদা বেশী? মহানবী (স) বললেন- আবিদের উপর আলিমের মর্যাদা আমার মত একজন নবীর ফযীলত তোমাদের
একজন সাধারণ ব্যক্তির উপর। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন- আল্লাহ তা‘আলা, তার
ফেরেশতাগণ এবং আসমান ও যমীনের অধিবাসীরা- এমন কি পিপীলিকা তার গর্তে থেকে আর সমুদ্রের মাছ পানিতে
থেকে যে ব্যক্তি মানুষকে (ভালো কথা) ইলম শিক্ষা দিয়ে থাকে তার জন্য দু‘আ করে। (তিরমিযী)।
কিন্তুু দারেমী (র) মাকহুল থেকে মুরসাল হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং প্রথম দু‘ব্যক্তির কথা উল্লেখ করেননি এবং তিনি
বলেছেন- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- “আবিদের তুলনায় আলিমের মর্যাদা যেমন তোমাদের
একজন সাধারণ মানুষের উপর আমার মর্যাদা। অতঃপর মহানবী (র) এ কথা প্রমাণের জন্য কুরআনের এ আয়াত
তিলাওয়াত করলেন-
انما یخشى اللھ من عباده العلماء
“আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে যারা জ্ঞানী তারাই তাকে বেশী ভয় করে”। এ ছাড়া তিনি হাদীসের বাকি অংশ ইমাম
তিরমিযী (র) -এর ন্যায় বর্ণনা করেন।
হযরত আবু সা‘ঈদ খুদরী (রা) বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াাসল্লাম আমাদের বললেন : আমার
পর লোক তোমাদের অনুসরণকারী হবে। দিক দিগন্তথেকে লোক তোমাদের নিকট দ্বীনের জ্ঞান লাভ করার উদ্দেশ্যে
আসবে। যখন তারা তোমাদের নিকট আসবে তাদের সদুপদেশ বা দ্বীনের তালীম দেবে।-তিরমিযী
عѧن ابѧى ھریѧرة قѧال قѧال رسѧول اللѧھ صѧلى اللѧھ علیѧھ وسѧلم : كلمѧة الحكمѧة ضѧالة
الحكیم’ فحیث وجدھا فھو احق بھا. رواه الترْ مذى وابن ماجة.
হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন : “জ্ঞানের কথা জ্ঞানীর হারানো ধন,
অপর বর্ণনায়- মুমিনের হারানো ধন। সুতরাং যেখানে তা যার নিকট পাবে সে তার অধিকারী।” -(তিরমিযী ও ইবনে
মাজা)
কেউ কারো হারানো জিনিস পেলে যেমন তার পক্ষে তা গোপন করা বা মালিকের দাবি করার পর তা আটকে রাখার
অধিকার নেই, তেমনি ভাবে কোন ব্যক্তির নিকট যদি কোন জ্ঞানের কথা থাকে তার পক্ষেও তা গোপন করা বা কোন
জ্ঞানী ব্যক্তির চাহিদার পর তা আটকে রাখার অধিকার নেই। তা জ্ঞানী ব্যক্তিরই জিনিস। এরূপে কোন জ্ঞানী ব্যক্তির
পক্ষেও কোন জ্ঞানের কথা তার অপেক্ষা উচ্চতর জ্ঞানীকে সরবরাহ না করার অধিকার নেই। কারণ তিনি হয়ত তার
দ্বারা এমন কথা আবিষ্কার করতে পারবেন যা তার পক্ষে সম্ভবপর নয়।
হাদীসের এ অর্থও থেকে পারে যে, হারানো জিনিস প্রাপকের পক্ষে যেমন মালিককে তালাশ করে তা দেয়া ওয়াজিব
তেমনিভাবে অ-জ্ঞানীর নিকটও কোন জ্ঞানের কথা থাকলে তা জ্ঞানী ব্যক্তিকে তালাশ করে দেওয়াই ওয়াজিব। তিনি তার অধিকারী।
সঠিক উত্তরটি খাতায় লিখুন
১. ইল্ম শব্দের অর্থ হচ্ছেক. কুরআন খ. হাদীস
গ. জ্ঞান ঘ. সাধনা করা
২. ইলমের বিশেষ গুণ হচ্ছেক. তাওহীদে বিশ্বাস ও আল্লাহকে ভয় করা খ. রিসালাতে বিশ্বাস করা
গ. কুরআন-হাদীস শুদ্ধভাবে পাঠ করা ঘ. সুন্নাতের অনুসারী হওয়া
৩. ফরয কয় প্রকার ?
ক. দুই প্রকার খ. তিন প্রকার
গ. চার প্রকার ঘ. পাঁচ প্রকার
৪. ইসলামে মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্বের মাপকাঠি কোনটি?
ক. জীবন যাপনে মাধ্যম পন্থা অবলম্বন করা খ. দ্বীনের জ্ঞান ও আল্লাহভীতি
গ. ইসলামী পোশাক পরিধান করা ঘ. উচ্চ বংশীয় হওয়া
৫. ক‘টি কাজ সাদকায়ে জারিয়া হিসেবে স্বীকৃত?
ক. পাঁচটি খ. দু’টি
গ. তিনটি ঘ. চারটি
সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন
১. ইল্ম বলতে কী বোঝায়? লিখুন।
২. ইল্ম-এর লক্ষ্য-উদ্দেশ্য আলোচনা করুন।
৩. ইল্ম-এর গুরুত্ব আলোচনা করুন।
৪. সাদকায়ে জারিয়া সম্পর্কিত হাদীসটির অনুবাদ করুন।
৫. রিয়া বলতে কী বোঝায়? রিয়াকারীর পরিণতি হাদীসের আলোকে লিখুন।
৬. “ইল্ম মুমিনের হারানো ধন” ব্যাখ্যা করুন।
রচনামূলক উত্তর প্রশ্ন
১. ইল্ম বলতে কী বুঝেন? ইল্মের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য এবং আলিমের মর্যাদা সম্পর্কে হাদীসের আলোকে
বিস্তারিত লিখুন।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]