হাদীসের আলোকে হত্যা, ফিতনা-ফাসাদ, সন্ত্রাস ও অধিকার হরণ সম্পর্কেবিস্তারিত আলোচনা করুন।

হত্যা, সন্ত্রাস, অধিকার হরণ এর পরিণতি সংক্রান্তহাদীস
মহানবী (সা) বলেন-
قتال المسلم اخاه كفر و سبابھ فسوق (للترمذى) عن ابن مسعود (للنسائى) عن سعد
قتال المسلم كفر و سبابھ فسوق ولا یحل لمسلم ان یھجر أخاه فوق ثلاثة أیام.
(مسند أحمد ,لابى یعلى فى مسنده . و للطبرانى فى صحیحھ) ১. মুসলমানের জন্য তার ভাইকে হত্যা করা কুফরী, আর তাকে গালী দেয়া ফাসেকী (তিরমিযী ও নাসাঈ) ২. মুসলমানকে হত্যা করা কুফরী, তাকে গালী দেওয়া ফাসেকী, কোন মুসলমানের জন্য বৈধ-জায়িয নয় যে, সে তার ভাইয়ের সাথে কথা বলা থেকে বিরত থাকবে। (মুসনাদ আহমাদ, আবু ইয়ালা, তাবারানী) হত্যার বিনিময়ে হত্যা عن ابن عباس رضي اللھ عنھ قال: كان قریظة والنضیر و كان النضیر اشرف من قریظة فكان اذا قتل رجѧل مѧن قریظѧة رجѧلا مѧن النضѧیر قتѧل بѧھ و اذا قتѧل رجل من النضیر رجلا من قریظة فودى بمائة و سق مѧن تمѧر فلمѧا بعѧث النبѧى صلى اللھ علیھ و سلم قتل رجل من النضیر رجلا من قریظة فقالوا ادفعوه الینا نقتلھ فقالوا بیننا و بینكم النبى صلى اللھ علیھ و سѧلم فѧأتوه فنزلѧت و ان حكمѧت
فاحكم بینھم بالقسط والقسط النفس بالنفس ثم نزلت افحكم الجاھلیة یبغون .
হযরত ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, কুরাইযা ও নাযীর ইয়াহূদীদের এ দু’টি গোত্রের মধ্যে- নাযীর
গোত্রটি অধিক সম্মানিত ছিল। কুরায়যা গোত্রের কোন লোক, নাযীর গোত্রের কোন লোককে হত্যা করলে এর বিনিময়ে
তাকে হত্যা করা থেকো। অপর পক্ষে নাযীর গোত্রের কোন লোক কুরাইযা গোত্রের কোন লোককে হত্যা করলে এর
বিনিময়ে হত্যাকারীকে একশত ওসক ফিদয়া বা রক্তপণ দিতে থেকো। রাসূলুল্লাহ (সা) যখন মদীনায় আসেন, তখন
নাযীর গোত্রের এক ব্যক্তি, কুরায়যা গোত্রের একজনকে হত্যা করে। তখন নাযীর গোত্রের লোকেরা তাদের বলে ঃ
হত্যাকারীকে আমাদের হাতে সোপর্দ কর, আমরা তাকে হত্যা করবো। তখন কুরায়যা গোত্রের লোকেরা বলেআমাদের ও তোমাদের মাঝে নবী (সা) আছেন, চল তার কাছে যাই। তারা নবী (সা)-এর কাছে আসলে এ আয়াত
নাযিল হয় ঃ ‘যদি আপনি তাদের মাঝে ফায়সালা করেন, তবে ইনসাফের সাথে করবেন।’ আর ইনসাফ হলো ঃ
জীবনের বিনিময়ে জীবন। এরপর এ আয়াত নাযিল হয় - তারা কি জাহিলী যুগের ফয়সালা পসন্দ করে? (এরূপ করা
উচিত নয়)
হত্যার বিধান
মূসা ইবনে ইসমাঈল (রঃ) আবূ শূরায়হ খুযাঈ (রা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন- মহানবী (সা) বলেছেন- যে ব্যক্তির
উপর কোন হত্যার বা অংগচ্ছেদের বিপদ আসে, তাকে যেন তিনটির মধ্যে কোন একটি সুযোগ দেয়া হয়। হয়তো
রক্তপণ নেবে, নয়তো মাফ করে দেবে, অথবা বিনিময় নেবে। এরপর যদি সে চতুর্থ কোন বিষয়ের আকা ক্ষাকরে,
তবে তার হাত ধরে তা থেকে বিরত রাখতে হবে। এরপরও যদি কেউ বাড়াবাড়ি করে, তবে তার জন্য ভীষণ আযাব
নির্ধারিত আছে।
হত্যাকারী থেকে কিসাস গ্রহণ করার বিধান
حدثنا محمد بن كثیر نا ھمѧام عѧن قتѧادة عѧن انѧس ان جاریѧة وجѧدت قѧد رض راسѧھا
بین حجرین فقیل لھا من فعل بك ھذا افلان افلان حتى سمى الیھودى فاومت برأسھا
فاخذا الیھودى فاعترف فامر النبى صلى اللھ علیھ و سلم ان یرض راسھ بالحجارة .
মুহাম্মদ ইবনে কাছীর (র) আনাস (রা) থেকে বর্ণনা করে বলেন, একদা একটা মেয়ের মাথা পাথর দ্বারা দলিত
অবস্থায় পাওয়া যায়। তখন তাকে জিজ্ঞেস করা হয় যে, কে তোমার সাথে এরূপ দুর্ব্যবহার করেছে? অমুক, না অমুক;
এক পর্যায়ে একজন ইয়াহূদীর নাম উচ্চারিত হলে, সে মাথা নেড়ে তা সমর্থন করে। তখন ইয়াহূদীকে পাকড়াও করা
হলে, সে তার অপরাধের কথা স্বীকার করে। তখন রাসূলুল্লাহ (সা) পাথর দিয়ে তার মাথা চ‚র্ণ-বিচ‚র্ণ করার নির্দেশ
দেন।
ইসলামে হত্যার শাস্তিকঠোর। কেননা হত্যা পৃথিবীতে অশান্তিও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করে। তাই ইসলামী বিধান মতে
হত্যার বদলে হত্যার নির্দেশ রয়েছে। যাতে মানুষ হত্যা ও খুন-খারাবী থেকে বিরত থাকে। আলোচ্য হাদীসে দেখা
যায়, একটি মেয়েকে ইয়াহূদী পাথর মেরে মাথা চুর্ণ করে দিয়েছে। তখন মহানবী (সা) ও উক্ত ইয়াহূদীর মাথা পাথর
দিয়ে চ‚র্ণ করার নির্দেশ দেন। এ বিচার মহানবী (সা) এর নিজস্ব চিন্তা প্রসূত ছিল না, এ বিচার মহান আল্লাহর পক্ষ
থেকেই নির্ধারিত ছিল। এ জাতীয় আরো বহু হাদীস রয়েছে। এখানে আরো দুটো ঘটনার উল্লেখ করা হল।
অপর হাদীসে আছে- এক ইয়াহূদী অলংকারের লোভে জনৈক আনসার সাহাবীর মেয়েকে হত্যা করে কূপে নিক্ষেপ
করে এবং তার মাথা পাথর দিয়ে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে। সে ধৃত হয়ে নবী করীম (সা)-এর সামনে উপস্থিত হলে, তিনি
তাকে পাথর মেরে হত্যার নির্দেশ দেন। এরপর তাকে পাথর মেরে হত্যা করা হয়।
ইমাম আবূ দাউদ (র) বলেন- ইবন জুবায়হ আইউব (র) থেকে এরূপই বর্ণনা করেছেন। বর্ণনাটি নি¤œরূপ:
উসমান ইবন আবূ শায়বা (র) আনাস (রা) থেকে বর্ণনা করে বলেন- একদা একটি মেয়ে অলংকারে সুসজ্জিত ছিল।
তখন (অলংকারের লোভে) জনৈক ইয়াহূদী পাথর মেরে তার মাথা চূর্ণ-বিচূর্ণ করে। রাসূলুল্লাহ (সা) সে মেয়েটির
কাছে তখন যান, যখন তার দেহে প্রাণের স্পন্দন ছিল। তিনি তাকে জিজ্ঞেস করেন ঃ কে তোমাকে মেরেছে ? অমুক
মেরেছে কি ? তখন সে মাথানেড়ে বলে ঃ না। তিনি আবার তাকে জিজ্ঞেস করেন ঃ আচ্ছা, অমুক মেরেছে কি ?
তখনও সে মাথা নেড়ে বলে ঃ না। এরপর তিনি বলেন ঃ আচ্ছা, অমুক ব্যক্তি তোমাকে মেরেছে কি ? তখন সে মাথা
নেড়ে বলে ঃ হ্যাঁ। তখন রাসূলুল্লাহ (সা)-এর নির্দেশে দুটি পাথর দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়।
কাফিরের বিনিময়ে কোন মুসলমানকে হত্যা করা যাবে না
حѧѧدثنا احمѧѧد بѧѧن حنبѧѧل و مسѧѧدد قѧѧال نѧѧا یحیѧѧى بѧѧن سѧѧعید نѧѧا سѧѧعید بѧѧن ابѧѧى
عروبѧة نѧا قتѧادة عѧن الحسѧن عѧن قѧیس بѧن عبѧاد قѧال انطلقѧت انѧا والاشѧتر
الѧى علѧى فقلنѧا ھѧل عھѧد الیѧك رسѧول اللѧھ صѧلى اللѧھ علیѧھ و سѧلم شѧیئا لѧم
یعھѧѧده الѧѧى النѧѧاس عامѧѧة فقѧѧال لا الا مѧѧا فѧѧى كتѧѧاب ھѧѧذا قѧѧال مسѧѧدد فѧѧاخرج
كتابѧا قѧال احمѧد كتابѧا مѧن قѧراب سѧیفھ فѧاذا فیѧھ المؤمنѧون تكافѧا دمѧائھم وھѧم
یѧد علѧى مѧن سѧواھم و یسѧعى بѧذمتھم ادنѧاھم الا لا یقتѧل مѧؤمن بكѧافر و لا
دوعھѧد فѧѧى عھѧѧده مѧѧن احѧѧدث حѧѧدثا فعلѧѧى نفسѧѧھ و مѧѧن احѧѧدث حѧѧدثا اواوى
محرثѧѧا فعلیѧѧھ لعنѧѧة اللѧѧھ والملئكѧѧة والنѧѧاس اجمعѧѧین قѧѧال مسѧѧدد عѧѧن ابѧѧى
عروبة فاخرج كتاب .
কায়স ইবনে আব্বাদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি এবং আশতার ইবনে মালিক (র) আলী (রা)-এর
নিকট গমন করি। আমরা তাঁকে জিজ্ঞেস করি ঃ রাসূলুল্লাহ (সা) আপনাকে কি এমন বিশেষ কোন কথা বলে গেছেন,
যা সাধারণের নিকট বলেন নি ? তিনি বলেন ঃ না, তবে যা তিনি বলেছেন- তা সবই আমার এ কিতাবে লিপিবদ্ধ
আছে। এরপর তিনি তার তরবারির খাপ থেকে একটি চিঠি বের করেন, যাতে এরূপ লেখা ছিল ঃ সমস্তমুসলমানের
রক্ত সমান এবং সমস্তমুসলমান-অমুসলিমের এক হাত স্বরূপ।
আবদুল আযীয ইবন ইয়াহইয়া (র) আবদুর রহমান ইবন বুজায়দ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর শপথ !
সাহল এ হাদীসের মধ্যে সন্দেহ সৃষ্টি করেছে। আসল ঘটনা এই যে, রাসূলুল্লাহ (সা) ইয়াহূদীদের নিকট এমর্মে পত্র
প্রেরণ করেন যে, তোমাদের নিকট এক ব্যক্তিকে নিহত অবস্থায় পাওয়া গেছে, কাজেই তোমরা তার দিয়াত আদায়
কর। তখন তারা এর জবাবে পঞ্চাশ বার কসম খেয়ে লেখে যে, আমরা তাকে হত্যা করিনি এবং তার হত্যাকারী কে,
তা আমরা জানি না। তখন রাসূলুল্লাহ (সা) নিজের পক্ষ থেকে দিয়াতস্বরূপ নিহত ব্যক্তির উত্তরাধিকারীদের একশত
উট প্রদান করেন।
এ হাদীসে হত্যার বিনিময়ে হত্যার বিধান দেওয়া হয়েছে। হাদীসে একটি মেয়েকে মাথায় পাথর নিক্ষেপ করে হত্যার
শাস্তিহিসেবে উক্ত ব্যক্তির মাথায় পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করা হয়েছে বলে বর্ণিত হয়েছে। হত্যার বিনিময়ে হত্যা
একটি কঠিন শাস্তি। ইসলাম হত্যার বিনিময়ে হত্যার শাস্তির বিধান জারি করে মানব জাতির উপর অন্যায় ও জুল্ম
করেনি বরং এ কঠিন বিধানের মাধ্যমে হত্যার মত পাশবিক ও জঘন্য অপরাধ বন্ধ করার চেষ্টা করেছে মাত্র। মানুষ
যখন হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে পশুর পর্যায়ে নেমে যায় তখন সে হত্যার ন্যায় জঘন্য অপরাধ করে বসে, যদি এ
অপরাধের কঠিন শাস্তির বিধান আরোপ করা না হয় তা হলে পৃথিবীতে ফিতনা, ফাসাদ, হত্যা ইত্যাদি বৃদ্ধি পেয়ে
যাবে এবং পৃথিবী বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে। তাই পৃথিবীতে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য আল্লাহ তাআলা এ বিধান
দিয়েছেন।
দিআত গ্রহণের পর হত্যা বৈধ নয়
حدثنا موسى بن اسѧمعیل نѧا حمѧاد اخبرنѧا مطѧر الѧوراق و احسѧنبھ عѧن الحسѧین عѧن
جابر بن عبد اللھ قال: قال رسول اللھ صلى اللھ علیѧھ و سѧلم: لا اعفѧى مѧن قتѧل بعѧد
اخذ الدیة.
জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন ঃ যে ব্যক্তি হত্যাকারীর নিকট
থেকে দিআত গ্রহণের পর তাকে হত্যা করবে, আমি তাকে ক্ষমা করবো না।
ব্যাখ্যা
দিআত গ্রহণ করা হত্যার পরিবর্তে রক্তপণকে বোঝায়। হত্যার পরিবর্তে হত্যা এ বিধানের বিকল্প ব্যবস্থা হচেছ রক্তপণ
বা দিআত গ্রহণ। কোন ব্যক্তি তার পরিবারের বা আত্মীয়ের হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে হত্যার পরিবর্তে রক্তপণ বা
দিআত গ্রহণের মাধ্যমে যদি ক্ষমা করে দেয় তবে হত্যাকারীকে হত্যা করা কোন মতেই বৈধ হবে না কেননা তারা
উভয় পক্ষ একমত হয়ে এ রক্তপণ চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছে। যদি কেউ এ চুক্তি ভঙ্গ করে কাউকে হত্যা করে তবে সে
অপরাধী হিসেবে গণ্য হবে। এমন ব্যক্তি স¤পর্কে মহানবী (সা) বলেন যে, তিনি তাকে ক্ষমা করবেন না। অর্থাৎ উক্ত
ব্যক্তি অবশ্যই শাস্তিপাবে।
একের অপরাধে-অন্যকে শাস্তিদেয়া যাবে না
حدثنا احمد بن یونس نا عبید اللھ یعنى ابن ایاد حدثنا ایاد عن ابى رمثة قѧال انطلقѧت
مع ابى نحو النبى صلى اللھ علیھ و سلم ثم ان النبى صلى اللھ علیھ و سلم قال لابى:
ابنك ھذا قال اى ورب الكعبة قال حقا قال اشھد بھ قال فتبسم رسѧول اللѧھ صѧلى اللѧھ
علیھ و سلم ضاحكا من ثبت شبھى فى ابѧى و مѧن حلѧف ابѧى علѧى ثѧم قѧال امѧا انѧھ لا
یجنى علیك و لا تجنى علیھ و قرأ رسول اللھ صѧلى اللѧھ علیѧھ و سѧلم ولا تѧزر وازة
وزر اخرى.
আবূ রিমছা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আমার পিতার সাথে নবী করীম (সা)-এর নিকট গমন করি। তখন
নবী (সা) বলেন- একি তোমার ছেলে ? তিনি বলেন ঃ কাবার রবের শপথ ! হাঁ। নবী (সা) বলেন ঃ তুমি কি সত্য
বলছো ? আমার পিতা বলেন - এ ব্যাপারে আমি সত্য সাক্ষ্য প্রদান করছি। তিনি বলেন ঃ তখন রাসূলুল্লাহ (সা)
এজন্য মুচকি হেসে বললেন, আমার চেহারার সাথে আমার পিতার চেহারার হুবহু মিল ছিল, তবুও আমার পিতা শপথ
করেন। এরপর নবী (সা) বলেন ঃ জেনে রেখে ! তোমার অপরাধে সে দোষী সাব্যস্তহবে না এবং তুমিও তার অপরাধে
দোষী সাব্যস্তহবে না। এরপর তিনি কুরআনের এ আয়াত পাঠ করেন- ‘একে অপরের গুনাহের বোঝা উঠাবে না।’
ব্যাখ্যা
হত্যার পরিবর্তে হত্যাকারীকে হত্যা করা ইসলাম বৈধতা দান করেছে। তাই বলে হত্যাকারীর পরিবর্তে তার আত্মীয়-
স্বজনকে হত্যা করা ইসলাম বৈধতা দান করেনি। তাছাড়া কোন ব্যক্তি যদি অপরাধ করে তবে তার অপরাধের জন্য
তার বাবা-মা, ভাই, বোন বা আত্মীয় স্বজন অপরাধী হবে না। ইসলাম একের অপরাধ অন্যের উপর চাপিয়ে দেয় না
এবং একজনের অপরাধের কারণে অন্যকে দোষী সাব্যস্তকরে শাস্তিদেওয়ার বিধান ইসলামে নেই। এ প্রসঙ্গে মহানবী
(সা) হাদীসটি বলেন। আল-কুরআনেও অনুরূপ নির্দেশ রয়েছে। কুরআনে বর্ণিত হয়েছেريѧأخ وزر وازرة زرѧت ولا একে অপরের গুনাহের বোঝা বহন করবে না। অর্থাৎ একজনের অপরাধে
অন্যজন অপরাধী সাব্যস্তহবে না জাগতিক বা পরকালীন জীবনে কোনটাতেই নয়। কোন কোন সমাজ ব্যবস্থায় দেখা
যায় যে, ছেলের অপরাধের জন্য পিতা-মাতাকে হেনস্তথেকে হয়। অপরাধী ছেলেকে খুঁজে পাওয়া না গেলে পিতামাতা, ভাই এবং অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনকে এর খেসারত দিতে হয়। কিন্তু ইসলাম এ ধরনের বিচার ব্যবস্থার যৌক্তিকতা
সমর্থন করে না। ইসলাম বিচারের ক্ষেত্রে ইনসাফ ও আদলের লালন করে। নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে বিচার করলে ইসলাম
আইনের ক্ষেত্রে যে সমতা ও আদলের প্রতিষ্ঠা করেছে তা পৃথিবীর অন্য কোন সমাজ ও ধর্মে খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে।
আত্মহত্যাকারী কাফের হয়ে যায় না
عѧن جѧابر ان الطفیѧل بѧن عمروالدوسѧى اتѧى النبѧى صѧلى اللѧھ علیѧھ و سѧلم فقѧال: یѧا
رسول اللھ : ھل لك فى حصن حصین و منعة قѧال حصѧن كѧان لѧدوس فѧى الجاھلیѧة
فابى ذلك النبى صلى اللھ علیھ و سلم للذى ذخر اللھ للانصار فلما ھاجر النبى صلى
اللھ علیھ و سلم الى المدینة ھاجر الیھ الطفیل بن عمرو وھاجر معھ رجل مѧن قومѧھ
فاجتووا المدینة فمرض فجزع فاخذ مشاقص لھ فقطع بھا براجمھ فشخبت یداه حتѧى
مات فرأه الطفیل بن عمرو فى منامھ فرأه , ھیئة حسنة و رواه مغطیѧا یدیѧھ فقѧال لѧھ
ما صنع بك ربك فقال غفرلѧى بھجرتѧى الѧى نبیѧھ صѧلى اللѧھ علیѧھ و سѧلم فقѧال مѧالى
اراك مغطیا یدیك قال قیل لى لن نصلح منك ما افسѧدت فقصѧھا الطفیѧل علѧى رسѧول
اللھ صلى اللھ علیھ و سلم فقال رسول اللھ صلى اللھ علیھ و سلم اللھم ولیدیھ فاغفر.
জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত। তুফাইল ইবনে আমর আদ-দাউসী নবী করীম (সা.)-এর নিকট এসে বলল, হে আল্লাহর
রাসূল ! আপনার কোন মজবুত দুর্গ এবং আত্মরক্ষার জন্য কোন সুরক্ষিত স্থানের প্রয়োজন আছে কি ? রাবী বললেন,
জাহিলী যুগে দাউসীদের একটি দুর্গ ছিল। নবী করীম (সা) এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেন। কেননা (তাঁর নিরাপত্তার
ব্যবস্থা করার) এ সম্মান আল্লাহ তাআলা আনসারদের ভাগ্যেই নির্ধারণ করেছেন। অতঃপর যখন নবী করীম (সা)
মদীনায় হিজরত করলেন, তুফাইল ইবনে আমর তাঁর অনুসরণ করল। তার সাথে তার স্বগোত্রীয় এক ব্যক্তিও হিজরত
করল। কিন্তু মদীনার আবহাওয়া তাদের স্বাস্থ্যের অনুকূল হল না। তার সঙ্গের লোকটি অসুস্থ হয়ে পড়ল। রোগ যন্ত্রণা
তার সহ্য হল না। সে তীরের একটি চেপ্টা ফলা নিয়ে হাতের আঙ্গুলের জোড়াগুলো কেটে ফেলল। ফলে তার দু’হাত
দিয়ে রক্তক্ষরণ শুরূ হল। অবশেষে সে মারা গেল। তুফাইল ইবন আমর তাকে স্বপ্নে দেখল। সে দেখল যে, তার
দৈহিক অবস্থা খুবই সুন্দর। সে আরজ করল, তোমার প্রভু তোমার সাথে কি ধরনের ব্যবহার করেছেন ? সে বলল,
তাঁর নবী করীম (সা)-এর দিকে হিজরত করার দরুণ তিনি আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। তুফাইল তাকে আরো
জিজ্ঞেস করল, তোমার হাত দু’খানা কেন জড়ানো অবস্থায় দেখতে পাচ্ছি ? সে বলল, আমাকে বলে দেয়া হয়েছে,
তুমি স্বেচ্ছায় নিজের দেহের যে অংশ নষ্ট করেছ তা আমরা কখনও ঠিক করে দেব না। তুফাইল এ ঘটনাটি আদ্যোপান্ত
রাসূলুল্লাহ (সা)-এর কাছে বর্ণনা করল। রাসূলুল্লাহ (সা) তার জন্যে দোয়া করে বললেন ঃ হে আল্লাহ! তার হাত
দুটিকে তুমি ক্ষমা করে দাও।
ব্যাখ্যা
এ হাদীসের দ্বারা প্রমাণিত হয় যে আত্মহত্যাকারী কাফির হয়ে যায় না। কিন্তু অন্যান্য হাদীস ও ইসলামী চিন্তাবিদদের
মতামত অনুযায়ী দেখা যায় যে, আত্মহত্যাকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না। একটি ঘটনার দ্বারা বিষয়টি পরিস্কার হওয়া
যায়। জনৈক সাহাবী মহানবী (স.) এর সাথে কয়েকটি জিহাদে অংশগ্রহণ করেছিলেন। মহানবী (স.) উক্ত সাহাবী
স¤পর্কে মন্তব্য করেছিলেন যে, এ সাহাবী জাহান্নামে প্রবেশ করবে। তখন এ কথা শুনে অন্যান্য সাহাবীগণ এর কারণ
খুঁজে পেলেন না। তারা চিন্তিত হয়ে পড়লেন এবং অপেক্ষা করতে থাকলেন। দেখা গেল যে, উক্ত ব্যক্তি হযরত উমর
(রা) এর রাজত্ব কালে আত্মহত্যা করে মৃত্যুবরণ করেছে। মহানবী (স.) এ ঘটনাটি পূর্বেই জানতেন, তাই তিনি এ
মন্তব্য করেছিলেন। তাছাড়া আত্মহতাকারী ফাসিক তো বটেই। কাজেই উক্ত হাদীসের আলোকে তাকে মুমিন বলা
যথার্থ হবে না। আল্লাহ তাআলাই এ ব্যাপারে ভাল জানেন।
ফিতনা-ফাসাদ বা সন্ত্রাস
ইসলামে অশান্তি, বিশৃঙ্খলা-সন্ত্রাস এবং কলহ-বিবাদের কোন স্থান নেই। সমাজ জীবনে ফিৎনা-ফাসাদ, ঝগড়া-বিবাদ,
সন্ত্রাস-কলহের পরিণতি অত্যন্তভয়াবহ এবং বিভীষিকাময়। মহানবী (স) বলেন-
الا لا تظلموا
“সাবধান ! তোমরা অত্যাচার করো না।”
ফিতনা-ফাসাদ অর্থ ঝগড়া-বিবাদ, হাঙ্গামা, কলহ ও সমাজে ত্রাস সৃষ্টি করা। অন্যায়ভাবে জোর-যুল্ম করে একের
উপর অন্যের প্রভাব খাটাতে গিয়ে বা অন্যায়ভাবে ভোগ-দখলের জন্য ভয়-ভীতি এবং ত্রাস সৃষ্টি করা হয়, তাই
ফিতনা-ফাসাদ ও সন্ত্রাস। সন্ত্রাস শব্দের অর্থ অতিশয় ত্রাস বা ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি। ইংরেজিতে একে ঞবৎৎড়ৎরংস
বলা হয়। কুরআন ও হাদীসের দৃষ্টিতে ফিৎনা-ফাসাদকে এক ধরনের সন্ত্রাস বলা যেতে পারে।
ফিতনা-ফাসাদের পরিণতি
সমাজ জীবনে ফিৎনা-ফাসাদ, ঝগড়া-বিবাদ ও সন্ত্রাস-বিশৃঙ্খলা চরম পরিণতি ডেকে আনে। সমাজের শান্তিবিনষ্ট
হয়। সমাজ জীবন বাসোপযোগী থাকে না, সমাজ জীবন হয়ে উঠে দুর্বিষহ। এজন্য সমাজ জীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা মেনে
وَ لاَ تُفْسِدُوا ْ فِى ٱلأ َرْ ضِ بَعْدَ إ ِصْلاَحِ ھَاছনলেবে ভাষায় হীন্যর্থদ্ব তাআলা আল্লাহ্য জন চলার
“পৃথিবীতে শান্তিপ্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর তোমরা তাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করো না।” (সূরা আল-আ‘রাফ : ৫৬)
وَ لاَ تَبْغ ِ ٱلْفَسَادَ فِى ٱلأ َرْ ضِ إ ِنَّ ٱلل َّھَ لاَ یُحِ بُّ ٱلْمُفْسِدِینَ
“তুমি পৃথিবীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি চাইবে না, নিশ্চয় আল্লাহ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের পছন্দ করেন না।” (সূলা আলকাসাস : ৭৭)
ফিতনা-ফাসাদ এবং বিশৃঙ্খলা যে কত জঘন্য অপরাধ, তা আমরা কুরআন মাজীদের এ একটি আয়াত থেকে বুঝতে
পারি। মহান আল্লাহ বলেন-
وَ ٱلْفِتْنَة ُ أ َشَدُّ مِنَ ٱلْقَتْلِ
“ফিতনা হত্যা অপেক্ষা গুরুতর।” (সূরা আল-বাকারা-১৯১)
ফিতনা-ফাসাদ মানব সমাজ ও সভ্যতার জন্য হুমকিস্বরূপ। ফিতনা মানব সমাজে মারাত্মক বিপর্যয় সৃষ্টি করে, সমাজে
ভাঙ্গন ধরে। এজন্য ফিতনা নির্মূল না হওয়া পর্যন্তফিতনার বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম করার জন্য আল্লাহর নির্দেশ রয়েছে-
وَ قَاتِل ُوھُمْ حَتَّىٰ لاَ تَكُونَ فِتْنَة ٌ
“আর তোমরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে থাকবে যতক্ষণ পর্যন্তফিতনা দূরীভূত না হয়।” (সূরা আল-বাকারা : ১৯৩)
সমাজে ফিতনা-ফাসাদ ও বিশৃঙ্খলা ব্যাপক হওয়ার পূর্বেই সৎ কাজ করার জন্যে এগিয়ে আসার প্রতি উৎসাহ প্রদান
করা হয়েছে। মহানবী (সা) এ প্রসঙ্গে বলেন-
عن ابى ھریرة ان رسول اللھ صѧلى اللѧھ علیѧھ و سѧلم قѧال: بѧادروا بالاعمѧال فتنѧا كقطѧع
اللیѧل المظلѧم یصѧبح الرجѧل مؤمنѧا و یمسѧى كѧافرا او یمسѧى مومنѧا و یصѧبح كѧافرا یبیѧع
دینھ بعرض من الدنیا.
হযরত আবূ হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেন, ফিতনা-ফাসাদ ও বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ার পূর্বেই
তোমরা কল্যাণকর কাজে আত্মনিয়োগ কর। এ বিপর্যয় তোমাদেরকে অন্ধকার রাতের মত গ্রাস করে নেবে। কোন
ব্যক্তির ভোর হবে মুমিন অবস্থায় আর সন্ধ্যা হবে কাফের অবস্থায় অথবা কোন ব্যক্তির সন্ধ্যা হবে মুমিন অবস্থায় আর
সকাল হবে কাফির অবস্থায়। মানুষ দুনিয়ার সামান্যতম স্বার্থের বিনিময়ে নিজের দ্বীনকে বিক্রি করে দেবে।
ব্যাখ্যা
আলোচ্য হাদীসে ফিতনা ফাসাদ ও বিশৃঙ্খলা স¤পর্কে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। ফিতনা-ফাসাদ ও বিশৃঙ্খলা জঘন্য
অপরাধ। ফিতনা-ফাসাদ ও বিশৃঙ্খলার কারণে মানুষের ঈমান বিনষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই মহানবী (সা)
বলেন- এমন সময় আসবে যখন সমাজে ফিতনা-ফাসাদ বিস্তার লাভ করবে এবং ঈমানদারগণ ঈমান ঠিক রাখতে
পারবেনা। পরিস্থিতি এমন হবে যে কোন ব্যক্তি সকাল বেলা মুমিন থাকা সত্তে¡ও সন্ধ্যায় সে কাফির হয়ে যাবে। আবার
কোন ব্যক্তি সন্ধ্যায় মুমিন থাকলেও সকালে সে কাফির হয়ে যাবে। মানুষের কাছে ঈমান ও আমলের তেমন কোন মূল্য
থাকবে না। মানুষ দুনিয়া মুখী হয়ে যাবে এবং সকল কাজ কর্মে আখিরাতের উপর দুনিয়াকে প্রাধান্য দেবে। ফলে
হালাল-হারাম, নৈতিক মূল্যবোধের কোন মূল্য থাকবে না। সমাজ হিংস্র পশুর সমাজে পরিণত হবে। কেননা মানুষের
মধ্যে যে পশুবৃত্তিগুলো রয়েছে সেগুলোর বিস্তার ঘটবে। ধর্মীয় অনুশাসন লোপ পাবে। মানুষের হিতাহিত জ্ঞান লোপ
পেয়ে যাবে। ন্যূনতম স্বার্থের জন্য মানুষ ঈমান বিনষ্ট করে দেবে। তাই সমাজে যাতে ফিতনা ফাসাদ ও বিশৃঙ্খলা,
হত্যা, সন্ত্রাস প্রভৃতি অপরাধ সংঘটিত থেকে না পারে, সেজন্য সমাজের মানুষকে সজাগ থাকতে হবে। সমাজে কোন
অপরাধ দেখা দিলে সামাজিকভাবে তা প্রতিরোধ করা বা সরকারকে সহযোগীতা করা মানুষের ঈমানী দায়িত্ব। আর এ
দায়িত্ব পালন করতে পারলেই সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকবে এবং নিরাপদ মানব সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে।
দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিপ্রদান
প্রায় সর্বযুগেই কিছু পেশাদার সন্ত্রাসী ছিল বলে ইতিহাস থেকে প্রমাণ পাওয়া যায়। সন্ত্রাসই যাদের পেশা, দৃষ্টান্তমূলক
শাস্তিই তাদের প্রাপ্য। আর রাসূল (সা)-এর শিক্ষাও তাই। যেমন- একদা কতিপয় বেদুঈন মুনাফিক মুসলমানের
ছদ্মবেশে রাসূল (সা)-এর নিকট আসল। তাদের শরীর ছিল রোগে-শোকে জীর্ণ-শীর্ণ। রাসূল (সা) চিকিৎসা স্বরূপ
তাদেরকে একটি উটের পাল দেখিয়ে দিলেন এবং সেখানে গিয়ে উটের দুধ পান করতে বললেন। কিছু দিনের মধ্যেই
তারা সুস্থ ও সবল হয়ে উঠল এবং উটের রাখালকে হত্যা করে উটগুলো নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল। এ সংবাদ রাসূলের
নিকট পৌঁছলে তাঁর নির্দেশে কয়েকজন সাহাবা তাদের পিছনে ধাওয়া করলেন এবং তাদেরকে বন্দী করে মহানবী
(সা)-এর দরবারে হাজির করলেন। অতপর মহানবী (সা)-এর নির্দেশে শাস্তিস্বরূপ তাদের হাত-পা কেটে উত্তপ্ত পাথুরে
ভূমিতে ফেলে রাখা হল। তারা পানি পানি বলে চিৎকার করল। কিন্তু তাদেরকে পানি দেয়া হয়নি। (বুখারী খ. ১ম,
তাহারাত, পৃ. ৩৬-৩৭)
পবিত্র কুরআনেও বলা হয়েছে, “যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং দুনিয়ায় ধ্বংসাত্মক কাজ করে
বেড়ায় এটাই তাদের শাস্তিযে, তাদের হত্যা করা হবে অথবা ক্রুশবিদ্ধ করা হবে অথবা বিপরীত দিক থেকে তাদের
হাত ও পা কেটে ফেলা হবে অথবা তাদেরকে দেশ থেকে নির্বাসিত করা হবে।।” (সূরা আল-মায়িদা ঃ ৩৩)
ইমাম ইবনে তাইমিয়া বলেন, “বিপর্যয় এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী আক্রমণকারীর মতই। আর আক্রমণকারীকে হত্যা না
করা হলে সে যদি আক্রমণ থেকে বিরত বা দমন না হয়, তাহলে তাকে হত্যা করা হবে।”
১. শূন্যস্থান পূরণ করুন
ক. কোন মুসলমানকে হত্যা.........., তাকে গালি দেওয়া ........... কোন মুলমানের জন্য ........... নয় যে সে তার
ভাইয়ের সাথে ............. বলা ............. রাখবে।
খ. খায়বরের একজন ............ নারী ........... সাথে মিশ্রিত করে .......... এর নিকট স্বরূপ প্রেরণ করে। রাসূলুল্লাহ
(সা) তার রানের ........ করেন এবং ........... কেউ কেউ তা ............ করে।
গ. এক ইয়াহূদী .......... লোভে জনৈক ........... মেয়েকে ........... করে ............ নিক্ষেপ করে এবং তার
............ পাথর দিয়ে ........... করে। সে .......... হয়ে নবী করীম (সা) -এর ........ হলে তিনি তাকে
............ নির্দেশ দেন। এরপর তাকে ........... করা হয়।
২. উত্তর সঠিক হলে ‘স’ এবং মিথ্যা হলে ‘মি’ লিখুন।
ক. হত্যার বিনিময়ে হত্যাকারীকে হত্যা করা ইসলামের বিধান।
খ. বিষ মিশ্রিত গোশত খেয়ে কোন এক সাহাবী মারা যান।
গ. সকল মুসলমানের রক্ত সমান নয়।
ঘ. ইসলামী বিধান মতে একজনের অপরাধে অন্যজন অপরাধী সাব্যস্তহবে।
ঙ. ফিতনা-ফাসাদ ও বিশৃঙ্খলা দ্বারা সমাজ জীবনে শান্তিবিঘিœত হয় না।
সংক্ষিপ্ত উত্তর-প্রশ্ন
১. ইসলামে হত্যার শাস্তির বিধান লিখুন।
২. কাফিরের বিনিময়ে কোন মুসলমানকে হত্যা করা যাবে কী? হাদীসের আলোকে লিখুন।
৩. রক্তপণ গ্রহণ করার পর হত্যাকারীকে হত্যা করার বিধান কী? লিখুন।
৪. আত্মহত্যাকারীর বিধান লিখুন।
৫. ফিতনা-ফাসাদ কী? ফিতনা-ফাসাদের পরিণতি আলোচনা করুন।
রচনামূলক উত্তর-প্রশ্ন
১. হাদীসের আলোকে হত্যা, ফিতনা-ফাসাদ, সন্ত্রাস ও অধিকার হরণ সম্পর্কেবিস্তারিত আলোচনা করুন।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]