ইলমুল কালামের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ সম্পর্কে একটি নাতিদীর্ঘ প্রবন্ধ রচনা করুন।

কালাম শাস্ত্রের উৎপত্তি
ইসলামের প্রথম যুগের মুসলমানগণ কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত ইসলামের আকীদা সংক্রান্তবিষয়গুলো
মেনে নিয়েছিলেন। তাই তারা কুরআন ও হাদীস ব্যতীত অন্য কোন জ্ঞান চর্চার প্রতি দৃষ্টিপাত
করেননি। কারণ এ ব্যাপারে তাদের ঈমান ছিল সহজ ও সরল অথচ খুবই দৃঢ় ও মজবুত। তাদের
ঈমান ও বিশ্বাসের ব্যাপারে কোন জটিলতা ছিল না। হযরত মুহম্মদ (স.)-এর জীবিত থাকাকালে যখন
সাহাবীগণ কোন সমস্যার সম্মুখীন হতেন, তখন তারা উক্ত সমস্যা হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর নিকট
পেশ করতেন। তিনি অত্যন্তসহজভাবে এর সামধান করে দিতেন। ফলে ঈমান ও আকীদার ব্যাপারে
দার্শনিক ব্যাখ্যা এবং যুক্তিতর্কের কোন প্রয়োজনই হত না। অতএব বলা যায় যে, ইসলাম আরব ভ‚-
খÐে সীমাবদ্ধ থাকাকালীন অবস্থায় ইলমুল কালামের উৎপত্তি হয়নি।
পরবর্তীকালে ইসলামের ব্যাপক বিজয় সংঘটিত হয়। ফলে ইসলাম আরবের বাইরে প্রসার লাভ করে।
এতে মুসলমানগণ অনারব বিভিন্ন জাতির চিন্তাধারা, ধর্মীয় বিশ্বাস, শিক্ষা-সংস্কৃতি এবং দার্শনিক
মতাদর্শের সংস্পর্শে আসে। আরব-অনারব উভয়ের মধ্যে পরস্পর ভাবের আদান-প্রদান হতে থাকে।
ফলে ইয়াহূদী, খ্রিস্টান ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীগণ ইসলামী বিশ্বাস ও চিন্তাধারা সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করে
তাদের চিন্তাধারা ও সাংস্কৃতিক ছাঁচে উক্ত ইসলামী বিশ্বাস ও চিন্তাধারাকে তুলনা করতে থাকে। তদুপরি
অবান্তর যুক্তি-প্রমাণের সাহায্যে ইসলামী বিশ্বাস ও চিন্তাধারার মধ্যে দ্বিধা ও সন্দেহের বীজ বপন করার
চেষ্টা করে। তারা দর্শনের অন্তরালে থেকে নানা প্রকার তর্ক-বিতর্কের মাধ্যমে ইসলামী আকীদার উপর
নানা প্রকার প্রশ্ন উত্থাপন করে সন্দেহ সৃষ্টি করার চেষ্টা চালায়। আব্বাসীয় যুগে অবাধ ধর্মীয় স্বাধীনতা
এবং মুক্তবুদ্ধির চর্চার ফলে তাদের সুযোগ আরও বেড়ে যায়।
আব্বাসীয় যুগে খলীফা মনসুরের রাজত্বকালে জ্ঞান-বিজ্ঞানের গবেষণাগার স্থাপিত হয়। জ্ঞান-বিজ্ঞান
সংক্রান্তবিভিন্ন পুস্তক বিশেষ করে পারস্য ও গ্রীক দর্শনের পুস্তকসমূহ আরবিতে অনুবাদ করা হয়।
ভারতীয় সংস্কৃতি ও চিন্তাধারা বিষয়ক পুস্তকগুলো সংস্কৃত ভাষা হতে আরবি ভাষায় অনুবাদ করা হয়।
ফলে মুসলমানগণ এ সমস্তবিজাতীয় দর্শন সম্বন্ধে জ্ঞান লাভ করে যুক্তি-তর্কের সংস্পর্শে আসে এবং
ইসলামী বিশ্বাস ও চিন্তাধারা সম্পর্কে বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এমনকি তাদের একদল লোক
জীবনের সমস্তকার্যকলাপকে দার্শনিক যুক্তি-প্রমাণের মাপকাঠিতে বিচার-বিশ্লেষণ করতে শুরু করে।
ইসলামী বিশ্বাস ও চিন্তাধারায় নানা রকম জটিল প্রশ্নের উদ্ভব হয়। এতে মুতাযিলা, কাররামিয়া ও
জাহমিয়া নামে বÐ ভ্রান্তমতবাদপুষ্ট দলের সৃষ্টি হয়। তাই মুসলমানদেরকে সঠিক ইসলামী আকীদার
উপর টিকিয়ে রাখার জন্য আকীদায় দ্বিধা ও সন্দেহ পোষণ হতে মুক্ত করার উদ্দেশ্য এবং ইসলাম
বিরোধী যুক্তি-তর্কসম্বলিত প্রশ্নাবলী দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়ার জন্য ইলমুল কালামের সৃষ্টি হয়।
মুসলমানগণ অক্লান্তপরিশ্রম ও অবর্ণনীয় সাধনার মাধ্যমে পাশ্চাত্য দর্শন শিক্ষা লাভ করেন। এরপর
কুরআন ও হাদীসের উপর ভিত্তি করে দার্শনিক যুক্তি তর্কের মাধ্যমে ইসলামী বিশ্বাস ও চিন্তাধারাকে
মজবুতভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত করেন। যে সকল মনীষী এ মহান কাজে ব্রতী ছিলেন তাদের মধ্যে আবু
মুসলিম, আবুল কাসেম বলখী ও আবু বকর সমধিক প্রসিদ্ধ। অবশ্য কখনও এ বিদ্যার তেমন কোন
ব্যাপকতা ও জনপ্রিয়তা গড়ে উঠেনি। অতঃপর আব্বাসীয় খলীফা আল-মাহদীর আমলে ইলমুল
কালামের ক্রমবিকাশ ঘটে। খলীফা আল-মাহদী ইসলামী বিশ্বাসসমূহকে দার্শনিক বিচার-বিবেচনা ও
যুক্তি-তর্কের ভিত্তিতে সুপ্রতিষ্ঠিত করার উদ্দেশ্য সমসাময়িক আলেম স¤প্রদায়কে বই-পুস্তকাদি রচনা
করার জন্য আহবান জানালেন। তাঁরা অক্লান্তপরিশ্রম করে যুক্তি প্রমাণের সাহায্যে ইসলামদ্রোহীদের
অবান্তর প্রশ্নাবলীর দাঁতভাঙ্গা জবাব দেন এবং ইসলামী আকীদা ও বিশ্বাস সংক্রান্তবিষয়াদি সুপ্রতিষ্ঠিত
করেন। অবশেষে ইমাম গাযালী, ইমাম ফখরুদ্দন রাযী, ইমাম আশআরী, ইমাম মাতুরিদী প্রমুখ
মনীষীগণ এ বিদ্যার পৃষ্ঠপোষকতা করেন। তাঁরা দর্শন, বিজ্ঞানভিত্তিক ও বিবেকসম্মত যুক্তি-প্রমাণাদি
দ্বারা ইসলামী বিশ্বাসসমূহকে যথাযথভাবে প্রতিষ্ঠিত করেন। তাঁরা বÐসংখ্যক বিজ্ঞানসম্মত দর্শনভিত্তিক
পুস্তক রচনা করে ইলমুল কালামের জনপ্রিয়তা গড়ে তোলেন। তাঁরা ইলমুল কালামকে একটি স্বতন্ত্র শাস্ত্র
হিসেবে রূপদান করে মুসলমানদেরকে সঠিক পথের নির্দেশ দেন। ফলে ইলমুল কালাম অত্যন্তসমাদৃত
হয় এবং প্রসার লাভ করে। এ ভাবেই ইলমুল কালামের উৎপত্তি এবং আস্তেআস্তেক্রমবিকাশ ঘটে।
ইলমুল কালাম-এর নামকরণের তাৎপর্য
ইসলামী আকীদা-বিশ্বাস সম্পর্কিত বিদ্যাকে ইলমুল কালাম বা ‘কালাম শাস্ত্র’ হিসেবে নামকরণের কারণ
উল্লেখ করতে গিয়ে আল্লামা নাসাফী নি¤েœাক্ত অভিমত উল্লেখ করেছেন১. ইসলামের প্রাথমিক যুগে মুসলিম দার্শনিক ও বিরোধী শক্তির মধ্যে আকীদা সংক্রান্তকোন বিষয়ে
যখন মুনাজারা বা বাক-বিতÐা হত, তখন আলোচনার শিরোনামে وكذا كذا فى الكلام) এ বিষয়ে
অথবা ঐ বিষয়ে আলোচনা) ইত্যাদি লেখা হত। মুসলিম দার্শনিকদের আলোচনার শিরোনামে
লিখিত الكلام শব্দ থেকে ‘কালাম’ শাস্ত্রের নামকরণ হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
২. আব্বাসীয় আমলে আল-কুরআন ‘কাদীম ও হাদিস’ অর্থাৎ চিরন্তন ও নশ্বর সংক্রান্তমাসআলাটি
এতই জটিল রূপ লাভ করে যে, এবিষয়কে কেন্দ্র শক্তিশালী বাতিল মহল আহলে হকের অসংখ্য
লোককে নির্বিচারে হত্যা করে। ইলমুল কালাম বা কালাম শাস্ত্রে আল্লাহর কালাম তথা আলকুরআন সংক্রান্তমাসআলাটি সর্বাধিক প্রসিদ্ধ ও সবচেয় বেশি বাক-বিতÐার মাসয়ালা হিসেবে গণনা
করা হয়। তাই এ শাস্ত্রকে ইলমুল কালাম নামে অভিহিত করা হয়।
৩. ‘ইলমুল মানতিক’ (তর্ক বিদ্যা) অধ্যয়ন যেরূপ দার্শনিক ও যুক্তি তর্কভিত্তিক আলোচনায় শক্তি
সামার্থ্যরে যোগান দেয়, তেমনি ইলমুল কালাম ও শরয়ী মাসআলাগুলোর বিচার-বিশ্লেষণ এবং
আলোচনায় শক্তি-সামর্থ্যরে যোগান দেয়। কাজেই এ শাস্ত্রকে ইলমুল কালাম বলে।
৪. বয়ঃপ্রাপ্ত হওয়ার পর সর্বপ্রথম যে বিদ্যা শিক্ষা করা একান্তপ্রয়োজন তা হল আকায়িদ সম্পর্কিত
শিক্ষা। এ শিক্ষা অর্জন করা, শিক্ষা প্রদান করা যেহেতু কালামের (কথা) সাহায্যে হয়ে থাকে,
তাই এ বিদ্যাকে ‘আল-কালাম’ হিসেবে নামকরণ করা হয়।
৫. আকায়িদ সম্পর্কিত জ্ঞানার্জন করতে হলে কালাম বা পারস্পরিক আলোচনা ও বাক্য বিনিময় করার
প্রয়োজন হয়। মূলত কালাম বা বাক্য বিনিময় অর্থাৎ আলোচনা ও বিতর্ক ব্যতীত আকায়িদ
সম্পর্কে সুষ্পষ্ট ধারণা লাভ করা যায় না। কিন্তু অন্যান্য বিদ্যা অধ্যয়ন ও চিন্তা-ভাবনার মাধ্যমেও
জানা যায়। ফলে একে ‘ইলমুল কালাম’ হিসেবে নামকরণ করা হয়।
৬. ‘কালাম’ শব্দের অর্থ-বাক্য, আকায়িদ সম্পর্কিত বিষয়ে বিরুদ্ধবাদীদের দ্বিধা-সংশয়, যুক্তি-প্রমাণ
খÐন করার জন্য খুব বেশি যুক্তিপূর্ণ কালাম বা বাক্য বিনিময়ের দরকার হয়। এ যুক্তি কালাম বা
বাক্য প্রয়োগের কারণে এ শাস্ত্রের নাম ‘ইলমুল কালাম’ রাখা হয়েছে।
৭. দু’টি কথার মধ্যে যে কথাটি অধিক শক্তিশালী ও যুক্তি প্রমাণ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত, আরবি ভাষায় তাকে
বলা হয় الكلام ھو ھذا বা এটাই একমাত্র কথা। ইলমুল কালামের আলোচনা অন্যান্য বিদ্যার
তুলনায় অত্যধিক শক্তিশালী যুক্তি-প্রমাণের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। কাজেই এ শাস্ত্রকে ইলমুল কালাম বা
কথার মত কথা বিদ্যা বলা হয়।
৮. ইলমুল কালাম -এর সম্পূর্ণ আলোচনা অকাট্য যুক্তি-প্রমাণের উপর প্রতিষ্ঠিত, যার অধিকাংশই
কুরআন, হাদীস ও ইজমা থেকে নেওয়া। যার ফলে ‘ইলমুল কালাম’ হিসেবে নামকরণ করা
খলিফা আল-মাহদী ইসলামী
বিশ্বাসসমূহকে দার্শনিক
বিচার-বিবেচনা ও যুক্তি-
তর্কের ভিত্তিতে সুপ্রতিষ্ঠিত
করার উদ্দেশ্যে সমসাময়িক
আলেম স¤প্রদায়কে
আহবান জানালেন। তাঁরা
অক্লান্তপরিশ্রম করে
ইসলামী আকীদা ও বিশ্বাস
সংক্রান্তবিষয়াদি সুপ্রতিষ্ঠিত করেন।
হয়েছে। কারণ الكلام শব্দটির অর্থ-আঘাত করা যা সাধারণত অন্তরের উপর প্রভাব বিস্তার করে
থাকে।
ঐতিহাসিক ইবনে খাল্লিকানের (র.) মতে, আল্লাহর কালাম সম্পর্কে যেহেতুসর্বপ্রথম বিভ্রান্তির সৃষ্টি করা
হয় আর কালাম শাস্ত্রের মাধ্যমেই এ বিভ্রান্তিদূরীভ‚ত হয়, তাই ইসলামী আকীদার পরিবেশক হিসেবে এ
শাস্ত্রকে ‘ইলমুল কালাম’ বলা হয়।
আল্লামা মুহাম্মদ আলী (র.) বলেন, ‘আল-কালাম’ তথা কালামুল্লাহ বা আল-কুরআন নশ্বর না কি
অবিনশ্বর, কাদীম না কি হাদিস -এ মাসআলাই হল ‘ইলমুল কালামের’ প্রথম মাসয়ালা এবং এ
মাসআলাকে কেন্দ্র করেই এ শাস্ত্রের উৎপত্তি , তাই এ শাস্ত্রকে ‘ইলমুল কালাম’ হিসেবে নাম রাখা
হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পÐিতগণ দার্শনিক আলোচনার সাহায্য-সহযোগিতার্থে একটি শাস্ত্রের আবিষ্কার
করেন এবং ইলমুল মানতিক হিসেবে তার নামকরণ করেন। পক্ষান্তরে মুসিলম পÐিতগণ ও ইসলামী
আকায়িদের আলোচনার সুবিধার্থে অন্য একটি বিদ্যার আবিষ্কার করেন এবং ইলমুল কালাম হিসেবে তার
নামকরণ করেন, যাতে উদ্দেশ্য ও নামকরণের দিক থেকে দু’টি শাস্ত্রই স্বতন্ত্রও বৈশিষ্ট্যপূর্ণ।
সারসংক্ষেপ
ইসলামের প্রথম যুগের মুসলমানগণ আল্লাহর রাসুল (স.), সাহাবায়ে কিরাম ও তাবিঈগণের কাছ
থেকে ইসলামের মুল আকীদা-বিশ্বাস সরলভাবে শিক্ষা করেছেন। পরবর্তীকালে ইসলামের ব্যাপক
প্রসারতার ফলে মুসলমানগণ বিজাতীয় জ্ঞান-বিজ্ঞান, দর্শন ও সংস্কৃতির সংস্পর্শে আসে। তাছাড়া
রাজনৈতিক নানাবিধ কারণে মুসলানদের মধ্যে নানা রকম ফিৎনা-ফাসাদ ও ভ্রান্তমতবাদের সৃষ্টি
হয়। ফলে ইসলামের আকীদা-বিশ্বাসের মধ্যে সন্দেহ-সংশয় সৃষ্টি করার ক‚ট-কৌশল চলে।
আর সে সব সন্দেহ-সংশয়, মিথ্যাবাদ ও ভ্রান্তধারণা দূর করার জন্য ইলমুল কালাম-এর উদ্ভব হয়।
বিশেষত গ্রিক দর্শনের মোকাবেলায় ইসলামী দর্শনের যৌক্তিকতা ও যথার্থতা তুলে ধরার জন্য ১৫৮
হিজরীতে আব্বাসীয় খলিফা আল-মাহদী ইলমুল কালাম চর্চার জন্য উৎসাহিত করেন। পরবর্তী
খলীফা মামুনুর রশীদ ও খলিফা ওয়াসেক বিল্লাহ ও বার্মাকী মন্ত্রীদের স্বতঃস্ফূর্ত সাহায্য-সহযোগিতায়
‘ইলমুল কালাম’-কে একটি স্বতন্ত্র শাস্ত্র বা বিজ্ঞান হিসেবে রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু মুহাদ্দিস
ও কট্টরপন্থীদের বিরোধিতায় তা পূর্ণাঙ্গ শাস্ত্র হিসেবে পরিচিত হতে পারেনি। পরবর্তীকালে ইমাম
গাযালী, ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী, ইমাম আশআরী, ইমাম মাতুরিদী প্রমুখ মনীষীগণের প্রচেষ্টায়
‘ইলমুল কালাম’ একটি পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান-শাস্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ও বিকশিত হয়।
 সঠিক উত্তরে টিক ( চিহ্ন দিন১. ইসলামের প্রথম যুগের মুসলমানগণ একান্তভাবে কিসের উপর আমল করতেন?
ক. কুরআন ও হাদীসের উপর; খ. রাসূলের কথার উপর;
গ. সাহাবীগণের আমলের উপর; ঘ. ইজমা ও কিয়াসের উপর।
২. হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর জীবদ্দশায় কিসের বেশি প্রয়োজন হত না?
ক. কুরআন ও হাদীসের; খ. দার্শনিক ব্যাখ্যা ও যুক্তি-তর্কের;
গ. সাহাবীদের কথার; ঘ. ইলমুল কালামের।
৩. ইসলামের বিশ্বাসের মধ্যে কারা সংশয় সন্দেহের সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালায়ক. ইয়াহূদী-খ্রিষ্টান ও অন্য ধর্মাবলম্বীগণ; খ. গ্রীক দার্শনিকগণ;
গ. মুতাযিলা ও খারিজীগণ; ঘ. আরব পÐিতগণ।
৪. কোন সময়ে জ্ঞান-বিজ্ঞানের গবেষণাগার স্থাপিত হয়?
ক. রাসুলের যুগে; খ. সাহাবীদের যুগে;
গ. উমাইয়া রাজত্বকালে; ঘ. আব্বাসীয়া খলীফা মানসুরের রাজত্বকালে।
৫. কোন খলীফার আমলে ইলমুল কালাম প্রতিষ্ঠা লাভ করে?
ক. খলীফা উমর (রা.); খ. খলীফা মনসুর;
গ. খলীফা হারুন অর রশিদ; ঘ. খলীফা আল-মাহদী।
৬. ইলমুল কালামকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দান করেন কোন মনীষীগণ?
ক. ইমাম আবু হানীফা, ইমাম শাফেঈ, ইমাম মালিক ও ইমাম আহমদ;
খ. ইমাম গাযালী, ফখরুদ্দীন রাযী, আশয়ারী, মাতুরিদী;
গ. ইমাম আওযায়ী, ইমাম সারাখসী, ইমাম হাসান;
ঘ. ইমাম বুখারী, ইমাম মুসলিম, ইমাম তিরমিযী।
৭. মুসলিম দার্শনিকদের আলোচনার কোন শিরোনাম থেকে ‘কালাম’ শাস্ত্রের নামকরণ হয়?
ক. কালাম শব্দ থেকে; খ. মানতিক শব্দ থেকে;
গ. নাÐ শব্দ থেকে; ঘ. তাসাউফ শব্দ থেকে।
সংক্ষিপ্ত উত্তর-প্রশ্ন
১. ইলমুল কালাম-এর উৎপত্তি সন্বদ্ধে একটি টীকা লিখুন।
২. ইলমুল কালাম-এর নামকরণের কারণ হিসেবে তিনটি যুক্তিযুক্ত কারণ বিশ্লেষণ করুন।
৩. ইলমুল কালাম বা কালাম শাস্ত্রের কয়েকজন মনীষীর নাম লিখুন ও তাঁদের পরিচয় দিন।
বিশদ উত্তর-প্রশ্ন
১. ইলমুল কালামের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ সম্পর্কে একটি নাতিদীর্ঘ প্রবন্ধ রচনা করুন।
২. ইলমুল কালামের নামকরণের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করুন।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]