মুতাযিলা ও আশআরিয়া মতবাদের পরিচয় দিন। মুতাযিলা মতবাদের মূলনীতিসমূহ আলোচনা

وَ مَا رَ بُّكَ ب ِظَلا َّمٍ ل ِّلْع َب ِیدِ
“তোমার প্রতিপালক তাঁর বান্দাদের প্রতি অবিচার করেন না।” (সূরা হা-মীম আস-সাদজা : ৪৬)
আল-ওয়াদ ওয়াল-ওয়াঈদ বা পুরস্কারের প্রতিশ্রæতি ও শাস্তির ভীতি
আল্লাহ তাঁর বান্দাদের মাঝে যারা পুণ্যবান তাদের পুরস্কার এবং যারা পাপী তাদেরকে শাস্তিপ্রদানের
ওয়াদা করেছেন। তিনি কখনও তাঁর ওয়াদা খেলাপ করেন না। একাজ তাঁর কর্তব্য। কেননা পুন্যবানকে
পুরস্কার না দেওয়া এবং পাপীকে শাস্তিনা দেওয়া ন্যায়বিচারের পরিপন্থী। আল্লাহ বলেন-
إ ِنَّ ٱلل َّھَ لاَ یُخْلِفُ ٱلْمِیع َادَ
“নিশ্চয় আল্লাহ ওয়াদা খেলাফ করেন না।” (সূরা আলে-ইমরান: ৯, সূরা রা‘দ:৩১)
আল-মানজিলাতু বায়নাল মানযিলাতায়নঃ দুই অবস্থার মধ্যবর্তী অবস্থা
বিশ্বাস ও আমল এ দু’য়ের সমন্বয়ে হল ঈমান। বিশ্বাস এবং আমল হল ঈমানের দু’টি অঙ্গ। এদের যে
কোন একটি ছাড়া ঈমান হতে পারে না। কোন বান্দা যদি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি বিশ্বাস রাখা
অবস্থায় কোন কবীরা গুনাহ করে বসে, তাহলে সে আর মুমিন থাকে না। আবার কাফির ও হয়ে যায়
না। ঈমান ও কুফুরির মধ্যবর্তী স্থলে অবস্থান করে। এমতাবস্থায় তার মৃত্যু হলে সে দোযখে যাবে। তবে
তার শাস্তিকাফিরদের তুলনায় কিছুটা লঘু হবে। মহান আল্লাহ ঘোষণা করেছেন-
أ َفَمَن كَانَ مُؤْ مِنا ً كَمَن كَانَ فَاسِقا ً لا َّ یَسْتَوُ ونَ
“তবে যে ব্যক্তি মুমিন, সে কি পাপাচারীর ন্যায়? তারা সমান নয়।” (সূরা আস-সিজদা : ১৮)
لا یزنى الزانى حین یزنى وھو مؤمنলনবে.) স (করীম নবী
“ব্যভিচারী মুমিন থাকা অবস্থায় ব্যভিচার করতে পারে না।” (মিশকাত)
আল-আমরু বিল-মারূফ ওয়ান-নাহী আনিল-মুনকার বা সৎ কাজের আদেশ এবং মন্দ কাজের নিষেধঃ
কোন লোক কেবল নিজে মুমিন এবং পুণ্যবান হলেই তার দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। অন্যরাও যাতে
ঈমানদার এবং পুণ্যবান হতে পারে সেজন্য সচেষ্ট হওয়াও তার জন্য একটি অপরিহার্যকর্তব্য। এ
সম্পর্কে আল্লাহ ঘোষণা করেন-
وَ لْتَكُنْ مِّنْكُمْ أ ُمَّة ٌ یَدْعُونَ إ ِل َى ٱل ْخَیْرِ وَ یَأ ْمُرُ ونَ ب ِٱلْمَعْرُ وفِ وَ یَنْھَوْ نَ عَنِ
ٱلْمُنْكَرِ
“তোমাদের মাঝে এমন একদল লোক হোক যারা কল্যাণের দিকে আহবান করবে এবং সৎকাজের
নির্দেশ দেবে ও অসৎ কাজে নিষেধ করবে।” (সূরা আলে-ইমরান : ১০৪)
রাসূলুল্লাহ (স.) বলেন, “যদি একটি আয়াতও হয়, তাও তোমরা আমার নিকট হতে অপরের নিকট
পৌঁছে দাও।” (মিশকাত)
আশআরিয়া মতবাদ
আশআরিয়া মতবাদের প্রতিষ্ঠাতা হলেন বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আবু মূসা আল-আশআরী (রা)-এর
বংশধর ইমাম আবুল হাসান আল-আশআরী। তাঁরই নামানুসারে এ মতবাদ আশআরিয়া মতবাদ নামে
পরিচিতি লাভ করে। জাবারিয়া এবং কাদারিয়াদের উত্তরসূরী মুতাযিলা মতবাদের মাঝামাঝি একটি
মধ্যমপন্থী মতবাদ হিসেবে আশআরিয়া মতবাদ পরিচিত।
মুতাযিলাদের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ ছিল অনেক জটিল। সাধারণ জনগণের নিকট যা সহজ বোধ্য বলে মনে
হয়নি। এ কারণে জনগণের বিভ্রান্তহওয়ারও যথেষ্ট সম্ভাবনা ছিল। তাই রক্ষণশীল আলিম সমাজ এ
মতবাদকে ভাল চোখে দেখেননি। যার ফলে মুতাযিলা মতবাদের সমর্থক আব্বাসীয় খলীফা মামুন এই
রক্ষণশীল আলিমগণের উপর নির্যাতন চালাতে শুরু করেন। এতে হিতে বিপরীত হয়। খলীফার এহেন
আশআরিয়া মতবাদের
প্রতিষ্ঠাতা হলেন বিশিষ্ট
সাহাবী হযরত আবু মুসা
আল -আশআরী (রা)-এর
বংশধর ইমাম আবুল হাসান
আল-আশআরী। তাঁরই
নামানুসারে এ মতবাদ
আশআরিয়া মতবাদ নামে
পরিচিতি লাভ করে
আচরণে জনগণ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এ সঙ্কট থেকে মুক্তি লাভের উদ্দেশ্য ‘ইখওয়ানুস সাফা নামক একদল
বিদগ্ধ পÐিত ধর্মতত্ত¡সংক্রান্তবিভিন্ন বিষয়ের উপর বÐ সংখ্যক মূল্যবান পুস্তক রচনা করেন ও ব্যাপক
প্রচার কাজ চালান। মুসলিম সমাজের এ ক্রান্তিকালে ইমাম আশআরী তাঁর মধ্যমপন্থী মতবাদ নিয়ে
জনগণের সম্মুখে উপস্থিত হন। আমরা জানি, আশআরী মতবাদের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন আবুল হাসান আলী
বিন ইসমাঈল আল-আশআরী (৮৭৩-৯৩৫)।
একবার আল-আশআরী তাঁর শিক্ষক আল-জুবাইকে একটি সমস্যা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। একই
পরিবারে তিন ভাই, প্রথম ভাই ঈমানদার ও চরিত্রবান, দ্বিতীয় ভাই বেঈমান ও চরিত্রহীন, তৃতীয় ভাই
অপ্রাপ্তবয়স্ক বালক। ঘটনাক্রমে তিন ভাইয়ের একত্রে মৃত্যু হল। আশআরী জানতে চাইলেন যে,
উপরিউক্ত তিনজনের কার প্রতি আল্লাহ কিরূপ বিচার করবেন। ওস্তাদ জুবাই উত্তর দিলেন, ঈমানদার
ভাই জান্নাতবাসী এবং বেঈমান ভাই জাহান্নামী, তৃতীয় নাবালক ভাই মধ্যবর্তী স্থান লাভ করবে এবং
মুক্তি প্রাপ্তদের মধ্যে গণ্য হবে।’ আশআরী বললেন, বালকটি যদি জান্নাতের দাবী করে তবে কি তাকে
তা দেওয়া হবে? জুবাই বলেন, না। তাকে বলা হবে, তোমার ভাই ঈমান ও নেক আমলের দ্বারা এ
মর্যাদা লাভ করেছে। তোমার ঈমান ও আমল কিছুই নেই, সুতরাং তুমি এ মর্যাদার আশা করতে পার
না। আশআরী বললেন, তখন যদি বালকটি বলে, আমাকে তো ঈমান ও নেক আমল অর্জনের জন্য
হায়াত দেওয়া হয়নি। জুবাই বললেন, তখন আল্লাহ বলেন, আমি জানতাম যে, তোমাকে হায়াত দান
করলে তুমি বেঈমান হয়ে পাপের কাজ করবে। অতএব তোমার কল্যাণের জন্যই তোমাকে হায়াত
দেওয়া হয়নি। আশআরী বললেন, তখন যদি বেঈমান ভাইটি বলে, হে আল্লাহ! আপনি আমার ছোট
ভাইয়ের ভবিষ্যৎ যেমনি জানতেন, নিশ্চয় আমার ভবিষ্যৎ ও তেমনি জানতেন। তবে আমার কল্যাণের
জন্য শৈশবকালে আমাকে মৃত্যুদান করলেন না কেন? জুবাই তখন হতবাক হয়ে গেলেন, এর কোন
জবাব দিতে পারলেন না। এ ঘটনার পর থেকেই ইমাম আল-আশআরী মুতাযিলা মতবাদ পরিত্যাগ
করে হাদীস ও কুরআন ভিত্তিক ধর্মীয় মতবাদ প্রচারে নিজে মনোনিবেশ করেন।
জাবারিয়া মতবাদে কর্ম ও ইচ্ছায় মানুষের কোন স্বাধীনতা নেই। আল্লাহ মানুষের কর্ম ও ইচ্ছা সৃষ্টি করে
থাকেন। এ ব্যাপারে মুতাযিলাদের মতবাদ হল, কর্ম এবং ইচ্ছায় মানুষ সম্পূর্ণ স্বাধীন। মানুষ নিজেই
তার যাবতীয় কাজের কর্তা বা স্রষ্টা। এ দুই মতের মধ্যবর্তী মত পোষণ করে আশআরিয়াগণ বলেন,
‘বান্দার সকল কাজই আল্লাহ পাকের ইচ্ছা ও শক্তিতে সংঘটিত হয়। আল্লাহ বান্দাকে এ কাজ অর্জন বা
বর্জন করার স্বাধীনতা দিয়েছেন। এ স্বাধীনতার জন্যই বান্দা তার কৃতকর্মের জন্য দায়ী হবে। অতএব
আল্লাহ হলেন বান্দার কাজের সৃষ্টিকর্তা। আর বান্দা হলেন তার অর্জনকারী বা সম্পাদনকারী।
জাবারিয়া স¤প্রদায়ের একটি উপদল সিফাতিয়াদের মতে আল্লাহর সিফাত বা গুণাবলী বিদ্যমান।
আল্লাহর এ গুণাবলী বা সিফাতসমূহ তাঁর যাত বা সত্তা বহির্ভূত পৃথক সত্তা এবং তা অবিনশ্বর। এ
দলেরই চরম পন্থী মুশাববিহা গ্রæপ বলেন, আল্লাহর গুণাবলী মানুষের গুণাবলীরই অনুরূপ। অপরদিকে
মুতাযিলাগণ বলেন, আল্লাহর কোন সিফাত বা গুণাবলীই নেই। সিফাত বলতে যা কিছু বুঝায় তা তাঁর
যাতেরই বহিঃপ্রকাশ মাত্র। এ ব্যাপারে মধ্যপন্থী আশআরিয়া বলেন, আল্লাহর সিফাত রয়েছে। তবে এ
সিফাতসমূহ তাঁর যাতও নয়, আবার যাতের বহির্ভূত পৃথক সত্তাও নয়। যেমন-সূর্যের রশ্মিমালা, এটা
সূর্যনয়, আবার সূর্যের বহির্ভূত কোন পৃথক সত্তাও নয়।
মুতাযিলাদের মতে ভাল-মন্দ, ন্যায়-অন্যায় এবং হালাল-হারাম নিরূপণের মানদÐ হচ্ছে মানুষের বিবেক
বুদ্ধি। মানুষ তার এ বিবেক বুদ্ধির সাহায্যে কোনটা ভাল আর কোনটা মন্দ তা নির্ধারণ করতে সক্ষম।
ওহী মানুষের বিবেক বুদ্ধিকে সমর্থন ও সহায়তা করে থাকে। পক্ষান্তরে আশআরিয়াগণের অভিমত হল
ভাল-মন্দ এবং বৈধ-অবৈধ নির্ধারণের নির্ভুল মানদÐ হল ওহী বা ঐশী কালাম। তবে মানুষের সুস্থ
বিবেক বুদ্ধি প্রায় ক্ষেত্রেই এর যৌক্তিকতা এবং যথার্থতা উপলব্ধি করতে পারে। আর একে সমর্থন করে
থাকে। অতএব দেখা যাচ্ছে যে, আশআরিয়াগণ ভাল-মন্দ নিরূপণের মাপকাঠি হিসেবে প্রাধান্য
দিয়েছেন ওহীকে। আর মুতাযিলাগণ প্রাধান্য দিয়েছেন-আকল বা বিবেক বুদ্ধিকে।
মুতাযিলাদের অভিমত হল, আল্লাহ আদেল বা ন্যায়পরায়ণ। আল্লাহ কখনও অন্যায় করতে পারেন না।
তাদের আরও অভিমত হল, ন্যায়নীতির দাবিতেই আল্লাহ পুণ্যবানকে পুরস্কার এবং পাপীকে শাস্তিদিতে
বাধ্য। তিনি এর অন্যথা করতে পারেন না।
আশআরিয়াগণ আকায়িদ
সংক্রান্তসকল বিষয়ে চরম
মতবাদ পরিহার করে
মধ্যবর্তী পথ অবলম্বন
করেছেন, যা অপেক্ষাকৃত
সহজ, সরল এবং যা
জনগণের কাছে
সহজবোধ্য। এ কারণে
আহলে সুন্নাত ওয়াল
জামায়াতের অধিকাংশ
লোক এ মতবাদ গ্রহণ করেছেন।
পক্ষান্তরে আশআরিয়াগণ বলেন, আল্লাহ সর্বশক্তিমান। তাঁর ক্ষমতা অসীম। কোন অবস্থাতেই বা কোন
ব্যাপারেই তাঁর কুদরত সীমিত হওয়ার নয়। ইচ্ছা করলে পুণ্যবানকে পুরস্কার এবং পাপীকে শাস্তিদিতে
পারেন। আবার ইচ্ছা করলে নাও দিতে পারেন। সবই তাঁর ইচ্ছা।
এ আলোচনা থেকে স্পষ্টভাবে বুঝা যায় যে, আশআরিয়াগণ আকাইদ সংক্রান্তসকল বিষয়ে চরম মতবাদ
পরিহার করে মধ্যবর্তী পথ অবলম্বন করেছেন যা অপেক্ষাকৃত সহজ সরল এবং যা জনগণের কাছে
সহজে গ্রহণযোগ্য। এ কারণে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অধিকাংশ লোক এ মতবাদ গ্রহণ করেছেন।
সারসংক্ষেপ
রাসুলুল্লাহ (স.)-এর জীবদ্দশায় ইসলামের আকীদা বিশ্বাসের ক্ষেত্রে তেমন কোন সমস্যা দেখা
দেয়নি। পরবর্তীকালে ইসলাম যখন বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়ে, তখন অন্যান্য জাতি ও ধর্মের লোকদের
সংস্পর্শে আসে। ফলে ধর্ম বিশ্বাসের মৌলিক কোন কোন বিষয়ে সন্দেহ সংশয় সৃষ্টি হয়। তা ছাড়া
মুসলিম পÐিতগণ ধর্ম বিষযে নিজস্ব বুদ্ধি-বিবেচনায় ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কেউ আবার
নানা স্বার্থ সিদ্ধির জন্য উক্ত ব্যাখ্যায় নিজস্ব দৃষ্টভঙ্গির প্রতিফলন ঘটায়।
১. বিশেষত কর্ম ও ইচ্ছায় মানুষ স্বাধীন কিনা;
২. আল্লাহর সিফাত বা গুণাবলী আছে কিনা;
৩. ঈমান ও আমলের মাঝে সম্পর্ক;
৪. ন্যায় ও অন্যায়ের মাপকাঠি ওহী না মানুষের বিবেক;
৫. কুরআন চিরন্তন।
এসব বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টি-ভঙ্গি ও ব্যাখ্যার কারণে মুসলিম পÐিত ও দার্শনিকদের মধ্যে
ধর্মতাত্তি¡ক আকায়িদ সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি মতবাদের সৃষ্টি হয়। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য
উপদলগুলো হল জাবারিয়া, কাদারিয়া, মুতাযিলা, খারিজী, মুরজিয়া, শিয়া এবং আশআরিয়া। এ
মতবাদগুলোর মধ্যে আশআরিয়া মতবাদ মধ্যপন্থী ও সমন্বিত। বাকীগুলো চরমপন্থীদের। তাই
এদের মধ্যে আশআরিয়া মতবাদকে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের মতাবলম্বীগণ গ্রহণ করে থাকেন।
 সঠিক উত্তরে টিক ( চিহ্ন দিন১. ক’টি মূল বিষয়কে কেন্দ্র করে আকায়িদ সম্পর্কিত উপদলের সৃষ্টি হয়?
ক. ৫টি; খ. ১০টি;
গ. ৪টি; ঘ. ৩টি।
২. মানুষের ইচ্ছায় স্বাধীনতা নেই-এটা কোন মতবাদের লোকদের বিশ্বাস?
ক. কাদারিয়া; খ. জাবারিয়া;
গ. আশআরিয়া; ঘ. মুতাযিলা।
৩. জাবারিয়া মতবাদের প্রতিষ্ঠাতা হলেনক. মাওলানা আবদুল জাব্বার; খ. জাহম ইবনে সাফওয়ান;
গ. খুরাসানের গভর্নর আল-হারিস ইবনে সুরয়িজ;
ঘ. মাবাদ আল-জুহানী।
৪. জাবারিয়া মতবাদের প্রতিক্রিয়া স্বরূপ কোন মতবাদ উদ্ভব হয়?
ক. মুতাযিলা; খ. আশআরিয়া;
গ. শিয়া; ঘ. কাদারিয়া।
৫. চরম খারিজীদের উগ্র মতবাদ ও নরমপন্থী মুরজিয়াদের নমনীয় মতবাদের প্রতিবাদে কোন মতবাদের উদ্ভব হয়ক. আশআরিয়া; খ. শিয়া;
গ. মুতাযিলা; ঘ. জাবারিয়া।
৬. মুতাযিলা মতবাদের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেনক. মাবাদ আল-জুহানী; খ. আবদুল করীম শাহরাসতানী;
গ. আবুল হাসান আশআরী; ঘ. ওয়াসিল ইবনে আতা।
৭. আশআরিয়া মতবাদের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম কে?
ক. ইমাম আবু হানীফা; খ. সাহাবী আবু মূসা আল-আশআরী;
গ. ইমাম আবুল হাসান আল-আশআরী; ঘ. ওয়াসিল ইবনে আতা।
৮. ভালমন্দ নিরূপণের মাপকাঠি হচ্ছে ওহী -এ মতবাদে বিশ্বাসীক. আশআরিয়াগণ; খ. জাবারিয়াগণ;
গ. মুতাযিলাগণ; ঘ. কাদারিয়া।
সংক্ষিপ্ত উত্তর-প্রশ্ন
১. আকায়িদ সংক্রান্তমতভেদের ক্ষেত্রসমূহ কী কী? লিখুন।
২. জাবারিয়া মতবাদের প্রতিষ্ঠাতা কে? এ মতবাদের মূল বিষয়বস্তুলিখুন।
৩. কাদারিয়া মতবাদ কী ? বর্ণনা দিন।
৪. মুতাযিলা মতবাদের উৎপত্তির বিবরণ দিন।
৫. মুতাযিলা মতবাদের মূলনীতিগুলো উল্লেখ করুন।
৬. আশআরিয়া মতবাদের উৎপত্তির কারণ লিখুন।
৭. আশআরিয়া মতবাদের সাথে অন্যান্য মতবাদের তুলনা করুন।
বিশদ উত্তর-প্রশ্ন
১. কী কী কারণে আকায়িদ সংক্রান্তমতবাদের সৃষ্টি হয়েছে? জাবারিয়া ও কাদারিয়া মতবাদ সম্পর্কে
আলোচনা করুন।
২. মুতাযিলা ও আশআরিয়া মতবাদের পরিচয় দিন। মুতাযিলা মতবাদের মূলনীতিসমূহ আলোচনা করুন।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]