খারিজী, মুরজিয়া ও শিয়া বলতে কী বুঝেন? তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস আলোচনা করুন।

খারিজী মতবাদ
সিফফীন যুদ্ধের অবসান ঘটানোর জন্য হযরত আলী (রা)-এর পক্ষে আবু মূসা আল-আশআরী (রা)
এবং মুয়াবিয়ার পক্ষে আমর ইবনুল আস (রা) সালিশ হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। আমর ইবনুল আস
(রা)-এর বুদ্ধিতে মুয়াবিয়ার পক্ষে এবং হযরত আলীর বিপক্ষে যুদ্ধ বিরতির সিদ্ধান্তগৃহীত হয়। হযরত
আলী ছিলেন শান্তিপ্রিয়। তাই তিনি এ মীমাংসা নিঃসংকোচে মেনে নেন। হযরত আলী (রা)-এর পক্ষের
একদল মুজাহিদ এ সিদ্ধান্তকে সহজভাবে মেনে নিতে না পেরে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে দল থেকে বের হয়ে
যায়। ইসলামের ইতিহাসে এরাই খারিজী বা দলত্যাগী সম্পদ্রায় হিসেবে পরিচিত।
খারিজীরা ঈমান ও আমলের ব্যাপারে একটি চরমপন্থী নতুন মতবাদ প্রচার করেন। তাদের মতে
ঈমানের দু’টি রুকন। একটি অন্তরে বিশ্বাস, অপরটি হল আমল বা কাজে পরিণত করে দেখানো।
অতএব অন্তরে বিশ্বাস থাকা সত্তে¡ও যদি কেউ কোন ফরয আমল ত্যাগ করে সে মুমিন থাকতে পারে না।
অবশ্যই সে কাফির হয়ে যাবে। তাদের অভিমত হল, জালিম ইমাম বা শাসকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা
প্রত্যেক মুমিনের জন্য ওয়াজিব। তাদের মতে জালিম ইমামের সমর্থনকারীও কাফির হয়ে যাবে।
অতএব মুয়াবিয়ার (রা) বিরুদ্ধে যারা যুদ্ধ বন্ধের ফাতওয়া দান করেছে (আবু মূসা আল-আশআরী এবং
আমর ইবনুল আস) তারাও কাফির।
এ চরমপন্থী খারিজীরা কোন ফরয আমল পরিত্যাগকারী অথবা কবীরা গুনাহকারীকে শুধু কাফির বলেই
ক্ষান্তহয়নি, বরং তাদেরকে হত্যা করা মুমিনদের জন্য ওয়াজিব বলে ঘোষণা করেছে।
মুরজিয়া মতবাদ
মুরজিয়া নামটি আরবি ‘ইরজা’ শব্দ হতে এসেছে। এর অর্থ স্থগিত রাখা, আশাবাদী হওয়া, পেছনে
রাখা। মুরজিয়া স¤প্রদায় বলতে তাদেরকে বুঝায়, যারা শেষ বিচারের দিন আল্লাহ কর্তৃক কেউ দোষী
সাব্যস্তনা হওয়া পর্যন্তনিজেদের রায় দিতে স্থগিত বা বিরত থাকে বা আশাবাদী থাকে। তারা আমলকে
গুরুত্ব দেয় না এবং আমলের প্রয়োজন মনে করে না। মুরজিয়াদের বক্তব্য ছিল নিম্নরূপ:
১. মুসলমান মাত্রই ইসলামী সমাজের অন্তর্ভুক্ত। আমলে ত্রæটি দেখা দিলেও তার ঈমান ত্রæটিপূর্ণ হয় না
বরং পরিপূর্ণ থাকে।
২. খিলাফতের প্রশ্নটি আল্লাহর ইচ্ছার উপর দেওয়া উচিত।
৩. বাহ্যত যাকে অপরাধী বা পাপী বলে মনে হয়, তার মধ্যে যদি ঈমান থাকে, তবে তাকে অপরাধী
বা পাপী বলা যাবে না।
৪. যার ঈমান আছে এবং নিয়াত বা উদ্দেশ্য ভাল সে পুরস্কৃত হবে, যদিও তার আমলে ত্রæটি থাকে।
৫. কেউ যদি কাফির হয় আমল দ্বারা তার কোন লাভ হবে না, আর যদি মুমিন হয়, তাহলে পাপ তার
কোন ক্ষতি করবে না। পাপী মুমিনকে কাফির বলা উচিত নয়।
৬. প্রথম চার খলীফার প্রত্যেকেই সমভাবে উত্তম ছিলেন।
মুরজিয়াদের অধিকাংশের মতে শুধু অন্তরে বিশ্বাস করার নাম ঈমান। মুখে স্বীকার করা এবং আমল করা
আসলে ঈমানের জন্য জরুরি নয়। তাদের কিছু সংখ্যকের মতে অন্তরে বিশ্বাস করলে চলবে না বরং
বিশ্বাসের সাথে সাথে মুখেও স্বীকার করতে হবে। তবে এ ব্যাপারে সকল্ইে একমত যে, আমল ঈমানের
রুকন বা অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ নয়। অতএব মুমিন হতে হলে আমল শর্ত নয়। বরং অন্তরে বিশ্বাস রেখে মুখে
স্বীকার করাই যথেষ্ট। সুতরাং যদি কেউ অন্তরে বিশ্বাস রেখে নামায, রোযা, হজ্জ্ব, যাকাত ইত্যাদি
আমলগুলোও পরিত্যাগ করে এবং কবিরা গুনাহ যদি করে থাকে, তবুও সে মুমিন থাকবে, কাফির হবে
না। যুক্তি স্বরূপ তারা বলেন, পবিত্র কুরআন শরীফ আরবি ভাষায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং আরবি
অভিধানে ঈমান শব্দের অর্থ হল অন্তরে বিশ্বাস করা। এছাড়া কুরআন মাজীদে বর্ণিত আছে যে, হযরত
ইউসুফ (আ)এর ভ্রাতাগণ তাদের পিতা হযরত ইয়াকুব (আ)-কে বলেছিলেন,
وَ مَآ أ َنتَ ب ِمُؤْ مِنٍ ل َّنَا
“কিন্তু তুমি তো আমাদের বিশ্বাস করবে না।” (সূরা ইউসুফ : ১৭)
এখানে অন্তরে বিশ্বাসের প্রতিই ইঙ্গিত করা হয়েছে। আর মহানবী (স.) বলেন যে,
الایمان ان تؤمن باللھ وملئكتھ و كتبھ ورسلھ
অর্থাৎ “আল্লাহ, ফেরেশ্তামÐলী, কিতাবসমূহ এবং রাসূলগণের প্রতি বিশ্বাস করার নামই ঈমান।”
এখানে ঈমান কথা দ্বারা অন্তরের বিশ্বাসকেই বুঝানো হয়েছে।
এ আলোচনায় দেখা যায়, খারিজীদের সম্পূর্ণ বিপরীত মতাদর্শ নিয়ে মুরজিয়াদের আবির্ভাব হয়েছিল।
খারিজীগণ যে ক্ষেত্রে ফরয কাজ বর্জনকারী এবং কবীরা গুনাহকারীকে সরাসরি কাফির হিসেবে
আখ্যায়িত করছেন, মুরজিয়াগণ সেখানে তাকে মুমিন হিসেবে স্বীকৃতি দান করেছেন। মুরজিয়ারা অত্যন্ত
উদার নীতি অবলম্বন করেন। তারা বলেন, কোন ব্যক্তি অন্তরে বিশ্বাস রেখে ফরয কাজসমূহ পরিত্যাগ
করলে এমনকি কবীরা গুনাহসমূহ করলেও মুমিনই থেকে যাবে, কাফির হবে না। এ শ্রেণীর অপরাধীর
বিচারের ভার আল্লাহর উপরই ন্যস্তথাকবে। এ ব্যাপারে আমাদের কোন বক্তব্য নেই।
শিয়া মতবাদ
শিয়া অর্থ দল যা ‘শিয়াতু আলী’ কথাটির সংক্ষিপ্ত রূপ। ‘শিয়াতু আলী যার অর্থ আলীর দল। অতএব
হযরত আলী (রা) এবং তাঁর বংশধরদের সমর্থনকারী দলের নামেই এ দলের নামকরণ করা হয়েছে।
শিয়াদের অভিমত হল, রাসূলুল্লাহ (স.)-এর ইন্তিকালের পর খিলাফত লাভের জন্য সবচেয়ে বেশি
উপযুক্ত ব্যক্তি হলেন হযরত আলী ও তাঁর বংশধরগণ। যেহেতু রক্ত সম্পর্কের দিক থেকে হযরত আলী
রাসূলুল্লাহ (স.)-এর নিকটতম আত্মীয়-চাচাতো ভাই ও জামাতা। ছোট অবস্থা থেকে তিনি রাসুলের ঘরে
লালিত পালিত হন। কনিষ্ঠদের মধ্যে তিনিই সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণ করেন। রাসূল্লাহ (স.) একবার বলেছিলেন:
أنا مدینة العلم وعلى بابھا
“আমি হলাম জ্ঞানের নগরী আর আলী এর দ্বার।”
সুতরাং তিনিই রাসূলের ন্যায়সঙ্গত উত্তরাধিকারী এবং খিলাফতের একমাত্র প্রাপ্য তিনি। তারই
বংশধরদের মধ্য হতে ইমাম নিয়োগ হবে, অন্য বংশের লোক ইমাম হতে পারে না। এটাই হল শিয়া
মতবাদের সর্বপ্রধান মূলনীতি। তাদের মতে হযরত আবু বকর (রা.), হযরত উমর (রা.) ও হযরত
উসমান (রা.) এঁরা সবাই হযরত আলীকে তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করে নিজেরা খলীফা
হয়েছিলেন। পরবর্তী পর্যায়ে উমাইয়া ও আব্বাসীয় খলীফাগণও একই কায়দায় সিংহাসন দখল করে
হযরত আলীর বংশধরদের বঞ্চিত করেছেন। শিয়াগণ হযরত আলীর প্রতি এত বেশি ভক্তি প্রদর্শন
করত, যার কারণে কালেমা তাইয়্যেবা اللھ رسول محمد اللھ إلا إلھ لا এর সাথে اللھ خلیفة على কথাটি সংযোজন করে থাকে।
মুরজিয়াদের অধিকাংশের
মতে শুধু অন্তরে বিশ্বাস করার
নাম ঈমান। মুখে স্বীকার করা
এবং আমল করা আসলে
ঈমানের জন্য জরুরি নয়।
তাদের কিছু সংখ্যকের মতে,
অন্তরে বিশ্বাস করলে চলবে না
বরং বিশ্বাসের সাথে সাথে
মুখেও স্বীকার করতে হবে।
তবে এ ব্যাপারে সকল্ইে
একমত যে, আমল ঈমানের
রুকন বা অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ নয়।
শিয়া মতানুসারে যিনি ইমাম হবেন তিনি ঐশী আলোকপ্রাপ্ত এবং আধ্যাত্মিক শক্তিতে শক্তিশালী হবেন।
যেমন- রাসুলুল্লাহ (স.) আল্লাহর পক্ষ থেকে সরাসরি ঐশী আলোক এবং অধ্যাত্মিক শক্তি প্রাপ্ত
হয়েছিলেন। দলীল হিসেবে পবিত্র কুরআনের এ আয়াতটি পেশ করেন:
وَ جَع َلْنَا ل َھُ نُورا ً یَمْشِى ب ِھِ فِى ٱلنَّاسِ
“এবং যাকে মানুষের মধ্যে চলবার জন্য আলোক দিয়েছি।” (সূরা আল-আনআম : ১২২)
তারা আরও বলেন, আল্লাহ মানুষকে এ নূরের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করার জন্য নির্দেশ দিয়ে বলেন-
فَآمِنُ وا ْ ب ِٱلل َّھِ وَ رَ سُولِھِ وَ ٱلنُّ ورِ ٱل َّذِيۤ أ َنزَ لْنَا.
“অতএব তোমরা আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও যে জ্যোতি আমি নাযিল করেছি তাতে বিশ্বাস স্থাপন করো।”
(সূরা আত-তাগাবুন : ৮)
শিয়াদের মত হল, রাসূলুল্লাহ (স.)-এর নিকট থেকে হযরত আলী (রা.) উত্তরাধিকার সূত্রে এ নূর বা
আলো প্রাপ্ত হন এবং বংশ পরম্পরায় হযরত আলীর বংশধরগণ এ আলো লাভ করে আসছেন ও ইমাম
হয়ে আসছেন। এ বংশের সর্বশেষ ইমাম লোক চক্ষুর অন্তরালে আত্মগোপন করে রয়েছেন। তিনি
এখনও জীবিত আছেন। পৃথিবীর যখন পাপ পঙ্কিলতায় সম্পূর্ণ নিমজ্জিত হয়ে পড়বে, তখন তিনি
আত্মপ্রকাশ করবেন মানুষকে হিদায়াতের জন্য। তবে এ আত্মগোপনকারী ইমাম কোন জন এ নিয়ে
শিয়াদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। তারা দু’দলে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন, যা ইসনা আশারিয়া ও সাবইয়া
নামে পরিচিত।
আরবি ইসনা আশারা অর্থ হল বার, অতএব শিয়াদের মধ্যে যারা বার ইমামে বিশ্বাসী তারাই ইসনা
আশারিয়া নামে পরিচিত।
আবার আরবি ‘সাবউন’ শব্দের অর্থ সাত, শিয়াদের মধ্যে যারা সাত ইমামে বিশ্বাসী তারাই সাবইয়া
নামে অভিহিত। সাবাইয়ারা ইসমাঈলিয়া নামেও পরিচিত।
সারসংক্ষেপ
আকায়িদ সম্পর্কিত মতবাদের মধ্যে খারিজী, মুরজিয়া ও শিয়া স¤প্রদায় অন্যতম। এ তিনটি
মতবাদই চরমপন্থী। সিফফীন যুদ্ধের অবসান ঘটানোর সময় সালিশীকে কেন্দ্র করে মুয়াবিয়ার
বিরোধী হযরত আলী (রা)-এর পক্ষাবলম্বী কিছু চরমপন্থী সালিশীকে অন্যায় রায় ঘোষণা করে এবং
তারা তা মেনে নিতে পারেনি। ফলে তারা হযরত আলী (রা)-এর দল ত্যাগ করে চলে যায়। এরাই
ইতিহাসে খারিজী নামে পরিচিত।
মুরজিয়া মতাবলম্বীগণ নরমপন্থী এবং আল্লাহর রহমতের আশাবাদী। এরা মনে করে,
অন্তরে বিশ্বাস করার নামই ঈমান। মুখে স্বীকার ও আমল করা আসল ঈমানের জন্য জরুরী নয়।
শিয়াগণ হযরত আলী এবং তাঁর বংশধরদের সমর্থনকারী। এদের মূল বিশ্বাস হচ্ছে, খিলাফতের
অধিকার কেবল হযরত আলী ও তাঁর বংশধরগণের রয়েছে। প্রথম তিন খলীফাকে তারা বৈধ খলীফা
বলে মেনে নিতে চান না। এদের মধ্যে নানা উপদল রয়েছে। সে সবের মধ্যে বার ইমামে বিশ্বাসী
ইসনা আশারিয়া ও সাত ইমামে বিশ্বাসী সাবইয়াগণ প্রধান। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের
বিশ্বাসের সাথে এ সব মতবাদের অমিল রয়েছে। এদেরকে ভ্রান্তমতাবলম্বী মনে করা হয়।
 সঠিক উত্তরে টিক ( চিহ্ন দিন১. কোন যুদ্ধের অবসান ঘটানোর সালিশীকে কেন্দ্র করে খারিজী মতবাদের উৎপত্তি হয়?
ক. সিফফীন যুদ্ধ; খ. বদর যুদ্ধ;
গ. উষ্ট্রের যুদ্ধ; ঘ. খন্দকের যুদ্ধ।
২. খারিজীদের মতে ঈমানের দু’টি রুকন-একটি অন্তরে বিশ্বাস অপরটি হলোক. মুখে স্বীকার করা; খ. আমল বা কাজে পরিণত করে দেখানো;
গ. জিহাদে অংশ গ্রহণ; ঘ. আল্লাহ ও রাসূলের প্রতি আনুগত্য।
৩. খারিজীদের মতে জালিম ইমাম বা শাসকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা প্রত্যেক মুমিনের উপরক. ফরয; খ. নফল;
গ. ওয়াজিব; ঘ. সুন্নাতে মুয়াক্কাদা।
৪. মুরজিয়াদের মতে শুধুক. অন্তরে বিশ্বাসের নাম ঈমান;
খ. মুখে স্বীকার করার নাম ঈমান;
গ. আমল বা কাজে পরিণত করার নাম ঈমান;
ঘ. সব ক’টি উত্তরই সঠিক;
৫. মুরজিয়াগণ বলেন, ফরয বর্জনকারী এবং কবীরা গুনাহকারীক. মুনাফিক নয়; খ. কাফির নয়;
গ. ফাসিক নয়; ঘ. মুমিন নয়।
৬. শিয়াতু আলী কথার অর্থ-
ক. আলীর দল; খ. আলী বিরোধী;
গ. আলীর শত্রæ; ঘ. আলীর বন্ধু।
৭. শিয়াদের মতে খিলাফতের একমাত্র প্রাপ্য কারা?
ক. সাহাবীগণ; খ. প্রথম তিন খলীফা;
গ. উমাইয়া বংশ; ঘ. হযরত আলী ও তাঁর বংশধর।
সংক্ষিপ্ত উত্তর-প্রশ্ন
১. খারিজী মতবাদের মূলকথা লিখুন।
২. মুরজিয়া কারা? তাদের মূল বিশ্বাসগুলো কী কী? লিখুন।
৩. শিয়া বলতে কী বুঝায়? শিয়াদের প্রধান মূলনীতি কী? বর্ণনা করুন।
বিশদ উত্তর-প্রশ্ন
১. খারিজী, মুরজিয়া ও শিয়া বলতে কী বুঝেন? তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস আলোচনা করুন।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]