ইজতিহাদ কাকে বলে? এর প্রয়োজনীয়তা ইজতিহাদের শর্তাবলি, বৈধতা ও মুজতাহিদের শ্রেণি বিভাগ বর্ণনা করুন।

ইজতিহাদ-এর অর্থ
আভিধানিক অর্থ
আল-ইজতিহাদ (الاجتھاد (শব্দটি জুহদুন (جھد (হতে গৃহীত, যার মানে হল প্রচেষ্টা। ইজতিহাদের
মানে হল, কোন উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য চেষ্টা ও চিন্তা শক্তিকে ব্যয় করা। এ চেষ্টা কোন কঠিন কাজ বা
অসাধ্যকে সাধন করার নিমিত্তে হতে পারে। ঐ কাজ শারীরিক হোক যেমন : কোন বড় পাথর উঠাবার
জন্য চেষ্টা করা। অথবা মেধাভিত্তিক হোক, যেমন : কোন হুকুম বা বিধান উদঘাটিনের জন্য চেষ্টা করা।
পারিভাষিক অর্থ
শরীআতের পরিভাষায় ইজতিহাদ-এর সংজ্ঞা নিয়ে মণীষীদের মধ্যে মতোপার্থক্য রয়েছে যা নিম্নরূপ:
ক. ইমাম বায়যাবী (র) বলেন, ‘ইজতিহাদের মানে হল, শরীআতের বিধানাবলি জানার জন্য চেষ্টা ও
শক্তি ব্যয় করা।’
খ. ইমাম গাযালীর মতে, ‘ইজতিহাদ মানে শরীআতের বিধান উদঘাটন করার জন্য ইলম (জ্ঞান)
সন্ধান করতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করা।’
গ. আল্লামা আলাউদ্দীন (র) বলেন, শরীআতের বিধিবিধান সম্পর্কে জ্ঞান লাভের জন্য চেষ্টা করাকে
ইজতিহাদ বলে।’
ঘ. ইবনে হাজিব বলেন, ‘ইজতিহাদ অর্থ শরীআতের কোন বিধান প্রণয়নের জন্য ফকীহ ব্যক্তির
চেষ্টাপূর্বক সিদ্ধান্তেউপনীত হওয়া।
ইজতিহাদের প্রয়োজনীতা
ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলো অকাট্য দলীল-প্রমাণ (যাতে সন্দেহের অবকাশ নেই) দ্বারা প্রমাণিত।
পক্ষান্তরে মুআমালাত সম্পর্কিত মাসআলাগুলো জন্নী দলীল (যার বিভিন্ন রকম মানে হতে পারে) দ্বারা
প্রমাণিত আর তাতে ইজতিহাদের অবকাশ রয়েছে। এটা উম্মাতে মুহাম্মদীর জন্য রহমতো স্বরূপ।
সুতরাং বলা যায়, ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলোতে ইজতিহাদের অবকাশ নেই। তবে শাখা প্রশাখারয়
ইজতিহাদের অবকাশ রয়েছে।
কারণ১. সব দলীলই যদি অকাট্য হতো তবে মানুষের চিন্তা শক্তির মূল্যায়ন করা হতো না।
২. এছাড়া শরীআতের শাখা-প্রশাখাগুলোতেও সকলকে একই হুকুম মানতে হতো, যা মানুষের জন্য
কষ্টসাধ্য হতো। সুতরাং শরীআতের মৌলিক বিষয়গুলো ছাড়া শাখা প্রশাখাগুলোতে মণীষীদের
মধ্যে ইখতিলাফ (মতোবিরোধ) থাকা মানুষের জন্য কল্যাণস্বরূপ।
৩. যদি সকল দলীল অকাট্য হতো তাহলে আমরা উদ্ভূত বিভিন্ন প্রকার মাসআলার ব্যাপারে সিদ্ধান্তও
মতোামতো দিতে পারতাম না। কারণ সকল দলীল অকাট্য হওয়ার কারণে মুজতাহিদগণ
যদি সকল দলীল অকাট্য হতো তাহলে আমরা
উদ্ভূত বিভিন্ন প্রকার মাসআলার ব্যাপারে
সিদ্ধান্তও মতামত দিতে পারতাম না। কিন্তু
শরীআতের কতিপয় দলীল জন্নী হওয়ার ফলে ইজতিহাদের দ্বারা
মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সমস্যার সমাধান সম্ভব হয়ে উঠে।
ইজতিহাদ করতে পারতেন না। কিন্তু শরীআতের কতিপয় দলীল জন্নী হওয়ার ফলে ইজতিহাদের
দ্বারা মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সমস্যার সমাধান সম্ভব হয়ে উঠে।
ইজতিহাদের বৈধতার দলীল
ইসলামী শরীআতের ইজতিহাদের গুরুত্ব অত্যধিক। ইজতিহাদ শরীআতসম্মত বা বৈধ হওয়ার ব্যাপারে
কুরআন ও হাদীসে বহু দলীল পাওয়া যায়।
কুরআনে ইজতিহাদের প্রমাণ
পবিত্র কুরআনের বহু জায়গায় মহান আল্লাহ চিন্তা (فكر (ও অনুধাবন (عقل (এর প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন।
১. আল্লাহ বলেন :
إ ِنَّ فِى ذٰ لِكَ ل َـآیَاتٍ ل ِّقَوْ مٍ یَتَفَكَّرُ ونَ
“অবশ্যই এর মধ্যে রয়েছে জ্ঞানী ও চিন্তাশীলদের জন্য নিদর্শন।” (সূরা আর-রাদ: ৩)
২. অন্যত্র আল্লাহ বলেন :
وَ یَتَفَكَّرُ ونَ فِى خَلْقِ ٱلسَّمَاوَ اتِ وَ ٱلأ َرْ ضِ
“তারা আসমান ও যমীন সৃষ্টির ব্যাপারে চিন্তা করে।” (সূরা আলে-ইমরান : ১৯১)
৩. আল্লাহ বলেন :
كَذٰ لِكَ یُبَیِّنُ ٱلل َّھُ ل َكُمُ ٱلآیَاتِ ل َع َل َّكُمْ تَعْقِل ُونَ
“এভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর নির্দেশ বিশদভাবে বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা তা বুঝতে
পার।” (সূরা আন-নুর : ৬১)
অনুরূপভাবে কিয়াস দ্বারা সরাসরি ইজতিহাদের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ সম্পর্কে কুরআনে
বলা হয়েছে :
إ ِنَّآ أ َنْزَ لْنَا إ ِل َیْكَ ٱلْكِتَابَ ب ِٱلْحَقّ ِ لِتَحْكُمَ بَیْنَ ٱلنَّاسِ ب ِمَآ أ َرَ اكَ ٱلل َّھُ
“আমি তোমার উপর সত্যসহ কিতাব অবতীর্ণ করেছি যাতে তুমি আল্লাহ তোমাকে যা জানিয়েছেন,
সে আলোকে বিচার-মীমাংসা কর।” (সূরা আন-নিসা : ১০৫)
হাদীসে ইজতিহাদের প্রমাণ
হাদীসেও ইজতিহাদের বৈধতা সম্পর্কে প্রকাশ্য দলীল রয়েছে। ইমাম শাফিঈ (র) আমর ইবনুল আস
(রা) হতে বর্ণনা করেন, তিনি রাসূলকে (স) বলতে শুনেছেন।
اذا حكم الحاكم فا جتھد فأصاب فلھ أجران واذا حكم فاجتھد ثم اخطا فلھ
اجر
“বিচারক যখন বিচার-ফয়সালা করতে গিয়ে ইজতিহাদ করেন এবং তাতে সঠিক সিদ্ধান্তেউপনীত হন,
তবে তিনি দুটি সওয়াব পাবেন। আর যদি তিনি ভুল সিদ্ধান্তউপনীত হন, তবে তিনি একটি সওয়াব
পাবেন।”
এ বিষয়ে মুয়ায (রা)-এর হাদীসটিও সকলের জানা আছে। তা হচ্ছে, রাসূল (স) তাঁকে ইয়ামানে কাযী
(বিচারক) হিসেবে পাঠাবার সময় বললেন, তুমি কিসের দ্বারা বিভিন্ন বিষয়ের ফয়সালা দেবে? মুয়ায
বললেন, আল্লাহর কিতাব দ্বারা ফয়সালা করব। রাসূল (স) বললেন, যদি কুরআনে ঐ বিষয়ে ফয়সালা
না পাও, তবে কি করবে? মুয়ায বললেন, হাদীসের দ্বারা রায় দিব। রাসূল (স) বললেন, হাদীসে ঐ
বিষয়ে প্রকাশ্য কিছু না পেলে কি করবে? তদুত্তরে তিনি বললেন, আমি আমার রায় ও চিন্তা দ্বারা
ইজতিহাদ করব এবং আমি পিছু হটব না।” রাসূল (স) বললেন : “মহান আল্লাহর শোক্র যিনি তার
রাসূলের দূতকে এমন কিছুর তৌফিক দিয়েছেন, যাতে তাঁর রাসূল সন্তুষ্ট হন।”
এসএসএইচএল বাংলাদেশ উš§ুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
ইউনিট-৬ : ফিকহ্ শাস্ত্র পৃষ্ঠা # ১৭৬
ইজতিহাদের শর্ত
ইতঃপূর্বে আমরা অবগত হয়েছি মুজতাহিদ এমন বিষয়ে ইজতিহাদ করবেন, যে সম্পর্কে কোন অকাট্য
দলীল নেই। আর যে বিষয় বা মাসআলার উপর ইজমা (ঐকমত্যো) রয়েছে তাতেও ইজতিহাদের
অবকাশ নেই। কারণ উম্মাতের ইজমাও কাতয়ী (অকাট্য) দলীলের সমপর্যায়ভুক্ত। ইজতিহাদের বেলায়
মুজতাহিদের মধ্যে যে শর্তগুলো থাকা প্রয়োজন তা নিম্নরূপ:
১. মুজতাহিদ বালিগ ও প্রয়োজনীয় জ্ঞান সম্পন্ন হবেন। কারণ অপ্রাপ্ত বয়স্ক ও জ্ঞানহীন ব্যক্তি তার
নিজের মঙ্গল সাধনে অপারগ। তিনি কিভাবে অন্যদের মঙ্গলের জন্য ইজতিহাদ করবেন।
২. মহাগ্রন্থ আল-কুরআনের আয়াতুল আহকাম (বিধানাবলির আয়াত) সম্পর্কে মুজতাহিদের পূর্ণ জ্ঞান
থাকতে হবে, যাতে তিনি ঐ আয়াতগুলোর উপর ভিত্তি করে ইজতিহাদ করতে পারেন। কুরআনে
বর্ণিত আহকাম সম্পর্কিত আয়াতের সংখ্যা হল পাঁচশত।
৩. আহাদীসুল আহকাম বা বিধান সম্পর্কিত হাদীসের জ্ঞান থাকতে হবে, যাতে প্রয়োজন বোধে
মুজতাহিদ ব্যক্তি ঐ হাদীসসমূহের উপর ভিত্তি করে তার ইজতিহাদ কর্ম সম্পন্ন করতে পারেন।
আহাদীসুল আহকামের সংখ্যা তিন হাজার মাত্র।
৪. আরবী ভাষার জ্ঞান থাকতে হবে। কেননা ইসলামী শরীআতের মূল হল কুরআন ও সুন্নাহ। আরবী
ভাষায় ব্যুৎপত্তি না থাকলে কুরআন ও সুন্নাহ হতে গবেষণা কোনক্রমেই সম্ভব নয়।
৫. যে সব মাসআলার উপর ইজমা হয়েছে, সে সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান থাকতে হবে, যাতে তার কিয়াস
তথা ইজতিহাদ এবং ইজমা পরস্পর বিপরীত না হয়।
৬. কিয়াস সম্পর্কিত জ্ঞান থাকা। কিয়াসের শর্ত এবং কিয়াসের সাহায্যে কিভাবে মাসআলা গবেষণা
করা হয়, সে সম্পর্কে পূর্ণ জ্ঞান থাকতে হবে। কিয়াসই হল ইজতিহাদের মূল। যার কিয়াস
সম্পর্কে ধারণা নেই, সে গবেষণা করতে পারবে না।
৭. উসূলে ফিক্হ-এর মূলনীতির এর জ্ঞান থাকা। মুজতাহিদের কাছে উসূলে ফিক্হ এর জ্ঞান থাকতে
হবে। কেনানা উসূলে ফিক্হ হল ইজতিহাদের মূল স্তম্ভ। অবশ্য মুজতাহিদে মুতলাকের জন্য
উসূলে ফিক্হর জ্ঞান থাকতে হবে। কিন্তু মুজতাহেদে মুকাইয়্যাদের জন্য উসূলে ফিক্হর পূর্ণ জ্ঞান
থাকা শর্ত নয়। তাকে তার ইমামের উসূল বা মূলনীতি জানলেই চলবে (মুতলাক ও মুকাইয়্যাদের
ব্যাখ্যা পরে আসছে)।
৮. আহকাম (বিধান) প্রণয়নে শরীআতের উদ্দেশ্য জানতে হবে। অর্থাৎ কোন বিষয়ে আহকামের
ব্যাপারে শরীআতের সাধারণ উদ্দেশ্য বুঝতে হবে। যেমন- মানুষের মঙ্গল সাধন, দীনের হিফাজত
এবং জান-মালের হিফাজত ইত্যাদি। কেননা শরীআতের নুসূস (কুরআনের আয়াত ও রাসূলের
হাদীস) বুঝা ও উহার প্রতিফলন ঘটাতে হলে শরীআতের উল্লেখিত উদ্দেশ্যসমূহ জানতে হবে।
সুতরাং মুজতাহিদকে ইজতিহাদ করতে হলে, ইজতিহাদের পূর্বে শরীআতের উদ্দেশ্য জানতে
হবে। যেমনিভাবে হযরত উমর (রা) বুঝেছিলেন। যেমন- চোরের হাত কাটার উদ্দেশ্য মালের
হিফাযত নিশ্চিত করা। কিন্তু কঠিন দুর্ভিক্ষের সময় তিনি চোরের হাত কাটতেন না। কেননা মালের
হিফাযতের চেয়ে জানের হিফাযতের গুরুত্ব অত্যধিক।
৯. নাসিখ-মানসুখের (রহিতোকারী ও রহিতোকৃত বিধানের) জ্ঞান থাকা আবশ্যক। মুজতাহিদ ব্যক্তির
নিকট কুরআন ও সুন্নাহর নাসিখ ও মানসুখের জ্ঞান থাকতে হবে অর্থাৎ যে সব আয়াত ও হাদীস
রহিতো হয়েছে এবং যা দ্বারা রহিতো করা হয়েছে তার জ্ঞান থাকতে হবে। অন্যথায় মানসুখ
আয়াত বা হাদীসের উপর ভিত্তি করে তিনি ইজতিহাদ করে বসতে পারেন। এ জন্য তাকে
আয়াতুল আহকাম ও আহাদীসুল আহকামের মধ্যে নাসিখ মানসুখের সংক্ষিপ্ত জ্ঞান আবশ্যই
থাকতে হবে।
মুজতাহিদের শ্রেণী বিভাগ
ইতঃপূর্বে আমরা বলেছি, মুজতাহিদ হলেন এমন ফকীহ ব্যক্তি, যিনি কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে
শরীআতের কোন বিধান প্রণয়নের জন্য সর্বশক্তি প্রয়োগ করেন। যোগ্যতা হিসেবে তাদের দু’ভাগে ভাগ
করা যেতে পারে।
১. মুজতাহিদ মুতলাক : মুজতাহিদ মুতলাক বলতে এমন ফকীহকে বুঝায়, যিনি শরীয়াতের
বিধানাবলি তার স্পষ্ট দলীল হতে নিজেই গবেষণা করতে পারেন। এতে তাকে কোন নির্দিষ্ট ইতঃপূর্বে আমরা অবগত হয়েছি মুজতাহিদ এমন
বিষয়ে ইজতিহাদ করবেন, যে সম্পর্কে
কোন অকাট্য দলীল নেই। আর যে বিষয় বা
মাসআলার উপর ইজমা
(ঐকমত্য) রয়েছে তাতেও ইজতিহাদের অবকাশ নেই।
ইমামের অনুসরণ করতে হয় না। এ পর্যায়ের মুজতাহিদগণের মধ্যে রয়েছেন, সাহাবী ও
তাবিঈগণের মধ্যকার ফকিহগণ এবং চার মাযহাবের ইমামগণ। তদ্রƒপ তাদের সমসাময়িক
ফকীহগণ অথবা যারা তাদের পরে এসেছেন, কিন্তুতাদের মাযহাব সাধারণত অনুসরণ করা হয় না।
যেমন: আওযায়ী, লাইছ ইবনে সায়া‘দ, ইবনে জারীর তাবারী, দাউদ জাহেরীর ও সাওরী (র)।
২. মুজতাহিদ মুকাইয়্যাদ : যে মুজতাহিদ তার ইমামের নীতিসমূহের অনুসরণে মাসআলা গবেষণা
করেন তিনি হলেন মুজতাহেদ মুকাইয়্যাদ। তিনি স্বীকৃত চার মাযহাবের ইমামগণের সমপর্যায়ের
নন। এদের মধ্যে হানাফী মাযহবে রয়েছেন ইমাম আবু ইউসুফ, মুহাম্মদ ও যুফার (র)। মালিকী
মাযহাবে রয়েছেন : ইবনুল কাশীম ও আশহাব। শাফিঈ মাযহাবে রয়েছেন, ইমাম সূয়ুতী ও মুযানী। আর হাম্বলী মাযহাবে রয়েছেন : সালেহ ইবনে আহমাদ ইবনে হাম্বল ও আবু বকর আলখাল্লাল প্রমুখ।
 সঠিক উত্তরের পাশে টিক ( চিহ্ন দিন১. “ইজতিহাদ মানে হল, ইলম সন্ধান করতে গিয়ে শরীআতের বিধান উদঘাটন করার জন্য সর্বশক্তি
প্রয়োগ করা” এটি কার উক্তি?
ক. ইমাম বায়যাবীর; খ. ইমাম আবু হানীফার;
গ. ইমাম গাযালীর; ঘ. ইবনে হাজার আল-আসকালানীর।
২. ইজতিহাদ কখন করতে হয়?
ক. কুরআন হাদীসে সমাধান পাওয়া গেলে; খ. ইতিহাসে দক্ষতা অর্জন করা হলে;
গ. কুরআন-হাদীসে এবং ইজমায় সমাধান না পাওয়া গেলে;
ঘ. ইসলামী জ্ঞানের পাÐিত্য অর্জিত হলে।
৩. ইজতিহাদের শর্ত ক’টি?
ক. ৯টি; খ. ২১টি;
গ. ১২টি; ঘ. ৫টি।
৪. ইজতিহাদ করার জন্য-
ক. আরবী ভাষা জানার দরকার নেই; খ. সকল ভাষা জানতে হবে;
গ. আরবী ভাষা অবশ্যই জানতে হবে; ঘ. কুরআন-হাদীসের অনুবাদ জানলেই হবে।
৫. মুজতাহিদ মুতলাক হলো যিনিক. নিজের মূলনীতি অনুসারে গবেষণা করেন;
খ. অন্য ইমামের মূলনীতি অনুসারে গবেষণা করেন;
গ. উভয় মূলনীতি অনুসারে গবেষণা করেন;
ঘ. শুধু কুরআন অনুসারে গবেষণা করেন।
সংক্ষিপ্ত রচনামূলক উত্তর-প্রশ্ন
১. ইজতিহাদ এর আভিধানিক ও পারিভাষিক অর্থ লিখুন।
২. ইজতিহাদ এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আলোচনা করুন।
৩. ইজতিহাদের শর্তাবলি আলোচনা করুন।
৪. কুরআন ও সুন্নাহ হতে ইজতিহাদ এর বৈধতার দলীল পেশ করুন।
৫. মুজতাহিদের প্রকারসমূহ বর্ণনা করুন।
বিশদ উত্তর-প্রশ্ন
১. ইজতিহাদ কাকে বলে? এর প্রয়োজনীয়তা বিস্তারিতভাবে লিখুন।
২. ইজতিহাদের শর্তাবলি, বৈধতা ও মুজতাহিদের শ্রেণি বিভাগ বর্ণনা করুন।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]