মালিকী মাযহাবের মূলনীতিসমূহ ইমাম মালিক(র)-এর বিস্তারিত জীবনী লিখুন।

ইমাম মালিক (র)-এর পরিচয়
তাঁর নাম মালিক, পিতার নাম আনাস এবং দাদার নাম আবু আমির। তাঁর দাদা আবু আমির বিশ্বনবী
(স) এর একজন বিশিষ্ট সাহাবী ছিলেন। বংশগত দিক দিয়ে তিনি ‘আলআসবাহী’ হিসেবে পরিচিত।
মদীনা শরীফে অবস্থানকরার দরুণ তাঁকে ‘ইমামু দারিল হিজরাহ’ (دارالھجرة امام (বা ‘হিজরত
নগরীর ইমাম’ বলা হয়।
ইমাম মালিক (র)-এর জন্ম
ইমাম মালিক (র) ৯৩ হিজরী সনে পবিত্র মদীনা নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন। উমাইয়া খলীফা ওয়ালিদ
ইবন আবদুল মালিক-এর শাসনকালে তাঁর জন্ম হয়। তিনি ইমাম আবু হানীফা (র) থেকে ১৩ বছরের
ছোট ছিলেন।
ইমাম মালিকের শিক্ষা জীবন
পবিত্র মদীনা শরীফে তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয়। এ সময়ে মদীনা নগরী ছিলো জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রাণ
কেন্দ্র। বাল্যকাল হতেই তিনি অসাধারণ মেধার পরিচয় দেন। মদীনা শরীফের বড় বড় আলিমদের
নিকট তিনি শিক্ষা লাভ করেন। আব্দুর রহমান ইবন হরমুসের নিকট তিনি দীর্ঘ সময় লেখাপড়া
শেখেন। তাছাড়া যেসব তাবিঈর নিকট হতে তিনি হাদীস শাস্ত্রের জ্ঞান আহরণ করেছেন তাঁরা হলেন১. আবদুল্লাহ ইবন ওমরের (রা) ত্রীতদাস ‘নাফে’।
২. মুহাম্মদ ইবন মুসলিম ইবনে শিহাব আল যুহরী, যিনি ‘যুহরী’ নামে অধিক পরিচিত। তবে
ফিকহশাস্ত্রে ইমাম মালিকের বিশিষ্ট শিক্ষক হলেন হিজাযের বিখ্যাত ফকীহ রবীয়াহ ইবন আবদুর
রহমান। যিনি ‘বরীয়াতুর রায়’ নামে বহুল পরিচিত।
ইমাম মালিকের কর্মজীবন
ইমাম মালিকের কর্মজীবনে বহুকিছুর সমাবেশ ঘটেছে। জ্ঞানের জগতের বিভিন্ন শাখায় তিনি বিচরণ
করেছেন। কুরআন, হাদীস, ফিকহ, উসুলুল ফিকহসহ অন্যান্য বিষয়ের তিনি পÐিত ছিলেন। তিনি
প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে অধ্যাপনা করেছেন। মদীনার মসজিদে নববীতে বসে তিনি শিক্ষা প্রদান
করতেন। তিনি কখনো পবিত্র মদীনা নগরী ছেড়ে বাইরে যেতেন না। হাদীস এবং ফিকহ সম্পর্কে তিনি
সবচেয়ে বেশি জ্ঞান রাখতেন। দেশ-বিদেশের অসংখ্য জ্ঞান পিপাসু তাঁর দরবারে ভিড় জমাতেন। ইমাম
মালিক (র) অত্যন্তবিনয় ও ধৈর্যের সাথে তাদের মাঝে জ্ঞান বিতরণ করতেন।
তিনি হাদীস শাস্ত্রের সর্বপ্রথম বিখ্যাত কিতাব ‘আল-মুয়াত্তা’ এর সংকলক। এই গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থের মধ্যে ইমাম মালিক মদীনা শরীফে অবস্থান করার
দরুণ তাঁকে ‘ইমামু দারিল হিজরাহ’
বা) امام دار الھجرة) ‘হিজরত নগরীর ইমাম’
বলা হয়। ইমাম মালিক (র) হাদীস
শাস্ত্রের সর্বপ্রথম বিখ্যাত কিতাব ‘আল-মুয়াত্তা’ এর
সংকলক। এই গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থের মধ্যে প্রায় ১৩৬০
(একহাজার তিনশত ষাট) টি হাদীস রয়েছে।
তাই একথা একান্তভাবে সত্য যে, ইমাম মালিক
একাধারে অভিজ্ঞ ফকীহ এবং খ্যাতিমান মুহাদ্দিস ছিলেন।
প্রায় ১৩৬০ (একহাজার তিনশত ষাট) টি হাদীস রয়েছে। তাই একথা একান্তভাবে সত্য যে, ইমাম
মালিক একাধারে অভিজ্ঞ ফকীহ এবং খ্যাতিমান মুহাদ্দিস ছিলেন। সারা দুনিয়ার অসংখ্য জ্ঞান পিপাসু
তাঁর নিকট এসে জ্ঞান অর্জন করেছেন। তদানীন্তন সময়ে জ্ঞানের জগতে ইমাম মালিক (র)-এর কোন
জুড়ি ছিলো না। তিনি ছিলেন জ্ঞান জগতের নন্দিত মহাপুরুষ।
ইমাম মালিকের ছাত্রবৃন্দ
অসংখ্য ছাত্রের বিশ্বস্তশিক্ষক হলেন ইমাম মালিক (র)। সারা দুনিয়ার এদিক সেদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে
ছিল তাঁর ছাত্রবৃন্দ। তবে তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত ছাত্র ছিলেন ইমাম শাফিঈ (র)। তিনি ইমাম মালিকের
তত্ত¡াবধানে মাত্র নয়দিনে ‘মুয়াত্তা’ কিতাবের সকল হাদীস মুখস্থকরেন। তাঁর মুখস্থ শক্তি দেখে ইমাম
মালিক অবাক হয়ে যান। ইমাম শাফিঈ (র) নিজেই ইমাম মালিক (র) সম্পর্কে বলেছেন,‘ইমাম মালিক
আমার প্রিয় শিক্ষক, তাঁর থেকে আমি অনেক জ্ঞান অর্জন করেছি। আমি ও প্রভুর মাঝে তিনি আমার
জন্য প্রমাণ স্বরূপ। বিদ্বানদের ময়দানে ইমাম মালিক ধ্রæবতারা, তার চেয়ে বেশি অনুগ্রহ আমার উপর
আর কেউ করেনি।’ ইমাম শাফিঈ (র) যার সম্পর্কে এই বক্তব্য পেশ করলেন তিনি কত বড় বিদ্বান
ছিলেন, তা সহজেই অনুমান করা যায়।
ইমাম মালিকের অন্যান্য ছাত্রদেরকে তিনভাগে ভাগ করা যায়। যথাক. যারা মিশরে জ্ঞানচর্চা করেছেন, খ. যারা স্পেন ও মরক্কোতে জ্ঞান চর্চা করেছেন, গ. যারা হিজায ও
ইরাকে জ্ঞান চর্চা করেছেন।
ক. যারা মিশরে জ্ঞান চর্চা করেছেন তাঁরা হলেন১. আবু আবদুল্লাহ আবদুর রহমান ইবনুল কাসিম। (মৃত্যু ১৯১ হিজরী)
২. আবু মুহাম্মদ আবদুল্লাহ ইবনে ওহাব ইবনে মুসলিম। (মৃত্যু ১৯৭ হিজরী)
৩. আশহাব ইবনে আবদুল আযিয আল-কাইছী। (মৃত্যু ২১৪ হিজরী)
৪. আবু মুহাম্মদ আবদুল্লাহ ইবনে আবদুল হাকাম। (মৃত্যু ২১৪ হিজরী)
৫. আসবাগ ইবনুল ফারজ। (মৃত্যু ২২৫ হিজরী)
৬. মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে আবদুল হাকাম। (মৃত্যু ২৬৮ হিজরী)
৭. মুহাম্মদ ইবনে ইব্রাহিম এসকেন্দারী ইবনে যিয়াদ। (মৃত্যু ২৬৯ হিজরী)
খ. যাঁরা স্পেন ও মরক্কোতে জ্ঞান চর্চা করেছেন তাঁরা হলেন১. আবুল হাসান আলী ইবনে যিয়াদ তিউনিসী। (মৃত্যু ১৮৩ হিজরী)
২. আবুআবদুল্লাহ যিয়াদ ইবনে আবদুর রহমান আল-কুরতুবী। (মৃত্যু ১৯৩ হিজরী)
৩. ঈসা ইবনে দিনার আল-কুরতুবী। (মৃত্যু ২১২ হিজরী)
৪. আসাদ ইবনে ফুরাত ইবনে সিনান তিউনিসী। (মৃত্যু ২১৩ হিজরী)
৫. ইয়াহইয়া ইবনে ইয়াহইয়া ইবনে কাসীর। (মৃত্যু ২৩৪ হিজরী)
৬. আবদুল মালিক ইবনে হাবীব ইবনে সুলাইমান। (মৃত্যু ২৩৮ হিজরী)
৭. সাহনুন আবদুস সালাম ইবনে সায়ীদ আত্তানুখী। (মৃত্যু ২৪০ হিজরী)
গ. যাঁরা ইরাক ও হিজাযে জ্ঞানচর্চা করেছেন তাঁরা হলেন১. আবু মারওয়ান আবদুল মালিক ইবনে আবু সালামাহ আল-মাজেশুন। (মৃত্যু ২১২ হিজরী)
২. আহমাদ ইবনে মুয়াজ্জান ইবনে গায়লান আল-আবদী।
৩. আবু ইসহাক ইসমাইল ইবনে ইসহাক। (মৃত্যু ২৮২ হিজরী)
ইমাম মালিকের চরিত্র
ইমাম মালিক অত্যন্তআল্লাহভীরু লোক ছিলেন। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহর আনুগত্যকে তিনি
প্রাধান্য দিতেন। তিনি অধিকাংশ সময় আল্লাহর ইবাদতে মশগুল থাকতেন। তিনি অধিক কুরআন
তেলাওয়াত করতেন। সদা-সর্বদা মসজিদে নববীতে অবস্থানের চেষ্টা করতেন। তিনি মদীনা শহর হতে
অন্য কোথাও সফর করেননি। মসজিদে নববীতে অসংখ্য ছাত্র নিয়ে ব্যস্তথাকতেন। অত্যন্তমামুলী
খাবার-দাবার গ্রহণ করতেন। জীবন যাপনে অপচয় অথবা অধিক ব্যয় তিনি মোটেই পছন্দ করতেন না।
তিনি যে কোন ব্যক্তিকে যে কোন প্রশ্ন করার সুযোগ দিতেন। তিনি বিশ্বনবী (স)-কে অত্যন্ত
ভালোবাসতেন এবং তাঁর সুন্নতের পুংখানুপুংখ অনুসরণ করতেন।
ইমাম মালিকের ইন্তিকাল
এই বিশ্ববিখ্যাত আলিমে দীন এবং ইমাম দীর্ঘ কর্মজীবন শেষে ৮৬ বছর বয়সে ১৭৯ হিজরী সনে স্বীয়
জন্মস্থান মদীনাতেই ইন্তিকাল করেন। আল-বাকী কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
মালিকী মাযহাবের মূলনীতি
ইমাম মালিক (র) সর্বমোট ২০টি মূলনীতির উপর ভিত্তি করে তাঁর মাযহাবকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। এর
মধ্যে ৫টি মূলনীতি আল-কুরআন থেকে, ৫টি মূলনীতি আল-হাদীস থেকে নিয়েছেন এবং অন্য ১০টি
মূলনীতি কুরআন হাদীসের বাইরে থেকে নিয়েছেন।
আল-কুরআন হতে নেওয়া মূলনীতিসমূহ
১. الكتاب نص বা কুরআনের মূল বক্তব্য;
২. الكتاب عموم বা কুরআনের ব্যাপক অর্থবোধক শব্দ;
৩. مخالف مفھوم বা কুরআনের বক্তব্যের বিপরীত দিক;
৪. الموافقة مفھوم বা কুরআনের বক্তব্যের অনুকূল দিক;
৫. العلة على التنبیھ বা কোন বিষয়ের কারণ উদঘাটন।
সুন্নাহ থেকে নেওয়া মূলনীতিসমূহ১. السنة نص বা হাদীসের বক্তব্য;
২. السنة عموم বা হাদীসের ব্যাপক অর্থবোধক শব্দ;
৩. لف مخا مفھوم বা হাদীসের বক্তব্যের বিপরীত দিক;
৪. موافق مفھوم বা হাদীসের বক্ত্যের অনুকূল দিক;
৫. العلة على التنبیھ বা মূল বিষয়ের কারণ উদঘাটন।
বাকী ১০টি মূলনীতি নিম্নরূপ
১. جماع الا) ইজমা) বা ঐকমত্যো;
২. القیاس) কিয়াস);
৩. ینة المد أھل عمل বা মদীনাবাসীদের কার্যাবলি;
৪. الصحابى قول বা সাহাবীর বক্তব্য;
৫. الاستحسان বা উত্তম চিন্তা বা মতামত;
৬. الذرائع بسد الحكم বা অকল্যাণের পথ বন্ধ করা;
৭. الخلاف مراعاة বা মতোপার্থক্যের প্রতি দৃষ্টিপাত ও লক্ষ রাখা;
৮. ستصحاب الا বা বস্তুর মূলঅবস্থা;
৯. سلة المر المصالح বা ব্যাপক কল্যাণমূলক চিন্তা;
১০. قبلنا من شرع বা আমাদের পূর্ববর্তী শরীআত।
এই সর্বমোট ২০টি মূলনীতির ভিত্তিতে ইমাম মালিক তাঁর মাযহাব প্রতিষ্ঠা করেছেন।
মালিকী মাযহাবের বিস্তৃতি
যে কোন মাযহাব সাধারণত মাযহাব প্রতিষ্ঠাতার ছাত্রদের মাধ্যমে বিস্তৃতি লাভ করে। ছাত্রদের দ্বারা
ইমাম মালিকের মাযহাব তিন এলাকায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এ তিনটি এলাকা হলো: ১. মিসর,
২. উত্তর আফ্রিকা ও স্পেন, ৩. হিজায ও মিশর।
ইমাম মালিক (র) সর্বমোট ২০টি মূলনীতির
উপর ভিত্তি করে তাঁর মাযহাবকে প্রতিষ্ঠা
করেছেন। এর মধ্যে ৫টি মূলনীতি আল-কুরআন
থেকে, ৫টি মূলনীতি আল-হাদীস থেকে
নিয়েছেন এবং অন্য ১০টি মূলনীতি কুরআন
হাদীসের বাইরে থেকে নিয়েছেন।
মিসর
মিসরে ইমাম মালিকের মাযহাব ব্যাপকভাবে প্রসার লাভ করে। অগণিত অনুসারী এই মাযহাবকে গ্রহণ
করে। এ ক্ষেত্রে ইমাম মালিকের যেসব ছাত্র অগ্রণী ভ‚মিকা পালন করেছেন তারা হলেনক. আবদুর রহমান ইবনে কাসিম, খ. আবদুল্লাহ ইবনে ওয়াহাব ইবনে মুসলিম, গ. আবদুল্লাহ ইবনে
আবদুল হাকাম, ঘ. মুহাম্মাদ ইবনে আবদুল্লাহ, ঙ. মুহাম্মাদ ইবনে ইবরাহিম।
উত্তর আফ্রিকা ও স্পেন
এ এলাকায়ও ইমাম মালিকের মাযহাব ব্যাপকভাবে প্রসার লাভ করে। এই এলাকার অধিকাংশ জনগণ
মালিকী মাযহাবের অনুসারী হয়। এখানে ইমাম মালিকের যেসব ছাত্র তাঁর মাযহাব প্রচার করেছেন তাঁরা
হলেন:
ক. আলী ইবনে যিয়াদ, খ. যিয়াদ ইবনে আবদুর রহমান, গ. আসাদ ইবনে ফুরাত, ঘ. আবদুল মালিক
ইবনে হাবীব, ঙ. আবদুস সালাম ইবনে সায়ীদ।
হিজায ও ইরাক
হিজায এবং ইরাকের অনেক মানুষ ইমাম মালিকের মাযহাবের অনুসারী হয়। এ অঞ্চলে ব্যাপকভাবে এ
মাযহাবের প্রচার ও প্রসার ঘটে। এ ক্ষেত্রে ইমাম মালিকের তিনজন ছাত্রের নাম বিশেষভাবে
উল্লেখযোগ্য। তাঁরা হলেন:
ক. আবদুল মালিক ইবনে আবি সালামাহ, খ. আহমাদ ইবনে মুয়াজ্জাল এবং গ. ইসমাঈল ইবনে
ইসহাক (রা)।
মালিকী মাযহাবের বৈশিষ্ট্য
এ মাযহাবের বৈশিষ্ট্যসমূহের অন্যতম হলো১. কুরআন এবং হাদীসের বক্তব্যকে ইমাম মালিক সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন।
২. মদীবাসীদের কার্যাবলিকে তিনি দলীল হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
৩. কিছু কিছু ক্ষেত্রে তিনি কঠোর বক্তব্য রেখেছেন যেমন- তিন মনে করেন, মুসলিম রাষ্ট্রে যিম্মীদের
ব্যবসা-বাণিজ্য করার অধিকার নেই।
৪. তিনি কিয়াসকে কম গুরুত্ব দিয়েছেন।
৫. মাসআলার ক্ষেত্রে নিজের ইজতিহাদকে তিনি বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন।
৬. সর্বোপরি ইসলাম ও মুসলমানদের স্বার্থকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন।
 সঠিক উত্তরের পাশে টিক ( চিহ্ন দিন১. ‘ইমামুদারিল হিজরাহ’ কোন ইমামকে বলা হয়?
ক. ইমাম আবু ইউসুফকে;
খ. ইমাম শাফিঈকে;
গ. ইমাম মালিককে;
ঘ. ইমাম আবু হানীফাকে।
২. ইমাম মালিকের দাদা ছিলেনক. সাহাবী;
খ. তাবিয়ী;
গ. ফকীহ;
ঘ. মুজতাহিদ।
৩. ইমাম মালিকের জন্ম হয়ক. ৯২ হিজরী সনে ইয়েমেনে;
খ. ৯৫ হিজরী সনে মক্কায়;
গ. ৯৪ হিজরী সনে কুফায়;
ঘ. ৯৩ হিজরী সনে মদীনায়।
৪. ফিকহশাস্ত্রে ইমাম মালিকের বিখ্যাত শিক্ষক ছিলেনক. রবীয়াহ ইবনে আমের;
খ. রবীয়াহ আল-জাদীদ;
গ. রবীয়াহ ইবনে খালেদ;
ঘ. রবীয়াতুর রায়।
৫. আল-মুয়াত্তা কিতাবের হাদীস সংখ্যা প্রায়ক. ৪৩৬০;
খ. ৩৩৬০;
গ. ২৩৬০;
ঘ. ১৩৬০।
৬। হাদীস শাস্ত্রে সর্বপ্রথম কোন হাদীস গ্রন্থ সংকলিত হয়?
ক. আল-মুয়াত্তা;
খ. সহীহ আল-বুখারী;
গ. আল-মিশকাত আল-মাসাবীহ;
ঘ. সহীহ-মুসলিম।
৭. মালিকী মাযহাবের সর্বমোট মূলনীতির সংখ্যাক. ১৫টি;
খ. ২০টি;
গ. ২৫টি;
ঘ. ৩০টি।
৮. ইমাম মালিকের কোন ছাত্র মাত্র নয় দিনে আল-মুয়াত্তা মুখস্থকরেছিলেন?
ক. ইমাম শাফিঈ;
খ. আবু ইসহাক;
গ. ইয়াহইয়া ইবনে ইয়াহইয়া;
ঘ. আলী ইবনে যিয়াদ।
৯. ইমাম মালিক মদীনা শহর ছাড়া আরও যে সব দেশে সফর করেন তা হচ্ছেক. মিশর;
খ. ইরাক;
গ. ইয়ামান;
ঘ. কোথাও সফর করেননি।
১০. সত্য হলে টিক চিহ্ন এবং মিথ্যা হলে ক্রস চিহ্ন দিনক. ইমাম মালিক একজন সাহাবী ছিলেন;
খ. ইমাম মালিকের বিখ্যাত কিতাবের নাম আল-মুয়াত্তা;
গ. ইমাম মালিক ৯০ বছর বয়সে ইন্তিকাল করেন;
ঘ. ইমাম মালিকের দাদার নাম আবু আমের।
১১. সঠিক শব্দ দ্বারা শূন্যস্থান পূরণ করুন।
ক. ইমাম মালিক ..... এর যুগে জন্মগ্রহণ করেন;
খ. মিশরে ইমাম মালিকের বিখ্যাত ছাত্রসংখ্যা ..... জন;
গ. ইমাম মালিক ..... থেকে পাঁচটি মূলনীতি গ্রহণ করেছেন;
ঘ. ..... এলাকায় মালিকী মাযহাব বিস্তার লাভ করে;
ঙ. ইমাম মালিক কিয়াসকে ..... গুরুত্ব দিয়েছেন।
১২. সত্য হলে টিক চিহ্ন এবং মিথ্যা হলে ক্রস চিহ্ন দিনক. মালিকী মাযহাবের মূলনীতি ৪০টি;
খ. মদীনাবাসীর কার্যাবলি মালিকী মাযহাবের দলীল নয়;
গ. মালিকী মাযহাব ইরাকে বিস্তার লাভ করেনি;
ঘ. মিশরে মালিকী মাযহাব বিস্তার লাভ করে।
সংক্ষিপ্ত রচনামূলক উত্তর-প্রশ্ন
১. আল-কুরআন থেকে নেওয়া মালিকীর মাযহাবের মূলনীতিগুলো লিখুন।
২. আল-হাদীস থেকে নেয়া মালিকী মাযহাবের মূলনীতিসমূহ আলোচনা করুন।
৩. কোন কোন এলাকায় মালিকী মাযহাব বিস্তার লাভ করে?
৪. হাদীসশাস্ত্রে ইমাম মালিকের বিখ্যাত শিক্ষকদের সম্পর্কে লিখুন।
৫. ইমাম মালিকের ছাত্রদের মধ্য হতে যারা মিশরে জ্ঞানচর্চা করেছেন তাদের নাম লিখুন।
৬. মালিকী মাযহাবের বৈশিষ্ট্য লিখুন।
বিশদ উত্তর-প্রশ্ন
১. মালিকী মাযহাবের মূলনীতিসমূহ বিস্তারিতভাবে লিখুন।
২. ইমাম মালিক(র)-এর বিস্তারিত জীবনী লিখুন।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]