ন্যায় অনুমানের সাধারণ নিয়ম কয়টি ও কি কি?

ন্যায় অনুমানের নিয়মাবলী
নানা কারণে ন্যায় অনুমানের সিদ্ধান্তঅবৈধ হতে পারে। ন্যায় অনুমানের সিদ্ধান্তযাতে বৈধ হয় সেজন্য
যুক্তিবিদগণ কয়েকটি নিয়মের কথা বলেছেন। এই নিয়মগুলো মেনে যুক্তি গঠন করলে যুক্তিতে কোন
অনুপপত্তি ঘটবে না এবং অনুমানটি বৈধ হবে। যেসব নিয়ম মেনে চললে অনুমানটি বৈধ হয় তার সংখ্যা
নিয়ে যুক্তিবিদদের মধ্যে মতভেদ আছে। এর মধ্যে ছয়টি হলো মৌলিক নিয়ম অবশিষ্টগুলো এই ছয়টি
নিয়ম থেকেই বেরিয়ে এসেছে। তাই আমরা এখানে মৌলিক নিয়মগুলো নিয়ে আলোচনা করবো।
১। প্রত্যেক নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানে অবশ্যই মোট তিনটি পদ থাকবে এবং প্রত্যেকটি পদ সমগ্র
যুক্তিতে একই অর্থে ব্যবহৃত হবে।
নিরপেক্ষ ন্যায়ে দু’টি পদের মধ্যে সম্বন্ধ ঘোষণা করা হয়। আশ্রয়বাক্যে যদি সিদ্ধান্তের দুটি পদের
প্রত্যেকটির সাথে হেতু পদটির সম্বন্ধ ঘোষণা করা হয় তাহলেই শুধু সিদ্ধান্তবচনের দু’টি পদের মধ্যে
স¤পর্কের কথা বলা যাবে। আশ্রয়বাক্যে যদি হেতুপদের সাথে সাধ্য পদ ও পক্ষপদের কোন স¤পর্কের
ঘোষণা না থাকে তাহলে সিদ্ধান্তেসাধ্য পদ ও পক্ষ পদের মধ্যে কোন রকম স¤পর্ক বা সম্বন্ধ প্রতিষ্ঠা
করা সম্ভব হবে না এবং সিদ্ধান্তও আশ্রয়বাক্য থেকে নিঃসৃত হবে না। সুতরাং প্রত্যেক বৈধ নিরপেক্ষ
ন্যায় অনুমানে তিনটি মাত্র পদ থাকবে; তিনের কম নয় তিনের বেশিও নয়।
যদি কোন ন্যায় অনুমানে তিনের বেশি পদ থাকে তাহলে সেই ন্যায় অনুমান অবৈধ হবে এবং চার পদ ঘটিত দোষে দুষ্ট হবে। যেমন
“রাজা দেশ শাসন করেন, রানী রাজাকে শাসন করেন, অতএব রানী দেশ শাসন করেন”। অনুমানটির যৌক্তিক রূপ
রাজা হন যিনি রাজ্য শাসন করেন।
রানী হন যিনি রাজাকে শাসন করেন।
সুতরাং রানী হন যিনি রাজ্য শাসন করেন।
এই অনুমানটির চারটি পদ আছে যথা ১। রাজা ২। যিনি রাজ্য শাসন করেন ৩। রানী এবং ৪। যিনি
রাজাকে শাসন করেন। ফলে অনুমানটি চতু®পদ দোষে দুষ্ট।
আবার ন্যায় অনুমানের তিনটি পদের কোনটিকেই একাধিক অর্থে ব্যবহার করা চলবে না। ন্যায়
অনুমানে মোট তিনটি পদ থাকে- সাধ্য, পক্ষ ও হেতু পদ। এদের মধ্যে কোন পদ যদি একাধিক অর্থে
ব্যবহৃত হয় তাহলে অনেকার্থক দোষে দুষ্ট হবে। যেমন
সকল পদ হয় বচনের অংশ।
কোন মানুষের চরণ নয় বচনের অংশ।
সুতরাং মানুষের চরণ নয় পদ।
আপাতদৃষ্টিতে এখানে তিনটি পদ আছে বলে মনে হয় যেমন চরণ, পদ এবং বচনের অংশ। কিন্তু
প্রকৃতপক্ষে এখানে চারটি পদ আছে কেননা সাধ্য পদ ‘পদ’ প্রধান যুক্তিবাক্যে বচনের পদ অর্থে এবং
সিদ্ধান্তেমানুষের দেহের অঙ্গ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। একটি পদ দু’বার দু’টি আলাদা অর্থে ব্যবহৃত হলে
তা প্রকৃতপক্ষে দু’টি পদ বলে গণ্য হবে।
হেতুপদ যদি অনেকার্থক হয় তাহলে তা সাধ্য পদের সাথে এক অর্থে এবং পক্ষ পদের সাথে অন্য
আরেক অর্থে সম্বন্ধযুক্ত হবে। এর ফলে পক্ষ ও সাধ্য পদ দু’টি ভিন্ন ভিন্ন পদের সাথে সম্বন্ধযুক্ত হয় বলে
সিদ্ধান্তেপক্ষ ও সাধ্য পদের মধ্যে কোন সম্বন্ধই প্রতিষ্ঠা করা যায় না। সাধ্য ও পক্ষ পদও একাধিক
অর্থে ব্যবহৃত হতে পারে। সেজন্য অনেকার্থক দোষ তিন রকমের হতে পারে। যথা ১. অনেকার্থক হেতু
দোষ ২. অনেকার্থক পক্ষ দোষ ও ৩. অনেকার্থক সাধ্য দোষ। তবে পদ একাধিক অর্থে ব্যবহৃত হলে
তাকে একাধিক পদ বলে গণ্য করতে হয়। ফলে অনেকার্থক দোষ শেষপর্যন্তচতু®পদ দোষেই পর্যবসিত
হয়।
২। আদর্শ আকারের বৈধ নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানে হেতুপদকে আশ্রয়বাক্যে অন্তত একবার ব্যাপ্য
হতেই হবে।
হেতুপদের কাজ হলো সিদ্ধান্তেসাধ্য ও পক্ষ পদের মধ্যে স¤পর্ক স্থাপন করা। একই হেতুপদের সাথে
সাধ্য ও পক্ষ পদের স¤পর্ক দেখিয়ে এই কাজ স¤পন্ন হয়। কিন্তু যদি হেতু পদটি অন্তত একটি
আশ্রয়বাক্যেও ব্যাপ্য না হয় তাহলে সাধ্য পদটি হেতু পদের ব্যক্তার্থের একটি অংশের সাথে এবং পক্ষ
পদটি হেতুপদের ব্যক্তার্থের অন্য অংশের সাথে স¤পর্কিত হতে পারে। সেক্ষেত্রে হেতু পদটি সাধ্য ও
পক্ষ পদের সাধারণ বন্ধন হিসেবে কাজ করতে পারে না। ফলে সিদ্ধান্তেসাধ্য ও পক্ষ পদের মধ্যে সম্বন্ধ
হবে না। সুতরাং হেতুপদটি অন্তত একবার ব্যাপ্য হতেই হবে অর্থাৎ হেতুপদ- নির্দেশিত শ্রেণীকে
সামগ্রিকভাবে নিতে হবে। এই নিয়ম লঙ্ঘন করলে অব্যাপ্য হেতু দোষ বা অনুপপত্তি ঘটবে। যেমন
সকল কবি হয় মরণশীল।
সকল পাখি হয় মরণশীল।
সুতরাং সকল পাখি হয় কবি।
এই ন্যায় অনুমানে হেতুপদ ‘মরণশীল’ উভয় আশ্রয়বাক্যেই অ বাক্যের বিধেয় পদ হওয়ায় ব্যাপ্য
হয়নি। হেতুপদ ‘মরণশীল’ যে শ্রেণীকে নির্দেশ করছে সাধ্য পদ ‘কবি’ এবং পক্ষ পদ ‘পাখি’ কোনটিই
সে (মরণশীল) শ্রেণীর সমগ্র অংশের সাথে যুক্ত হয়নি। এর ফলে কবি জাতি মরণশীল জাতির যে
অংশের অন্তর্গত পাখি জাতি মরণশীল জাতির ঠিক সে অংশের সাথে যুক্ত নাও হতে পারে। এ কারণে
হেতুপদ ‘মরণশীল’ সাধ্য পদ ‘কবি’ ও পক্ষ পদ ‘পাখি’কে সংযুক্ত করতে পারেনি। অতএব অনুমানটি
অব্যাপ্য হেতু দোষে দুষ্ট হয়েছে।
৩। ন্যায় অনুমানের সিদ্ধান্তেযদি কোন পদ ব্যাপ্য থাকে, তবে সেই পদটিকে আশ্রয়বাক্যে অবশ্যই
ব্যাপ্য থাকতে হবে।
বৈধ যুক্তির ক্ষেত্রে আশ্রয়বাক্যগুলি ন্যায়সঙ্গতভাবে সিদ্ধান্তকে প্রতিপাদন করে। আশ্রয়বাক্যে যতটুকু বলা
হয়েছে তার চাইতে বেশি কিছু সিদ্ধান্তেবলা যায় না। আশ্রয়বাক্য দু’টি থেকে যা ন্যায়সঙ্গতভাবে
নিঃসৃত হয় না তা সিদ্ধান্তেস্বীকার করা যায় না। যদি কোন ন্যায় অনুমানের সিদ্ধান্তঅবৈধভাবে
আশ্রয়বাক্যের ঘোষিত তথ্যকে অতিক্রম করে তাহলে ন্যায় অনুমানটি অবৈধ হবে। আশ্রয়বাক্যে
পদগুলি স¤পর্কে যতটুকু বলা হয়েছে সিদ্ধান্তেতার চেয়ে বেশি বললে অবৈধ হবে। সিদ্ধান্তেথাকে পক্ষ
ও সাধ্য পদ। কাজেই আশ্রয়বাক্যে সাধ্য কিংবা পক্ষ পদের কোনটি যদি ব্যাপ্য না থাকে তাহলে তাকে
সিদ্ধান্তেকখনই ব্যাপ্য করা যাবে না।
যদি সিদ্ধান্তেসাধ্য পদ ব্যাপ্য থাকে কিন্তু সাধ্য আশ্রয়বাক্যে অব্যাপ্য থাকে তাহলে অব্যাপ্য সাধ্য দোষ
বা অনুপপত্তি হবে। আর যদি পক্ষ পদ সিদ্ধান্তেব্যাপ্য থাকে কিন্তু পক্ষ আশ্রয়বাক্যে অব্যাপ্য থাকে
তাহলে অব্যাপ্য পক্ষ দোষ বা অনুপপত্তি ঘটে। যেমন
সকল কবি হয় মানুষ।
কোন কবি নয় পাখি।
সুতরাং কোন মানুষ নয় পাখি।
এই অনুমানটি অব্যাপ্য সাধ্য দোষে দুষ্ট। কারণ সাধ্য পদ ‘মানুষ’ পদটি সিদ্ধান্তেঊ বাক্যের বিধেয়
হিসেবে ব্যাপ্য হয়েছে কিন্তু আশ্রয়বাক্যে অ বাক্যের বিধেয় হওয়ায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ সিদ্ধান্তেঘোষণা
করা হয়েছে ‘মানুষ’ শ্রেণীর সকলেই ‘পাখি’ শ্রেণীর বহিভর্ ত। কিন্তু প্রধান আশ্রয়বাক্যে সমগ্র মানুষ শ্রেণী
স¤পর্কে কোন ঘোষণা করা হয়নি। সাধ্য পদের ক্ষেত্রে এই অব্যাপ্য প্রক্রিয়া হয়েছে বলে এর নাম
অব্যাপ্য সাধ্য অনুপপত্তি। ঠিক এমনিভাবে পদটি পক্ষ পদ হলে অনুমানটি হবে অব্যাপ্য পক্ষ অনুপপত্তি। যেমন
কোন কবি নয় পাখি।
সকল কবি হয় মানুষ।
সুতরাং কোন মানুষ নয় পাখি।
এই অনুমানটিতে পক্ষ পদ ‘পাখি’ আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য হয়নি কিন্তু সিদ্ধান্তেব্যাপ্য হয়েছে। অতএব
এখানে অব্যাপ্য পক্ষ অনুপপত্তি ঘটেছে।
৪। কোন বৈধ ন্যায় অনুমানের দু’টি আশ্রয়বাক্যই নঞর্থক হতে পারবে না।
ঊ ও ঙ বাক্য নঞর্থক। নঞর্থক বাক্যে শ্রেণী অন্তর্ভুক্তির কথা অস্বীকার করা হয়। নঞর্থক বাক্যে
একটি শ্রেণী সামগ্রিক কিংবা আংশিকভাবে আর একটি শ্রেণীর সমগ্র অংশের বহিভর্ ত একথা ঘোষণা
করা হয়। ফলে সাধ্য ও পক্ষ পদের মধ্যে কোন সম্বন্ধ স্থাপন করা যায় না। সুতরাং দু’টি আশ্রয়বাক্য
নঞর্থক হতে পারে না। এই নিয়ম লংঘন করলে দু’টি নঞর্থক আশ্রয়বাক্যজনিত অনুপপত্তি ঘটে।
যেমন
কোন সৎ লোক নয় অপ্রীতিভাজন।
রহিম নয় অপ্রীতিভাজন।
সুতরাং রহিম নয় সৎ লোক।
এই ন্যায় অনুমানটি দু’টি নঞর্থক আশ্রয়বাক্যজনিত দোষে দুষ্ট।
৫। বৈধ ন্যায় অনুমানে একটি আশ্রয়বাক্য নঞর্থক হলে সিদ্ধান্তও নঞর্থক হবে।
ন্যায় অনুমানের সিদ্ধান্তসদর্থক হলে বুঝতে হবে যে সিদ্ধান্তের দু’টি পদের দ্বারা নির্দেশিত শ্রেণী দু’টির
মধ্যে একটি শ্রেণী স¤পূর্ণ বা আংশিকভাবে অন্য শ্রেণীটির অন্তর্ভুক্ত। এ ধরনের ঘোষণা তখনই করা চলে
যখন আশ্রয়বাক্যগুলো ঘোষণা করে যে এমন একটি তৃতীয় শ্রেণী রয়েছে যা প্রথম শ্রেণীকে অন্তর্ভুক্ত করে
এবং নিজে দ্বিতীয় শ্রেণীটির অন্তর্ভুক্ত। সহজকথায় উভয় আশ্রয়বাক্যই যদি শ্রেণী
অন্তর্ভুক্তির কথা স্বীকার করে তাহলেই শুধু সিদ্ধান্তসদর্থক হবে। সদর্থক বাক্যই শুধু শ্রেণী অন্তর্ভুক্তির
কথা স্বীকার করে। কাজেই দু’টি সদর্থক আশ্রয়বাক্য থেকে সদর্থক সিদ্ধান্তপাওয়া যাবে এবং একটি
আশ্রয়বাক্য নঞর্থক হলে সিদ্ধান্তসদর্থক হতে পারবে না সিদ্ধান্তনঞর্থক হবে। এই নিয়ম লঙ্ঘন করলে
যে অনুপপত্তি ঘটবে তার নাম নঞর্থক আশ্রয়বাক্য থেকে সদর্থক সিদ্ধান্তগ্রহণজনিত অনুপপত্তি।
প্রচলিত যুক্তিবিদ্যায় আরও কয়েকটি নিয়ম উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন
ক) বৈধ ন্যায় অনুমানের উভয় আশ্রয়বাক্য সদর্থক হলে সিদ্ধান্তও সদর্থক হবে। বিপরীতক্রমে সিদ্ধান্ত
সদর্থক হলে আশ্রয়বাক্য দু’টি অবশ্যই সদর্থক হবে। এই নিয়মটি ৫ম নিয়ম থেকে অনুসৃত।
খ) উভয় আশ্রয়বাক্য বিশেষ হলে কোন সিদ্ধান্তপাওয়া যাবে না।
গ) একটি আশ্রয়বাক্য বিশেষ হলে সিদ্ধান্তও বিশেষ হবে।
ঘ) প্রধান আশ্রয়বাক্য বিশেষ এবং অপ্রধান আশ্রয়বাক্য নঞর্থক হলে কোন বৈধ সিদ্ধান্তপাওয়া যায় না।
এই চারটি নিয়ম পূর্বোক্ত পাঁচটি নিয়মের সাহায্যে প্রমাণ করা যায় বলে এগুলি অনুসৃত নিয়ম, মূল নিয়ম
নয়।
প্রচলিত যুক্তিবিদ্যায় অস্তিত্বমূলক তাৎপর্যের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়নি। তাই আধুনিক যুক্তিদিবস
ন্যায় অনুমানের বৈধতা বিচারের জন্য ষষ্ঠ একটি নিয়মের উল্লেখ করেছেন, নিয়মটি নিæরূপ
৬। দুটি সামান্য আশ্রয়বাক্যযুক্ত কোন আদর্শ আকারের বৈধ ন্যায় অনুমানের সিদ্ধান্তবিশেষ বাক্য হতে
পারে না।
আধুনিক যুক্তিবিদদের মতানুসারে সামান্য বচনের কোন অস্তিত্বমূলক তাৎপর্য নেই। সামান্য বচন কোন
কিছুর অস্তিত্বঘোষণা করে না। কিন্তু বিশেষ বচনের অস্তিত্বমূলক তাৎপর্য আছে অর্থাৎ বিশেষ বচন কোন
কিছুর অস্তিত্বঘোষণা করে। কাজেই দু’টি আশ্রয়বাক্য সামান্য হলে এবং তা থেকে কোন বিশেষ বচনকে
সিদ্ধান্তহিসেবে টানলে সিদ্ধান্তেএমন কিছুর অস্তিত্ব ঘোষণা করা হয়ে যায় যার অস্তিত্ব আশ্রয়বাক্যে
ঘোষণা করা হয়নি। সামান্য বচন শূন্যগর্ভকিন্তু বিশেষ বচন শূন্যগর্ভ নয়। সুতরাং শূন্যগর্ভবচন থেকে
অস্তিত্বমূলক বিশেষ বচন সিদ্ধান্তহিসেবে অনুমান করলে সিদ্ধান্তআশ্রয়বাক্যকে অতিক্রম করে যাবে, যা অবৈধ। যেমন
সকল শান্তপ্রাণী হয় গৃহপালিত প্রাণী।
কোন মৎস্যকন্যা নয় গৃহপালিত প্রাণী।
সুতরাং কোন কোন মৎস্যকন্যা নয় শান্ত।
প্রচলিত যুক্তিবিদ্যায় ঢালাওভাবে অস্তিত্বমূলক তাৎপর্য স্বীকার করে নেয়া হয় এবং সামান্য বচনেরও
অস্তিত্বমূলক তাৎপর্য আছে একথা স্বীকার করা হয়। সুতরাং প্রচলিত যুক্তিবিদ্যায় এ ধরনের ন্যায়ের
সিদ্ধান্তকে ‘দুর্বল সিদ্ধান্ত’ বলা হয়। কেননা এখানে ঊ বচনকেও সিদ্ধান্তকরা যেতো। কোন ন্যায়
অনুমানে আশ্রয়বাক্য থেকে সামান্য বচনকে সিদ্ধান্তহিসেবে পাবার সম্ভাবনা থাকা সত্তে¡ও যদি বিশেষ
বচনকে সিদ্ধান্তহিসেবে টানা হয় তাহলে সেই ন্যায়কে প্রচলিত যুক্তিবিদ্যায় ‘দুর্বল ন্যায়’ বলা হয়। কিন্তু
সিদ্ধান্তহিসেবে ঊ বচন টানলে তা শুধু সবল সিদ্ধান্তই হবে না তা স¤পূর্ণবৈধও হবে। কিন্তু উপরোক্ত
অনুমানটি অবৈধ। কারণ সিদ্ধান্তবিশেষ বচন হওয়ায় মৎস্যকন্যার অস্তিত্ব ঘোষণা করা হয়েছে অথচ
আশ্রয়বাক্যে মৎস্যকন্যার অস্তিত্বঘোষণা করা হয়নি। কাজেই অনুমানটি অস্তিত্বমূলক দোষে দুষ্ট।
কাজেই ন্যায় অনুমানের বৈধতা বিচার করার সময় এই নিয়মগুলোর কোন একটিও লঙ্ঘিত হয়েছে কিনা
তা লক্ষ্য করতে হবে। যে কোন নিয়ম লঙ্ঘন করলে অনুমানটি অবৈধ হবে এবং ঐ নিয়ম লঙ্ঘনজনিত দোষে দুষ্ট হবে।
রচনামূলক প্রশ্ন
১। ন্যায় অনুমানের নিয়মসমূহ ব্যাখ্যা করুন।
সংক্ষিপ্ত উত্তরমূলক প্রশ্ন
১। ন্যায় অনুমানের সাধারণ নিয়ম কয়টি ও কি কি?
২। ন্যায় অনুমানের তৃতীয় নিয়মটি কী? এই নিয়মটি ব্যাখ্যা করুন।
৩। ‘ন্যায় অনুমানে হেতুপদকে অন্তত একবার ব্যাপ্য হতে হবে’ ব্যাখ্যা করুন।
বহু নির্বাচনী প্রশ্ন
সঠিক উত্তর লিখুন
১। নিæের যুক্তিটিতে অনুপপত্তি ঘটেছে
সকল মানুষ হয় জ্ঞানী।
সকল কবি হয় জ্ঞানী।
সুতরাং সকল কবি হয় মানুষ।
ক) অব্যাপ্য সাধ্য খ) অব্যাপ্য পক্ষ
গ) অব্যাপ্য হেতু ঘ) কোনটাই নয়।
২। ন্যায় অনুমানের মৌলিক নিয়ম
ক) ৪টি খ) ৫টি
গ) ৬টি ঘ) ১০টি
৩। কোন নিয়ম লঙ্ঘন করলে ‘অস্তিত্বমূলক অনুপপত্তি’ ঘটে
ক) বৈধ ন্যায় অনুমানের হেতুপদকে আশ্রয়বাক্যে অন্তত একবার ব্যাপ্য হতে হয়।
খ) বৈধ ন্যায় অনুমানে আশ্রয়বাক্য নঞর্থক হলে সিদ্ধান্তও নঞর্থক হবে।
গ) কোন বৈধ ন্যায় অনুমানে দু’টি আশ্রয়বাক্যই নঞর্থক হতে পারে না।
ঘ) দু’টি সামান্য আশ্রয়বাক্যযুক্ত কোন আদর্শ আকারের বৈধ ন্যায় অনুমানের সিদ্ধান্তবিশেষ
বাক্য হতে পারে না।
সঠিক উত্তর
১। গ) অব্যাপ্য হেতু ২। গ) ৬টি ৩। ঘ) দু’টি সামান্য আশ্রয়বাক্যযুক্ত কোন আদর্শ আকারের বৈধ
ন্যায় অনুমানের সিদ্ধান্তবিশেষ বাক্য হতে পারে না।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]