নিষেধন ও নিষেধকের মধ্যে পার্থক্য দেখান। নিষেধক অপেক্ষককে যৌগিক বচন বলা যায় না কেন

সংজ্ঞা
কোন একটি বচনের সত্যতা বা মিথ্যাত্বকে আমরা যেমন স্বীকার করি তেমনি আবার ক্ষেত্রবিশেষে
অস্বীকারও করি। কোন বচনের সত্যতা বা মিথ্যাত্বকে অস্বীকার করাকে বলা হয় ‘নিষেধন’
(ঘবমধঃরড়হ) এবং এর থেকে উদ্ভ‚ত বচনটিকে বলা হয় নিষেধক বা নিষেধক বচন। নানাভাবে এই
নিষেধন ক্রিয়া স¤পাদিত হয়। যেমন, ‘পানি তরল পদার্থ’ এই বচনটির সত্যতা অস্বীকার করতে আমরা বলতে পারি
১। ‘পানি তরল পদার্থ নয়’।
২। ‘এটা মিথ্যা যে পানি তরল পদার্থ’।
৩। ‘এ সত্য (ঠিক) নয় যে পানি তরল পদার্থ’।
কিন্তু যেভাবেই আমরা এ নিষেধন প্রকাশ করি না কেন, তাৎপর্য একই। সুতরাং যুক্তিবিদ্যায় নিষেধক
বচনটির আকার এই তিন ক্ষেত্রে একই। সাধারণ ভাষায় উপরের বচন আকারকে এভাবে প্রকাশ করা যায়
না (পানি তরল পদার্থ)।
হাঁ-সূচক বচনকে না-সূচক বচনে প্রতীকায়ন
প্রতীকী যুক্তিবিদ্যায় হাঁ-সূচক বচনকে যদি আমরা ঢ় ধরি, তাহলে না-সূচক বচনকে আমরা এভাবে
প্রতীকায়ন করতে পারি ূ ঢ় । এখানে ঢ় এর আগে বসানো প্রতীক চিহ্নটি ‘না’ এর কাজ করছে।
ইংরেজিতে একে বলা হয় ঞরষফব বা ঈঁৎষ ঝুসনড়ষ। একে আমরা বাংলায় ‘ঢেউ চিহ্ন’ বলে উল্লেখ
করতে পারি।
এখানে ঢ় হচেছ ‘হাঁ-সূচক বচন’ আর ূ ঢ় হচেছ ‘নিষেধক বচন’। ঢ় আর ূ ঢ় এর সম্বন্ধ এই যে, ঢ়
সত্য হলে ূ ঢ় মিথ্যা এবং ঢ় মিথ্যা হলে ূ ঢ় সত্য। যেহেতু ূ ঢ় এর সত্য বা মিথ্যা হওয়া ঢ় এর
মানের ওপর নির্ভরশীল, সেজন্য ূ ঢ় একটা অপেক্ষক। আর যেহেতু ূ ঢ় দ্বারা ঢ় কে অস্বীকার বা
নিষেধ করা হচেছ, সেজন্য একে বলা হয় ‘নিষেধক অপেক্ষক’।
এর সত্যসারণী নি¤œরূপ
ঢ় ূ ঢ়
ঞ ঋ
ঋ ঞ
লক্ষণীয়, এক্ষেত্রে সত্যাপেক্ষকের উপাদান বচন মাত্র একটি। এজন্য উপাদান বচনের মানশর্ত কেবল
দুটি এবং সত্য সারণীটি সংযৌগিক অপেক্ষকের সত্যসারণী থেকে সরল ও সংক্ষিপ্ত।
নিষেধক অপেক্ষককে যৌগিক বচন বলা যুক্তিযুক্ত নয়
কখনও কখনও ূ ঢ় কে ‘যৌগিক বচন’ বলে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু সেটা ঠিক নয়। বচন বা উক্তি
হিসেবে ূ ঢ় জটিলতর, কিন্তু বচন এখানে একটিই। অন্তত দু’টি বচন যুক্ত না হলে ‘যৌগিক’ বচন
পাওয়া যায় না। নিষেধনের মাধ্যমে চিন্তা অপেক্ষাকৃত জটিল রূপ ধারণ করে ও পরিবর্তিত হয় কিন্তু
ফলস্বরূপ সরল বচন থেকে যৌগিক বচনের উদ্ভব হয় এমন কথা বলা যায় না।
ূ চিহ্নকে বলাই সঙ্গত
ূ চিহ্নকে সংযোজক বা পড়হহবপঃরাব না বলে বরং বলা
উচিত। ঢেউ চিহ্ন (ূ) কোন কিছু সংযুক্ত করে না বরং নিজেই হাঁ-বোধক বচনের সাথে সংযুক্ত হয়ে তার অর্থের পরিবর্তন ঘটায়।
রচনামূলক প্রশ্ন
১। নিষেধক অপেক্ষক ব্যাখ্যা করুন।
সংক্ষিপ্ত উত্তরমূলক প্রশ্ন
১। নিষেধন ও নিষেধকের মধ্যে পার্থক্য দেখান।
২। একটি হাঁ-সূচক বচনকে না-সূচক বচনে প্রতীকায়িত করুন।
৩। নিষেধক অপেক্ষককে যৌগিক বচন বলা যায় না কেন?

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]