সংযোজকের পরিধি এবং বন্ধনীর ব্যবহার ব্যাখ্যা করুন।

সংযোজক
আমরা যে সমস্তযৌগিক বচন আলোচনা করেছি তার সব ক’টিতেই দেখেছি দুটি সরল বচন কোন না
কোন একটি সংযোজক দিয়ে যুক্ত। কিন্তু সেক্ষেত্রে দুই এর বেশি সরল বচনও এভাবে যুক্ত হতে পারে,
যার ফলে আরও জটিল সত্যাপেক্ষক উৎপন্ন হয়। তখন সব সময় শুধু সংযোজক প্রতীক ব্যবহার করে
অপেক্ষকের অর্থ পরিষ্কার করা যায় না। ফলে অপেক্ষকের মধ্যে এক ধরনের জটিলতা কিংবা দ্ব্যর্থকতা দেখা দেয়।
বন্ধনীর ব্যবহার
বন্ধনীর সাহায্যে এ জটিলতা দ্ব্যর্থকতা দূর করা যায়। যুক্তবিদ্যায় সাধারণত তিন রকমের বন্ধনী ব্যবহৃত
হয় এবং বন্ধনী ব্যবহারের পদ্ধতিটি প্রায় গাণিতিক পদ্ধতির মতোই। পার্থক্যটা হল গাণিতিক পদ্ধতিতে
প্রথমে ১ম বন্ধনী, তারপর ২য় বন্ধনী, তারপর ৩য় বন্ধনীর কাজ করতে হয়; কিন্তু প্রতীকী যুক্তিবিদ্যায়
প্রথমে ১ম বন্ধনী, তারপর তৃতীয় বন্ধনী, তারপর ২য বন্ধনীর ব্যবহার করতে হয়।
এই বন্ধনীগুলো হচেছ
প্রথম বন্ধনী (...)
দ্বিতীয় বন্ধনী {...}
তৃতীয় বন্ধনী [...]
যৌগিক বচনটি বেশি জটিল হলে তৃতীয় বন্ধনীর পর আবার প্রথম বন্ধনী ব্যবহৃত হতে পারে।
বন্ধনী ব্যবহারের উদ্দেশ্য হল সংযোজকের পরিধি, প্রভাব বা পরিসর দেখানো।
যেমন
ঢ়.য় ূঢ়
ঢ়ায় ূ(ঢ়.য়)
ঢ় য় (ঢ়য়)ৎ
বাঁ দিকের প্রতিটি বচনে . , া,  সংযোজকের পরিধি বাঁ দিকে ঢ় ও ডান দিকে য় পর্যন্তবিস্তৃত। ডান
দিকে ূ এর পরিধি প্রথম ক্ষেত্রে শুধু ঢ় এবং দ্বিতীয় ক্ষেত্রে (ঢ়.য়) পর্যন্তবিস্তৃত। একটি সংযোজক একই সময়ে যেসব বচনের ওপর প্রভাব বিস্তার করে তাকেই তার পরিধি বলে।
নিচের বচনগুলি লক্ষ্য করুন (এই বচনগুলি দ্ব্যর্থকতা দোষে দুষ্ট)
(১) ঢ়.য় া ৎ
(২) ঢ় া য় . ৎ
(৩) ঢ়  য় . ৎ
(৪) ঢ়  য় া ৎ
(৫) ঢ় া য়  ৎ . ং
এগুলোর অর্থ পরিষ্কার নয়। (১) নং বচনটিতে বিন্দুর পরিধি ঢ় পর্যন্তনা ৎ পর্যন্তবিস্তৃত তা বোঝা যায়
না। আবার ভি চিহ্নের পরিধি বাঁ দিকে য় পর্যন্তনা ঢ় পর্যন্তবিস্তৃত তাও বোঝা যায় না। বন্ধনী ব্যবহার
করে আমরা (১) থেকে দুটি ভিন্ন বচন পেতে পারি
(১-ক) ঢ় . (য় া ৎ)
(১-খ) (ঢ় . য়) া ৎ
এখনে বিন্দু ও ভী চিহ্নের পরিধি পরিষ্কার হয়েছে (১) বচনের দ্ব্যর্থকতা নিরসন হয়েছে। (১- ক) ও
(১- খ) বচনের মানশর্ত এক নয়। (১- ক) বচনে ঢ় কে অবশ্যই সত্য হতে হবে, নইলে যৌগিক
বচনটি মিথ্যা হয়ে যাবে। কিন্তু(১- খ) বচনে ঢ় মিথ্যা হলেও ক্ষতি নেই; কারণ কেবল ৎ সত্য হলেই
স¤পূর্ণযৌগিক বচনটি সত্য হবে। (১ - ৫) নং পর্যন্তপ্রত্যেকটি যৌগিক বচনের অর্থই একাধিকভাবে
নির্দিষ্ট করা যায়। যেমন
(৫) নং বচন থেকে আমরা পেতে পারি
(ঢ় া য়)  (ৎ . ং)
ঢ় া [য়  (ৎ . ং)]
বন্ধনীর কাজ ভাষায় যতি চিহ্নের ন্যায়
সাধারণ ভাষায় যতি চিহ্নের মাধ্যমে বন্ধনীর কাজ করা হয় । যতি চিহ্ন অনুপস্থিত থাকলে বাক্য
দ্ব্যর্থকতা দোষে দুষ্ট হয়। যেমন
‘সে ঢাকায় থাকবে এবং শিক্ষকতা করবে অথবা লেখালেখি করবে’।
এখানে ঠিক বোঝা যাচেছ না, সে লেখালেখির সিদ্ধান্তনিলে ঢাকায় থাকবে কি না। যতি চিহ্ন ব্যবহার
করে আমরা বাক্যটিকে দু’ভাবে লিখতে পারি
(ক) সে ঢাকায় থাকবে, এবং শিক্ষকতা অথবা লেখালেখি করবে।
(খ) সে ঢাকায় থাকবে এবং শিক্ষকতা করবে অথবা লেখালেখি করবে।
(ক) থেকে বোঝা যাচেছ, সে লেখালেখি করলেও ঢাকায়ই থাকবে। কিন্তু (খ) থেকে বোঝা যাচেছ সে
ঢাকার বাইরে গিয়েও লেখালেখি করতে পারে। কমার ব্যবহারে ভিন্নতার জন্যই দু’রকমের অর্থ হয়েছে।
এর ফলে (ক) আর (খ) এর প্রতীকায়িত রূপ যথাক্রমে
(ক) ঢ় . (য় া ৎ)
(খ) (ঢ় . য়) া ৎ
উল্লেখ্য, বক্তব্যকে সু¯পষ্ট বা দ্ব্যর্থকতামুক্ত করতে চাইলে যতি চিহ্ন ব্যবহারের ব্যাপারে আমাদের সর্তক
হতে হবে। দ্ব্যর্থকতা দূর না করতে পারলে বচনের প্রকৃত আকার তথা যুক্তির আকার পরিষ্কার হবে না
এবং সে জন্য যুক্তির বৈধতা পরীক্ষাও সম্ভব হবে না।
মান-বিন্যাস করেও আমরা কিছুটা দ্ব্যর্থকতা দূর করতে পারি
অবশ্য বন্ধনীর বদলে সংযোজকের মান-বিন্যাস (জধহশরহম) করেও অন্তত কিছুদূর পর্যন্তদ্ব্যর্থকতা দূর
করা যায়। যেমন, আমরা সংযোজন শক্তির আধিক্য অনুসারে সংযোজকগুলিকে এভাবে সাজাতে পারি :

.



অর্থাৎ ূ চিহ্ন তার অব্যবহিত পরবর্তী বচনের সাথে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। . চিহ্ন া এর চেয়ে, া
চিহ্ন  এর চেয়ে এবং  চিহ্ন  এর চেয়ে ঘনিষ্ঠভাবে দু’টি বচনকে যুক্ত করে। তাহলে বোঝা যাচেছ
ূ ঢ়.য়, ূ ঢ়ায় ইত্যাদির মধ্যে ূ চিহ্ন কেবল ঢ় এর সাথেই যুক্ত এবং সেজন্য ূ (ঢ়.য়) থেকে ূ
ঢ়.য় আলাদা। আবার ঢ়.য়াৎ দেখে বোঝা যাচেছ বচনটি আসলে (ঢ়.য়) া ৎ । তেমনি ঢ়ায় ৎ এর
অর্থ হবে (ঢ়ায়)  ৎ ইত্যাদি। তবে এ পদ্ধতির চেয়ে বন্ধনী ব্যবহারের রীতি অধিক গ্রহণযোগ্য,
কারণ তার ফলে সংযোজকের পরিধি আরও সহজ ও সু¯পষ্টভাবে ধরা পড়ে। অপেক্ষাকৃত জটিল বচনের ক্ষেত্রে একথা বিশেষভাবে প্রযোজ্য।
রচনামূলক প্রশ্ন
১। সংযোজকের পরিধি এবং বন্ধনীর ব্যবহার ব্যাখ্যা করুন।
সংক্ষিপ্ত উত্তরমূলক প্রশ্ন
১। সংযোজকের পরিধি কতটুকু বিস্তৃত হয় উদাহরণসহ বর্ণনা করুন।
২। প্রতীকী যুক্তিবিদ্যায় বন্ধনী কত প্রকার এবং বন্ধনী ব্যবহারের পদ্ধতি বর্ণনা করুন।
৩। বন্ধনী ব্যবহার না করেও আমরা কিভাবে দ্ব্যর্থকতা দূর করতে পারি বর্ণনা করুন।
১। সত্য হলে ‘স’, মিথ্যা হলে ‘মি’ লিখুন
ক) 'ূ’ কে সংযোজক না বলাই ভাল।
খ) ঢ়.য়  ৎ একটি দ্ব্যর্থক বচন।
গ) বন্ধনীর ব্যবহার বচনকে অ¯পষ্ট করে তোলে।
ঘ) প্রতীকী যুক্তিবিদ্যায় দ্বিতীয় বন্ধনীর কাজ তৃতীয় বন্ধনীর পরে করতে হয়।
ঙ) বন্ধনী ব্যবহার না করলে যুক্তির বৈধতা বিচার সহজ হয়।
সঠিক উত্তর
ক) স খ) স গ) মি ঘ) স ঙ) মি

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]