যুক্তি আকারের সংজ্ঞা দিন। একটি যুক্তির বৈধতা কিভাবে নির্ণয় করা হয়?

যুক্তির আকার
যুক্তির বৈধতা নির্ণয়ের জন্য আমরা যুক্তির অন্তর্গত বচনগুলি সত্য কি মিথ্যা তা দেখব না, বরং আমরা
দেখব বচনগুলির যৌক্তিক আকার কি এবং সে আকারের ভিত্তিতে পুরো যুক্তির আকারটা কিরূপ হল।
যুক্তির বৈধতা তার আকারের ওপর নির্ভর করে
যুক্তির বৈধতা তার আকারের ওপর নির্ভর করে। যুক্তির অন্তর্গত বচনগুলির কোন একটি, এমনকি
সবগুলি ‘মিথ্যা’ হলেও যুক্তিটা বৈধ হতে পারে যদি তার আকার ঠিক থাকে।
একই আকারের একটি যুক্তি অবৈধ হলে সবগুলিই অবৈধ হবে
যুক্তির অন্তর্গত বচনগুলির সত্যমান বিভিন্ন হলেও দুই বা ততোধিক যুক্তি যদি একই আকারের হয়,
তাহলে তাদের সবগুলিই বৈধ, না হয় সবগুলিই অবৈধ হয়। এদের কতকগুলি বৈধ আর কতকগুলি
অবৈধ, এমন হতে পারে না। বৈধতা আকারগত বলেই সবগুলি একই রকম হয়। আর তাই কোন
যুক্তির বৈধতা প্রমাণের জন্য আমরা একই আকারের কোন অবৈধ যুক্তি আছে কিনা তা দেখি। যদি এ
আকারের একটি যুক্তিও পাওয়া যায় যা বৈধ নয় তাহলে প্রমাণ হবে যে, বিচার্য যুক্তিটিও বৈধ নয়।
যুক্তির আকার
ন্যায়াকার বা যুক্তির আকার হল সংযোজক প্রতীক ও বচনবর্ণ দ্বারা মিলিত এমন একটি পর¤পরা যার
মধ্যে বচন বর্ণের স্থলে নিয়মানুসারে বচন সংস্থাপন করলে ফলস্বরূপ ন্যায় বা যুক্তি পাওয়া যায়।
বচনাকারের মত যুক্তির আকার প্রকাশের জন্য আমরা ঢ় থেকে শুরু করে ইংরেজি বর্ণমালার ছোট
হাতের হরফগুলি ব্যবহার করব। যে কোন যুক্তিতে অন্তত দুটি ভিন্ন বচন থাকে, যদিও সচরাচর
বচনসংখ্যা দু’য়ের বেশি। প্রতীকায়নের সুবিধা ও সহজ করার জন্য এই বচনগুলির প্রথমটির জন্য ঢ়,
দ্বিতীয়টির জন্য য়, এভাবে পর্যায়ক্রমে বচনবর্ণ ব্যবহার করতে হবে। যেমন
(ক) সুমি অথবা রুমি গান গাইবে।
সুমি গান গাইবে না।
 রুমি গান গাইবে।
প্রথম বচনটিকে ঢ় এবং দ্বিতীয় বচনটিকে য় ধরলে যুক্তিটির আকার দাঁড়াবে
(কর্ ) ঢ় া য়
ূ ঢ়
 য়
এই যুক্তিটির মধ্যে হেতুবচন ও সিদ্ধান্তমিলিয়ে তিনটি বচন রয়েছে। এগুলোকে আমরা যুক্তির ‘আঙ্গিক
বচন’ বলতে পারি এবং এগুলি যে দুটি মূল বচন দিয়ে গঠিত তাদেরকে এর উপাদান বচন বলা হয়।
এবার নিচের যুক্তিটি পরীক্ষা করা যাক
(খ) রহিম অথবা করিম ঢাকায় যাবে
রহিম যাবে না
 করিম ঢাকায় যাবে।
প্রথম বচনটিকে ট এবং দ্বিতীয় বচনটিকে ঠ ধরলে যুক্তিটির আকার দাঁড়াবে
(র্খ) ট া ঠ
ূ ট
 ঠ
উপরের যুক্তি দুটির মধ্যে পার্থক্য থাকলেও যুক্তি দুটির আকার এক। দুটিতেই আঙ্গিক বচন তিনটি।
সেজন্য বলা যায় যে, দুটি যুক্তিরই সাধারণ আকার হল


 ৎ
কোন যুক্তি আকারের বচন বর্ণের স্থলে বচন বসালেই সেই যুক্তির সংস্থাপন দৃষ্টান্তপাওয়া যায়
আমরা যুক্তির ‘সাধারণ আকার’ আর ‘বিশেষ আকার’ এর মধ্যে একটি পার্থক্য দেখতে পাই। সাধারণ
আকারের মধ্যে উপাদান বচনগুলি সঠিকভাবে থাকে না, কিন্তু বিশেষ আকারে তা থাকে। কোন যুক্তি
আকারের প্রতিটি ভিন্ন বচন বর্ণের জায়গায় একটি ভিন্ন সরল বচন বসালে যে যুক্তি পাওয়া যায়, যুক্তি
আকারটি সেই যুক্তির ‘বিশেষ আকার’। উপরের খর্ হচেছ দ্বিতীয় যুক্তিটির বিশেষ আকার। অপরদিকে
কোন যুক্তি আকারের প্রতিটি বচন বর্ণের জায়গায় বচন বসালে যে যুক্তি পাওয়া যায়, যুক্তিটিকে সেই
যুক্তি আকারের ‘সংস্থাপন দৃষ্টান্ত’ বলে। যেমন, খ র্খ এর একটি সংস্থাপন দৃষ্টান্ত।
রচনামূলক প্রশ্ন
১। যুক্তির আকার ব্যাখ্যা করুন।
সংক্ষিপ্ত উত্তরমূলক প্রশ্ন
১। যুক্তি আকারের সংজ্ঞা দিন।
২। একটি যুক্তির বৈধতা কিভাবে নির্ণয় করা হয়?
৩। একটি যুক্তির বিশেষ আকার কিভাবে পাওয়া যায়? উদাহরণ দিন।
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন
সত্য হলে ‘স’ মিথ্যা হলে ‘মি’ লিখুন।
ক) যুক্তির আকার প্রকাশের জন্য বড় হাতের ইংরেজি বর্ণ চ-ত পর্যন্তব্যবহার করা হয়।
খ) যুক্তির হেতুবচন ও সিদ্ধান্তকে আঙ্গিক বচন বলে।
গ) যুক্তির আকার সব সময় সত্য বা মিথ্যা হয়, বৈধ বা অবৈধ নয়।
ঘ) প্রতিটি যুক্তির নিজস্ব আকারকে সাধারণ আকার বলে।
ঙ) কোন যুক্তি আকারের বচন বর্ণের স্থলে বচন বসালেই সেই যুক্তির সংস্থাপন দৃষ্টান্তপাওয়া যায়।
সঠিক উত্তর
(ক) মি (খ) স (গ) মি (ঘ) মি (ঙ) স

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]