বহুত্ববাদ কত প্রকার ও কি কি? বহুত্ববাদ ও বহু ঈশ্বরবাদের সম্পর্ক কিরূপ? এ প্রসঙ্গে বহু ঈশ্বরবাদ আলোচনা করুন।

ইতিপূর্বে আমরা পরম সত্তা বা আদি উপাদানের প্রকৃতি সম্পর্কে বিভিন্ন মতবাদ নিয়ে
আলোচনা করেছি। এখন আমরা পরম সত্তা বা আদি উপাদানের সংখ্যা সম্পর্কিত বিভিন্ন
মতবাদ নিয়ে আলোচনা করবো। আদি উপাদান বা পরম সত্তার সংখ্যার ব্যাপারে দার্শনিকরা
বিভিন্ন মত পোষণ করে থাকেন। এ সম্পর্কে তিনটি মতবাদ আছে : একত্ববাদ, দ্বৈতবাদ ও
বহুত্ববাদ। বর্তমান পাঠে আমরা বহুত্ববাদ নিয়ে এবং পরবর্তী পাঠ দুটিতে দ্বৈতবাদ ও
একত্ববাদ নিয়ে আলোচনা করবো। আসুন প্রথমে বহুত্ববাদ নিয়ে আলোচনা করি।
বহুত্ববাদ (চষঁৎধষরংস)
বহুত্ববাদের প্রধান যুক্তি এই যে, এ বিশ্বজগৎ বিভিন্ন উপাদানে পরিপূর্ণ। এসব উপাদান স্বতন্ত্র
এবং একটি থেকে অন্যটি পৃথক ও বিচ্ছিন্ন। পরিদৃশ্যমান জগৎ বৈচিত্র্যে ভরা। এই বৈচিত্র্যই
প্রমাণ করে যে, এ পরিদৃশ্যমান জগতের পেছনে অসংখ্য সত্তা রয়েছে। এই বৈচিত্র্যময় বিশ্বের
আসল রূপ এক বা দুয়ের মধ্যে পাওয়া যায় না। এর সন্ধান মিলে একমাত্র বহুত্বের মাঝে।
বহুত্ববাদের সারকথা এই যে, এ বিশ্বজগৎ বহু মূল উপাদান বা সত্তার সংযোগের ফলে গঠিত।
বহুত্ববাদের প্রথম আলোচনা পাওয়া যায় প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক এম্পিডক্লিসের দর্শনে। তিনি
সত্তাকে, আগুন, পানি, মাটি ও বায়ুনামক চারটি মূল উপাদানে বিভক্ত করেন। তাঁর মতে, এই
চারটি মূল উপাদানের সমন¦য়ে যাবতীয় বস্তুর সৃষ্টি। এরপর গ্রিক পরমাণুবাদীরা বহু পরমাণু দ্বারা এ জগৎ গঠিত বলে ঘোষণা করেন।
বহুত্ববাদের প্রকৃতি আলোচনা করলে আমরা এর নঞর্থক ও সদর্থক বলে দুটি দিক দেখতে
পাই। নঞর্থক দিক থেকে আলোচনা করলে দেখা যায়, বহুত্ববাদ একত্ববাদ ও দ্বৈতবাদের
বিরুদ্ধে একটি বলিষ্ঠ পদক্ষেপ। একত্ববাদ বা অদ্বৈতবাদ মনে করে সত্তা এক এবং দ্বৈতবাদ
মনে করে সত্তা দুই। কিন্তুবহুত্ববাদের মতে, সত্তা একও নয়, দুইও নয়, বরং বহু। আবার
সদর্থক দিক থেকে আলোচনা করলে দেখা যায় যে, বহুত্ববাদ পরিদৃশ্যমান জগতের আড়ালে
বহু সত্তার অস্তিত্ব প্রমাণ করার চেষ্টা করে। বহুত্ববাদীদের মতে, কতগুলো স্বনির্ভর ও স্বতন্ত্র
উপাদান বা সত্তা নিয়ে এ বিশ্বজগৎ গঠিত। কিন্তুএসব উপাদান বা সত্তার স্বরূপ কী বা সংগঠন
কিরূপ তা নিয়ে আমাদের মনে প্রশ্নের সৃষ্টি হতে পারে। বহুত্ববাদে সত্তার প্রকৃতি ও সংখ্যা
সম্পর্কে প্রধানত দুটি মতবাদ দেখা যায় : জড়াত্মক বহুত্ববাদ বা পরমাণুবাদ এবং আধ্যাত্মিক
বহুত্ববাদ বা চিৎ পরমাণুবাদ। দর্শনের ইতিহাসে আরো দুটি মতবাদ দেখা যায় এবং এগুলো
হলো প্রয়োগবাদী বহুত্ববাদ ও নব্য বাস্তববাদী বহুত্ববাদ।
জড়াত্মক বহুত্ববাদ বা জড় পরমাণুবাদ
পাশ্চাত্য দর্শনে গ্রিক দার্শনিক ডেমোক্রিটাস এ জড়াত্মক বহুত্ববাদ বা পরমাণুবাদের প্রবর্তন
করেন। তাঁর মতে, কোন দ্রব্যকে যদি ক্রমাগত বিভক্ত করা হয়, তাহলে এমন স্তরে পৌঁছবে
যে আর বিভক্ত করা যাবে না। এই অবিভাজ্য কণাগুলোর নামই পরমাণু। এ পরমাণুগুলোর
সংমিশ্রণ ও বিমিশ্রণের ফলেই দৃশ্যমান জগতের সৃষ্টি হয়েছে।
বিজ্ঞানী ডাল্টন ডেমোক্রিটাসের মতকে সমর্থন করেন এবং বলেন যে, পরমাণুনিশ্চল জড় এবং বিভিন্ন পরমাণুর মধ্যে শুধুপরিমাণগত পার্থক্য আছে। পরমাণুবাদের মতে, স্বনির্ভর অসংখ্য
জড়াত্মক পরমাণু বিক্ষিপ্ত অবস্থায় মহাশূন্যে সৃষ্টির শুরুতে ঘূর্ণায়মান অবস্থায় ছিল। এই
পরমাণুর মধ্যে আকর্ষণ ও বিকর্ষণ গতির কারণে আকস্মিকভাবে পরমাণুগুলোর সংযোগ ও
বিয়োগের ফলেই জড় জগতের উৎপত্তি। এই জড় পরমাণুথেকেই প্রাণ ও জীবদেহের সৃষ্টি
হয়। আর জীব দেহের ¯œায়ুকেন্দ্র ও মস্তিষ্ক থেকেই মন বা চেতনার আবির্ভাব। এ মতবাদ
অনুসারে, ঈশ্বরের অস্তিত্বের কল্পনা ব্যতিরেকে জগতের সৃষ্টি, স্থিতি ও লয় ব্যাখ্যা দেয়া যেতে পারে। তাই এ মতবাদ জগৎ প্রক্রিয়ার মূলে কোনো উদ্দেশ্য বা পরিণতিকে স্বীকার করে না।
সমালোচনা
জড় পরমাণুবাদের বিরুদ্ধে সাধারণত যেসব আপত্তি উত্থাপিত হয়, সেগুলো নিচে আলোচনা করা হলো :
এক. জগৎ অসংখ্য জড় পরমাণুর সংযোগ ও বিয়োগের ফলেই সৃষ্টি হয়েছেÑ এ হলো জড়
পরমাণুবাদের মূল সূত্র। কিন্তুপ্রশ্ন হলো, কিভাবে এ অচেতন, বিক্ষিপ্ত, বিচ্ছিন্ন জড় পরমাণু
সুশৃ´খল ও সামঞ্জস্যপূর্ণ বিশ্ব জগতের সৃষ্টি করতে পারে? এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর এ মতবাদে নেই।
দুই. পরমাণুবাদ বিনা প্রমাণেই পরমাণুর অস্তিত্ব, জড়ের আকর্ষণ-বিকর্ষণ ও সংযোগ-বিয়োগের
গতি স্বীকার করে নেয়। এমনকি এসব অনুমানের সমর্থনে কোন যুক্তিসঙ্গত কারণের অবতারণা করা হয়নি।
তিন. অন্ধ যান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বা অচেতন জড় পরমাণুথেকে কিভাবে প্রাণের উৎপত্তি হতে পারে? এ সম্পর্কে কোন সুষ্ঠুব্যাখ্যা জড় পরমাণুবাদে দেয়া হয়নি।
চার. মন বা চেতনা জড় শক্তির জটিলতর রূপ হতে পারে না। মন বা চেতনা মস্তিষ্কের ক্রিয়াএ অভিমত গ্রহণযোগ্য নয়; কেননা অচেতন জড় থেকে চেতনার উৎপত্তি সম্ভব নয়। তাছাড়া
প্রাণশক্তি ও মন বা চেতনা জড় থেকে উচ্চতর ও ভিন্ন প্রকৃতির।
পাঁচ. জড় পরমাণুবাদ যান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জগতের সংগঠন ও ঐক্য সম্পর্কে যে মত দেয় তা যুক্তিসঙ্গত নয়।
আধ্যাত্মিক বহুত্ববাদ বা চিৎ পরমাণুবাদ
জার্মান দার্শনিক লিবনিজ চিৎ পরমাণুবাদের প্রবর্তক। তাঁর মতে, এ বিশ্বজগৎ জড় পরমাণু
দ্বারা গঠিত নয়, বরং চিৎ পরমাণুর দ্বারা গঠিত। লিবনিজ গ্রিক পরমাণুবাদীদের মতবাদের
সমালোচনা করে বলেন যে, চিৎ পরমাণুই জগতের মূল বা আদি উপাদান। এসব চিৎ পরমাণু সংখ্যায় অসংখ্য এবং এগুলো সক্রিয় (ধপঃরাব), অবিভাজ্য ও আধ্যাত্মিক।
প্রয়োগবাদী বহুত্ববাদ
প্রয়োগবাদের অন্যতম প্রবক্তা উইলিয়াম জেমস্ (১৮৪২-১৯১০) হেগেলের একত্ববাদ বা
অদ্বৈতবাদকে সমালোচনা করতে গিয়ে বলেন যে, এ বিশ্বজগৎ পরমসত্তার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয়।
যদি তাই হবে তাহলে এ বিশ্বজগৎ ‘আবদ্ধ জগৎ' (ইষড়পশবফ টহরাবৎংব) এ পরিণত হবে।
জগতে বৈচিত্র্য, নতুনত্ব ও স্বাধীনতার কোন অস্তিত্বই থাকবে না। তাঁর মতে, এ বিশ্বজগৎ বহু
বিচ্ছিন্ন বস্তুর সমষ্টি। বিচ্ছিন্নতা ও বৈচিত্র্যই এ বিশ্ব জগতের আদিম ও আসল রূপ। এসব
বিচ্ছিন্ন বস্তুপরস্পরের সাথে যুক্ত হয়েও কোন ঐক্য গঠন করেনি। এ বিশ্বজগৎ বিচিত্র ও
অভিনব। এ জগৎ এক নয়, বরং বহু। স্বাধীন, অভিনব ও বিচিত্র সৃষ্টি ও ক্রমোন্নতির সম্ভাবনায় এ বিশ্বজগতে ঐক্যহীন অজস্রের সমাবেশ বিদ্যমান। তিনি এ বিশ্ব জগতকে শুধু ঈশ্বরনিরপেক্ষ নয়, ব্যক্তি মন-নিরপেক্ষ হিসেবেও দেখার সুপারিশ করেন।
সমালোচনা
জেমস্ এ জগতকে ঈশ্বর ও ব্যক্তি মন-নিরপেক্ষ করতে গিয়ে এ বিশ্ব জগতকে এক
বিশৃ´খলার রাজত্বে ঠেলে দিয়েছেন। এ বিশ্বজগৎ হচ্ছে এক নিয়মের রাজত্ব এবং এ হচ্ছে
এক সুসংবদ্ধ ও সুসংহত পরম ঐক্য। বৈচিত্র্য ও সামঞ্জস্য হলো বিশ্ব জগতের দুটি রূপ। ঐক্য
ছাড়া বৈচিত্র্য এবং বৈচিত্র্য ছাড়া ঐক্য কল্পনা করা যায় না। তাই প্রয়োগবাদী বহুত্ববাদ একটি
চরম মতবাদ, এটি বিশ্ব জগতের স্বরূপ ও সংখ্যা সম্পর্কে সঠিক ব্যাখ্যা দিতে সক্ষম নয়।
নব্য বাস্তববাদী বহুত্ববাদ
ভাববাদের বিরুদ্ধ মতবাদ হিসেবে নব্য বাস্তববাদের উৎপত্তি। নব্য বাস্তববাদীরা ভাববাদীদের
অদ্বৈতবাদকে সমালোচনা করতে গিয়ে বলেন, এ বিশ্বজগতে চেতনা বা মন-নিরপেক্ষ বস্তুর
স্বাধীন সত্তা রয়েছে। এ জগতে যেমন মন রয়েছে তেমনি স্বাধীন সত্তাবিশিষ্ট বহু বস্তুও রয়েছে।
আর বস্তুকে মন সরাসরি জানতে পারে। তাঁদের মতে, এ বিশ্বে কোন আঙ্গিক ঐক্য নেই এবং বহু-ই সত্য। বিভিন্ন বস্তুর মধ্যে যে সম্পর্ক আছে, সে সম্পর্ক অভ্যন্তরীণ নয় বরং বাহ্য
সম্পর্ক। ভাববাদীরা এ সম্পর্ককে অভ্যন্তরীণ বলে ভাবেন। অর্থাৎ একটি বস্তুঅন্য বস্তুর সাথে
সম্পর্কিত হলে ঐ বস্তুর পরিচয় ও প্রকৃতি বদলে যায়। কিন্তুনব্য বাস্তববাদীরা এ মতবাদ স্বীকার করেন না।
নব্য বাস্তববাদীদের কারো কারো মতে, মনও নয় বা জড়বস্তুও নয়, বরং নিরপেক্ষ পদার্থ
) হলো জগতের আদি উপাদান, যা এক প্রেক্ষিতে ভৌতিক এবং
অন্য প্রেক্ষিতে মানসিক ) বলে প্রতীয়মান হয়। দেশ ও কালে যেসব বস্তুআছে,
সেগুলোর প্রকাশমান সত্তা বা অস্তিত্ব ) আছে। সংখ্যা, সম্বন্ধ, দেশ, মূল্য ইত্যাদিও
বাস্তব ও সত্য। কিন্তু এগুলোর দেশ ও কালে অস্তিত্ব বা প্রকাশ নেই, বরং এগুলোর
বিদ্যমানতা ) আছে। জড়, প্রাণ ও মন হলো বিভিন্ন স্তরের সত্তা। প্রাণের জড়
থেকে এবং মনের ¯œায়ুতন্ত্র থেকে উন্মেষ ঘটেছে। তাঁদের মতে, এ বিশ্বজগৎ পরমাত্মার প্রকাশ নয়, এরূপ ধারণা অলীক কল্পনামাত্র। বহু বস্তুর সমষ্টি নিয়ে এ বিশ্বজগতের সৃষ্টি।
সমালোচনা
নব্য বাস্তববাদীরা বস্তুর অভ্যন্তরীণ সম্পর্ককে অস্বীকার করে বস্তুর অস্তিত্বের ও ঐক্যের কোন
সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। তাছাড়া, এ জগৎ পরস্পর বিচ্ছিন্ন ও স্বতন্ত্র বস্তুর
সমষ্টিমাত্র নয়। এ জগতে বিভিন্ন বস্তুর মধ্যে একটা ঐক্য, শৃ´খলা ও সামঞ্জস্যতা আছে।
তাঁরা নিরপেক্ষ পদার্থ, বিদ্যমানতা ইত্যাদি ধারণা সম্পর্কে যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।
বহু ঈশ্বরবাদ বা বহু দেবদেবীবাদ
বহুত্ববাদী দৃষ্টিভঙ্গি তত্ত¡ ছাড়া ধর্মের ক্ষেত্রেও দেখা যায়। হিন্দুধর্মাবলম্বীরা বহু দেবতায় বিশ্বাস
করেন। প্রাচীন গ্রিক, রোমান ও মিশরীয়রা বহু দেবতাবাদে বিশ্বাসী ছিলেন। প্রাকৃতিক শক্তির
পশ্চাতে তাঁরা একাধিক দেবতার সত্তায় বিশ্বাস করতেন। বিভিন্ন দেবতা বিভিন্ন বিভাগের কার্য
সম্পাদন করতেন। ফলে জগতকে বিভিন্ন বিভাগে ভাগ করে বিভিন্ন দেবতার অধীন করা হয়।
তাঁরা দেবতার মধ্যে মানুষের গুণের অনুরূপ গুণ যেমনÑ ইচ্ছা, প্রবৃত্তি ও অনুভ‚তি ইত্যাদি আছে বলে বিশ্বাস করতেন।
আমরা এ আলোচনায় দেখেছি যে, বহুত্ববাদ একটি সন্তোষজনক মতবাদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত
হতে পারেনি। বহুর মাঝে যে ঐক্য আমরা দেখতে পাই তা তাঁরা ব্যাখ্যা করতে পারেননি।
রচনামূলক প্রশ্ন
১। বহুত্ববাদ কত প্রকার ও কি কি? বিস্তারিত আলোচনা করুন।
২। বহুত্ববাদ ও বহু ঈশ্বরবাদের সম্পর্ক কিরূপ? এ প্রসঙ্গে বহু ঈশ্বরবাদ আলোচনা করুন।
সংক্ষিপ্ত উত্তরমূলক প্রশ্ন
১। জড়াত্মক বহুত্ববাদ আলোচনা করুন।
২। আধ্যাত্মিক বহুত্ববাদ আলোচনা করুন।
৩। নব্য বাস্তববাদী বহুত্ববাদ আলোচনা করুন।
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন
সঠিক উত্তর লিখুন।
১। যে মতবাদ জগতের অন্তরালে অসংখ্য জড় পরমাণুকে স্বীকার করে তাকে বলা হয়
(অ) জড়বাদী বহুত্ববাদ (আ) আধ্যাত্মিক পরমাণুবাদ
(ই) প্রয়োগবাদী বহুত্ববাদ (ঈ) দ্বৈতবাদ
২। প্রয়োগবাদী বহুত্ববাদের মতে, এ জগতের আসল রূপ হলো
(অ) শৃ´খলা (আ) বৈচিত্র্য ও অভিনবত্ব
(ই) নিরপেক্ষতা (ঈ) ঈশ্বর নিয়ন্ত্রিত
৩। বৈচিত্র্যই প্রমাণ করে, পরিদৃশ্যমান জগতের পিছনে অসংখ্য সত্তা রয়েছে- এ বক্তব্য
(অ) একত্ববাদের (আ) দ্বৈতবাদের
(ই) বহুত্ববাদের (ঈ) অজ্ঞেয়তাবাদের
৪। উইলিয়াম জেমস কোন বহুত্ববাদের সমর্থক
(অ) জড়াত্মক বহুত্ববাদ (আ) আধ্যাত্মিক বহুত্ববাদ
(ই) প্রয়োগবাদী বহুত্ববাদ (ঈ) নব্য বাস্তববাদী বহুত্ববাদ
সত্য হলে ‘স', মিথ্যা হলে ‘মি' লিখুন।
১। বহুত্ববাদের মতে, এ বিশ্ব বহু মূল উপাদান দ্বারা গঠিত।
২। পরিকল্পিতভাবে পরমাণুগুলোর সংযোগ ও বিয়োগের ফলেই জড় জগতের উৎপত্তি।
৩। লিবনিজের মতে, এ বিশ্বজগৎ অসংখ্য সক্রিয় ও অবিভাজ্য চিৎপরমাণুদ্বারা গঠিত।
৪। উইলিয়াম জেমস্রে মতে, এ বিশ্বজগৎ পরম সত্তার বহিঃপ্রকাশ।
৫। নব্য বাস্তববাদীদের মতে, নিরপেক্ষ পদার্থ দ্বারা এ জগৎ গঠিত।
সঠিক উত্তর
১। (অ) জড়বাদী বহুত্ববাদ ২। (আ) বৈচিত্র্য ও অভিনবত্ব ৩। (ই) বহুত্ববাদের
৪। (ই) প্রয়োগবাদী বহুত্ববাদ
১। স ২। মি ৩। স ৪। মি ৫। স

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]