মূল্য কি? এটা কি আত্মগত না বস্তুগত? বিষয়টির সমালোচনামূলক ব্যাখ্যা দিন।

অনেক দার্শনিকের ধারণা, মূল্য কোনো উচ্চতর উৎস যেমন- ঈশ্বর, পরম শুভ, আল্লাহ, ব্রহ্মা
কিংবা প্রকৃতি থেকে আসে। তারা আরও মনে করেন, মূল্য হলো ব্যক্তি নিরপেক্ষ একটি
ব্যাপার। এই মত অনুসারে, এমনকি পৃথিবীতে যদি কোনো মানব প্রজাতি নাও থাকে তবুও
মূল্যের অস্তিত্ব থাকবে। অপরদিকে, অন্যান্য দার্শনিকগণ যুক্তি দেখান যে, মূল্য পুরোপুরি
ব্যক্তিসাপেক্ষ একটি ব্যাপার এবং তা নির্ভর করে বিষয়টির উপর মানুষের মূল্যায়নের ক্ষমতার
উপর। অর্থাৎ যদি পৃথিবীতে মানুষের অস্তিত্ব না থাকে তবে বস্তুর অস্তিত্ব থাকলেও মূল্য বলে
কিছু থাকবে না। আলোচ্য পাঠে আমরা মূল্য সম্পর্কিত এই দু’ধরনের যুক্তিকেই যাচাই করে
মূল্যের প্রকৃত উৎস সন্ধানের চেষ্টা করবো।
মূল্য বস্তুগত
মূল্যকে যখন আমরা বস্তুগত বলবো তখন এ কথার তিন ধরনের অর্থ হতে পারে :
ক) বস্তুর নিজস্ব মূল্য থাকবে, মূল্য নিরূপণের জন্য পৃথিবীতে মানুষের অস্তিত্ব থাকুক বা নাই থাকুক।
খ) বস্তুর মূল্য আসে কোনো অতিপ্রাকৃতিক উৎস থেকে।
গ) প্রকৃতির নিয়মের মধ্যেই মূল্য অস্তিত্বশীল।
বস্তুর মূল্য নিহিত থাকে বস্তুর ভিতরেই
কিছু কিছু দার্শনিক মনে করেন, মূল্য আত্মগত ব্যাপার নয়, মূল্য সম্পূর্ণভাবে বস্তুগত। কেননা
মানুষ বস্তু বা ঘটনাকে মূল্যায়ন করুক বা না করুক বস্তুর মধ্যেই মূল্য অন্তর্নিহিত থাকে। মূল্য
আত্মগত বা ব্যক্তিগত হলে সর্বজনীন মূল্য বলে কিছু থাকতো না। সেক্ষেত্রে মহৎ সাহিত্য,
মহৎ শিল্প, মহৎ সঙ্গীত বা মহৎ যে কোনো সৃষ্টি মূল্যায়ন করা সম্ভব হতো না। কিন্তু আমরা
জানি, নজরুল-রবীন্দ্রনাথ-শেক্সপিয়রের সাহিত্য, রাফায়েল-পিকাসো-জয়নুল আবেদিনের শিল্প,
সালামত আলী-নাজাকাত আলী-পল রবস্নের সঙ্গীত সকল শিল্পপ্রেমিক সহৃদয় যুক্তিবান
মানুষের কাছে মহৎ শিল্পকর্ম হিসেবে আদৃত হয়। অর্থাৎ এসব শিল্পকর্মের মধ্যে সর্বজনীন কিছু
মূল্য অবশ্যই আছে। তাই মূল্য আত্মগত ব্যাপার নয়। তাছাড়া, যা কিছু মানুষের ব্যক্তিগত
অনুভ‚তিকে তৃপ্ত করে তাই মূল্যবান। মানুষের এই ব্যক্তিগত অনুভ‚তিকে পরিতৃপ্ত করার ক্ষমতা
সে নিজে সৃষ্টি করে না, তা বস্তুর মধ্যেই থাকে। যেসব বস্তুতে মানুষের পরিতৃপ্ত করার ক্ষমতা
থাকে তা মূল্যবান বলে মনে হয়। যেমন, ‘গোলাপ ফুল’ মানুষের কাছে মূল্যবান। কেননা
গোলাপ ফুলের সৌন্দর্য মানুষকে পরিতৃপ্ত করে। আর এই সৌন্দর্য মানুষের সৃষ্ট নয়। এটি ঐ
নির্দিষ্ট ফুলটির নিজস্ব অন্তর্নিহিত গুণ। তাই মূল্য আত্মগত বিষয় নয় বরং তা বস্তুগত।
মানুষের উপস্থিতি ও বস্তুর মূল্য
মানুষের অনুপস্থিতিতে পৃথিবীতে বস্তুর মূল্য অবিকৃত থাকে কিনা- বিষয়টি পরীক্ষা করতে
চাইলে অন্তত সাময়িকভাবে হলেও সকল মানুষকে পৃথিবীর বাইরে থেকে বস্তুসমূহ নিজ নিজ
মূল্য নিয়ে অবস্থান করছে কিনা- তা অবলোকন করতে হবে। আসলে কোন মানুষ যদি
পৃথিবীতে না থাকে তবে আলো, বাতাস, পানি, গাছপালা, ফুল-ফল, নদী, সমুদ্র, পাহাড়ের কি
কোনো মূল্য থাকবে? প্রশ্নটি করার সাথে সাথে উল্লিখিত বস্তুসমূহের সাথেই মূল্য কথাটি
সম্পৃক্ত হয়ে পড়ে। তাছাড়া, আমরা যদি প্রাণীকুল, গাছপালা, পতঙ্গের দৃষ্টিতেও ভাবি
তাহলেও বস্তুর নিজস্ব মূল্যকে স্বীকার করতে হয়। কারণ তাদের বেঁচে থাকার জন্য এসবের
প্রয়োজন। যদিও তারা মানুষের মতো এসবের মূল্য নির্ধারণ করে কিনা - সে সম্পর্কিত তথ্য
আমাদের জানা নেই, তবুও এটা নিশ্চিত যে এসব বস্তুসমূহ তাদের কাছে মূল্যবান। তবে
পৃথিবীতে এমন কিছু বস্তু আছে যা শুধু মানুষের উপস্থিতির কারণেই মূল্যবান। যেমন, স্বর্ণ
নামক ধাতব পদার্থটি মানুষের কাছে মূল্যবান হলেও গাছপালা কিংবা প্রাণীক‚লের কাছে
মূল্যহীন। অনুরূপভাবে, পাহাড়ের চ‚ড়ার সৌন্দর্য কিংবা সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্যমূল্য শুধু
মানুেষর কাছেই মূল্যবান। তাছাড়া, সংস্কৃতি, শিল্পকলা, সরকার ব্যবস্থার মূল্যও মানুষকেন্দ্রিক।
বস্তুর মূল্য আসে কোনো অতি প্রাকৃতিক উৎস থেকে
অনেকে বস্তুর ও মানুষের মধ্যকার মূল্যের উৎস হিসেবে অতি প্রাকৃতিক উৎসের কথা বলেন।
অনেক মানুষই অতি প্রাকৃতিক কোনো সত্তা, পরমসত্তা বা অধিনৈতিক কোন কিছুর অস্তিত্বে
বিশ্বাস করেন। তাদের মতে, পরমসত্তাই মূল্যের ভিত্তি। এ জগৎ এবং জগতের সব বস্তু তাঁরই
সৃষ্টি এবং তিনি জগতে যাবতীয় নান্দনিক এবং নৈতিক মূল্যকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন এবং
মানুষকে সেসব অনুসরণের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। এ ধরনের পরমসত্তার অস্তিত্ব থাকতে
পারে, তবে অস্তিত্বের পক্ষে চুড়ান্ত কোনো প্রমাণ নেই। পরম সত্তার অস্তিত্বে কারো তীব্র
বিশ্বাস থাকতে পারে, কিন্তু বিশ্বাস ও প্রমাণ এককথা নয়। তাছাড়া নৈতিক মূল্যের বিষয়টিও
মানুষের জাগতিক প্রয়োজন এবং ইচ্ছা অনুযায়ী উদ্ভ‚ত ও পরিবর্তিত হচ্ছে। অধিকন্তু, মূল্যের
অতি প্রাকৃতিক উৎসের কথা যারা বলেন, তাদের মধ্যে সাধারণ ঐক্যও পরিলক্ষিত হয় না।
যেমন, যীশু, বুদ্ধ, তাও, প্লেটোসহ বিভিন্ন মহামানব এবং দার্শনিকগণ বিভিন্ন ধরনের অতি
প্রাকৃতিক সত্তা, নৈতিক উৎস ও নীতিমালার কথা বলেছেন। তাদের মধ্যে মূল্যের উৎস ও
প্রকৃতি নিয়ে মিলের চেয়ে অমিলই বেশি। তাহলে মূল্যের কোন্ োঅতি প্রাকৃতিক উৎসটি
সঠিক-তা নিয়ে প্রশ্ন উঠা স্বাভাবিক।
প্রাকৃতিক নিয়মের মধ্যেই মূল্য নিহিত
কখনো কখনো আলাদাভাবে, আবার কখনো অতি প্রাকৃতিক তত্তে¡র সঙ্গে যুক্ত করে বলা হয়
যে, নৈতিক বিধিগুলো প্রাকৃতিক জগৎ ও প্রকৃতির অংশ। অনেকেই বলেন, কাজটা করা ঠিক
না কারণ তা প্রকৃতিবিরুদ্ধ। আমরা প্রাকৃতিক নিয়ম বলতে বুঝি, ‘গতির সূত্র’, ‘তাপ
গতিবিদ্যা’, ‘মাধ্যাকর্ষণ নিয়ম’ ইত্যাদিকে। যখন এই ‘বিধি’ বা ‘আইন’ শব্দটি আমরা
প্রাকৃতিক বিধি ও নৈতিক বিধির ক্ষেত্রে ব্যবহার করি তখন তা বিভ্রান্তির জন্ম দিতে পারে।
কেননা এই দুটি ক্ষেত্রে বিধি বা আইন শব্দটি ভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত। প্রাকৃতিক বিধি হচ্ছে
বাংলাদেশ উš§ুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
এসএসএইচএল পৃষ্ঠা-১২১
বর্ণনামূলক এবং নৈতিক বিধি হচ্ছে পরামর্শমূলক। ‘মাধ্যাকর্ষণ সূত্র’ একটি প্রাকৃতিক বিধি।
মাধ্যাকর্ষণ নিয়ম অনুসারে, কোন বস্তুকে উপরের দিকে নিক্ষেপ করলে পৃথিবীর টানে তা নিচে
নেমে আসবে। এই নিয়মের সাথে ঔচিত্যের কোনো সম্পর্ক নেই। প্রাকৃতিক নিয়ম বস্তুগত
ঘটনার বর্ণনা দিলেও তা নৈতিক ঘটনার নির্দেশ দেয় না। কেউ কেউ বলেন, মানুষের
ঔচিত্যের কিছু নিয়ম প্রকৃতিই ঠিক করে দেয়। যেমন, সমকামিতা নৈতিকভাবে অনুচিত,
কেননা তা প্রাকৃতিক বিধি সম্মত নয়। তাদের যুক্তি হলো, প্রকৃতি কেবলমাত্র বিপরীত লিঙ্গে
যৌন সম্পর্ক অর্থাৎ নারী ও পুরুষের যৌনতাকেই স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু বিষয়টি সেরকম নয়।
কেননা প্রকৃতিতে গবেষণা করে দেখা গেছে, একই লিঙ্গের মাঝে যৌনতার বিষয়টি বিভিন্ন
প্রাণীক‚ল ও উদ্ভিদরাজির মধ্যেও বর্তমান। তাই এটা বলা যায়, নৈতিক মূল্য প্রকৃতি বা অতি
প্রাকৃতিক কোন কিছু থেকে আসে না। তাহলে মূল্য যদি বস্তুগত না হয়, তবে মূল্য আত্মগত
কিনা- বিষয়টি পরীক্ষা করা প্রয়োজন।
মূল্য আত্মগত
মূল্য পুরোপুরিভাবে আত্মগত বা ব্যক্তিনির্ভর বলার অর্থ হলো, যদি পৃথিবীতে কোনো মানুষের
অস্তিত্ব না থাকে তবে মূল্যের অস্তিত্ব থাকবে না। সবকিছুই তখন মূল্যহীন হয়ে পড়ে। এই
মতের অনুসারীগণ মনে করেন, মূল্যের অস্তিত্ব শুধুমাত্র মন বা চেতনার মধ্যেই সম্ভব, বস্তু বা
ঘটনার মধ্যে সম্ভব নয়। কোনো বস্তু বা ঘটনার কোনো সর্বজনগ্রাহ্য মূল্য নেই। একজনের
কাছে যা ভাল মনে হবে, আর একজনের কাছে তা মন্দ মনে হতে পারে। যে গান মুন্নির কাছে
ভাল লাগে তা তার বান্ধবীর কাছে ভাল নাও লাগতে পারে। আবার একই ব্যক্তির কাছে
সময়ের ভিন্নতায় বস্তুর মূল্যও ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। আনন্দের সময়ে যে গানটি মুন্নির কাছে
তৃপ্তিদায়ক মনে হয়, শোকের সময়ে সেই একই গান বিরক্তিকর মনে হতে পারে। তাহলে বলা
যায়, ভাল-মন্দ প্রভৃতি বস্তুগত গুণ নয়, বরং এগুলো আত্মগত। তাছাড়া, সত্য, সুন্দর ও
মঙ্গলের ধারণাও দেশ ও কাল ভেদে পরিবর্তিত হয়। আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তনের
কারণে এক যুগের এসব পরম ধারণাগুলো অন্য যুগে বদলে যেতে পারে। সুতরাং মূল্যের
সর্বজনীন বা সনাতন কোনো রূপ নেই। মূল্য একান্তভাবে ব্যক্তির মনের ওপর নির্ভরশীল।
বস্তুর নিজস্ব কোনো গুণ নেই। ব্যক্তিমানুষ বস্তুর উপর গুণ আরোপ করে মাত্র। এছাড়া,
জগতের সমস্ত মহৎ মূল্য পদ্ধতিগুলোও মানুষেরই সৃষ্টি। উদাহরণস্বরূপ,
সক্রেটিস, প্লেটো, অ্যারিস্টটল, সেন্ট থমাস একুইনাস, সেন্ট অগাস্টিন, ইমানুয়েল কান্ট
প্রমুখ-এর মূল্য সম্পর্কিত বিচার-বিশ্লেষণের কথা বলা যায়।
তবে আমরা আলোচ্য পাঠের প্রথম দিকের আলোচনায় দেখেছি, মূল্য শুধু ব্যক্তি মানুষের
প্রয়োজন, আবেগ, অনুভ‚তি, ইচ্ছা ইত্যাদি থেকে নিঃসৃত হয় না, মূল্যর বস্তুগত ভিত্তিও আছে।
যখন কোনো কিছুকে আমরা সুন্দর বলি বা মিষ্টি স্বাদের বলি, তখন ঐসব বস্তুর মধ্যে এমন
কিছু গুণাবলী থাকে যা বস্তুটিকে সুন্দর এবং মিষ্টি স্বাদের বলে আখ্যায়িত করার কারণ হিসেবে কাজ করে, তাই মূল্যর উৎস শুধুমাত্র বস্তুগত অথবা আত্মগত নয়।
উপসংহার
মূল্য নির্ধারণের প্রক্রিয়াটির সাথে মূল্যবান বস্তু বা ঘটনা থাকে, মূল্য নিরূপণকারী ব্যক্তির
উপস্থিতি থাকে এবং একটি বিশেষ অবস্থায় কোনো কিছুর মূল্য নিরূপণ করা হয়। স্বর্ণ ধাতুটির
মূল্য নিরূপণ করতে গেলে, মূল্যবান এই ধাতব পদার্থটির উপস্থিতি থাকতে হবে। সমাজের
অন্যান্য মানুষ কর্তৃক এটিকে মূল্যবান ধাতু হিসেবে স্বীকৃতি পেতে হবে এবং আদান-প্রদান
করতে হবে। যে ব্যক্তি এটিকে মূল্যবান বলবেন, তার সামর্থ্য ও যোগ্যতা থাকতে হবে। নির্জন
মরুভ‚মিতে পানি ও খাদ্য সমস্যা জর্জরিত কোনো সমাজের কাছে এরকম মূল্যবান ধাতুর মূল্য
বিচারের চেয়ে জীবিকা নির্বাহের বিষয়গুলো বেশি মূল্যবান হতে পারে। তাই মূল্য বিচারের
জন্য বস্তুর প্রয়োজন মেটানোর গুণাবলী যেমন থাকতে হবে তেমনি মূল্য উপলব্ধি করার মত
সামর্থ্য ও যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তির উপস্থিতিও থাকতে হবে। সুতরাং মূল্য ব্যক্তিগত ও বস্তুগত
উভয়ই। ইংরেজ দার্শনিক আলেকজান্ডার এ মতের অন্যতম সমর্থক। তাঁর মতে, মূল্য বস্তুর
মূখ্য বা গৌণ গুণ নয়, বরং তা তৃতীয় জাতের একটি গুণ। এই ধরনের গুণ বস্তুনির্ভর হয়েও
মন-নির্ভর। অর্থাৎ বস্তু বা মনকে বাদ দিলে মূল্যের অস্তিত্বই থাকে না। আমরা আরও দেখেছি
যে, মূল্যবোধের সাথে ব্যক্তির রুচি ও অনুভ‚তির বিষয়টি জড়িত। কিন্তু ব্যক্তির রুচি ও
অনুভ‚তির একটি সর্বজনগ্রাহ্য রূপও আছে। শিক্ষার মাধ্যমে মানুষের রুচি ও অনুভ‚তিকে
সর্বজনগ্রাহ্য করে তোলা যায়। আর তাই সার্থক শিল্প, সঙ্গীত ও সাহিত্যকর্ম যা সর্বজনীন
মূল্যের আকার পেয়েছে, তার মূল্য দেশ ও কালোত্তীর্ণ। সর্বজনীন মূল্য হচ্ছে বস্তুগত মূল্য। তাই বলা যায়, মূল্য ব্যক্তিগত হয়েও আত্মগত। বিষয়টি পরবর্তী পাঠে আরও বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে।
রচনামূলক প্রশ্ন
১। মূল্য কি? এটা কি আত্মগত না বস্তুগত? বিষয়টির সমালোচনামূলক ব্যাখ্যা দিন।
সংক্ষিপ্ত উত্তরমূলক প্রশ্ন
১। “বস্তুর মূল্য আসে কোনো অতি প্রাকৃতিক উৎস থেকে’’- এ উক্তিটির সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা দিন।
২। “ব্যক্তিই বস্তুর উপর মূল্য আরোপ করে’’- এই বক্তব্যটির সমর্থনে সংক্ষিপ্ত আলোচনা
করুন।
ক) বহু নির্বাচনীমূলক প্রশ্ন
সঠিক উত্তর লিখুন।
১। মূল্য বস্তুগত -এ কথার অর্থ হলো
র) মূল্য নির্ধারণের জন্য মানুষ না থাকলেও বস্তুর নিজস্ব মূল্য থাকবে
রর) বস্তুর মূল্যের উৎস কোনো অতি প্রাকৃতিক সত্তা
ররর) বস্তুর মূল্য নিহিত থাকে প্রাকৃতিক নিয়মের মধ্যে
রা) উপরের সবগুলোই সঠিক
২। বস্তুর মূল্য নিহিত থাকে বস্তুর ভিতরেই- এ কথার অর্থ দাঁড়ায়
র) বস্তু প্রাণীক‚লের ও গাছপালার নিকট মূল্যবান
রর) বস্তু মানুষের কাছে মূল্যবান
ররর) মানুষ বস্তুর গুণাবধারণ না করলেও বস্তুর নিজস্ব মূল্য আছে
রা) মূল্য নির্ধারণের জন্য বস্তু আবশ্যক
৩। মূল্য সম্পর্কিত অতি প্রাকৃতিক সত্তার তত্ত¡ গ্রহণ করা যায় না কারণ
র) অতি প্রাকৃতিক সত্তার অস্তিত্ব সম্পর্কে মানুষের বিশ্বাস থাকলেও সে সম্পর্কে চূড়ান্ত কোনো
প্রমাণ নেই
রর) বিভিন্ন মানুষ অতি প্রাকৃতিক সত্তা সম্পর্কে আলাদা আলাদা ধারণা পোষণ করেন
ররর) বিভিন্ন অতি প্রাকৃতিক সত্তা থেকে নিঃসৃত মূল্যের মধ্যে কোনো সাধারণ ঐক্য নেই
রা) উপরের সবগুলোই সঠিক
৪। নিচের বাক্যগুলোর মধ্যে অধিকতর গ্রহণযোগ্য বাক্যটি হলো
র) নৈতিক বিধিমালা প্রাকৃতিক নিয়ম ও প্রকৃতির অংশ
রর) প্রাকৃতিক নিয়মগুলো বস্তুগত ঘটনার বর্ণনা দিলেও নৈতিক ঘটনার বর্ণনা দেয় না
ররর) মানুষের ঔচিত্যের কিছু নিয়ম প্রকৃতিই ঠিক করে দেয়
রা) যা প্রকৃতিবিরুদ্ধ তাই অনৈতিক।
সঠিক উত্তর
ক) ১। র) মূল্য নির্ধারণের জন্য মানুষ না থাকলেও বস্তুর নিজস্ব মূল্য থাকবে
২। ররর) মানুষ বস্তুর গুণাবধারণ না করলেও বস্তুর নিজস্ব মূল্য আছে
৩। রা) উপরের সবগুলোই সঠিক
৪। রর) প্রাকৃতিক নিয়মগুলো বস্তুগত ঘটনার বর্ণনা দিলেও নৈতিক ঘটনার বর্ণনা দেয় না

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]