দর্শন পাঠের সাধারণ নির্দেশনাসমূহ প্রদত্ত যুক্তির মূল্য নিরূপণের ক্ষেত্রে কি কি বিষয় লক্ষণীয়?

< দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গির যেমন কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে তেমনই দর্শন পড়ার কিছু নিয়ম বা কৌশল
রয়েছে। আমরা আগেই জেনেছি, দর্শনের আলোচ্য বিষয় খুবই মৌলিক ও সর্বজনীন। দর্শনের
আলোচনা পদ্ধতিও খুবই মূলস্পর্শী যুক্তিধর্মী
এজন্য দার্শনিক লেখার অর্থ বুঝতে হলে, আপনাকে মনোযোগী ও সতর্ক হতে হবে। তবে
দার্শনিক লেখা পাঠের ক্ষেত্রে কিছু কৌশল অনুসরণ করলে, আপনি সহজে তা বুঝতে
পারবেন। বিভিন্ন ধরনের দার্শনিক রচনা বা লেখা পাঠের ক্ষেত্রে কিরূপ কৌশল অনুসরণ করা
যায়, আমরা এখন তা আলোচনা করবো।
দর্শন পাঠ : সাধারণ নির্দেশনা
ঝামেলামুক্ত হয়ে স্থির মন নিয়ে পড়তে বসুন। দার্শনিক লেখার একটি নির্দিষ্ট অংশ অন্তত
দু’বার, সম্ভব হলে তিনবার পড়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করুন। প্রথমবার বিরতিহীনভাবে অংশটি
পড়ে যান এবং কোনো শব্দ বা প্যারা কঠিন বা দুর্বোধ্য মনে হলে, পরবর্তী বার ভালভাবে পড়া
ও বুঝার জন্য সনাক্ত করে রাখুন। প্রথমবারের পড়াশেষে সনাক্তকৃত শব্দ ও প্যারাগুলো বুঝার
চেষ্টা করুন। এজন্য প্রথমে বইয়ের ভিতর কোনো শব্দ-টিকা বা শব্দকোষ (এষড়ংংধৎু) আছে
কিনা, তা লক্ষ করুন এবং থাকলে তা কাজে লাগান। পড়ার টেবিলে একটা ভাল বাংলা
অভিধান (উরপঃরড়হধৎু) থাকলে ভাল হয়। এই সাথে একটা ভাল দর্শন অভিধান রাখলে
উপকৃত হবেন।
কঠিন শব্দগুলো বুঝার জন্য পুরো অংশটি দ্বিতীয় বার পড়বেন। তবে এবার আগের চেয়ে ধীরে
ধীরে পড়ূন, এবং মূল ধারণাগুলো আন্ডারলাইন করুন অথবা পুরো অংশটির মূল বক্তব্য বা
বিষয়গুলোর একটা রূপরেখা ভিন্ন কাগজে লিপিবদ্ধ করুন। এ সময় কঠিন প্যারাগুলো আরো
ভালভাবে বুঝার জন্য পুনরায় পড়–ন। অতপর, আপনার প্রণীত রূপরেখার উপর একবার চোখ
বুলিয়ে নিন। অতপর, প্রথম বারের মত পুরো অংশটি বিরতিহীনভাবে পড়ূন, তবে এবার অর্থাৎ তৃতীয়বার উপস্থাপিত ধারণাবলী এবং তার পেছনে নিহিত যুক্তিচিন্তন আত্মস্থ করার জন্য অধিক সচেষ্ট হন।
উপস্থাপিত ধারণা বা তত্ত¡ আপনার কাছে আশ্চর্য মনে হোক বা না হোক, আপনি যতটা সম্ভব
মুক্ত ও সদয় মন নিয়ে তা পড়বেন। পড়েই কোনো ধারণা বা তত্ত¡ বাতিল করে দেবেন না;
বরং পুরো অংশটি পড়ে শেষ করুন। দ্বিতীয় বা তৃতীয় বারের পড়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত,
কোনো কিছুকে আক্রমণ বা বাতিল করবেন না এবং তার পাল্টা যুক্তিও দাঁড় করাবেন না।
দ্বিতীয় বা তৃতীয় বারে আপনি যা পড়েছেন সে সম্বন্ধে আপনার প্রতিক্রিয়া ও সমালোচনা লিখে ফেলুন।
সাধারণ দর্শন পাঠের ক্ষেত্রে, এই সযতœ পদ্ধতি অনুসরণ করলে, আপনার পঠিত বিষয় যেমন
আপনি বুঝতে পারবেন, তেমনি দর্শনের যে কোনো নির্দিষ্ট বিষয় আপনি যুক্তিবিচার সহকারে
আলোচনা করতে বা লিখতে সক্ষম হয়ে উঠবেন।
দর্শনের পরিচিতিমূলক বা সাধারণ টেক্সট বই পাঠ
দর্শনের পরিচিতিমূলক বা সাধারণ টেক্সট বই পাঠের ক্ষেত্রে উপরোক্ত নির্দেশনাসমূহ অনুসরণ
করুন। লক্ষ করুন, টেক্সট বইয়ের লেখকগণ বই পাঠের কোনো নিয়ম বা কৌশল উল্লেখ
করেছেন কিনা, করলে তা অবশ্যই অনুসরণ করবেন। সাধারণত বইয়ের ভ‚মিকাতে লেখক বা
লেখকগণ বইটির উদ্দেশ্য, বিষয়বস্তুর বিন্যাস ও পঠন-কৌশল বর্ণনা করে থাকেন। লেখক
কিভাবে বইটিকে বিভিন্ন অধ্যায়ে বা ইউনিটে, অধ্যায়কে বিভিন্ন অনুচ্ছেদে, অনুচ্ছেদকে বিভিন্ন
প্যারায় বিভক্ত করেছেন, তা অবশ্যই লক্ষ করতে হবে। আপনি যখনই টেক্সট বইয়ের কোনো
নির্দিষ্ট অংশ পড়বেন, তখনই লক্ষ করবেন, অংশটি কোন্ অধ্যায় বা ইউনিটভুক্ত, অধ্যায়ের
বাকি অংশের সাথে পঠিত অংশের সম্পৃক্ততা কতটুকু। নির্দিষ্ট অংশ বা পাঠ সাধারণত বিভিন্ন
শিরোনাম সহযোগে আলোচিত হয়ে থাকে, এই শিরোনামগুলোর যৌক্তিকতাও বুঝার চেষ্টা
করুন। নির্দিষ্ট অংশ বা পাঠের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের তালিকা থাকতে পারে, যেমন- নীতিবিদ্যা
তিন প্রকার : ১। আদর্শনিষ্ঠ নীতিবিদ্যা, ২। প্রায়োগিক নীতিবিদ্যা ও ৩। পরা-নীতিবিদ্যা এই
তালিকাগুলো বিশেষভাবে লক্ষ করবেন।
অনেক টেক্সট বইয়ে অধ্যায়ের শেষদিকে অধ্যায়ের সারাংশ দেয়া থাকে। অধ্যায়ের সারাংশ
অধ্যায়ের মূল বক্তব্যেরই একটি রূপরেখা। ফলে এটি বিষয়বস্তু বুঝার ক্ষেত্রে বিশেষ সহায়ক।
অধ্যায়শেষে সাধারণত পাঠোত্তর প্রশ্নমালা থাকে। এগুলো অনুশীলন করলে প্রথমত আপনি
নিজেই বুঝতে পারবেন, পঠিত বিষয়বস্তু আপনি কতটুকু বুঝেছেন দ্বিতীয়ত অনেক অস্পষ্ট,
জটিল বা উপেক্ষিত বিষয় একাধিকবার মনোযোগ লাভ করার কারণে, আগের চেয়ে সহজ
মনে হবে। টেক্সট বইয়ের অন্তর্গত শব্দকোষ ও নির্ঘন্ট (রহফবী) অবশ্যই কাজে লাগাবেন।
এগুলো শব্দ, সম্প্রত্যয় (পড়হপবঢ়ঃ) ও তত্তে¡র যথাযথ অর্থ ও তাৎপর্য বুঝতে আপনাকে
সাহায্য করবে; প্রচলিত অভিধান থেকে আপনি সাধারণত এটি লাভ করতে পারবেন না।
মৌলিক দার্শনিক রচনা পাঠ
মৌলিক দার্শনিক রচনার দার্শনিক চারিত্র্য থাকে; এটির গদ্য নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য লাভের জন্য
নিপুণভাবে যুক্তিবিচার সহযোগে গড়ে ওঠে। মৌলিক দার্শনিক লেখার প্রায় সবই বিদেশী
ভাষায় রচিত। অধিকাংশ সময় এ সবের অনুবাদ পড়া ছাড়া গত্যন্তর থাকে না; অনুবাদ
সাধারণত মূল রচনার চেয়ে কঠিন হয়। তাছাড়া, সময়ের পরিবর্তনে ভাষার প্রয়োগ-রীতি
র পরিবর্তন ঘটে বিধায় পূর্ববর্তী রচনার মর্ম উদ্ধার করা অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে। এ সব কারণে মৌলিক দার্শনিক রচনা পাঠের ক্ষেত্রে, সাধারণ টেক্সট বই পাঠের চেয়ে অনেক বেশি ধৈর্য ও মনোযোগ দরকার। মৌলিক রচনা পাঠের ক্ষেত্রে নিচের নির্দেশনাগুলো মেনে চলার চেষ্টা করুন।
প্রসঙ্গ বিবেচনা
সাহিত্যের মতো দার্শনিক রচনাও একটা সুস্পষ্ট ঐতিহাসিক বাস্তবতা থেকে উদ্ভ‚ত হয়। এজন্য
কোনো মৌলিক দার্শনিক রচনা পাঠের সময় লক্ষ করতে হবে, কে এটি লিখেছেন, কখন ও
কোথায় এটি প্রকাশিত হয়েছিল, এটি কাদেরকে লক্ষ্য করে মূলত রচিত হয়েছিল, কিরূপ
উদ্দেশ্য এটি অর্জন করেছিল বলে ভাবা হয় এবং এটি প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত
কিভাবে সাধারণ পাঠক ও দার্শনিক সম্প্রদায় কর্তৃক গৃহীত হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়,
প্লেটোর দার্শনিক রচনা পড়তে হলে জানা দরকার: সক্রেটিস-প্লেটো সম্পর্ক, গ্রিসের সেদিনের
জীবনরীতি, গ্রিকদের চিন্তা-প্রণালী পরিবর্তনে সক্রেটিস ও প্লেটোর প্রচেষ্টা, তাঁদের উদ্ভাবিত
যুক্তিচিন্তার দ্বা›িদ্বক পদ্ধতি প্লেটোর চিন্তাধারা
সম্বন্ধে অন্যান্য দার্শনিকদের মতামত প্রভৃতি।
মূল ধারণা বা কেন্দ্রীয় মত সনাক্তকরণ (ওফবহঃরভু ঈবহঃৎধষ ঞযবংবং)
প্রতিটি মৌলিক দার্শনিক রচনায় এক বা একাধিক বিশেষ বচন বা উক্তির সত্যতা প্রতিষ্ঠার
প্রচেষ্টা থাকে। দার্শনিকরা সাধারণত তাঁদের মত যুক্তিবিচার সহযোগে সূক্ষূভাবে উপস্থাপন
করেন। তাঁদের মত হয় কোনো দার্শনিক অবস্থানকে সমর্থন করে, নতুবা প্রত্যাখ্যন করে। যাই
হোক না কেন, আমরা অবশ্যই বোঝার চেষ্টা করবো, দার্শনিক তার এই নির্দিষ্ট গ্রন্থটিতে
আসলে কি আলোচনা করতে চাচ্ছেন এবং সে সম্বন্ধে তার মূল বক্তব্য বা মত কি? প্রসঙ্গত
আমরা প্লেটোর ‘রিপাবলিক’ এর কথা উল্লেখ করতে পারি। এই গ্রন্থে প্লেটো মূলত ন্যায়বিচার
(লঁংঃরপব) নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য হলো, রাষ্ট্রের তিনটি সুস্পষ্ট
শ্রেণীর কাজের সুষ্ঠু সমন্বয় হলো ন্যায়বিচার। বস্তুত কোনো মৌলিক দার্শনিক রচনা তখনই
ভালভাবে পড়া হবে, যখন আপনি ঐ দার্শনিকের মূল ধারণা বা মত, তার দেয়া বিভিন্ন পদের
সংজ্ঞা, তার দেয়া যুক্তির প্রধান লক্ষণ এবং ঐ যুক্তির সমর্থনে তার দেয়া উদাহরণ বা ব্যাখ্যা বুঝতে সক্ষম হবেন।
সামর্থনিক যুক্তি চিহ্নিতকরণ
দার্শনিকরা তাদের মতামতকে নিছক ব্যক্ত করেন না, ঐ মতামতের সত্যতা প্রতিষ্ঠায় বা
প্রতিপাদনে সচেষ্ট হন। দার্শনিকরা নিজেদের মত সমর্থন করার জন্য যেসব পদ্ধতি ব্যবহার
করেন, তা বিভিন্ন রকম হতে পারে। তবে এসব পদ্ধতির অধিকাংশই মূলত যৌক্তিক
বিচারেরই একটি রূপ প্রকাশ করে।
দার্শনিক স্পষ্টভাবে বা সুপ্তভাবে কতিপয় আশ্রয়বাক্য পেশ করেন যা স্পষ্টতঃ সত্য, অতঃপর
দাবি করেন যে, নিখুঁত অনুমানের সাহায্যে এসব আশ্রবাক্য থেকে অবশ্যম্ভাবীরূপে বাঞ্ছিত
সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়। আমরা যদি কোনো দার্শনিকের ব্যবহৃত যুক্তিচিন্তনের রূপ চিহ্নিত
করতে চাই, তাহলে অবশ্যই যুক্তিচিন্তনের বিভিন্ন রূপ সম্বন্ধে আমাদের জ্ঞান থাকতে হবে।
প্রদত্ত যুক্তির মূল্য নিরূপণ
দার্শনিকের মূল মত এবং এ মতের সমর্থনে প্রদত্ত যুক্তির রূপটি বুঝার পর, আপনি ঐ যুক্তির
মূল্য নিরূপণে অবশ্যই অগ্রসর হবেন। এক্ষেত্রে অর্থাৎ যুক্তির বিচার-বিশ্লেষণে ও মূল্য-
নিরূপণে আপনি নিচের প্রশ্নগুলোকে পথ-নির্দেশ হিসেবে কাজে লাগাতে পারেন :
১। দার্শনিক তার মূল পদগুলোকে (শবু ঃবৎসং) ঐভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন কি, যেভাবে
দার্শনিক-অদার্শনিক সবাই পদগুলোকে বুঝে থাকেন? দার্শনিকের দেয়া সংজ্ঞা সাধারণ অভিধান
থেকে ভিন্ন না অভিন্ন, তা যাচাই করে দেখুন। আলোচ্য পদ বা প্রত্যয়
সাধারণ ভাষায় সচরাচর যেভাবে ব্যবহৃত হয় বলে আপনি জানেন, তার সাথেও
এ সংজ্ঞার ভিন্নতা আছে না নেই, তা যাচাই করে দেখুন। তার দেয়া সংজ্ঞাটি ভিন্ন রূপ হলে,
কিভাবে তা ভিন্ন? তার সংজ্ঞাটি শব্দের সাধারণ ব্যবহারের কাছাকাছি, না তা থেকে রূরবর্তী ? সংজ্ঞাটি কি একটি বৈধ সংজ্ঞা?
২। তিনি কি তার যুত্তিকে ইন্দ্রিয়-অভিজ্ঞতার উপর প্রতিষ্ঠিত সাক্ষ্য (বারফবহপব) দিয়ে
সমর্থন করেছেন? যদি করেন, তাহলে প্রত্যক্ষভ‚ত বিষয় সম্পর্কীয় তার বর্ণনা কি যথাযথ? এই
বর্ণনা কি আপনার নিজের ইন্দ্রিয়-অভিজ্ঞতা এবং অন্যান্যদের ইন্দ্রিয়-অভিজ্ঞতা- অন্যদের
থেকে যা আপনি জেনেছেন- তার সাথে খাপ খায়?
৩। তিনি কি অবরোহী ও আরোহী যুক্তিচিন্তনকে যথাযথভাবে এবং যুক্তিবিদ্যার নিয়ম অনুযায়ী ব্যবহার করেছেন?
৪। তিনি কি যৌক্তিক অনুপপত্তিসমূহ বর্জন করেছেন?
৫। তার যুক্তির সমগ্র দিক কি উক্ত ২, ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নে বিধৃত বিষয়গুলো মান্য করে গড়ে উঠেছে?
অপ্রধান রচনা পাঠ
অপ্রধান রচনা হলো মৌলিক বা প্রাথমিক দার্শনিক রচনাকর্ম সম্পর্কিত ভাষ্য, তার বিচারবিশ্লেষণ বা মূল্যায়নমূলক লেখা। সহজকথায়, একজন দার্শনিক যখন অন্য একজন দার্শনিকের
মৌলিক রচনাকর্ম সম্পর্কে ভাষ্য রচনা করেন, তখন তা হয় অপ্রধান রচনা। একজন লেখক বা
দার্শনিক যখন অন্য দার্শনিকের যুক্তি ও তত্ত¡কে সমর্থন বা আক্রমণ করে কিছু লেখেন, তখন
তা হয় অপ্রধান রচনা। অপ্রধান রচনা পাঠের ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী সকল নির্দেশনা অনুসরণ করুন, সাথে সাথে নিচের বিষয়গুলো বিবেচনায় আনুন :
১। প্রথমে নিশ্চিত হন যে, আপনি মৌলিক রচনা পড়েছেন এবং বুঝেছেন। অতঃপর ঠিক
করুন, আপনি কিভাবে দ্বিতীয় দার্শনিকের আলোচনা বা বিশ্লেষণের মূল বিষয় বুঝতে
পারবেন।
২। দ্বিতীয় দার্শনিকের রচনা বুঝার জন্য প্রয়োজনে পূর্ববর্তী কৌশল ব্যবহার করুন, সাথে
সাথে নিচের প্রশ্নগুলো উত্থাপন করুন :
ক) দ্বিতীয় দার্শনিক কি প্রথম দার্শনিকের ব্যবহৃত সংজ্ঞা ব্যবহার করেছেন, না কোনো না
কোনোভাবে তা পরিবর্তন করেছেন? পরিবর্তিত হলে, তা কিভাবে কতটুকু ভিন্নতা সৃষ্টি করেছে?
খ) তার যুক্তির মূল লক্ষণ কি এবং তিনি কি সিদ্ধান্তে আসতে চান?
গ) তিনি তার মূল বিষয় ও সিদ্ধান্তকে কতটা ভালভাবে সমর্থন বা যুক্তিযুক্ত করতে পেরেছেন?
ঘ) তিনি কি প্রথম দার্শনিকের মূল্যায়ন, বিশ্লেষণ ও সমালোচনায় পক্ষপাতহীন?
মৌলিক দার্শনিক কি বুঝাতে চেয়েছেন এবং তিনি তার অনুমান বা যুক্তিচিন্তনের ক্ষেত্রে কোথায়
সঠিক বা বেঠিক, তা বুঝার ক্ষেত্রে অপ্রধান রচনা অত্যন্ত মূল্যবান ভুমিকা রাখতে পারে। তবে মৌলিক দার্শনিক রচনার মতই এটিকে সতর্ক ও বিচারমূলকভাবে অধ্যয়ন করা প্রয়োজন।
রচনামূলক প্রশ্ন
১। দর্শনের টেক্সট বই ও মৌলিক দার্শনিক রচনা পাঠের কৌশল বর্ণনা করুন।
সংক্ষিপ্ত উত্তরমূলক প্রশ্ন
১। দর্শন পাঠের সাধারণ নির্দেশনাসমূহ উল্লেখ করুন।
২। প্রদত্ত যুক্তির মূল্য নিরূপণের ক্ষেত্রে কি কি বিষয় লক্ষণীয়?
ক) বহু নির্বাচনী প্রশ্ন
সঠিক উত্তর লিখন।
১। কঠিন শব্দ ও প্যারাগুলো বুঝার জন্য
র) শব্দকোষই যথেষ্ট
রর) সাধারণ অভিধানই যথেষ্ট
ররর) দর্শন অভিধানই যথেষ্ট
রা) তিনটিই গুরুত্বপূর্ণ
২। পঠিত অংশের মূল বক্তব্যের রূপরেখা
লিখবো
র) প্রথম বার পাঠের সময়
রর) প্রথম বারের পাঠশেষে
ররর) দ্বিতীয় বারের পাঠের সময়
রা) তৃতীয় বার পাঠের সময়
৩। টেক্সট বইয়ের লেখক বইয়ের পঠন-
কৌশল সাধারণত
র) বইয়ের উপসংহারে বর্ণনা করে
থাকেন
রর) বইয়ের মাঝে বর্ণনা করে থাকেন
ররর) বইয়ের ভ‚মিকাতে বর্ণনা করে থাকেন
রা) বইয়ের একটি অধ্যায়ে বর্ণনা করে
থাকেন
৪। প্লেটোর রিপাবলিক একটি
র) অপ্রধান রচনা
রর) সাধারণ টেক্সট বই
ররর) মৌলিক দার্শনিক রচনা
রা) উপরের সবগুলোই
খ) সত্য হলে ‘স’ এবং মিথ্যা হলে ‘মি’ লিখুন।
১। মৌলিক দার্শনিক রচনার দার্শনিক চারিত্র্য থাকে।
২। মৌলিক দার্শনিক রচনা পাঠের সময় টেক্সট বইয়ের তুলনায় বেশি মনোযোগ দিতে হয়।
৩। দার্শনিকরা সাধারণত তাদের মত যুক্তিবিচার সহযোগে সূক্ষূভাবে উপস্থাপন করেন।
৪। মৌলিক দার্শনিক রচনা বুঝার ক্ষেত্রে অপ্রধান রচনা কোনো ভ‚মিকাই রাখে না।
সঠিক উত্তর
ক)
১। রা) তিনটিই গুরুত্বপূর্ণ ২। ররর) দ্বিতীয় বারের পাঠের সময়
৩। ররর) বইয়ের ভ‚মিকাতে বর্ণনা করে থাকেন ৪। ররর) মৌলিক দার্শনিক রচনা
খ) ১। স, ২। স, ৩। স, ৪। মি

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]