নৈতিকতার সাথে ধর্মের সম্পর্ক ব্যাখ্যা করুন। ধর্মে অবিশ্বাসী ব্যক্তি কি নৈতিক হতে পারেন?

নৈতিকতার সঙ্গে ধর্মের সম্পর্ক অত্যন্তনিবিড়। পৃথিবীতে প্রচলিত সব ক’টি ধর্মই নৈতিকতার ওপর
সবিশেষ জোর দিয়ে থাকে। বাইবেলে যে দশটি আদেশ পাওয়া যায় তার প্রায় সবকটিই নৈতিকতার
সঙ্গে যুক্ত। ইসলামে ধর্মগ্রন্থ আল-কুরআনের বহু জায়গায় বিশ্বাস স্থাপনের সাথে সাথে ভাল কাজ
করার কথা অত্যন্তজোর দিয়ে বলা হয়েছে। হিন্দু ধর্মগ্রন্থ গীতায় যে কর্মবাদের কথা বলা হয়েছে তা
একটি বিশেষ ধরনের নৈতিক জীবনের মাহাত্ম ঘোষণা করে। বুদ্ধধর্ম তো প্রকৃত অর্থেই একটি নীতি
দর্শনেরই নাম। ধর্ম প্রণেতাদের দিকে দৃষ্টিপাত করলেও বলা যায়, তাদের কর্মকান্ডের বড় অংশই
ছিল তাঁদের স্ব-স্ব সমাজে এমন সব নতুন ধারণার প্রবর্তন যা মানুষের নৈতিক জীবনকে কোন না কোনভাবে প্রভাবিত করেছে।
কিন্তু ধর্ম ও নৈতিকতার এই সখ্যতা সত্তে¡ও একটি বিষয় অত্যন্তস্পষ্ট আর তা হচ্ছে, নৈতিকতা
একটি স্ব-নির্ভর ও স্ব-শাসিত বিষয়। অর্থাৎ, ধর্মের কোন সম্পৃক্ততা ছাড়াই নিজে থেকেই এ
মূল্যবান। এর বড় প্রমাণ হলো একজন ধর্মে অবিশ্বাসী লোকও নৈতিক জীবন যাপন করতে পারেন,
সৎ লোক হতে পারেন। ডেভিড হিউমের মত সংশয়বাদী, বার্ট্র্যান্ড রাসেলের মত অজ্ঞেয়বাদী এবং
জ্যা পল সাঁর্ত্রের মত নাস্তিক্যবাদী দার্শনিকদের জীবন এই দাবি সমর্থন করে। তাছাড়া যাদেরকে
আমরা মার্ক্সবাদী হিসেবে জানি, তাঁরাও ধর্মবিরোধী, কিন্তু নৈতিক দিক থেকে তাঁদের চরিত্র বেশ
উন্নত।
খুব সম্ভব প্লেটো দার্শনিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি নিয়ে প্রথম ভেবেছেন। তিনি তাঁর ‘ইউথাইফ্রো’
শীর্ষক সংলাপে বিষয়টি ফুটিয়ে তুলেছেন। আদালত প্রাঙ্গণে সক্রেটিসের সাথে ইউথাইফ্রোর দেখা
হয়। তাঁরা একে অন্যের কাছে জানতে চান, কি কারণে বিচারকের দ্বারে তাঁদের পদার্পণ।
ইউথাইফ্রো যে কারণ দেখান তা সক্রেটিসকে তাঁর সঙ্গে তর্কে লিপ্ত হতে বাধ্য করে। ইউথাইফ্রোর
বক্তব্য অত্যন্তপরিষ্কার। তিনি নীতিবান লোক আর তাই নৈতিকতার স্বার্থে আপন পিতার বিরুদ্ধে
আদালতে খুনের মামলা দায়ের করতে এসেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে এভাবে : ইউথাইফ্রোর একজন
ক্রীতদাস তাঁর পিতার একজন ক্রীতদাসকে হত্যা করে। তাঁর পিতা এতে ক্রুদ্ধ হয়ে হত্যাকারীকে হাত পা বেঁধে ফেলে রাখেন। এরপর ঘটনাক্রমে ক্রীতদাসটি মরে যায়। সব ধর্মেই নৈতিকতার ওপর জোর দেয়া হয়েছে। ধর্ম প্রচারকরা মানুষের নৈতিক জীবনকে প্রভাবিত করেছেন। সক্রেটিস তথা পে- টোর মতে যা কিছু ধর্মসম্মত তা নৈতিক, কিন্তু যা কিছু নৈতিক তা ধর্মসম্মত নাও হতে পারে।
ইউথাইফ্রোর যুক্তি হলো, তিনি অন্যায় করেছেন, অতএব তার বিচার হওয়া বাঞ্ছনীয়। সক্রেটিসের
বক্তব্যও অত্যন্তপরিষ্কার। তিনি যুক্তির মাধ্যমে বুঝিয়ে দেন যে, পিতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন
নৈতিক কাজ হতে পারে, কিন্তু ধর্মের কাজ নয়। তিনি তাঁর যুক্তির ইতি টানেন এই বলে, “সত্য কি
এই নয় যে, যদিও যা কিছু ধর্মসম্মত তার পুরোটাই নৈতিকভাবে সঠিক, যা নৈতিকভাবে সঠিক তা
সর্বোতভাবে ধর্মসম্মত নয় ? এর কিছুটা ধর্মসম্মত এবং কিছুটা অন্য কোন ধরনের।” অথবা
“যেখানেই সচ্চরিত্রতা আছে সেখানেই কি ধর্মানুরাগ আছে? এটা কি প্রকৃতপক্ষে সত্য নয় যে,
যেখানে ধর্মানুরাগ আছে সেখানে সচ্চরিত্রতা রয়েছে, কিন্তু যেখানে সচ্চরিত্রতা রয়েছে সেখানে সব
সময় ধর্মানুরাগ থাকে না ?”
একটা বিষয় লক্ষণীয়, সক্রেটিসের উপরোক্ত নৈতিকতার স্বনির্ভর অস্তিত্ব স্বীকার করলেও মর্যাদার
দিক থেকে তিনি একে ধর্মের নিচে স্থান দিয়েছেন। শেষপর্যন্ততিনি যা প্রমাণ করেন তা হচ্ছে,
ইউথাইফ্রোর উচিত নয় ধর্মের কাজের বিরুদ্ধাচরণ করে নৈতিকতার কাজ করা, অর্থাৎ আপন পিতার
বিরুদ্ধে আদালতে নালিশ আনা। তবে এটা ঠিক, ধর্মের মর্যাদা অধিক প্রদান করলেও সক্রেটিস
ধর্মকে নৈতিকতা-নিরপেক্ষ মনে করেননি। কিছু চিন্তাবিদ ও ধার্মিক লোক কিন্তু ধর্মকে নৈতিকতানিরপেক্ষ বলে মনে করেন। এ প্রসঙ্গে অস্তিত্ববাদী দার্শনিক কিয়ার্কেগার্ডের নাম বিশেষভাবে উল্লেখ
করা যায়।
কিয়ার্কেগার্ড সেমেটিক ধর্মসমূহের আদি প্রবর্তক ইব্রাহিম (আ.) কর্তৃক তাঁর পুত্রকে কোরবানি দেয়ার
গল্পটি উল্লেখ করে তাঁর বক্তব্য পেশ করেছেন। প্রচলিত নৈতিকতায় ইব্রাহিম (আ.)-এর এই ধরনের
কাজ অন্যায় বৈ নয়, কিন্তু আল্লাহর আদেশ মানতে গিয়ে (ধর্মের কারণে) তিনি তা করতেও প্রস্তুত
হয়েছিলেন কোন প্রশ্ন না করে। কিয়ার্কেগার্ড তাই মনে করেন প্রকৃত ধার্মিক নৈতিকতার কোন ধার
ধারেন না।
কোন কোন মরমীবাদীও বিশ্বাস করেন যে, তাঁরা যখন সাধনার উচ্চতম স্তরে পৌঁছেন তখন প্রচলিত
নৈতিকতার শুভ-অশুভ, ন্যায়-অন্যায় ইত্যাদি ধারণা তাঁরা অতিক্রম করে যান অর্থাৎ সামাজিক
অনুশাসন তথা নৈতিকতা তাঁদের তখন মানার আর প্রয়োজন হয় না। এটা এই কারণে যে, তাঁরা
তখন মনুষ্য সমাজের ঊর্ধ্বে এক ভিন্ন জগতে বাস করেন।
নীতিবিদ্যার ইতিহাসে, ধর্ম ও নৈতিকতার উপরে বর্ণিত তিন ধরনের সম্পর্কের পক্ষে-বিপক্ষে
অনেকেই অনেক যুক্তি দেখিয়েছেন। আমরা এ বিষয়ে এখন কিছু আলোচনা করব।
(১) অনেকেই বিশ্বাস করেন যে, নৈতিকতা যদি ধর্ম-নিরপেক্ষ হয়, বাস্তবে নৈতিক জীবন যাপন
করার কোন বাধ্যবাধকতা থাকবে না। কেননা নৈতিকতা আল্লাহর আদেশ নয় একথা মানলে মানুষ
যা খুশি তাই করতে পারে। মনে রাখতে হবে, আল্লাহর আদেশ মানা এবং না মানার জন্য যে
পুরস্কার ও শাস্তির প্রতিশ্রæতি রয়েছে তাও নৈতিক জীবন যাপনের জন্য এক বড় প্রেরণা। কিন্তু এই
অভিমতের মধ্যে কিছু যৌক্তিক ফাঁক রয়েছে যা সমালোচকেরা নির্দেশ করতে ভুলেন না।
(ক) আল্লাহর আদেশই যদি নৈতিকতার ভিত্তি হয় তাহলে এটা স্বীকার করতেই হবে যে, এ
আদেশের পেছনে কোন না কোন উদ্দেশ্য আছে। এ উদ্দেশ্যটি যদি নৈতিক হয় তাহলে ঐ সক্রেটিস ধর্মকে নৈতিকতার ঊর্ধ্বে স্থান দিলেও একে নৈতিকতা-নিরপেক্ষ মনে করেননি। কিছু দার্শনিক ও মরমীবাদীরা ধর্মকে নৈতিকতা-নিরপেক্ষ মনে করেন। ধর্ম ও নৈতিকতার তিন ধরনের উপর্যুক্ত সম্পর্কের পক্ষে- বিপক্ষে যুক্তি দেয়া হয়েছে। নৈতিকতা ধর্ম নিরপেক্ষ হলে নৈতিক জীবন যাপনের কোন বাধ্যবাধকতা থাকবে না। আল্লাহর আদেশের উদ্দেশ্য নৈতিক হলে ঐ উদ্দেশ্যের কারণেই কাজটি নৈতিক হবে; আল্লাহর আদেশটি এ কারণে নয়।
উদ্দেশ্যের কারণেই কাজটি নৈতিক বলে বিবেচিত হবে, এই কারণে নয় যে, এটি আল্লাহর আদেশ।
আর উদ্দেশ্যটি যদি অনৈতিক হয় তাহলে তো এ কাজের কোন নৈতিক মূল্যই থাকতে পারে না।
(খ) আল্লাহর আদেশ যৌক্তিক কিংবা স্বেচ্চাচারমূলক দুই-ই হতে পারে। এখন, আদেশটি যদি
যৌক্তিক হয় তাহলে এর পেছনের যুক্তিই কাজটি করার জন্য যথেষ্ট, এখানে আল্লাহকে টেনে আনার
প্রয়োজন পড়ে না। আর আদেশটি যদি স্বেচ্ছাচারমূলক হয়, তাহলে তা মানার মধ্যে কোন নৈতিকতা
নেই। এটা তো জানা কথা স্বাধীনতা না থাকলে কোন নৈতিকতা হয় না।
(২) ধর্মকে নৈতিকতা নিরপেক্ষরূপে দেখাবার প্রচেষ্টা যতটা না অযৌক্তিক তার চেয়ে
ব্যবহারিকভাবে বেশি বিপজ্জনক। যেমন
(ক) ধর্মের নৈতিকতা-নিরপেক্ষতা একে আচার-অনুষ্ঠান সর্বস্ব ও কুসংস্কারে আচ্ছন্ন করে তুলে।
যখন এ অবস্থা হয় তখন ধর্ম মানুষের উপকারের চেয়ে অপকারই বেশি করে।
(খ) নীতি-নিরপেক্ষ ধর্ম বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ধর্মান্ধতার জন্ম দেয়, যার ফলে ধর্মে ধর্মে হানাহানি,
মারামারি নিত্যদিনের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। নৈতিকতার প্রতি অবজ্ঞার ফলে অনেক প্রতিষ্ঠিত ধর্মও
এ অবস্থার শিকার হয়।
(৩) ধর্মের মর্যাদা নৈতিকতার চেয়ে উচ্চতর। এ ভাবনাও সমালোচনার ঊর্ধ্বে নয়। সমালোচনাগুলো
এই ধরনের :
(ক) প্রথমেই প্রশ্ন ওঠে, ধর্মের কেন্দ্রবিন্দু আল্লাহতায়ালাকে আমরা কিভাবে চিন্তা করি? তিনি শুভ,
তিনি দয়ালু, তিনি পালনকারী এবং এ জাতীয় আরো অনেক গুণাবলীর মাধ্যমেই কি তিনি আমাদের
কাছে পরিচিত নন? এসব প্রত্যেকটি গুণই কিন্তু নৈতিকতার পরিচয় বহন করে। অতএব
নৈতিকতাকে আমরা ধর্মের চেয়ে হীনতর ভাবতে পারি না।
(খ) ধর্মের আরেক স্বীকার্য বিষয় হচ্ছে মানবাত্মা। শুধুমাত্র প্রার্থনা ও উপাসনা এ আত্মার মুক্তির জন্য
যথেষ্ট নয়। অর্থাৎ অনৈতিক জীবন যাপন করে শুধু উপাসনা ও প্রার্থনার মাধ্যমে আত্মা তার গন্তব্যে
পৌঁছাতে পারে না।
(গ) ধর্মের পারলৌকিক বিষয়গুলো মানুষের বুদ্ধির সাহায্যে জানা যায় না। কিন্তু নৈতিক বিষয়গুলো
সম্পূর্ণ বুদ্ধিসম্মত।
এসব আলোচনা সমালোচনা সত্তে¡ও একথা স্বীকার না করে উপায় নেই যে, বাস্তব জীবনে মানুষ ধর্ম
ও নৈতিকতার পার্থক্য নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামায় না। এরা পরস্পর সম্পূরক। এটাই বহুল প্রচলিত ভাবনা। আল্লাহর আদেশ যৌক্তিক হলে যুক্তির কারণেই তা নৈতিক। আদেশটি স্বেচ্ছাচারমূলক হলে নৈতিকতার প্রশ্নই ওঠে না। ব্যবহারিক দিক থেকে ধর্মকে নৈতিকতা নিরপেক্ষরূপে দেখাবার প্রচেষ্টা বিপজ্জনক। আল্লাহর পরিচিত গুণগুলো নৈতিকতার পরিচয় বহন করে তাই নৈতিকতা ধর্মের চেয়ে হীনতর নয়। কেবলমাত্র প্রার্থনা ও উপাসনা মানব আত্মার মুক্তির জন্য যথেষ্ট নয়। নৈতিক বিষয়গুলো বুদ্ধিসম্মত।
রচনামূলক প্রশ্ন
১। নৈতিকতার সাথে ধর্মের সম্পর্ক ব্যাখ্যা করুন। ধর্মে অবিশ্বাসী ব্যক্তি কি নৈতিক হতে পারেন?
২। নৈতিকতা কি ধর্মনিরপেক্ষ হতে পারে? আপনার মতের পক্ষে যুক্তি দিন।
৩। ‘নৈতিকতা ও ধর্ম পরস্পর সম্পূরক’- আলোচনা করুন।
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন
সঠিক উত্তর লিখুন
১। নৈতিকতা ও ধর্মের পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে সর্বপ্রথম আলোচনা করেন দার্শনিক
ক. হেরাক্লিটাস
খ. প্লেটো
গ. কিয়ের্কেগার্ড।
২। সক্রেটিস নৈতিকতার
ক. স্বনির্ভর অস্তিত্বকে স্বীকার করেছেন।
খ. স্বনির্ভর অস্তিত্বকে অস্বীকার করেছেন।
গ. গুরুত্বকে উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
৩। কিয়ের্কেগার্ড মনে করেন
ক. প্রকৃত ধার্মিক ব্যক্তি কখনোই অনৈতিক হতে পারেন না।
খ. প্রকৃত ধার্মিক ব্যক্তি নৈতিকতার কোন ধার ধারেন না।
গ. প্রকৃত নীতিবান সর্বদাই ধর্মপ্রাণ হয়ে থাকেন।
৪। একজন ধর্মে অবিশ্বাসী লোক
ক. কখনোই সৎ হতে পারেন না খ) কখনোই অসৎ হতে পারেন না
গ. সৎ বা অসৎ যে কোনটিই হতে পারেন।
সত্য/মিথ্যা
১। ধর্মের সাথে কোন সম্পৃক্ততা ছাড়াই নৈতিকতা নিজে থেকেই মূল্যবান- সত্য/মিথ্যা।
২। একজন ধর্মে অবিশ্বাসী লোক কখনোই সৎ হতে পারে না- সত্য/মিথ্যা।
৩। অস্তিত্ববাদী দার্শনিক কিয়ের্কেগার্ড নৈতিকতাকে ধর্মসাপেক্ষ মনে করেন- সত্য/মিথ্যা।
৪। বাস্তব জীবনে অধিকাংশ মানুষ নৈতিকতা ও ধর্মকে পরস্পর সম্পূরক মনে করেন- সত্য/মিথ্যা।
৫। ধর্ম পুরোপুরি বুদ্ধিনির্ভর- সত্য/মিথ্যা।
সঠিক উত্তর
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন: ১। খ ২। ক ৩। খ ৪। গ
সত্য/মিথ্যা: ১। সত্য ২। মিথ্যা ৩। মিথ্যা ৪।সত্য ৫। মিথ্যা

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]