আমরা আগেই দেখেছি নৈতিক অবধারণে কোন কাজকে ভাল-মন্দ, যথোচিত-অযথোচিত ইত্যাদি
অভিধায় অভিহিত করা হয়। ভাষাগত দিক থেকে এসব অভিধার অর্থ নিয়ে প্রচুর বিতর্ক রয়েছে যে
সম্পর্কে আমরা ইউনিট ৫ এ আলোচনা করব। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এটুকু বলা যায় যে, এসব
অভিধার পেছনে তথা নৈতিক অবধারণের পেছনে এমন কিছু বিষয় রয়েছে যাদেরকে আমরা
প্রকৃতপক্ষে ভাল-মন্দ ইত্যাদি বলে থাকি। বিষয়গুলো মুখ্যত মানসিক। কিছু উদাহরণ দিলে
ব্যাপারটা পরিষ্কার হবে।
ক একজন বৃদ্ধ অভাবী লোক। তাঁর যুবক প্রতিবেশী খ তাঁকে প্রায়ই সাহায্য করে। এস্থলে ক এর
সাহায্য কি ভাল না খারাপ? আপাতদৃষ্টিতে এই প্রশ্নটি অদ্ভুত ঠেকতে পারে, কারণ আমরা জানি
অভাবগ্রস্থকে সাহায্য করা ভাল কাজ। কিন্তু বিষয়টি মোটেই অদ্ভুত নয়। ক একজন পিতা এবং তার
একজন সুন্দরী কন্যা আছে। খ এই সুন্দরীকে স্ত্রী হিসেবে কামনা করে। অতএব পিতার মন পটিয়ে
তার কন্যাকে হস্তগত করাই খ এর উদ্দেশ্য। তাই বাইরে থেকে দৃষ্টিগোচর না হলেও খ-এর কাজকে
ভাল বলা যাবে না। অবশ্য অন্য কেউ ব্যাপারটা যতক্ষণ না জানে ততক্ষণ তার পক্ষে তা মন্দ, এটা
বলাও সম্ভব নয়। কিন্তু খ নিজেও একজন নৈতিক ব্যক্তিত্ব। অন্তত সে জানবে কাজটি সে ভাল করছে
না। কেননা সে এক ধরনের লোভের বশবর্তী হয়ে কাজ করছে।
আরেকটি উদাহরণ দেওয়া যাক। গ একজন সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তি। তাঁর গরীব প্রতিবেশীর ছেলে
খ ভালভাবে এম.এ.পাস করেছে এবং স্থানীয় একটি কলেজে চাকুরীর জন্য দরখাস্তকরেছে। গ উক্ত
কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য এবং সেই সূত্রে নির্বাচনী কমিটিরও সদস্য। তিনি খ-কে চাকুরির জন্য
নির্বাচিত হতে বাধা দিলেন না যদিও খ এর পরিবারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক তেমন ভাল নয়। কাজটি
তিনি ভাল করেছেন বলে সবাই বলল। কিন্তু গ নিজে কি তার কাজকে ভাল বলতে পারবেন? কেননা
তিনি জানেন ছেলেটিকে তিনি এই চাকুরীতে ঢুকিয়েছেন এই আশায় যে বাড়িতে থাকার লোভে সে
আর উচ্চতর কোন চাকুরির জন্য চেষ্টা করবে না এবং এর ফলে তার পরিবার তাঁর নিজের পরিবারের
ওপরে ওঠতে পারবে না। এখানে ঈর্ষার বশে তিনি কাজ করেছেন। উপর্যুক্ত দুটো ক্ষেত্রেই আমরা
দেখছি কাজের ভাল-মন্দ নির্ধারিত হচ্ছে এমন দুটো মানসিক বিষয় দ্বারা যাকে মনোবিজ্ঞানীরা
প্রেষণা নাম দিয়েছেন। তাঁদের মতে আমাদের যাবতীয় কাজ-কর্মের মূলেই কোন না কোন প্রেষণা
থাকে যা প্রকৃতপক্ষে আমাদেরকে কাজে প্ররোচিত করে। এসব প্রেষণার কোনোটাকে আমরা ভাল
কোন কাজকে ভালমন্দ বলার পেছনে
এমন কিছু বিষয় থাকে
যা মুখ্যত মানসিক।
একটি মানসিক
বিষয়কে
মনোবিজ্ঞানীরা প্রেষণা
বলেন।
বলি আর কোনোটিকে বলি মন্দ। লোভ, ঈর্ষা এসব প্রেষণাকে আমরা সব সময়ই মন্দ বলে জানি
আর তাই আমাদের কোন কাজ সম্পর্কে নৈতিক অবধারণ গঠন করার সময় এসব প্রেষণার উপস্থিতি
দেখলে ‘কাজটি মন্দ’ বলে নৈতিক অবধারণ গঠন করি।
এবার একটু ভিন্নধর্মী আরেকটি উদাহরণ দেয়া যাক। ‘ছ’ একজন ছাত্র। সে লেখাপড়া করছে এই
স্পৃহা নিয়ে যে, পাস করে সে একজন ডাক্তার হবে। এখানে ডাক্তার হওয়ার স্পৃহাটি তার প্রেষণা,
কিন্তু ডাক্তার হওয়াটা তার লক্ষ্য। এ স্থলে অনেকেই আমরা তার লেখাপড়ার কাজটিকে ভাল বলব এ
কারণে যে, তার লক্ষ্যটিকে অর্থাৎ ডাক্তার হওয়ার ব্যাপারটিকে আমরা ভাল বলে জানি। এখানে
দেখা যাচ্ছে, প্রেষণার সঙ্গে কাজের ফলকেও আমরা বিবেচনা করছি। এই সম্মিলিত বিষয়টিকে
এককথায় বলা হয় অভিপ্রায়। প্রেষণা এবং অভিপ্রায়ের পার্থক্যকে আমরা এভাবে ব্যাখ্যা করতে
পারি:
প্রেষণা ও অভিপ্রায়ের পার্থক্য
১. প্রেষণা একান্তভাবে নৈতিক কর্তার মনের মধ্যকার ব্যাপার যা তাকে কাজে উদ্বুদ্ধ করে।
অপরপক্ষে অভিপ্রায় হচ্ছে বাইরের কোনো প্রত্যাশিত ফল যার দিকে তার দৃষ্টি থাকে।
২. একটি সচেতন প্রেষণার মধ্যে লক্ষ্য অর্জনের স্পৃহা থাকতে পারে, কিন্তু কোনো পরিকল্পনা থাকে
না। অভিপ্রায়ের মধ্যেই কেবল এটা থাকে। ছ যদি ডাক্তার হতে চায় তাহলে তাকে ভালভাবে
লেখাপড়া করতে হবে, পড়াশুনার খরচ নির্বাহ করার জন্য টাকা-পয়সা যোগাড় করতে হবে, যেসব
কাজ তার লক্ষ্য হাসিলের পক্ষে ক্ষতিকর, যেমন, রাজনীতি, আড্ডাবাজী ইত্যাদি পরিহার করতে
হবে। শেষোক্ত দুটো কাজ তার ভাল লাগলেও লক্ষ্য অর্জনের স্বার্থে তাকে এসব থেকে দূরে
থাকতেই হবে।
৩. প্রেষণা ব্যাপক অর্থে অভিপ্রায়ের অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু সম্পূর্ণ অভিপ্রায়টি এর আওতায় আসে না।
উপরের উদাহরণে যে ছেলেটির ডাক্তার হওয়ার অভিপ্রায় রয়েছে তার উচ্চাশাটাই তার প্রেষণা, যা
তার অভিপ্রায়েরও অংশ বটে। কিন্তু কালক্রমে ডাক্তার হওয়ার পর সে দেখল, সে প্রচুর টাকা পয়সা
কামাই করছে। আদিতে না হলেও পরিণামে এ তার আরেকটি অভিপ্রায় হয়ে দাঁড়িয়েছে, আর তার
মূল প্রেষণার সঙ্গে এর কোন সংশ্রব নেই। ম্যাকেন্জি একটি অতি পরিচিত উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি
বুঝাবার চেষ্টা করেছেন, “যখন ব্রæটাস তাঁর দেশকে রক্ষা করতে গিয়ে সিজারকে হত্যায় সাহায্য
করেছিলেন তখন সিজারকে হত্যা করা নিশ্চিতভাবে তাঁর অভিপ্রায় ছিল, কিন্তু তা তাঁর প্রেষণার
কোন অংশ ছিল না।”
মনোবৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে প্রেষণা ও অভিপ্রায় দুটোই বেশ জটিল হতে পারে। যেমন অনেক
সময় আমাদের অনেক প্রেষণাই সুপ্ত অবস্থায় থাকে যা আমরা টের পাই না। একটু আগে আমরা যে
উদাহরণটি দিয়েছি তাতে যে যুবকটি বৃদ্ধকে সাহায্য করছে, হতে পারে তার ইচ্ছা শুধুই বৃদ্ধের
উপকার করা। কিন্তু সে নিজেও হয়ত জানে না তার এ উপকারেচ্ছাকে ভিতরে ভিতরে উস্কে দিচ্ছে
বৃদ্ধের কন্যার প্রতি তার দুর্বলতা।
একইভাবে অভিপ্রায়ও চেতন ও অচেতন দুই-ই হতে পারে। যে ছেলেটি ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখছে,
হতে পারে সে আসলে প্রচুর পয়সা উপার্জন করার বাসনাই হৃদয়ে পোষণ করে যা সম্পর্কে সে
সচেতন নয়।
অভিপ্রায়ের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এ তাৎক্ষণিক ও দূরবর্তী দুই-ই হতে পারে। শেখ সাদীর
কবিতায় এর একটা উদাহরণ রয়েছে :
একদা বাঘের করে পড়েছিল পথহারা ছাগ,
উদ্ধারি আনিল তারে বৃদ্ধ এক সাধু মহাভাগ।
সাঁঝের আঁধারে যবে ঢেকে গেলো দিবসের আলো
অস্ত্রহানী কন্ঠে সাধু খেলে ঘাতকের পালা।
মুমূর্ষু পরানে ছাগ কাঁদি কয় চোখে নিয়ে পানি
বৃক হতে উদ্ধারিয়া বৃক পুনঃ সাজিলা আপনি।
(মুহম্মদ বরকতউল্লা রচিত ‘পারস্য প্রতিভা’ থেকে)
এই ঘটনাটি বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ অভিপ্রায়েরও উদাহরণ হতে পারে। এতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ
অভিপ্রায়ের মধ্যেও পার্থক্য করা যায়। একজন সন্তাসী যখন কোন নির্দিষ্ট লোকের ওপর বোমা
নিক্ষেপ করে তখন প্রত্যক্ষভাবে ঐ লোকটিকে হত্যা করাই তার অভিপ্রায়; কিন্তু পরোক্ষভাবে ঐ
লোকটির আশেপাশে যারা রয়েছে তাদেরকে হত্যা করাও তার অভিপ্রায়ের অংশ।
প্রেষণাকে নৈতিক অবধারণের বিষয়বস্তু গণ্য করার ব্যাপারে অনেক সময় এই ধরনের আপত্তি
উত্থাপন করা হয়ে থাকে যে, এর সঙ্গে আমাদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার যোগাযোগ সামান্যই। কিন্তু
অভিযোগটি সম্পূর্ণ সত্য নয়। উইলিয়াম লিলি মনে করেন যে, প্রেষণাকে কতক পরিমাণে ইচ্ছার
সাহায্যে তৈরি করা যায়। তাঁর মতে, “যখন কাউকে নিয়ে কোন কৌতুক করা হয় তখন ঐ ব্যক্তির
পক্ষে ক্রোধ প্রকাশ করা কিংবা কৌতুকটি উপভোগ করা দুই-ই সম্ভব হতে পারে এবং কতক
পরিমাণে সে নিজে নিজে একটি বিশেষ প্রেষণা জাগিয়ে তুলতে পারে, যেমন সে পারে একটি বিশেষ
কাজে নিজেকে নিয়োজিত করতে। এটা স্বীকার করে নেয়া যেতে পারে যে, আমার মাঝে কোন
একটি বিশেষ প্রেষণা জাগিয়ে তোলা, কোন একটি কর্ম বাছাই করার আমার ক্ষমতার চেয়ে
অধিকতর সীমাবদ্ধ। কিন্তু তদ্সত্তে¡ও এর অস্তিত্ব অস্বীকার করার উপায় নেই। বিশেষত কোন জটিল
পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে মনে হয় এ কতক পরিমাণে মনে অন্য যেসব প্রবণতা জাগে তা দমিয়ে
রাখতে পারে এবং আমাদের কর্তব্যবোধ যা নির্দেশ করে তার প্রতি নজর দিতে পারে।”
এখানে উল্লেখ্য যে, লিলির এই বক্তব্যে তিনি নৈতিক অবধারণের বিষয়বস্তু হিসেবে প্রেষণার দুর্বলতা
স্বীকার করে নিচ্ছেন। তিনি এ ব্যাপারে অভিপ্রায়কে অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন। এর কারণ
এই যে, অভিপ্রায়ের সঙ্গে দায়দায়িত্বের ব্যাপারটি জড়িত থাকে, যার কথা আমরা আগেই উল্লেখ
করেছি। এই দৃষ্টিকোণ থেকেই উপযোগবাদী বলে খ্যাত দার্শনিক গোষ্ঠী অভিপ্রায়কে একমাত্র
নৈতিক অবধারণের বিষয়বস্তু বলে মনে করেন। কিন্তু এ ব্যাপারে বিপরীত ভাবনাও রয়েছে। অনেকে
চরিত্রকে নৈতিক অবধারণের প্রকৃত বিষয়বস্তু মনে করেন। তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে অভিপ্রায়ের চেয়ে
প্রেষণা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
নৈতিক অবধারণের বিষয়বস্তু হিসেবে চরিত্র
মানুষের মানসিক জীবনের এক প্রকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে তার চরিত্র। এ হচ্ছে মনের এক স্থায়ী
সংগঠন। অনেকে একেই নৈতিক অবধারণের প্রকৃত বিষয়বস্তু বলে মনে করেন এবং প্রেষণা ও
অভিপ্রায়কে এর অন্তর্ভুক্ত করে দেখেন। উইলিয়াম লিলি এই মতবাদকে এভাবে ব্যক্ত করেছেন,
“বাস্তব জীবনে সম্ভবত সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ যে নৈতিক অবধারণ হয় তা চরিত্র সম্পর্কিত। বিশেষ
একটি প্রেষণা অথবা বিশেষ একটি অভিপ্রায় অথবা এমনকি বিশেষ একটি কাজ প্রকৃতপক্ষে মানুষের
অভিপ্রায় প্রত্যক্ষ ও
পরোক্ষও হতে পারে।
নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিচায়ক নাও হতে পারে এবং এগুলোর কখনো পুনরাবৃত্তি নাও ঘটতে পারে।
আমাদের সাধারণ জীবনে যা গুরুত্বপূর্ণ তা হচ্ছে আমাদের একজন মানুষের চরিত্র বা স্থায়ী মানসিক
সংগঠনকে জানা উচিত এবং একটি একক বাসনা বা কাজকে খুবই কম গুরুত্ব দেয়া উচিত, যা তার
প্রাপ্য। চরিত্রের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে অভিপ্রায় থেকে প্রেষণার গুরুত্ব বেশি, কেননা একটি কার্য
পরিকল্পনার সূত্রপাত করে যে আদি বাসনাটি তাই কর্তার চরিত্র প্রকাশ করে, কর্ম-পরিকল্পনাটি
বাস্তবায়নের জন্য যেসব পুঙ্খানুপুঙ্খ জিনিসের কথা ভাবা হয় তা নয়। অবশ্য এগুলোরও আমাদের
চরিত্র বিচারে একটা নি¤œপর্যায়ের স্থান থাকতে পারে। কিছু লোক অবশ্যই মনে করে যে চরিত্র হচ্ছে
শুধুই যে কোন ব্যক্তির মাঝে সক্রিয় কিছু আবেগ বা নির্ভরযোগ্য প্রেষণার সম্মিলিত নাম। আবার
আমরা বলতে পারি যে, চরিত্র মূল্যবান অথবা স্বগতভাবে শুভ অথবা শুভ, কেননা, এ ভাল কাজের
দিকে পরিচালিত করে। নিশ্চয়ই আমরা একজন মানুষের চরিত্র বিচার করি তার কাজ-কর্মের অভ্যাস
দ্বারা। ‘তাদের ফলের দ্বারাই তাদেরকে জানবে’ (ম্যাথু ৭,২০) এবং যদি কোন চরিত্র সঙ্গতিপূর্ণ ও
অভ্যাসগতভাবে ভাল কাজের ফল বহন করে, কেউ কল্পনা করতে পারবে না যে এ খারাপ।”
রচনামূলক প্রশ্ন
১। নৈতিক অবধারণ বলতে কী বুঝায়? আপনার মতে নৈতিক অবধারণের বিষয়বস্তু কী?
২। প্রেষণা ও অভিপ্রায় বলতে কি বুঝায়? প্রেষণা ও অভিপ্রায়ের মধ্যে পার্থক্যসমূহ আলোচনা
করুন।
৩। চরিত্র কী? চরিত্রকে কি নৈতিক অবধারণের বিষয়বস্তু হিসেবে বিবেচনা করা যায়?
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন
সঠিক উত্তর লিখুন
১। প্রেষণা বলতে বোঝায়
ক. কোন কাজ করার পূর্বে তার ফলাফল বিবেচনা করা।
খ. আমাদের কর্মস্পৃহাকে বিনষ্ট করে এমন একটি মানসিক শক্তি।
গ. উপরের কোনটিই নয়।
২। একটি সচেতন প্রেষণার মধ্যে
ক. লক্ষ্য অর্জনের স্পৃহা থাকে খ. কর্ম সম্পাদনের পরিকল্পনা থাকে।
গ. কর্মপদ্ধতির মূল্যায়ন থাকে।
৩। ব্যাপক অর্থে প্রেষণা
ক. অভিপ্রায় বহিভ র্ত। খ. অভিপ্রায়ের অন্তর্গত।
গ. উপরের কোনটিই নয়।
৪। উপযোগবাদী দার্শনিকগণ নৈতিক অবধারণের বিষয়বস্তু বলে মনে করেন
ক) প্রেষণাকে। খ. বুদ্ধিবৃত্তিকে।
গ) অভিপ্রায়কে।
৫। চরিত্র হচ্ছে
ক. মনের এক স্থায়ী সংগঠন। খ. মনের এক সাময়িক সংগঠন।
গ. মনের এক নিষ্ক্রিয় ও অপ্রকাশিত সংগঠন।
সত্য/মিথ্যা
১। আমাদের যাবতীয় কাজের পেছনে কোন না কোন প্রেষণা থাকে যা প্রকৃতপক্ষে আমাদেরকে
কাজে প্ররোচিত করে- সত্য/মিথ্যা।
২। প্রেষণা হচ্ছে এমন একটি মানসিক শক্তি যা আমাদের কর্মস্পৃহাকে বিনষ্ট করে- সত্য/মিথ্যা।
৩। অভিপ্রায় মূলত প্রেষণার অন্তর্ভুক্ত একটি বিষয়- সত্য/মিথ্যা।
৪। অভিপ্রায় চেতন ও অচেতন দুই-ই হতে পারে- সত্য/মিথ্যা।
৫। চরিত্র হচ্ছে একটি নিষ্ক্রিয় মানসিক শক্তি, যা কখনোই প্রকাশ পায় না- সত্য/মিথ্যা।
সঠিক উত্তর
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন : ১। গ ২। ক ৩। খ ৪। গ ৫। ক
সত্য/মিথ্যা: ১। সত্য ২। মিথ্যা ৩। মিথ্যা ৪।সত্য
FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত