শেফটেসব্যারী ও হাট্চিসনের স্বজ্ঞা সম্পর্কিত মতবাদ আলোচনা করুন। তাঁদের মধ্যে কি? পার্থক্য লক্ষণীয়?

সুখবাদে আমরা দেখেছি সুখ নিজেই নৈতিকতার মান হিসেবে গণ্য হয়। কোন কাজ ভাল হয় যদি
তা থেকে সুখ পাওয়া যায়; মন্দ হয় যদি তা না পাওয়া যায়। স্বজ্ঞাবাদ সম্পর্কে এই ধরনের বক্তব্য
খাটে না। স্বজ্ঞা নিজে নৈতিকতার মান নয়; তবে এ সরাসরি কাজের নৈতিক গুণ সম্পর্কে রায় দেয়।
এর অর্থ হলো, ফলাফলের দিক থেকে সুখ ও স্বজ্ঞার কাজের মধ্যে মিল রয়েছে। এ কারণেই
সুখবাদের মত স্বজ্ঞাবাদও নৈতিকতার মান সম্পর্কিত অন্যতম মতবাদ হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে।
এখন প্রশ্ন হলো, স্বজ্ঞা বলতে আমরা কি বুঝব? এর বহুল প্রচলিত সংজ্ঞা হচ্ছে : এ এমন একটি বৃত্তি
যার সাহায্যে আমরা প্রত্যক্ষভাবে বুদ্ধি বা সংবেদনের সাহায্য ছাড়াই কোন কিছু সম্পর্কে নিশ্চিত
জ্ঞান লাভ করতে পারি। কাজের ভাল-মন্দ সম্পর্কিত জ্ঞানের প্রশ্নে তিন ধরনের স্বজ্ঞাবাদের কথা
কোন কোন দার্শনিক বলে থাকেন। এগুলো হচ্ছে : (১) প্রত্যক্ষণগত স্বজ্ঞাবাদ (২) নির্বিচার স্বজ্ঞাবাদ (৩) দার্শনিক স্বজ্ঞাবাদ
প্রত্যক্ষণগত স্বজ্ঞাবাদ অনুযায়ী যখন কোন বিশেষ কাজ সম্পাদিত হয় তখন স্বজ্ঞা সরাসরি তার
সঠিকত্ব বা বেঠিকত্ব উপলব্ধি করতে পারে। যেমন ক বিনা কারণে খ এর গায়ে আঘাত করল।
ঘটনাটি গ এর সামনে ঘটেছে। গ এর বিবেক তাতে আহত হয়েছে; অর্থাৎ সে সরাসরি কাজটিকে
অন্যায় বলে উপলব্ধি করতে পেরেছে। এই ধরনের স্বজ্ঞাকে ব্যক্তিগত স্বজ্ঞাও বলা হয়।
নির্বিচার স্বজ্ঞাবাদে কতগুলো নীতিকে স্বজ্ঞা সঠিক, বেঠিক কিংবা ভাল-মন্দ মনে করে থাকে। এই
নীতির আলোকে শেষপর্যন্তকোন কাজের নৈতিক চরিত্র বিচার করা হয়। যেমন অনেকেই মনে
করেন; ‘সদা সত্য কথা বলবে’, ‘চুরি করা অন্যায়’, ‘প্রতিজ্ঞা রক্ষা করবে’ এসব নীতিগুলোর যথার্থতা
আমরা স্বজ্ঞার সাহায্যে জানি। যখন এদের বিপরীত কোন কাজ দেখি তখন বলতে পারি যে,
কাজগুলো খারাপ।
দার্শনিক স্বজ্ঞাবাদে উপর্যুক্ত স্বজ্ঞাবাদী নীতিসমূহের গভীরতর ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করা হয়। এ করতে
গিয়ে সাধারণত এই নীতিগুলোর সূত্র হিসেবে আরো মৌলিক এক বা একাধিক সূত্র অন্বেষণ করা হয় স্বজ্ঞা এমন একটি বৃত্তি যার সাহায্যে আমরা প্রত্যক্ষভাবে বুদ্ধি বা সংবেদনের সাহায্য ছাড়াই কোন কিছু সম্পর্কে নিশ্চিত জ্ঞানলাভ করতে পারি। স্বজ্ঞাবাদের তিনটি ধরন রয়েছে।
যাদেরকে স্বতঃসিদ্ধ বলে ধরা হয়। এই ধরনের একটি নীতি হতে পারে এমন : আমরা নিজের জন্য
যা খারাপ মনে করি অপরের জন্য তাকে ভাল মনে করতে পারি না।
আমরা আগেই উল্লেখ করেছি স্বজ্ঞার ব্যাপারটি প্রাচীন ঐশী প্রত্যাদেশের একটা ধর্ম-নিরপেক্ষ রূপ।
সপ্তদশ শতকের শেষের দিকে এবং অষ্টাদশ শতকে যখন ধর্মকে আধুনিক চিন্তাধারার সাথে খাপ
খাওয়ানোর প্রচেষ্টা বেশ জোরদার হয় তখন ইংল্যান্ডে এই মতবাদ ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে।
অবশ্য এর আগে হবসীয় জড়বাদ এবং আত্মবাদের বাড়াবাড়ির ফলে এর জন্য একটা ক্ষেত্র প্রস্তুত
হয়ে গিয়েছিল। স্বজ্ঞাবাদীরা হব্সকে তাঁদের সমালোচনার অন্যতম লক্ষ্য হিসেবে নিয়েছিলেন।
যেসব দার্শনিকর স্বজ্ঞাবাদকে সে সময় জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন তাঁদেরকে তিনটি গোষ্ঠীতে ভাগ
করা যায়, যা হচ্ছে, (১) নৈতিক অনুভ‚তিবাদী গোষ্ঠী (২) বৌদ্ধিক স্বজ্ঞাবাদী গোষ্ঠী ও (৩)
বাটলারের সমন্বয়বাদী গোষ্ঠী।
নৈতিক অনুভ‚তিবাদী গোষ্ঠী
নৈতিক অনুভ‚তি গোষ্ঠীর দুই প্রখ্যাত সমর্থক ছিলেন এন্থনি এস্লি কুপার (১৬৭১-১৭১৩) ও
ফ্রান্সিস হাট্চিসন (১৬৯৪-১৭৪৬)। প্রথমজন ছিলেন শেফটেসব্যারী হিসেবেই সমধিক পরিচিত।
নৈতিকতা বিষয়ক শেফটেসব্যারীর বিখ্যাত গ্রন্থ হচ্ছে । হাটচিসনের তিনটি পুস্তক প্রসিদ্ধ। এগুলো হচ্ছে:
শেফটেসব্যারীর মতে অন্যান্য সংবেদনশীল প্রাণীদের বিপরীতে মানুষের মধ্যে একটি ‘প্রাকৃতিক
নৈতিক অনুভ‚তি’ রয়েছে। এই অনুভ‚তির সাহায্যে আমরা আমাদের চিন্তার বহু বিষয় বস্তুরই সৌন্দর্য
বা বিকৃতি ধরতে পারি। সদ্গুণ হচ্ছে অনুভ‚তির রাজ্যে এক ধরনের সৌন্দর্য আর অসদ্গুণ হচ্ছে
কদর্যতা। তিনি মনে করেন মানুষের এই অনুভ‚তিকে সরাসরি বা প্রত্যক্ষভাবে ঢেকে রাখা যায় না;
তবে শিথিল আচরণ বা মিথ্যা ধর্ম ইত্যাদির কারণে এ কলুষিত হয়ে যেতে পারে।
হাট্চিসনের মতে মানুষ যখন তাঁর নিজের বুকের ভিতর খুঁজে দেখে তারা দেখতে পায় সে একটি
বৈশিষ্ট্যসূচক উপায়ে নৈতিকভাবে শুভ-অশুভের দ্বারা প্রভাবান্বিত হয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, কেউ
যখন তাকে সাহায্য করে, কিংবা যখন সে অন্য কাউকে সাহায্য প্রাপ্ত হতে দেখে তখন এই ধরনের
কাজ সম্পর্কে তাদের যে অনুভ‚তি হয় তা আত্ম-স্বার্থ বা অন্য কোন উদ্দেশ্য নিয়ে যখন ঐ কাজ করা
হয় তার অনুভ‚তি থেকে পৃথক হয়। তিনি তাই নৈতিক অনুভ‚তিকে আমাদের ইচ্ছা-শক্তি থেকে
স্বনির্ভর মনের এমন একটি ক্ষমতা বলে মনে করেন যা “আমাদের ক্ষেত্রে ঘটে এমন কিছুর উপস্থিতি
থেকে কোন একটি ধারণা গ্রহণ করে থাকে।”
হাটচিসনের মতে আমাদের মনের ঐ ক্ষমতা অনেক সময় এলোমেলো হয়ে যেতে পারে, যেমন
জনডিসে আক্রান্তলোকের দৃষ্টি হয় এবং সে স্থলে ‘আমাদের সাধারণ দৃষ্টি অথবা যাদের স্বাস্থ্য ভাল
তাদের দৃষ্টির আলোকে একে অবশ্যই সংশোধন করে নিতে হবে।
নৈতিক অনুভ‚তিবাদীরা স্বজ্ঞাকে কেন অনুভূতি হিসেবে নিয়েছিলেন তার একটা ব্যাখ্যা আছে।
জ্ঞানতাত্তি¡ক দিক থেকে তাঁরা ছিলেন মূলত লকের অভিজ্ঞতাবাদের সমর্থক। লকের মতে আমাদের
বহির্বিশ্বের জ্ঞানের উপাদানগুলো কতগুলো সরল ধারণা, আমাদের সংবেদন যার যোগান দেয়।
হাটচিসন মনে করেন, আমাদের নৈতিক ধারণাগুলোও অবশ্যই এক ধরনের সংবেদনের ফসল। স¦জ্ঞাবাদ ধর্মীয় প্রভাবজাত এবং হবসীয় জড়বাদের বিরোধী মতবাদ।
অবশ্য আরেক অভিজ্ঞতাবাদী দার্শনিক হব্স থেকে নৈতিক অনুভ‚তিবাদীরা যথেষ্ট দূরত্ব বজায়
রেখেছিলেন, যার ইঙ্গিত আমরা একটু আগেই দিয়েছি। হব্স ছিলেন আত্ম-স্বার্থবাদী তা আমরা
দেখেছি। স্বজ্ঞাবাদীদের এটি একটি মৌলিক দাবি ছিল যে, মানুষ শুধু আত্ম-প্রেমিকই নয়, সে
পরার্থবাদীও। এ পরার্থবাদই পরবর্তীকালে উপযোগবাদের মূল জিগিরটি সরবরাহ করেছিল তা
আমরা আগেই দেখেছি।
বৌদ্ধিক স্বজ্ঞাবাদ
বৌদ্ধিক স্বজ্ঞাবাদের সমর্থকদের মধ্যে রাল্ফ কাডওয়ার্থ (১৬১৭-৮৮), স্যামুয়েল ক্লার্ক (১৬৭৫-
১৭২৯) ও রিচার্ড প্রাইস-এর (১৭২৩-৯১) নাম উল্লেখযোগ্য। এঁদের সবাই ছিলেন চার্চ অব
ইংল্যান্ডের বিভিন্ন পদাধিকারী ব্যক্তি। হব্স এর জড়বাদী দর্শন এবং তাঁর আত্মবাদী মতের বিরুদ্ধে
নৈতিক অনুভ‚তিবাদী স্কুলের মত এঁরাও সোচ্চার ছিলেন। তবে স্বজ্ঞার প্রকৃতি সম্পর্কে নৈতিক
অনুভ‚তিবাদীদের সঙ্গে এঁদের মিল ছিল না। তাঁরা বিশ্বাস করতেন, স্বজ্ঞা এক ধরনের বৌদ্ধিক
প্রক্রিয়া। মজার ব্যাপার হলো নৈতিক অনুভ‚তিবাদীরা যেখানে লকের তত্ত¡ থেকে অনুপ্রেরণা সংগ্রহ
করেছিলেন, বৌদ্ধিক স্বজ্ঞাবাদীরাও তাই করেছিলেন, তবে লকের জ্ঞানতত্তে¡র একটি বিশেষ দিক
থেকে। লক যদিও সংবেদনের সাহায্যে সরবরাহকৃত সরল ধারণার মাধ্যমে বহির্বিশ্বের জ্ঞান সম্ভব হয়
বলে মত প্রকাশ করেছিলেন, তিনি এই সঙ্গে মনের কার্যক্রমের মাধ্যমেও এক ধরনের সরল ধারণা
সৃষ্টি হওয়ার কথা বলেছিলেন। এদেরকে চিন্তার (ৎবভষবপঃরড়হ) মাধ্যমে জানা যায় বলে তিনি মত
প্রকাশ করেছিলেন। আমাদের বিভিন্ন ভাবের মধ্যে যে মিল বা অমিল হয়, আমাদের বোধের
(ঁহফবৎংঃধহফরহম) কাজ হচ্ছে তা প্রত্যক্ষ করা, আর এই সম্পর্কগুলোই জ্ঞান সৃষ্টি করে, লকের এই
তত্ত¡টিই বিশেষ করে বৌদ্ধিক স্বজ্ঞাবাদীদের আকৃষ্ট করে। তাঁরা নৈতিক অবধারণকে এই ধরনের
প্রত্যক্ষণেরই দৃষ্টান্তবলে মনে করতেন। তাঁদের মতে, নৈতিক অনুভ‚তিবাদীরা অনর্থক এখানে
নৈতিক অনুভ‚তির আমদানী করেছেন। এটা অনর্থক এ জন্য যে, পুরো জিনিষটিই একটি বৌদ্ধিক ব্যাপার।
কাডওয়ার্থ ও ক্লার্ক
বৌদ্ধিক স্বজ্ঞাবাদীরা দেকার্তের দ্বারাও প্রভাবান্বিত হয়েছিলেন। কাডওয়ার্থের নাম এ প্রসঙ্গে প্রথমেই
উল্লেখ করতে হয়। তিনি বিশ্বাস করতেন যে, বিভিন্ন ভাবের মধ্যে যে নৈতিক মতৈক্য ও মতানৈক্য
রয়েছে সেগুলো দেকার্ত যাকে ‘পরিষ্কার ও স্পষ্ট ভাব’ (পষবধৎ ধহফ ফরংঃরহপঃ রফবধ) বলেছেন তারই
উদাহরণ পেশ করে।
ক্লার্কের মতে নৈতিক ভাবনাগুলো মানুষের প্রতি মানুষের আচরণের মানান-সই হওয়া বা না হওয়া
ছাড়া কিছুই নয়, আর তা গাণিতিক সংখ্যাগুলোর মধ্যে যে সামঞ্জস্যতা ও অসামঞ্জস্যতা রয়েছে
তারই অনুরূপ স্পষ্ট ও স্বতঃসিদ্ধ। বিভিন্ন ব্যবহারের নৈতিকভাবে মানান-সই হওয়ার ব্যাপারটার
তিনি যে উদাহরণ দেন তা হচ্ছে, তাঁর ভাষায়, “এটা অবশ্যই মানান-সই যে মানুষ
আল্লাহতায়ালাকে সম্মান করবে, উপাসনা করবে, মান্য করবে এবং অনুকরণ করবে। এবং ... এটা
অনস্বীকার্যভাবে আরো মানানসই ... সেসব মানুষের উচিত অনবরত সবাই সবার ক্ষতি ও ধ্বংসের
জন্য ষড়যন্ত্রনা করে সর্বজনীন শুভ ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠার জন্য চেষ্টা করবে।”
আমরা যেসব কর্তব্য কর্মের নৈতিক বাধ্যবাধকতা সম্পর্কে জানতে পারি ক্লার্ক তার একটা তালিকা
প্রণয়ন করেছিলেন। ক্লার্কের তালিকায় এ ধরনের তিনটি কর্তব্য রয়েছে : (১) আল্লাহর প্রতি কর্তব্য (২) অন্যদের প্রতি কর্তব্য এবং (৩) নিজের প্রতি কর্তব্য।
আল্লাহতায়ালার প্রতি কর্তব্য বলতে তিনি যা বুঝান তা হচ্ছে তাঁকে উপাসনা করা এবং তাঁর ইচ্ছা
অনুযায়ী কাজ করা। অন্যের প্রতি কর্তব্যকে তিনি দু‘ভাগে ভাগ করেন। প্রথম কর্তব্যটিকে তিনি
এভাবে প্রকাশ করেন : একই পরিস্থিতিতে আমরা অন্যের কাছ থেকে যে ধরনের ব্যবহার সংগতভাবে
আশা করব প্রত্যেক মানুষের সঙ্গেই আমাদের তেমনভাবে ব্যবহার করা উচিত।
অন্যের প্রতি কর্তব্যের আরেকটা দিক হলো প্রেম বা বিশ্বজনীন বদান্যতা। ক্লার্কের মতে মানুষ
শুধুমাত্র নিজ পরিবার নিয়ে এই পৃথিবীতে স্বচ্ছন্দে বাস করতে পারে না। তাই প্রকৃতিগতভাবেই সে
প্রেম ও বদান্যতার অনুশীলন করতে বাধ্য হয়।
ক্লার্ক নিজের প্রতি কর্তব্য বলতে জীবন রক্ষা করা এবং প্রত্যেকের প্রতিভা পূর্ণভাবে বিকশিত করাকে
বুঝিয়েছেন। এই কর্তব্য পালন বাধ্যতামূলক কেননা, এ অন্য সব কর্তব্য পালনে সহায়তা করে।
তাছাড়া এ পৃথিবীতে যিনি আমাদেরকে পাঠিয়েছেন তাঁরই কেবল অধিকার আছে এ থেকে
আমাদেরকে বিদায় বা অব্যাহতি দেয়ার।
কাডওয়ার্থ ও ক্লার্কের চিন্তা আরো পরিশীলিত ও জটিল আকারে রিচার্ড প্রাইসের লেখায় উপস্থাপিত
হয়েছে। আমরা পরবর্তী পাঠে প্রাইস সম্পর্কে আলোচনা করব।
রচনামূলক প্রশ্ন
১। স্বজ্ঞার সংজ্ঞা দিন। এর প্রকারভেদগুলো সংক্ষেপে আলোচনা করুন।
২। শেফটেসব্যারী ও হাট্চিসনের স্বজ্ঞা সম্পর্কিত মতবাদ আলোচনা করুন। তাঁদের মধ্যে কি? পার্থক্য লক্ষণীয়?
৩। কাডওয়ার্থ ও ক্লার্ক কোন্ ধরনের স্বজ্ঞাবাদের সমর্থক? তা উল্লেখপূর্বক তাঁদের মতবাদ
সংক্ষিপ্ত পরিসরে ব্যাখ্যা করুন।
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন
সঠিক উত্তর লিখুন
১। নৈতিক অনুভ‚তি গোষ্ঠীর মতে স্বজ্ঞা হচ্ছে এক ধরনের
ক. বুদ্ধি খ. সংবেদন
গ. মিশ্রণ।
২। স্বজ্ঞাবাদীদের প্রচন্ড সমালোচনার সম্মুখীন হন
ক. হব্স খ. লক
গ. বার্কলে।
৩। লকের অভিজ্ঞতাবাদকে সমর্থন করেন
ক. বৌদ্ধিক স্বজ্ঞাবাদী ও নৈতিক অনুভ‚তিবাদীরা
খ. বৌদ্ধিক স্বজ্ঞাবাদীরা গ. নৈতিক অনুভ‚তিবাদীরা।
৪। নৈতিক ভাবগুলো গাণিতিক ভাবের মত এ বক্তব্য
ক. একজন নৈতিক অনুভ‚তিবাদীর খ. একজন বৌদ্ধিক স্বজ্ঞাবাদীর
গ. বাটলারের।
৫। কাডওয়ার্থ প্রভাবিত হয়েছেন
ক. বার্কলের ‘অস্তিত্ব প্রত্যক্ষ নির্ভর’ এই মত দ্বারা
খ. হিউমের জ্ঞানতত্তে¡র দ্বারা গ. দেকার্তের ‘পরিষ্কার ও স্পষ্ট ভাব’ দ্বারা।
সত্য/মিথ্যা
১। স্বজ্ঞাবাদ অনুসারে স্বজ্ঞা নিজেই নৈতিকতার মান- সত্য/মিথ্যা।
২। নির্বিচার স্বজ্ঞাবাদের স্বজ্ঞাকে ব্যক্তিগত স্বজ্ঞা বলা হয়- সত্য/মিথ্যা।
৩। বৌদ্ধিক স্বজ্ঞাবাদীদের মতে স্বজ্ঞা এক ধরনের বৌদ্ধিক প্রক্রিয়া- সত্য/মিথ্যা।
৪। হাট্চিসনের মতে নৈতিক অনুভ‚তি আমাদের ইচ্ছাশক্তির ওপর নির্ভরশীল- সত্য/মিথ্যা।
৫। ক্লার্ক স্বজ্ঞার মাধ্যমে জানা যায় এ রকম তিনটি কর্তব্যের উল্লেখ করেন- সত্য/মিথ্যা।
সঠিক উত্তর
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন : ১। খ ২। ক ৩। ক ৪। খ ৫। গ
সত্য/মিথ্যা: ১। মিথ্যা ২। মিথ্যা ৩। সত্য ৪। মিথ্যা ৫। সত্য

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]