রিচার্ড প্রাইসের বৌদ্ধিক স্বজ্ঞাবাদ তত্ত¡টি ব্যাখ্যা করুন। কেন তিনি নৈতিক অনুভ‚তিবাদের বিরোধিতা করেন?

রিচার্ড প্রাইসের বৌদ্ধিক স্বজ্ঞাবাদ
রিচার্ড প্রাইস বৌদ্ধিক স্বজ্ঞাবাদীদের মধ্যে অনন্য ছিলেন এই কারণে যে তিনি তাঁর নৈতিক চিন্তায়
এমন কিছু বিষয়ের অবতারণা করেছিলেন যা বিংশ শতাব্দীর দার্শনিকদের লেখায় খুবই গুরুত্ব
পেয়েছে। তবে তাঁর চিন্তার তাৎক্ষণিক প্রধান লক্ষ্য ছিল নৈতিক অনুভ‚তিবাদের সত্যতা অস্বীকার
করা। তাঁর যুক্তি ছিল এই যে, যদি আমরা যে কোন ধরনের অনুভ‚তিকে নৈতিকতার ভিত্তি ধরি
তাহলে নৈতিকতার ক্ষেত্রেও আমরা হিউমীয় সংশয়বাদের আমদানী করব। কেননা এটা
সর্বজনবিদিত যে, হিউম যখন আমাদের অভিজ্ঞতাকে জ্ঞানের উৎস বলে স্বীকার করেন তখন এটাও
স্বীকার করতে বাধ্য হন যে, আমাদের অভিজ্ঞতা অনেক সময় আমাদেরকে প্রতারিত করে, আর
তাই তা থেকে সুনিশ্চিত জ্ঞান সম্ভব নয়। প্রাইসের মতে এর একমাত্র সমাধান হলো দেকার্তের
যৌক্তিক ঐতিহ্যের অনুবর্তী হওয়া, আর এ করতে হলে নৈতিক ভাবগুলোকে গাণিতিক ভাবের
অনুরূপ না হয়ে উপায় নেই; কেননা এরাই স্বতঃসিদ্ধ সত্যের প্রকৃষ্ট উদাহরণ। প্রাইস অবশ্য, যেমন
আগেই আমরা ইঙ্গিত করেছি, লকের মতবাদের সূত্র ধরে কার্টেসীয় উপরো উক্ত মতের অনুবর্তী
হন। তিনি লকের এই মত গ্রহণ করেছিলেন যে, আমাদের বিভিন্ন ভাবের মধ্যে মতৈক্য ও মতানৈক্য
প্রত্যক্ষ করাই হচ্ছে বোধের কাজ, আর তাই আমাদের জ্ঞান সৃষ্টি করে। কিন্তু তাঁর মতে এই ধরনের
মতৈক্য ও মতানৈক্যের ফলে যে ভাবের সৃষ্টি হয় তারা নতুন সরল ধারণা বৈ নয়। এই নতুন সরল
ধারণাগুলোও তাঁর মতে কেবল স্বজ্ঞার মাধ্যমেই জ্ঞাত হতে পারে। গাণিতিক ধারণাগুলো এদের
প্রকৃষ্ট উদাহরণ। নৈতিক ধারণাগুলোও তাঁর মতে তাই। উভয়ক্ষেত্রে আমাদের স্বজ্ঞা একইভাবে কাজ
করে।
প্রাইস ক্লার্কের মত স্বজ্ঞার সাহায্যে আমরা যেসব কর্তব্য কর্মের নৈতিক বাধ্যবাধকতা সম্পর্কে
জানতে পারি তার তালিকা প্রণয়ন করেছিলেন। এ তালিকায় নি¤েœাক্ত ছয়টি কর্তব্য রয়েছে :
(১) আল্লাহর প্রতি কর্তব্য : এই কর্তব্যটি অন্য দু‘টি কর্তব্য থেকে উদ্ভূত হয়েছে যা হচ্ছে: (ক)
আমাদের চেয়ে জ্যেষ্ঠতর যাঁরা আছেন তাঁদেরকে মান্য করা এবং (২) আমাদের উপকারীর প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞ থাকা।
(২) নিজের প্রতি কর্তব্য : প্রাইস-এর মতে নিজের প্রতি মানুষের কর্তব্য অপরের প্রতি তার কর্তব্যের
সঙ্গে যুক্ত; কেননা অপরের প্রতি আমার কর্তব্য রয়েছে কিন্তু নিজের প্রতি নেই একথা বলা হবে যুক্তি
বিরোধী ব্যাপার।
(৩) বদান্যতা : বদান্যতার অর্থ হচ্ছে জনসাধারণের হিতসাধন। প্রাইসের মতে যেখানে এর সুযোগ
থাকে সেখানে অন্য যে কোন কর্তব্যের চেয়ে এর মূল্য বেশি।
(৪) কৃতজ্ঞতা : উপকারীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রাইসের মতে এমনি এক ধরনের কর্তব্য যার ফলে একই
ধরনের কাজের প্রতিফলস্বরূপ বিভিন্ন জনের সঙ্গে বিভিন্ন ব্যবহার করা যায়। যখন আমাকে কেউ
সাহায্য করে তখন সাহায্যকারী যদি কোন সংস্থা হয়, তার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতার ধরন হবে এক
রকম; আর যদি তিনি একজন ব্যক্তি হন তাহলে তার প্রতি তা হবে আরেক রকম। ব্যক্তিটি যদি
দরিদ্র বা ধনী হন তাহলে সে হিসেবে আমার কৃতজ্ঞতার ধরন পাল্টাতে পারে।
(৫) সত্যবাদিতা : সত্যবাদিতা হচ্ছে যা প্রকৃত ঘটনা ফলাফল নির্বিশেষে তার পেছনে দাঁড়ানো।
আমাদের বুদ্ধি এর যথার্থতা সমর্থন করে। প্রতিজ্ঞা রক্ষা করাকেও তিনি সত্যবাদিতার আওতায়
ফেলেছেন। প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করাকে তিনি এক ধরনের মিথ্যাচার বলেছেন। এদের মধ্যে পার্থক্য হলো
প্রতিজ্ঞা রক্ষা করা ভবিষ্যতের ব্যাপার, আর মিথ্যা কথা বলা অতীত ও বর্তমানের ব্যাপার।
(৬) প্রাইস ন্যায়ের ধারণাকে শুধুমাত্র সম্পত্তিঘটিত ব্যাপারেই সীমাবদ্ধ রাখেন। তিনি মনে করতেন
যে, জীবন এবং স্বাধীনতার মত মানুষের সম্পত্তির ওপর তার অধিকার নিরঙ্কুশ। কোন উপযোগবাদী
বিবেচনায় এ সম্পত্তির ওপর রাষ্ট্র বা অপর কেউ তাই হস্তক্ষেপ করতে পারে না।
বাটলারের সমন্বয়বাদী স্বজ্ঞাবাদ
স্বজ্ঞাবাদীদের মধ্যে সবচাইতে বিখ্যাত চিন্তাবিদ হচ্ছেন জোসেফ বাটলার। তাঁর একটা সুবিধা ছিল
এই যে, তাঁর সময়ে স্বজ্ঞাবাদ যথেষ্ট পরিপক্কতা নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ নৈতিক মতবাদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত
হয়ে গিয়েছিল। তাঁর কাজ ছিল এর অসঙ্গতিগুলো দ‚র করা, বিশেষ করে নৈতিক অনুভ‚তিবাদী
স্বজ্ঞাবাদ ও বৌদ্ধিক স্বজ্ঞাবাদের বক্তব্যগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধন করা। এই করতে গিয়ে তিনি
নৈতিক বৃত্তির ক্ষেত্রে একাধারে নৈতিক বোধ ও নৈতিক অনুভ‚তি, এই
উভয় বৈশিষ্ট্যই স্বীকার করে নেন। তবে এই বৃত্তিটিকে তিনি একটি ভিন্ন নাম দেন যা হচ্ছে,
‘বিবেক’। এই বিবেকের সংজ্ঞা দেন তিনি এভাবে : প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই মানবিক চেতনার একটি
উচ্চতর নীতি বা বিবেক রয়েছে যা তার হৃদয়ের অভ্যন্তরীণ নীতিগুলোর মধ্যে এবং তার বাহ্যিক
কাজের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করে; যা তার নিজের ওপর এবং উপযুক্ত সব বিষয়ের ওপর রায় দেয়; যা
কতগুলো কাজকে চ‚ড়ান্তভাবে ন্যায়সংগত, যথোচিত, শুভ এবং অন্যগুলোকে অশুভ, অযথোচিত ও
অন্যায় আখ্যা দেয়; যা কোন পরামর্শ বা উপদেশ না নিয়েই বিচারকের মত নিজের কর্তৃত্ব জাহির
করে।
বাটলার বিবেককে মানব-প্রকৃতির একটা অংশ হিসেবে দেখতেন এবং এ প্রকৃতির ব্যাখ্যায় শাসনতন্ত্র
বা (ঈড়হংঃরঃঁঃরড়হ) কথাটি ব্যবহার করেছিলেন। ব্রিটিশ শাসনতন্ত্রেযেমন রাজা বা রানী, প্রধানমন্ত্রী,
মন্ত্রী, পার্লামেন্ট সদস্য ও অন্যান্যদের একেক জনের একেক কাজ নির্দিষ্ট করা আছে এবং সবাই
সম্মিলিতভাবে এই শাসনতন্ত্রকে কার্যকর রাখে, তেমনি মানব প্রকৃতিও বেশ কয়েকটি উপাদান
সহযোগে গঠিত বলে তিনি দেখিয়েছেন। এ উপাদানগুলো হচ্ছে :
(১) কতগুলো বিশেষ অনুরাগ, প্রবৃত্তি বা আবেগ। এগুলোর প্রত্যেকটিরই বহির্জগতের কোন না
কোন জিনিষের প্রতি আকর্ষণ থাকে এবং পরিণামে ব্যক্তিগত বা সাধারণ হিত সাধন করে থাকে। বাটলার নৈতিক বৃত্তির ক্ষেত্রে নৈতিক অনুভ‚তি এবং নৈতিক বোধ এই উভয় বৈশিষ্ট্যই স্বীকার করে নেন এবং এই বৃত্তিটির নাম দেন বিবেক। বাটলার বিবেককে শাসনতন্তের সঙ্গে তুলনা করেন যার তিনটি উপাদান তিনি উল্লেখ করেন।
(২) দুটো সাধারণ নীতি -বদান্যতা ও আত্মপ্রেম যা থেকে কাজের সূত্রপাত হয়। এগুলো কোন
অনুরাগ নয়, কিন্তু কোন অনুরাগ পূর্তির প্রচেষ্টায় পথ দেখাতে পারে। যেমন আত্মপ্রেম আমাদেরকে
সাহায্য করে ক্ষুধা মিটানোর সুখ প্রাপ্তির উপযুক্ত পদ্ধতি গ্রহণের ব্যাপারে। যদিও বদান্যতা
জনসাধারণের হিতসাধন করে এবং আত্মপ্রেম ব্যক্তিগত হিতসাধন করে, বাটলারের মতে, বদান্যতা
পূর্ণ আত্ম-তৃপ্তির অত্যাবশ্যকীয় শর্ত এবং আত্মপ্রেম সমাজের প্রতি আমাদের যথার্থ আচরণের প্রধান
নিশ্চয়তা।
(৩) বিবেক : এ মানব প্রকৃতিরূপ শাসনতন্ত্রের অংশ হলেও তার কর্তৃত্বের কারণে এর স্থান অন্য
দু’টি উপাদানের অনেক উপরে। বিবেকের কর্তৃত্ব সম্পর্কে স্বাভাবিকভাবে যে প্রশ্ন ওঠে তা হলো,
আমরা কেন এ কর্তৃত্ব মেনে নেব? এর উত্তর মিলে বাটলারের এ মন্তব্যে : “এই বৃত্তি অর্থাৎ বিবেক
সম্পর্কে তুমি এর পরিচালনা বা তত্ত¡াবধায়ন ক্রিয়া ছাড়া কোন ধারণা করতে পারবে না। এটা এই
ধারণার তথা স্বয়ং বৃত্তিটির উপাদানমূলক অংশ।” অথবা
“এই আইনটি মান্য করার তোমার বাধ্যবাধকতা হচ্ছে তোমার প্রকৃতিরই আইন ... এ ... তার
নিজের কর্তৃত্ব নিজের সঙ্গেই বহন করে, এ আমাদের স্বাভাবিক পথ প্রদর্শক; এই পথ প্রদর্শক
নিয়োজিত হয়েছে আমাদের প্রকৃতি যিনি রচনা করেছেন তাঁর দ্বারাই।”
আগেই বলা হয়েছে স্বজ্ঞাবাদীদের অধিকাংশই ছিলেন ধার্মিক পুরুষ। বাটলার সম্পর্কে এটি
বিশেষভাবে সত্য। তিনি তাঁর স্বজ্ঞাবাদকে একটা ধর্মীয় চেতনায় উন্নীত করেছিলেন এবং ধর্মীয়
বক্তৃতার (ঝবৎসড়হ) আকারে তা প্রচার করতেন। কিন্তু তদ্সত্তে¡ও এর দার্শনিক গুরুত্বকেও অস্বীকার
করা যায় না, কেননা তিনি তাঁর মতকে ধর্মীয় গোঁড়ামির বিপরীত দার্শনিক যুক্তির মাধ্যমে উপস্থাপন
করেছিলেন।
স্বজ্ঞাবাদের মূল্যায়ন
আমরা গোড়াতেই স্বজ্ঞাবাদের পটভ‚মির কথা উল্লেখ করেছি। ধর্ম ও দর্শনের মধ্যে যে পার্থক্য
রয়েছে তা থেকে স্বভাবতই এর যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠতে পারে, আর এর ফলে এর ভিত্তিটি যে খুব
শক্তিশালী নয় তা বুঝা যায়। কিন্তু এর মূল কাঠামোটিও বেশ দুর্বল। প্রথমেই নৈতিক
অনুভ‚তিবাদীদের বক্তব্য নিয়ে শুরু করা যাক। তাঁরা স্বজ্ঞাকে এক ধরনের অনুভ‚তি এবং অভিজ্ঞতা
হিসেবে দেখাতে চেয়েছেন। কিন্তু যদি তাই হয় তাহলে অভিজ্ঞতাবাদের বিরুদ্ধে যেসব সমালোচনা
করা হয় স্বজ্ঞা সম্পর্কেও তা ওঠবে। এর ফলে, যেমন প্রাইস ইঙ্গিত দিয়েছেন, নৈতিকতার ক্ষেত্রে
সংশয়বাদের সৃষ্টি হবে।
বৌদ্ধিক স্বজ্ঞাবাদীরা উপর্যুক্ত সমস্যার সমাধান করতে চেয়েছেন নৈতিক ‘ভাব’সমূহকে গাণিতিক
‘ভাবের’ সঙ্গে তুলনা করে। কিন্তু এতে নতুন সমস্যার সৃষ্টি হয়। আমরা যদি ঐসব ভাবকে স্বজ্ঞার
সাহায্যে অকাট্যভাবে জানি তাহলে নৈতিকতার ক্ষেত্রে মতভেদ অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। কেননা যিনি
ভিন্নমত পোষণ করবেন, তাঁেক বলা যাবে যে তিনি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছেন না, কিংবা তিনি
নৈতিকভাবে অন্ধ। এখানেই শেষ নয়, অন্ধকে রাস্তা দেখানোর জন্য, এর জোর জবরদস্তিরও প্রয়োগ
হতে পারে সত্যি বলতে কি ক্লার্ক এই ধরনের জোর জবরদস্তির প্রয়োগ সমর্থন করেছেন।
ক্লার্ক ও প্রাইস যেসব কর্তব্য কর্মকে স্বজ্ঞার সাহায্যে উপলব্ধি করা যায় বলে মত প্রকাশ করেছেন
সেগুলো সম্পর্কেও আপত্তি ওঠতে পারে। ভিন্ন সমাজে ভিন্ন সদ্গুণ থাকতে পারে এবং সে সমাজের
‘স্বজ্ঞাবাদীরা’ তা সরাসরি উপলব্ধি করার দাবি করতে পারেন। তাঁদের দাবি সম্পর্কে শুধু এটুকুই বলা যায় যে, অষ্টাদশ শতকের ব্রিটিশ সমাজে তাঁদের সদ্গুণগুলো স্বীকৃত ছিল।
বাটলারের মূল উদ্দেশ্য নৈতিক অনুভ‚তিবাদ ও বৌদ্ধিক স্বজ্ঞাবাদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা হলেও,
এই সমন্বয়ের ফলে উভয়ের ত্রæটিগুলো দূর হয়েছে তেমন বলা যায় না। এছাড়া তিনি তাঁর বিবেকের
ভ‚মিকা সম্পর্কে যা বলেছেন তাকে কিছুটা অতিরঞ্জন বলা চলে। স্বজ্ঞার কোন উল্লেখ ছাড়াই
বিবেককে মানুষের যুগ যুগ ধরে সঞ্চিত অভিজ্ঞতা ও সংস্কারের ফল অনেকেই বলেছেন। বাটলার এ
অভিমত খন্ডন করতে পারেননি। বিশেষ করে বিবেকের সার্বভৌমত্বের ব্যাপারে তিনি যা বলেছেন
তাকে তাঁর আবেগের বহিঃপ্রকাশ বলা যায়। তবে মানব প্রকৃতিকে একটা শাসনতন্ত্রের সঙ্গে তুলনা
করে তিনি বেশ স্বকীয়তার পরিচয় দিয়েছেন। পরবর্তী দার্শনিকদের “আঙ্গিক ঐক্যের তত্তে¡র” সঙ্গে এর বেশ মিল রয়েছে।
রচনামূলক প্রশ্ন
১। রিচার্ড প্রাইসের বৌদ্ধিক স্বজ্ঞাবাদ তত্ত¡টি ব্যাখ্যা করুন। কেন তিনি নৈতিক অনুভ‚তিবাদের বিরোধিতা করেন?
২। বিশপ বাটলারের স্বজ্ঞাবাদকে কি যথার্থভাবে সমন্বয়বাদী বলা চলে? এ প্রসঙ্গে তার বক্তব্য বিস্তৃতভাবে পরীক্ষা করুন।
৩। সামগ্রিকভাবে স্বজ্ঞাবাদের একটি মূল্যায়ন করুন।
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন
সঠিক উত্তর লিখুন
১। নৈতিক অনুভ‚তিবাদ প্রাইসের মতে শেষ পরিণতিতে পৌঁছে
ক. হিউমের সংশয়বাদে খ. কান্টের অজ্ঞেয়তাবাদে
গ. রাসেলের বর্ণনাবাদে
২। প্রাইসের মতে আমাদের বিভিন্ন ভাবের মধ্যে মতৈক্য ও মতানৈক্যের ফলে সৃষ্টি হয়
ক. মিশ্র ধারণার খ. সরল ধারণার
গ. যৌগিক ধারণার।
৩। বৌদ্ধিক স্বজ্ঞাবাদী দার্শনিকরা হলেন
ক. মিল, বেনথাম খ. লক, হিউম
গ. প্রাইস, ক্লার্ক
৪। বাটলার মানব প্রকৃতিকে তুলনা করেন
ক. øায়ুতন্ত্রের সাথে খ. দেহতন্ত্রের সাথে
গ. শাসনতন্ত্রের সাথে।
৫। বাটলার তাঁর স্বজ্ঞাবাদকে প্রচার করেন
ক. রাজনৈতিক বক্তৃতার আকারে খ. ধর্মীয় বক্তৃতার আকারে
গ. রাজনৈতিক ও ধর্মীয় বক্তৃতার আকারে।
সত্য/মিথ্যা
১। দেকার্ত ও লকের মতবাদের ওপর নির্ভরতা রয়েছে রিচার্ড প্রাইসের- সত্য/মিথ্যা।
২। প্রাইস স্বজ্ঞার মাধ্যমে জানা যায় এরকম সাতটি কর্তব্যের উল্লেখ করেন- সত্য/মিথ্যা।
৩। বাটলারের নৈতিক বৃত্তি ‘বিবেক’ এর একমাত্র বৈশিষ্ট্য নৈতিক অনুভ‚তি- সত্য/মিথ্যা।
৪। বাটলার মূলত নৈতিক অনুভ‚তিবাদ ও বৌদ্ধিক স্বজ্ঞাবাদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করেনসত্য/মিথ্যা।
৫। বাটলারের মতে মানব প্রকৃতি তিনটি উপাদান নিয়ে গঠিত- সত্য/মিথ্যা।
সঠিক উত্তর
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন : ১। ক ২। খ ৩। গ ৪। গ ৫। খ
সত্য/মিথ্যা: ১। সত্য ২। মিথ্যা ৩। মিথ্যা ৪। সত্য ৫। সত্য

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]