কান্টের মতে আদেশ কত প্রকার তা উল্লেখপূর্বক তাঁর আদেশ সম্পর্কিত বক্তব্যটি আলোচনা করুন।

নৈতিক নীতি শর্তহীন আদেশ আলোচনা করা হয়েছে তা থেকে নৈতিকতার আকার সর্ম্পকে কান্টের বক্তব্য বেশ
স্পষ্টভাবেই বুঝা যায়। এটা একটা অত্যন্তনৈর্ব্যক্তিক নীতি যাকে তিনি শর্তহীন আদেশ নাম
দিয়েছেন। এটা আদেশ এই জন্য যে, নৈতিক জীবন যাপন করতে হলে একে মানতেই হবে। কিন্তু
এ শর্তহীন কেন? এর উত্তরে কান্ট তিন ধরনের আদেশের কথা উল্লেখ করেন যা হচ্ছে : (১)
শর্তযুক্ত আদেশ (২) বিবৃতিমূলক আদেশ ও (৩) শর্তহীন আদেশ।
কান্টের মতে শর্তযুক্ত আদেশ হচ্ছে তাই যা কোন একটা বিশেষ দলের লোকের ক্ষেত্রে খাটে যাঁরা
কোন বিশেষ পরিস্থিতিতে কোন বিশেষ লক্ষ্য নিয়ে চলেন। স্থাপত্যের নীতিসমূহ এই ধরনের, কেননা
স্থপতিরা যখন ইট দিয়ে বাড়ি বানান তখন এক ধরনের নিয়ম অনুসরণ করেন, আর যখন পাথর
দিয়ে তখন অন্য ধরনের নিয়ম অনুসরণ করেন। শত শত লোকের জন্য উপাসনালয় বানাতে তাঁরা
যে নিয়ম অনুসরণ করেন, সাধারণ অন্যান্য বাড়ি বানাতে তা করেন না। নৈতিক নিয়মের ক্ষেত্রে এই
ধরনের নিয়ম খাটে না।
বিবৃতিমূলক আদেশগুলো শর্তযুক্ত, কিন্তু এদের প্রয়োগ বিশ্বজনীন। যেমন যখন আমরা বলি যে,
সকলেই সুখ চায় তখন এই ধরনের উদ্দেশ্য সাধনের জন্য যে নিয়মনীতি রয়েছে তা সকলের
ক্ষেত্রেই খাটে। কিন্তু এর পরেও কথা থেকে যায় যে, এই নিয়মগুলোর অস্তিত্ব, সবাই সুখ চায়, এই
ব্যাপারটির ওপর নির্ভরশীল। কান্টের মতে অনেকেই নৈতিকতাকে এই ধরনের আদেশের ওপর দাঁড়
করে ভুল করেন; যেমন সুখবাদীরা মনে করে থাকেন যে, সুখ অন্বেষণ করার জন্য যে নিয়মনীতি
রয়েছে তাই নৈতিকতার নিয়ম।
কান্ট মনে করেন নৈতিক আদেশগুলো সর্বতোভাবে শর্তহীন ও বিশ্বজনীন। এ স্থাপত্যের আইনের
মত মানুষের কোন উদ্দেশ্যের ওপর নির্ভর করে না অথবা এমনকি কেমন করে সুখ পাওয়া যায় সে
সম্পর্কিত কোন বিশ্বজনীন বিবৃতিমূলক আইনের ওপরও নয়। তাঁর অর্থ হচ্ছে কান্টের শর্তহীন
আদেশ পুরোপুরিভাবে পরিণতিবাদের প্রভাবমুক্ত। কান্ট শর্তহীন আদেশকে এভাবে বর্ণনা করেন :
“কেবলমাত্র এই নীতির ওপরই কাজ কর যাতে তুমি একই সময়ে ইচ্ছা করতে পার যে এ একটি বিশ্বজনীন আইনে পরিচিত হোক।”
শর্তহীন আদেশের তিনটি রূপ
উপর্যুক্ত নীতিটিকে কান্ট তিনটি আকারে প্রকাশ করেন: (১) এমনভাবে কাজ কর যেন তোমার
ইচ্ছায় তোমার কাজের নীতি প্রকৃতির বিশ্বজনীন আইন হয়। (২) এমনভাবে কাজ কর যেন
মানবতাকে, তা সে তোমার নিজ ব্যক্তিত্বই হোক অথবা হোক অন্য যে কারো ব্যক্তিত্ব, প্রত্যেক
ক্ষেত্রেই শুধুমাত্র লক্ষ্য হিসেবে গণ্য করতে পার, উপায় হিসেবে নয়। (৩) বুদ্ধিবাদী হিসেবে
প্রত্যেক বৌদ্ধিক সত্তার ইচ্ছাকে হতে হবে একটি বিশ্বজনীন আইন প্রণয়নকারী ইচ্ছা।
প্রথম নীতিটি আত্মপ্রেম যে নৈতিক উদ্দেশ্য হতে পারে না বিশেষ করে তাই বলে। আত্মপ্রেমের
কারণেই আমরা অনেক সময় বিপদে পড়লে অনেক প্রতিজ্ঞা করি যা আমরা রক্ষা করব এমন চিন্তা
করি না। তখন আমরা এই নীতির অধীনে কাজ করি যে বিপদে পড়লে মিথ্যা প্রতিজ্ঞা করা যায়।
এখন নীতিটিকে যদি বিশ্বজনীন করা হয় তাহলে এর অর্থ দাঁড়াবে এই যে, বিপদে পড়লে সব
ব্যক্তিরই মিথ্যা প্রতিজ্ঞা করা উচিত। কিন্তু এটা হবে আত্মপ্রেমের জন্য আত্মঘাতী কেননা, (১) এতে
করে প্রতিজ্ঞার সুফল থেকে সবাই বঞ্চিত হবে যার মধ্যে আমিও একজন এবং (২) প্রতিজ্ঞাটি যদি
আমার সাথে করা হয় তাহলে আমি সরাসরি ক্ষতিগ্রস্তহবো। অতএব আমার আত্মপ্রেমই দাবি করে
যে, প্রতিজ্ঞা করলে তা রাখা উচিত আর এর অর্থ হচ্ছে নৈতিক নিয়ম বিশ্বজনীন হওয়া উচিত।
রজারের অনুসরণে শর্তহীন আদেশের দ্বিতীয় রূপটির নি¤েœাক্ত ব্যাখ্যা দেয়া যেতে পারে: “এটা এই
বিবেচনার ফল যে, আমাদের ইচ্ছাশক্তি কোন একটা লক্ষ্য দ্বারা পরিচালিত হয় আর বৌদ্ধিক বা
নৈতিক সত্তার ইচ্ছাকে পরিচালিত হতে হবে এমন একটি লক্ষ্য দ্বারা যা স্বতঃই ভাল এবং যা পরম
মূল্যে মূল্যবান। কেননা শুধুমাত্র আপেক্ষিক মূল্য নিয়ে কোন লক্ষ্যই শর্তহীন আদেশের জন্ম দিতে
পারে না যা নিঃশর্ত ও বিশ্বজনীনভাবে আদেশ প্রদান করে। শুধুমাত্র বৌদ্ধিক প্রকৃতিই এই ধরনের
লক্ষ্য হতে পারে, এ হলো একমাত্র সত্তা যার স্বতঃমূল্য রয়েছে। নৈতিক আইন তাই মানব ব্যক্তিত্বকে
পরম মূল্যে মূল্যবান গণ্য করতে বলে। আর এই জন্যই কান্ট আত্মহত্যাকারীদের কাজকে অনৈতিক
বলেছেন, কেননা এতে করে বৌদ্ধিক সত্তা নিজেই নিজের লক্ষ্য হিসেবে গণ্য হওয়ার চেয়ে বেদনা
উপশম করার উপায় হিসেবে গণ্য হয়। ...এই নীতির পূর্ণ ব্যাখ্যা দেয়া অবশ্য খুবই কঠিন ব্যাপার,
কিন্তু এ পর্যন্তবলাই বোধ হয় যথেষ্ট যে, এই নীতিটি অন্তত এই প্রকাশ করে যে, বুদ্ধিবৃত্তিধারী সত্তা
হিসেবে প্রত্যেক ব্যক্তিরই কতগুলো পরম অধিকার রয়েছে, যা লঙ্গন করা কখনো উচিত নয়।”
কান্টের শর্তহীন আদেশের তৃতীয় রূপটি এসেছে এই বিবেচনা থেকে যে, বুদ্ধিবৃত্তি একজন ব্যক্তির
মধ্যে যে আচরণের আইন সৃষ্টি করে অন্য সকল ব্যক্তির মধ্যেও সেই একই আইন সৃষ্টি করে। কেননা
এই আইনগুলো বিশ্বজনীনভাবে এবং নিঃশর্তভাবে বাধ্যতামূলক হওয়ায় তারা শুধু একজন ব্যক্তির
বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য থেকে তাদের প্রাধিকার অর্জন করে না। তাই যদি হয়, তাহলে একজনের যা
ইচ্ছা তা সবারই ইচ্ছা; এর অর্থ হচ্ছে সেই ইচ্ছার বিশ্বজনীন আইন প্রণয়নের ক্ষমতা রয়েছে। আর
এর ফলেই কান্ট কল্পনা করেছেন এক লক্ষ্যসমূহের রাজ্যের, যেখানে রয়েছে অনেক বৌদ্ধিক সত্তা
যাদের প্রত্যেকেই যথার্থ অর্থে তার নিজস্ব তৈরি আইনের আওতায় বাস করে। নৈতিকতা সকলের
মাঝে এভাবে ঐক্যের সৃষ্টি করে। শুধু ঐক্য নয়, ব্যক্তির নৈতিক স্বায়ত্বশাসন এভাবে নিশ্চিত হয়।
কান্ট পরিশেষে শর্তহীন আদেশের তিনটি রূপের মাঝে একটা যোগসূত্র থাকার কথা বলেন। যেমন,
তাঁর মতে প্রথম নিয়মটি নৈতিক আইনের একত্ব নির্দেশ করে যার অর্থ হচ্ছে একটিই আইন আছে
সবাই যাকে অনুসরণ করবে। দ্বিতীয় নিয়মটি বহুত্ব নির্দেশ করে এ জন্য যে, এ বহু বৌদ্ধিক সত্তার
কথা বলে যাদের প্রত্যেকেই পরম মূল্যে মূল্যবান। তৃতীয় নিয়মটি হচ্ছে আগের দুটো আইনের আত্মপ্রেমকে নৈতিক উদ্দেশ্য করলে তার ফল হয় আত্মঘাতী।
অনুসিদ্ধান্তআর তা হচ্ছে দুটো আইনের মধ্যে কোন বিরোধিতা নেই। এর অর্থ হচ্ছে প্রত্যেকেরই
নৈতিক স্বায়ত্ত¡শাসন থাকার কারণে একাধিক আইনের উদ্ভব হচ্ছে না; সবাই একই আইনের দ্বারা
পরিচালিত হচ্ছে। কান্টের সর্বশেষ সিদ্ধান্তদাঁড়ায় এরূপ : সমগ্রতা = বহুত্বের মাঝে একত্ব।
কান্টের মূল্যায়ন
আমরা আগেই কান্টকে একজন পরিণতিমুক্ত নৈতিক মতবাদের সমর্থক বলে উল্লেখ করেছি।
নীতিবিদ্যার ইতিহাসে তাঁর এ মতবাদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। এ অত্যন্তবিতর্কিতও
বটে। এর পক্ষে-বিপক্ষে এ পর্যন্তপ্রচুর লেখালেখি হয়েছে। যে কারণে কান্টের প্রশংসা করতে হয় তা
হচ্ছে তিনি মান হিসেবে নৈতিকতার আকারের ওপর জোর দিয়ে ব্যক্তির সম্মান বর্ধন করেছেন এই
অর্থে যে, তাকে তিনি নৈতিকতার ক্ষেত্রে নিছক উপায় হিসেবে না নিয়ে প্রকৃত লক্ষ্য হিসেবে
নিয়েছেন। ব্যক্তির জন্য এ এক মুক্তিও, কেননা তার ওপর এর ফলে বাইরে থেকে নৈতিকতা চাপিয়ে
দেয়ার আর কোন উপায় থাকে না।
কিন্তু কান্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো তিনি মানুষের নৈতিক জীবনকে খুবই কঠোর করে ফেলেছেন।
একথা কেউ অস্বীকার করে না যে, নৈতিক জীবনে কিছু নিয়ম কানুন থাকবে। কিন্তু সব নিয়মকেই
অনড় ব্যতিক্রমহীন নিয়মে পরিণত করলে জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠতে বাধ্য। আমাদের বাস্তব
অভিজ্ঞতা বলে যে আমাদের বিভিন্ন কর্তব্যের নিয়ম অনেক সময় পরস্পর বিরোধী হয় এবং এক্ষেত্রে
একটাকে না হয় অন্যটাকে ভাঙ্গতেই হয় যদিও তারা সকলেই শর্তহীনও হয়। তাছাড়া কান্ট নৈতিক
নিয়মের বিশ্বজনীনকরণের যে শর্ত আরোপ করেছেন সে সম্পর্কেও প্রশ্ন
তোলা চলে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, কান্টের নিয়মে যে কোন পরিস্থিতিতে মিথ্যা বলা অন্যায়।
কিন্তু যখন কোন নিরপরাধ লোককে আমরা বাঁচাতে চাই তখন মিথ্যা বলতে হলে তা কি অন্যায়
হবে? এ স্থলে যদি আমরা বলি, “মিথ্যা বলা অন্যায় কিন্তু কারো প্রাণ বাঁচাতে তা বলা চলে,” তাহলে
একটি নতুন নীতি হিসেবে এও বিশ্বজনীন হতে পারে।
কিছু কিছু বিষয় আছে, যেমন মানুষের ব্যক্তিগত আদর্শ ইত্যাদিকে বিশ্বজনীন করা যায় না। কারো
আদর্শ হচ্ছে সারা জীবন লেখাপড়া করা, কারো দেশ সেবা করা, কারো বা সন্যাসীর জীবন যাপন
করা। এগুলোর মধ্যে যথেষ্ট নৈতিক উপাদান রয়েছে, অন্তত যতক্ষণ পর্যন্তউদারতার সঙ্গে এসব
আদর্শকে অনুসরণ করা হয়। বিপরীতক্রমে এসব আদর্শের সঙ্গে যখন চরমপন্থী মনোভাব যুক্ত হয়
তখন এদেরকে বিশ্বজনীন করা গেলেও নৈতিক আদর্শ হয় না। এ ব্যাপারে আমরা পঞ্চম ইউনিটে
ব্যবস্থাবাদের সমালোচনা প্রসঙ্গে আরো আলোচনা করব।
পরিশেষে বলা যায় যে, কান্টের মতকে যতটা কঠোর মনে করা হয়, তা ততটা কঠোর নয়। তার
নীতিবিদ্যার বিস্তারিত আলোচনায় যেসব জিনিষকে তিনি নৈতিক গুণ বর্হিভূত বলে দেখিয়েছেন,
যেমন সুখ, তা প্রকৃতপক্ষে নৈতিকতার ক্ষেত্রে একেবারে অপ্রাসঙ্গিক নয়। নৈতিক কাজের পুরস্কার
হিসেবে তিনি সুখের ওপর যথেষ্ট গুরুত্ব আরোপ করেছেন। এ জন্যই হয়তো ম্যাকেনজি বলেছেন,
“নৈতিকতার ক্ষেত্রে কান্ট হচ্ছেন একজন সবচাইতে নির্ভরযোগ্য পথ-প্রদর্শক”। এই মন্তব্যটিতে খুব একটা অতিরঞ্জন আছে বলে মনে হয় না।
রচনামূলক প্রশ্ন
১। কান্টের মতে আদেশ কত প্রকার তা উল্লেখপূর্বক তাঁর আদেশ সম্পর্কিত বক্তব্যটি আলোচনা করুন।
২। শর্তহীন আদেশের তিনটি রূপ উল্লেখ করুন। এদের মধ্যে কোনো যোগসূত্রের কথা কি কান্ট স্বীকার করেছেন?
৩। নীতিবিদ্যায় কান্টের অবদান মূল্যায়ন করুন।
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন
সঠিক উত্তর লিখুন
১। কান্টের মতে আদেশ হচ্ছে
ক. তিন প্রকার খ. চার প্রকার
গ. দু’প্রকার।
২। বিবৃতিমূলক আদেশ হচ্ছে
ক. শর্তযুক্ত ও বিশেষ খ. শর্তযুক্ত ও সর্বজনীন
গ. শর্তহীন ও বিশ্বজনীন।
৩। শর্তহীন আদেশের দ্বিতীয় রূপ অনুসারে প্রত্যেক মানুষকে গণ্য করতে হবে
ক. মাধ্যম হিসেবে খ. লক্ষ্য হিসেবে
গ. মাধ্যম বা লক্ষ্য হিসেবে।
৪। কান্টের মতে বুদ্ধিবৃত্তি সকল ব্যক্তির মধ্যে সৃষ্টি করে
ক. দ্বিতত্ত¡ আইন খ. ত্রিতত্ত¡আইন
গ. একই আইন
৫। শর্তহীন আদেশের প্রথম ও দ্বিতীয় রূপটি নির্দেশ করে যথাক্রমে নৈতিক আইনের
ক. একত্ব ও বহুত্ব খ. বহুত্ব ও একত্ব
গ. ভিন্নতা ও অভিন্নতা
সত্য/মিথ্যা
১। শর্তহীন আদেশ না মেনেও নৈতিক জীবনযাপন করা যায় এমনটি কান্ট উল্লেখ করেছেনসত্য/মিথ্যা।
২। বিবৃতিমূলক আদেশ বিশেষ ক্ষেত্রে প্রয়োগযোগ্য- সত্য/মিথ্যা।
৩। কান্ট শর্তহীন আদেশের তিনটি রূপের উল্লেখ করেছেন- সত্য/মিথ্যা।
৪। শর্তহীন আদেশের তিনটি রূপের মধ্যে একটি যোগসূত্র আছে- সত্য/মিথ্যা।
৫। নীতিবিদ্যার দিক দিয়ে কান্ট একজন পরিণতিবাদী দার্শনিক- সত্য/মিথ্যা।
সঠিক উত্তর
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন : ১। ক ২। খ ৩। খ ৪। গ ৫। ক।
সত্য/মিথ্যা: ১। মিথ্যা ২। মিথ্যা ৩। সত্য ৪। সত্য ৫। মিথ্যা।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]