ব্রাডলী কিভাবে মিল ও কান্টের সমালোচনা করেন? এ প্রসঙ্গে তাঁর পূর্ণতাবাদ মূল্যায়ন করুন।

টি. এইচ. গ্রীন
হেগেলের জীবদ্দশায়ই তাঁর দর্শন জার্মানীতে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। তাঁর মৃত্যুর পর এর
প্রভাব ব্রিটেনেও অনুভ‚ত হয়। ঊঁনিশ শতকের শেষের দিকে টি. এইচ. গ্রীনের নীতিবিদ্যায় এর
প্রত্যক্ষ প্রভাব দেখা যায়। গ্রীন তাঁর গ্রন্থে তাঁর মত ব্যক্ত করেন।
প্রকৃতি ও প্রাণী জগতের বিপরীতে হেগেল মানুষের মধ্যে আত্ম-সচেতনতা থাকার কথা বলেছিলেন।
গ্রীন একে একটা আধ্যাত্মিক নীতি বলে অভিহিত করেন এবং মত প্রকাশ করেন যে, “এই নীতিটিকে
অন্যান্য নি¤œতর প্রাণীদের মত মানুষের যেসব সামর্থ্য রয়েছে শুধুমাত্র মানব মনে তার ঊর্ধ্বে এবং
তাদের থেকে স্বতন্ত্রভাবে কর্মরত অতিরিক্ত একটি বৃত্তি বা অংশ হিসেবে গ্রহণ করা যাবে না।
আধ্যাত্মিক নীতিটি বরং ঐ সব নি¤œতর সামর্থ্যগুলোর ওপর কাজ করে এবং তাদেরকে পরিবর্তিত
করে। যেমন, প্রাণীদের মত মানুষেরও বর্ণ ও শব্দের সংবেদন আছে, কিন্তু আধ্যাত্মিক নীতির ফলে
মানুষের মধ্যে এগুলো এমনি পরিবর্তিত হয় যে, এগুলো প্রত্যক্ষণে পরিণত হয় এবং সংবেদন থেকে
এগুলো পৃথক এ কারণে যে, এরা এমন অর্থ ব্যক্ত করে যা সম্পর্কে মানুষ সচেতন। একইভাবে
মানুষের ক্ষুধা ও তৃষ্ণার মত বেদনা রয়েছে, যেমন তা রয়েছে নি¤œতর প্রাণীদের মধ্যে; কিন্তু মানুষের
মধ্যে আধ্যাত্মিক নীতি দ্বারা এগুলো এমনি পরিবর্তিত হয়ে যায় যে, তখন তারা আকাক্সক্ষায় পরিণত
হয় আর এর ফলে মানুষ ঐ বিশেষ লক্ষ্য সম্পর্কেসচেতন হয় এবং সে জানে যে, এ তাকে পরিতৃপ্ত
করতে পারে এবং একে সে প্রত্যক্ষভাবে লক্ষ্য হিসাবে নেয়। ক্ষুধার নোদনা এভাবে খাদ্যের
আকাক্সক্ষায় রূপ লাভ করে এবং এর মালিক জানে যে, খাদ্য তাকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও পরিতৃিপ্ত
দিবে। গ্রীন মত পোষণ করতেন যে, যা ভাল তা আমাদের আকাক্সক্ষাকে পরিতৃপ্ত করে। তবে এর অর্থ
এই নয় যে, বিশেষ কোন জৈবিক প্রয়োজন এ তৃপ্ত করে, বরং এর অর্থ হচ্ছে, এ সামগ্রিকভাবে
আত্ম-সচেতন ব্যক্তিত্বের বাস্তবায়ন বা পরিতৃপ্তি সাধন করে থাকে। গ্রীনের মতে ইচ্ছা করা হচ্ছে
এমনি একটি কাজ যাতে একজন ব্যক্তি কোন কিছু সম্পর্কে কোন ধারণা বাস্তবায়িত করার দিকে
নিজেকে চালিত করে এবং যার ফলে সে সময়ের জন্য তাতে তার পরিতৃপ্তি অন্বেষণ করে। কোন
একটি ধারণা বাস্তবায়নের জন্য সামনে তাকানোর এই ক্ষমতা মানুষের আধ্যাত্মিক নীতির একটি
বৈশিষ্ট্য এবং এটি এমনি একটি শক্তি যার কারণে সে বিশ্বের ঐ আধ্যাত্মিক শক্তির অবিকল প্রতিরূপ
যাকে আমরা খোদা বলি। ঠিক যেমন খোদা বিশ্বের ধারণা করেছিলেন, ঠিক তেমনি মানুষেরও
নিজেদের ভবিষ্যৎ অবস্থা সম্পর্কে ধারণা করার সামর্থ্য রয়েছে যা বর্তমানের চেয়ে ভাল এবং তাদের
সামর্থ্য রয়েছে তাদের ইচ্ছাশক্তি দ্বারা তাদের এই ধারণাকে বাস্তবায়িত করার।” হেগেলীয় আত্ম সচেতনতাকে গ্রীন একটি আধ্যাত্মিক নীতি বলে অভিহিত করেন।
যদিও মানুষ আধ্যাত্মিক নীতির দিক থেকে খোদার প্রতিরূপ, ঐ নীতিটি কিন্তু গ্রীনের মতে, বৃক্ষ ও
জীবজগতেও সক্রিয়। ব্যবধানটা শুধু এই যে মানুষ যেখানে এ নীতি সম্পর্কে সচেতন, সেখানে
অন্যদের এ সম্পর্কে কোন সচেতনতা নেই। এ ব্যাপারে মানুষের সচেনতার মধ্যে তার পূর্ণতা
নিহিত। গ্রীন সম্পর্কে লিলির নি¤েœাক্ত বক্তব্যও প্রণিধানযোগ্য।
“হেগেলের মত গ্রীনও আধ্যাত্মিক নীতির ক্রমোন্নতিকে ইতিহাসের গতিপথে আবিষ্কার করেছেন।
মানুষের আত্ম-সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে তার নৈতিকতার গভীরতাও বৃদ্ধি পেয়েছে এবং
সে এ বিষয়টি বেশি বেশি করে হৃদয়ঙ্গম করেছে যে প্রেষণা ও অভিপ্রায়গুলো, যাদেরকে সে শুধু
চিন্তার সাহায্যে পর্যবেক্ষণ করতে পারে, শুধুমাত্র বাহ্যিক শারীরিক আন্দোলনের চেয়ে বেশি
গুরুত্বপূর্ণ। আর নৈতিক আদর্শ প্রশস্ততর হয়েছে, কেননা, মানুষ যতই চিন্তা করেছে, সে বুঝতে
পেরেছে যে, শুধুমাত্র তার নিজ পরিবার, গোত্র বা জাতির প্রতিই নয়, সমগ্র মানব জাতির প্রতি এবং
এমনকি কতক পরিমাণে প্রাণীজগতের প্রতিও ‘শুভত্ব’ প্রদর্শন করতে হবে।”
উপর্যুক্ত বক্তব্য থেকে একথা বলা যায় যে, গ্রীনের পূর্ণতাবাদ একটি উন্মুক্ত প্রক্রিয়া যার দৃষ্টি সামনের দিকে প্রসারিত।
এফ. এইচ. ব্রাডলী
এফ. এইচ. ব্রাডলী তাঁর বিখ্যাত পুস্তক (ঊঃযরপধষ ঝঃঁফরবং)-এ তার পূর্ণতাবাদী নীতিদর্শন প্রচার
করেছেন। হেগেলীয় ভাবাদর্শের অনুসারী হিসেবে তিনি তাঁর দার্শনিক অবস্থানটি বেছে নেন
হেগেলের দ্বা›িদ্বক পদ্ধতির পরিণতি হিসেবে। তাঁর মতে আত্ম-বাস্তবায়ন যদি নৈতিকতার উদ্দেশ্য
হয় তাহলে নৈতিকতত্তে¡র দুই দিকপাল মিল ও কান্ট এ ব্যাপারে কেবল একতরফা বক্তব্য দিয়েছেন।
মিল আত্ম-বাস্তবায়নকে সুখের বাস্তবায়ন বলেছেন এবং কান্ট একে ধরে নিয়েছেন কর্তব্য পালনের
মাধ্যমে সদিচ্ছার বাস্তবায়ন বলে। এ পর্যায়ে তিনি সুখবাদ এবং কান্টের আকারবাদের বিরুদ্ধে যে
প্রচলিত সমালোচনা রয়েছে তারই উল্লেখ করেন। যেমন, মিল সার্বিককে উপেক্ষা করে বিশেষের
ওপর জোর দিয়েছেন, যেখানে কান্ট বিশেষকে উপেক্ষা করে সার্বিকের ওপর জোর দিয়েছেন। অন্য
কথায় মিল আকারকে বাদ দিয়ে আধেয় নিয়ে আলোচনা করেছেন, আর কান্ট আধেয়কে বাদ দিয়ে
শুধু নৈতিকতার আকার নিয়ে চিন্তা করেছেন যা একান্তভাবেই শূন্যগর্ভ।
ব্রাডলী নৈতিকতার এ মেওæকরণ সমর্থন না করে একটা সমন্বয়ের চেষ্টা করেন। এ ব্যাপারে তিনি যে
তত্ত¡ দেন তা ‘আমার কর্মস্থল ও কর্তব্য’ ‘ নামে পরিচিত। তাঁর মতে এ
পৃথিবীতে প্রত্যেক ব্যক্তিরই নিজস্ব একটি কর্মস্থল থাকে এবং ঐ কর্মস্থলে তার ওপর যে কর্তব্য ন্যস্ত
থাকে তা সম্পাদন করার মধ্যেই তার নৈতিকতা নিহিত থাকে। যেমন একজন শিক্ষক, একজন
চিকিৎসক কিংবা একজন কৃষক প্রত্যেকেই যখন প্রত্যেকের কাজ ঠিকমত সম্পাদন করেন তখনই
তিনি তাঁর নৈতিক দায়িত্ব পালন করেন। এসব কর্তব্যকে পৃথকভাবে দেখা যাবে না; কেননা
প্রত্যেকে তাঁদের নিজস্ব দায়িত্ব পালন করে একটা সামাজিক বা সামষ্টিক দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর
এ দায়িত্ব পালনের মধ্যে সার্বিক ও বিশেষের মিলন এভাবেই ঘটে। আধুনিক একজন লেখক
বিষয়টিকে এভাবে ব্যাখ্যা করেছেন: (ক) “বাস্তবায়িতব্য আত্মসত্তাটি (ংবষভ) একটি মূর্ত সার্বিক এই
অর্থে যে, এটা একটা সামগ্রিক সত্তা, একটা সুসংগঠিত সমগ্রতা। কান্টের আত্ম-সত্তার মত এটা
একটা শূন্যগর্ভ আকার ও সার্বিকতা নয়; বরং এ হচ্ছে এমন একটি সত্তা যা নিজকে এর বিশেষ
বিশেষ প্রত্যেকটি কাজে ও অভিজ্ঞতার মধ্যে প্রকাশ করে। অন্যদিকে এই বিশেষ কাজ ও
অভিজ্ঞতাগুলো বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনাবলী নয়, বরং একটি সুসংগঠিত জীবনের প্রেক্ষাপটে তাদের স্থান
থেকে তারা তাদের গুরুত্ব আহরণ করে। (খ) বাস্তবায়িতব্য আত্ম-সত্তা সার্বিক হওয়ার দ্বিতীয় গ্রীনের মতে আধ্যাত্মিক নীতিতে একটি ক্রমোন্নতির ব্যাপার রয়েছে।
আরেকটি অর্থ আছে। অন্যান্য আত্মসত্তার সঙ্গে এ একটা একত্ব সৃষ্টি করে। আমার দ্বারা
বাস্তবায়িতব্য আত্মসত্তাটি একটি সামাজিক সত্তা, একটি বিচ্ছিন্ন বিশেষ হিসেবে আমার যে অস্তিত্ব
আছে সে জিনিষ নয়। অন্যকথায়, অন্যান্য আত্ম-সত্তার সাথে সম্পর্কের মাধ্যমে আমি যে আত্ম-সত্তা
গড়ে তুলি, তথা সামাজিক সত্তা হিসেবে অন্যান্য আত্ম-সত্তার সঙ্গে আমার যে অংশীদারিত্ব, আমার
আত্মসত্তা তাই। ব্যক্তির সঙ্গে সমাজের সম্পর্ক এখানে বিশেষ কাজের সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ সত্তার সম্পর্ক
প্রতিফলিত করে। আত্মসত্তা যেমন শুধুমাত্র একক কাজের যোগফল নয় এবং তদ্সত্তে¡ও তাদের
থেকে বিচ্ছিন্ন কিছু নয়, বরং তাদের একটি সুসংগঠিত একত্ব, ঠিক তেমনি সমাজ শুধু ব্যক্তির
যোগফল নয়, বরং এ প্রত্যেকের মধ্যেই সক্রিয় ও সম্পূর্ণভাবে উপস্থিত রয়েছে। এ ব্যক্তিকে গঠন
করে, আর তাই তারা সমাজ ছাড়া বাঁচতে পারে না। আর ব্যক্তির মধ্যে সমাজের এই উপস্থিতি হচ্ছে এক মূর্ত সার্বিক।”
উপরে যেসব পূর্ণতাবাদী দার্শনিকদের সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে তাঁদের প্রায় সবার সম্পর্কেই
সাধারণভাবে যে কথা বলা চলে তা হচ্ছে তাঁরা ব্যাপক দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন চিন্তাবিদ ছিলেন। এ কারণে
নীতি দর্শনের কোন একটি বিশেষ মতাদর্শে তাঁরা আবদ্ধ থাকতে পারেননি এবং প্রচলিত নৈতিক
মতবাদসমূহের কোনটিকে তাঁরা একদম অনাবশ্যকও ভাবতে পারেননি। নৈতিকতার ক্ষেত্রে তাঁরা
সমন্বয়বাদের সমর্থক ছিলেন এবং যেসব তত্ত¡গুলোকে তাঁরা প্রধানত সমন্বিত করার চেষ্টা করেছিলেন
সেগুলো হচ্ছে : আত্মবাদ ও পরার্থবাদ, সুখবাদ ও আকারবাদ, ব্যক্তিবাদ ও সমষ্টিবাদ। তাঁদের এ
প্রচেষ্টা প্রশংসারযোগ্য তাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু এ সমন্বয় সব সময়ই নিরপেক্ষ হয়েছে তেমন
মনে হয় না। প্লেটো, অ্যারিস্টটল ও হেগেলের তত্ত¡সমূহ থেকে যে ধারণা জন্মে তা হচ্ছে তাঁরা
নৈতিকতার ক্ষেত্রে দার্শনিকদের জীবন পদ্ধতির ওপর বেশি জোর দিয়েছেন। প্লেটো- অ্যারিস্টটলের
বুদ্ধিই হোক, আর হেগেলের আত্ম-সচেতনতাই হোক, কিংবা গ্রীনের আধ্যাত্মিক নীতিই হোক, তা
দার্শনিকদেরই সবিশেষ সম্পদ। সাধারণ মানুষের প্রবেশাধিকার এসব ক্ষেত্রে কমই। কিন্তু
নৈতিকতার বিষয় পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, জ্ঞানের চেয়ে অভ্যাসের সঙ্গেই এ বেশি সম্পৃক্ত।
আর এর ফলে সাধারণ মানুষও দার্শনিকদের চেয়ে বেশি চরিত্রবান হতে পারেন।
পূর্ণতাবাদ সম্পর্কে আরেকটি যে সমস্যা দৃষ্ট হয় তা হচ্ছে এ শুধু মানুষের জৈবিক বাসনাসমূহের
বিনাশ দাবি করে না, অনেক সময় তার ব্যক্তিগত শুভেরও বর্জন দাবী করে। যখন ব্যক্তিগত ও
সামষ্টিক মঙ্গলের প্রশ্ন আসে তখন সমষ্টির কল্যাণ বা কাজ করাকে অধিকতর আত্ম-বাস্তবায়নের
কাজ বলে মনে করা হয়, কিন্তু এতে করে ব্যক্তির জীবনের বহু দিক ক্ষতিগ্রস্তহয় যারা তার পূর্ণতার জন্য কম প্রয়োজনীয় নয়।
এ প্রসঙ্গে ব্রাডলীর নিজের একটি আত্ম-সমালোচনাও উল্লেখ করা যায়। তাঁর মতে মানুষ প্রকৃত পক্ষে
যে সব সমাজে বাস করে তাদের প্রায় সবই কোন না কোন দিক থেকে ত্রæটিপূর্ণ হয়। এমতাবস্থায়
এই ধরনের সমাজে ব্যক্তির পক্ষে শুধু তার ওপর ন্যস্তদায়িত্ব পালন করে আত্ম-বাস্তবায়ন সম্ভব নাও
হতে পারে। এটা আদর্শ ও বাস্তবতার মধ্যে চিরকালীন যে ব্যবধান তাই নির্দেশ করে। ব্রাডলী এই
জায়গায় এসে সমাজ ছেড়ে ধর্মের আশ্রয় নিয়েছিলেন। বিষয়টি কতটুকু যুক্তিযুক্ত তা ভেবে দেখার বিষয়।
রচনামূলক প্রশ্ন
১। পূর্ণতাবাদ প্রসঙ্গে টি. এইচ. গ্রীন ও এফ. এইচ. ব্রাডলীর মতের তুলনামূলক আলোচনা করুন।
২। ‘আত্মসচেতনতা একটি আধ্যাত্মিক নীতি’ এই উক্তির আলোকে গ্রীনের পূর্ণতাবাদ আলোচনা
করুন।
৩। ব্রাডলী কিভাবে মিল ও কান্টের সমালোচনা করেন? এ প্রসঙ্গে তাঁর পূর্ণতাবাদ মূল্যায়ন করুন।
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন
সঠিক উত্তর লিখুন
১। পূর্ণতাবাদের প্রবক্তা হলেন
ক. গ্রীন, ব্রাডলী, হেগেল খ. রাসেল, হিউম, লক
গ. ম্যূর, হেয়ার, স্টিভেনসন
২। আধ্যাত্মিক নীতিতে মানুষের মধ্যে অন্যান্য প্রাণীদের যেসব বৈশিষ্ট্য রয়েছে তাদেরকে
পরিবর্তিত করে ফেলে এমন কথা বলেছেন
ক. হেগেল খ. গ্রীন
গ. কান্ট
৩। “আধ্যাত্মিক নীতিতে ক্রমোন্নতি রয়েছে” উক্তিটি
ক.পূর্ণতাবাদের খ. উপযোগবাদের
গ. স্বজ্ঞাবাদের
৪। ব্রাডলির নীতিবিদ্যার বইটির নাম
ক. গড়ৎধষ চযরষড়ংড়ঢ়যু খ. ঊঃযরপধষ ঝঃঁফরবং
গ. উধঃব ড়ভ ঊঃযরপং
৫। ‘প্রত্যেকের কর্মস্থলে দায়িত্ব পালনের মাঝে পূর্ণতা নিহিত” এমন কথা বলেছেন
ক. ব্রাডলি খ. হেগেল
গ. মিল
সত্য/মিথ্যা
১। টি. এইচ. গ্রীন তাঁর পূর্ণতাবাদী মত ব্যক্ত করেছেন চৎড়ষবমড়সবহধ ঃড় ঊঃযরপং নামক গ্রন্থে-
সত্য/মিথ্যা।
২। ‘মানুষের আত্মসচেতনাকে গ্রীন আধ্যাত্মিক নীতি বলেছেন- সত্য/মিথ্যা।
৩। ব্রাডলীর মতে ‘মিল ও কান্ট আত্ম-বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে একতরফা বক্তব্য রেখেছেন’-সত্য/মিথ্যা।
৪। ‘ব্রাডলী নৈতিকতার ক্ষেত্রে সমন্বয়ের কথা বলেছেন’-সত্য/মিথ্যা।
৫। পূর্ণতাবাদীরা নৈতিকতার ক্ষেত্রে সমন্বয়বাদ চান না- সত্য/মিথ্যা।
সঠিক উত্তর
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন: ১। ক ২। খ ৩। ক ৪। খ ৫। ক।
সত্য/মিথ্যা: ১। সত্য ২। সত্য ৩। সত্য ৪। সত্য ৫। মিথ্যা।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]