ম্যূর শুভ বলতে কী বুঝেছেন? এ প্রসঙ্গে তাঁর আঙ্গিক ঐক্যের মতবাদ ব্রেনটানো মূল্য মেইনং-এর মূল্য তত্ত¡টি ব্যাখ্যা করুন।

এ পর্যন্ত আমরা নৈতিকতার যে ক’টি মানদন্ড নিয়ে আলোচনা করেছি তাদের ত্রæটি-বিচ্যুতিসমূহ
আমরা দেখেছি। এ ত্রæটিগুলো বাদ দিলেও এদের সম্পর্কে সাধারণভাবে যে প্রশ্নটি অত্যন্ত
অর্থপূর্ণভাবে করা যায় তাহলো এসব মানদন্ডের আলোকে কেন আমরা নৈতিকতাকে বিচার করব?
সুখবাদের কথাই ধরা যাক। এ প্রশ্ন অনেকেই করেছেন, কেন আমরা সুখকে নৈতিকতার মানদন্ড
করব? প্রজ্ঞা, প্রেম, সত্য, স্বাধীনতা যা কিছু দিয়েই আমরা নৈতিকতাকে ব্যাখ্যা করতে যাই না
কেন, এ ধরনের প্রশ্ন ওঠবেই। এর উত্তরে সহজভাবে যা বলা যেতে পারে তা হচ্ছে এসবের মধ্যে
এমন একটা মূল্য রয়েছে যাকে নৈতিকতা সব সময় অন্বেষণ করে। এই উত্তরের পর স্বাভাবিকভাবেই
যে যুক্তিটা চলে আসে তা হলো: এসব বাহ্য জিনিষ বা গুণ নয়, এদের মধ্যে নিহিত প্রচ্ছন্ন মূল্যই
নৈতিকতার প্রকৃত মানদন্ড। কিন্তু এই মূল্যটা কী? এর প্রকৃতিই বা কী? এসব প্রশ্ন তখনও আমাদের
মনকে আন্দোলিত করে। বিষয়টাকে তাই একটু খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
মূল্যের প্রকারভেদ ও এর নৈতিক প্রেক্ষিত
মূল্য শব্দটি মূলত একটি অর্থনৈতিক ধারণা নির্দেশ করে এবং সেদিক থেকে এ দু’ধরনের: (ক)
ব্যবহারিক মূল্য (ঠধষঁব রহ ঁংব) ও (খ) বিনিময় মূল্য । মানুষের কোন
প্রয়োজন বা আকাক্সক্ষা মিটাবার কিংবা তাকে সন্তুষ্ট করার যে ক্ষমতা কোন একটি বস্তুর থাকে তাকে
বস্তুটির ব্যবহারিক মূল্য বলা যেতে পারে। অপরপক্ষে একটি বস্তুকে যখন অপর একটি বস্তুর সঙ্গে
বদলানো যায় তখন উভয় বস্তুরই বিনিময় মূল্য রয়েছে বলে ধরা হয়। আধুনিককালে এ মূল্য টাকা
পয়সা দ্বারা স্থির হয়।
অর্থনীতির এ দুটো মূল্যকেই দার্শনিক দৃষ্টিকোণ থেকে ‘উপায় হিসেবে মূল্যে’র ছকে ফেলা যায়। এর
বিপরীতে আরেক ধরনের যে মূল্য রয়েছে তা হচ্ছে ‘লক্ষ্য হিসেবে মূল্য’। মূল্যকে যখন নৈতিকতার
মানদন্ড হিসেবে গণ্য করা হয় তখন নিঃসন্দেহে এ উপায় হিসেবে মূল্যের গন্ডিতে পড়ে না। এ হচ্ছে
একটা লক্ষ্য। দার্শনিকরা এ বিভাজনটি করেন সাধারণত কারণিক মূল্য ও স্বগত মূল্য এ দুটো
নামে। সাধারণত প্রকৃত লক্ষ্যটি হয় স্বগত মূল্যে মূল্যবান আর এ লক্ষ্য অর্জনে যা সাহায্য করে তা হয় কারণিক মূল্যে মূল্যবান।
নৈতিকতার ক্ষেত্রে স্বগত মূল্যের ধারণা অত্যাবশ্যক হলেও একথা মনে রাখতে হবে যে, সব স্বগত
মূল্যই নৈতিক নয়। যেমন, যখন বলা হয় যে ওপরের তারকামন্ডিত আকাশেরও স্বগত মূল্য রয়েছে
তখন এর সঙ্গে নৈতিকতার কোন সংশ্রব নেই। এ মূল্য সৌন্দর্য বিজ্ঞানের বিষয়। এর অর্থ হচ্ছে
স্বগত মূল্যের ব্যাপারটি খুবই ব্যাপক অর্থবহ, আর তাই কোন বিশেষ শব্দ বা শব্দ সমষ্টির মাধ্যমে
একে ব্যাখ্যা করা খুবই দুরূহ ব্যাপার। এতদ্সত্তে¡ও ইংরেজিতে এড়ড়ফ শব্দটিকে এর সমার্থক শব্দ
হিসেবে ব্যবহার করা হয় এবং বিশিষ্ট ব্রিটিশ দার্শনিক জি. ই. ম্যূর এ অর্থেই মূল্যের ব্যাপারটিকে
ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন।
ম্যূরের স্বগত শুভ ও আঙ্গিক ঐক্যের মতবাদ
ম্যূরের মতে যখন কোন জিনিষকে আমরা মড়ড়ফ বা শুভ বলি তখন এর অর্থ এই নয় যে, বস্তুটির
প্রত্যেকটি অংশই শুভ। এর কোন অংশ ভাল হতে পারে, কোন অংশ মন্দ হতে পারে এবং কোন
অংশ সম্পূর্ণ নিরপেক্ষও হতে পারে। এতদ্সত্তে¡ও পূর্ণবস্তুটির স্বগত মূল্য থাকতে পারে এবং এই
ধরনের সমগ্রের মূল্য এর অংশসমূহের যোগফলের যে মূল্য তার সঙ্গে কোন নিয়মিত অনুপাত রক্ষা
করে না। ম্যূরের ভাষায়, “এটা নিশ্চিত যে, একটি ভাল জিনিষ অন্য একটি ভাল জিনিষের সঙ্গে
এমন একটি সম্পর্ক নিয়ে অস্তিত্বশীল থাকতে পারে যে, এইরূপে যে সমগ্রটি গড়ে ওঠে তার মূল্য
দুটো বস্তুর মূল্যের যোগফলের চেয়ে অনেক বড় হয়। এটা নিশ্চিত যে, একটি ভাল জিনিষ এবং
একটি নিরপেক্ষ জিনিষের সমবায়ে গঠিত একটি সমগ্রের শুধু ভাল জিনিষের যে মূল্য রয়েছে তার
চেয়ে অনেক বড় মূল্য থাকতে পারে। এটা নিশ্চিত যে, দুটো মন্দ জিনিষ অথবা একটি মন্দ জিনিষ
ও একটি নিরপেক্ষ জিনিষ যে সমগ্র গঠন করে তা তার অংশগুলোর মন্দত্বের যোগফলের চেয়ে
অনেক বেশি হতে পারে। মনে হয় কতকগুলো নিরপেক্ষ জিনিষও একটি এককের একমাত্র উপাদান
হতে পারে যার মূল্য- সদর্থক বা নঞর্থক যাই হোক- অনেক হতে পারে। একটি ভাল সমগ্রের মধ্যে
অতিরিক্ত একটি খারাপ জিনিষের অন্তর্ভুক্তি সমগ্রটির সদর্থক মূল্য বাড়াতে পারে কিনা অথবা
খারাপের মধ্যে আরেকটি অতিরিক্ত খারাপের অন্তর্ভুক্তি একটি সদর্থক মূল্যসম্পন্ন সমগ্র উৎপন্ন করতে
পারে কিনা এ ব্যাপারে অধিকতর সন্দেহের অবকাশ রয়েছে, কিন্তু এর সম্ভাব্যতাকে অস্বীকার করা
যায় না, আর আমাদের নৈতিক অনুসন্ধানে এই সম্ভাবনাকে বিচারে আনতে হবে। সে যাহোক,
বিশেষ প্রশ্নের ব্যাপারে আমরা যেভাবেই সিদ্ধান্তনেই না কেন, নীতিটি কিন্তু পরিষ্কার : একটি সমগ্রের
মূল্যকে তার অংশসমূহের মূল্যের যোগফলের সমান অবশ্যই ধরা চলবে না।”
ম্যূর একটি উদাহরণের সাহায্যে তার তত্ত¡টি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন। তাঁর মতে সুন্দর জিনিষ
সম্পর্কে আমাদের চেতনার বিরাট স্বগত মূল্য রয়েছে। একে একটি সমগ্র ধরলে শুধু চেতনাটি হবে
এর অংশ; আর বস্তুটি সম্পর্কে এই চেতনা না থাকলে বস্তুটির তেমন মূল্য থাকবে না। এর অর্থ হলো
চেতনাসহ বস্তুটির স্বগত মূল্য পৃথকভাবে চেতনার মূল্য ও বস্তুটির যে মূল্য তার যোগফলের চেয়ে বেশি।
ফ্রেঞ্জ ব্রেনটানোর মূল্যের মতবাদ
জার্মান দার্শনিক ফ্রেঞ্জ ব্রেনটানো স্বগত মূল্য মতবাদের আরেকজন অত্যন্তবড় প্রবক্তা। প্রথমদিকে
তিনি ম্যূরের আঙ্গিক ঐক্য মতবাদের সমর্থক ছিলেন না। কিন্তু পরে তাঁর লেখায় তিনি ম্যূরের এই
নীতিকে গ্রহণ করেন এবং এর কিছুটা পরিবর্তন ও উন্নতি সাধন করেন। কিন্তু তাঁর তত্ত¡ মূলত স্বগত মূল্যের মনস্তাত্তি¡ক দিকটির ওপর বেশি জোর দিয়েছে।
ব্রেনটানোর মতে যখন আমরা বলি যে, একটি জিনিষ স্বগতভাবে ভালো তখন আমরা মূলত যা বলি
তা হচ্ছে এই যে, লক্ষ্য হিসেবে ঐ জিনিষটিকে ভালবাসা সঠিক কাজ। স্বগতভাবে কোন জিনিষ মন্দ
এ কথার অর্থ হলো লক্ষ্য হিসেবে ঐ জিনিষটিকে ঘৃণা করা সঠিক কাজ। কোন জিনিষ স্বগতভাবে
অন্য জিনিষ থেকে অপেক্ষাকৃত ভাল বলার অর্থ হলো লক্ষ্য হিসেবে ঐ জিনিষটাকে অন্য জিনিষের
চেয়ে পছন্দ করা সঠিক কাজ। এখানে একটি প্রশ্ন জাগে : স্বগত মূল্য যদি প্রেম, ঘৃণা ইত্যাদির মত
আবেগের দ্বারা নির্ণিত হয় তাহলে এই সব আবেগগুলো যে সঠিক তা কিভাবে নির্ণয় করা যাবে?
ব্রেনটানো এর উত্তরে যে যুক্তি দেন তা হচ্ছে : যদি কোন্ অবধারণটি সঠিক এবং কোন্ অবধারণটি
বেঠিক তা নির্ণয়ের জন্য কোন পদ্ধতি থেকে থাকে তাহলে আমাদের কোন আবেগটি সঠিক এবং
কোন্ আবেগটি বেঠিক তা নির্ণয়ের জন্য কেন কোন ব্যবস্থা থাকবে না? এ প্রশ্নের মাধ্যমে ব্রেনটানো
তাঁর স্বগত মূল্যের মতবাদকে একটি বিষয়কেন্দ্রিক (ঙনলবপঃরাব) তত্ত¡রূপে উপস্থাপন করেন। এটা
স্ববিরোধিতা মনে হতে পারে কিন্তু তিনি তাঁর বক্তব্য বিষয়ে একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন যাকে রডারিক.
এম. চিসহল্ম এভাবে ব্যক্ত করেছেন :
“কাল্পনিকভাবে আপনি ও আমি একে অন্যের বিরোধিতা করতে পারি যদি আমাদের একজন,
অন্যজন যা প্রত্যাখ্যান করে তা গ্রহণ করে। আর আমরা আবেগমূলকভাবে একে অন্যের বিরোধিতা
করছি বলা যাবে, যদি আমাদের একজন কোন কিছুকে স্বগত কারণে ভালবাসে এবং অন্যজন তাকে
একই কারণে ঘৃণা করে। যিনি এইরূপে আমার সঠিক আবেগের বিরোধিতা করেন তেমন একজনের
কথা চিন্তা করে আমি সঠিক আবেগের ধারণাটি পেতে পারি। যা ভাল তাকে ভালবাসার ক্ষেত্রে
(যেমন আমার অন্তর্দৃষ্টির ভালবাসা) আমি এমন একজনের কথা বিবেচনা করি যিনি এই ভালবাসার
বস্তুটিকে ঘৃণা করেন (যিনি অন্তর্দৃষ্টি ঘৃণা করেন)। যা ভাল তার প্রতি ঘৃণার ক্ষেত্রে (যেমন স্বগত
কারণে ব্যথা বেদনার প্রতি আমার ঘৃণার কথা বিবেচনা করলে) আমি এমন একজনের কথা বিবেচনা
করি যিনি ঐ ঘৃণার বস্তুটিকে ভালবাসেন। দুটো আবেগের তুলনার মধ্যে আমার এবং ঐ ব্যক্তিটির
যিনি আমার সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেন আমি এই কারণেই দেখি যে আমার আবেগটি সঠিক এবং
অন্য ব্যক্তিটির আবেগটি তা নয়। তাই আমার আবেগটি সঠিক বলে প্রতিভাত হয়। আর এই
ধরনের যে কোন ক্ষেত্রে আমি জানতে পারি যে, আমার আবেগ সঠিক। আমি তাই জানি যে সুখ তার
প্রকৃতিসহ স্বগতভাবে ভাল এবং বেদনা মন্দ। কিন্তু আমি যদি অনুভ‚তি শূন্য হতাম, যদি আমার কোন
আবেগ না থাকতো, তাহলে আমি কখনো এই ধরনের জ্ঞান অর্জন করতে পারতাম না।”
ব্রেনটানো সুখের স্বগত মূল্য স্বীকার করলেও এ ব্যাপারে বেনথাম, মিল ও সিজউইকের সঙ্গে তাঁর
পার্থক্য হলো এই যে, তিনি অন্যান্য অনেক জিনিষেরও স্বগত মূল্য থাকার কথা স্বীকার করেন। তাঁর
মতে কিছু সুখ রয়েছে যার কোন স্বগত মূল্য নেই বরং এমন কিছু অ-সুখ রয়েছে যা স্বগতভাবে মন্দ নয়।
এলেক্সিয়াস মেইনং এর মূল্যতত্ত¡
মেইনং ছিলেন ব্রেনটানোর একজন শিষ্য এবং তাঁর স্বগত মূল্যের তত্ত¡ মূলত ব্রেনটানোর মনস্তাত্তি¡ক
কিছু তত্তে¡র ওপর অত্যন্তবেশি নির্ভরশীল। তবে ব্রেনটানোর মত আমাদের মনস্তাত্তি¡ক জীবনের চিত্র
হিসেবে ভালবাসা এবং ঘৃণার বিষয়টির পরিবর্তে মেইনং অনুভ‚তি ও বাসনার মত পুরাতন মনস্তাত্তি¡ক
বিষয়গুলোকে তাঁর তত্ত¡ বিশ্লেষণের প্রয়োজনে নিয়ে আসেন। তাঁর মতে মূল্যের ব্যাপারটি মুখ্যত
একটি অনুভ‚তির ব্যাপার এবং শুধুমাত্র গৌণভাবে এবং উদ্ভূত অর্থে বাসনার ব্যাপার। এর যে ব্যাখ্যা
তিনি দেন তা হচ্ছে কোন জিনিষের প্রতি অনুভ‚তি আছে বলেই আমরা তার প্রতি বাসনা প্রকাশ করি; তার প্রতি বাসনা প্রকাশ করি বলে আমাদের অনুভ‚তির সৃষ্ট হয় না।
মেইনং এর মতে যে জিনিষের প্রতি এই অনুভ‚তির সৃষ্টি হয় তার অস্তিত্ব থাকতেই হবে তেমন কোন
কথা নেই এগুলো কল্পনা কিংবা ধারণার বস্তুও হতে পারে। তবে এর সঙ্গে একটা অবধারণের ব্যাপার
থাকে এবং আরেকটা অতিরিক্ত ব্যাপার থাকে যাকে তিনি নাম দিয়েছেন আধেয়। “অন্যকথায়, যখন
আমরা কোন জিনিষকে মূল্য দেই তখন আমরা তাদের অস্তিত্ব বা অনস্তিত্ব, পৃথিবীতে তাদের প্রকৃত
সত্তা বা অসত্তা নিয়ে ব্যাপৃত থাকি এবং আমরা ব্যাপৃত থাকি আমাদের চিন্তায় উপস্থিত বিশেষ ধরনের
বস্তুর প্রকৃত সত্তা বা অসত্তা নিয়ে যারা আমাদের সামনে নীত হয় আমাদের অভিজ্ঞতার আধেয়ের
মাধমে।”
আমরা কোন্ কোন্ জিনিষকে মূল্য দেই এই প্রশ্নে মেইনং যে ফিরিস্তিদেন তা খুব লম্বা নয় এবং
তাতে কিছুটা অস্পষ্টতা রয়েছে। মনে হয় কিছু কিছু সাহসিকতাপূর্ণ সামরিক কর্মকে এবং কিছু গ্রিক
মূর্তি ও জার্মান কবিতা ও গীত রচনার নান্দনিক মর্যাদাকে তিনি মূল্য দিতেন। নৈতিকতার ক্ষেত্রে
তিনি কর্তব্য এবং নৈতিক মূল্যের মধ্যে পার্থক্য করেন।
মূল্যায়ন
আমরা দেখেছি নৈতিক মান হিসেবে মূল্যের প্রশ্নটি বেশ স্বাভাবিক এবং সহজভাবে আমাদের
বিবেচনায় চলে আসে। কিন্তু প্রকৃত মূল্যের বিষয়টি যে মোটেই খুব স্বাভাবিক বা সহজ নয় তা
আমাদের আলোচনা থেকে বেশ বুঝা যায়। মূল্যের আঙ্গিক ঐক্যের মতবাদ যদিও বা বোধগম্য,
ব্রেনটানো ও মেইনং-এর মনস্তাত্তি¡ক বিশ্লেষণ মূল্যের প্রশ্নটিকে সত্যিই বেশ প্রহেলিকাময় করে
তুলেছে। তাঁরা মূল্যকে ব্যক্তিকেন্তিকতার ঊর্ধ্বে সম্পূর্ণ বিষয়কেন্দ্রিক ব্যাপার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত
করতে পেরেছেন তা জোর দিয়ে বলা যায় না। তাছাড়া পূর্ণতাবাদ সম্পর্কে আমরা আগে যা বলেছি
মূল্যের মতবাদ সম্পর্কেও একই কথা খাটে। মূল্যবাদীদের চিন্তা দার্শনিক বলয়ের বাইরে সর্বজনীন আবেদন রাখতে পারেনি। মূল্যের অনুভূতির জন্য অস্তিত্ব অত্যাবশ্যক নয়। তবে এর একটি আধেয় থাকতে হবে।
রচনামূলক প্রশ্ন
১। ম্যূর শুভ বলতে কী বুঝেছেন? এ প্রসঙ্গে তাঁর আঙ্গিক ঐক্যের মতবাদ আলোচনা করুন।
২। ব্রেনটানো মূল্য স¤পর্কে কী বলেছেন? তিনি কি মনে করেন সুখ ছাড়া অন্য কোন মূল্য নেই? আলোচনা করুন।
৩। মেইনং-এর মূল্য তত্ত¡টি ব্যাখ্যা করুন।
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন
সঠিক উত্তর লিখুন
১। অর্থনৈতিক মূল্য দু‘ধরনের
ক. স্বগত মূল্য ও পরতঃ মূল্য খ. ব্যবহারিক মূল্য ও বিনিময় মূল্য
গ. ব্যক্তি মূল্য ও নিরপেক্ষ মূল্য
২। দার্শনিক মূল্য দু’ধরনের
ক. স্বগত মূল্য ও পরতঃ মূল্য খ. ব্যবহারিক মূল্য ও বিনিময় মূল্য
গ. কারণিক মূল্য ও স্বগত মূল্য
৩। শুভ প্রসঙ্গে আঙ্গিক ঐক্য মতবাদের প্রবক্তা হলেন
ক. ম্যূর খ. ব্রেনটানো
গ. হিউম।
৪। ব্রেনটানোর স্বগত মূল্য হল
ক. আত্মগত খ. বিষয়কেন্দ্রিক
গ. মনস্তাত্তি¡ক
৫। ভালবাসা ও ঘৃণার পরিবর্তে অনুভ‚তি ও বাসনার ওপর জোর দেন
ক. ম্যূর খ. ব্রেনটানো
গ. মেইনং
সত্য/মিথ্যা
১। মূল্য শব্দটি অর্থনীতির ধারণার সাথে সম্পর্কিত- সত্য/মিথ্যা।
২। অর্থনৈতিক মূল্য দু’ধরনের : ব্যবহারিক মূল্য ও বিনিময় মূল্য- সত্য/মিথ্যা।
৩। নৈতিক মূল্য হলো উপায় হিসেবে মূল্য- সত্য/মিথ্যা।
৪। অর্থনৈতিক মূল্য হলো লক্ষ্য হিসেবে মূল্য- সত্য/মিথ্যা।
৫। সব স্বগত মূল্য নৈতিক মূল্য নয়- সত্য/মিথ্যা।
সঠিক উত্তর
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন : ১। খ ২। গ ৩। ক ৪। খ ৫। গ।
সত্য/মিথ্যা: ১। সত্য ২। সত্য ৩। মিথ্যা ৪। মিথ্যা ৫। সত্য।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]