স্টিভেনসন কিভাবে নৈতিক মতৈক্য ও মতানৈক্যের ব্যাপারটি ব্যাখ্যা করেন? আলোচনা

জে. এল. স্টিভেনশনের আবেগবাদ
এয়ারকে আবেগবাদের প্রাথমিক স্থপতি বলা চলে। এর পরিপূর্ণ রূপায়ণ ঘটে আমেরিকান দার্শনিক
জে. এল. স্টিভেনশনের হাতে। তিনি বলতে গেলে এয়ারের কট্টর আবেগবাদী চিন্তাকে একটা মার্জিত
রূপ দেন যা এই তত্তে¡র গ্রহণযোগ্যতাকে বাড়িয়ে দিয়েছে। কি করে এটা তিনি করেছেন তা বুঝা
যাবে যদি আমরা এয়ারের সঙ্গে স্টিভেনশনের কয়েকটি পার্থক্য লক্ষ্য করি:
(১) এয়ারের আবেগবাদ নৈতিক শব্দ বা বচনগুলোকে মূলত অর্থহীন মনে করে। অপরপক্ষে
স্টিভেনশন মনে করেন যে, একটি বিশেষ অর্থে এগুলো আদৌ অর্থহীন নয়।
(২) এয়ার যেখানে নৈতিক বচনের ক্ষেত্রে আবেগ ছাড়া অন্য কিছুর গুরুত্ব স্বীকার করতে নারাজ,
সেখানে স্টিভেনশন নৈতিক বচনে বর্ণনামূলক ও আবেগমূলক এই দুটো দিক রয়েছে বলে স্বীকার
করেন।
(৩) এয়ারের মতে নৈতিক মতবিরোধ মূলত তথ্যের কারণে ঘটে থাকে; কিন্তু স্টিভেনশন মনে
করেন যে, তথ্যের দিক থেকে মতৈক্য থাকলেও দুই ব্যক্তি তাৎপর্যপূর্ণভাবে নৈতিক মতবিরোধে
জড়িয়ে পড়তে পারে।
এয়ারের সঙ্গে স্টিভেনশনের এই পার্থক্যগুলোর মূলে রয়েছে আমরা প্রাত্যহিক জীবনে যেসব নৈতিক
আলোচনা করি, স্টিভেনশন কর্তৃক সেগুলোর ব্যাপক পর্যবেক্ষণ। এ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে তিনি
নৈতিক ভাষার তিনটি বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেন যেগুলো বিশ্লেষণ করলে এয়ারের সঙ্গে তার পার্থক্যসহ
তাঁর নৈতিক চিন্তার মূল বিষয়বস্তু আমাদের কাছে পরিষ্কার হয়ে যাবে। স্টিভেনসনের মতে এই বিশিষ্ট্যগুলো হচ্ছে :
(১) নৈতিক শব্দগুলোর মধ্যে এক ধরনের চুম্বকত্ব রয়েছে।
(২) বৈজ্ঞানিক বা অভিজ্ঞানির্ভর যাচাই পদ্ধতি নীতি দর্শনের জন্য যথেষ্ট নয়।
(৩) নৈতিক ভাষায় প্রকৃত মতৈক্য ও মতানৈক্য ঘটে।
নৈতিক শব্দের চুম্বকত্ব
প্রথমেই নৈতিক শব্দের চুম্বকত্বের বিষয়ে দৃষ্টি নিবদ্ধ করা যাক। চুম্বকত্ব শব্দটির সর্বজনবিদিত অর্থ
হচ্ছে আকর্ষণ করার ক্ষমতা। নৈতিক শব্দের আকর্ষণ করার ক্ষমতা রয়েছে এর দ্বারা স্টিভেনশন যা এয়ার ও স্টিভেনসনের আবেগবাদের পার্থক্য
নৈতিক ভাষার বৈশিষ্ট্য
বুঝাতে চান তা হচ্ছে, যখন কেউ এগুলোর কথা বলে তখন শুধু সে কোন ঘটনার কথাই বলে না
বরং একটা বিশেষ দিকে নিজেকে বা অন্যকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে। যেমন যখন আমরা বলি
‘ক’ কাজটি হয় ভাল’, তখন আমাদের মধ্যে ‘ক’ কাজটি সম্পন্ন করার একটা প্রবৃত্তি, মনোভাব
ইত্যাদি জাগে। স্টিভেনশন এই ব্যাপারটিকে নৈতিক অবধারণের অর্থের সঙ্গে সম্পৃক্ত মনে করেন।
কেননা তিনি এই পুস্তকের প্রথমেই যেমন আমরা দেখতে পেয়েছি ভাষার অর্থ করতে গিয়ে মনস্তাত্তি¡ক
প্রক্রিয়ার ভ‚মিকার কথা স্বীকার করেন। এ করতে গিয়ে তিনি নৈতিক অবধারণের বর্ণনামূলক ও
আবেগমূলক দুটো অর্থ থাকার কথা মেনে নেন। এ দুটো অর্থের মধ্যেই তিনি প্রভাবিত করার ক্ষমতা
দেখেন। তাঁর মতে, বর্ণনামূলক অর্থ আমাদের জ্ঞানের বৃত্তিকে (ঈড়মহরঃরড়হ) তথা বিশ্বাস, চিন্তা,
অনুমান এসবকে প্রভাবিত করে। অপরদিকে “একটি শব্দের আবেগমূলক অর্থ হচ্ছে আবেগমূলক
পরিস্থিতিতে বর্ণনা বা আখ্যা প্রদান থেকে স্বতন্ত্রমনোভাবের উদ্রেক বা তা সরাসরি প্রকাশ করার যে
ক্ষমতা শব্দটি অর্জন করে।” তাঁর মতে উভয় ধরনের অর্থই একটা নিদিষ্ট সময়ব্যাপী গড়ে ওঠে এবং
পরিবর্তিত হতে পারে। এরা প্রায়ই এক সাথে গড়ে ওঠে; অবশ্য এর অর্থ এই নয় যে, সবসময়ই
তারা তা করে। ‘গণতন্ত্র’ শব্দটি উল্লেখ করে স্টিভেনশন নৈতিক শব্দের আবেগমূলক ও বর্ণনামূলক
অর্থ কিভাবে স্বতন্ত্রউপায়ে পরিবর্তিত হয় তার উদাহরণ দেন। শব্দটির বর্ণনামূলক অর্থ হচ্ছে,
“প্রত্যক্ষ বা প্রতিনিধির মাধ্যমে জনসাধারণ কর্তৃক গঠিত সরকার”। এই অর্থটি এখন যেমন আছে
অষ্টাদশ শতকেও তেমনি ছিল, কিন্তু তখন যেখানে এর প্রতি শিক্ষিত মানুষের একটা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য
ভাব ছিল, এখন ঠিক তার উল্টোটি ঘটছে। এখন সবাই এর প্রশংসা করে। আবার এর বর্ণনামূলক
অর্থের মধ্যেও ইদানিং একটা বৈচিত্র্য পরিলক্ষিত হচ্ছে। পশ্চিমা দুনিয়া এখন এ সম্পর্কে যা ভাবে কমিউনিস্ট দেশসমূহের ভাবনা তা থেকে বেশ ভিন্ন।
উপর্যুক্ত পর্যবেক্ষণ থেকে নৈতিক শব্দের (চুম্বকত্বের জন্যে দায়ী এর বর্ণনামূলক ও আবেগমূলক
অর্থের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের) তিনটি সম্ভাবনার কথা স্টিভেনশন উল্লেখ করেছেন; যথা (১)
আবেগমূলক অর্থটি বর্ণনামূলক অর্থের ওপর নির্ভরশীল হতে পারে। (২) আবেগমূলক অর্থটি
বর্ণনামূলক অর্থ থেকে স্বনির্ভর হতে পারে এবং (৩) আবেগমূলক অর্থটি বর্ণনামূলক অর্থের ওপর
আধা-নির্ভর হতে পারে। শেষোক্ত সম্ভাবনাটির উদাহরণ পান তিনি “ঐ মানুষটি একটি শূকর” নামক
উক্তিতে। এখানে ‘শূকর’ আবেগমূলক অর্থটি এর বর্ণনামূলক অর্থ থেকে স্পষ্টত ভিন্ন।
বৈজ্ঞানিক বা অভিজ্ঞতা-নির্ভর যাচাই পদ্ধতি নীতি দর্শনের জন্য যথেষ্ট নয়
নীতিদর্শনকে যারা নীতিবিজ্ঞান বলে অভিহিত করে থাকেন স্টিভেনশন তাঁদের সঙ্গে একমত নন।
এটা এজন্য যে, বিজ্ঞানের অবধারণসমূহ শুধুই বর্ণনামূলক যেখানে নৈতিক অবধারণে তিনি
বর্ণনামূলক ও আবেগমূলক এই উভয় অর্থই আরোপ করেছেন। স্টিভেনশন নৈতিক অবধারণের দুটো
নমুনা দিয়েছেন যার মাধ্যমে এই বিষয়টি তিনি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন।
প্রথম নমুনা : “এটা হয় ভাল ” এর অর্থ হচ্ছে, “আমি এটা অনুমোদন করি, তুমিও তা কর। এখানে আমি এটা অনুমোদন করি হচ্ছে বর্ণনামূলক এবং তুমিও তা কর অনুমোদনমূলক।
দ্বিতীয় নমুনা : নৈতিক অবধারণের
নমুনা
‘এটা হয় ভাল’- এর মানে হচ্ছে, এর ক, খ, গ প্রভৃতি গুণাবলী বা সম্বন্ধ রয়েছে ... এছাড়া শুভের
একটি প্রশংসাসূচক আবেগমূলক অর্থও রয়েছে যা একে বক্তার অনুমোদন প্রকাশ করতে দেয় এবং
শ্রোতার মাঝেও অনুমোদন উদ্রেক করার প্রয়াস প্রকাশ করে।
স্টিভেনশন মনে করেন, দুটো নমুনায় আবেগমূলক অংশ দুটোকে কোন সংজ্ঞার মাধ্যমে তুলে ধরা
যায় না, কেননা আবেগমূলক অর্থশুধুমাত্র বাংলাতে ঝঁমমবংঃ পারে, আর এর ফলে একে শুধুমাত্র
এর বৈশিষ্ট্য দিয়ে বর্ণনা করা চলে যা সংজ্ঞা নয়। এই বৈশিষ্ট্যায়নের প্রকৃষ্ট একটি উদাহরণ তিনি
দেন, নিগার (ঘরমমবৎ) শব্দটি দ্বারা। এর বর্ণনাগত অর্থ নিগ্রো। কিন্তু নিগ্রোর মধ্যে যেমন শুধু একটি
জাতিগত পরিচয়ের ব্যাপার রয়েছে নিগার শব্দটির মধ্যে তারও অতিরিক্ত রয়েছে কিছু ঘৃণামিশ্রিত
অবজ্ঞার ভাব। এটি আবেগমূলক এবং কেবল বৈশিষ্ট্যায়নের সাহায্যেই এর পরিচয় দেয়া যায়, যেমন
অভিধানে দেওয়া হয় : নিগার = নিগ্রো এখন সাধারণত ঘৃণার অর্থে ব্যবহৃত।
নৈতিক ভাষার মতৈক্য ও মতানৈক্য
একটু আগেই আমরা নৈতিক ভাষায় মতানৈক্য সম্পর্কিত আলোচনায় দেখেছি যে, এয়ারের মতে
মূল্য সম্পর্কিত কোন বাদানুবাদ হয় না, তাঁর মতে সম্পূর্ণ ব্যাপারটিই ঘটনা সম্পর্কিত। স্টিভেনশন
বিষয়টিকে এত সহজ মনে করেননি। তাঁর মতে যে কোন নৈতিক মতৈক্য বা মতানৈক্যে দুটো বিষয়
থাকে- একটি বিশ্বাস, অপরটি মনোভাব বা দৃষ্টিভঙ্গি। এ দুটো বিষয়কে বিচারে না এনে নৈতিক
মতানৈক্য সম্পর্কিত কোন আলোচনাই পূর্ণাঙ্গ হতে পারে না। আমাদের একটি অতি পরিচিত
উদাহরণ দিয়ে স্টিভেনশনের বক্তব্যটির ব্যাখ্যা দেয়া যেতে পারে।
এদেশে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি চালু হওয়ার আগে এটা ধর্ম ও নীতিসম্মত কিনা? এ ব্যাপারে প্রশ্ন
ওঠেছিল। অনেক চিন্তাবিদ ও সাধারণ মানুষ একে নীতিসম্মত নয় বলে মনে করতেন এবং এর
বিরুদ্ধে বিভিন্ন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করতেন। যেমন কেউ কেউ মনে করতেন, এ পদ্ধতি চালু হলে
বিরাট সামাজিক ধ্বংস নেমে আসবে, সমাজ ব্যভিচারে ভরে যাবে। অন্যরা আবার মনে করতেন
এটা খোদার ওপর দ্রোহকারী ছাড়া আর কিছুই নয়। এসব যুক্তির বিরুদ্ধে প্রচুর লেখালেখি হয়েছে
এবং ব্যাপকভাবে এখন মনে করা হচ্ছে যে, এসব যুক্তি খুব একটা সু-যুক্তি নয়। কিন্তু তদ্সত্তে¡ও
আমাদের সমাজে আজো অনেকেই জন্ম নিয়ন্ত্রণকে সুনজরে দেখছেন না। তাঁরা এখনো মনে করেন
যে, ব্যাপারটা ঠিক নয়। তাঁদের এই মতানৈক্যকে আমরা মনোভাব সংক্রান্তমতানৈক্য বলতে পারি
এবং এও বলতে পারি যে, নিছক বিশ্বাসগত ভুল সংশোধনের মাধ্যমে তাঁদের মত পাল্টানো যাবে
না। স্টিভেনশনের নিজের একটি উদাহরণ এ প্রসঙ্গে স্মরণ করা যেতে পারে। একজন জন-হিতৈষী
লোক যে কোন একটা ভাল কাজের জন্য একটি ট্রাস্টি বোর্ডের হাতে তাঁর সম্পদ দিয়ে গেছেন।
বোর্ডের লোকজন সিদ্ধান্তনিতে পারছেন না এ সম্পদ দিয়ে তাঁরা কি করবেন। একদল চান গরীব
লোকদের জন্য একটি হাসপাতাল করতে অপর দল চান একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে। এখানে
দু‘দলের মধ্যে মনোভাবগত বিরোধ দেখা দিয়েছে বলে আমরা ধরে নিতে পারি এবং যতক্ষণ না
একদল অপর দলের মনোভাব গ্রহণ করবেন ততক্ষণ এ বিরোধের নিষ্পত্তি হবে না।
মানুষের মনোভাবে কিভাবে পরিবর্তন আনা যায়? স্টিভেনশন একটি উপায়ের কথা নির্দেশ করেছেন
যার মাধ্যমে তা সম্ভব আর তা হচ্ছে প্ররোচনামূলক সংজ্ঞা। এর অর্থ হচ্ছে কোন কিছুকে এমনভাবে
সংজ্ঞায়িত করা যাতে করে তার বর্ণনামূলক অর্থটি অধিকতর দ্ব্যর্থতামুক্ত হয় এবং তদ্সত্তে¡ও এর নৈতিক ভাষার মতৈক্য ও মতানৈক্য
আবেগমূলক অর্থটি বজায় থাকে। স্টিভেনশন একটি দ্ব্যর্থবোধক শব্দ ‘সংস্কৃতির’ (ঈঁষঃঁৎব) সাহায্যে
প্ররোচনামূলক সংজ্ঞার ব্যাখ্যা দেন। ক ও খ এর মধ্যে তর্ক চলছে গ সংস্কৃতিবান কিনা তা নিয়ে। ক
এর যুক্তি, লোকটি সংস্কৃতিবান নয়, কেননা সে অর্ধ শিক্ষিত, চিন্তা-ভাবনা প্রকাশে তত পারঙ্গম নয়
এবং সূ² যুক্তি প্রদানেও অক্ষম। খ বলছে, এসবই সত্য, কিন্তু গ একজন সংস্কৃতিবান লোক এই
অর্থে যে, তার রয়েছে কল্পনাময় সংবেদনশীলতা ও সৃষ্টিশীলতা যা অধিকতর শিক্ষিত অনেক মানুষের
মধ্যেই নেই, আর এসবই তো প্রকৃত সংস্কৃতির পরিচায়ক। দেখা যাচ্ছে এখানে খ সংস্কৃতির একটি
ন্যূতন সংজ্ঞা দিচ্ছে এবং একই সাথে ক-কে তার প্রদত্ত সংজ্ঞা থেকে সরিয়ে আনার জন্য প্ররোচিত
করছে। ক যদি খ এর সংজ্ঞা গ্রহণ করে অর্থাৎ যদি খ এর প্ররোচনা সফল হয়, ক সংস্কৃতি সম্পর্কে
তার মনোভাব বদলাবে।
মূল্যায়ন
আবেগবাদ সম্পর্কে সবচেয়ে বড় অভিযোগ হচ্ছে, এটা আমাদের সনাতন মূল্যবোধে ধ্বস নামায়।
বলা হয়ে থাকে প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধোত্তরকালে ইউরোপীয় জনজীবনে যে নৈতিক অধঃপতন
লক্ষ্য করা যায় তার পেছনে এই ধরনের নীতি দর্শনের অবদান খুবই বেশি। নৈতিকতা যদি নিছক
মানুষের আবেগের ব্যাপারই হয় এবং নৈতিক অবধারণগুলো যদি হয় অর্থহীন, তাহলে এ ধরনের
পরিণামই আশা করা যায়। বিশেষ করে এয়ার তথা যৌক্তিক প্রত্যক্ষবাদীদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ
সংগত কারণেই আনা যায়।
স্টিভেনশনের মতবাদও অভিযোগমুক্ত নয়। এর বিরুদ্ধে একটি বড় অভিযোগ হচ্ছে এ মনোভাব
পরিবর্তনের ব্যাপারে প্ররোচনামূলক সংজ্ঞার কথা বলে নৈতিকতাকে প্রচার, বাগ্মিতা, মিথ্যাভাষণ ও
জোর-জবরদস্তির সাথে একই কাতারে দাঁড় করিয়েছেন। এতে করে নৈতিকতার গুরুত্ব খাটো
হয়েছে।
এসব দোষ ত্রæটি সত্তে¡ও একথা স্বীকার করতেই হবে, আবেগবাদে কিছু সত্যতা রয়েছে। নৈতিকতার
সঙ্গে যে একটা আবেগের ব্যাপার জড়িত রয়েছে তা ম্যূরও তাঁর শেষজীবনে স্বীকার করেছেন।
স্টিভেনশনের এই মতবাদও অত্যন্তগুরুত্বপূর্ণ যে, নৈতিক অবধারণে বর্ণনামূলক এবং আবেগমূলক
দুটো অর্থই রয়েছে। এ নৈতিক চিন্তার ক্ষেত্রে একটি ভারসাম্য এনে দিয়েছে। আমরা দেখব, এই
তত্ত¡ পরবর্তীতে ব্যবস্থাবাদের প্রবর্তক আর. এম. হেয়ারকে কিভাবে প্রভাবিত করেছে। স্টিভেনসনের মতের সমালোচনা আবেগের গুরুত্ব
রচনামূলক প্রশ্ন
১। এয়ার ও স্টিভেনসনের আবেগবাদের মাঝে পার্থক্য করুন।
২। স্টিভেনসন কিভাবে নৈতিক মতৈক্য ও মতানৈক্যের ব্যাপারটি ব্যাখ্যা করেন? আলোচনা
করুন।
৩। স্টিভেনশনের নৈতিক অবধারণের দুটি নমুনা ব্যাখ্যা করুন। তাঁর প্ররোচনামূলক সংজ্ঞার
মতামতটি আলোচনা করুন।
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন
সঠিক উত্তর লিখুন
১। ‘বর্ণনা ও আবেগ উভয়ই নৈতিকতার দুটি দিক’ এই বক্তব্য
ক. এয়ারের খ. স্টিভেনশনের
গ. মিলের।
২। স্টিভেনশন একজন
ক. কট্টর আবেগবাদী খ. মার্জিত আবেগবাদী
গ. বিরল আবেগবাদী।
৩। স্টিভেনশন মনে করেন নীতি দর্শনের জন্য বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি
ক. প্রয়োজনীয় খ. যথেষ্ট নয়
গ. দুটোর কোনটিই নয়।
৪। স্টিভেনশনের মতে শব্দের আবেগমূলক অর্থ নিহিত থাকে মানুষের
ক. দুঃখবোধে খ. মনোভাবে
গ. আকাক্সক্ষায়
৫। গণতন্ত্রের আবেগমূলক অর্থ আগের যুগে যেমন ছিল এখন
ক. তার চেয়ে বদলে গেছে খ. তেমনই রয়েছে
গ. তেমন রয়েছে কিন্তু তার বর্ণনায় পরিবর্তন হয়েছে।
সত্য/মিথ্যা
১। ‘এয়ারের মতে নৈতিক শব্দ অর্থহীন’- সত্য/মিথ্যা।
২। স্টিভেনশনের ‘নৈতিক বচনের বর্ণনার পাশে আবেগের স্থান নেই’- সত্য/মিথ্যা।
৩। স্টিভেনসন মনে করেন বিশ্বাসের মতো মনোভাবের ক্ষেত্রেও ব্যক্তি মতবিরোধে জড়িয়ে
পড়তে পারেন- সত্য/মিথ্যা।
৪। ‘নৈতিক শব্দের এক ধরনের চুম্বকত্ব রয়েছে’- স্টিভেনসন- সত্য/মিথ্যা।
৫। ‘এয়ার প্ররোচনামূলক মতবাদের প্রবক্তা’- সত্য/মিথ্যা।
৬। ‘স্টিভেনসন আবেগবাদের মাঝে নতুন নির্দেশনা প্রদান করেন’- সত্য/মিথ্যা।
সঠিক উত্তর
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন : ১। খ ২। খ ৩। খ ৪। খ ৫। ক।
সত্য/মিথ্যা: ১। সত্য ২। মিথ্যা ৩। সত্য ৪। সত্য ৫। মিথ্যা ৬। মিথ্যা।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]