পদ কাকে বলে? উদাহরণ দিন। নিরপেক্ষ ও সাপেক্ষ পদের সংজ্ঞা ও উদাহরণ দিন।

বাংলা ‘পদ’ শব্দটির ইংরেজি প্রতিশব্দ ইংরেজি ঞবৎস কথাটি এসেছে ল্যাটিন শব্দ
থেকে। শব্দের অর্থ হলো প্রান্তবা সীমা। একটি যুক্তিবাক্যের শুরু ও শেষ
প্রান্তেউদ্দেশ্য ও বিধেয় আকারে দু’টি পদ অবস্থান করে বলে এদের এরূপ নামকরণ করা হয়েছে।
সুতরাং উৎপত্তিগত অর্থে পদ কথাটির অর্থ বলতে কোন যুক্তিবাক্যের দুই প্রান্তেঅবস্থিত শব্দ বা শব্দসমূহ > বুঝায়।
পদের সংজ্ঞা
যে শব্দ বা শব্দসমষ্টি কোন যুক্তিবাক্যের উদ্দেশ্য বা বিধেয়রূপে ব্যবহৃত হতে পারে তাকে পদ বলে।
যেমন ‘বইটি হয় লাল’ এ যুক্তি বাক্যটির ‘বই’ এবং ‘লাল’ শব্দ দু’টি পদ। কারণ এ শব্দ দু’টি
যুক্তিবাক্যটিতে উদ্দেশ্য ও বিধেয়রূপে ব্যবহৃত হয়েছে। পদ কথাটি যুক্তিবিদ্যায় দু’টি অর্থে ব্যবহৃত হয়:
(১) ব্যাপক ও (২) সংকীর্ণ অর্থে।
ব্যাপক অর্থে
ব্যাপক অর্থে পদ বলতে সেই সমস্তশব্দ বা শব্দ সমষ্টিকে বুঝায় যা কোন যুক্তিবাক্যের উদ্দেশ্য বা
বিধেয়রূপে ব্যবহৃত হওয়ার যোগ্য। যেমন কলম, মানুষ, সৎ, ঢাকা, স্কুল, করিম ইত্যাদি।
সংকীর্ণ অর্থে
সংকীর্ণ অর্থেপদ বলতে সেই সমস্তশব্দ বা শব্দসমষ্টিকে বুঝায় যা কোন যুক্তিবাক্যের উদ্দেশ্য বা
বিধেয়রূপে ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন ‘করিম হয় ঢাকা কলেজের ছাত্র’। এ যুক্তিবাক্যে ‘করিম’ শব্দটি
উদ্দেশ্যরূপে ব্যবহৃত হয়েছে; সুতরাং এটি একটি পদ এবং ‘ঢাকা কলেজের ছাত্র’ শব্দসমষ্টি বিধেয়রূপে
ব্যবহৃত হয়েছে তাই এই শব্দসমষ্টি একটি পদ।
পদের শ্রেণীবিভাগ
এখন আমরা পদের শ্রেণীবিভাগ নিয়ে আলোচনা করব। বিভিন্ন সূত্রের ভিত্তিতে পদসমূহকে বিভিন্ন ভাগে
ভাগ করা হয়েছে। নিæে এগুলো তুলে ধরা হলো।
গঠনের ভিত্তিতে
গঠনের ভিত্তিতে পদকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে ১. সরল পদ ও ২. যৌগিক পদ।
সরল ও যৌগিক পদ
যে পদ একটি মাত্র শব্দ নিয়ে গঠিত তাকে সরল পদ বলে। যেমন করিম, বই, কলম ইত্যাদি। এই
পদগুলো একটিমাত্র শব্দ দিয়ে গঠিত।
যে পদ একাধিক শব্দ নিয়ে গঠিত তাকে যৌগিক পদ বলে। যেমন- বাংলাদেশের রাজধানী, করিমের
বাবা। এই পদগুলো একাধিক শব্দ নিয়ে গঠিত।
অর্থের ভিত্তিতে
অর্থের ভিত্তিতে পদকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে ১. একার্থক পদ ও ২. অনেকার্থক পদ।
একার্থক ও অনেকার্থক পদ
যে পদের একটি মাত্র অর্থ থাকে তাকে একার্থক পদ বলে। যেমন মানুষ, ফুল ইত্যাদি।
যে পদের একাধিক অর্থ থাকে তাকে অনেকার্থক পদ বলে। যেমন- গজ, দন্ড ইত্যাদি। ‘গজ’ এর এক
অর্থে তিন ফুট, অন্য অর্থে হাতি। আবার দন্ডের এক অর্থ লাঠি, অন্য অর্থে শাস্তি।
পরিমাণের ভিত্তিতে
পরিমাণের ভিত্তিতে পদকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে ১. বিশিষ্ট পদ ও ২. সার্বিক বা সামান্য পদ।
বিশিষ্ট ও সার্বিক পদ
যে পদ একটি নির্দিষ্ট প্রাণী বা বস্তুকে নির্দেশ করে তাকে বিশিষ্ট পদ বলে। যেমন লোকটি, কলমটি,
বাংলাদেশের বর্তমান রাষ্ট্রপতি। বিশিষ্ট পদ আবার দু’ভাগে বিভক্ত। যেমন ক. অর্থপূর্ণ বিশিষ্ট পদ ও খ.
অর্থহীন বিশিষ্ট পদ।
যে বিশিষ্ট পদ প্রত্যক্ষভাবে কোন ব্যক্তি বা বস্তুকে নির্দেশ না করে তার অর্থের মাধ্যমে পরোক্ষভাবে
কোন ব্যক্তি বা বস্তুকে নির্দেশ করে তাকে অর্থপূর্ণবিশিষ্ট পদ বলে। যেমন বিশ্বের বৃহত্তম নদী, উচচতম
পর্বত, দীর্ঘতম সেতু ইত্যাদি।
যে বিশিষ্ট পদে নির্দেশিত ব্যক্তি বা বস্তুর কোন গুণের সাথে তার অর্থের কোন মিল থাকে না তাকে
অর্থহীন বিশিষ্ট পদ বলে। যেমন রাণীগঞ্জ, সুনয়না, মানিকগঞ্জ ইত্যাদি। কারণ এই পদগুলো এমন
কোন অর্থ প্রকাশ করে না, যার সাথে নির্দেশিত ব্যক্তি বা বস্তুর মিল খুঁজে পাওয়া যায়। এই পদগুলো
অর্থহীন প্রতীকবিশেষ।
যে পদ কোন শ্রেণীর অনির্দিষ্ট সংখ্যক বস্তু বা ব্যক্তির প্রত্যেকটিকে বুঝায় তাকে সার্বিক বা সামান্য পদ
বলে। যেমন মানুষ, কলম, বই ইত্যাদি। কারণ মানুষ বলতে কোন একজন মানুষকে বুঝায় না, মানুষ
শ্রেণীর সকলকে বুঝায়।
সামষ্টিকতার ভিত্তিতে
সামষ্টিকতার ভিত্তিতে পদসমূহকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে ১. সমষ্টিবাচক পদ ও ২. অসমষ্টিবাচক
পদ।
সমষ্টিবাচক ও অসমষ্টিবাচক পদ
যে পদ একই গুণস¤পন্ন একটি শ্রেণীর বিভিন্ন ব্যক্তি বা বস্তুকে না বুঝিয়ে একত্রে ঐ শ্রেণীকে বুঝায়
তাকে সমষ্টিবাচক পদ বলে। যেমন সেনাবাহিনী, মুক্তিবাহিনী, গ্রন্থাগার ইত্যাদি। কারণ এই পদগুলো
পৃথক পৃথক কোন ব্যক্তি বা বস্তুকে না বুঝিয়ে ঐ ব্যক্তি বা বস্তুর সমষ্টিকে বুঝাচেছ। সমষ্টিবাচক পদ
আবার দু’ধরনের ১. বিশেষ সমষ্টিবাচক পদ ও ২. সার্বিক সমষ্টিবাচক পদ।
যে সমষ্টিবাচক পদ কোন নির্দিষ্ট বা একটি মাত্র সমষ্টিকে বুঝায় তাকে বিশিষ্ট সমষ্টিবাচক পদ বলে।
যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার, হরগঙ্গা কলেজের ছাত্র সমাজ ইত্যাদি।
যে সমষ্টিবাচক পদ কোন অনির্দিষ্ট সংখ্যক সমষ্টিকে বুঝায় তাকে সার্বিক সমষ্টিবাচক পদ বলে।
যেমন- সেনাদল, গ্রন্থাগার, ছাত্রসমাজ ইত্যাদি।
যে পদ কোন ব্যক্তি বা বস্তুর পুরো শ্রেণীকে না বুঝিয়ে ঐ শ্রেণীর অন্তর্গত ব্যক্তি বা বস্তুকে পৃথক
পৃথকভাবে বুঝায় তাকে অসমষ্টিবাচক পদ বলে। যেমন একজন সৈন্য, একজন ছাত্র, একটি বই
ইত্যাদি।
মূর্ততার ভিত্তিতে
মূর্ততার ভিত্তিতে পদকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে ১. বস্তুবাচক পদ ও ২. গুণবাচক পদ।
বস্তুবাচক ও গুণবাচক পদ
যে পদ পৃথিবীর কোন অস্তিত্বশীল পদার্থকে বুঝায় তাকে বস্তুবাচক পদ বলে’ অথবা যে পদ কোন ব্যক্তি
বা বস্তুর নাম বুঝায় তাকে বস্তুবাচক পদ বলে। যেমন করিম, টেবিল, বই ইত্যাদি। বস্তুবাচক পদ বিশিষ্ট ও সার্বিক হতে পারে।
যে পদ কোন ব্যক্তি বা বস্তুর নাম না বুঝিয়ে ঐ ব্যক্তি বা বস্তুর গুণের উল্লেখ করে তাকে গুণবাচক পদ
বলে। যেমন সততা, মনুষ্যত্ব, øেহ ইত্যাদি।
গুণের ভিত্তিতে
গুণের ভিত্তিতে পদকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে ১. ইতিবাচক ২. নেতিবাচক ও ৩. ব্যাহতার্থক
পদ।
ইতিবাচক, নেতিবাচক ও ব্যাহতার্থক পদ
যে পদ কোন বস্তু বা গুণের উপস্থিতিকে বুঝায় তাকে ইতিবাচক বা সদর্থক পদ বলে। যেমন মানুষ, সৎ,
টেবিল ইত্যাদি। এই পদগুলো দ্বারা গুণ ও বস্তুর উপস্থিতি বুঝাচেছ।
যে পদ কোন বস্তু বা গুণের অনুপস্থিতি বা অভাব বুঝায় তাকে নেতিবাচক বা নঞর্থক পদ বলে। যেমন
অমানুষ, অসৎ, বোকা ইত্যাদি।
যে পদ এমন গুণ বুঝায় যা কোন বস্তুর মধ্যে স্বাভাবিকভাবে থাকে কিন্তু বর্তমানে নেই তাকে ব্যাহতার্থক পদ বলে। যেমন বোবা, কালা, অন্ধ ইত্যাদি।
শর্তের ভিত্তিতে
শর্তের ভিত্তিতে পদকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে ১. নিরপেক্ষ ও ২. সাপেক্ষ পদ।
নিরপেক্ষ ও সাপেক্ষ পদ
যে পদের অর্থ অন্য কোন পদের সাহায্য ছাড়াই বুঝা যায় তাকে নিরপেক্ষ পদ বলে। যেমন গাছ, বই, মানুষ ইত্যাদি।
যে পদের অর্থ অন্য পদের সাহায্য ছাড়া বুঝা যায় না তাকে সাপেক্ষ পদ বলে। সাপেক্ষ পদের অর্থ অন্য
পদের ওপর নির্ভর করে। যেমন ‘শিক্ষক’। এই পদটির অর্থ অন্য আর একটি পদ ‘ছাত্র’ এর ওপর নির্ভর
করে। কারণ ছাত্র ছাড়া শিক্ষক হতে পারে না, আবার শিক্ষক ছাড়া ছাত্র হতে পারে না। অনুরূপভাবে
ভাই-বোন, স্বামী-স্ত্রী ইত্যাদি সাপেক্ষ পদ।
নির্দিষ্টতার ভিত্তিতে
নির্দিষ্টতার ভিত্তিতে পদকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে ১. নির্দিষ্ট ও ২. অনির্দিষ্ট পদ।
নির্দিষ্ট ও অনির্দিষ্ট পদ
যে পদ নির্দিষ্টভাবে কোন ব্যক্তি, বস্তু বা শ্রেণীকে বুঝায় তাকে নির্দিষ্ট পদ বলে। যেমন- এই কলমটি,
সকল বই, করিম ইত্যাদি।
যে পদ নির্দিষ্টভাবে কোন ব্যক্তি, বস্তু বা শ্রেণীকে বুঝায় না তাকে অনির্দিষ্ট পদ বলে। যেমন একটি বই,
কয়েকটি চেয়ার, কয়েকজন মানুষ ইত্যাদি।
গুণ ও পরিমাণের ভিত্তিতে
গুণ ও পরিমাণের ভিত্তিতে পদকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে ১. জাত্যর্থক ও ২. অজাত্যর্থক পদ।
জাত্যর্থক ও অজাত্যর্থক পদ
যে পদের ব্যক্তার্থ ও জাত্যর্থ উভয়ই আছে তাকে জাত্যর্থক পদ বলে। অর্থাৎ যে পদ কোন বস্তু এবং
তার আবশ্যিক গুণ বা গুণাবলীকে নির্দেশ করে তাকে জাত্যর্থক পদ বলে। যেমন মানুষ পদটি
জাত্যর্থক। কারণ মানুষ পদটি তার ব্যক্তার্থ (সব মানুষ) ও জাত্যর্থ (বুদ্ধিবৃত্তি ও জীববৃত্তি) উভয়কে বুঝায়।
যে পদের শুধু ব্যক্তার্থ অথবা শুধু জাত্যর্থ থাকে তাকে অজাত্যর্থক পদ বলে। অর্থাৎ এ সব পদের
ব্যক্তার্থ ও জাত্যর্থ দুটো এক সঙ্গে থাকে না। অজাত্যর্থক পদ কোন বস্তু বা গুণকে বুঝায়। যেমন
‘সততা’ পদটি অজাত্যর্থক। কারণ এ পদ শুধু একটি গুণকে নির্দেশ করে, কোন ব্যক্তি বা বস্তুকে নির্দেশ
করে না। আবার ‘রহিম’ পদটি অজাত্যর্থক। কারণ পদটি শুধু ব্যক্তিকে বুঝায়, কোন গুণকে বুঝায় না।
সারাংশ
আমরা এই পাঠশেষে জানতে পারলাম যে, কোন শব্দ বা শব্দসমষ্টি যখন কোন যুক্তিবাক্যের উদ্দেশ্য বা
বিধেয় হিসেবে ব্যবহৃত হয় তখন তাকে পদ বলে। পদকে বিভিন্ন সূত্রের ভিত্তিতে যে ভিন্ন ভিন্নভাবে
ভাগ করা হয় তা আমরা ছকের মাধ্যমে খুব সহজে উল্লেখ করতে পারি।
পদ
গঠন অর্থ পরিমাণ সমষ্টি মূর্ততা গুণ শর্ত নির্দিষ্টতা গুণ ও পরিমাণ
সরল যৌগিক
একার্থক অনেকার্থক বিশিষ্ট সার্বিক
সমষ্টিবাচক অসমষ্টিবাচক
বস্তুবাচক গুণবাচক
ইতিবাচক নেতিবাচক ব্যাহতার্থক
নিরপেক্ষ সাপেক্ষ
নির্দিষ্ট অনির্দিষ্ট
জাত্যর্থক অজাত্যর্থক
রচনামূলক প্রশ্ন
১। পদ কাকে বলে? পদের শ্রেণীবিভাগ উল্লেখ করুন।
সংক্ষিপ্ত উত্তরমূলক প্রশ্ন
১। পদ কাকে বলে? উদাহরণ দিন।
২। নিরপেক্ষ ও সাপেক্ষ পদের সংজ্ঞা ও উদাহরণ দিন।
৩। গুণ ও পরিমাণ অনুসারে পদকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়?
বহু নির্বাচনী প্রশ্ন
সঠিক উত্তর লিখুন
১। কোনটি পদ নয়
ক) মানুষ খ) মরণশীল
গ) টেবিল ঘ) হয়।
২। গুণের ভিত্তিতে পদকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়?
ক) দু’ভাগে খ) তিন ভাগে
গ) চার ভাগে ঘ) পাঁচ ভাগে।
৩। ‘মানুষ’ শব্দটি কোন শ্রেণীর পদ?
ক) সরল খ) যৌগিক
গ) অনেকার্থক ঘ) সরল ও একার্থক।
সঠিক উত্তর
১। ঘ) হয়। ২। খ) তিন ভাগে ৩। ঘ) সরল ও একার্থক।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]