রাজনৈতিক ক্রমবিকাশ (১৯৫২-৫৮)
১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তানের জন্মলাভের পর থেকেই পাকিস্তানী শাসক শ্রেণীর বৈষম্যমূলক নীতি, অগণতান্ত্রিক
আচরণ এবং রাজনীতিতে ইসলাম ধর্মের অপপ্রয়োগের কারণে পূর্ব পাকিস্তানের জনমনে প্রতিবাদ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
১৯৫২ সালে মহান ভাষা আন্দোলনের মধ্যদিয়ে পৃথক জাতিসত্তার ভিত্তিতে আন্দোলন দানা বাঁধতে থাকে। তারই চ‚ড়ান্ত
পরিণতিতে ১৯৭১ সালে এক গৌরবদীপ্ত মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে সংগ্রামী জনতা প্রতিষ্ঠিত করেছে স্বাধীন-স্বার্বভৌম
বাংলাদেশ। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ক্রমবিকাশের পেছনে সক্রিয় ছিল সর্বজনবিদিত সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও
রাজনৈতিক কারণ, যা অবিচ্ছেদ্যভাবে বাঙালি জাতীয়তাবাদকে পরিপুষ্ট করেছিল। ইতিহাসের অনিবার্য ধারায়
জাতীয়তাবাদী-আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাঙালি জাতি পাকিস্তানী-শাসকচক্রের প্রতিটি ষড়যন্ত্রব্যর্থ করে দিতে সক্ষম
হয়েছিল। উল্লেখ্য যে, আমাদের রাজনৈতিক ক্রমবিকাশের প্রতিটি ধাপে প্রেরণা যুগিয়েছে মহান ভাষা-আন্দোলন। নি¤েœ
রাজনৈতিক ক্রমবিকাশ (১৯৫২-৫৮) শীর্ষক ইউনিটের পাঠগুলো নিয়ে আলোচনা করা হল:
ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস
বাঙ্গালির ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস এক রক্তরঞ্জিত ইতিহাস। ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাঙ্গালি জাতির
জাতীয়তাবাদী আন্দোলন শুরু হয়। দীর্ঘ দু’শত বছর শাসনের পর এ উপমহাদেশে ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটে। ১৯৪৭
সালে কেবলমাত্র ধর্মীয় চেতনাকে পুঁজি করে পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রটির সৃষ্টি হয়। পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকে পাঞ্জাব ভিত্তিক
পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী বাঙালি জাতিকে সুনজরে দেখে নি। বাঙালি জাতির উপর আধিপত্য কায়েমের বিশেষ পাঁয়তারা
চলছিল। তারা চেয়েছিল বাঙালি জাতির ভাষা ও সংস্কৃতিকে ধ্বংস করে দিতে। শুধু সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে নয়, অন্যান্য
ক্ষেত্রেও তারা বিমাতা সুলভ আচরণ করছিল। রাষ্ট্রভাষার দাবিতে তৎকালীন ‘তমদ্দুন মজলিস’ সুপরিকল্পিতভাবে
সুসংগঠিত আন্দোলন শুরু করে। ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তান সৃষ্টির মাত্র ১৭ দিন পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ
অধ্যাপক আবুল কাশেম-এর নেতৃত্বে ১ সেপ্টেম্বর ৩ সদস্য বিশিষ্ট তমদ্দুন মজলিস গঠিত হয়। এ সংগঠনের অন্য নেতৃদ্বয়
ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও শামসুল আলম। সূচনালগ্ন থেকেই এ সংগঠনটি বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষা করার দাবি উত্থাপন
করেছিল। ১৯৪৮ সালে ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত পাকিস্তান গণপরিষদে বাংলা ভাষাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবি উত্থাপন
করেছিলেন।
পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার সিদ্ধান্তনিয়েছিল। এ সিদ্ধান্তজোর
করে বাঙালিদের উপর চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল। অথচ উর্দু ভাষাভাষী লোকের সংখ্যা ছিল সমগ্র পাকিস্তানে অনূর্ধ্ব
শতকরা ৬.০০ ভাগ। পক্ষান্তরে, বাংলা ভাষাভাষী লোকের সংখ্যা ছিল শতকরা ৫৪.৬ জন। তৎকালীন পাকিস্তানী বিভিন্ন
ভাষাভাষীর পরিসংখ্যান ছিল নি¤œরূপ:-
ভাষা শতকরা হার
বাংলা ৫৪.৬
উর্দু ৬.০
পাঞ্জাবী ৬.১
পশতু ২৭.১
সিন্ধি ৪.৮
ইংরেজী ১.৪
সূত্র: ১৯৫১ সালের আদমশুমারী
১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ গঠিত পূর্ব বাংলা মুসলিম ছাত্রলীগ এর ইশতিহারে রাষ্ট্র ভাষার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ জানান
হয়। এতে সতর্ক বাণী উচ্চারণ করা হয়। কিন্তু ১৯৪৮ সালের ২১ মার্চ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকা সফরে এসে ঢাকার
রমনা রেসকোর্সের এক জনসভায় ঘোষণা করেন,
অর্থাৎ উর্দু এবং উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। এ ঘোষণার মাত্র তিন দিন পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
কার্জন হল এলাকায় এক সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এ সমাবর্তন উৎসবে তিনি আবার ঐ ঘোষণার পুনরাবৃত্তি করেন।
উপস্থিত ছাত্ররা খোলাখুলী ভাবে এ অগণতান্ত্রিক ও অন্যায় ঘোষণার প্রতিবাদ জানায়। ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ ভাষা
আন্দোলনের দাবিতে দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। পাকিস্তানী স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠী পুলিশ বাহিনীকে
ছাত্র-জনতার উপর লেলিয়ে দেয়। পুলিশ ছাত্র মিছিলের উপর লাঠি চার্জ করে। ধীরে ধীরে আন্দোলন পরিপক্কতার আকার
ধারণ করে। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রæয়ারি “রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই” ¯েøাগানে ঢাকার রাজপথ মুখরিত হয়। শান্তিপূর্ণ মিছিলের
উপর তাবেদার পুলিশ বাহিনী গুলি চালায়। ফলে পুলিশের গুলিতে নিহত হয় বরকত, সালাম, জব্বার ও রফিক এবং
নাম না জানা আরও অনেকে। ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে সারা দেশে প্রচন্ড বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। গণ-বিস্ফোরণের
কাছে পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠী মাথা নত করতে বাধ্য হয়। তারা বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষারূপে মেনে নিতে বাধ্য হন।
অবশেষে ১৯৫৬ সালের পাকিস্তানের প্রথম সংবিধানে বাংলাকে উর্দুর পাশাপাশি রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
জাতীয়তাবাদ বিকাশে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব
ভাষা আন্দোলন মূলত একটি সাংস্কৃতিক আন্দোলন। সাংস্কৃতিক আন্দোলন হলেও বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে
এর গুরুত্ব অপরিসীম ও সুদূরপ্রসারী। এ আন্দোলন প্রকৃতপক্ষে বাঙালি জাতীয়তাবাদ বিকাশে তাৎপর্যপূর্ণ ভ‚মিকা রাখে।
এ আন্দোলনের সাথে মিশে আছে শহীদের রক্ত। এ আন্দোলন কেড়ে নিয়েছে বহু বাঙালির প্রাণ। বাঙালি জাতীয়তাবাদ
বিকাশে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন ভ‚মিকা নি¤œরূপ:
(১) জাতীয় চেতনা সৃষ্টি: জাতীয় চেতনা সৃষ্টিতে ভাষা আন্দোলনের গুরুত অপরিসীম। এ আন্দোলন বাঙালি জাতির
ভাষা ভিত্তিক জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটায়। এ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি নিজেদের স্বতন্ত্ররাজনৈতিক
স্বাধীকার স¤পর্কে সচেতন হয়। নিপীড়িত ও গর্বিত বাঙালি জাতির মনে রাজনৈতিক সচেতনতা তীব্র থেকে
তীব্রতর হতে শুরু করে।
(২) দাবি আদায়: বাঙালিদের দাবি আদায়ের একটি বিশেষ পদক্ষেপ হল এ আন্দোলন। ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে
বাঙালি জাতি বহু ত্যাগের বিনিময়ে জাতীয়তাবাদী দাবি আদায়ের শিক্ষা পায়। তারা ধীরে ধীরে দাবি আদায়ের
ক্ষেত্রে সোচ্চার ভ‚মিকা পালন করে। তারা আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার কায়েমের সংগ্রাম চালিয়ে যাবার লক্ষ্যে দৃঢ় সংকল্প
পোষণ করে।
(৩) একাত্বতা ঘোষণা: একাত্বতা ঘোষণায় ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। এ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বিশেষ
করে বুদ্ধিজীবী সমাজ জনগণের সাথে একাত্বতা ঘোষণা করে। ছাত্র, কৃষক, জনতা, শ্রমিক ও বুদ্ধিজীবী সকলে
একই কাতারে শামিল হয়। ফলে সকলের মধ্যে জাতীয়তাবাদী বন্ধন সৃষ্টি হয়। আর এ একাত্বতাবোধ
জাতীয়তাবাদ বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে।
(৪) শহীদ দিবসের মর্যাদা: শহীদ দিবসের মর্যাদা ভাষা আন্দোলনের একটি সফল দিক। ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে
বাঙালি জাতি শহীদ দিবসের মর্যাদা উপলব্ধি করতে শিখেছে। এ উপলব্ধি বাঙালি জাতীয়তাবাদ বিকাশে কার্যকর
ভ‚মিকা পালন করেছে।
(৫) সাম্প্রদায়িকতা রোধ: সাম্প্রদায়িকতা রোধকল্পে ভাষা আন্দোলনের অবদান কম নয়। এ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে
বাঙালিদের মনে সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী মনোভাব গড়ে ওঠে। এ সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী মনোভাব জাতীয়তাবাদী
আন্দোলনকে আরও গতিশীল করে তোলে।
(৬) পরবর্তী আন্দোলনের ডাক: ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি পরবর্তী আন্দোলনের ডাক দেয়। ভাষা
আন্দোলনের মধ্যে পরবর্তী আন্দোলনের বীজ নিহিত হয়। এ আন্দোলন পরবর্তী আন্দোলনকে আরও জোরদার
করে তোলে। ফলে জাতীয়তাবাদ বিকাশের পথ আরও সুগম হয়।
(৭) মধ্যবিত্ত শ্রেণীর গুরুত্ব বৃদ্ধি: ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে মধ্যবিত্ত শ্রেণির গুরুত্ব বৃদ্ধি পায়। এ আন্দোলনে পূর্ব
বাংলার মধ্যবিত্ত শ্রেণী প্রভাবশালী ভ‚মিকায় অবতীর্ণ হয়। অতীতে এ অঞ্চলে সমাজের উচ্চ শ্রেণীর দ্বারা রাজনীতি
নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হত। এ পথ ধরে মধ্যবিত্ত শ্রেণী ৭১-এর আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ১৯৫৪
সালে বাঙালিদের যুক্ত ফ্রন্টের বিজয়, ছয় দফা ও ১৯৬৯ সালের গণআন্দোলন, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে
ঐতিহাসিক বিজয় এবং সর্বোপরি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার যুদ্ধে উক্ত আন্দোলনের প্রভাব ছিল অভাবনীয়।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ২১শে ফেব্রæয়ারি
মহান একুশে চেতনা আমাদের সাহিত্য, সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক পরিমন্ডলে দৃশ্যমান। নতুন শতকের অতি বিম্ময়কর ও
গৌরবদীপ্ত চমক হল বাংলা ভাষার বিজয়। এ চমক নতুন সহস্রাব্দের। বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসের সাথে এ
বিজয়ের স্মৃতি ¤øান। ১৯৯৯ সালের নভেম্বর মাসে জাতিসংঘের অঙ্গ সংগঠন ইউনেস্কো (টঘঊঝঈঙ)-এর বিশ্বব্য্যপী ২১
ফেব্রæয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের মধ্য দিয়ে বিশ্বের দরবারে
স্বীকৃতি পেল বাংলা ভাষা। এটি আমাদের অহংকার ও গৌরব।
সারকথা
সা¤প্রদায়িক দৃষ্টিতে পাকিস্তান সৃষ্টির পর পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী বাঙ্গালি জাতিকে সুনজরে দেখেনি। মোহাম্মদ আলী
জিন্নাহর ১৯৪৮ সালের ২১শে মার্চের অশোভন ও অযৌক্তিক ঘোষণার সাথে সাথে বাঙালি ছাত্র জনতা দুর্বার আন্দোলনের
ডাক দেয়। দীর্ঘ কয়েক বছর সংগ্রামের পর ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রæয়ারি বাংলা ভাষা আন্দোলনের চ‚ড়ান্তরূপায়ন ঘটে।
পরবর্তীতে পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্র ভাষার মর্যাদা দিতে বাধ্য হয়। বাঙ্গালিরা এখানে থেমে থাকে নি।
অবশেষে ১৯৯৯ সালের নভেম্বর মাসে টঘঊঝঈঙ ঘোষণার মধ্যদিয়ে বাঙ্গালি জাতি মাতৃভাষাকে বিশ্বের মানচিত্রে স্থান
করতে সক্ষম হয়েছে।
সঠিক উত্তরে টিক () চিহ্ন দিন
(১) ১৯৫১ সালের আদম শুমারী অনুসারে বাংলা ভাষাভাষীর সংখ্যা ছিল শতকরা Ñ
(ক) ৫৩.০ ভাগ (খ) ৫৪.৬ ভাগ
(গ) ৫৫.৬ ভাগ (ঘ) ৫৬ ভাগ
(২) টৎফঁ ধহফ টৎফঁ ধষড়হব ংযধষষ নব ঃযব ংঃধঃব ষধহমঁধমব ড়ভ চধশরংঃধহ - উক্তিটি প্রথম করেছিল Ñ
(ক) আবুল কালাম আজাদ (খ) আইয়ুব খান
(গ) মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ (ঘ) মঈন খান
(৩) তৎকালীন পাকিস্তানী উর্দু ভাষাভাষীর সংখ্যা ছিল শতকরা Ñ
(ক) ৬ ভাগ (খ) ৩ ভাগ
(গ) ৫ ভাগ (ঘ) ৭ ভাগ
(৪) আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস হিসেবে বাংলা ভাষার স্বীকৃতি Ñ
(ক) নভেম্বর ১৯৯৯ সালে (খ) ডিসেম্বর ১৯৯৯ সালে
(গ) ফেব্রæয়ারী ২০০০ সালে (ঘ) কোনটিই নয়
উত্তরমালা: ১। খ ২। গ ৩। ক ৪। ক
সংক্ষিপ্ত উত্তরমূলক প্রশ্ন
১. আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস হিসেবে ২১ ফেব্রæয়ারির গুরুত্ব ব্যাখ্যা করুন।
রচনামূলক প্রশ্ন
১. বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদ বিকাশে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা করুন।
FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত